আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ আল্লামা মওদুদী জুমার নামাজ পড়তে দিল্লী জামে মসজিদে গেলেন! . তিনি যখন মসজিদে প্রবেশ করেন তখন মসজিদে ইমাম সাহেবের আলোচনা চলছিল। . ইমাম সাহেবেও তখন খুব আবেগময় আলোচনা করছিল। . আল্লামা মওদুদীও এ আলোচনা শুনে খুবে আবেগময় হয়ে পড়েন। . ইমাম সাহেব তখন বলেছিল,"হায় খোদা, ভারতবর্ষে আজ যদি এমন কোন আল্লাহর বান্দা ইসলামের জিহাদ নীতির উপর প্রামাণ্য গ্রন্থ রচনা করতো, ইসলাম বিরোধী অপপ্রচারের দাতভাঙ্গা জবাব দিয়ে ইসলামের প্রকৃত রূপ সবার সামনে তুলে ধরতো তবে কতই না ভালো হতো।" . ২৪বছরের যুবক মওদুদী তখন নামাজ শেষে মনস্থির করে সে এ এই হবে এ বইয়ের লেখক। .
যে আল্লাহ আমাকে সৃষ্টি করেছেন,আমি কেন তার মহিমা ঘোষণার জন্য তার পক্ষে কলম ধরবো না ? ..২৪ বছরের এ টগবগে যুবক লিখে ফেলল . "আল জিহাদ ফিল ইসলাম"নামের এক অসাধারন পুস্তক। . যা ইসলামে জিহাদের প্রকৃত পরিচয় অমুসলিমদের কাছে স্পষ্ট করে তোলে। . বইটি এতোটা তথ্যপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে আল্লামা ইকবাল তার এ বইটি পাঠ করে অত্যন্ত আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। . ইকবাল তখন এ বইয়ের ভূয়সি প্রশংসা করে বলেন, "জিহাদ, যুদ্ধ ও সন্ধি সম্পর্কে ইসলামী আইন-কানুন সম্বলিত এ গ্রন্থটি অসাধারণ ও চমৎকার। . প্রত্যেক জ্ঞানী ও সুধীকে এ গ্রন্থটি পাঠ করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। . যে সময়ে মুসলমানরা বিধর্মীদের অপপ্রচারে ছিল দিশেহারা,সেসময়ে ২৪বছরের এ যুবক অসীম সাহসে এগ্রন্থ রচনা করে ইসলামের পক্ষে যে ভূমিকা রেখেছিল। . তা আজও ভারতীয় উপহাদেশে অবিস্মরণীয় হয়ে আছে। . সে ২৪বছরের যুবক পরবর্তী সময়ে ইসলামের পক্ষে ১২০টিরও বেশী বই লেখেন।।। .
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার এই খেদমতকে কবুল করূন।