বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার
বিবৃতি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বিবৃতি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই, ২০২১

বরিশাল বিভাগের কিছু গুরুত্বপূর্ন তথ্য

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24: বরিশাল বিভাগের কিছু গুরুত্বপূর্ন তথ্য নিউজ24 আমাদের বাংলাদেশ
আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃ  বরিশাল বিভাগের কিছু গুরুত্বপূর্ন তথ্যঃ

★যদি বলা হয় বাংলার রানী বলা হয়কাকে???
উত্তরঃ বরিশাল
★বরিশাল একটি মাত্র বিভাগ, যাদেরসাথে ভারতীয় কোন বর্ডার সংযোগ নেই।
★বরিশাল একটি মাত্র নাম, যে বিভাগের প্রতিটা
জেলার মানুষের ভাষা, বরিশালের আঞ্চলিক ভাষা। এ
রকম আর কোন বিভাগে পাওয়া যাবে না।
★বর্তমানে বরিশালে শিক্ষার হার সব থেকে বেশি।
★বর্তমান সরকারের ১ম সারির মন্ত্রীর ৪-জনই বরিশালের।
★বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর,বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, দেশের সাত বীরশ্রেষ্ঠের দুইজনই বরিশালের সন্তান।
★মুক্তিযুদ্ধের সময় ৯ নম্বর সেক্টর গঠন করা হয়েছিল বরিশালে, যার সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর এম এ জলিল।
★রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাস।
★সুরকার আলতাফ মাহমুদ।
★মধ্যযুগের বিখ্যাত কবি বিজয় গুপ্ত।
★কবি আসাদ চৌধুরি "অমর একুশে" গানের রচয়িতা কবি।
& আলহামদুলিল্লাহ হক্কানি দরবারের মধ্যে সেষ্ট দরবার " ছারছীনা ও চরমোনাই দরবার শরীফ। বরিশাল বিভাগের মধ্যে।
★সাংবাদিক-"মানিকমিয়া" যারনামে করা হয়, ""ঢাকার মানিক-মিয়া এভিনিউ"" এবং সে দৈনিক ইত্তেফাক এর প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক ছিলেন।
★লেখক গাফফার চৌধরি বরিশালে জন্মেছেন।
★আমাদের মেয়েরাও কিন্তু পিছিয়ে নেই।>>
★সুফিয়া কামাল, কামিনী রায়, কুসুমকুমারী দাশের মতো মহিলা কবিরা বরিশালে জন্মেছেন।
★""শেরে বাংলা একে ফজলুল হক"" ব্রিটিশরা তাকে *টাইগার অব ""বেঙ্গল""* উপাধি দিয়েছিল। তার মতো সাহসী রাজনিতিক, অসাধারণ প্রতিভাবান,বিখ্যাত বক্তার জন্মস্থান বরিশালে।
* মহাত্তা গান্ধি বলেছেন “ যখন ভারত বর্ষ ছিল চির নিদ্রায় মগ্ন ,তখন বরিশাল ছিল যাগ্রত”
★মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী তার বাড়িও বরিশালের কুয়াকাটা।
★বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বর অশ্বিনী কুমার দত্ত আরো অনেকের জন্ম স্থান বরিশালে।
★যাদু শিল্পি জুয়েল আইচ এর জন্ম কিন্তু বরিশালে।
* জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক এমিলি, এমেকার নাম। একই পরিবারের ৩ ভাই জাতীয় দলে ফুটবল খেলার ইতিহাস বিশ্বে বিরল। এদের বাড়ি পিরোজপুরের উদয়কাঠী।
★বাংলাদেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর "পায়রা সমুদ্র বন্দর" বরিশালের পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ায় পায়রা নদীতে অবস্থিত।
★ "আবার আসিব ফিরে, ধানসিড়িটির তীরে" ধানসিড়ি নদীটিও কিন্তু এই বরিশালে।
★ দেশের সর্বোচ্চ সেতু - গাবখান সেতুটিও বরিশালের ঝালকাঠিতে।
★ এছাড়াও কবি আহসান হাবিব, হানিফ সংকেত, অভিনেতা মোশাররফ করিম, মীর সাব্বির, তানিয়া আহমেদ, সোহেল রানা, রুবেল, সুচন্দা, মিঠুন চক্রবর্তী, কন্ঠশিল্পি জুয়েল, নচিকেতা, প্রমুখ এই বরিশালেরই সন্তান।
★দেশের একমাত্র "কোষ্ট গার্ড'' এর ট্রেনিং সেন্টারটিও বরিশালের পটুয়াখালীতে।
★বাংলাদেশের অন্যতম পর্যাটক কেন্দ্র "সাগরকন্যা বা কুয়াকাটা" নামে পরিচিত সেটাও বরিশালের পটুয়াখালীতে অবস্থিত।
★এছাড়াও বিশ্বের অন্যতম খেলোয়ার শাহরিয়া নাফিজ, সোহাগ গাজী, প্রমূখ ব্যক্তিবর্গও বরিশালের।
★চলচ্চিত্র অভিনেতা, খলনায়ক কাবিলার বাড়িও পিরোজপুরে।
★ সংগীত শিল্পী খালিদ হাসান মিলুর বাড়িও আমাদের পিরোজপুরে।
★নাসির খান বাংলা চলচিত্রের খলনায়ক অভিনেতা
★দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী একজন বাংলাদেশী ইসলামী পণ্ডিত, বক্তা এবং রাজনীতিবিদ ও প্রাক্তন সংসদ সদস্য; পিরোজপুরে। তার বাড়ি পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলায়।
★ জায়েদ খান বাংলা চলচ্চিত্রের নায়ক তার বাড়িরও আমাদের বরিশালের পিরোজপুরে।
★সবচেয়ে বড় যে ব্যাপার বরিশাল বাংলাদেশের খাদ্যভাণ্ডার নামে পরিচিত। বরিশালে যে পরিমাণ খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়, তা দিয়ে দেশের সিংহভাগ খাদ্য চাহিদা মেটানো হয়।
★বরিশালের মানুষগুলো অনেক সহজ সরল, অতিথিপরায়ণ ও আন্তরিক। বিখ্যাত ব্যাক্তিবর্গ সব জেলাতেই আছে ভাই। ভাল, খারাপ, পল্টিবাজ, ধোঁকাবাজ সব জেলাতেই আছে। শুধু যারা বরিশালকে একটু হেয় করে দেখেন তাদের জন্যই এই পোস্ট।
"# আমি_গর্বিত_কারন_আমি_বরিশাল বিভাগের_একজন_ সন্তান।
(Copy post)

শনিবার, ২৭ মার্চ, ২০২১

বাংলাদেশে সেবা বিঘ্নিত বিবৃতিতে যা বললো ফেসবুক

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ গতকাল শুক্রবার (২৬ মার্চ) থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ম্যাসেঞ্জার ব্যবহার করতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা। এমন অবস্থায় শনিবার (২৭ মার্চ) একটি বিবৃতি দিয়েছে ফেসবুক।

বিবৃতিতে ফেসবুক বলছে, বাংলাদেশে আমাদের সেবা সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। এই বিষয়টি আমরা জানি। আমরা এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশা করছি শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ সেবা পুনরায় চালু করা সম্ভব হবে।

বিবৃতিতে ফেসবুক আরো বলছে, করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণের জন্য যখন কার্যকর যোগাযোগ প্রয়োজন। তখন বাংলাদেশে ফেসবুকের সেবা সীমিত করে দেওয়ার ঘটনায় তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

রয়টার্স জানিয়েছে, শেখ হাসিনা সরকার ফেসবুক ও মেসেঞ্জার বন্ধ করে দিয়েছে কি না সে বিষয়ে বাংলাদেশ তাদের কাছে কোনো মন্তব্য করেনি।

সূত্র: রয়টার্স।

মঙ্গলবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অপপ্রচার চালানো থেকে বিরত থাকার জন্য দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান



আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় ৩ ডিসেম্বর প্রকাশিত ১টি রিপোর্টে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মিথ্যা প্রচারণার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারী অধ্যাপক মোঃ তাসনীম আলম আজ ৩ ডিসেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন করার হীন উদ্দেশ্যেই দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়েছে। আমি দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার কাল্পনিক রিপোর্টের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার রিপোর্টে পুলিশ প্রশাসন এবং গোয়েন্দা সংস্থার অমূলক আশঙ্কার উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে যে সব কথা লেখা হয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যা। দৈনিক জনকণ্ঠের গোটা রিপোর্টটিই অবাস্তব। দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার সংশ্লিষ্ট রিপোর্টার ঐ পত্রিকায় অতীতে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত ভিত্তিহীন মিথ্যা রিপোর্টগুলোই অবিকল অনুসরণ করেছেন। তাদের এ রিপোর্টের জবাবে আমি স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির গণতান্ত্রিক পন্থায় রাজনীতি করছে। নাশকতা কিংবা সন্ত্রাসকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির সব সময়ই ঘৃণা করে। কাজেই পুলিশের উপর হামলা চালানো কিংবা নাশকতার পরিকল্পনা করার প্রশ্নই আসে না। এগুলো সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারের অলীক কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়। দৈনিক জনকণ্ঠের রিপোর্ট দেশের জনগণ কখনো বিশ্বাস করে না।
অতএব, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অপপ্রচার চালানো থেকে বিরত থাকার জন্য আমি দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

শুক্রবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৮

বাংলা নববর্ষে মঙ্গল প্রতীক ও মঙ্গল শোভা যাত্রার নামে আমদানী করা হচ্ছে ভিন্নধর্মের অপসংস্কৃতি।

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24ঃ ১লা বৈশাখ বাংলা শুভ নববর্ষ উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি 
মাওলানা আ.ন.ম শামসুল ইসলাম আজ ১২ এপ্রিল, ২০১৮ নিম্নোক্ত শুভেচ্ছা বাণী প্রদান করেছেনঃ-
“বাংলা নববর্ষ আমাদের সামনে সমাগত। বাংলা নববর্ষে আমাদের দেশের ব্যবসায়ীগণ হালখাতার অনুষ্ঠান করে থাকেন। মোঘল সম্রাট আকবরের আমল থেকে খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে ১লা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
জাতি এমনি এক সংকটকালে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন করতে যাচ্ছে যখন জাতির ঘাড়ে বসে আছে এক কর্তৃত্ববাদীঅগণতান্ত্রিক সরকার। গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার দেশ থেকে নির্বাসিত। সরকারগণতন্ত্রের বুলি আওড়িয়ে জনগণের ওপর চালাচ্ছে জুলুম-নির্যাতন। লুট হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ, ধর্ষিতা হয়েছে অনেক মা-বোন, হত্যা ও গুম চলছে অবাধে। গুম, অপহরণ ও বিচার বর্হিভুত হত্যাকা-ের মাধ্যমে জীবন কেঁড়ে নেয়াহয়েছে অসংখ্য মানুষের। দেশে চলছে ঘুষ, দুর্নীতি ও লুটপাটের রাজত্ব।

ফ্যাসিবাদী সরকার মিডিয়ার কণ্ঠ রুদ্ধ করে দিয়েছে। বাক-স্বাধীনতাসহ মানুষের সকল মৌলিক অধিকার পদদলিত। বাংলা নববর্ষে মঙ্গল প্রতীক ও মঙ্গল শোভা যাত্রার নামে আমদানী করা হচ্ছে ভিন্নধর্মের অপসংস্কৃতি। ইসলামী শিক্ষা ও সংস্কৃতি ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এ অবস্থা থেকে জাতি মুক্তি চায়। তাই বাংলানববর্ষ মুক্তির সেই আহ্বান নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হয়েছে।
আসুন জাতি হিসেবে আরেকবার ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াবার শপথ নিই, যাতে বাংলাদেশের আপামর জনগণ শান্তি ও স্বস্তিÍর সাথে বাঁচার জন্য নিজেদের মত করে বাংলাদেশটাকে গড়ে তুলতে পারে। আমি দেশবাসী সকলের সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি, সুস্বাস্থ্য কামনার পাশাপাশি জুলুম ও শৃংখলমুক্ত বাংলাদেশ কামনা করছি এবং আমার দলের পক্ষ থেকে প্রিয় দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের উষ্ণ শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি। দেশবাসীকে ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে একটি জুলুমমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধশালী সমাজ গঠনে এগিয়ে আসার জন্য আন্তরিকভাবে আহ্বান জানাচ্ছি।”

সোমবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৮

অধ্যাপক মুজিবকে পুনরায় জেলগেটে গ্রেফতারের প্রতিবাদে জামায়াতের বিক্ষোভ কাল

আমাদের বাংলাতেশ নিউজ24: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলায় আদালত থেকে জামিন লাভ করা সত্ত্বেও ৮ এপ্রিল রাজশাহী জেলগেট থেকে তাকে পুনরায় অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি মাওলানা আ.ন.ম শামসুল ইসলাম বলেন, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান তার বিরুদ্ধে সরকারের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় আদালত থেকে জামিন লাভ করা সত্ত্বেও তাকে রাজশাহী জেলগেট থেকে পুনরায় অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে সরকার তার প্রতি চরম অন্যায় ও জুলুম করেছে। অন্যদিকে সরকার আইনের প্রতি চরম অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছে। সরকারের এহেন অন্যায় ও অমানবিক আচরণের তিনি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
আজ সোমবার দেয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকার অধ্যাপক মুজিবুর রহমানকে জেলগেট থেকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে পুনরায় অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে দেশের আইন ও আদালতের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছে। সরকারের উচিত ছিল তাকে মুক্তি দিয়ে আইন ও আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা। কিন্তু সরকার তা না করে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়েছে। সরকার নিজেই আইনের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করে আইনের শাসনকে গলা টিপে হত্যা করছে। কোন সভ্য গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের অন্যায় ও অগণতান্ত্রিক আচরণ কল্পনাও করা যায় না।
এ ধরনের অন্যায়, অমানবিক ও অগণতান্ত্রিক আচরণ পরিহার করে অধ্যাপক মুজিবুর রহমানকে অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেয়ার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৬

স্বাধীনতার মূল অর্জন গণতন্ত্রকে হারিয়ে সমাজ অনিশ্চিত গন্তব্যের পথে যাত্রা শুরু করেছে -মকবুল আহমাদ

১৬ই ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর মকবুল আহমাদ গতকাল সোমবার বিবৃতি দিয়েছেন। 
তিনি বলেন, ১৬ই ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’। আমাদের জাতীয় জীবনে এ দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। যারা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে অপরিসীম ত্যাগ স্বীকার করেছেন সেই সব বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সমগ্র জাতির অবদানের কথা আমরা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ও শহীদদের মাগফিরাতের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করছি। 
তিনি বলেন, জাতি এমন এক সময় মহান বিজয় দিবস পালন করতে যাচ্ছে যখন দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। স্বাধীনতার মূল অর্জন গণতন্ত্রকে হারিয়ে সমাজ আজ এক অনিশ্চিত গন্তব্যের পথে যাত্রা শুরু করেছে। এ অবস্থায় জাতীয় ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। 
ব্যাপকভিত্তিক জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে হেফাজতের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিলসহ নানাবিধ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১৬ই ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে উদযাপন করার জন্য তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সকল শাখার প্রতি আহ্বান জানান। সেই সাথে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে তিনি দেশবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান এবং দেশবাসী সকলের সুখ-সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন। দৈনিক সংগ্রাম

চট্টগ্রাম ষোলশহর থেকে অন্যায়ভাবে ২৭ মেধাবী ছাত্র গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ  এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেন, গভীর রাতে কোন কারণ ছাড়াই চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ২৭ জন মেধাবী ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ ছিলনা। পুলিশ এই অন্যায় গ্রেপ্তারকে আড়াল করতে 'জিহাদী বই উদ্ধার' নামক ভাঙ্গা রেকর্ড বাজিয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। কোন কারণ ছাড়াই এভাবে নিরপরাধ ছাত্রদের গ্রেপ্তার ও হয়রানীর যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারেনি পুলিশ প্রশাসন। এর আগেও নিরপরাধ ছাত্রদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার ও হয়রানী করা হয়েছে। যা নিয়ে নানা মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশের এমন নির্বিচার গ্রেপ্তার জনমনে আতঙ্ক তৈরি করছে। এতে করে সারা দেশে বিভিন্ন মেস ও ব্যাচেলর বাসায় অবস্থানরত হাজার হাজার শিক্ষার্থীর লেখাপড়া মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। নিজেদের ব্যর্থতাকে আড়াল ও জাতিকে বিভ্রান্ত করতে একের পর এক নিরপরাধ ছাত্রের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে সরকার।

নেতৃবৃন্দ বলেন, কোন কারণ ছাড়াই সাধারণ ছাত্রদের জীবন হুমকির মুখে ফেলা নূন্যতম দায়িত্বশীলতার মধ্যে পড়েনা। আমরা অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবী জানাচ্ছি। একই সাথে মেস ও বাসা-বাড়িতে সাধারণ ছাত্রদেরকে হয়রানি না করার আহবান জানাচ্ছি।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে নিরপরাধ নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে এবং ভবিষ্যতে এমন দায়িত্বহীন কাজ থেকে বিরত থাকতে সরকার ও পুলিশের প্রতি আহবান জানান।

সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

দেশবাসীকে ছাত্রশিবিরের ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ  দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। আজ এক শুভেচ্ছা বার্তায় শিবির নেতৃবৃন্দ এই শুভেচ্ছা জানান।
এক যৌথ শুভেচ্ছা বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেন, ত্যাগ-কুরবাণীর মহান আদর্শ নিয়ে পবিত্র ঈদুল আয্হা আমাদের দ্বারে সমাগত। ত্যাগই ঈদুল আজহার মূল প্রেরণা। এই প্রেরণা আমাদেরকে হিংসা, বিদ্বেষ, লোভ, লালসা, পাপ-পঙ্কিলতা পরিত্যাগ করার শিক্ষা দেয়। ঈদুল আযহা আমাদেরকে ত্যাগ ও কুরবাণীর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বৈষম্য ও শোষণ দূর করে একটি শোষণমুক্ত ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য ত্যাগ স্বীকারে অনুপ্রেরণা যোগায়।

আজ দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখ্যিন এবং অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার ভূলুন্ঠিত। দেশ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। আমরা আশা করি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ত্যাগের মানষিকতা নিয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা রাখবে। ধনী-গরীব, রাজনৈতিক বিভেদ ভূলে পবিত্র ঈদকে সুখময় করে তোলাই হোক আমাদের প্রত্যয়। ঈদের আনন্দকে ঐক্যের সুদৃঢ় বন্ধনে পরিণত করে মুসলিম উম্মাহ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে এটাই আমাদের কামনা। দেশবাসীকে ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে আন্তরিক ঈদ শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

নেতৃবৃন্দ দেশবাসীর সুখ, সমৃদ্ধি ও প্রশান্তি কামনায় মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।

রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

নগরবাসীকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগরী আমীর রফিকুল ইসলাম খাঁন


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্ক ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬, রবিবারঃ  ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জল ‘পবিত্র ঈদুল আযহা’র শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালানোর আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। 
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে নগরবাসীর উদ্দেশ্যে এক শুভেচ্ছা বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। 
মহানগরী আমীর বলেন, পবিত্র ‘মাহে জিলহজ্জ’ এক মহিমান্বিত মাস। এ মাসেই মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইব্রাহীম (আ.) পরম করুণাময় আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নির্দেশে এবং তার সন্তষ্টি অর্জনের জন্যই স্বীয় পুত্র হযরত ঈসমাইল (আ.) কে কোরবানী করতে উদ্দত হয়েছিলেন। যা সৃষ্টির আদিকাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত অবিস্বরণীয় ও নজীরবিহীন। আর হযরত ইব্রাহীম (আ.)এর অনুসরণেই মুসলিম উম্মাহ দিবসটিকে পবিত্র ঈদুল আযহা হিসাবে পালন করে থাকে। মূলত মানুষের জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নির্দেশনার বাইরে যাওয়ার কোনই সুযোগ নেই। জাতির পিতা হযরত ইব্রাহীম (আ.) মহিমান্বিত মাসে প্রিয় পুত্র ঈসমাঈল (আ.)কে কোরবানী করতে উদ্দত হয়ে আল্লাহর নির্দেশ পালানে যে পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করেছিলেন তা শত-সহস্র বছর পরেও মুসলিম উম্মাহর জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় আদর্শ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত আছে। 

তিনি বলেন, মূলত ষড়রিপুর উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে পশুপ্রবৃত্তির উপর বিজয় অর্জনই কোরবানীর প্রকৃত শিক্ষা। বস্তুত অন্যায়-অসত্য, অনাচার-পাপাচার, হিংসা-বিদ্বেষ, জুলুম-নির্যাতন, বিভেদ-বিসংবাদ বন্ধ করে সমাজে সার্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করে মানবজাতির সর্বাঙ্গীন কল্যাণ সাধন করায় পবিত্র ঈদুল আযহার উদ্দেশ্য। আর এ উদ্দেশ্য যখন যথাযথভাবে সাধন করা সম্ভব হয়, তখনই আমাদের জন্য ঈদ আনন্দঘন ও অর্থবহ হয়ে ওঠে। বর্ষপরিক্রমায় আবারও আমাদের মাঝে পবিত্র ঈদুল আযহা ফিরে আসলেও দেশের মানুষ বরাবরের মত ঈদের অনাবিল আনন্দ থেকে বঞ্চিত। রাষ্ট্রশক্তি পশুশক্তি দমনের পরিবর্তে নিজেরাই সকল অপশক্তিকেই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও জুলুম-নির্যাতনের মাধ্যম জনজীবনকে দুর্বিসহ করে তোলা হয়েছে। কথিত বিচারের নামে নির্বিবাদে মানুষ হত্যা করে পৈশাচিক উম্মাদনা চলছে। হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, গুম, অপহরণ ও গুপ্তহত্যা চলছে নির্বিবাদে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের হলেও সরকারের ভূমিকা পুরোপুরি বিপরীতমুখী।
তিনি আরও বলেন, দেশ কল্যাণ রাষ্ট্র না হওয়ায় এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত না থাকায় দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে ঈদের আনন্দ অনেকটাই ম্লান। সরকারের জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়ে অনেক নিরাপরাধ মানুষের বছরের পর বছর কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্টে দিনাতিপাদ করছেন। সরকারের হত্যা-সন্ত্রাসের শিকার হয়ে স্বজনহারা মানুষেরা করছেন আহাজারী। পঙ্গুত্ববরণের কারণে অনেক পরিবারে ঈদের খুশী অনেকটাই ম্লান। তাই ঈদকে অর্থবহ করে আনন্দকে সর্বজনীন করার জন্য দেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই। তিনি পবিত্র ঈদুল আযহার প্রকৃত শিক্ষা ধারণ করে দেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে বেগবাগ করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান এবং পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে সকল স্তরের নগরবাসীর প্রতি শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।

চট্টলবাসীসহ দেশের সর্বস্তরের জনতাকে শ্রমিক কল্যাণের পবিত্র ঈদুল আদ্বহার শুভেচ্ছা "ঈদ মোবারক"......!!!


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ  পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উপলক্ষে চট্টগ্রামসহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন, চট্টগ্রাম সদর অঞ্চল সভাপতি মকবুল আহমেদ ভূঁইয়া ও সেক্রেটারী মোঃ মীর হোসাইন। আজ রবিবার যৌথ শুভেচ্ছা বাণীতে নেতৃদ্বয় বলেন, ত্যাগের উজ্জ্বল মহিমায় পবিত্র ঈদুল আদ্বহা আমাদের দ্বারে সমাগত। ঈদুল আদ্বহা হলো মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর প্রতি আল্লাহর বিশেষ করুণা যা তিনি সব্বোর্চ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পেয়েছিলেন । কুরবানির মূল হলো ত্যাগ ও কুরবানী। রাসূল (সা.) এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের ত্যাগ ও কুরবানীর আদলে একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলেই মানুষ সেখানে সত্যিকারভাবে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে সক্ষম হবে।

তারা বলেন, দেশবাসী এমনি এক সময়ে ঈদুল আদ্বহা উদযাপন করতে যাচ্ছে যখন সারাবিশ্বে অশান্তি বিরাজ করছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে মুসলমানদের উপর হামলা-জুলুম। আমাদের দেশের জনগণ গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি সংকট, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে চরম দুর্ভোগের মধ্যে কালাতিপাত করছে। এই অবস্থায় পরিপূর্ণ আনন্দের সাথে ঈদুল আদ্বহা উদযাপন করা কারো পক্ষে সম্ভব নয়। একমাত্র ইসলামী আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমেই জুলুম-নির্যাতনের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। 
তাই ইসলামী সমাজ কায়েমের জন্য প্রচেষ্টা চালানো আমাদের সকলের কর্তব্য।রাসূলে করিম হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের আদলে একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র কায়েমের অঙ্গীকারের মাধ্যমে পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উদযাপন করার জন্য চট্টলবাসীসহ দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানান তাঁরা।

শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

টঙ্গীতে টাম্প্যাকো ফয়েলস্ কারখানার বয়লার বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ  টঙ্গীর রেলগেট এলাকায় বিসিক শিল্প নগরীতে টাম্প্যাকো ফয়েলস্ কারখানায় ১০ সেপ্টেম্বর সকালে বয়লার বিস্ফোরণে কারখানা ভবনের একাংশ ধ্বসে গিয়ে প্রায় ২৫ জনের অধিক শ্রমিক নিহত ও শতাধিক আহত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ১০ সেপ্টেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “ঈদুল আজহার ঠিক পূর্ব মুর্হূতে টঙ্গীতে টাম্প্যাকো ফয়েলস্ কারখানার বয়লার বিস্ফোরণে ২৫ জনের অধিক লোক নিহত ও শতাধিক লোক আহত হওয়ার ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত। 

আমি আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করে এ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাপোযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা আর না ঘটে সে জন্য যথাযথ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সেই সাথে নিহতদের পরিবারবর্গকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত এবং পরবর্তীতে এ সমস্ত লোকদের পুনর্বাসনের যুক্তিসংগত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। 

আমি নিহতদের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাদের শোক সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি ও আহতদের দ্রুত সুস্থ্যতার জন্যে মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে দোয়া করছি।”

রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

‘কর্মদক্ষতা ও যোগ্যতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে মীর কাসেমকে হত্যা করা হয়েছে’ - রফিকুল ইসলাম খান


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  কর্মদক্ষতা ও ব্যক্তিগত যোগ্যতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মীর কাসেমকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।

তিনি আজ রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো মহানগর জামায়াতের প্রচার বিভাগের সদস্য এম আলাউদ্দিন আরমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতির মাধ্যমে এই অভিযোগ করেন।

মীর কাসেম আলীকে শহীদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, শহীদ মীর কাসেম আলী ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের উজ্জল নক্ষত্র। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন তিনি। সাথে সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির রুপকার ও নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবকও ছিলেন তিনি।

রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ইসলামী ব্যাংক-বীমাসহ বহু মসজিদ, মাদ্রাসা, বিভিন্ন ইসলামী ও জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ব্যাপারে তিনি অসামান্য অবদান রেখেছেন। তিনি দারিদ্র বিমোচন ও বেকারদের আত্মকর্মসংস্থানে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। সরকার তার কর্ম দক্ষতা, মেধা, যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তায় ইর্শান্বিত হয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে।

তিনি আরও বলেন, মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগই প্রসিকিউশন প্রমান করতে পারেনি। বরং তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সাথে তার কোন সম্পর্ক ছিল না। প্রসিকিউশন তার বিরুদ্ধে যেসব তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেছে তাতে কোথাও তার নামও ছিলনা।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, মন্ত্রীদের অবৈধ হস্তক্ষেপে মিথ্যা সাক্ষ্য উপস্থাপন করে তার আইজীবী ও ছেলে ব্যারিষ্টার আরমানকে অপহরণ করার মাধ্যমে তাকে ন্যায়বিচার প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। শহীদদের রক্তের পথ ধরেই দেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠা হবে বলেও মন্তব্য করেন এই নেতা।

তিনি হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৬

সারা দেশে জামায়াত ও ছাত্রশিবির নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের তীব্র প্রতিবাদ

আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ গত ২৯ আগস্ট রাতে নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর জনাব আবদুল খালেক মোল্লা, খুলনা সদর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী জনাব মো: মোস্তাফিজুর রহমান টিংকু, জামায়াতের রুকন জনাব মো: আলী হায়দার এবং নাটোরের লালপুর উপজেলা শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি আমিরুল ইসলাম এবং ছাত্রশিবির কর্মী মুহাইমিনুল ইসলাম আশিককে পুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আজ ৩০ আগস্ট প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “সরকার অন্যায়ভাবে সারা দেশে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করছে। 

জামায়াতে ইসলামীকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য সরকার যে ষড়যন্ত্র করছে তার অংশ হিসেবেই সারা দেশে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের ব্যাপকভাবে গ্রেফতার করছে। সরকারের জুলুম-নির্যাতনে দেশের জনগণ বর্তমানে অতিষ্ঠ। এভাবে জনগণের উপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে অতীতে যেমন কোন সরকার ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকতে পারেনি তেমনি বর্তমান সরকারও ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। সরকারের জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। 

নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর জনাব আবদুল খালেক মোল্লা ও খুলনা সদর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী জনাব মোস্তাফিকুর রহমান টিংকুসহ সারাদেশে জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৬

বুধাবার দেশব্যাপী জামায়াতের সকাল-সন্ধ্যা হরতাল


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্ক ৩০ আগষ্ট’১৬ঃ  আগামীকাল বুধবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা (সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা) শান্তিপূর্ণ হরতাল ডেকেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীসহ সকল নেতাকর্মীর মুক্তি ও দেশব্যাপী নেতাকর্মীদের আটকের প্রতিবাদে এ হরতাল ডাক দেয়া হয়েছে বলে দলের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের এম. আলম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
তবে এ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ী, হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস, হজ্জ্বযাত্রীদের বহনকারী যানবাহন ও সংবাদপত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট গাড়ি হরতালের আওতামুক্ত থাকবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।

মীর কাসেম আলীর রিভিউ খারিজ করে মৃত্যুদন্ড বহাল রাখায় শিবিরের প্রতিক্রিয়া

আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ  মীর কাসেম আলী সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার-ছাত্রশিবির
প্রশ্নবিদ্ধ ট্রাইবুনালে মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে প্রহসন মূলক রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ শুনানি বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মৃত্যুদন্ড বহাল রাখাকে ন্যায়ভ্রষ্ট উল্লেখ করে বিবৃতি প্রদান করেছে ছাত্রশিবির।

এক যৌথ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেন, সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার মীর কাসেম আলী। তার বিরুদ্ধে সাজানো মামলায় নির্ধারিত ছকে প্রহসনের রায় দিয়েছিল প্রশ্নবিদ্ধ ট্রাইবুনাল। এই রায় ন্যায় বিচারের ইতিহাসকে করেছিল কলঙ্কিত। জনগণ আশা করেছিল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে ন্যায় বিচার পাওয়া যাবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখানেও জাতিকে অবিচারের নমুনা দেখতে হলো। এই রায়ে ন্যায় বিচারের প্রতিফলন হয়নি বলে মনে করে জনগণ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে মামলা, সাক্ষী ও তদন্ত সব ছিল বানোয়াট। চট্টগ্রামের যে ঘটনার সাথে তাকে জড়ানো হয়েছে তার সাথে মীর কাসেম আলীর কোন সম্পর্ক নেই। তিনি সে সময় ঢাকায় ছিলেন। তাছাড়া তিনি চট্টগ্রামে ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষ তা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং রাষ্ট্রপক্ষের দাখিলকৃত তথ্য প্রমানাদি এবং সে সময়ে দৈনিক আজাদসহ বিভিন্ন পত্রিকায় মীর কাসেম আলীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রকাশ সুস্পষ্ট ভাবে প্রমাণ করে তিনি সে সময় ঢাকায় ছিলেন।
মীর কাসেম আলীর পক্ষে চট্টগ্রামের দুইজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাক্ষী দিয়েছেন। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল ১৯৭৭ সালে জন্ম নেয়া সাক্ষী আর মিথ্যাচারকে পুঁজি করে এ মৃত্যুদন্ড দিয়েছিল। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ্য রাষ্ট্রপক্ষকে বলেছিলেন যে ‘আপনাদের ডকুমেন্টেই রয়েছে, ঘটনার সময় মীর কাসেম আলী ঢাকায় ছিলেন’। তার কথায় রেশ ধরে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছিলেন, যে এর পর আর মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদন্ড দেয়ার সুযোগ নেই। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে প্রতিটি অভিযোগের ঘটনার বিবরণে ভিন্নতা ও তথ্যে অসংলগ্নতা ছিল স্পষ্ট। তারপরও কিভাবে তার মৃত্যুদন্ড বহাল রাখা যায় তা বিবেকবোধ সম্পন্ন মানুষের প্রশ্ন। কোন বিশেষ মহলকে খুশি করতেই এই রায় বহাল রাখা হয়েছে কিনা তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সামান্যতম বিবেচনা বোধ সম্পন্ন মানুষ এ রায় মেনে নিতে পারেনা।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, রাজনৈতিক কারণে বার বার ন্যায় বিচার থেকে একজন নিরপরাধ মানুষকে বঞ্চিত করা চরম অমনাবিকতা। ন্যায় বিচার পাওয়ার সর্বশেষ জায়গা থেকেও ন্যায় বিচার বঞ্চিত হওয়া জাতির জন্য চরম দূর্ভাগ্য ছাড়া আর কিছু নয়। যা জনগণকে বিচার বিভাগের উপর আস্থাহীন করে তুলবে। আমরা সরকারকে এ অপরাজনীতি ও বিচারের নামে প্রহসন বন্ধ করে মীর কাসেম আলীসহ সকল জাতীয় নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দেয়ার আহবান জানাচ্ছি।

Jamaat-e-Islami declares nationwide dawn to dusk strike on Wednesday protesting government’s plot to kill Mir Quasem Ali


Amader Bangladesh Online news Desk:  Acting Secretary General of Bangladesh Jamaat-e-Islami, Dr. Shafiqur Rahman has issued the following statement on 30th August, 2016 declaring programs protesting and condemning the government’s conspiracy to kill Jamaat-e-Islami’s central executive committee member, noted entrepreneur, social worker and media personality Mir Quasem Ali and demanding the release of all the detained Jamaat leaders.

“The government, as a part of their planned conspiracy is killing Jamaat-e-Islami’s top leaders one by one. Mir Quasem Ali is also a victim of that conspiracy. The government had lodged a case of so called crimes against humanity against Mir Quasem Ali in connection with some false, fictitious and concocted allegations. The authority also produced some own party men before the court as false witness to confirm his death penalty. 
The honorable court today (30th August) has declared his death penalty in that government filed false case based on some fake witnesses. He became deprived from justice due to this verdict.

Mir Quasem Ali has no nexus with the allegations brought against him. His name is not found in the prosecution submitted documents as well. The places, time and date of the offences which have been stated against Mir Quasem Ali, the prosecution documents rather exhibited that he was not present in the place of occurrence at that time. He was in Dhaka in those days. Mir Quasem Ali also submitted his alibi in the court accordingly. So it has been proved beyond reasonable doubt that during the commission of crimes Mir Quasem Ali was in Dhaka, not in Chittagong. Despite such obvious evidences, the prosecution placed false testimony against him to confirm his death penalty. But the countrymen do not accept the verdict of this false and conspiracy case. 

The government has arranged this farcical trial in order to achieve its ill political interest and it has no credibility both in home and abroad. The ministers and the ruling party leaders in different previous occasions had made remarks and comments targeting the judges. To the people, such role of the ruling party leaders is nothing but a naked interference and pressure upon the judiciary. His family thinks, Mir Quasem Ali has been deprived from justice because of the executive interference. From trial process in tribunal to the review hearing, in all steps, the government has made unwanted interference to influence the trial procedure repeatedly. Such provocative role of the government would be marked as a stigmatized chapter in the history of the judiciary. 

The countrymen are well acknowledged that after the establishment of the government sponsored ‘Gono Jagoron Moncho’, the Prime Minister had made a call upon the justice to declare verdict considering the demand of that controversial platform. Immediate before the verdict of the appellate division, two ministers had made unlawful comments centering this trial procedure. The appellate division also punished those two ministers for their unwanted comment as well. 

On behalf of Bangladesh Jamaat-e-Islami, I am declaring nationwide hortal (strike) from 6 am to 6 pm on 31st August, Wednesday the government’s conspiracy to kill Mir Quasem Ali and demanding the release of all the detained Jamaat leaders.

I am urging all units and wings of Bangladesh Jamaat-e-Islami and the people of all quarters including farmers, labors, students, teachers, intellectuals, civil society members and professionals to observe this strike peacefully. 

Special note: Hortal (strike) will not be applicable for ambulances, dead body taking vehicles, hospitals, fire services and media transports and Hajj pilgrims bound vehicles.

মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৬

নিউইয়র্কে ইমামসহ ২ জন হত্যার নিন্দা জামায়াতের

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের কুইন্সের আল-ফুরকান জামে মসজিদের ইমাম বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মাওলানা আলাউদ্দিন আকঞ্জি ও তার সহকারী তারা মিঞা দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ১৫ আগস্ট প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “নিউ ইর্য়কের কুইন্সের আল-ফুরকান জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আলাউদ্দিন আকঞ্জি ও তার সহকারী তারা মিঞা দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমি এ সন্ত্রাসী ঘটনার নিন্দা জ্ঞাপন করছি। 
আমি আশা করি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার এ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে হত্যাকারী দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় এনে যথোপযুক্ত শাস্তি প্রদান করবেন।

আমি নিহত মাওলানা আলাউদ্দিন আকঞ্জি এবং তার সহকারী তারা মিঞার জীবনের সকল নেক আমল কবুল করে তাদের জান্নাতবাসী করার জন্য মহান আল্লাহর দরবার দোয়া করছি, এবং তাদের শোক সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।”

রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০১৬

জামায়াত-শিবির নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেনের দেয়া বক্তব্যকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে জামায়াত

আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ জামায়াত-শিবির নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেনের দেয়া বক্তব্যকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে জামায়াত।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আযাদ।
বিবৃতিতে হামিদ আযাদ বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সর্বৈব মিথ্যা। তার বক্তব্যের জবাবে আমি স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই যে, কোনো ধরনের হামলার পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্রের সাথে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের কোন সম্পর্ক নেই।
কোন জঙ্গি গ্রুপকে দিয়ে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের কোন ঘটনা ঘটানোর প্রশ্নই আসে না। এ সব বক্তব্য পুলিশ কর্মকর্তা মারুফ হোসেনের নিজস্ব মনগড়া। বাস্তবের সাথে তার বক্তব্যের কোন সম্পর্ক নেই। আমরা চ্যালেঞ্জ দিয়ে তাকে বলতে চাই যে, তিনি তার বক্তব্যের সমর্থনে কোন প্রমাণ দেখাতে পারবেন না।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
এমবিএইচ

শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০১৬

বানোয়াট অভিযোগে জামায়াতের নেতৃবৃন্দের সন্তানদের প্রতি নজরদারী বাড়ানো সম্পূর্ণ অন্যায় ও অযৌক্তিক


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্ক; ৬ আগস্ট ২০১৬, শনিবার, দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার ১ম পৃষ্ঠায় ৫ আগস্ট প্রকাশিক রিপোর্টে ‘জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের সন্তানদের’ জড়িয়ে যে ভিত্তিহীন মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারী অধ্যাপক মোঃ তাসনীম আলম আজ ৬ আগস্ট প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “গুলশানের রেস্তোরায় ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদ জামায়াতের পাশে জঙ্গি হামলার ঘটনার পেছনে জামায়াত নেতৃবৃন্দের সন্তানদের কোন ধরনের সম্পৃক্ততা ছিল না। কাজেই এ ধরনের বানোয়াট অভিযোগে জামায়াতের নেতৃবৃন্দের সন্তানদের প্রতি নজরদারী বাড়ানো সম্পূর্ণ অন্যায় ও অযৌক্তিক। 
আমাদের সময় পত্রিকায় প্রকাশিত অসত্য রিপোর্টের জবাবে আমি স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই যে, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অর্থায়নে জামায়াতের নেতাদের পরিবারের মদদ থাকার যে ধারণার কথা প্রচার করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অমূলক ও বায়বীয়। 
জামায়াতের সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম, জনাব মীর কাশেম আলী, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সন্তানদের জঙ্গি সম্পৃক্ততার বিষয় সরকারের নীতি-নির্ধারকদের সন্দেহের যে কথা আমাদের সময় পত্রিকার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে তা একেবারে অন্তঃসারশূন্য। জামায়াতের নেতা-কর্মীরা কখনো প্রতিশোধ পরায়ণতার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। কাজেই জামায়াত নেতাদের সন্তানদের জঙ্গিদের সাথে সংশ্লিষ্টতা গড়ে তোলার প্রশ্নই আসে না। 
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বরাত দিয়ে গুলশান ও শোলাকিয়ার জঙ্গিদের সাথে জামায়াতের নেতাদের সন্তানদের যোগসূত্র থাকার যে কথা তিনি শুনেছেন বলে আমাদের সময়ের রিপোর্টে লেখা হয়েছে তার কোন ভিত্তি নেই। এভাবে অসত্য বক্তব্য ছেপে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। 
তাই জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সন্তানদের জড়িয়ে ভিত্তিহীন মিথ্যা রিপোর্ট প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আশা করছি যে, তারা ভবিষ্যতে বস্তুনিষ্ঠ রিপোর্ট প্রকাশ করবেন।”

শুক্রবার, ৫ আগস্ট, ২০১৬

জামায়াত নেতা প্রফেসর ড: আবুল হাশেম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে


৪ আগস্ট ২০১৬, বৃহস্পতিবার, গত ৩ আগস্ট রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের আমীর প্রফেসর ড: আবুল হাশেম এবং নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা ইসমাইল হোসেন ও বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা মাকসুদুর রহমানকে পুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আজ ৪ আগস্ট প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “রাজনৈতিকভাবে হয়রানী করার হীন উদ্দ্যেশ্যেই রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের আমীর, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর আবুল হাশেম এবং খালিয়াজুরী উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা ইসমাইল হোসেনকে ও গাবতলী উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা মাকসুদুর রহমানকে পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। তারা সম্পূর্ণ নির্দোষ। 
জামায়াতকে নেতৃত্বশূণ্য করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই প্রফেসর ড: আবুল হাশেম এবং অধ্যক্ষ মাওলানা ইসমাইল হোসেন ও মাওলানা মাকসুদুর রহমানকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রফেসর ড: আবুল হাশেম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সম্মানীত সাবেক শিক্ষক। তাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে হয়রানী করা হচ্ছে। জামায়াতের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রই অত্যন্ত নগ্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে। আমি সরকারের এ ধরনের ফ্যাসিবাদী আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানাচ্ছি। 
রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের আমীর প্রফেসর ড: আবুল হাশেমসহ সারা দেশে জামায়াতের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী