বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার
জাতীয় সংসদ নির্বাচন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
জাতীয় সংসদ নির্বাচন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৯

দেশবাসীকে ভোটাধিকার বঞ্চিত করা হয়েছে, ভোট ডাকাতির নির্বাচন বাতিল কর:- বাম গণতান্ত্রিক জোট



আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ নজিরবিহীন ভোট ডাকাতির নির্বাচন বাতিল ও নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আজ সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
এসময় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ এই কর্মসূচিতে যোগ দেয়। কর্মসূচি শেষে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যতম নেতা সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। মানববন্ধন ও অবস্থানে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশ চক্রবর্তী, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা ফিরোজ আহমেদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের হামিদুল হকসহ বাম জোটের সাজ্জাদ জহির চন্দন, আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, বজলুর রশীদ ফিরোজ, রাজেকুজ্জামান রতন, বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আজিজুর রহমান, আব্দুস সাত্তার, মানস নন্দী, ফখরুদ্দিন কবির আতিক, মনির উদ্দিন পাপ্পু, বাচ্চু ভূঁইয়া, মমিনুর রহমান মমিনসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, গোটা দেশকে অবরুদ্ধ করে কোটি কোটি ভোটারের ভোটাধিকার হরণ করে আরও একবার যে জবরদস্তিমূলক প্রহসনের নির্বাচন মঞ্চস্থ করা হলো, বাম গণতান্ত্রিক জোট এই নির্বাচন ও নির্বাচনের ফলাফলকে প্রত্যাখ্যান করছে। 
নির্বাচনের দিনের আগের রাতে ব্যালট বাক্সে ভর্তি করে রাখা, নিরাপত্তার নামে নজিরবিহীন ভয়ভীতি ও আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের প্রতি নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা ও ন্যাক্কারজনক ভূমিকা, বাম জোটের একাধিক প্রর্থীসহ বিরোধীদলগুলোর প্রার্থী ও এজেন্টদের আটক, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত, কেন্দ্র থেকে জোর করে বের করে দেওয়ার মধ্য দিয়ে অধিকাংশ দেশবাসীকে ভোটাধিকার বঞ্চিত করা হয়েছে।

প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ভেঙে দিয়ে গোটা নির্বাচনকে ব্যর্থ করে দেয়া হয়েছে ও আশঙ্কানুযায়ী নির্বাচনে সরকারের ছকেরই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ভোর থেকেই দেশব্যাপী ভোট কেন্দ্র দখল, প্রকাশ্য জালিয়াতি, ব্যালট পেপারে প্রকাশ্যে নৌকা মার্কার সিল মারতে বাধ্য করা, বিরোধী দলীয় ভোটারদের জোর করে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া, কোথাও সকাল ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যাওয়া প্রভৃতি অসংখ্য ঘটনার মধ্যে দিয়ে সমগ্র নির্বাচনকে পুরোপুরি অর্থহীন ও হাস্যকর করে তোলা হয়েছে।
এই সমুদয় তৎপরতার মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী ভোটারদের মধ্যে ভোট নিয়ে যেটুকু আগ্রহ তৈরি হয়েছিল তা পুরোপুরি নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। দলীয় সরকারের অধীনে বাংলাদেশে ন্যূনতম গণতান্ত্রিক পরিবেশে অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের যেকোন অবকাশ নেই তা আরেকবার প্রমাণ হল।
তাই এই নির্বাচন ফলাফল গ্রহণযোগ্য হবে না। এই নির্বাচনে জনগণের মতামতের কোনো প্রতিফলন ঘটেনি।
কোটি কোটি ভোটারের ভোটাধিকার হরণ করে সংগঠিত নজিরবিহীন ভোট ডাকাতির নির্বাচন বাতিল ও নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আজ আমরা ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ও দেশব্যাপী মুখে কালো কাপড় বেঁধে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। 
৩০ ডিসেম্বর অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশবাসীকে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ‘ভুয়া ভোটে’ যাদেরকে নির্বাচিত বলে ঘোষণা করা হয়েছে তাদের প্রায় সবাইকে জনগণ ‘ভুয়া প্রতিনিধি’ হিসেবে বিবেচনা করছে। জনগণের কাছে ‘জনগণের প্রতিনিধি’ বলে দাবিদারদের কোন বৈধতা নেই।
এমতাবস্থায়, সংগঠিত প্রহসনের নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নিরপেক্ষ তদারকি সরকার গঠন, নির্বাচনের অর্থ-পেশীশক্তি-প্রশাসনিক কারসাজি-সাম্প্রদায়িকতার ব্যবহার নিষিদ্ধ ও ‘সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা’ চালুসহ গোটা নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার সাধন করে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠান করাই গণতন্ত্রের দাবি। এই পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমরা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানাচ্ছি। একইসাথে জনগণের প্রতি দৃঢ় মনোবল অক্ষুণœ রেখে রুটি-রুজি ও গণতন্ত্র-ভোটাধিকারের সংগ্রাম অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।”

দেশব্যাপী কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় একই ধরনের কর্মসূচি পালিত হয়।
কর্মসূচির শেষে জানানো হয় আগামী ১১ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রার্থীদের নিয়ে গণশুনানী অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৯

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ ইসি সচিব একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনের ফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবন চত্ত্বরে সোমবার ভোর চারটার দিকে দল ভিত্তিক ফলাফলা ঘোষণা করেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। তিনি বলেন, প্রার্থীর মৃত্যুজনিত কারণে একটি আসনের ভোটা স্থগিত করা হয়েছে। যেটি ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। 
এছাড়া আরেকটি আসন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে তিনটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিতথাকায় ২৯৮টি আসনের ফলাফলা ঘোষণা করা হচ্ছে। 
এরমধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নৌকা মার্কা ২৫৯টি সিট, জাতীয় পার্টি লাঙ্গল ২০, বিএনপি ধানের শীষ ৫, গণফোরাম ২, বিকল্পধারা বাংলাদেশ ২, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ২, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি ৩, তরিকত ফেডারেশন ১টি, জাতীয় পার্টি (জেপি) ১ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ৩টি আসনে জয় লাভ করেছে। 

তিনি বলেন, ১০টি ব্যতিত বাকিগুলো সব মহাজোটের। মহাজোট ২৮৮টি আসন পেয়েছে। এর আগে সাড়ে তিনটায় ফলাফল ঘোষণা শেষ হওয়া পর ইসি সচিব বলেন, রাজনৈতিক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। একই সঙ্গে তিনি বিপুল জয়ের জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে অভিনন্দন জানান।

৩০_ডিসেম্বরের_জয়_পরাজয়•••••• (প্রথম কিস্তি) - মজিবুর রহমান মনজু

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ ডেস্কঃ
একজন আমাকে প্রশ্ন করলেন ৩০ ডিসেম্বর আপনি বা আপনারা কী হেরে গেছেন? নাকি এটাকে আপনাদের নৈতিক বিজয় মনে করছেন? 
আমি বললাম- ইয়েস ৩০ ডিসেম্বর আমরা হেরে গেছি। অন্তত: ব্যক্তিগতভাবে আমি মনেকরি আমি অবশ্যই হেরে গেছি। 
কেন? কীভাবে হারলেন?
কারণ ৩০ তারিখ স্বৈরতন্ত্রের পতন হবার কথা ছিল। গণতন্ত্র ও দেশ মুক্ত হবার কথা ছিল। লক্ষ কোটি জনতার স্মত:স্ফূর্ত সমর্থনে ফ্যাসিবাদ পরাজিত হবার কথা ছিল। এসব আশা নিয়েই আমি-আমরা ধানের শীষকে সমর্থন দিয়েছিলাম। ধানের শীষ বুকে জড়িয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম। 
কিন্তু আমরা জিততে পারিনি, পরাজিত হয়েছি। এই পরাজয়ে আমার যতটুকু দায় তা আমি স্বীকার করছি।
আমি যদি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক হতাম, আ.স.ম আবদুর রব, কাদের সিদ্দিকী, মাহমুদুর রহমান মান্না কিংবা বিএনপি বা ২০ দলীয় জোটভুক্ত কোন দলের শীর্ষ নেতা হতাম তাহলে দায়িত্বপূর্ণ পদ থেকে পদত্যাগ করতাম। আমার সেরকম উল্লেখযোগ্য কোন পদ বা দায়িত্ব নেই। তবুও আমি আমার ব্যক্তিগত দায় থেকে এই পরাজয় স্বীকার করে নিচ্ছি। 
আপনারা হয়তো ভাবছেন কেন আমার এই স্বেচ্ছা স্বীকারাক্তি!
হ্যাঁ আমি তার ব্যখ্যা দিচ্ছি-
একজন ক্ষুদে রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি এবং আমার মতো অনেকেই জানতো দলীয় সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়না। দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনে চুরি হয়, ডাকাতি হয়, কেন্দ্র দখল হয়। 
কিছুদিন আগে যেসব সিটি কর্পোরেশনে চুরি-ডাকাতির নির্বাচন হয়েছে সেগুলোতে অন্তত: পোস্টার লাগানো গেছে, প্রচার প্রচারণা মিছিল সমাবেশ করা গেছে। কিন্তু এই নির্বাচনে কিছুই করা যায়নি। উপরন্তু নির্বাচনের আগেই ধানের শীষের প্রার্থীদের পাইকারী মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে, প্রার্থীদের গ্রেফতার করা হয়েছে, প্রার্থীদের উপর নারকীয় হামলা চালানো হয়েছে, কর্মীদের গণহারে গ্রেফতার করা হয়েছে, এমনকি পোলিং এজেন্ট দেয়ার মত প্রতিটি লোককে এলাকা ছাড়া করা হয়েছে। 
কিন্তু এসবের মধ্যেও ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করেছে। নিজেদের মধ্যে আসন ভাগাভাগি আর প্রার্থী নির্বাচন করতে লম্বা সময় নষ্ট করেছে। নির্বাচনী ইশতেহার আর ফেসবুক প্রচারনায় ব্যাপক মেধা খাটিয়েছে। অর্থাৎ তারা শুধু গতানুগতিক নির্বাচন নিয়েই ব্যস্ত ছিল। নির্বাচন কে আন্দোলন হিসেবে নেয়ার যে প্রতিশ্রুতি তারা দিয়েছিল তা তারা রক্ষা করেনি। নির্বাচন কালীন নির্যাতন, নিপীড়ন, জুলুম ও ভয়ানক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তারা কার্যকর কোন আন্দোলনের উদ্যোগ নেননি। 
এটা কী তাদের কৌশল ছিল! না ব্যর্থতা?
আমি মনেকরি এটা অমার্জনীয় ব্যর্থতা।
এর দায় একান্তভাবে নেতৃত্বের।
অর্থাৎ একবাক্যে আমি বলতে চাইছি- নির্বাচন কে আন্দোলন হিসেবে নিয়ে আন্দোলন না করাটা এবং আন্দোলন সংগ্রাম ছাড়া শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অটল থাকাটা ছিল মস্তবড় ভুল। এই ভুল যারা করেছেন এবং সেই ভুল সত্বেও আমরা যারা তাদের কাজে সহযোগিতা দিয়েছি তারা উভয়ে ভুল করেছি। এই ভুলের জন্য যারা আমাদের সমর্থন দিয়েছেন, ধানের শীষের জন্য কাজ করেছেন তাদের সবার কাছে আমাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। 
আমাদের ঘাড়ে যে ভয়ংকর ফ্যাসিবাদ চেপে বসেছে তাকে সরাতে হলে আমাদের সবাইকে প্রচন্ড নৈতিক শক্তিতে বলীয়ান হতে হবে। 
যে নেতৃত্বের ভুল স্বীকার করার নৈতিক সাহস নেই তাদের ডাকে জনগণ কখনো সাড়া দেবেনা। এটা আমার সুস্পষ্ট বুঝ। কেউ যদি আমার এই মন্তব্য ও বুঝ কে ভুল প্রমাণ করতে পারেন তাহলে খুব খুশী হবো। 
তবে এ প্রসঙ্গে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো- 
বিশ্বের নিকৃষ্টতম, নির্লজ্জ, বেহায়া এই হিংস্র ফ্যাসিবাদী শাসনের কাছে বোকামীপূর্ণ পরাজয় সত্বেও এবারের নির্বাচনে আমাদের জন্য শিক্ষামূলক কিছু কী নেই?
আমি মনেকরি অবশ্যই আছে। পরাজয়ে মানুষ শুধু হারায় না বড় কিছু অর্জনও করতে পারে। তাই একই সাথে আমি মনেকরি এই নির্বাচনে আমাদের শিক্ষা এবং প্রাপ্তি অনেক অনেক বেশী। যদি আমরা সঠিক উপলব্ধি থেকে সেসব নিয়ে পথ খুঁজতে চাই তাহলেই কেবল তা থেকে সুফল পাওয়া সম্ভব। 
সে সম্পর্কে দ্বিতিয় কিস্তিতে কিছু লিখার আশা আছে।
আপাতত: আজকের লিখাটি ভুল স্বীকার এবং ক্ষমা চেয়েই শেষ করছি, ধন্যবাদ।
সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

সোমবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

প্রতিটি অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করে টিআইবি

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ১৯ জন নিহত এবং আরো অনেকের আহত হওয়া, বলপ্রয়োগসহ আচরণবিধি লঙ্ঘণের অভিযোগ উত্থাপনের ফলে নির্বাচন ও তার ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এছাড়া রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ লঙ্ঘনের সব অভিযোগ গণমাধ্যমসূত্রে জানা গেছে তার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে সংস্থাটি।
সোমবার এক বিবৃতিতে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন,একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহিংসতা ও বলপ্রয়োগসহ নির্বাচনী আচরণবিধির বহুমুখী লঙ্ঘনের যেসব অভিযোগের কারণে নির্বাচন ও তার ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, তার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের ওপর ভিত্তি করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা শুরু থেকেই সব পক্ষের জন্য সমান প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে এসেছি। কিন্তু দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে একটি প্রতিদ্বন্দ¦ী জোটের প্রার্থী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা, হামলা ও নির্যাতনের সংবাদ প্রচারিত হয়েছে, যা গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত। এমনকি নির্বাচনের আগের রাতে এবং নির্বাচনের দিনও এমন হয়রানি চলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি দেশের জনগণের আস্থাহীনতা সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
ড. জামান বলেন, একটি জোটের পোলিং এজেন্টরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভোটকেন্দ্রে আসতে না পারার অভিযোগের বিষয়টি যেভাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন তা একদিকে যেমন বিব্রতকর, অন্যদিকে তাঁর নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন তার সাংবিধানিক দায়িত্ব কার্যকরভাবে পালন করতে পেরেছে কিনা সে উদ্বেগ আরো ঘনীভূত করেছে।
ড. জামান বলছেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ লঙ্ঘন করে বিরতির নামে ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখার মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে খোদ রাজধানীতেই। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে যেভাবে সচিত্র প্রতিবেদন আকারে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে তাকে অপপ্রচার বলে উড়িয়ে দেয়ার সুযোগ নেই। এছাড়াও ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার আগেই ব্যালট পেপার ভর্তি বাক্স নিয়ে বেরিয়ে যাওয়া, বহু ভোটার ভোট দেয়ার আগেই ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যাওয়া, প্রার্থীকে ভোট কেন্দ্রে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা ইত্যাদি ঘটনার প্রতিটির সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করে টিআইবি।
ড. জামান বলছেন, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক তদন্ত করে এসব ক্ষেত্রে তাঁদের ব্যর্থতা নিরূপণ করা এবং তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা অপরিহার্য। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে আস্থার সংকটের প্রেক্ষিতে কমিশনের গৃহিত পদক্ষেপের পাশাপাশি সরকারের প্রতি আমাদের জোরালো আহ্বান থাকবে, এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের উদ্যোগ নিন। যে অভূতপূর্ব নির্বাচনের মাধ্যমে সৃষ্ট অভূতপূর্ব ফলাফলের উপর ভিত্তি করে নতুন সরকার গঠিত হবে তার আত্মবিশ^াস, মর্যাদা, আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করার স্বার্থেই এই তদন্ত অবশ্যকরণীয় বলে মন্তব্য করেন টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক।

শনিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮

নির্বাচনের বিরুদ্ধে ১৫ আন্তর্জাতিক সংগঠনের বিবৃতি

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক দিন আগেনিয়ন্ত্রণমূলক নির্বাচনী পরিবেশনিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে নির্বাচন মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা ১৫টি আন্তর্জাতিক সংগঠন
আজ শনিবার ব্যাংককভিত্তিক এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস (অ্যানফ্রেল) এই বিবৃতি পাঠায়। ১৫টি সংগঠনের মধ্যে অ্যানফ্রেলও আছে। বাংলাদেশের অগণতান্ত্রিক নির্বাচনী পরিবেশের বিরুদ্ধে শিরোনামে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে
বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ সরকার দেশের সুশীল সমাজ, বিরোধী দল গণমাধ্যমের খড়গহস্ত হয়েছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, ১০ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচার শুরু হওয়ার পর বিরোধীদের গাড়িবহরে ৩০ বার হামলা হয়েছে। ১৫৯টি আসনে ২০৭টি সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৪৩ প্রার্থী হামলার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ১৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এযাবৎ বিরোধী দলের ১৭ প্রার্থী আটক হয়েছেন। নির্বাচনী সহিংসতায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন হাজার ৬৮২ জন
এসব সহিংসতা বাংলাদেশের ভোটারদের মনে ভীতি সঞ্চারের একটি প্রক্রিয়া। কারণে নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে
আওয়ামী লীগ নির্বাচনী সহিংসতায় এযাবৎ নিহত ছয়জনকে তাদের কর্মী বলে জানিয়েছে। তবে এই মানবাধিকার সংগঠনের বিবৃতিতে নিহত ব্যক্তিরা কোন দলের, তা উল্লেখ করা হয়নি
বিবৃতিতে বিরোধী দলগুলোর সূত্র উদ্ধৃত করে বলা হয়, গত নভেম্বর থেকে পুলিশ এযাবৎ তাদের ২১ হাজার কর্মী সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, নির্বাচনী তফসিলের পর দেশে ব্যাপক হারে গায়েবি মামলার সংখ্যা বেড়ে গেছে। বিরোধী জোটের নেতা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার . জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলার প্রসঙ্গও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক বলেন, এসব সংগঠন সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। গণজোয়ারটাকে তারা ভয়ভীতি বলে মনে করছে। আমি নির্বাচনী এলাকায় আছি। এখানে বিরোধী কোনো নেতা-কর্মী আটকের ঘটনা ঘটেনি। ভীতির কোনো পরিবেশ নেই।
বিবৃতিতে বলা হয়, শুধু প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেই একটি নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয় না; নির্বাচনী পরিবেশের ওপরই বহুলাংশে নির্ভর করে সুষ্ঠু নির্বাচন। নির্বাচনের আগে সুশীল সমাজের সংগঠনগুলো এবং গণমাধ্যম নানা বিধিনিষেধের মুখে পড়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়
সংগঠনগুলোর এই বিবৃতি নিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার গনমাধ্যমকে বলেন, ভয়ের পরিবেশ যে আছে, নিয়ে দ্বিমতের সুযোগ নেই। মানুষের মধ্যে এমন একটি ধারণার সৃষ্টি হয়েছে যে সরকার আবার ক্ষমতায় আসছে। হামলা-মামলা, গ্রেপ্তার নির্যাতনের ঘটনার মধ্য দিয়ে এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
জানতে চাইলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সারা দেশে ভয়ের পরিবেশ বিরাজ করছে। সরকার নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন করতে চায়। বিদেশি পর্যবেক্ষকেরা যেন এটা তুলে ধরতে না পারেন, সে জন্য অনুমতি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ যথার্থ
সৌজন্যেঃ এরাবিয়ান জার্নাল

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী