বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭

ইসলামের মূল চেতনার অপব্যাখ্যার কারণে বিশ্বব্যাপী ভুল ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে: আইআইইউসিতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ইউজিসি চেয়ারম্যান

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান বলেছেনইসলামের মূল চেতনার অপব্যাখ্যার কারণে বিশ্বব্যাপী ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। দার্শনিকসহ বিভিন্ন ইসলামিক গুণী ব্যক্তির পদচারণায় এক সময় ইসলামের স্বর্ণযুগ ছিল। তিনি বলেনধর্মের নামে জঙ্গিবাদ ইসলামের সুনাম ক্ষুণ্ন করছে। সন্ত্রাসবাদীদের কোনো ধর্ম নেই। সন্ত্রাসবাদই হচ্ছে তাদের ধর্ম। গতকাল শনিবার সকালে কুমিরাস্থ আইআইইউসি (আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)’র ক্যাম্পাস মিলনায়তনে ‘ওয়ার্ল্ড পিস এন্ড সিকিউরিটিরোল অব ইসলাম’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আইআইইউসির এটি ১১তম সম্মেলন।
প্রফেসর আবদুল মান্নান বলেনইসলাম শান্তির ধর্মএটা আমরা গত ১৪০০ সাল থেকে বলে আসছি। বাংলাদেশে এটি আরো বেশি প্রযোজ্য। কারণ বাংলাদেশই সুফী মতবাদের কেন্দ্রবিন্দু। তিনি বলেনবাংলাদেশে ইসলাম কোনো শক্তির মাধ্যমে আসেনিসুফী সাধকদের মাধ্যমে এসেছিল। বিশাল মুসলিম জনগোষ্ঠী থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে ইসলাম নিয়ে বড় আকারের শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার কোন ঘটনা ঘটে নি। কিছু নির্বোধের কারণে ইসলাম প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে জানিয়ে আব্দুল মান্নান বলেন১৯৭১ সালে বাংলাদেশে ধর্মের নামে যুদ্ধ চাপিয়ে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। এক কোটি মানুষকে ঘর ছাড়া এবং একই সময় ৩ লাখ মাবোনের সম্ভ্রমহানি করা হয়েছিল। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭১ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত আমরা চেষ্টা করেছি যে চিন্তা নিয়ে আমরা বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছিলাম,সেই বাংলাদেশের চরিত্র বজায় রাখার জন্য। কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু নির্বোধের কারণে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে কোনো কোনো ক্ষেত্রে কিছু কাজ প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
ইউজিসি চেয়ারম্যান আরো বলেনএকটি নৈতিকতাবোধ সম্পন্ন রাষ্ট্র তৈরিতে আমরা অনেক দুর সাফল্য অর্জন করেছি। এখানে ধর্মের নামে শান্তি বিনষ্টকারী ঘটনা ঘটছে না। সরকারও এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স অবস্থানে রয়েছে । বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে ইসলামকে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে একত্রিত করে ফেলা হচ্ছে। তার অন্যতম কারণ হচ্ছেইসলামের অপব্যাখ্যা। তিনি সম্প্রতি আফগানিস্তানে নিরপরাধ ও অবুঝ শিশুদের হত্যার ঘটনা তুলে ধরে বলেনমুসলমান ধর্মের কোথায় লেখা আছেনিরপরাধ মানুষ অথবা মুসলমান কিংবা অন্য ধর্মাবলম্বী হোক আপনি হত্যা করতে পারবেনইউজিসি চেয়ারম্যান বলেনঅন্য ধর্মের নামে সন্ত্রাস হলেও তা ফলাও করে প্রচার হয় না। কিন্তু ইসলামের নামে নেতিবাচক কিছু হলে তার ব্যাপক প্রচার হয়। ইসলামের মূল চেতনার অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলেই এই গন্ডগোলটা হয়। তিনি বলেনবোমা মেরে ইসলাম কায়েম করা যায় না। তিনি বলেনইসলাম চর্চা করতে হলে বেশিদূর যেতে হবে না। চার্টার অব মদিনাইমাম বুখারীইবনে সিনার জীবনিসহ বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ভালো করে পড়লে ও বুঝলে ইসলামকে আত্মস্থ করা যাবে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবদুল করিম বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেনযদি স্রষ্টা ও সৃষ্টির প্রতি একজন মানুষ নিবেদিত হয় তাহলে সে যে কোনোভাবেই সন্ত্রাসবাদের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারে না। সন্ত্রাসের মূল কারণ অনুসন্ধান করতে হবে। এই অনুসন্ধানেও শিক্ষার প্রয়োজন আছে। তিনি বলেনইসলামের মূল চেতনা হচ্ছে সমতা ও শান্তি। সন্ত্রাসমুক্ত একটি শান্তির বিশ্ব পাওয়ার জন্য কোরআন ও হাদীস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে আইআইইউসি’র ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর এ কে এম গোলাম মহিউদ্দীন বলেনমুসলিম বিশ্ব একটি সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই সংকটকালে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পথ খুঁজতে হবে। এই সম্মেলন ইসলাম সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা দূর করতে সহায়ক হবে বলে তিনি এ সময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেনপ্রফেসর ডএ কে এম আজহারুল ইসলামভারতের আলীগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ডমোহাম্মদ সানাউল্লাহ নাদভীআলজেরিয়ার এমির আবদ আল কাদের ইউনিভার্সিটির ভাইসরেক্টর প্রফেসর ডডিজেমাই চিবাইকি এবং আইআইইউসি’র প্রোভাইস চ্যান্সেলর (ভারপ্রাপ্তপ্রফেসর ডমোদেলাওয়ার হোসাইন।
এর আগে স্বাগত বক্তব্য দেনশরীয়াহ অনুষদের ডীন ও আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ডমোনাজমুল হক নদভী। অতিথি মঞ্চে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজ এর ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডকাজী দ্বীন মোহাম্মদট্রাস্টি সদস্য অধ্যাপক আহসান উল্যাহ ও মোহাম্মদ নুরুল্লাহ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন চৌধুরী গোলাম মাওলালুৎফর রহমান ও মামুনুর রশীদ।
আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে বাংলাদেশের পাশাপাশি অস্ট্রিয়াইংল্যান্ডভারতহংকংমধ্যপ্রাচ্যইউরোপ ও আফ্রিকার ১৮ টি দেধের প্রতিনিধিরা অংগ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে ৬ জন কীনোট স্পিকার আছেন। কনফারেন্সে মোট প্রাপ্ত প্রবন্ধের সংখ্যা ১৫৮ টি। এরমধ্যে ৯০ টি প্রবন্ধ কনফারেন্সে উপস্থাপন করা হবে। এগুলোর ৬৯টি বিদেশি এবং ২১ টি দেশিয় প্রবন্ধ। সম্মেলনে ১৫ টি একাডেমিক সেশন হবে। প্রতিটি সেশনে ৬ টি করে প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে।
সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইআইইউসি’র সাবেক ভাইসচ্যান্সেলর প্রফেসর ডকেএমআজহারুল ইসলাম,ভারতের আলীগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ডমোহাম্মদ সানাউল্লাহ নাদভীআলজেরিয়ার এমির আবদ আল কাদের ইউনিভার্সিটির ভাইসরেক্টর প্রফেসর ডডিজেমাই চিবাইকিমরক্কোর ইবনে জহির ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ডমোহাম্মদ আবু ইয়াহিয়াসুদানের আল কোরআন এন্ড ইসলামিক সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ডনাজি মুস্তাফা বাদউই সুলায়মান এবং সুদানের উম্মে দারমান ইসলামিক ইউনির্ভাসিটির প্রফেসর ডআলী ঈসা বিন আব্দুর রহমান।

মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭

শহীদ আবদুল কাদের মোল্লা ভাইয়ের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ডবলমুরিং থানার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজঃ শহীদ আবদুল কাদের মোল্লা ভাইয়ের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ডবলমুরিং থানার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল শহীদ আবদুল কাদের মোল্লা ভাইয়ের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানরীর ডবলমুরিং থানার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ডবলমুরিং থানা আমীর মোৰ ফারুক আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও সাবেক এম,পি আলহাজ্ব শাহজাহান চেৌধুরী। অন্যানের মধ্যে থানা সেক্রেটারী মোহাম্মদ লোকমান, সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান মাহমুদ, থানা জামায়াত নেতা মো: শাহাব উদ্দিন, সাহাবুল আলম প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও সাবেক এম,পি আলহাজ্ব শাহজাহান চেৌধুরী। 

১২ই ডিসেম্বর আব্দুল কাদের মোল্লার শাহাদত দিবস


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজঃ শহীদ কাদের মোল্লা ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হওয়ার দিন তার স্ত্রীকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। ওই চিঠিতে তিনি তার অনেক ইচ্ছের কথাও জানিয়েছেন। পাশাপাশি উল্লেখ করেছেন কেন তার ফাঁসি হচ্ছে, কারা করছে, কারা ছক করেছেন। চিঠিতে তিনি লিখেন, ভারতের পররাষ্ট্রসচিব সুজাতা সিং আওয়ামী লীগকে শুধু সাহস দেননি, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকেও চাপ দিয়েছেন। জামায়াত-শিবিরের ক্ষমতায় আসার ভয়ও দেখিয়েছেন। আরো লিখেছেন, আমাদের বিরুদ্ধে সরকার যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে এটার সবটা ছকই ভারতের অঙ্কন করা। ১২ ডিসেম্বর কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর করে সরকার। আব্দুল কাদের মোল্লা চিঠিটি বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলে লেখা শুরু করেছেন। সেখানে তার স্ত্রীকে প্রিয়তমা জীবন সাথী পেয়ারী সম্বোধন করে সালাম দিয়েছেন। আট প্যারার চিঠিতে লিখেছেন, "আজ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হওয়ার পর খুব সম্ভব আগামী রাত বা আগামীকাল জেলগেটে আদেশ পৌঁছার পরই ফাঁসির সেলে আমাকে নিয়ে যেতে পারে। এটাই নিয়ম। সরকারের সম্ভবত শেষ সময়। তাই শেষ সময়ে তারা এই জঘন্য কাজটি দ্রুত করে ফেলার উদ্যোগ নিতে পারে। আমার মনে হচ্ছে তারা রিভিউ পিটিশন গ্রহণ করবে না। যদি করেও তাহলে তাদের রায়ের কোনো পরিবর্তন হওয়ার দুনিয়ার দৃষ্টিতে কোনো সম্ভাবনা নেই। মহান আল্লাহ যদি নিজেই এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ইচ্ছোর বিরুদ্ধে তার সিদ্ধান্ত কার্যকর করেন, তাহলে ভিন্ন কথা। অথচ আল্লাহর চিরন্তন নিয়মানুযায়ী সব সময় এমনটা করেন না। অনেক নবীকেও তো অন্যায়ভাবে কাফেররা হত্যা করেছে। রাসুলে করীম (সা.)-এর সাহাবায়ে কেরাম এমনকি মাহিলা সাহাবীকে অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে। আল্লাহ অবশ্য ওই সমস্ত শাহাদাতের বিনিময়ে সত্য বা ইসলামকে বিজয়ী করার কাজে ব্যবহার করেছেন। আমার ব্যাপারে আল্লাহ কী করবেন তা তো জানার উপায় নেই। দ্বিতীয় প্যারায় তিনি লিখেছেন, "গতকাল ভারতের পররাষ্ট্রসচিব সুজাতা সিং এসে আওয়ামী লীগকে শুধু সাহস দেন নাই, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকেও চাপ দিয়েছেন এবং সতর্ক করার জন্য জামায়াত শিবিরের ক্ষমতায় আসার ভয়ও দেখিয়েছেন। এতে বুঝা যায় যে জামায়াত এবং শিবির ভীতি এবং বিদ্বেষ ভারতের প্রতি রক্তকণায় কিভাবে সঞ্চারিত। আমিতো গোড়া থেকেই বলে আসছি, আমাদের বিরুদ্ধে সরকার যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে এটার সবটা ছকই ভারতের অঙ্কন করা। আওয়ামী লীগ চাইলেও এখান থেকে পেছাতে পারবে না। কারণ তারা ভারতের কাছে অাত্মসমর্পণের বিনিময়েই এবার ক্ষমতা পেয়েছে। অনেকেই নীতি-নৈতিকতার প্রশ্নে কথা বলেন, আমাকেসহ জামায়াতের সকলকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে যে কায়দায় জড়ানো হয়েছে এবং আমাদের দেশের প্রেসের প্রায় সবগুলোই সরকারকে অন্যায় কাজে সহযোগিতা করছে, তাতে সরকারের পক্ষে নীতি-নৈতিকতার আর দরকার কী? বিচারকরাই স্বয়ং.. তাতে স্বাভাবিক ন্যায়বিচারের আশা অন্তত এদের কাছ থেকে করা কোনোক্রমেই সমীচীন নয়। তবে একটি আফসোস যে, আমাদেরকে বিশেষ করে আমাকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে তা জাতির সামনে বলে যেতে পারলাম না। গণমাধ্যম বৈরী থাকায় এটা পুরোপুরি সম্ভবও নয়। তবে জাতি পৃথিবীর ন্যায়পন্থী মানুষ অবশ্যই জানবে এবং আমার মৃত্যু এই জালেম সরকারের পতনের কারণ হয়ে ইসলামী আন্দোলন অনেক দূর এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। এর পরই তিনি লিখেছেন, কালই সূরা আত-তাওবার ১৭-২৪ আয়াত পড়লাম। ১৯নং আয়াতে পবিত্র কাবা ঘরের খেদমত এবং হাজিদের পানি পান করানোর চাইতে মাল ও জান নিয়ে জেহাদকারীদের মর্যাদা অনেক বেশি বলা হয়েছে। অর্থাৎ স্বাভাবিক মৃত্যুর চাইতে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আল্লার দেয়া ন্যায়ভিত্তিক ব্যবস্থা অর্থাৎ ইসলাম প্রতিষ্ঠার জেহাদে মৃত্যুবরণকারীদের আল্লাহর কাছে অতি উচ্চ মর্যাদার কথা আল্লাহ স্বয়ং উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ নিজেই যদি আমাকে জান্নাতের মর্যাদার আসনে বসাতে চান তাহলে আমার এমন মৃত্যুকে আলিঙ্গন করার জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত। কারণ জালেমের হাতে অন্যায়ভাবে মৃত্যুতো জান্নাতের কনফার্ম টিকিট। এরপর তিনি লিখেছেন, সম্ভবত ১৯৬৬ সালে মিসরের শাসক কর্নেল নাসের। সাইয়্যেদ কুতুব, আব্দুল কাদের আওদাসহ অনেককে ফাঁসি দিয়েছেন। ‘ইসলামী আন্দোলরে অগ্নিপরীক্ষা’ নামক বিষয়ে বিভিন্ন শিক্ষাশিবিরে বক্তব্য শুনেছি। একাধিক বক্তব্যে অধ্যাপক গোলাম আযম সাহেব বাম হাতটা গলার কাছে নিয়ে প্রায়ই বলতেন, ওই রশিতো এই গলায়ও পড়তে পারে। আমারও হাত কয়েকবার গলার কাছে গিয়েছে। এবার আল্লাহ যদি তার সিদ্ধান্ত আমার এবং ইসলামের অগ্রগতির সাথে সাথে জালেমের পতনের জন্য কার্যকর করেন, তাহলে ক্ষতি কি? শহীদের মর্যাদার কথা বলতে গিয়ে রাসুলে করিম (সা.) বারবার জীবিত হয়ে বারবার শহীদ হওয়ার কামনা ব্যক্ত করেন। যারা শহীদ হবেন জান্নাতে গিয়েও তারা আবার জীবন এবং শাহাদত কামনা করবেন। আল্লাহর কথা সত্য, মুহম্মাদ (সা.) এর কথা সত্য। এ ব্যাপারে সন্দেহ করলে ঈমান থাকে না। এরা যদি সিদ্ধান্ত কার্যকর করে ফেলে তাহলে ঢাকায় আমার জানাজার কোনো সুযোগ নাও দিতে পারে। যদি সম্ভব হয় তাহলে মহল্লার মসজিদে এবং বাড়িতে জানাজার ব্যবস্থা করবে। পদ্মার ওপারের জেলাগুলোর লোকেরা যদি জানাজায় শরিক হতে চায় তাহলে আমাদের বাড়ির এলাকায় যেন আসে। তাদেরকে অবশ্যই খবর দেয়া দরকার। তিনি তার কবর দেওয়ার ব্যাপারে লিখেছেন কবরের ব্যাপারে তো আগেই বলেছি আমার মায়ের পায়ের কাছে। কোনো জৌলুসপূর্ণ অনুষ্ঠান বা কবর বাঁধানোর মতো বেদআত যেন না করা হয়। সাধ্যানুযায়ী ইয়াতিমখানায় কিছু দান-খয়রাত করবে। ইসলামী আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সাহায্য সহযোগিতা করবে। বিশেষ করে আমার গ্রেপ্তার এবং রায়ের কারণে যারা শহীদ হয়েছে, অভাবগ্রস্ত হলে ওইসব পরিবারকে সাহায্য সহযোগিতার ব্যাপারে অগ্রাধিকার দিতে হবে। হাসান মওদুদের পড়াশোনা এবং তা শেষ হলে অতি দ্রুত বিবাহ শাদির ব্যবস্থা করবে। নাজনীনের ব্যাপারেও একই কথা। পেয়ারী, হে পেয়ারী, তোমাদের এবং ছেলেমেয়ের অনেক হকই আদায় করতে পারিনি। আল্লাহর কাছে পুরস্কারের আশায় আমাকে মাফ করে দিও। তোমার জন্য বিশেষভাবে দোয়া করছি যদি সন্তান-সন্ততি এবং আল্লাহর দ্বীনের জন্য প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে আল্লাহ যেন আমার সাথে তোমার মিলিত হওয়ার ব্যবস্থা করেন। এখন তুমি দোয়া করো, যাতে আমাকে দুনিয়ার সমস্ত মায়া-মহব্বত আল্লাহ আমার মন থেকে নিয়ে শুধু আল্লাহ এবং রাসুলে করীম (সা.)-এর মহব্বত দিয়ে আমার সমস্ত বুকটা ভরে দেন। ইনশাআল্লাহ, জান্নাতের সিঁড়িতে দেখা হবে। চিঠিতে তিনি ইতি টেনেছেন এটা বলে যে, সন্তানদের সবসময় হালাল খাওয়ার পরামর্শ দিবে। ফরজ, ওয়াজিব, বিশেষ করে নামাজের ব্যাপারে বিশেষভাবে সকলেই যত্নবান হবে। আত্মীয়-স্বজনদেরও অনুরূপ পরামর্শ দিবে। আব্বা যদি ততদিন জীবিত থাকেন তাকে সান্ত্বনা দিবে। তোমাদেরই প্রিয় আব্দুল কাদের মোল্লা।

মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৭

ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরজাতীয় বিপ্লব ওসংহতি দিবস:

আমাদের বাংলাদেশ  অনলাইন নিউজঃ ৭ নভেম্বর। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সিপাহী-জনতার মিলিত বিপ্লবে নস্যাৎ হয়ে যায় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ববিরোধী ষড়যন্ত্র। আধিপত্যবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আগ্রাসন থেকে রক্ষা পায় বাংলাদেশ। এদিন সিপাহী-জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঢাকা সেনানিবাসের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে আনেন তৎকালীন সেনাপ্রধান ও স্বাধীনতার ঘোষক মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে। 
৭ নভেম্বর সংঘটিত হওয়ার পর প্রতিটি সরকার দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে। কিন্তু ড. ফখরুদ্দীনের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এ দিনের সরকারি ছুটি বাতিল করে এবং দিবসটি পালন করা থেকে বিরত থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় আঁতাতের মাধ্যমে ক্ষমতার মসনদে চেপে বসা বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারও তা পালন করছে না। এর আগে ১৯৯৬ সালের আওয়ামী লীগ সরকারও দিবসটি পালন করা থেকে বিরত ছিল। বাতিল করেছিল সরকারি ছুটি।
আগ্রাসী শক্তি তাদের থাবা বিস্তারে অনেকটাই সফল হয়েছে। ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টের নামে অবাধ করিডোর দিয়ে হুমকির মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তাকে।
১৯৭৫ সালের ৩ থেকে ৬ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর অনিশ্চিত অবস্থা বিরাজ করছিল। হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছিল স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব। ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে ৩ নভেম্বর সেনাবাহিনীর একটি উচ্চাভিলাষী দল সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে ক্যান্টনমেন্টের বাসভবনে বন্দি করে এক সামরিক অভ্যুত্থান ঘটালে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনা সাধারণ জনগণ ও সিপাহীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করে। জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর সর্বমহলে, বিশেষত সিপাহীদের কাছে ছিলেন খুবই জনপ্রিয়। ফলে তারা পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ ও জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ৬ নভেম্বর মধ্যরাতে ঘটে সিপাহী-জনতার ঐক্যবদ্ধ এক বিপ্লব, যা ইতিহাসে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে স্থান লাভ করেছে। দেশবাসী সেদিন জিয়ার হাতেই তুলে দিয়েছিল রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর তদানীন্তন দৈনিক বাংলার রিপোর্টে বিপ্লব সম্পর্কে বলা হয়, ‘সিপাহী ও জনতার মিলিত বিপ্লবে চারদিনের দুঃস্বপ্ন শেষ হয়েছে। মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ১টায় সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনীর সিপাহী-জওয়ানরা বিপ্লবী অভ্যুত্থান ঘটিয়েছেন। ষড়যন্ত্রের নাগপাশ ছিন্ন করে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে উদ্ধার করেছেন বিপ্লবী সিপাহীরা। ৭ নভেম্বর শুক্রবার ভোরে রেডিওতে ভেসে আসে, ‘আমি মেজর জেনারেল জিয়া বলছি।’ জেনারেল জিয়া জাতির উদ্দেশে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে যথাস্থানে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। ওইদিন রাজধানী ঢাকা ছিল মিছিলের নগরী। পথে পথে সিপাহী-জনতা আলিঙ্গন করেছে একে অপরকে। নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ ধ্বনিতে ফেটে পড়েন তারা। সিপাহী-জনতার মিলিত বিপ্লবে ভণ্ডুল হয়ে যায় স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ববিরোধী সব ষড়যন্ত্র। আনন্দে উদ্বেলিত হাজার হাজার মানুষ নেমে আসেন রাজপথে। সাধারণ মানুষ ট্যাঙ্কের নলে পরিয়ে দেন ফুলের মালা। এই আনন্দের ঢেউ রাজধানী ছাড়িয়ে দেশের সব শহর-নগর-গ্রামেও পৌঁছে যায়।’
৭ নভেম্বর সম্পর্কে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাংবাদিক অ্যান্থনি মাসকারেনহাস তার ‘বাংলাদেশ এ লিগ্যাসি অব ব্লাড’ বইতে লেখেন, ‘১৯৭৫ সালের ৫ ও ৬ নভেম্বর ক্যান্টনমেন্টসহ সারা শহরে ছড়ানো হলো হাজার হাজার প্রচারপত্র। একটি ব্যাপারে ডান ও বাম উভয় রাজনৈতিক দলই একমত ছিল, আর তা হচ্ছে খালেদ মোশাররফ একজন বিশ্বাসঘাতক, ভারতের দালাল এবং সে ঘৃণিত বাকশাল ও মুজিববাদ ফিরিয়ে আনতে চাইছে।’
৭ নভেম্বরের ভোরের দিকে জওয়ানরা ব্যারাক থেকে বেরিয়ে পড়ল। সারা ঢাকা শহরে এই ‘সিপাহী বিপ্লব’ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ল। রাত ১টার মধ্যেই সিপাহীরা পুরো ক্যান্টনমেন্ট দখল করে নিল। একদল জওয়ান গেল জেনারেল জিয়ার বাসভবনে। চারদিন বন্দি থাকার পর মুক্তি পেলেন জেনারেল জিয়া। নৈশ পোশাক পরা অবস্থাতেই জিয়াকে উল্লসিত জওয়ানরা কাঁধে করে নিয়ে গেল ২ ফিল্ড আর্টিলারির হেডকোয়ার্টারে। ঘটনার আকস্মিকতায় তখন বিহ্বল হয়ে পড়েন জিয়া। নাম না জানা অনেক জওয়ানের সঙ্গে আলিঙ্গন, করমর্দন করেন তিনি।
গ্রন্থটিতে আরও বলা হয়েছে, ‘রেডিওতে ক্রমাগত সিপাহী জনতার বিপ্লবের ঘোষণা এবং জেনারেল জিয়ার ক্ষমতা দখলের খবর শুনে হাজার হাজার লোক স্রোতের মতো রাস্তায় নেমে এলো। তিন দিন ধরে তারা বিশ্বাস করছিল যে, ভারত খালেদ মোশাররফের মাধ্যমে তাদের কষ্টে অর্জিত স্বাধীনতাকে বিপন্ন করছে। এখন সেই দুঃস্বপ্ন কেটে গেছে। সর্বত্র জওয়ান এবং সাধারণ মানুষ খুশিতে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করল, রাস্তায় নামল। সারারাত তারা স্লোগান দিল, ‘আল্লাহু আকবর, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, সিপাহী বিপ্লব জিন্দাবাদ।’ অবস্থা দেখে মনে হচ্ছিল, ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের মতো এদেশের মানুষ আবার জেগে উঠেছে।
৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতা অভ্যুত্থানের প্রকৃত তাৎপর্য শাসক সমাজের ওপর বৈদেশিক মুরুব্বিয়ানার বাধ্যতা প্রত্যাখ্যান করে গণচেতনায় জাতিরাষ্ট্রের আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধার। দেশবাসীর মনে সার্বভৌমত্বের গর্ববোধ পুনঃপ্রতিষ্ঠা। পঁচিশ বছর মেয়াদি শান্তি ও মৈত্রী চুক্তির অসম সম্পর্কের মায়াজাল এদেশের অভিজন সমাজে যে ভারতমুখাপেক্ষিতা ও হীনম্মন্যতার প্রসার ঘটিয়ে চলেছিল, তার বজ্রআঁটুনি ছিন্ন করেছিল দৃপ্ত সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান ও আত্মস্থশক্তির বহিঃপ্রকাশ। রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে উৎখাত হয়েছিল দিল্লির প্রাসাদকামী পরগাছার জঞ্জাল।
এভাবে জাতিরাষ্ট্রের আত্মমর্যাদাবোধ ঐ দিন থেকে যে স্বকীয়তা, স্বনির্ভরতা ও আত্মোন্নতির উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছিল, আজও তা জাতিকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছে। যদিও ভূরাজনৈতিক চক্রান্তে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতা দিল্লির পদলেহি একটা পরিবারতন্ত্রের সংঘশক্তির করায়ত্ত, জাতিরাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ও সংবিধানকে সাবোটাজ করে ঐ সংঘশক্তির পঞ্চম বাহিনী এদেশকে বিশ্বের চোখে স্বশাসনের অযোগ্য প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লেগেছে, প্রকাপ্রন্তরে বাংলাদেশের ভারতভুক্তির একটা নীলনকশা অনুসরণ করে চলেছে, নভেম্বর বিপ্লবে জাগ্রত দেশবাসী পদে পদে নতজানু ভারতমুখাপেক্ষী সরকারি উদ্যোগগুলোকে জনমতের প্রাচীর দিয়ে অবরুদ্ধ করেছে। জনস্বার্থ রক্ষায় রাষ্ট্রের বিকলাঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোর খর্বশক্তি দিয়েও প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। চলমান বিশ্বব্যবস্থার সংঘাতসঙ্কুল আবর্তে, আঞ্চলিক আধিপত্যবাদের হুমকিতে কিংবা বিশ্বায়ন প্রক্রিয়ার গোলকধাঁধায় পথ হারায়নি। রাষ্ট্রঘাতী চক্রান্তের মোকাবেলায় রাজপথে নেমে এসেছে, প্রতিবাদে প্রতিরোধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। রাষ্ট্রঘাতী চক্রের কবল থেকে অচিরে আবার রাষ্ট্রক্ষমতা ছিনিয়ে নেবে জাগ্রত জনতা, এ কথা সুনিশ্চিত।

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী