বিজ্ঞাপন দিন
মঙ্গলবার, ২০ জুলাই, ২০২১
কারো চিত্তরঞ্জন, কারো অসহায় মরণঃ মোহাম্মদ কফিল উদ্দীন
মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ, ২০২১
বেড়াইদের চালা গ্রাম : মোবারক হোসেন শ্যামল
বেড়াইদের চালা গ্রাম
শুক্রবার, ১৯ মার্চ, ২০২১
হাসি -- রোকনুজ্জামান খান
হাসতে নাকি জানেনা কেউ
বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ, ২০২১
সুখের অভিনয়ঃ আব্দুল হান্নান চৌধুরী
বুকের মাঝে কত কষ্ট চেপে আছে
যায়নাতো মুখে কিছু বলা,
থামেনা কভু তার পথ চলা।
সারা দিনমান হাটি চলি ফিরি
মুখে সুখের মিছে হাসি,
আছে বুকে ব্যাথা রাশি।
চাইতে পারিনা কারো কাছে
যায়না বলা কোনো কিছু,
সংকট ছাড়েনা পিছু।
সারাদিন কত দৌড় ঝাপ চলে
শুধু দুটো রোজগারের আশায়,
আপন হিসাব খাতায়।
সুখ নামক পাখিটার পিছে
ছুটে চলি মোরা সারাময়।
সুখ কভু কপালে জুটেনা
করে যাই শুধু সুখের অভিনয়।
রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
গোপন আমল: মল্লিক মাহমুদ
বুধবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২১
জন্মদিনের শুভেচ্ছা —মল্লিক মাহমুদ .
জন্মদিনের ভালোবাসা মাখা
সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২০
ঘাইহরিণীর ডাক : রহমাতুল্লাহ খন্দকার
দ্বীপ জাজিরার কূলে সমুদ্র উঠেছে ফুলে, হয়েছে নতুন ক্যাম্প
এখানে সেখানে আশেপাশে কাছে বারুদের গন্ধ কোথা থেকে আসে
বনের বাতাসে কোথা থেকে ভাসে গোশ্তের সুঘ্রাণ
শিকড়ে শিকড়ে লোনাজল ঢোকে, মোড়ক লেগেছে বনে
সুন্দরী গাছেরা ক্রমে হতেছে উজাড়।
দুর্যোগ ঘনায়ে আসে-পাখিরা চলেছে ছেড়ে পৈতৃক নিবাস।
পদ্মায় চরের বালু হাহাকার ঢেউ তোলে একূল ওকূল ছেপে-
ওই পাড়ে কুঠিবাড়ি এ পাড়ে কাঁচারি কাঁদে কেঁপে।
যমুনার কূলে কূলে স্বপ্নের দুয়ার খুলে কূলহারা কৃষকেরা পেতেছে সংসার-
গহীন জঙ্গল থেকে হিংস্র পশু দলে দলে নষ্ট করে গেছে খেতের ফসল-
পাকাধান-কলার বাগান।
আকাশ করেছে কালো, দেয়া ডাকে ঘন, বজ্রের গর্জন,
ঠাটা পড়ে-ভয়ে সব অন্ধরে করেছে তন্ত্র-মন্ত্রের জপন
ঘনঘোর এই রাতে গুম হলে পিতা, মেয়েটি তাহার গিয়েছিল খোঁজে-
সারা দিন ভরা এই আধুনিক অন্ধকারে
সম্ভ্রম সে খোয়ায় শেষে শিকারীর খোশভোজে।
আহারে মায়ের কোলে ফেরিনি ছেলেটি কাল
আজ তার লাস ধরে বড়াল নদীর জাল।
ক্রসফায়ারে কতনা এমন সোনালি-রুপালি পাখি
বলি হয় রোজ হিজলের বনে, আমের বাগানে,
আষাঢ়ে বর্ষার জলে ভেসে যায় অসহায় কতনা কদম ফুল।
ঘুঘু পাখি দেখি না যে, দোয়েলেরা ডাকে নাকো কাঁঠালের ডালে।
শাল-তমালের বনে শিকারীরা আবার পেঁতেছে ফাঁদ-
বাঘের খাঁচায় বন্দি সেই ঘাই হরিণীর শাবকের করুণ ক্রোন্দন রোল
শোনা যায় থেকে থেকে এই ঘোর অমাবশ্যা রাতে
সেই ডাক শুনে দেখি আমার মাথার ওই ওপরে ওপরে
শকুনেরা ওড়াওড়ি করে-
আরো দূর বহু দূরে যায় না যে দেখা বেশি কবরের মাটি খুঁড়ে।
একদিন মানবিক প্রাতঃকাল নামে যদি কোনো এক নবপুর গ্রামে,
দোল পূর্ণিমায়, হ্রাস উৎসবের রাতে জমে যদি জারিসারি, কবিতা-আসর
ভবিতব্য ছেলেরা আমার অতীতের পৃষ্ঠা খুলে একা এক পড়ে নিয়ো
আমাদের দিনগুলি, ঘোরলাগা ভোর
তাদের জিজ্ঞাসাগুলো শঙ্খচিল, হাঁসের মতোন সেই দিন
ঢেউ তোলে যদি এই হাতিঝিল জলে-
এমন সে দানবের দেশে পিতৃপুরুষেরা কতকাল রয়ে গেলে
কাপুরুষ বেশে?
রাক্ষসের মতো ছিল না কি হাত তাদের, বজ্রের বিষ কি ছিল না চোখে?
তবে কেন ঘোর অমবস্যা রাতে নাগিনীরা ফেল গেল বিষাক্ত নিঃশ্বাস,
অন্ধকুল দেখে গেল বেশি হাজারো মনীষা গ্রামে?
রবো না হয় তো আমি সেই দিন কোনো এক জোছনার রাতে
তাদের আকাশে তারা
হাঁস হয়ে ঘাস হয়ে আমি আর ফিরবো নাকো জন্ম-জন্মান্তর
পৃথিবীর কোনো লোকালয়, নগন-বন্দরে
তখন তাদের প্রশ্নগুলো ঘনকালো অন্ধকারে ঘুরেঘুরে হবে দিশেহারা।
ইথার নদীর জলে কান পেতে শুনে নিয়ো ভবিতব্যের ছেলেরা সেই দিন-
সিংহশাবকেরা নীল ঘাই হয়ে দূর অতীতের কালে, সঘন সন্ধ্যায়
জীবনানন্দের ঘাই হরিণীর মতো কেন তবে ঘুরেঘুরে কেঁদেছিল
সকরুণ নিদারুণ এই ক্যাম্পে এসে।
ফররুখ দেখেছিলেন ‘তেরশো পঞ্চাশে’
মুখ গুঁজে পড়ে ছিল লাশ জমিনের পরে নিথর নিস্তব্ধ হিমে
পাশ দিয়ে চলে যেত সজ্জিত পিশাচ, নারী নর একাকার
আবারো কি এলো সেই সভ্যতা বর্বর
কোন আজাজিল কাটে জ্যান্ত মানুষের ধর
কোন সে দানব শয়তান
ধর্ষিতার খুনে করিতেছে স্নান
হে সভ্যতা!
হে জড় সভ্যতা!
আজো সেই একি অভিশাপ দাও-
ধ্বংস হও
তুমি ধংস হও।ঘাইহরিণীর ডাক
রহমাতুল্লাহ খন্দকার
দ্বীপ জাজিরার কূলে সমুদ্র উঠেছে ফুলে, হয়েছে নতুন ক্যাম্প
এখানে সেখানে আশেপাশে কাছে বারুদের গন্ধ কোথা থেকে আসে
বনের বাতাসে কোথা থেকে ভাসে গোশ্তের সুঘ্রাণ
শিকড়ে শিকড়ে লোনাজল ঢোকে, মোড়ক লেগেছে বনে
সুন্দরী গাছেরা ক্রমে হতেছে উজাড়।
দুর্যোগ ঘনায়ে আসে-পাখিরা চলেছে ছেড়ে পৈতৃক নিবাস।
পদ্মায় চরের বালু হাহাকার ঢেউ তোলে একূল ওকূল ছেপে-
ওই পাড়ে কুঠিবাড়ি এ পাড়ে কাঁচারি কাঁদে কেঁপে।
যমুনার কূলে কূলে স্বপ্নের দুয়ার খুলে কূলহারা কৃষকেরা পেতেছে সংসার-
গহীন জঙ্গল থেকে হিংস্র পশু দলে দলে নষ্ট করে গেছে খেতের ফসল-
পাকাধান-কলার বাগান।
আকাশ করেছে কালো, দেয়া ডাকে ঘন, বজ্রের গর্জন,
ঠাটা পড়ে-ভয়ে সব অন্ধরে করেছে তন্ত্র-মন্ত্রের জপন
ঘনঘোর এই রাতে গুম হলে পিতা, মেয়েটি তাহার গিয়েছিল খোঁজে-
সারা দিন ভরা এই আধুনিক অন্ধকারে
সম্ভ্রম সে খোয়ায় শেষে শিকারীর খোশভোজে।
আহারে মায়ের কোলে ফেরিনি ছেলেটি কাল
আজ তার লাস ধরে বড়াল নদীর জাল।
ক্রসফায়ারে কতনা এমন সোনালি-রুপালি পাখি
বলি হয় রোজ হিজলের বনে, আমের বাগানে,
আষাঢ়ে বর্ষার জলে ভেসে যায় অসহায় কতনা কদম ফুল।
ঘুঘু পাখি দেখি না যে, দোয়েলেরা ডাকে নাকো কাঁঠালের ডালে।
শাল-তমালের বনে শিকারীরা আবার পেঁতেছে ফাঁদ-
বাঘের খাঁচায় বন্দি সেই ঘাই হরিণীর শাবকের করুণ ক্রোন্দন রোল
শোনা যায় থেকে থেকে এই ঘোর অমাবশ্যা রাতে
সেই ডাক শুনে দেখি আমার মাথার ওই ওপরে ওপরে
শকুনেরা ওড়াওড়ি করে-
আরো দূর বহু দূরে যায় না যে দেখা বেশি কবরের মাটি খুঁড়ে।
একদিন মানবিক প্রাতঃকাল নামে যদি কোনো এক নবপুর গ্রামে,
দোল পূর্ণিমায়, হ্রাস উৎসবের রাতে জমে যদি জারিসারি, কবিতা-আসর
ভবিতব্য ছেলেরা আমার অতীতের পৃষ্ঠা খুলে একা এক পড়ে নিয়ো
আমাদের দিনগুলি, ঘোরলাগা ভোর
তাদের জিজ্ঞাসাগুলো শঙ্খচিল, হাঁসের মতোন সেই দিন
ঢেউ তোলে যদি এই হাতিঝিল জলে-
এমন সে দানবের দেশে পিতৃপুরুষেরা কতকাল রয়ে গেলে
কাপুরুষ বেশে?
রাক্ষসের মতো ছিল না কি হাত তাদের, বজ্রের বিষ কি ছিল না চোখে?
তবে কেন ঘোর অমবস্যা রাতে নাগিনীরা ফেল গেল বিষাক্ত নিঃশ্বাস,
অন্ধকুল দেখে গেল বেশি হাজারো মনীষা গ্রামে?
রবো না হয় তো আমি সেই দিন কোনো এক জোছনার রাতে
তাদের আকাশে তারা
হাঁস হয়ে ঘাস হয়ে আমি আর ফিরবো নাকো জন্ম-জন্মান্তর
পৃথিবীর কোনো লোকালয়, নগন-বন্দরে
তখন তাদের প্রশ্নগুলো ঘনকালো অন্ধকারে ঘুরেঘুরে হবে দিশেহারা।
ইথার নদীর জলে কান পেতে শুনে নিয়ো ভবিতব্যের ছেলেরা সেই দিন-
সিংহশাবকেরা নীল ঘাই হয়ে দূর অতীতের কালে, সঘন সন্ধ্যায়
জীবনানন্দের ঘাই হরিণীর মতো কেন তবে ঘুরেঘুরে কেঁদেছিল
সকরুণ নিদারুণ এই ক্যাম্পে এসে।
ফররুখ দেখেছিলেন ‘তেরশো পঞ্চাশে’
মুখ গুঁজে পড়ে ছিল লাশ জমিনের পরে নিথর নিস্তব্ধ হিমে
পাশ দিয়ে চলে যেত সজ্জিত পিশাচ, নারী নর একাকার
আবারো কি এলো সেই সভ্যতা বর্বর
কোন আজাজিল কাটে জ্যান্ত মানুষের ধর
কোন সে দানব শয়তান
ধর্ষিতার খুনে করিতেছে স্নান
হে সভ্যতা!
হে জড় সভ্যতা!
আজো সেই একি অভিশাপ দাও-
ধ্বংস হও
তুমি ধংস হও।
বৃহস্পতিবার, ২০ আগস্ট, ২০২০
অনুযোগ: শাহাদাত হোসাইন
নীরবচারীর নীরবতায় সব যাতনা সইতাম।
এখন আমি বাকওয়ালা তাই,
এক আধটু কইবার চাই।।
তবে!!
হক কথাতে যত দোষ
না হকীদের অসন্তোষ।
বেশির নেশায় হারায় হুশ
মুদিরগণের চায় যে তুষ।।
আরে ভাই কইছিনে কেবল আমি ই ঠিক
বেবাক লোক ই আমার মত,
হারামি, ধমক আর নিন্দা আসুক যত।
করে না তার শীরটা নত।
হয়তো কভু সবার কাছে
হলেম নারে প্রিয়তম।
খোদার ধারে পাইগো যদি
উন্নত শীর মম।।
তাতেই আমার খুশির জোয়ার
যাক খুলে যাক বন্ধ দুয়ার।
আরে ও ভাই!
দোয়া মাগি প্রভুর তরে
দিবস, নিশিত, সন্ধ্যা- ভোরে
মরি যেন সত্য স্মরে।।
তাইতো!!
দৃপ্তকণ্ঠে কইবার চায় ...
হইবনারে নীলকণ্ঠ আর
সত্যের জয় হয় বারে বার।
কালাম পাকে এমন কথা
কইছেন গো ভাই মোর বিধাতা।।
এখন কেবল স্বপন দেখি...
এমন আজাদি লইয়া জীবন প্রদীপ হায়
নিবিয়া যাইবে মোর।
প্রতিটা হৃদয়ে উঠিবে জাগিয়া
সত্য সফেদ ভোর।
ছুটিয়া চলিবে সারাটি জনম
হোকনা এ মনজিল দূর বহুদূর।
About
ব্লগ সংরক্ষাণাগার
-
▼
2021
(51)
-
▼
জুলাই
(7)
- আল্লাহই ধনী এবং তোমরা সবাই ফকির
- কারো চিত্তরঞ্জন, কারো অসহায় মরণঃ মোহাম্মদ কফিল উদ্দীন
- পবিত্র আল কুরানের ৮১টি উপদেশ মূলক বাণী
- চট্টগ্রামে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ করে দি...
- বরিশাল বিভাগের কিছু গুরুত্বপূর্ন তথ্য
- জিলহাজ মাসের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ আমল
- চট্টগ্রামে মেয়ের পিতার বাড়ি থেকে জামাই এর বাড়িতে ...
- ► ফেব্রুয়ারী (7)
-
▼
জুলাই
(7)
-
►
2018
(55)
- ► ফেব্রুয়ারী (1)
-
►
2016
(107)
- ► সেপ্টেম্বর (22)
আমার ব্লগ তালিকা
-
মহানগরী জামায়াতের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামবাসীকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা - [image: বাংলাদেশ বার্তা: মহানগরী জামায়াতের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামবাসীকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা বার্তা বাংলাদেশ] বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ জামায়াত...৩ বছর আগে
-
পবিত্র ঈদ-উল-আযহা’র শুভেচ্ছা. - [image: বাংলাদেশ বার্তা: বিত্র ঈদ-উল-আযহা’র শুভেচ্ছা. বার্তা বাংলাদেশ] বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ প্রতিবছর ঈদ আসে আমাদের জীবনে আনন্দ আর সীমাহীন প্রেম প্রীতি...৩ বছর আগে