বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার
সাহিত্য-সংস্কৃতি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সাহিত্য-সংস্কৃতি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ২০ জুলাই, ২০২১

কারো চিত্তরঞ্জন, কারো অসহায় মরণঃ মোহাম্মদ কফিল উদ্দীন

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 : কারো চিত্তরঞ্জন, কারো অসহায় মরণ  --------   মোহাম্মদ কফিল উদ্দীন  বাংলাদেশ নিউজ24 আমাদের

যাচ্ছে ছুটে যাচ্ছে গাড়ি
যাচ্ছে কনের শ্বশুর বাড়ি
সঙ্গে আছে রসের হাঁড়ি।
নেই জমিদারি, নেই তরী সওদাগরি
তবু দিতে হবে মহানন্দা পাড়ি,
হলে অন্যথা, মানসম্মান, সুখশান্তি
সবই হারাবে কনে বেচারি!
কনের বাবার নেই অর্থ কাঁড়ি কাঁড়ি
তবু যেতে হবে মৌসুমে ফলভর্তি গাড়ি,
রমজানে ইফতারি বাহারি।
আহা! উনুনে বাবার শূন্য হাঁড়ি
তবু ঈদে দিতে হবে জামা, লুঙ্গি, শাড়ি
হলে ব্যত্যয়, হবে বেজার শ্বশুর বাড়ি!
কান পাতলেই শোনা যায়,
ইথারে ইথারে ভেসে বেড়ায়
দায়গ্রস্ত শত পিতার আহাজারি।
পিতা ইব্রাহিম!
তোমার সন্তান, ভক্ত কুল, সহস্র অনুসারী
এভাবেই তো রেখেছে তোমার সুন্নত জারি!
নির্বোধ অবলা পশু আছে ঠাঁই দাঁড়িয়ে
সাথে লয়ে কফিন,
ভাবে অনুক্ষণ, ভাবে রাতদিন;
কারো চিত্তরঞ্জন আবার কারো
অসহায় মরণ, অসহায় আত্মসমর্পণ।

মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ, ২০২১

বেড়াইদের চালা গ্রাম : মোবারক হোসেন শ্যামল

 

বেড়াইদের চালা গ্রাম

আমার মনের মত নাম।
এই গ্রামে মোর দাদার ভিটা
বাবার জন্মস্হান।
এই গ্রামেতেই জন্ম আমার
ছেলেরও জন্ম ভুমি
এই গ্রামের নাম লিখে যাই
দুই ঠোটে যাই চুমি।
সবুজ ঘেরা গ্রামটি আমার
নিবির পরিপাটি
এই গ্রামেতে ফলায় ফসল
সোনায় মোড়া মাটি।
বেড়াইদের চালা গ্রাম
শান্তি অবিরাম
এই গ্রামেতে জন্ম যাদের
সবাই কে সালাম।
কত গুনী জন্ম নিলেন
ধন্য করে গ্রামের নাম
এই গ্রামেমেতেই জন্ম আমার
এই ভাবনায় সফলকাম।
ভালোবাসি এই গ্রাম আমার
গ্রামটা আরো গড়তে চাই
এই গ্রামেতেই হলাম বড়
এই গ্রামেতেই মরতে চাই।
আমার গ্রামে সবাই ভালো
মন্দ আমার নাই জানা
আমার গ্রামে সবার দাওয়াত
আসতে কারো নাই মানা।
ইদের খুশি সবার ঘরে
এই গ্রামেতে সব সময়
সবার হাতে হাত মিলিয়ে
গ্রামকে রাখি শান্তিময়।
তোমরা এসো আমার গ্রামে
বেড়াইদের চালা নামে
সবাই দেখো করবে আদর
সাদর স্ব সম্মানে।
৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ শ্যামল।

শুক্রবার, ১৯ মার্চ, ২০২১

হাসি -- রোকনুজ্জামান খান

 

হাসতে নাকি জানেনা কেউ

কে বলেছে ভাই?
এই শোন না কত হাসির
খবর বলে যাই।
খোকন হাসে ফোঁকলা দাঁতে
চাঁদ হাসে তার সাথে সাথে
কাজল বিলে শাপলা হাসে
হাসে সবুজ ঘাস।
খলসে মাছের হাসি দেখে
হাসে পাতিহাঁস।
টিয়ে হাসে, রাঙ্গা ঠোঁটে,
ফিঙ্গের মুখেও হাসি ফোটে
দোয়েল কোয়েল ময়না শ্যামা
হাসতে সবাই চায়
বোয়াল মাছের দেখলে হাসি
পিলে চমকে যায়।
এত হাসি দেখেও যারা
গোমড়া মুখে চায়,
তাদের দেখে পেঁচার মুখেও
কেবল হাসি পায়।

বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ, ২০২১

সু‌খের অ‌ভিনয়ঃ আব্দুল হান্নান চৌধুরী

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ
বুকের মাঝে কত কষ্ট চেপে ছে
যায়নাতো মুখে কিছু বলা,
জীবনের নিয়মে চলছে জীবন
থামেনা কভু তার পথ চলা।
সারা দিনমান হাটি লি ফিরি
মুখে সুখের মিছে হাসি,
ভিতরে ভিতরে জ্বলে পুড়ে ছাই
ছে বুকে ব্যাথা রাশি।
চাইতে পারিনা কারো কাছে
যায়না বলা কোনো কিছু,
ধৈর্য্য রে য়ে যাই সব
সংকট ছাড়েনা পিছু।
সারাদিন কত দৌড় ঝাপ লে
শুধু দুটো রোজগারের আশায়,
তবুও মাস শেষে বাকী ড়ে যায়
আপন হিসা খাতায়।
সুখ নামক পাখিটার পিছে
ছুটে লি মোরা সারাময়।
সুখ কভু কপালে জুটেনা
রে যাই শুধু সুখের ভিনয়।

রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

গোপন আমল: মল্লিক মাহমুদ

বন্ধু তোমার এমন কী কোনো
গোপন আমল আছে?
যা কিছু কখনো হয় নি প্রকাশ
কোনো মানুষের কাছে।
জানো শুধু তুমি এবং জানেন
তোমার মহান রব—
সবার সকল খবর জানাটা
যার কাছে সম্ভব।।
জীবনে কখনো করেছো কী তুমি
এমন সাদাকা-দান,
যা কেউ জানে না কেবল জানেন
আল্লাহু সুবহান।
যার করুণায় খেয়ে-পরে বাঁচে
এই পৃথিবীর সব।।
মধুময় কোনো গল্প আছে কী
হিসেবের সে খাতায়,
প্রভূর সামনে বলবে যা খুলে
জান্নাতী দরোজায়।
যার বিনিময়ে মর্যাদা বাড়ে
থাকে নাকো পরাভব।।
২৮।০৮।২০

বুধবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২১

জন্মদিনের শুভেচ্ছা —মল্লিক মাহমুদ .

 

জন্মদিনের ভালোবাসা মাখা

শুভেচ্ছা নিও প্রিয়,
সারাটি জীবন দ্বীনি ময়দানে
হয়ে থেকো সক্রিয়।
তুমি ছিলে এই আন্দোলনের
সংগ্রামী রাহাবার,
হৃদয়ের মাঠে ফাল্গুনী ফুল
হাসে তাই অনিবার।
স্নেহ-প্রেম দিয়ে আগলে রেখেছো
শত শত কর্মীকে,
আল কোরানের দৃপ্ত প্রদীপ
জ্বালিয়েছো দিকে দিকে।
ডায়েরি-রিপোর্ট কেনার জন্য
তোমার অফিসে গেলে,
হাসি ভরা মুখে কাছে টেনে নিতে
ইয়া বড় হাত মেলে।
পেটের ব্যাপারে কথা বললেই
দিয়ে দিতে পিঠে চড়,
বলতে,"এখন কাজ সেরে নিয়ে
বাড়ির রাস্তা ধর।
তোদের আমরা প্রশ্রয় দিয়ে
মাথায় নিয়েছি তুলে,
সংগঠনের নিয়মকানুন
সব গেলি তাই ভুলে।
কী কী নিবি সব দ্রুত ভাঁজ কর
কিছুই হবে না বাকি,
বাকি বাকি করে সবাই আমাকে
দিয়ে দেয় খালি ফাঁকি"।
সোনাঝরা এই খুনসুটিগুলো
ভুলবো না কোনোদিন,
সোনালী হরফে স্মৃতির খাতাতে
রবে চির অমলিন।
আজকের দিনে মন থেকে শুধু
এই দোয়া করে যাই,
আমরণ যেন আমরা তোমাকে
খুব কাছাকাছি পাই।
.
১৯।০১।২১

সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২০

ঘাইহরিণীর ডাক : রহমাতুল্লাহ খন্দকার

 

দ্বীপ জাজিরার কূলে সমুদ্র উঠেছে ফুলে, হয়েছে নতুন ক্যাম্প

এখানে সেখানে আশেপাশে কাছে বারুদের গন্ধ কোথা থেকে আসে
বনের বাতাসে কোথা থেকে ভাসে গোশ্তের সুঘ্রাণ
শিকড়ে শিকড়ে লোনাজল ঢোকে, মোড়ক লেগেছে বনে
সুন্দরী গাছেরা ক্রমে হতেছে উজাড়।
দুর্যোগ ঘনায়ে আসে-পাখিরা চলেছে ছেড়ে পৈতৃক নিবাস।
পদ্মায় চরের বালু হাহাকার ঢেউ তোলে একূল ওকূল ছেপে-
ওই পাড়ে কুঠিবাড়ি এ পাড়ে কাঁচারি কাঁদে কেঁপে।
যমুনার কূলে কূলে স্বপ্নের দুয়ার খুলে কূলহারা কৃষকেরা পেতেছে সংসার-
গহীন জঙ্গল থেকে হিংস্র পশু দলে দলে নষ্ট করে গেছে খেতের ফসল-
পাকাধান-কলার বাগান।

আকাশ করেছে কালো, দেয়া ডাকে ঘন, বজ্রের গর্জন,
ঠাটা পড়ে-ভয়ে সব অন্ধরে করেছে তন্ত্র-মন্ত্রের জপন
ঘনঘোর এই রাতে গুম হলে পিতা, মেয়েটি তাহার গিয়েছিল খোঁজে-
সারা দিন ভরা এই আধুনিক অন্ধকারে
সম্ভ্রম সে খোয়ায় শেষে শিকারীর খোশভোজে।

আহারে মায়ের কোলে ফেরিনি ছেলেটি কাল
আজ তার লাস ধরে বড়াল নদীর জাল।
ক্রসফায়ারে কতনা এমন সোনালি-রুপালি পাখি
বলি হয় রোজ হিজলের বনে, আমের বাগানে,
আষাঢ়ে বর্ষার জলে ভেসে যায় অসহায় কতনা কদম ফুল।
ঘুঘু পাখি দেখি না যে, দোয়েলেরা ডাকে নাকো কাঁঠালের ডালে।
শাল-তমালের বনে শিকারীরা আবার পেঁতেছে ফাঁদ-
বাঘের খাঁচায় বন্দি সেই ঘাই হরিণীর শাবকের করুণ ক্রোন্দন রোল
শোনা যায় থেকে থেকে এই ঘোর অমাবশ্যা রাতে
সেই ডাক শুনে দেখি আমার মাথার ওই ওপরে ওপরে
শকুনেরা ওড়াওড়ি করে-
আরো দূর বহু দূরে যায় না যে দেখা বেশি কবরের মাটি খুঁড়ে।

একদিন মানবিক প্রাতঃকাল নামে যদি কোনো এক নবপুর গ্রামে,
দোল পূর্ণিমায়, হ্রাস উৎসবের রাতে জমে যদি জারিসারি, কবিতা-আসর
ভবিতব্য ছেলেরা আমার অতীতের পৃষ্ঠা খুলে একা এক পড়ে নিয়ো
আমাদের দিনগুলি, ঘোরলাগা ভোর
তাদের জিজ্ঞাসাগুলো শঙ্খচিল, হাঁসের মতোন সেই দিন
ঢেউ তোলে যদি এই হাতিঝিল জলে-
এমন সে দানবের দেশে পিতৃপুরুষেরা কতকাল রয়ে গেলে
কাপুরুষ বেশে?

রাক্ষসের মতো ছিল না কি হাত তাদের, বজ্রের বিষ কি ছিল না চোখে?
তবে কেন ঘোর অমবস্যা রাতে নাগিনীরা ফেল গেল বিষাক্ত নিঃশ্বাস,
অন্ধকুল দেখে গেল বেশি হাজারো মনীষা গ্রামে?

রবো না হয় তো আমি সেই দিন কোনো এক জোছনার রাতে
তাদের আকাশে তারা
হাঁস হয়ে ঘাস হয়ে আমি আর ফিরবো নাকো জন্ম-জন্মান্তর
পৃথিবীর কোনো লোকালয়, নগন-বন্দরে
তখন তাদের প্রশ্নগুলো ঘনকালো অন্ধকারে ঘুরেঘুরে হবে দিশেহারা।
ইথার নদীর জলে কান পেতে শুনে নিয়ো ভবিতব্যের ছেলেরা সেই দিন-
সিংহশাবকেরা নীল ঘাই হয়ে দূর অতীতের কালে, সঘন সন্ধ্যায়
জীবনানন্দের ঘাই হরিণীর মতো কেন তবে ঘুরেঘুরে কেঁদেছিল
সকরুণ নিদারুণ এই ক্যাম্পে এসে।

ফররুখ দেখেছিলেন ‘তেরশো পঞ্চাশে’
মুখ গুঁজে পড়ে ছিল লাশ জমিনের পরে নিথর নিস্তব্ধ হিমে
পাশ দিয়ে চলে যেত সজ্জিত পিশাচ, নারী নর একাকার
আবারো কি এলো সেই সভ্যতা বর্বর
কোন আজাজিল কাটে জ্যান্ত মানুষের ধর
কোন সে দানব শয়তান
ধর্ষিতার খুনে করিতেছে স্নান
হে সভ্যতা!
হে জড় সভ্যতা!
আজো সেই একি অভিশাপ দাও-
ধ্বংস হও
তুমি ধংস হও।ঘাইহরিণীর ডাক
রহমাতুল্লাহ খন্দকার

দ্বীপ জাজিরার কূলে সমুদ্র উঠেছে ফুলে, হয়েছে নতুন ক্যাম্প
এখানে সেখানে আশেপাশে কাছে বারুদের গন্ধ কোথা থেকে আসে
বনের বাতাসে কোথা থেকে ভাসে গোশ্তের সুঘ্রাণ
শিকড়ে শিকড়ে লোনাজল ঢোকে, মোড়ক লেগেছে বনে
সুন্দরী গাছেরা ক্রমে হতেছে উজাড়।
দুর্যোগ ঘনায়ে আসে-পাখিরা চলেছে ছেড়ে পৈতৃক নিবাস।
পদ্মায় চরের বালু হাহাকার ঢেউ তোলে একূল ওকূল ছেপে-
ওই পাড়ে কুঠিবাড়ি এ পাড়ে কাঁচারি কাঁদে কেঁপে।
যমুনার কূলে কূলে স্বপ্নের দুয়ার খুলে কূলহারা কৃষকেরা পেতেছে সংসার-
গহীন জঙ্গল থেকে হিংস্র পশু দলে দলে নষ্ট করে গেছে খেতের ফসল-
পাকাধান-কলার বাগান।

আকাশ করেছে কালো, দেয়া ডাকে ঘন, বজ্রের গর্জন,
ঠাটা পড়ে-ভয়ে সব অন্ধরে করেছে তন্ত্র-মন্ত্রের জপন
ঘনঘোর এই রাতে গুম হলে পিতা, মেয়েটি তাহার গিয়েছিল খোঁজে-
সারা দিন ভরা এই আধুনিক অন্ধকারে
সম্ভ্রম সে খোয়ায় শেষে শিকারীর খোশভোজে।

আহারে মায়ের কোলে ফেরিনি ছেলেটি কাল
আজ তার লাস ধরে বড়াল নদীর জাল।
ক্রসফায়ারে কতনা এমন সোনালি-রুপালি পাখি
বলি হয় রোজ হিজলের বনে, আমের বাগানে,
আষাঢ়ে বর্ষার জলে ভেসে যায় অসহায় কতনা কদম ফুল।
ঘুঘু পাখি দেখি না যে, দোয়েলেরা ডাকে নাকো কাঁঠালের ডালে।
শাল-তমালের বনে শিকারীরা আবার পেঁতেছে ফাঁদ-
বাঘের খাঁচায় বন্দি সেই ঘাই হরিণীর শাবকের করুণ ক্রোন্দন রোল
শোনা যায় থেকে থেকে এই ঘোর অমাবশ্যা রাতে
সেই ডাক শুনে দেখি আমার মাথার ওই ওপরে ওপরে
শকুনেরা ওড়াওড়ি করে-
আরো দূর বহু দূরে যায় না যে দেখা বেশি কবরের মাটি খুঁড়ে।

একদিন মানবিক প্রাতঃকাল নামে যদি কোনো এক নবপুর গ্রামে,
দোল পূর্ণিমায়, হ্রাস উৎসবের রাতে জমে যদি জারিসারি, কবিতা-আসর
ভবিতব্য ছেলেরা আমার অতীতের পৃষ্ঠা খুলে একা এক পড়ে নিয়ো
আমাদের দিনগুলি, ঘোরলাগা ভোর
তাদের জিজ্ঞাসাগুলো শঙ্খচিল, হাঁসের মতোন সেই দিন
ঢেউ তোলে যদি এই হাতিঝিল জলে-
এমন সে দানবের দেশে পিতৃপুরুষেরা কতকাল রয়ে গেলে
কাপুরুষ বেশে?

রাক্ষসের মতো ছিল না কি হাত তাদের, বজ্রের বিষ কি ছিল না চোখে?
তবে কেন ঘোর অমবস্যা রাতে নাগিনীরা ফেল গেল বিষাক্ত নিঃশ্বাস,
অন্ধকুল দেখে গেল বেশি হাজারো মনীষা গ্রামে?

রবো না হয় তো আমি সেই দিন কোনো এক জোছনার রাতে
তাদের আকাশে তারা
হাঁস হয়ে ঘাস হয়ে আমি আর ফিরবো নাকো জন্ম-জন্মান্তর
পৃথিবীর কোনো লোকালয়, নগন-বন্দরে
তখন তাদের প্রশ্নগুলো ঘনকালো অন্ধকারে ঘুরেঘুরে হবে দিশেহারা।
ইথার নদীর জলে কান পেতে শুনে নিয়ো ভবিতব্যের ছেলেরা সেই দিন-
সিংহশাবকেরা নীল ঘাই হয়ে দূর অতীতের কালে, সঘন সন্ধ্যায়
জীবনানন্দের ঘাই হরিণীর মতো কেন তবে ঘুরেঘুরে কেঁদেছিল
সকরুণ নিদারুণ এই ক্যাম্পে এসে।

ফররুখ দেখেছিলেন ‘তেরশো পঞ্চাশে’
মুখ গুঁজে পড়ে ছিল লাশ জমিনের পরে নিথর নিস্তব্ধ হিমে
পাশ দিয়ে চলে যেত সজ্জিত পিশাচ, নারী নর একাকার
আবারো কি এলো সেই সভ্যতা বর্বর
কোন আজাজিল কাটে জ্যান্ত মানুষের ধর
কোন সে দানব শয়তান
ধর্ষিতার খুনে করিতেছে স্নান
হে সভ্যতা!
হে জড় সভ্যতা!
আজো সেই একি অভিশাপ দাও-
ধ্বংস হও
তুমি ধংস হও।

বৃহস্পতিবার, ২০ আগস্ট, ২০২০

অনুযোগ: শাহাদাত হোসাইন

 নীল কন্ঠ হইতাম যদি কথা নাহি কইতাম,

নীরবচারীর নীরবতায় সব যাতনা সইতাম।

এখন আমি বাকওয়ালা তাই,
এক আধটু কইবার চাই।।

তবে!!
হক কথাতে যত দোষ
না হকীদের অসন্তোষ।
বেশির নেশায় হারায় হুশ
মুদিরগণের চায় যে তুষ।।

আরে ভাই কইছিনে কেবল আমি ই ঠিক
বেবাক লোক ই আমার মত,
হারামি, ধমক আর নিন্দা আসুক যত।
করে না তার শীরটা নত।

হয়তো কভু সবার কাছে
হলেম নারে প্রিয়তম।
খোদার ধারে পাইগো যদি
উন্নত শীর মম।।
তাতেই আমার খুশির জোয়ার
যাক খুলে যাক বন্ধ দুয়ার।

আরে ও ভাই!
দোয়া মাগি প্রভুর তরে
দিবস, নিশিত, সন্ধ্যা- ভোরে
মরি যেন সত্য স্মরে।।

তাইতো!!
দৃপ্তকণ্ঠে কইবার চায় ...

হইবনারে নীলকণ্ঠ আর
সত্যের জয় হয় বারে বার।
কালাম পাকে এমন কথা
কইছেন গো ভাই মোর বিধাতা।।

এখন কেবল স্বপন দেখি...

এমন আজাদি লইয়া জীবন প্রদীপ হায়
নিবিয়া যাইবে মোর।
প্রতিটা হৃদয়ে উঠিবে জাগিয়া
সত্য সফেদ ভোর।
ছুটিয়া চলিবে সারাটি জনম
হোকনা এ মনজিল দূর বহুদূর।


About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী