বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

রবিবার, ৩০ আগস্ট, ২০২০

প্রসঙ্গ: আশুরার কমেডি, কারবালার ট্র্যাজেডি: প্রফেসর ড. আ ক ম আবদুল কাদের

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ আমার কিছু শিষ্য ও শুভানুধ্যায়ী আমাকে আশুরার উপর কিছু আলোকপাত করার জন্য অনুরোধ করেন। গতকাল রাতেও আমি ইউরোশিয়া ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এই বিষয়ে কথা বলি। আমি সাধারণত বিষয়টিকে তিনটি পয়েন্টে বিভক্ত করে আলোকপাত করে থাকি। এক. বিভিন্ন নবী- রাসূলগণের জীবনে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক ও সুসংবাদের বার্তাবহ ঘটনাপঞ্জি, দুই . মহানবী সা. এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হুসাইন রা. ও তাঁর পরিবারের সদস্যবৃন্দের জীবনে কারবালার প্রান্তরে ঘটে যাওয়া বিয়োগাত্মক লোমহর্ষক নারকীয় ঘটনা এবং তিন. মুহাররাম মাস ও আশুরার দিনে মুসলিম উম্মাহর করণীয়। এই আলোকে আমি অনেক আগে একটি গবেষণামূলক প্রবন্ধ রচনা করি যা ১৯৯৭ সালে একটি গবেষণা জার্নালে প্রকাশিত হয়। যেহেতু এই বিষয়ে মসজিদ, মাদ্রাসা, বিভিন্ন মাহফিল ও সেমিনারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়ে থাকে, তাই আমি এই প্রসঙ্গে দুই একটা পয়েন্ট আলোচনা করবো সাধারণত যা এই সব মজলিসে আলোচনা করা হয় না।

হিজরী ৬০ সাল। যিলহাজ্জ মাসের প্রথম দিকে ইমাম হুসাইন রা. ছিলেন পবিত্র মক্কা নগরীতে। এর আগে তিনি পবিত্র মদীনায় অবস্থান করছিলেন। কিন্তু এখানে ইয়াজীদের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ বিষয়ে বায়'আত হওয়ার জন্য তাঁর উপর চাপ প্রয়োগ করা হলে তিনি মক্কা চলে যান। তখন লোকজন পবিত্র হজ্জ্ব পালনের নিমিত্তে পবিত্র মক্কা নগরীতে এসে পৌঁছছিলেন। আর এখানেও তাঁর উপর একই রকম চাপ প্রয়োগ অব্যাহত থাকে। আর এই সময় কূফা গমনের জন্য অসংখ্য পত্র পেয়ে তিনি কূফার উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিছু সংখ্যক ভক্ত অনুরক্ত ও কয়েকজন বিশিষ্ট সাহাবী তাঁকে পবিত্র হজ্জ্ব পালনের পর যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু ইমাম হুসাইন রা. চিন্তা করলেন, এই হজ্জ্ব তো পালিত হবে আমীর মুয়াভিয়্যাহ রা. কর্তৃক মনোনীত আমীরের তত্ত্বাবধানে। এই মনোনয়ন ছিল খুলাফা রাশিদূনের যুগে খলীফা নির্বাচনের অনুসৃত ধারার ব্যাতিক্রম। যেহেতু তিনি ইয়াযীদকে বৈধ খলীফা মনে করেন না, তাই তাঁর তত্ত্বাবধানে হজ্জ্ব পালন করে ইয়াযীদের খিলাফতকে বৈধতা দিতে চান না।

এখন প্রশ্ন হলো, যেখানে মহানবীর সা. সাহাবীগণ এমন কি তাঁর আত্মীয় স্বজন এবং তাবিয়ীগণ ইয়াযীদের খিলাফত মেনে নিয়ে বায়'আত হন সেখানে ইমাম হুসাইন রা. কেন তাঁর হাতে বায়'আত করতে অস্বীকার করেন। এই বিষয়টি বুঝতে হলে আমাদেরকে Principles of Islamic Jurisprudence এর দিকে ফিরে যেতে হবে। এখানে দুটি বিষয় আলোচিত হয়। এক. 'আযীমাত আর দুই. রুখসাত। 'আযীমাত হলো যে কোন বিধানের যথাযথ অনুসরণ। আর রুখসাত হলো একাধিক অবকাশ থাকলে তার মধ্য হতে সুবিধাজনক বিধানের অনুসরণ।

ইয়াযীদের খিলাফত প্রশ্নে সাহাবীগণ ধরে নিয়েছেন এটি উম্মাহর একটি আভ্যন্তরীণ সমস্যা। এই সমস্যার সাথে কোন বহিঃ জাতি, গোষ্ঠী কিংবা ভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের কোন প্রকার ষড়যন্ত্র জড়িত নয়। তাই এই বিষয়টি নিয়ে উম্মাহর মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করা উচিত হবে না। আর ইমাম হুসাইন রা. চিন্তা করলেন, আহলে বায়তের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং মহানবীর সা. এর দৌহিত্র হিসাবে তাঁকে 'আযীমাতের পথটি অনুসরণ করা উচিত। নতুবা 'আযীমাতের পথ অনুসরণের কথা উম্মাহ বিস্মৃত হয়ে যাবে। তা ছাড়া, খিলাফত প্রশ্নে রাজনীতিতে উত্তরাধিকার মনোনয়নের মাধ্যমে রাজতন্ত্রের যে বিদ'আতের অনুপ্রবেশ ঘটেছে তা যদি প্রতিহত করা না হয় তা হলে নবী সা. এর দৌহিত্র ইয়াজীদের হাতে বায়'আত হওয়ার ফলে এটি অনুমোদন দেওয়ার কারণে তা সুন্নাহর রূপ পরিগ্রহ করবে, যা কোন ক্রমেই কাম্য হতে পারে না। তাই তিনি এই বিষয়ে কঠিন পথ তথা 'আযীমাতের পথটি অনুসরণ করেন, যার পরিসমাপ্তি ঘটে তাঁর শাহাদাতের মধ্য দিয়ে।

ইমাম হুসাইন রা. তাঁর শাহাদাতের প্রাক্কালে ফোরাত নদীর তীরে দাঁড়িয়ে ইয়াযীদ কর্তৃক নিয়োজিত সেনাবাহিনীকে উদ্দেশ্য করে এক হৃদয়গ্রাহী ভাষণ দেন। এই ভাষণটি ইমাম তাবারী তাঁর "তারীখ আল উমাম ওয়াল মলূক" গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। এই ভাষণে তিনি নিজের অবস্থান এবং এখানে আগমনের উদ্দেশ্য ও তিনি কারো জন্য হুমকি নন বলে সুস্পষ্ট ভাবে ঘোষণা করেন। এবং তিনি নিজেকে মহানবীর সা. একমাত্র জীবিত দৌহিত্র হিসাবে দাবী করেন। এর পরও কেন তাঁকে শহীদ করা হয় এটি একটি বিরাট প্রশ্ন। আমার যা মনে হয়েছে, ইয়াযীদ কিংবা তাঁর বাহিনী মনে করেছে , মহানবীর সা. এর দৌহিত্র মানে মুসলিম উম্মাহর আবেগের কেন্দ্রস্হল। যদি তাঁকে জীবিত রাখা হয় তা হলে তাঁকে কেন্দ্র করে মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধ হতে পারে, যা পুনরায় ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করার সমূহ সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই তারা তাঁকে শহীদ করাকেই নিজেদের ক্ষমতা পাকা পোক্ত করার নিরাপদ ব্যবস্থা বলে মনে করেছে। কিন্তু ভাগ্য ইয়াজীদের সহায়ক হয় নি। এই ঘটনার মাত্র তিন বছরের মধ্যেই তাঁকে অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ক্ষমতা ছেড়ে এই পৃথিবীর বুক থেকে চিরতরে বিদায় নিতে হয়েছে।

বুধবার, ২৬ আগস্ট, ২০২০

ইসলামে ব্যবসার গুরুত্ব এবং ব্যবসায় সফল হওয়ার ১৩টি দিক নির্দেশনা


আমাদের বাংলদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ নি:সন্দেহে ব্যবসা হল, হালাল উপার্জনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপায়। তাই তো আল্লাহ তাআলা কুরআনে ব্যবসাকে হালাল ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন,

أَحَلَّ اللهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا
"আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল এবং সুদকে হারাম করেছেন।" (বাকারা: ২৭৫)
তিনি আরও বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُواْ لاَ تَأْكُلُواْ أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ إِلاَّ أَن تَكُوْنَ تِجَارَةً عَنْ تَرَاضٍ مِّنْكُمْ
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না তবে কেবলমাত্র পারষ্পারিক সম্মতিক্রমে ব্যবসা করা হলে তাতে কোন আপত্তি নাই।” (নিসা: ২৯)
রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও যৌবন বয়সে ব্যবসা করেছেন। মক্কার সাহাবিগণ অধিকাংশই ব্যবসায়ী ছিলেন। তারা বছরে দু বার শীত ও গ্রীষ্মকালে শাম ও ইয়েমেন দেশ থেকে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করতেন-যা সূরা কুরায়শে বর্ণিত হয়েছে।
বড় বড় সম্পদশালী ব্যবসায়ী সাহাবিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, আবু বকর সিদ্দিক রা., উমর ইবনুল খাত্তাব রা. উসমান বিন আফফান রা., আব্দুর রহমান বিন আউফ, তালহা বিন উবাইদিল্লাহ, তালহা বিন যুবাইর, যুবাইর ইবনুল আওয়াম প্রমুখ সাহাবিগণ।
আমাদের পূর্বসূরি মহামতি ইমামগণও ব্যবসা করতেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, ইমাম আবু হানিফা রহ., ইমাম মালেক বিন আনাস রহ., ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহ., ইমাম আব্দুল্লাহ ইবনুল মোবারক রহ. প্রমুখ।
তৎকালীন জাহেলি যুগ থেকে আরবে ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রাণ কেন্দ্র ছিলে উকাজ, মিজান্না, যুল মাজায, বনু কাইনুকা প্রভৃতি। সেখানে সাহাবিগণ ব্যবসা-বাণিজ্য করাকে গুনাহের কারণ মনে করলে আল্লাহ তাআলা কুরআনের আয়াত নাজিল করে তাদের সেই সংকোচ উঠিয়ে নিয়ে সেগুলো ব্যবসা করতে উৎসাহ দিলেন। এ প্রসঙ্গে আয়াত নাজিল হল,
لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَن تَبْتَغُوا فَضْلًا مِّن رَّبِّكُمْ ۚ فَإِذَا أَفَضْتُم
“তোমাদের উপর তোমাদের পালনকর্তার অনুগ্রহ অন্বেষণ করায় কোন গুনাহ নেই।” (সূরা বাকারা: ১৯৮) এটা ছিল হজ্জের মৌসুমে। (সহিহ বুখারি-ইবনে আব্বাস রা. হতে বর্ণিত।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ব্যবসায় বরকতের জন্য দুআ করেছেন।
তাছাড়া প্রায় সকল হাদিস ও ফিকহ এর কিতাবে কিতাবুল বুয়ু বা বেচাকেনা অধ্যায় রয়েছে। যেখানে মুহাদ্দিসগণ এ সংক্রান্ত অনেক হাদিস উল্লেখ করেছেন এবং ফকীহগণ ইসলামের দৃষ্টিতে ব্যবসার বিভিন্ন দিক সবিস্তারে আলোচনা করেছেন। ‌
এখান থেকেই ইসলামে ব্যবসা-বাণিজ্যের গুরুত্ব সুস্পষ্টভাবে প্রতিভাত হয়।
যাহোক, ব্যবসায় সফলতা অর্জনের জন্য একজন ঈমানদার ব্যবসায়ীর মধ্যে কতিপয় গুণ-বৈশিষ্ট্য থাকা জরুরি। নিম্নে এ সংক্রান্ত ১৩টি পয়েন্ট উপস্থাপন করা হল:
১) ব্যবসা শেখা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করা:
ব্যবসা করতে শেখা এবং এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞা অর্জনের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য হয়ত কিছুটা সময় লাগবে। ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতার ঝুড়ি ভরতে হয়। তাই এক লাফে বড়লোক হওয়ার চিন্তা মাথা থেকে সরাতে হবে। অভিজ্ঞতা অর্জন করা ব্যতীত কখনোই সমস্ত মূলধন প্রাথমিক অবস্থায় বিনিয়োগ করা উচিৎ নয়। প্রাথমিকভাবে অল্প পরিসরে কাজ শুরু করতে হবে। তারপর যখন অভিজ্ঞতা বাড়তে থাকবে, তখন ধীরে ধীরে মূলধনের পরিমাণও বৃদ্ধি করতে হবে।
অনেকেরই সুন্দর সুন্দর বিজনেস আইডিয়া থাকে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা অর্জন ছাড়াই তারা বিশাল অংকের অর্থ ইনভেস্ট করে ফেলে। অবশেষে বড় ধরণের ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে নিজে মরে, পরিবারকেও মারে। যেমন কেউ ড্রাইভিং না শিখে গাড়িয়ে নিয়ে রাস্তায় বের হয়ে এক্সিডেন্ট করে নিজে মরে-অন্যকেও মারে। (আল্লাহ হেফাজত করুন। আমিন)
মোটকথা, ব্যবসার ক্ষেত্রে সুন্দর পরিকল্পনার পাশাপাশি ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়াদি সম্পর্কে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
২) পরিকল্পনা: নিজস্ব আর্থিক অবস্থা, ব্যবসার জন্য সঠিক স্থান নির্বাচন, জনবল ও মান সম্মত পণ্যের সহজলভ্যতা ইত্যাদি দিক বিবেচনা করে সুন্দরভাবে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা সাজাতে হবে। এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে, ব্যবসায়িক সফলতা বিষয়ে গবেষকদের লিখিত বই পড়া যেতে পারে, ইউটিউবে বিজনেস প্ল্যান, বিজনেস আইডিয়া, অ্যাডভার্টাইজমেন্ট, ব্যবসায় সফলতা সংক্রান্ত বিভিন্ন ভিডিও দেখা বা এ সংক্রান্ত কোন কর্মশালায় অংশ নেয়া যেতে পারে।
৩) সততা ও সত্যবাদিতা: সত্যবাদিতা তথা কথা-কাজে মিল রাখা প্রতিটি মুসলিমের জন্য আবশ্যিক গুণ তো বটেই তবে ব্যবসায় সাফল্যের ক্ষেত্রে তা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এটি ব্যসায়িকের প্রতি গ্রাহকের আস্থা এনে দেয়।
৪) আমানতদারিতা (বিশ্বস্ততা): আমানতদারিতা না থাকা মুনাফেকের আলামত। সুতরাং চোরাকারবারি, মুনাফাখোরি, মজুদদারি, কালোবাজারি, পণ্যে ভেজাল দেওয়া, ওজনে কারচুপি করা, নকল করা; ধোঁকা, প্রতারণা ও ঠকবাজির আশ্রয় নেওয়া, দামে হেরফের করা প্রভৃতি অসাধুতা ইত্যাদি একজন মুসলিম হিসেবে তো অবশ্যই পরিত্যাজ্য একজন সৎ ব্যবসায়ী হিসেবেও পরিত্যাজ্য।
সত্যবাদিতা ও বিশ্বস্ততা এ দুটি গুণ কেবল দুনিয়ায় সম্মান ও সফলতা অর্জনের কারণ নয় বরং আখিরাতেও বিশাল মর্যাদা লাভের কারণ। যেমন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, আবু সাঈদ খুদরি রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
التَّاجِرُ الصَّدُوقُ الأَمِينُ مع النَّبيِّينَ والصِّدِّيقِينَ والشُّهداءِ
“সত্যবাদী ও আমানতদার (বিশ্বস্ত) ব্যবসায়ী (আখিরাতে) নবী, সিদ্দিক এবং শহিদগণের সঙ্গে অবস্থান করবে।”
(জামে তিরমিযী: ৩/৫১৫ (১২০৯), সহিহ তারগিব-সহিহ লি গাইরিহ ১৭৮২)
সুবহানাল্লাহ! একজন সৎ ও বিশ্বস্ত ব্যবসায়ীর জন্য এর চেয়ে বড় মর্যাদার বিষয় আর কী হতে পারে!
৫) গ্রাহকের সাথে হাসিমুখে কথা ও সুন্দর আচরণ: হাদিসে হাসি মুখে কথা বলাকে সদকার সমপরিমাণ সওয়াব এবং সুন্দর আচরণকে জান্নাতে প্রবেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে যার আচরণ যত বেশি সুন্দর সবাই তাকে তত বেশি ভালোবাসে, সম্মান ও শ্রদ্ধা করে। দোকানের সেলস ম্যান যদি গ্রাহকদের সাথে হাসিমুখে কথা না বলে এবং ভদ্র ব্যবহার না করে তাহলে কেউ তার কাছে আসবে না।
৬) ধৈর্য ও কঠোর পরিশ্রম (অলসতাকে বিদায় জানানো)। বিল গেটস বলেন, “সাফল্যের জন্য কখনই দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন না। সাফল্যের একটি মূল উপাদান হল ধৈর্য।”
৭) ব্যবসায় উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও সৃজনশীলতা: ব্যবসায় এ দুটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসায় সফলতা পেতে সব সময় কিছু নতুনত্ব থাকা প্রয়োজন। যেমন: নতুন কালেকশন, বিশেষ ছাড়, হোম ডেলিভারি, ফ্রি সার্ভিস, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, অনলাইন ওয়ার্ডার ইত্যাদি। বিভিন্ন উপলক্ষে গ্রাহক আকৃষ্ট করার জন্য কিছু কৌশল প্রয়োগ করতে হবে। তাহলে তা গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।
৮) গ্রাহকদের উন্নতমানের সেবা ও তাদের সন্তুষ্টি অর্জন: গ্রহককে কোন কিছুর প্রতিশ্রুতি দিলে তা রক্ষা করা, পণ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে বা কোন কিছু খুঁজে পেতে ক্রেতাকে সাহায্য করা, তার কথা মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করা, তাকে কেয়ার করা ইত্যাদি ব্যবসায়িক সাফল্য এনে দিতে বিরাট সাহায্য করে।
৯) গ্রাহকদের সমালোচনাকে ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করা: গ্রাহকদের পক্ষ থেকে প্রাপ্ত সমালোচনা এবং খারাপ প্রতিক্রিয়াগুলোকে ইতিবাচক ভাবে গ্রহণ করে সেগুলোকে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের প্রভাবক হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।
১০) বাজারের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে যথাসময়ে যথোপযুক্ত পণ্য সরবরাহ করা: ব্যবসায়িক সাফল্যের জন্য বাজারের হালচাল বুঝে সঠিক সময়ে সঠিক মানের পণ্য বা সেবা সঠিক সময়ে ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেয়া অত্যন্ত জরুরি।
১১) মান সম্মত পণ্য (Best Products): মানুষের চাহিদার দিকে লক্ষ রেখে মান সম্মত পণ্য আমদানি করতে হবে। তবে অবশ্যই ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম কোন পণ্য ক্রয় বা বিক্রয় করা জায়েজ নাই।
১২) প্রতিযোগিতা মূলক মূল্যে পণ্য বিক্রয় করা: গ্রাহকদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে যথাসম্ভব প্রতিযোগিতা মূলক মূল্যে পণ্য বিক্রয় করার চেষ্টা করতে হবে।
১৩) দুআ: সর্বোপরি আল্লাহর নিকট হালাল রিজিক ও ব্যবসায়িক সাফল্যের জন্য দুআ করা জরুরি। কেননা ব্যবসায় সব সময় লাভ হবে এমনটা আশা করা ঠিক নয় বরং এখানে লোকসানের ঝুঁকিও আছে। সে মানসিক প্রস্তুতি রাখতে হবে।
আর মনে রাখতে হবে, আমাদের দেহে রূহ ফুঁকার আগেই মহান আল্লাহ আমাদের রিজিকের ফয়সালা করে রেখেছেন। কিন্তু আমাদের কর্তব্য, যথানিয়মে কাজ করা এবং প্রয়োজনীয় চেষ্টা ও পরিশ্রম করা। সফলতা দেয়ার মালিক মহান আল্লাহ। তিনি না দিলে আমরা শত চেষ্টা করেও একটা কানাকড়িও অর্জন করতে পারব না। এই বিশ্বাস মাথায় রেখেই আমাদেরকে কাজ করতে হবে।
আল্লাহ তাওফিক দান করুন। আমিন।
----------------------------------------
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (আল হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ)
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব

জাবি প্রফেসর ছেলে মেয়েদের মানুৃষ করে নিজের ঠাই বৃদ্ধাশ্রমে!!!

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সাবেক প্রফেসরের বড় মেয়ে আমেরিকা প্রবাসী, বড় ছেলে উইং কমান্ডার (অব.) ও ছোট ছেলে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। ছেলে-মেয়েদের মানুষ করে তার ঠাঁই হয়েছে বৃদ্ধাশ্রমে!!

.
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আব্দুল আউয়ালের তিন সন্তান। সবার বড় মেযের নাম রেজিনা ইয়াসিন। তিনি আমেরিকা প্রবাসী। বড় ছেলে ইফতেখার হাসান উইং কমান্ডার (অব.)। ছোট ছেলে রাকিব ইফতেখার হাসান অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। জীবনে এত কিছু থাকার পরও আজ তার দু’চোখে অন্ধকার। থাকেন আগারগাঁও প্রবীণ নিবাসে।

দীর্ঘ ১৭ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন সুনামের সঙ্গে। ২০০৬ সালে অবসর নেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. এম আব্দুল আউয়াল। অবসরের পর কিছুদিন ভালোই চলছিল তার।

আব্দুল আউয়াল বলেন, শিক্ষকতার আগে ১৯৬৫-১৯৮৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ এটমিক এনার্জিতে চাকরি করেছি। এরপর শিক্ষকতা। জীবনে অনেক টাকা-পয়সা উপার্জন করেছি। ২০০৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নিয়েছি। এরপর ছেলে-মেয়েরা আমার খোঁজখবর নেওয়া বন্ধ করে দেয়।

কল্যাণপুর হাউজিং এস্টেটে নিজের ফ্ল্যাট ছিল আব্দুল আউয়ালের। এছাড়া পল্লবীতেও বেশ কিছু জমি ছিল। কিন্তু এসব বড় ছেলে কৌশলে বিক্রি করে টাকা পয়সা নিজের অ্যাকাউন্টে জমা করেছেন, আক্ষেপ করেই বলেন প্রফেসর আউয়াল।

তিনি বলেন, ওরা আমাকে এতো কষ্ট দেয় কেন। আমাকে নিয়ে এতো ছলচাতুরি করে কেন? বলতে বলতে ডুকরে কেঁদে উঠেন প্রফেসর আউয়াল।

তিনি বলেন, চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর কিছু দিন বড় ছেলের সঙ্গেই থাকতাম। ছেলের সংসারে থাকার সময় জানতে পারি ছেলে ও বউয়ের মধ্যে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। একদিন বাসায় থাকা অবস্থায় বউয়ের মুখে গালি শুনে বাসা থেকে নেমে আসি। আর ফিরে যাইনি। ওরাও কেউ খোঁজ নেয়নি। ছোট ছেলে অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে আসে ২০১৪ সালে। এসে মিরপুর-১ নম্বরে একটি দোকানে আমার সঙ্গে দেখা করে কথা বলে। সেখানে গেলে আমাকে জানায় তার বিয়ে ঠিক হয়েছে। আমি ওর বাবা অথচ আমাকে জানালও না যে বিয়ে করতে যাচ্ছে। বিয়ে করে আবার চলে যাবে, একথা শুনে ছেলের বউকে দেখতে চাই। কিন্তু তার সাথে দেখা করা যাবে না বলে জানায় ছেলে। অথচ এই ছেলের পড়ালেখার জন্যও পেনশনের টাকা থেকে ২৬ লাখ পাঠিয়েছি। সেই ছেলেও আমাকে কোনো দিন ফোন করে না। মাঝে মাঝে ইমেইলে চিঠি লেখে।

ভেবে দেখুন অতি উচ্চ শিক্ষিত হতে গিয়ে আমরা দিন দিন আরও অমানুষ হয়ে যাচ্ছি। অথচ অনেক গরীব, মূর্খ আছে যারা বাবা মাকে নিয়েই একসাথে থাকে। তাহলে তারা কি আমাদের মতো মুখোশধারী শিক্ষিতের চেয়ে ভালো নয়? তাই উচ্চ শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিকতা ও মানুষ্যত্ব টা ও সবার শিক্ষাগ্রহন করা উচিৎ বলে মনে করি।

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের নিয়ে অশোভন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ড. আবু মূসা মোঃ আরিফ বিল্লাহ

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ  ঢাবিতে মাদ্রাসা থেকে পড়ে আসা শিক্ষার্থীদের নিয়ে অশোভন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফার্সি ডিপার্টমেন্টের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু মূসা মোঃ আরিফ বিল্লাহ। তিনি গতকাল ফেসবুকে পোস্ট করে এর প্রতিবাদ জানান-


"ইতিহাসের একজন অধ্যাপক মাদ্রাসার ছাত্রদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া প্রসঙ্গে কিছু হঠকারী অবিবেচনাপ্রসূত বক্তব্য দিয়েছেন। যা আমাকে বিস্মিত করেছে।

এই ধরনের বক্তব্য একমাত্র অর্ধ শিক্ষিত বা অশিক্ষিত লোকদের পক্ষেই সম্ভব। সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল থেকে জানা যায় । স্কুলের শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে এই অধ্যাপকের কোন ধারনাই নেই। কয়েকবছর আগে ঘ ইউনিটে 10% ছাত্রও ইংরেজিতে পাশ করতে পারেনি।

আমার মনে হয় এই ধরনের অধ্যাপকের বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে স্কুলে ইংরেজি পড়ানো উচিত। ওনার কথায় মনে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা মাদ্রাসায় পড়া লোকদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় ।

লক্ষ লক্ষ জিপিএ 5 গোল্ডেন 5 পাওয়া স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা কেন মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে প্রতিযোগিতায় হেরে যাচ্ছে তা খতিয়ে দেখার জন্য এই অধ্যাপককে আহ্বান জানাচ্ছি ।

আমি নিজেও একজন মাদ্রাসার ছাত্র। আমার মনে হয় আমাদের ইংরেজিতে বক্তৃতা প্রতিযোগিতা হওয়া প্রয়োজন। তাহলে আসল চিত্র ধরা পড়বে।

আমার মত আরও অনেকেই মাদ্রাসার ছাত্র আছেন যারা ইউরোপ আমেরিকা অস্ট্রেলিয়ার মত দেশের নামী দামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়ে এসেছেন।

আমি মাদ্রাসার ছাত্র হয়ে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি করেছি উনি কোন স্কুলে পিএইচডি করেছেন আমার জানা নেই।
আর সব শেষে বলি, এই ইতিহাসের শিক্ষকের জানা থাকার কথা মাদ্রাসার ছাত্ররাই এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রথম দিকের সিংহভাগ ছাত্রই ছিল মাদ্রাসার ছাত্র।

এঁরা আসলে মাদ্রাসা না বরং ইসলাম বিদ্বেষী।
এই মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশে এঁদের স্পর্ধা দেখে বিস্মিত হতে হয়। এদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে।

ড. আবু মূসা মোঃ আরিফ বিল্লাহ
সহযোগী অধ্যাপক
ফার্সি বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০২০

সময়ের পরিবর্তন......

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ যে পোস্ট অফিসে একটা মানি অর্ডার আসার জন্য তীর্থের কাকের মত জনতারা অপেক্ষা করত,সেটা আজ পরিত্যক্ত।

যেই ছেলে ১৩ টাকার বেনসন কিনে বন্ধু'দের সামনে অহংকারের ধোঁয়া ছাড়তো...সেই ছেলে এখন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মানুষের কাছে দোয়া চায়...!!

ন্যায্যমূল্যে ৫ কেজি মোটা চাল কেনার জন্য যেই লোক'টা কাঠফাটা রৌদ্রে ২০ জনের পিছনে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতো দুই-আড়াই ঘন্টা, আজ উনার বাড়ীর সামনে লোকজন লাইন ধরে বসে থাকে পেটভরে খেতে পাবে সেই আশায়...!!

মাসের ৫ তারিখের মধ্যে ভাড়া দিতে না পারলে,বাড়ী ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিতেন যেই হাজীসাহেব..উনি আজকে শ্বশুরবাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছেন ব্যাংক নিলামের শিকার হয়ে...!!

যে শিক্ষক ক্লাসের সবচেয়ে অপছন্দের ছেলেটা কে অমানুষ বলে প্রতিদিন অপমান করত সেই ছেলেটাই আজকে দায়িত্ব নিয়েছে শিক্ষকের সন্তানকে মানুষ বানানোর বৈশ্বিক চ্যালেন্জের...!!

এক সময়কার নামকরা বিউটি সোপ কসকো আজ হোটেলের টয়লেটে ব্যবহৃত হচ্ছে।

পূর্ব পুরুষ হতে প্রজন্ম প্রজন্ম ধরে যারা আপনার বাড়িতে কাজ করে পেটের জ্বালা মিটাত তাদের সন্তানেরা আজ আপনার বংশধরদের ভিটেছাড়া করতে চায়!!

সময় খুব'ই নির্মম,খুব'ই অমানবিক আবার মাঝে মাঝে খুব'ই রোমান্টিক! কখন কি উপহার নিয়ে দাঁড়িয়ে যাবে আপনার সামনে,আপনি টেরই পাবেন না...!!

সময় কখনোই স্থির নয়, সব-সময় আমার নয়, সারাজীবন আমার পক্ষেও নয় আবার বিপক্ষেও নয়! সুতরাং প্রতিশোধপরায়ন, হতাশ কিংবা আনন্দিত হবার কিছুই নাই,অহংকার কিংবা দাম্ভিকতারও কিছুই নাই...

চিরকাল কারো সমান নাহি যায়। এই কষ্টের সময়ও একদিন ফুরিয়ে যাবে......

সংগৃহীত :

রবিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২০

নগর অভিযানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নতুন পদক্ষেপ

আমাদের বাংলাদেশিউজ 24 ডেস্কঃ নগর অভিযানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নতুন পদক্ষেপ। চট্টগ্রাম সিটি করোরেমনের নবনিযুক্ত প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজএর উদ্যোগেএমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তিনি চার চাকার গাড়িতে না ঘুরে মটর সাইকেলে করে ঘুরার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এসি গাড়িতে কালো গ্লাসের ভিতর থেকে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রকৃত সমস্যা সঠিকভাবে বুঝা যায় না। তাই প্রশাসক নিজেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন; যাতে করে মানুষের সমস্যা নিজের চোখের সামনে কিছুটা হলেও সমাধান করতে পারেন;সেই চেষ্টা।
২৪ আগষ্ট হতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের নেতৃত্বে শুরু হচ্ছে ক্রাস প্রোগ্রাম। এই উদ্দেশ্যে প্রশাসক মহোদয় নতুন একটি মটর-বাইক ক্রয় করেছেন। 

নগর অভিযানে তিনি থাকবে একটি মটর-বাইকে এবং অন্য বাইকে থাকবে সিটিকরপোরেশনের ইঞ্জিনিয়ার/প্রকৌশলী; ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারগণ। যেই সড়ক দিয়ে প্রশাসক যাবেন সেই সড়কের ভাঙ্গা মেরামত, সড়কের রাইট মেরামত করবেন সাথে সাথে। যেখানে সমস্যা; সেখানেই সমাধান।
প্রশাসকের এই রকম উদ্যোগকে সচেতন মহলের জনগণ স্বাগত জানিয়েছে। পূবে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানা নাই। তবে বর্তমান নবনিযুক্ত প্রশাসক  খুব অল্প সময়ের মধ্যেই জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ ও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।

শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০২০

তাফসীর 'ফি যিলালিল কুরআন

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃ সাইয়্যিদ কুতুবকে জেলখানার মাঝে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়। এমনকি এখনো কেউ বলতে পারবে না, তাঁর কবর কোথায় অবস্থিত!!

যেদিন সাইয়্যেদ কুতুবকে হত্যা করা হলো, সেদিন মিশরের পথে পথে তাঁর রচিত তাফসীর 'ফি যিলালিল কুরআন' এর সাত অথবা আট হাজার সেট অর্থাৎ চৌষট্টি হাজার পুস্তক পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিলো।

রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণা করা হয়েছিল, যার কাছে সাইয়্যেদ কুতুবের গ্রন্থ পাওয়া যাবে, তাকে দশ বছর জেলে রাখা হবে। সাইয়্যেদ কুতুবের গ্রন্থগুলো জাদুর মতো। যে পাঠ করে, সেই তাঁর অনুসারী হয়ে যায়।

তার শাহাদাতের ঘটনা পত্র-পত্রিকা ও বিভিন্ন দেশের বেতারের সম্প্রচারিত হলে সবার মনে একটি প্রশ্ন উঁকি দিলো, এই ব্যক্তি কে? কেন তাকে ফাঁসি দেওয়া হলো?

সেই তাফসীর গ্রন্থটি কেমন যার কারণে তাকে ফাঁসি দেয়া হলো?

তখন বৈরুতের প্রকাশকেরা প্রকাশনা জগতে কোন খ্রিস্টান লোকসান খেলে তাকে বলতো আর তুমি যদি বাঁচতে চাও তাহলে সাইয়্যেদ কুতুবের 'ফি যিলালিল কুরআন' ছাপ। হ্যাঁ, যে বছর সাইয়েদ কুতুবকে ফাঁসি দেওয়া হলো সে বছরই তার তাফসীর গ্রন্থটির সাত সংস্করণ ছাপা হলো।

অথচ তাঁর জীবদ্দশায় মাত্র একবার ছাপানো হয়েছিল।

আর এখন তো অবস্থা এমন যে, পৃথিবীর এমন কোন প্রান্ত পাওয়া যাবেনা যেখানে সাইয়্যেদ কুতুবের এই তাফসীরগ্রন্থ গিয়ে পৌঁছে নি। এমন কোন ভাষাও পাওয়া যাবে না যে ভাষায় তা অনূদিত হয়নি।

[তাফসীরে সূরা তাওবা, শহীদ আব্দুল্লাহ আযযাম (রাহিমাহুল্লাহ), পৃষ্ঠা ২৮৪]

ফাঁসির আগের রাতে সায়্যিদ কুতুব (রাহিমাহুল্লাহ) কে কালিমা পড়ানোর জন্য জেলের ইমামকে পাঠানো হলো। জেলের ইমাম এসে সায়্যিদ কুতুবকে কালিমা পড়ানোর চেষ্টা করতে লাগলেন।

তাকে দেখে সায়্যিদ কুতুব জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কী জন্য এখানে এসেছেন?

ইমাম বললেন, আমি আপনাকে কালিমা পড়াতে এসেছি। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে আসামীকে কালিমা পড়ানো আমার দায়িত্ব।

সায়্যিদ কুতুব বললেন, এই দায়িত্ব আপনাকে কে দিয়েছে? ইমাম বললেন, সরকার দিয়েছে।
সায়্যিদ কুতুব বললেন, এর বিনিময়ে কি আপনি বেতন পান?

ইমাম বললেন, হ্যাঁ আমি সরকার থেকে বেতন-ভাতা পাই।

তখন সায়্যিদ কুতুব রহ.বললেন, কী আশ্চর্য! যেই কালিমা পড়ানোর কারণে আপনি বেতন-ভাতা পান, সেই কালিমার ব্যখ্যা মুসলিম উম্মাহকে জানানোর অপরাধেই আমাকে ফাঁসি দেয়া হচ্ছে!

"তোমার কালেমা তোমার রুটি যোগায়,
আর আমার কালেমা আমাকে ফাঁসিতে ঝুলায়!

হে আল্লাহ দয়া করে সাইয়্যেদ কতুব শহীদের(রা.) খিদমত কবুল করুন এবং ওনাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান হিসাবে কবুল করুন, আমীন।

কালেক্টেড

বৃহস্পতিবার, ২০ আগস্ট, ২০২০

অনুযোগ: শাহাদাত হোসাইন

 নীল কন্ঠ হইতাম যদি কথা নাহি কইতাম,

নীরবচারীর নীরবতায় সব যাতনা সইতাম।

এখন আমি বাকওয়ালা তাই,
এক আধটু কইবার চাই।।

তবে!!
হক কথাতে যত দোষ
না হকীদের অসন্তোষ।
বেশির নেশায় হারায় হুশ
মুদিরগণের চায় যে তুষ।।

আরে ভাই কইছিনে কেবল আমি ই ঠিক
বেবাক লোক ই আমার মত,
হারামি, ধমক আর নিন্দা আসুক যত।
করে না তার শীরটা নত।

হয়তো কভু সবার কাছে
হলেম নারে প্রিয়তম।
খোদার ধারে পাইগো যদি
উন্নত শীর মম।।
তাতেই আমার খুশির জোয়ার
যাক খুলে যাক বন্ধ দুয়ার।

আরে ও ভাই!
দোয়া মাগি প্রভুর তরে
দিবস, নিশিত, সন্ধ্যা- ভোরে
মরি যেন সত্য স্মরে।।

তাইতো!!
দৃপ্তকণ্ঠে কইবার চায় ...

হইবনারে নীলকণ্ঠ আর
সত্যের জয় হয় বারে বার।
কালাম পাকে এমন কথা
কইছেন গো ভাই মোর বিধাতা।।

এখন কেবল স্বপন দেখি...

এমন আজাদি লইয়া জীবন প্রদীপ হায়
নিবিয়া যাইবে মোর।
প্রতিটা হৃদয়ে উঠিবে জাগিয়া
সত্য সফেদ ভোর।
ছুটিয়া চলিবে সারাটি জনম
হোকনা এ মনজিল দূর বহুদূর।


রবিবার, ২ আগস্ট, ২০২০

কাতারে ৩য় ধাপের বিধিনিষেধ প্রত্যাহার

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃকাতার উপসাগরীয় একটি ছোট দেশ। তবে এভারেজ জিডিপির দিক দিয়ে এটি বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ। কাতারে কোভিড-19 পরিস্থিতি উন্নাত হওয়ায় ৩য় ধাপের বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
কাতারের রাজধানী দোহার অন্যতম পর্যটন এলাকা আল কার্নিশ সাগর পাড় খুলে দেয়া হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য।
ঈদুল আজহার ছুটিতে হাজারো স্থানীয় নাড়গরিক ও প্রবাসীদের আড্ডায় মুখরিত হয় এই এলাকা। দীর্ঘ  ৫ মাস পর কার্নিশ পাড়ে ঘুরতে পেরে বেশ খুশি প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তবে ছিলোনা সামাজিক দূরত্ব।
কোভিড-19’র মধ্যে সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষা করে ঈদের ছুটিতে কাতারের রাজধানী দোহার আল কার্নিশ সাগর পাড়ে হাজারো মানুষের ঢল।
এত লোকের সমাগম দেখে বোঝার উপায় নেই যে করোনার থাবায় কাতারে ১৭৭ জন প্রাল হারিয়েছেন, আক্রান্ত হয়েছেন ১১১,১০৭ জন মানুষ।
যদিও এরই মধ্যে ১ লাখ ৭ হাজারেরও বেশি মানুষ সুস্থ হয়েছেন কাতারে, করেনার ঝুঁকি থাকলেও দীঘদিন পরে ঘুরতে পারায় খুশি প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
কাতারে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা দীঘ ৫ মাস আমরা ঘরে বন্দি ছিলাম। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এ জন্য ভালো লাগছে।
কাতারে প্রায় ২৮ লাখ লোক বসবাস করে। এই েছোট দেশটিতে গড় অনুপাতে সবচেয়ে বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তবে উন্নতমানের চিকিৎসা ব্যবস্থার কারণে মৃত্যুর হার একবারে কম হয়েছে।

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী