বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

সোমবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

প্রতিটি অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করে টিআইবি

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ১৯ জন নিহত এবং আরো অনেকের আহত হওয়া, বলপ্রয়োগসহ আচরণবিধি লঙ্ঘণের অভিযোগ উত্থাপনের ফলে নির্বাচন ও তার ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এছাড়া রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ লঙ্ঘনের সব অভিযোগ গণমাধ্যমসূত্রে জানা গেছে তার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে সংস্থাটি।
সোমবার এক বিবৃতিতে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন,একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহিংসতা ও বলপ্রয়োগসহ নির্বাচনী আচরণবিধির বহুমুখী লঙ্ঘনের যেসব অভিযোগের কারণে নির্বাচন ও তার ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, তার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের ওপর ভিত্তি করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা শুরু থেকেই সব পক্ষের জন্য সমান প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে এসেছি। কিন্তু দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে একটি প্রতিদ্বন্দ¦ী জোটের প্রার্থী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা, হামলা ও নির্যাতনের সংবাদ প্রচারিত হয়েছে, যা গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত। এমনকি নির্বাচনের আগের রাতে এবং নির্বাচনের দিনও এমন হয়রানি চলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি দেশের জনগণের আস্থাহীনতা সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
ড. জামান বলেন, একটি জোটের পোলিং এজেন্টরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভোটকেন্দ্রে আসতে না পারার অভিযোগের বিষয়টি যেভাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন তা একদিকে যেমন বিব্রতকর, অন্যদিকে তাঁর নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন তার সাংবিধানিক দায়িত্ব কার্যকরভাবে পালন করতে পেরেছে কিনা সে উদ্বেগ আরো ঘনীভূত করেছে।
ড. জামান বলছেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ লঙ্ঘন করে বিরতির নামে ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখার মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে খোদ রাজধানীতেই। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে যেভাবে সচিত্র প্রতিবেদন আকারে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে তাকে অপপ্রচার বলে উড়িয়ে দেয়ার সুযোগ নেই। এছাড়াও ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার আগেই ব্যালট পেপার ভর্তি বাক্স নিয়ে বেরিয়ে যাওয়া, বহু ভোটার ভোট দেয়ার আগেই ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যাওয়া, প্রার্থীকে ভোট কেন্দ্রে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা ইত্যাদি ঘটনার প্রতিটির সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করে টিআইবি।
ড. জামান বলছেন, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক তদন্ত করে এসব ক্ষেত্রে তাঁদের ব্যর্থতা নিরূপণ করা এবং তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা অপরিহার্য। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে আস্থার সংকটের প্রেক্ষিতে কমিশনের গৃহিত পদক্ষেপের পাশাপাশি সরকারের প্রতি আমাদের জোরালো আহ্বান থাকবে, এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের উদ্যোগ নিন। যে অভূতপূর্ব নির্বাচনের মাধ্যমে সৃষ্ট অভূতপূর্ব ফলাফলের উপর ভিত্তি করে নতুন সরকার গঠিত হবে তার আত্মবিশ^াস, মর্যাদা, আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করার স্বার্থেই এই তদন্ত অবশ্যকরণীয় বলে মন্তব্য করেন টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক।

শনিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮

নির্বাচনের বিরুদ্ধে ১৫ আন্তর্জাতিক সংগঠনের বিবৃতি

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক দিন আগেনিয়ন্ত্রণমূলক নির্বাচনী পরিবেশনিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে নির্বাচন মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা ১৫টি আন্তর্জাতিক সংগঠন
আজ শনিবার ব্যাংককভিত্তিক এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস (অ্যানফ্রেল) এই বিবৃতি পাঠায়। ১৫টি সংগঠনের মধ্যে অ্যানফ্রেলও আছে। বাংলাদেশের অগণতান্ত্রিক নির্বাচনী পরিবেশের বিরুদ্ধে শিরোনামে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে
বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ সরকার দেশের সুশীল সমাজ, বিরোধী দল গণমাধ্যমের খড়গহস্ত হয়েছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, ১০ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচার শুরু হওয়ার পর বিরোধীদের গাড়িবহরে ৩০ বার হামলা হয়েছে। ১৫৯টি আসনে ২০৭টি সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৪৩ প্রার্থী হামলার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ১৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এযাবৎ বিরোধী দলের ১৭ প্রার্থী আটক হয়েছেন। নির্বাচনী সহিংসতায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন হাজার ৬৮২ জন
এসব সহিংসতা বাংলাদেশের ভোটারদের মনে ভীতি সঞ্চারের একটি প্রক্রিয়া। কারণে নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে
আওয়ামী লীগ নির্বাচনী সহিংসতায় এযাবৎ নিহত ছয়জনকে তাদের কর্মী বলে জানিয়েছে। তবে এই মানবাধিকার সংগঠনের বিবৃতিতে নিহত ব্যক্তিরা কোন দলের, তা উল্লেখ করা হয়নি
বিবৃতিতে বিরোধী দলগুলোর সূত্র উদ্ধৃত করে বলা হয়, গত নভেম্বর থেকে পুলিশ এযাবৎ তাদের ২১ হাজার কর্মী সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, নির্বাচনী তফসিলের পর দেশে ব্যাপক হারে গায়েবি মামলার সংখ্যা বেড়ে গেছে। বিরোধী জোটের নেতা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার . জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলার প্রসঙ্গও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক বলেন, এসব সংগঠন সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। গণজোয়ারটাকে তারা ভয়ভীতি বলে মনে করছে। আমি নির্বাচনী এলাকায় আছি। এখানে বিরোধী কোনো নেতা-কর্মী আটকের ঘটনা ঘটেনি। ভীতির কোনো পরিবেশ নেই।
বিবৃতিতে বলা হয়, শুধু প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেই একটি নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয় না; নির্বাচনী পরিবেশের ওপরই বহুলাংশে নির্ভর করে সুষ্ঠু নির্বাচন। নির্বাচনের আগে সুশীল সমাজের সংগঠনগুলো এবং গণমাধ্যম নানা বিধিনিষেধের মুখে পড়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়
সংগঠনগুলোর এই বিবৃতি নিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার গনমাধ্যমকে বলেন, ভয়ের পরিবেশ যে আছে, নিয়ে দ্বিমতের সুযোগ নেই। মানুষের মধ্যে এমন একটি ধারণার সৃষ্টি হয়েছে যে সরকার আবার ক্ষমতায় আসছে। হামলা-মামলা, গ্রেপ্তার নির্যাতনের ঘটনার মধ্য দিয়ে এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
জানতে চাইলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সারা দেশে ভয়ের পরিবেশ বিরাজ করছে। সরকার নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন করতে চায়। বিদেশি পর্যবেক্ষকেরা যেন এটা তুলে ধরতে না পারেন, সে জন্য অনুমতি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ যথার্থ
সৌজন্যেঃ এরাবিয়ান জার্নাল

শুক্রবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

নির্বাচনের দিন ব্যাপক সহিংসতার আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রের !

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃ বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বরে ভোটের দিন ব্যাপক সহিংসতার আশঙ্কা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
আর্ল রবার্ট মিলার আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল-সমাবেশে সবার অধিকার থাকবে।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে। সবার জন্য সমান অধিকার থাকবে। সভা-সমাবেশ, মিছিল, মিটিংয়ে সবার অধিকার থাকবে।
রবার্ট মিলার বলেন, এখন পর্যন্ত যে সহিংসতা হয়েছে তাতে তারা উদ্বিগ্ন। ভোটের দিন অধিক মাত্রায় সহিংসতার আশঙ্কা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য ব্যবস্থা নিতে ইসির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
রবার্ট মিলার বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আমরা বলেছি যুক্তরাষ্ট্র গত দুই সপ্তাহের নির্বাচনী সংহিসতা নিয়ে অবগত আছে। বড় বড় নেতারাসহ সংখ্যালঘুরা সহিংসতায় আক্রান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, অধিকাংশ বড় নেতারাই বিরোধী দলের। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য সহিংসতা প্রতিরোধে নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা কী জানতে এসেছিলাম। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মানুষের কাছে আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক দেখতে চায়।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতিসংঘের (ইউএন) মহাসচিব একটা বিবৃতি দিয়েছেন। সেই দাবি আমাদেরও। তিনি বলেছেন- নির্বাচনের আগে ও পরে সকল অংশীজনের কাছে তিনি সহিংসতামুক্ত শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশ নিশ্চিত করতে বলেছেন। যেন সংখ্যালঘুসহ সকল বাংলাদেশি ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারে। সুশীল সমাজ, পর্যবেক্ষকরা যেন সম্পূর্ণভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।
এরআগে বিকাল ৪টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এ বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে সিইসি ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন ও কবিতা খানম, নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ আটজন উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতসহ চারজন ছিলেন বৈঠকে।

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী