বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার
রাজনীতি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
রাজনীতি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রবিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

৭১-এ জামায়াতের ভূমিকাঃ জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক ভূমিকা

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ ইসলামের নামে পাকিস্তান কায়েম হলেও পাকিস্তানের কোন সরকারই ইসলামের ভিত্তিতে দেশকে গড়ে তুলবার কোন চেষ্টা করেনি। জামায়াতে ইসলামী যেহেতু ইসলামকে বিজয়ী করার উদ্দেশ্যে একটি বিজ্ঞানসম্মত কর্মসূচি অনুযায়ী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিল, সেহেতু কোন সরকারই জামায়াতকে সুনজরে দেখেনি।

তদুপরি ইসলামেরই নীতি অনুযায়ী গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা চালু করার জন্য জামায়াতে ইসলামী প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে এসেছে। ১৯৬২ সারে আইয়ুব খানের সামরিক আইন তুলে নেবার পর আইয়ুবের তথাকথিথ মৌলিক গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে যে সর্বদলীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলেছিল, তাতে জামায়াত কোন দলের পেছনে ছিল না।

এভাবেই জামায়াতে ইসলামী আইন ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতির শাসনের জন্য নিষ্ঠার সাথে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিল। ১৯৬২ সাল থেকে ৬৯ পর্যন্ত আইয়ুব আমলের আট বছরের মধ্যে জামায়াত ইসলামী ছাড়া আর কোন দলকে বে-আইনী ঘোষণা করা হয়নি। ১৯৬৪ সালের জানুয়ারিতে জামায়াতকে বে-আইনী ঘোষণা করে ৯ মাস পর্যন্ত ৬০ জন নেতাকে বিনা বিচারে জেলে আটক রাখা হয়। সেপ্টেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে সরকারের বে-আইনী ঘোষণাটি বাতিল হয়ে যায়।

জামায়াতে ইসলামীর ইতিহাস ইসলামী আদর্শ ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতির পক্ষে একনিষ্ঠ ও বলিষ্ঠ সংগ্রামের গোরবময় ইতিহাস। বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী রাজনীতির ময়দানে যে ভূমিকা পালন করছে, তা সবার সামনেই আছে। জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক ভূমিকা পাকিস্তান আমলে যেমন স্বীকৃত ছিল, তেমনি বর্তমানে সর্ব মহলে প্রশংসিত।

৭১-এ #জামায়াতের #ভূমিকা

জামায়াতে ইসলামীর অতীত ও বর্তমানের ভূমিকা থেকে একথা সুস্পষ্ট যে, আদর্শ ও নীতির প্রশ্নে জামায়াত আপোসহীন। দুনিয়ার কোন স্বার্থে জামায়াত কখনও আদর্শ বা নীতির সামন্যও বিসর্জন দেয়নি। এটুকু মূলকথা যারা উপলব্ধি করে, তাদের পক্ষে ৭১-এ জামায়াতের ভূমিকা বুঝতে কোন অসুবিধা হবার কথা নয়।

প্রথমত, আদর্শগত কারণেই জামায়াতের পক্ষে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ও সমাজতন্ত্রকে ধারক ও বাহকগণের সহযোগী হওয়া সম্ভব ছিল না। যারা ইসলামকে একটি পূর্ণাংগ জীবন বিধান বলে সচেতনভাবে বিশ্বাস করে, তারা এ দুটো মতবাদকে তাদের ঈমানের সম্পূর্ণ পরিপন্থী মনে করতে বাধ্য। অবিভক্ত ভারতে কংগ্রেস দলের আদর্শ ছিল ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ। জামায়াতে ইসলামী তখন থেকেই এ মতবাদের অসারতা বলিষ্ঠ যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করেছে। আর সমাজতন্ত্রের ভিত্তিই হলো ধর্মহীনতা।

দ্বিতীয়ত, পাকিস্তানের প্রতি ভারত সরকারের অতীত আচরণ থেকে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে ইন্দিরা গান্ধীকে এদেশের এবং মুসলিম জনগণের বন্ধু মনে করাও কঠিন ছিল। ভারতের পৃষ্ঠপোষকতার ফলে সংগত কারণেই তাদের যে আধিপত্য সৃষ্টি হবে এর পরিণাম মংগলজনক হতে পারে না বলেই জামায়াতের প্রবল আশাংকা ছিল।

তৃতীয়ত, জামায়াত একথা বিশ্বাস করত যে, পূর্ব পাকিস্তানের জনসংখ্যা পশ্চিম পাকিস্তানের তুলনায় বেশি হওয়ার কারণে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা চালু হলে গোটা পাকিস্তানে এ অঞ্চলের প্রাধান্য সৃষ্টি হওয়া সম্ভব হবে। তাই জনগণের হাতে ক্ষমতা বহাল করার আন্দোলনের মাধ্যমেই জামায়াত এ অঞ্চলের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার অর্জন করতে চেয়েছিল।

চতুর্থত, জামায়াত বিশ্বাস করত যে, প্রতিবেশি সম্প্রসারণবাদী দেশটির বাড়াবাড়ি থেকে বাঁচতে হলে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানকে এক রাষ্ট্রভুক্ত থাকাই সুবিধাজনক। আলাদা হয়ে গেলে ভারত সরকারের আধিপত্য রোধ করা পূর্বাঞ্চলের একার পক্ষে বেশি কঠিন হবে। মুসলিম বিশ্ব থেকে ভৌগলিক দিক দিয়ে বিচ্ছন্ন এবং ভারত দ্বারা বেষ্টিত অবস্থায় এ অঞ্চলের নিরপত্তা প্রশ্নটি জামায়াতের নিকট উদ্বেগের বিষয় ছিল।

পঞ্চমত, পাকিস্তান সরকারের ভ্রান্ত অর্থনৈতিক পলিসির কারণে এ অঞ্চলে স্থানীয় পুঁজির বিকাশ আশানুরূপ হতে পারেনি। এ অবস্থায় এদেশটি ভারতের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক খপ্পরে পড়লে আমরা অধিকতর শোষণ ও বঞ্চনার শিকার পরিণত হব বরে জামায়াত আশাংকা পোষণ করত।

জামায়াত একথা মনে করত যে, বৈদেশিক বাণিজ্যের ব্যাপারে ভারতের সাথে সমমর্যাদায় লেনদেন সম্ভব হবে না। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে যে সব জিনিস এখানে আমদানি করা হতো, আলাদা হবার পর সে সব ভারত থেকে নিতে হবে। কিন্তু এর বদলে ভারত আমাদের জিনিস সমপরিমাণে নিতে পারবে না। কারণ রফতানির ক্ষেত্রে ভারত আমাদের প্রয়োজন নেই। ফলে আমরা অসম বাণিজ্যের সমস্যায় পড়ব এবং এদেশ কার্যত ভারতের বাজারে পরিণত হবে।

ষষ্ঠত, জামায়াত পূর্ণাংগ ইসলামী সমাজ কায়েমের মাধ্যমেই রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সমাজিক ক্ষেত্রে সৃষ্ট সমস্যা এবং সকল বৈষম্যের অবসান করতে চেয়েছিল। জামায়াতের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে,আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন কায়েম হলে বে-ইনসাফী, যুলুম ও বৈষম্যের অবসান ঘটবে এবং অসহায় ও বঞ্চিত মানুষের সত্যিকার মুক্তি আসবে।

এসব কারণে জামায়াতে ইসলামী তখন আলাদা হবার পক্ষে ছিল না। কিন্তু ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর থেকে এদেশে যারাই জামায়াতের সাথে জড়িত ছিল, তারা বাস্তত সত্য হিসাবে বাংলাদেশকে একটি পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্র বলে মেনে নিয়েছে। আজ পর্যন্ত জামায়াতের লোকেরা এমন কোন আন্দোলন বা প্রচেষ্টার সাথে শরীক হয়নি যা বাংলাদেশর আনুগত্যের সামান্য বিরোধী বলেও বিবেচিত হতে পারে। বরং বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য তারা বাস্তব কারণেই যোগ্য ভূমিকা পালন করছে। তারা কোন প্রতিবেশী দেশের আশ্রয় পাবে না। তাই এ দেশকে বাঁচাবার জন্য জীবন দেয়া ছাড়া তাদের কোন বিকল্প পথ নেই।

বইঃ- পলাশী থেকে বাংলাদেশ
অধ্যাপক গোলাম আযম
অধ্যায় ৭

সোমবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৯

জামায়াত নিয়ে ড. কামালের বক্তব্যের জবাব দিলেন ফখরুল।


আমাদের বাংলাদেশ নিউজ ডেস্কঃ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জামায়াতের সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনা করবে বিএনপি। আমরা নিজেদের মধ্যে এ নিয়ে এখনও কোনো আলাপ-আলোচনা করিনি। তবে আমাদের দলের পক্ষ থেকে আমরা এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।
সোমবার দুপুরে সিলেটের হযরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।জামায়াতকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে করা এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, জামায়াত নিয়ে ড. কামাল হোসেনের বক্তব্য গণফোরামের দলীয় বক্তব্য। এটি ঐক্যফ্রন্টের বক্তব্য নয়। এ বক্তব্য সামগ্রিকভাবে ওনার দলের।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি অত্যন্ত কলঙ্কিত অধ্যায় উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দখলদারি সরকার দেশের জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে নিয়ে গেছে এবং সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। জনগণের রায়কে ডাকাতি করে নিয়ে গেছে তারা। সারাদেশে সবার চোখে-মুখে একটা শোকের চিত্র ফুটে উঠেছে। এর কারণ জনগণ তাদের অধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি।
#newsbyte24.com

রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০১৬

বিএনপির কমিটি: মোসাদ্দেক আলীর পদত্যাগে বিস্ময়

আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কবিএনপির নতুন কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যানের পদ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মাথায় মোসাদ্দেক আলীর পদত্যাগের ঘটনা বিস্ময় সৃষ্টি করেছে।
মি. আলীর মালিকানাধীন অনলাইন নিউজ পোর্টাল এনটিভি অনলাইনে ছোট করে তার পদত্যাগের খবরটি উল্লেখ করা হলেও কোন কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি।
কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবার প্রায় সাড়ে চার মাস পর শনিবারই শতাধিক সদস্য বিশিষ্ট বিএনপির নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এই কমিটিতে চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরই ভাইস চেয়ারম্যানদের পদাধিকার।

নতুন কমিটিতে মোট ৩৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান রয়েছেন, যার মধ্যে মি. আলী ছিলেন ২২ নম্বরে।
তার পদত্যাগে বিস্ময় প্রকাশ করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাংবাদিক আমানুল্লাহ কবির বলেন, মোসাদ্দেক আলী খালেদা জিয়ার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং বিশ্বস্ত। তার পদত্যাগ নিঃসন্দেহে সবাইকে বিস্মিত করেছে
মি. আলী এর আগে খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ছিলেন।
২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হন ব্যবসায়ী মি. আলী।

এখান থেকেই জাতীয় রাজনীতিতে তার উত্থান পরিলক্ষিত হয়।
পরবর্তীতে তার মালিকানায় জনপ্রিয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির আত্মপ্রকাশ এবং ঢাকার একটি সংসদীয় আসন শূন্য হলে সেটির উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া তার ক্যারিয়ারে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত।

ওই সময়ে এবং পরবর্তীকে মোসাদ্দেক আলী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া তার পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ আস্থাভাজন হিসেবে পরিগণিত হয়েছেন।
গণমাধ্যম ব্যবসায়ী হিসেবে এরই মধ্যে মি. আলী অত্যন্ত শক্ত অবস্থানে পৌঁছেছেন।

বাংলাদেশে অ্যাটকো নামে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের যে সংগঠনটি রয়েছে, মোসাদ্দেক আলী সেটির সভাপতি।

জানা যাচ্ছে চিকিৎসার জন্য মি. আলী এখন থাইল্যান্ডে অবস্থান করছেন এবং লোক মারফৎ তিনি তার পদত্যাগ পত্রটি পাঠিয়ে দিয়েছেন।
নতুন কমিটির একজন সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমানও কমিটিতে থাকতে অনীহা প্রকাশ করেছেন বলে খবরে জানা যাচ্ছে।
-
বিবিসি বাংলা

বুধবার, ৩ আগস্ট, ২০১৬

সরকার দলীয়রা মিটিং করলে সেটা বৈধ আর আমরা করলে হয় গোপন বৈঠক -অধ্যাপক মুজিব


আমাদের বাংলাদেশ অনলা্মইন নিউজ ডেস্কঃ অগণতান্ত্রিক সরকারের সমালোচনা করে জনাব মুজিব বলেন, সরকার কোন নিয়মনীতি মেনে চলছে না। সরকার দলীয়রা মিছিল মিটিং করলে বৈধ আর আমরা বৈঠক করলে সেটা হয় গোপন বৈঠক। বিনা ভোটে নির্বাচিত সরকার এখন র‌্যাব-পুলিশ নির্ভর হয়ে পড়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর নির্ভর করে বেশিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। যেখানে ধর্মের বিশ্বাস দুর্বল সেখানে জবাবদিহীতা থাকে না, আর জবাবদিহীতা না থাকলে অন্যায়, অবিচার, দুুর্নীতি ও সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। 
অধ্যাপক মুজিব আরো বলেন, সরকার ইসলামী আন্দোলন ধ্বংস করতে চায়। এই জন্য নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা ও অযৌক্তিক মামলা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে বন্দী করে রেখেছে। তিনি অবিলম্বে শ্রমিক কল্যাণের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী ও জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সকল নেতা-কর্মীর মুক্তি দাবি করেন। তিনি বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ফেডারেশনের নেতাকর্মী ও সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

খালেদার জাতীয় ঐক্যে জামায়াত ‘ট্রামকার্ড’

জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে বিএনপির জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া জামায়াতকে ‘ট্রামকার্ড’ হিসেবে ব্যবহার করছে কতিপয় রাজনৈতিক দল। এর সঙ্গে সুর মেলাচ্ছেন বিশিষ্ট নাগরিকরাও। ফলে এই ঐক্য তৎপরতা খুব সহজেই আলোর মুখ দেখছে না।
বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবি, শর্ত দিয়ে কোনো ঐক্য হয় না। জামায়াতের সঙ্গে বিএনপি নির্বাচনী জোট, কোনো আদর্শিক জোট নয়। তাছাড়া জঙ্গিবাদ দমনে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন খালেদা জিয়া। এখানে জামায়াতকে জড়ানো হচ্ছে নির্বাচনের মাঠে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে, আর কিছু নয়। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াতকে জোটে রাখলে লাভ ক্ষতির হিসেব মিলাচ্ছে বিএনপি। অপরদিকে জামায়াতকে ২০ দলীয় জোট থেকে বের করতে মরিয়া হয়ে উঠছে আওয়ামী লীগসহ সমমনা দলগুলো।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় ঐক্য গঠনে বিএনপির পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু, ২০ দলীয় জোটের বাইরে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে এ ব্যাপারে তেমন সাড়া মিলছে না। বিশেষ করে বামদলগুলো ‘কঠিন’ শর্ত জুড়ে দিচ্ছে। সবাই জামায়াতকে ব্যবহার করছে ট্রামকার্ড হিসেবে।
এখানে জামায়াত কোনো সমস্যা নয়, কারণ এই প্রক্রিয়ায় সঙ্গে জামায়াত যুক্ত না - এমনটাও দাবি করছে বিএনপি।
দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল(অব.) রুহুল আলম চৌধুরী মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘শর্ত দিয়ে কোনো ঐক্য হয় না। জামায়াত জোটে থাকবে কিনা এ নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। জামায়াতকে জোটে রাখা যাবে না এই নিয়েও মতামত আছে।’
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘এখানে জাতীয় ঐক্যের কথা বলা হয়েছে। জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির নির্বাচনী জোটে। জামায়াতকে জড়িয়ে ইস্যু বানালে চলবে না। জঙ্গি সংকট মোকাবিলায় ঐক্যমত্য গড়ে তুলতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘জামায়াতকে নিষিদ্ধ করলেই আর কোনো ঝামেলা থাকছে না। তা না করে জামায়াতকে ট্রামকার্ড বানানো হয়েছে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য।’
জাতীয় ঐক্য গঠনে শর্তহীনভাবে আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ার কথাও স্বীকার করেন বিএনপির এই নেতা।
বিএনপির জাতীয় ঐক্যের সাড়ার প্রসঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি নেওয়ার পক্ষে। আমরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। এজন্য একটু সময় লাগছে। আমরা কোনো লীগ বলছি না। এখানে আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য গণতান্ত্রিক দলগুলো থাকতে পারে। কেননা শুধু পুলিশ বা প্রশাসন দিয়ে উগ্রবাদ জঙ্গিবাদ দমন সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ যদি না সাড়া দেয় আমরা অন্যান্য গণতান্ত্রিক দলগুলো সাড়া দিচ্ছে। তারা নিজেরাও জাতীয় ঐক্যের কথা বলছে।’
গত ২০ জুলাই গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী খালেদা জিয়ার প্রস্তাবিত জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, মঞ্জুরুল আহসান খান ও হায়দার আকবর খান রনোর সঙ্গে বৈঠক করেন। আগের দিন ডা. জাফরুল্লাহ বৈঠক করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে। ১৯ জুলাই বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামানের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
এদিকে বিকল্প ধারার সভাপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও তার ছেলে মাহি বি. চৌধুরী দুজনেই এখন যুক্তরাষ্ট্রে। ৯ আগস্ট তাদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে। গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনও এ মুহূর্তে বিদেশে রয়েছেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক মতবিনিমিয় অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার (০২ আগস্ট) কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী জানান, দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) মাগরিবের নামাজের পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাবেন।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এদেশের ঐক্য হবে মানুষের ঐক্য। যারা মানুষের নেতা তারাই দেশকে চালাবে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৪ তারিখ মাগরিবের নামাজের পর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে নয়, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করবো। তিনি প্রকৃত বিরোধী দলের নেত্রী। তার সঙ্গে বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে যাবো।’
জামায়াতকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য হতে পারে না জানিয়ে তিনি বিএনপিকে পরামর্শ দেন, ‘নজর বদলান, চলা বদলান, ভুলত্রুটি স্বীকার করুন, আর হাওয়া ভবন হবে না; এর গ্যারান্টি দিন। এই অপমানজনক বেঁচে থাকার চেয়ে মাথা উচু করে বেঁচে থাকবো।’
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট শরিক জামায়াতে ইসলামীকে ইঙ্গিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমেদ একই অনুষ্ঠানে বলেন, জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একটি রাজনৈতিক দল বড় প্রতিবন্ধকতা বলে মনে হয়। কিন্তু যেকোনো মুহূর্তে ক্ষমতাসীন দল ওই দলটিকে নিষিদ্ধ করতে পারে। বর্তমানে দেশের বিরোধী দল বিএনপি। তিনি (খালেদা জিয়া) সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, ২০ দলের মধ্যে অন্ততপক্ষে এই দলটিকে (জামায়াত) আর ওইভাবে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ, ওই দলটির লায়াবিলিটি (একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বিতর্কিত ভূমিকার দায়) বহন করতে চান না তিনি। সুতরাং এই দিক থেকে দেখলে প্রতিবন্ধকতা নেই।
তিনি আরো বলেন, ‘অন্যদিক থেকে বলব, জামায়াতে বর্তমানে যারা নেতৃত্বে আছেন, তাদের অধিকাংশের জন্ম একাত্তর সালের পরে। এরাও দেশ ও জাতির অংশ। সুতরাং তাদেরও একটা চিন্তা-ভাবনা থাকা দরকার। জাতীয় ঐক্য যদি তাদের কারণে ব্যর্থ হয়, সেটা তারাই বা চাইবেন কেন? সুতরাং এটা নিয়ে ঝগড়া-ঝাটির কোনো কারণ আছে বলে আমরা মনে করি না।’
২০ দলীয় জোট শরিক জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান বলেন, ২০ দলীয় জোটে জামায়াতে ইসলামী ছিল, এখনো আছে।
সাহিত্যিক ও সাংবাদিক কবি আল মুজাহিদী বলেন, একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে জামায়াতে ইসলামী। মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে বলে তারা এখনো স্বীকার করেনি। তারাই জঙ্গিবাদের উস্কানি দিচ্ছেন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার জঙ্গিবাদকে কার্ড হিসেবে ব্যবহার করছে, ঠিক যেভাবে জামায়াতের কার্ডও ব্যবহার করছে তারা। তাদেরকে নিষিদ্ধ করে দিলেই তো হয়ে যায়, ঝামেলা চুকে যায়।
গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর গত ৩ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সন্ত্রাসবিরোধী জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার জন্য দল-মত-নির্বিশেষে সবার প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া।
বিএনপির নেতৃত্বে ১৯৯৯ সালের ৬ ডিসেম্বর চারদলীয় জোট গঠন করা হয়। পর্যায়ক্রমে তা ২০ দলীয় জোটে রূপান্তরিত হয়।

উৎসঃ   দ্য রিপোর্ট

শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০১৬

সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে জামায়াতকে চিহ্নিত করেনি যুক্তরাষ্ট্র : মার্কিন দূতাবাস


জামায়াতে ইসলামীকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র চিহ্নিত করেনি। বরং যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে আলাপকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জামায়াতকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র নয়া দিগন্তের এক প্রশ্নের জবাবে আজ এ কথা জানান।

গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের জননিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি সারাহ সিওয়াল ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালেন বার্সিনের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, জামায়াত যে একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এর আগে তা যুক্তরাষ্ট্রকে বোঝাতে বেগ পেতে হয়েছিল। তবে এবার সেটা তারা অনুধাবন করতে পেরেছে।
মুখপাত্র বলেন, আন্ডার সেক্রেটারি সিওয়ালের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা ও নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দের সাথে বিস্তৃত ইস্যুতে ফলপ্রসু বৈঠক করেছেন। আন্ডার সেক্রেটারি নিশ্চিত করেছেন যে নিরাপত্তা ও সহিংস চরমপন্থাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তিনি জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার অধিকার, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস স্থাপন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জনগণের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক স্থাপন ও ধর্ম চর্চার স্বাধীনতাকে সহিংস চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের টেকসই পন্থা হিসাবে উল্লেখ করেন।
অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (বিমান নিরাপত্তা) উন্নত করতে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করে মুখপাত্র বলেন, নিরাপত্তার বিস্তৃত ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের সাথে আমরা কাজ করছি। অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটিসহ অন্যান্য নিরাপত্তা ইস্যুতে সহযোগিতা নিয়ে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালেন বার্সিনের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেছেন। 

শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০১৬

‘একটা কিছু কর গোলাপী, একটা কিছু কর‘


দ্বিতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের তীব্র সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। কিছু একটা করতে প্রতিষ্ঠানটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। ছবি : এনটিভি
আজ শুক্রবার সকালে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন বন্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ইউপি নির্বাচনে সহিংসতার দায় কমিশন কিছুতেই এড়াতে পারে না।
এ ছাড়া সরকারের কোর্টে বল—খালেদ জিয়ার এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে সুরঞ্জিত বলেন, বল বলতে যদি খালেদা জিয়া নির্বাচন বোঝান, তবে তা সাংবিধানিকভাবে সঠিক সময়েই অনুষ্ঠিত হবে।
সুরঞ্জিত বলেন, ‘যখন দেখি নির্বাচনটা হচ্ছে, এর মধ্যে আজকেও নয়জন মানুষ মারা গেছে। এটাতে তুমি-আমি চক্ষু বুজে রাখতে পারি না। আমাদের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন। তিনি ইচ্ছা করলে নির্বাচন বাতিলও করতে পারেন, ইচ্ছা করলে নির্বাচন গ্রহণও করতে পারেন। যে কেউর চাকরি খেতে পারেন। কিন্তু এ কেমন, লড়েও না, চড়েও না। একটা কিছু কর গোলাপি, একটা কিছু কর।’
গত ২২ মার্চ প্রথম দফা ইউপি নির্বাচনে ১২ জন নিহত হন। দ্বিতীয় দফায় গতকাল বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে সহিংসতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিশুসহ নয়জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এনটিভি

বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০১৬

সুন্দরগঞ্জে কারাগার থেকেই নির্বাচন জামায়াতের ২ নেতার পক্ষে বিপুল সাড়া

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় কারাগার থেকেই চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন জামায়াতের দুই নেতা। তাদের জনসমর্থন দেখে বিরোধী পক্ষ দিশেহারা হয়ে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করছেন। তারা ভোটারদেরকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 
ইতোমধ্যে তাদের পক্ষে স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, পরিবারের সদস্য ও দলীয় নেতাকর্মীরা প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। 
প্রার্থীদ্বয় হলেন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের কাশদহ গ্রামের মাওলানা মো মিজানুর রহমান ও দহবন্দ ইউনিয়নের দক্ষিণ ধুমাইটারী গ্রামের মো গোলাম মোস্তফা প্রামাণিক রাজু। 
এর মধ্যে আলহাজ্ব মাওলানা মো মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যাসহ একাধিক নাশকতার মিথ্যা মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তিনি কোর্টে আত্মসমর্পণ করে বেশ কিছুদিন ধরে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে রয়েছেন।
এছাড়া গোলাম মোস্তফা প্রামাণিক রাজু। সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জামায়াত নেতা মো নুরুন্নবী প্রামাণিক সাজুর ছোট ভাইও ঝিনিয়া এমএ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তার বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জ থানায় নাশকতা ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একাধিক মিথ্যা মামলা রয়েছে। গত ১০ মার্চ নির্বাচনী প্রচারণার সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে তিনি বর্তমানে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে রয়েছেন। 
এদিকে, কারাগারে থেকে দুই জামায়াত নেতা চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করায় তাদের স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, পরিবারের সদস্য, দলীয় নেতাকর্মী ও কর্মী-সমর্থকরা ভোট প্রার্থনা করছেন। শেষ মুহূর্তে এসে তারা এখন দিন-রাত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। 
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে আরও জানা যায়, চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী মিজান কারাগারে বন্দী থাকায় তার পক্ষে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তার স্ত্রী মোর্শেদা বেগম। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের কাছে ছুটে বেড়াচ্ছেন তিনি। এ সময় তিনি অন্যায়ভাবে তার স্বামীকে জেলে আটকে রাখার বিষয়টি ভোটারদের সামনে তুলে ধরছেন। ফলে ভোটারদের মাঝে ব্যাপক সহানুভূতির সৃষ্টি হয়েছে। 
এলাকার সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চশমা প্রতীকের প্রার্থী হাজী মিজান এলাকায় একজন ভালো মানুষ হিসেবে সুপরিচিত। তিনি পেশায় মাদরাসা শিক্ষক হওয়ায় এলাকায় অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী এবং তাদের পরিবারের লোকজনের কাছে ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিতি রয়েছে তার। এছাড়াও সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় হাজী মিজানের কর্মদক্ষতা সম্পর্কেও সবাই পরিচিত। 
অপর প্রার্থী গোলাম মোস্তফা রাজু এলাকার একজন সুপরিচিত নাম। স্কুলের একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে এলাকায় যথেষ্ঠ প্রভাব রয়েছে। মিথ্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার করায় এলাকাবাসী খুবই ক্ষুব্ধ। জামায়াতের সাথে সম্পর্কের কারণে তার উপর এই জুলুম। জেলে থাকায় এলাকায় ব্যাপক সাড়া পরেছে। তার স্ত্রী মোছাঃ শিউলি বেগম দিন রাত চশমা মার্কায় ভোটের জন্য ছুটে বেড়াচ্ছেন ভোটারদের কাছে। তিনি জানালেন সুষ্ঠু ভোট হলে তার স্বামী বিপুল ভোটের ব্যাবধানে অবশ্যই জয়ী হবেন। 
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে আরও জানা গেছে দেহবন্ধ রামজীবনসহ গোটা উপজেলার ভোটারদের মাঝে জামায়াতে ইসলামীর ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে হাজী মিজানসহ জামায়াতের প্রার্থীদের বিজয় সুনিশ্চিত বলেই তারা মনে করছেন। 
এদিকে, কারাবন্দী জামায়াত নেতা হাজী মিজান রাজুর সুনিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নিতে সরকারি দল ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী, আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা ভোটারদের নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। জামায়াত নেতাকে ভোট দিলে মামলা-হামলারও ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অনেক ভোটার অভিযোগ করেছেন। এসব কারণে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী মিজানের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। গোটা উপজেলার সবকটি ভোট কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। একই সাথে রামজীবন ইউনিয়নের ৪টি ভোটকেন্দ্র যথাক্রমে- কাশদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কে-কৈ কাশদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিজপাড়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসা এবং রামজীবন মাদরাসা ভোট কেন্দ্রকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দাবি করে নির্বাচন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে আ’লীগ প্রার্থী, আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থীর লোকজন জোরপূর্বক ভোট কেটে নিতে পারে বলে আশংকা রয়েছে। সুন্দরগঞ্জ এলাকায় অতীতে প্রতিটি নির্বাচনেই জামায়াত সমর্থিত প্রাথীরা বিজয়ী হয়েছেন। বর্তমান সরকারের আমলে সীমাহীন জুুলুম-নির্যাতন-নীপিড়নের ফলে সাধারণ ভোটারদের মাঝে জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী মিজানের চশমা প্রতীকের প্রতি ব্যাপক গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। 
জানা গেছে, রামজীবন ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ২১ হাজার। এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদ দখলের লড়াইয়ে নেমেছেন ১০ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত একজন এবং আ’লীগের বিদ্রোহী রয়েছেন একজন। জাতীয় পার্টি থেকে লড়ছেন একজন। অন্যরা সবাই স্বতন্ত্র। বিএনপি এই ইউনিয়নে কোন প্রার্থী দেয়নি। জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব মিজানুর রহমানকেই সমর্থন দিয়েছে বিএনপি। ফলে দলমত নির্বিশেষে সবার মাঝেই ব্যাপক গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছেন হাজী মিজান। 
উল্লেখ্য, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৫ ইউনিয়নের মধ্যে ১৩ ইউনিয়নে ভোট হচ্ছে আগামী ৩১ মার্চ। ১৩ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৯২ জন ও সংরক্ষিত নারী এবং সাধারণ সদস্য পদে ৫৩৪ জন প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এর মধ্যে ৪৯ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা, নাশকতা, সন্ত্রাস, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নারী ও শিশু নির্যাতনহ বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় মামলা রয়েছে। তারা জামিনে এসে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো আবদুল মালেক জানান, মিজানুর রহমান জেলা কারাগারে থাকায় তার পক্ষে স্ত্রী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এছাড়া গোলাম মোস্তফা প্রামাণিক মনোনয়নপত্র দাখিল করে প্রচারণার সময় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। দু’জন প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন। তারা দুজনই চশমা প্রতীক পেয়েছেন।

সোমবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৫

অন্তর্কোন্দলে ৬ মাসে আওয়ামী লীগের ৩৫ নেতাকর্মী খুন


দলীয় পদ-পদবি, চাঁদার টাকা ভাগাভাগিসহ নানা কারণে খুনোখুনিতে জড়িয়ে পড়ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসব কারণে গত ৬ মাসে ৩৫ নেতাকর্মী খুন হয়েছেন।
খুন আতঙ্কে ভুগছেন আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা। কখন কে কোথায় কীভাবে আক্রান্ত হন সে আশঙ্কায় উদ্বেগ উৎকণ্ঠা রয়েছে তারা।
এছাড়া একের পর এক খুনের ঘটনায় মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাজধানীসহ সারাদেশের চিত্র প্রায় একই। এসব হত্যাকা-ের নেপথ্যে রয়েছে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তার। এছাড়া টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও মাদক ব্যবসার ভাগবাটোয়ারার বিষয়ও আছে বেশ কিছু হত্যাকা-ের নেপথ্যে। হত্যাকা-ের সঙ্গে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও ভাগবাটোয়ারার বিষয় জড়িত।
তবে দলটির শীর্ষ নেতারা বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তাঁরা বলছেন, দলের ভেতর কোনো কোন্দল নেই। সন্ত্রাসী, খুনি ও মাদক ব্যবসায়ীদের কোনো দলও নেই। একটি কুচক্রীমহল আওয়ামী লীগের উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে নানা অপপ্রচার করছে। ১৩ আগস্ট রাজধানীর মধ্যবাড্ডার পানির ট্যাঙ্কি এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবলীগের দু’গ্রুপের গোলাগুলিতে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩ নেতা নিহত হন। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ খুনের ঘটনা ঘটেছিল।
১৫ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেট এলাকায় জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ওপর গুলিবর্ষণ করেছেন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা। সবুজ (২৪) নামে আওয়ামী লীগের এক কর্মী নিহত হন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘দলীয় কোন্দলে কোনো খুনোখুনির ঘটনা ঘটেনি। যদি এমন প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে দল ও সরকার অবশ্যই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সংসদে গৃহপালিত বিরোধী দল এবং তাদের সক্রিয় কোনো ভূমিকা না থাকায় সরকারি দলের নেতাকর্মীরা ব্যক্তিগত নানা সুযোগ-সুবিধা হাসিলের জন্য বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ফলে ক্ষমতাসীন দলটির মধ্যে খুনোখুনি ও অন্তর্দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে।
বিশ্বের প্রথম মানবাধিকার ও মিডিয়া কোম্পানি ওয়ার্ল্ড সেফগার্ড অ্যান্ড মিডিয়া লিমিটেড, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ভয়াবহ চিত্র পাওয়া গেছে।
আসকের তথ্যমতে, ‘গত ছয় বছরে (২০০৯-১৫) সরকারি দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অন্তত ১৭২ নেতাকর্মী খুন হয়েছেন। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও চরমপন্থিদের হাতে খুন হয়েছেন আরও ৭৪ জন।
এসব হত্যার পাশাপাশি দলীয় কোন্দলে সৃষ্ট সংঘর্ষে ছয় বছরে আহত ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ৬৯১। এদের প্রায় সবাই সরকারি দলের নেতাকর্মী। এ সময়ে নিজেদের মধ্যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে এক হাজার ১১১টি। এছাড়া গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠনের প্রায় ২৫ নেতা খুন হয়েছেনÑ বলছে ওয়ার্ল্ড সেফগার্ড অ্যান্ড মিডিয়া লিমিটেড।
৫ জুন ঝালকাঠি সদর উপজেলায় তৌহিদুল ইসলাম সিকদার নামে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় গগন বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি বিনয়কাঠি ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
১৭ জুন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বালাইশপুর গ্রামে মফিজ উল্লাহ (৫৫) নামে এক মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগ নেতাকে গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত মফিজ উল্লাহ বশিকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এ ঘটনায় লাদেন মাছুম বাহিনীকে দায়ী করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
১৯ জুন ফেনীতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মোহাম্মদ মানিক (৩০) নামে যুবলীগের এক নেতা নিহত হয়েছেন। মানিক ফেনী সদর উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কিছুদিন আগে বালিগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের কিছু নেতাকর্মীর মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। ওই বিরোধের জেরে ইউনিয়নের ধোন সাহাদ্দা গ্রামের কয়েকজন যুবলীগ কর্মী বালিগাঁও ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে উজ্জ্বল মেম্বারকে মারধর করেন। এ ঘটনায় মোয়াজ্জেমের সমর্থকরা কুরুচিয়া গ্রামে গিয়ে মোহাম্মদ মানিককে গুলি করেন। জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম মিয়াজী ওরফে স্বপন অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কথা অস্বীকার করে বলেন, দুর্বৃত্তরা মানিককে গুলি করে হত্যা করেছে।
২৮ জুন লালমনিরহাট সদর উপজেলা যুবলীগ সদস্য বুলেটকে (৩২) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, শত্রুতার জেরে দুর্বৃত্তরা রাতে তাঁকে ফোন করে মহেন্দ্রনগর বাজারে ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
২৯ জুন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলার বাইশগাঁও ইউনিয়নের কেয়ারী গ্রামের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে স্থানীয় ছাত্রলীগকর্মী হারুনুর রশিদ বাবুর সঙ্গে একই গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে ওসমান গনির হাতাহাতি হয়। এর জেরে ওইদিন সন্ধ্যায় বাবুর পক্ষ নিয়ে কেয়ারী গ্রামের ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত ওমর ফারুকের নেতৃত্বে ৮-১০ নেতাকর্মী ওসমানের ঘর, তাঁর চাচা আওয়ামী লীগ নেতা ইয়াকুব আলী ও চাচাতো ভাই সিরাজ মাস্টারের ঘরে ভাঙচুর চালায়। এ সময় তাদের বাধা দিলে ছাত্রলীগের ওই নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ নেতা ইয়াকুব আলী ও তাঁর চাচা ফজলুর রহমানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে এবং পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে শনিবার দুপুর ৩টার দিকে গাজীপুরের টঙ্গীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইয়াকুব আলী।
৪ জুলাই চট্টগ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে নুরুল হুদা নামে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১২ জন। নুরুল হুদা বাড়বকু- ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। সীতাকুন্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইফতেখার হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে নিহত নুরুল হুদা ও ছালামত উল্লাহ ছুট্টুর মধ্যে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। জমি চাষকে কেন্দ্র করে পূর্বশত্রুতার জেরে ছালামত উল্লার পক্ষের লোকজনের আঘাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’
৫ জুলাই কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় ইয়াকুব আলী (৫৮) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। গাজীপুরের টঙ্গীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। ইয়াকুব আলী উপজেলার কেয়ারী গ্রাম আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
১১ জুলাই রাজবাড়ী সদরের পাঁচুরিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুস ছাত্তারকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি রেল কর্মচারী ছিলেন। পুলিশ ও চেয়ারম্যানের ধারণা, জমিজমা সংক্রান্ত পূর্বশত্রুতার জেরে দুর্বৃত্তরা তাঁকে হত্যা করে।
২১ জুলাই জেলার রানীনগরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আমজাদ হোসেন (৩৫) নামে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। উপজেলার বোঁহার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের স্ত্রী ফাইমা বিবি বাদী হয়ে রানীনগর থানায় ৩৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ ৫ আসামিকে গ্রেফতার করে।
২৪ জুলাই পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুরে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। নিহত দানেজ শেখ আমিনপুরের চরপাড়া মালঞ্চি গ্রামের কিয়ামুদ্দিন কেরু শেখের ছেলে এবং আমিনপুর থানা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
৩১ জুলাই চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল হান্নান ছোটকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি উপজেলার দর্শনা পৌরসভার শ্যামপুর গ্রামের মরহুম তনু মল্লিকের ছেলে। সীমান্তবর্তী ঈশ্বরচন্দ্রপুর কানাপুকুর ব্রিজের অদূরে গত বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
১ আগস্ট সন্দ্বীপের মগধরা ইউনিয়নের নামারবাজার এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সন্দ্বীপ থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক গ্রুপ আরেক গ্রুপের ওপর হামলা চালিয়ে ওই কর্মীকে খুন করে।’
৭ আগস্ট নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়ন যুবলীগের দফতর সম্পাদক মিলন সরকারকে (২৮) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। দেওটি ইউনিয়নের মুহুরীগঞ্জ বাজারের কাছে এ ঘটনা ঘটে। মিলন স্থানীয় সারেং বাড়ির নাদেরুজ্জামানের ছেলে। মিলনের মুহুরীগঞ্জ বাজারে ডেকোরেশনের ব্যবসা রয়েছে।
একইদিন বরিশালের আগৈলঝাড়ায় রাসেল ব্যাপারী (২৩) নামে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় রিন্টু (২২) নামে আরও এক ছাত্রলীগ কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। আগৈলঝাড়া উপজেলার ট্যামার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাসেল ব্যাপারীর মৃত্যু হয়।
১২ আগস্ট দুপুরে সিলেট মদন মোহন কলেজ ক্যাম্পাসে আগের দিনের বিরোধের জেরে ছাত্রলীগকর্মী আবদুল আলীকে প্রণজিৎ দাশের নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে ছুরিকাঘাত করেন। সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে নেওয়ার পর আলীর মৃত্যু হয়। আলী একই কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ও সিলেটের দক্ষিণ সুরমার নিজসিলাম গ্রামের আলকাছ মিয়ার ছেলে।
২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলায় হতাহতদের স্মরণে শুক্রবার বিকালে কালিয়াকৈর পৌর আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠান চলার সময় কাছের চা দোকানের সামনে হত্যা করা হয় কালিয়াকৈর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলামকে (৫০)।
আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে এই হত্যাকা- ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
১ সেপ্টম্বর দুর্বৃত্তের গুলিতে পলিটেকনিক ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগ কর্মী মেহেদী হাসান বাদল নিহত হয়েছেন। নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার শেরশাহ কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, পায়ে হেঁটে বাসায় ফেরার পথে পিছন থেকে মেহেদীকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। শেরশাহ কলোনির বাসিন্দা মুখলেছুর রহমানের ছেলে মেহেদী।
৬ সেপ্টম্বর গফরগাঁও উপজেলার নবগঠিত পাগলা থানার পাইথল ইউনিয়নে রাজমিস্ত্রিকে খুন হয়েছেন। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, পাইথল পশ্চিমপাড়া ক্লাবঘর থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে রাজমিস্ত্রি মো. আজিজুল হককে (২৪) হয়েছেন। সে পাইথল পশ্চিমপাড়া গ্রামের মো. সুলতানের ছেলে। তার পরিবারের লোকজন খুনের সংবাদ পেয়ে পাগলা থানায় বিষয়টি অবহিত করে। পাইথল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আফতাব উদ্দিন ঢালী জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে খুন হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। সে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
১৪ সেপ্টম্বর ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের নিগুয়ারি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোহর উদ্দিন (৬০) দুর্বৃত্তের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হয়েছেন। ডুবাইল গ্রামের খোকা মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তিনি গফরগাঁও উপজেলার (পাগলা) মাখল গ্রামের মৃত শামসুদ্দিনের ছেলে।

১ অক্টোবর ফেনীর সোনাগাজীতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীদের হাতে গিয়াস উদ্দিন (৩০) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় রানা নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী এবং সেলিম নামে এক যুবলীগ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
৮ অক্টোবর কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আকম শাহাব উদ্দিন ফরায়েজী দুর্বৃত্তের হাতে খুন হয়েছেন। খুনের আলামত নষ্ট করতে তার মুখ ও শরীরের বিভিন্ন অংশ এসিডে ঝলসে দেয়া হয়েছে।
শাহাব উদ্দিন ফরায়েজীর ছেলে মেহেদী হাসান জানান, তার বাবাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
২০ অক্টোবর হাতুড়ির আঘাতে রাজশাহী নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম (৫০) খুন হয়েছেন। নগরীর লক্ষ্মীপুর প্যারামেডিকেল রোডে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ নিহত আসলামের খালাতো ভাই জাহিদকে আটক করেছে। নিহত আসলাম নগরীর হেতেমখাঁ এলাকার মৃত ইসলামের ছেলে। তিনি রাজশাহী ওয়াসার পানির পাম্পচালকের কাজ করতেন।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, এক সপ্তাহ আগে জাহিদের সঙ্গে আসলামের বাকবিত-া হয়। এরই জের ধরে জাহিদ কৌশলে আসলামকে লক্ষ¥ীপুর এলাকায় নিয়ে গিয়ে তার ভাগ্নে পাভেলের সহযোগিতায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন।
২০ অক্টোবর বাগেরহাটের রামপালে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের কালিকাপ্রসাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল মাজেদ সরদার (৬৫) রাজনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক। তিনি কালিকাপ্রসাদ গ্রামের প্রয়াত আব্বাস সরদারের ছেলে।
২২ অক্টোবর নাটোরের সিংড়া উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় আবদুল হান্নান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মী খুন হয়েছেন। সিংড়া উপজেলার ইটালী ইউনিয়নের তিরাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২৩ অক্টোবর রংপুর পীরগাছা উপজেলার দামুরচাকলা বাজারে আওয়ামীলীগ নেতা সদরুল ইসলামকে(৪৫) নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বাড়ি ফেরার সময় উপজেলার দামুরচাকলা বাজারের পূর্ব পার্শ্বে ইট ভাটার নিকট একদল মুখোশধারী সন্ত্রাসী তার পথ রোধ করে। পরে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মাথা ও হাত-পা দ্বিখন্ডিত করে লাশ রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যায়।
২৫ অক্টোবর নোয়াখালীতে ছাত্রলীগ মাগুরায় আওয়ামী লীগ কর্মী খুন আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীতে ছাত্রলীগ কর্মী তারেক হোসেন স্বপন ও মাগুরায় আওয়ামী লীগ কর্মী আরব লস্কর খুন হয়েছেন।
দলীয় আধিপত্যকে কেন্দ্র করে চাটখিল পৌরসভার ছয়ানী-টগবা গ্রামে ছাত্রলীগ কর্মী তারেক হোসেন স্বপনকে (২৪) নিজ বাড়িতে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ কর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গঙ্গারামপুর ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা মাকছুদুর রহমান ডলার এবং ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ শেখের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বিরোধের কারণেই তিনি খুন হন।
৩০ অক্টোবর যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার কাগজপুকুর বাজারে আব্দুস সামাদ (৪৫) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত সামাদ কাগজপুকুর গ্রামের নসরউদ্দিনের ছেলে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান জানান, নিহত সামাদের শরীরে কোপের দাগ রয়েছে। চোরাকারবারি ব্যবসায় প্রতিপক্ষের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জের ধরে এ হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কর্মী ছিল।
১০ নভেম্বর রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার টেপামধূপুর ইউনিয়ন এর বাজেমজকুর গ্রামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত রহমত আলী (৫৯) আওয়ামী লীগের টেপামধূপুর ইউনিয়ন কমিটির নেতা। পেশায় তিনি ওষুধ ব্যবসায়ী। ঘটনার সময় তিনি রাত সাড়ে ১০টায় বাড়ি ফেরার পথে চৈতার মোড় বাজারের কাছাকাছি পৌঁছালে একদল দুর্বৃত্ত তার ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। খুনিরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়।
সর্বশেষ গতকাল ১৪ নভেম্বর জমি নিয়ে বিরোধের জের নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আওয়ামী মহিলা লীগ নেত্রী হালিমা বেগম জরিনাকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে স্বামীসহ প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
Media watch Bangladesh এর সৌজন্যে

বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

গ্যাস ও বিদ্যুৎ এর মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী,গাজীপুর মহানগর

গ্যাস ও বিদ্যুৎ এর মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী,গাজীপুর মহানগর ।
গাজীপুর মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মো.হোসেন আলীর নেতৃত্বে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় আজ সকাল ৮ টার দিকে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করে মহানগর জামায়াত।
এসময় মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগর শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সভাপতি মো.আজহারুল ইসলাম,শিবির গাজীপুর মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক ইশমাম আব্দুল্লাহ,জামায়াত জয়দেবপুর দক্ষিনের অামির সাঈদুর রহমান,জামায়াত নেতা আশরাফ আলী কাজল,শিবির গাজীপুর মহানগরীর শিক্ষা সম্পাদক সাইফুল ইসলাম,কলেজ ও ফাউন্ডেশন সম্পাদক আরিফ রব্বানী,প্রচার সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম,ছাত্রকল্যান সম্পাদক আবু হানিফ তুহিন,মাদ্রাসা ও সমাজসেবা সম্পাদক শহিদুল ইসলাম জামায়াত ও শিবিরের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জামায়াত নেতা হোসেন আলী সরকারকে হুশিয়ারি করে বলেন বাংলাদেশে বর্তমান সরকার গ্যাস ও বিদ্যুৎ এর মূল্য বৃদ্ধি করে দেশের মানুষের মাঝে অশান্তির নতুন রুপ ধারন করছে,সরকার অবৈধ হওয়ার কারনে যা ইচ্ছা তাই তারা করে যাচ্ছে,অবিলম্বে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য কমিয়ে আনুন আর না হলে পদত্যাগ করুন,অন্যথায় দেশের জনগন আপনাদের অত্যচারের কড়া মূল্য দিতে প্রস্তুত রয়েছে,পড়ে সবাইকে মিছিলে অংশগ্রনের জন্য ধন্যবাদ জানান ও আগামী দিনে সকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহনের আহবান জানিয়ে মিছিলটি শেষ হয়।

সোমবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৫

গুমের ঘটনা সরকারের নির্দেশেই হয়েছে, তদন্তে জাতিসংঘকে উদ্যোগ নেয়ার আহবান বেগম খালেদা জিয়ার

দেশে সংঘটিত গুমের ঘটনাসমূহ সরকারের নির্দেশেই হয়েছে অভিযোগ করে আন্তর্জাতিক তদন্তে জাতিসংঘকে উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানিয়েছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
রোববার বিকালে বিশ্ব গুম দিবস উপলক্ষে গুলশান কাযার্লয়ে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন এই আহবান জানান।
তিনি বলেন, ‘‘ দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে সন্ত্রাস ও গুম-খুনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা জানি, সরকারের নির্দেশ-আদেশ ছাড়া এসব কাজ র্যাব-পুলিশ করতে পারে না। আজ আন্তর্জাতিক গুম দিবসে গুম হয়ে যাওয়া পরিবারের স্বজনরা অনেকে সরকারের কাছে দাবি করেছেন, তদন্ত করে তাদের খুঁজে বরে করে স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য।
‘‘ কিন্তু আমি জানি সরকার কোনোদিনও তদন্ত করবে না। এদের কাছ থেকে কোনো সুষ্ঠু তদন্ত হবে না। তাই আমি দাবি করছি জাতিসংঘের অধীনে আন্তর্জাতিক তদন্ত করতে হবে। দেশে যারা নিরপেক্ষ আছেন তাদের নিয়ে ওই তদন্ত করতে হবে।’’
২০০৯-২০১৫ সাল পযর্ন্ত বিভিন্ন সময়ে গুম হয়ে যাওয়া ২৬ জন নেতা-কর্মীর পরিবারের সদস্যদের সহমর্মিতা জানাতে বিএনপি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের শুরুতে গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের ওপর ‘অনন্ত অপেক্ষা’ নামে ১৩ মিনিটের নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। তথ্যচিত্রটি প্রদর্শনের সময়ে গুম হওয়া পরিবারের সদস্যরা তাদের স্বজনদের ছবি দেখে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। এ সময়ে খালেদা জিয়াকে অশ্রুসজল দেখা যায়।
বিএনপি চেয়ারপারসন অনুষ্ঠানে আসা গুম হয়ে যাওয়া পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ও তাদের খোঁজ-খবর নেন।
অনুষ্ঠানে নিখোঁজ ও গুম হয়ে যাওয়া বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদির লুনা, সাজেদুল ইসলাম সুমনের বড়ো বোন মারুফা ইসলাম ফেরদৌসী, ছোট বোন সা্নজিদা ইসলাম, হুমায়ুন কবীর পারভেজের স্ত্রী শানাজ আখতার, যুবদলের ইকবাল মাহমুদের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, স্বেচ্ছাসেবক দলের এএম আদনান চৌধুরীর বাবা রুহুল আমিন চৌধুরী, ছাত্র দলের নিজামুদ্দিন মুন্নার বাবা শামসুদ্দিন, মাহবুব হাসান সুজনের স্ত্রী তানজিনা আখতার, খালিদ হাসানের স্ত্রী সৈয়দা শাম্মী সুলতানা, মাহফুজুর রহমান সোহেলে বাবা শামসুর রহমান, মাজেদুল ইসলাম রাসেলের বোন লাবনী আখতার, সেলিম রেজা পিন্টুর বোন রেহানা বানু মুন্নী প্রমূখ স্বজনরা খালেদা জিয়ার সামনে নিজেদের মন যন্ত্রণার কথা তুলে ধরে মর্মস্পশী বক্তব্য রাখেন।
তাদের বক্তব্যের জবাবে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বলেন, ‘‘ বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার অধিকার নেই। কারো কথা বলার অধিকারও নেই। কেউ কোনো অনুষ্ঠানও করতে পারবে না।’’
‘‘ যারা জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতায় বসে আছে, যারা মিথ্যা কথা বলতে পারে, তাদেরই অধিকার কেবল আছে।’’
২০০৯-২০১৫ সাল পযর্ন্ত গুম হওয়া স্বজনদের আবেগ অনুভুতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘ এই সরকার কখনো গুমের ঘটনার সুষ্ঠু কোনো তদন্ত করবে না। আমি স্বজন শুধু স্বজনদের সাত্বনা দিতে পারি, আশ্বাস দিতে পারি এর বেশি কিছু আমাদেরও করার নেই। আমরা জানি না আমরা কিরকম থাকবো, কখন গুম-খুন হয়ে যাবো না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।শুধু আল্লাহ তালা জানেন। শুধু মানুষের আস্থার ওপর আমরা ভরসা করে চলি। আমাদের বিশ্বাস এদেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে, আল্লাহ আমাদের সঙ্গে আছে।’’

গুম হওয়া ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কেউ পার পাবে না হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ একদিন না একদিন এসবের বিচার হবেই হবে। যারা অন্যায় করেছে, অপরাধ করেছে, তাদের প্রত্যেকের শাস্তি হবে হবে হবেই। স্বজনহারারা অন্ততপক্ষে জানতে পারবেন তখন তাদের ছেলে গুম হয়েছিলো, তাদের কিভাবে হত্যা করা হয়েছিলো, তা জানতে পারবেন। স্বজনরা অনেকে বলে গেছে, যদি ডেডবডিটা পেতো, তাহলে জিয়ারত করতে পারতেন।’’
‘‘ সেজন্য আমাদের যদি আল্লাহ সুযোগ দিলে অবশ্যই এই কাজটা করবো। প্রত্যেক পরিবারকে সহযোগিতা করবো।’’
বছরের প্রথম দিকের তিন মাসের আন্দোলনে নাশকতার জন্য ক্ষমতাসীন দলকে দায়ী করে দেশ নেত্রী বলেন
‘‘ আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা বানোয়াট মামলা দেয়া হয়েছে। তারা নাকী পেট্রোল বোমা মেরেছে। আসলে আন্দোলনকে ভিন্নপথে নিতে ও জনগনকে বিভ্রান্ত করতে সরকার চেয়েছে। পুলিশও নিজেরা স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেছে, আমরাও ওইসব কাজ করেছি। এর রেকর্ড আছে।’’
ক্ষমতাসীন দলের অনেকে পেট্রোল বোমাসহ আটক হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘‘ দেশকে সরকার অকাযর্কর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে দিয়েছে তারা। এভাবে কোনো দেশ চলতে পারে না।’’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ,মাহবুবুর রহমান, জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, হাফিজউদ্দিন আহমেদ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় নেতা শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, হাবিবুর রহমান হাবিব, শামীমুর রহমান শামীম, শহীদুল ইসলাম বাবুল, হায়দার আলী লেলিন, শেখ শামিম,ওমর ফারুক শাফিন, মহিলা দলের শিরিন সুলতানা, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের শামা ওবায়েদ, ব্যারিস্টার রুমীন ফারহানা, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মারুফ কামাল খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে সাংবাদিক শফিক রেহমান ও ধানের শীষের সম্পাদক সাখাওয়াত সায়ান্থও ছিলেন।

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী