বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার
মতামত লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
মতামত লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ৭ জুন, ২০২১

সম্পর্ক, চিন্তা ও চাওয়া পাওয়ার এপিঠ ওপিঠ

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24: সম্পর্ক,  চিন্তা ও চাওয়া পাওয়ার এপিঠ ওপিঠ  বাংলাদেশ নিউজ24 আমাদের
আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃ কারো পাজেরো গাড়ি থামছে রাতের গভীরে নিষিদ্ধ পল্লীতে, ঘরে অপেক্ষারত স্ত্রী দীর্ঘশ্বাস ফেলছে...! কেউ ভাঙা ঘরে থেকে স্ত্রীকে নিয়ে অবিরত স্বপ্নের জোয়ারে ভাসছে।

কেউ ভাবছে আর কয়েকটা দিন! ডিভোর্স পেপারে সাইন করলেই মুক্তি। কেউ একটা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য যুদ্ধ করে চলছে।
কেউ সন্তান ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে দায়মুক্ত হতে চাইছে। কেউ একটা সন্তানের জন্য সারাটা জীবন হাহাকার করছে!
কেউ বছরে কতোজন ভালবাসার মানুষ বদলে ফেলছে! কেউ শুধু একটা সত্যিকারের ভালবাসার মানুষের জন্য অপেক্ষা করে চলছে।
কেউ দামি শাড়ি হাতে পেয়ে তবু খুশি নয়! কেউ তাঁতের নতুন শাড়ির বারবার গন্ধ শুঁকছে।
কেউ লাখ টাকার ডাইনিং টেবিলে বসেও তৃপ্তি সহকারে ভাত খেতে পারছেনা! কেউ পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ কচলিয়ে গোগ্ৰাসে ভাত গিলছে।
কারো দামি খাটে শুয়েও আবার ঘুমের ওষুধ খেতে হচ্ছে! হিমেল হাওয়ায় কেউ অঘোরে ঘুমোচ্ছে।
কারো পড়ার টেবিলে নতুন বইয়ের সমারোহ কিন্তু পড়তে ইচ্ছে
করছেনা। কেউ পুরাতন বইয়ের দোকান চষে বেড়াচ্ছে, পকেট খালি বলে!
কেউ বিলাস বহুল গাড়িতে বসে চিন্তিত, সন্তান গুলো মানুষ হলোনা! এতো সম্পত্তি রাখতে পারবেতো? কেউ পায়ে হেঁটে পথ চলছে, মনে মনে ভাবছে... সন্তানতো মানুষ করতে পেরেছি! আল্লাহ চাইলে, ওরাই জীবনটা এখন গড়ে নিবে।
আসলে সন্তুষ্ট জীবন সাফল্যের চেয়েও বেশী গুরুত্বপূর্ণ।
©সংগৃহীত।

বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২১

আলেমরা কেন পালায়না !!

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24: আলেমরা কেন পালায় না  বাংলাদেশ নিউজ24 আমাদের
আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃ সরকার যেভাবে প্রতিদিন আলেমদের গ্রেফতার করছে তাতে একটা ব্যাপার পরীক্ষিত হয়ে গেছে . পুলিশ যতোই গ্রেফতার করছে ততোই সানন্দে আলেমরা স্বপ্রনোদিত ভাবে নিজেদের সমর্পন করে দিচ্ছেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ।

গত কয়েকদিন যেভাবে গ্রেফতার যজ্ঞ চালানো হয়েছে তা আসলেই নজিরবিহীন . কি কারণে গ্রেফতার করছে সেই বিচার বা বিশ্লেষণ আমি না-ই বা করলাম ।
কিন্তু আলেমদের ঈমানী শক্তি এতোটা কঠোর ও পোক্ত তা প্রমাণিত হলো এই গ্রেফতার যজ্ঞের মাধ্যমে . এ যেন স্বেচ্ছায় কারাবরণ. যেখানেই গ্রেফতারের জন্য গিয়েছে সেখানেই তাদেরকে যথাস্থানে ও যথারীতি পাওয়া গেছে ।
এইসব গ্রেফতারি ভীতি থাকলে সচরাচর রাজনৈতিক নেতারা গা ঢাকা দিয়ে থাকেন . কিন্তু আলেমদের ক্ষেত্রে তা দেখা যায়নি ।
আরো আশ্চর্য বিষয় হলো প্রথম দিকে যা একটু ভীতি ছিল, এখন তাও কাজ করছেনা তাদের মনে . কারণ , নির্ঘাত গ্রেফতারের সম্ভাবনা নিয়ে তরুণ ইসলামিক নেতা মুফতি হারুন ইজহার নিজ বাসভবনেই ছিল . খুব সাধারণ ভাবেই পুলিশের কাছে নিজেকে সমর্পন করেছে ।
আমার দীর্ঘ টকশো জীবনে শুধুমাত্র গত ২/৩ মাসে আগে থেকে আলেম বা ইসলামিক বক্তাদের আসার সুযোগ দেই . এর আগে কখনোই এতটা সম্পর্ক ছিলোনা এই সম্মানিত আলেম সমাজের সাথে ।
টকশোতে ইনভাইট করতে গিয়ে তাদের সাথে আমার যথেষ্ট ভাল সম্পর্ক হয় . সরাসরি দেখা না হলেও ফোনে যতটুকু কথা হয়েছে তাতে তাঁদের প্রতি আমার অনেক সম্মানবোধ তৈরী হয়েছে।
কিন্তু আফসোস এখন টকশোতে তাঁদের কাউকেই পাচ্ছিনা . যাকেই কল দেই তার ফোন বন্ধ . পরিবারের কেউ ধরলে বলছে তিনি তো এখন জেলে । পরিবারের মানুষজনগুলিও যথেষ্ট স্বাভাবিক । কি আজব মানসিক শক্তি ।
রাষ্ট্রের ক্ষতি করলে যে কেউ গ্রেফতার হবে আইনি ভাবে বিচারপূর্বক সাজা ভোগ করবে , এটাই চিরাচরিত নিয়ম।
কিন্তু এই রোজার মাসে অন্ধকার প্রকোষ্টে আলেমদের এভাবে ফেলে রাখাটা কতটুকু সমর্থিত তা ভাবতে ভারী কষ্ট লাগছে।
সরকারের কাছে আবেদন করছি, সবকিছুর উর্দ্ধে উঠে এই রমজানের সময়ে কাউকে গ্রেফতার না করে ঈদুল ফিতর যেন পরিবারের সাথে কাটাতে পারে সবাই সেই ব্যবস্থা করুন দয়া করে . কি কারণে এই বিশাল গ্রেফতার আমি জানিনা, তবে যদি শুধুই রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার গুলো করা হয়ে থাকে তাহলে বলবো এই মাসটিতে নয়।
উনারা সবাই দ্বীনি ও পরহেজগার . রোজার মাসটির জন্য তারা সারা বছর তাকিয়ে থাকে. দয়া করে ব্যাপারটি বিবেচনায় নিন।
টকশোর কারণে যাদেরকে চিনেছি তাদের প্রতিনিয়ত গ্রেফতার দেখে হাতে কলম না নিয়ে শান্তি পাচ্ছিলামনা .
আমার এই কলম সবার জন্য . নির্যাতিতদের পাশে সবসময় আছি।
সাইফুর সাগর
সঞ্চালক , ফেস দ্যা পিপল

শনিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২১

মনের ভেতরে নানা প্রশ্ন জাগানো তিনটি ঘটনা আজ হৃদয়কে নাড়া দিয়ে গেল! - শিহাব শাকির

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24: মনের ভেতরে নানা প্রশ্ন জাগানো তিনটি ঘটনা আজ হৃদয়কে নাড়া দিয়ে গেল! - শিহাব শাকির
আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃ 
১. পঞ্চাশোর্ধ্ব এক করোনা রোগী সুইসাইড নোট লিখে মুগদা হাসপাতাল থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন। লিখে গেছেন, নিজের একাকীত্বের কথা। টাকা ছিল, পয়সা ছিল। কিন্তু আত্মীয়-সজন, বন্ধু ছিল না কাছে। পরিবার ও আত্মীয়দের সবাই ছিল যুক্তরাষ্ট্রসহ "উন্নত" দেশে! একাকীত্ব সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন বলে লিখে গেছেন!

২. চলচ্চিত্রের "মিষ্টি মেয়ে" খ্যাত নায়িকা, সাবেক সাংসদ কবরী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মারা যাওয়ার পর তার একটি সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ ভাইরাল হয়েছে। তা হলো, জীবনে ভালো একজন বন্ধু পেলাম না, ভালো একজন স্বামী পেলাম না, সন্তানরাও যে যার মতো! কারো সাথে বসে এক কাপ চা খাবো, মনের কথা খুলে বলব- তা পেলাম না!
৩. "বিশ্ব রাজনীতির ১০০ বছর" লেখক, খ্যাতনামা কলামিস্ট, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রফেসর তারেক শামসুর রাহমানের লাশ নিজের বাসা থেকে দরজা, তালা ভেঙে উদ্ধার করা হয়েছে! বাসায় তিনি ছিলেন একা। স্ত্রী ও কন্যা আছেন যথারীতি "স্বপ্নের দেশ" যুক্তরাষ্ট্রে! অসুস্থ ও মৃত্যুর সময় কেউ ছিল না পাশে, কেউ জানেনি কিছু!
টাকা, পয়সা, যশ, খ্যাতি, পরিচিতি সবই ছিল। কিন্তু কারো পাশে ছিল না স্ত্রী, স্বামী বা পুত্র-কন্যা!
ছিল একাকীত্ব! অখণ্ড একাকীত্ব!
প্রত্যেকের মৃত্যুতে খুব কষ্ট লেগেছে।
কিন্তু "উন্নত" মহলে আমাদের সমাজ ও পরিবার ব্যবস্থা কোনদিকে যাচ্ছে তা ভাবতে গিয়ে আবারও শিউরে উঠেছি!
হায় রে ক্যারিয়ার, হায় রে উন্নয়ন, হায় রে উন্নত বিশ্বের স্বপ্ন! হায় রে, পরিবার ও সমাজ ব্যবস্থা!
একটু চিন্তা করতে পারেন, একটু ভাবতে পারেন।
আহা রে জীবন!!

মঙ্গলবার, ২ মার্চ, ২০২১

ইসলাম কি এতটা অসহায় হয়ে গিয়েছে যে, বাজারের নায়ক,গায়ক,খেলোয়ার দিয়ে ইসলামকে রিপ্রেজেন্ট করতে হবে?

 

আমাদের বাংলাদেশ 24 ডেস্কঃ 
মানুষ যখন পানিতে ডুবে যেতে নেয় তখন একটি কাষ্ঠ টুকরো, খড়কুটো আঁকড়ে ধরে হলেও বাচতে চায়। একটি কচ্ছপ যদি দেখতে পায় মৃত্যুর ঐ মূহুর্তেও এই আশায় বুক বাধে যে এই কচ্ছপ যদি তাকে পারে নিয়ে যেতো!

পরাজিত জাতির ইতিহাস যেমনই হোক তাদের অবস্থা থাকে অনেক করুণ। তাদের চিন্তায় চেতনায় পরাজিত ভাব ফুটে সর্বক্ষণ সর্বাবস্থায়।

আচ্ছা ইসলাম কি এতটা অসহায় হয়ে গিয়েছে যে, বাজারের নায়ক,গায়ক,খেলোয়ার দিয়ে ইসলামকে রিপ্রেজেন্ট করতে হবে? হায় আফসোস! কিভাবে তৈরী হলো এই মন মানসিকতা! (?) ইসলাম কি নায়ক-নায়িকা নর্তক -নর্তকি, গায়ক-গাইকা,খেলোয়াড় এইসব ফাসেক ফুজ্জার কবিরা গুনাহকারীদের ইসলামী রীতিনীতি পালনের মাঝে?

তাহলে কেনো তারা যখন ইসলামের কোনো একটা রীতিনীতি, বিধান পালন করে আমরা তাতে খুশিতে গদোগদো হয়ে যাই(?) হাজারো গুনাহের কারণ, হাজারো মানুষের কবীরা গুনাহ করানো ব্যক্তি যখন মাঠে সিজদা দেয় আমরা তো খুশিতে গদোগদো কেন হই? যখন নায়ক গায়ক স্টেজে উঠে কোন ইসলামিক অনুষ্ঠানে গিয়ে ইসলামের একটু কথা বলে আমরা এত খুশিতে গদোগদো কেন হই? যখন তাগুতের তাগুত কর্মী মাহফিলের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ইসলামের নামে উচ্চস্বরে চিৎকার করে স্লোগান দেয় আমরা এত খুশিতে গদোগদো কেন হই (?)

এগুলা পরাজিত জাতির নিন্দিত অবস্থান। ইসলামকে ইসলামের মেজাজে থিউরিতে না বুঝে নিজেদের মেজাজে থিউরিতে বুঝতে চাই। ইসলামকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম যেভাবে বুঝাতে চেয়েছেন সাহাবায়েকেরাম যেভাবে বুঝেছেন আমরা সেভাবে না বুঝে নিজেদের মতো করে বুঝে ব্যখ্যা করে আমল করতে চাই।

আর ইসলাম এতটা অসহায় হয়ে গিয়েছে যে আমাকে নেশাখোর নায়েকের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে অথচ সে কবীরা গুনাহে লিপ্ত মদখোর গায়কের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে অথচ সে সমাজ নষ্ট কারী, অমুক তাগুতের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে ইসলাম পৌঁছে দিতে হবে ইসলাম বুঝাইতে হবে কাছে টানতে হবে ইত্যাদি ব্লা ব্লা ব্লা।

অথচ এরা ইসলামের ধ্বংসকারী এরা ইসলামের ক্ষতিকার কারী। যুগে যুগে এরা ইসলামকে ধ্বংস করেছে এরা মানুষদেরকে ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে, এরা ইসলাম সম্পর্কে মানুষদেরকে ভুল বুঝিয়েছে নিজেরাও ক্ষতি,ভুলের উপর জীবন যাপন করেছে মানুষদেরকে তাই করিয়েছে।
এরা ইসলামকে বিকৃতি করেছে। হারামকে হালাল করেছে।

আর আমরা এদের মাথায় নিয়ে নাচি। আমাদের মন-মানসিকতা চিন্তাভাবনা এমন যেন এরা ইসলামের অনেক বড় খাদেম এদের দ্বারা ইসলামের অনেক উপকার হচ্ছে এদের দ্বারা ইসলাম বিজয় হয়ে যাবে। আফসোস আমাদের জন্য।

এই গায়ক হারাম মিউজিক দিয়ে গান করে, নারী-পুরুষ এক সাথে পার্টি কন্সার্টে গান করে নাম দিয়েছে ইসলামী সংগীত। এখন আবার ইয়াহুদীদের সাথে ছবি তুলছে,ইন্টারফেইথের মত কুফরকে প্রচার করছে আর বলছে পৃথিবীতে এখনো ভালো মানুষ আছে। যাদের ঈমান ঠিক নেই আমল ঠিক নেই, উম্মাহকে গোমরাহ করে চলছে এদের প্রতি আমাদের এত উদারতা কেনো(?) এদের প্রতি আমাদের এত ভালোবাসা থাকবে কেনো(?)

হায় আফসোস আজ উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থাকলে কি করতেন (?) সমস্যা হলো আমরা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের চাইতে বেশি দরদী, আমরা সাহাবায়ে কেরামের চাইতো ইসলামের বেশি দরদী।
Collected 
See Less 

শনিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২১

একজন নুরুল ইসলাম সিকদার ও একটি চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ ১৯৮৬সাল। আমি তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র। কী একটা কাজে আমার জরুরি ভিত্তিতে নাগরিকত্ব সনদ প্রয়োজন পড়েছিল। বদরখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন এম হোছাইন আহমদ। গ্রামে এসে পরদিন সকালে তাঁর সাথে দেখা করতে গেলাম। বলাবাহুল্য, তখনকার সময়ে এক দিনে বদরখালী-চট্টগ্রাম আসা-যাওয়া করা যেত না। বদরখালী থেকে জীপে/চাঁদের গাড়িতে বাটাখালীর পশ্চিম পাড়। নৌকায় নদী পার হয়ে পূর্ব পাড়। সেখান থেকে রিক্সায় চিরিংগা সোসাইটি। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর কাঠবডির বাসে চড়ে চট্টগ্রাম। চিরিংগা থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছতে সময় লাগত প্রায় পাঁচ ঘণ্টা। বদরখালী থেকে বাটাখালী জীপ মালিক সমিতির নির্ধারিত সময় ছিল দেড় ঘণ্টা। জীপগুলি আবার মাঝেমধ্যে পথে বিকল হয়ে যেত।

বদরখালী বাজারের উত্তর-পশ্চিম কর্নারে চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে দেখা হয়ে গেল। সালাম করে চট্টগ্রাম থেকে আমার আসার কারণ জানালাম। তিনি বললেন- চল অফিসে যাই।
ওয়াপদা রোডে একটি সেলুন ছিল। একটু এগিয়ে তিনি সেভ করার জন্য সেলুনে ঢুকলেন আর আমি বাইরে দাঁড়িয়ে রইলাম। চেয়ারম্যান সাহেবের কাজ নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করতে নরসুন্দরের দীর্ঘ সময় লাগল। অতঃপর অফিসের দিকে যাত্রা শুরু। তখন ইউনিয়ন পরিষদের অফিস ছিল বাজারের দক্ষিণে বিআইডব্লিউটিএ ভবনের দ্বিতীয় তলায়। অফিসে প্রবেশ করে চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে বললেন- একটা দরখাস্ত লিখে দাও।
আমি বিনয়ের সাথে জানতে চাইলাম- চেয়ারম্যান সার্টিফিকেটের জন্য কি দরখাস্ত দিতে হবে?
এবার তিনি মুখে কিছু না বলে হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লেন।
হঠাৎ আমার ভেতরের এক অদৃশ্য শক্তি জেগে উঠল। বললাম- দরখাস্ত লিখে আমি পরে আসব। তারপর সালাম করে অফিস থেকে বের হয়ে গেলাম। আমি তখন অনার্স ফাইন্যাল ইয়ারের ছাত্র। অনার্স শব্দের অর্থ সম্মান। দরখাস্ত করে নাগরিকত্ব সনদ নেয়াটা আইন হোক কিংবা চেয়ারম্যানের তৈরি করা নিয়ম, আমি এটাকে নিজের জন্য সম্মানজনক মনে করিনি। পরে চট্টগ্রাম মহানগরীর একজন ওয়ার্ড কমিশনারের (বর্তমান পদবি কাউন্সিলর) কাছ থেকে দরখাস্ত ছাড়াই নাগরিকত্ব সনদ নিয়ে কাজ সেরেছিলাম।
১৯৯০সাল। নুরুল ইসলাম সিকদার তখন বদরখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। বদরখালী বাজারের পূর্ব পাশে দুলাল নামক কুতুবদিয়ার এক হিন্দু ভদ্রলোকের একটি লন্ড্রি ছিল। এক দিন বিকেলে লন্ড্রিতে সিকদার সাহেবকে বসা দেখে কাছে গিয়ে সালাম করলাম। তিনি জানতে চাইলেন কেমন আছি, দেশের কী অবস্থা ইত্যাদি। উল্লেখ্য, তখন এরশাদ বিরোধী তীব্র গণ আন্দোলন চলছে। কথা বলেত বলেত হঠাৎ প্রাক্তন চেয়ারম্যান এম হোছাইন আহমদের কথা মনে পড়ে গেল। সিকদার সাহেবকে বললাম- চাচা, আমার একটি নাগরিকত্ব সনদ দরকার।
তিনি আমাকে বসতে বলে একজন লোক ডেকে অফিসে পাঠালেন অফিস খোলা কি না এবং সচিব সাহেব অফিসে আছে কি না দেখতে। লোকটি এসে বলল- অফিস বন্ধ। ইউইনিয়ন পরিষদের সচিব ছিলেন আহমদ নামক বদরখালীর এক যুবক। আহমদ বাজারের কোথাও আছে কি না দেখার জন্য তাকে পুনরায় পাঠালেন। সে সময় বদরখালী বাজারের আয়তন ছিল বর্তমান আয়তনের বড়জোর দশ ভাগের এক ভাগ। লোকটি ফিরে এসে জানাল বাজারের কোথাও আহমদ নেই। তখন নুরুল ইসলাম সিকদার আমাকে বললেন- তুমি চলে যাও, দেখি কি করা যায়।
তখন মোবাইল ফোন নামক কোন যন্ত্রের অস্তিত্ব ছিল না। না হয় তাৎক্ষিণক একটা ব্যবস্থা তিনি করতেন। আমারও সার্টিফিকেটের ব্যাপারে কোন তাড়া নেই। তাই আর কিছু না বলে সালাম করে চলে আসি।
রাত প্রায় ১০টা। তখনকার সময়ে গ্রামে ১০টা মানে গভীর রাত। ঘরে আমরা সবাই ঘুম। সিকদার সাহেবের ডাকে ঘুম ভেঙ্গে গেল। এত রাতে রাস্তা থেকে তিনি আমাকে ডাকছেন। তাড়াতাড়ি বের হলাম।
তিনি বললেন- আহমদকে না পেয়ে তার ঘরে লোক পাঠালাম সে যেন এখুনি এসে আমার সাথে দেখা করে। সে ঘরে ছিল না। দরবেশকাটা না ইলিশিয়া কোথায় যেন গেছে। রাতে ঘরে এসে খবর পেয়ে সে বাজারে এসে আমার সাথে দেখা করল। তারপর অফিস খুলে সার্টিফিকেট লিখে আমি ঘরে যাওয়ার পথে তোমাকে দিতে এলাম।
আমি অবাক বিষ্ময়ে শুনে গেলাম। প্রথমে আমার মুখ দিয়ে কোন কথাই বের হল না। তারপর বললাম- চাচা কেন আপনি এত কষ্ট করতে গেলেন?
তিনি বললেন- তোমরা উচ্চশিক্ষিত ছেলে, দেশের ভবিষ্যৎ। তোমাদের নিয়ে আমরা গৌরব বোধ করি। আগামী দিনে তোমরাইতো দেশ পরিচালনা করবে। তুমি একটি সার্টিফিকেটর কথা বলেছ, নিশ্চয় এটা তোমার খুব দরকার। ভাবলাম যেভাবে হোক আমাকে ব্যবস্থা করতে হবে.........।
তখন বদরখালীতে কোন রিক্সা-গাড়ি ছিল না। আমার হাতে সার্টিফিকেটটি দিয়ে তিনি বাড়ির দিকে হাঁটা শুরু করলেন। যতক্ষণ তাঁকে দেখা যায়, আমি দাঁড়িয়েছিলাম।
দু জন চেয়ারম্যান। একজন বলেছিলেন দরখাস্ত লিখতে, অন্যজন গভীর রাতে আমার ঘরে এসে সার্টিফিকেট দিয়ে গেলেন।
আমাকে যদি কেউ প্রশ্ন করে, আমার কাছে মূল্যবান কি সম্পদ আছে? উত্তরে বলব- বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রিসহ ডজনখানেক একাডেমিক ও পেশাগত সার্টিফিকেটের একটি ফাইল আছে আমার। ওই ফাইলটাই এখনো পর্যন্ত আমার কাছে সবচেয়ে দামি। নুরুল ইসলাম সিকদারের দেয়া সেই চেয়ারম্যান সার্টিফিকেটটি আমি এই দামি ফাইলেই সংরক্ষণ করে রেখেছি। আমার কাছে ওটা নিছক একটি সার্টিফিকেট নয়, বরং এর সাথে জড়িয়ে আছে আমার মর্যাদা, আমার সম্মান এবং আমার প্রতি একজন মানুষের অকৃত্রিম স্নেহ।
এখনো তাঁর কথাগুলো কানে বাজে- ‘তোমরা উচ্চশিক্ষিত ছেলে, দেশের ভবিষ্যৎ। আগামী দিনে তোমরাইতো দেশ পরিচালনা করবে।’ সেদিন তিনি আমাকে অনেক বড় করে দেখেছিলেন। নেতা বনার কোন আকাঙ্খা কখনো আমার মনে জাগে নি। দেশ পরিচালনা দূরের কথা, ঠিকমত নিজেকে পরিচালনা করার যোগ্যতাও তো আমার নেই।
বদরখালী ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার আজ আমাদের মাঝে বেঁচে নেই। যখনি একাডেমিক সার্টিফিকেটের ফাইলিট খুলি, চোখের সামনে ভেসে উঠে বিশাল দেহের, ততোধিক বিশাল মনের অধিকারী একজন মানুষের চেহারা।
মহান রবের দরবারে তাঁর মাগফেরাত কামনা করছি। দোয়া করি আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসে জায়গা দেন।

শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২০

ভাস্কর্যের মাধ্যমে সর্বপ্রথম যেভাবে শিরক বা মূর্তিপূজা শুরু হয়..

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ সর্বপ্রথম নবী আদম (আ:), এরপরে ইদ্রিস (আ:), এরপরে শীষ (আ:) এর ইন্তেকালের পরে নূহ (আ:) এর আগ পর্যন্ত কয়েকশত বছর কোন নবী আসেননি। এই সময়ে মানুষ ছোটখাটো কিছু পাপকাজ শুরু করলেও মূর্তিপূজা তখনো শুরু হয়নি।


সেইসময়ের আলেম-বুজুর্গ-শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিরা যখন বার্ধক্যজনিত কারনে মারা যেতে থাকলো, তখন শয়তান যুবকদের উস্কানি দিতে শুরু করলো। আহা! কত্ত ভালো মানুষগুলা সবাই মারা যাচ্ছে। তোমরা এদের স্মৃতি ধরে রাখো। এদের ছোট ছোট মূর্তি বানায়ে রাখো। যাতে সেগুলো দেখলে তোমাদের তাদের কথা স্মরন হয়। তোমরা ভালো কাজ করতে উৎসাহ পাও। তারা স্মৃতি ধরে রাখার জন্য ভালো কাজ মনে করে তাদের মূর্তি বানিয়ে রাখলো।

তারা মারা যাওয়ার পরে পরের প্রজন্ম আসলো। শয়তান এবার একটু বাড়িয়ে উস্কানি দিতে লাগলো। ঐ যে দেখো ঐ মূর্তিগুলা, তারা অনেক ভালো মানুষ ছিলো। তোমাদের বাপ-দাদারা তাদের শ্রদ্ধা করতো। তোমাদেরও তাদের শ্রদ্ধা করা উচিৎ। কিভাবে করতে হবে? তাদের সামনে শ্রদ্ধায় মাথা নুইয়ে দিতে হবে! তারা ভালো কাজ মনে করে মাথা নোয়াতে শুরু করলো!

সেই প্রজন্মের মৃত্যুর পরে এরপরের প্রজন্ম আসলো। শয়তান এবার তার চূড়ান্ত পরিকল্পনা ঢুকিয়ে দিলো। তাদেরকে বললো, ঐ যে দেখো মূর্তিগুলো। তোমাদের বাপ-দাদারা তাদের সামনে মাথা নোয়াতো। কেন জানো? কারন তারাই তোমাদের রব! তোমাদের আলো, বাতাস, পানি সবকিছু দেয়। তোমরাও তাদের কাছে সবকিছু চাইবে! এভাবে তারা মূর্তির সামনে সেজদাহ করে সবকিছু চাইতে শুরু করলো। শিরক শুরু হয়ে গেলো!

এরকয়েক প্রজন্ম পরে নূহ (আ:) এসে দেখলো সবাই মূর্তিপূজা, শিরক করতেছে। তিনি তাদের আল্লাহর একত্ত্ববাদের দাওয়াত দিতে লাগলেন। তারা উত্তর দিলো, আমরা আমাদের বাপ-দাদাদের থেকে এভাবেই দেখে এসেছি, এভাবেই শিখেছি। তারা দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করলো!!

বর্তমানেই বাংলাদেশে কিছু মানুষ একই সুরে কথা বলছে, তাদের কু যুক্তি হলো ভাস্কর্য আর মূর্তি এক নয়।
তারা সৌদি সহ বিভিন্ন দেশের কিছু মূর্তি/ ভাস্কর্য প্রদর্শন করে উদহারন দেয়। অথচ মাথা মোটা বলদরা এটা জনেনা যে সৌদি, পাকিস্তান কিংবা পৃথিবীর অন্য কোন দেশ ভালো মন্দের বিচারের মাপকাঠি নয়। আপনি যদি মুসলিম হন তাহলে আপনার ধর্মের মৌলিক বিষয়গুলো নিজে ভালো করে জানুন এবং খুজে দেখুন অর্থ অপচয় করে এসব করার মানে কি ? আর যদি বিজ্ঞান মনষ্ক হন তাহলেও যুক্তি দিয়ে বিচার করুন এসব ফালতু কাজ মানবজাতির প্রয়োজনিয় কি কাজে লাগে? ৭১ এ বীর বাঙ্গালীরা মুক্তিযুদ্ধে জীবন ত্যাগের মাধ্যমে সারা বিশ্বে দৃষ্টান্তমুলক গৌরবোজ্বল ইতিহাস রচনা করেছিলেন আর আমরা তাদের দেশটাকে লুটে পুটে চেটে পুটে খেয়ে এখন ভাস্কর্য বানিয়ে ইতিহাস বানাতে চাচ্ছি।

শিক্ষা: আজকে যেটি শ্রদ্ধার ভাস্কর্য, আগামীতে সেটি শিরকের কেন্দ্রবিন্দু
সংগৃহীত 

বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২০

নিজে সতর্ক ও সচেতন থাকুন। এবং অন্যকেও সতর্ক ও সচেতন করুন

 

১. কখনো বাসে জানালার পাশে বসে মোবাইল টিপবেন না। কখন নিয়ে যাবে, টের পাবেন না।

২. রিকশাতে বসে কোলে ব্যাগ রাখবেন না। পাশ থেকে মটরসাইকেল কিংবা গাড়িতে করে এসে হ্যাচকা টান দেবে।
-
৩. রাস্তায় কিছু খাবেন না, কিছুই না। দূরপাল্লার যাত্রা হলে বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে আসুন অথবা প্যাকেটজাত কিছু খান। পাশের যাত্রী কিছু দিলে খান না, তাতে কি? হয়তো যে পানি বা ডাব কিনলেন, বা অন্যকিছু তাতেই থাকতে পারে ঔষধ।
৪. ট্রেন জার্নিতে দরজার পাশে, দুই বগির পাশে দাড়াবেন না। কিংবা যতোই ভালো লাগুক দরজায় দাঁড়িয়ে সিগারেট খাবেন না। ট্রেনের ছাদে চলাচল যতোই রোমান্টিক লাগুক, যে গ্যাং গুলো ছিনতাই করে, তারা খুবই নির্দয় এবং বেপরোয়া। অনেক যাত্রীর লাশ পাওয়া যায় সারাদেশের ট্রেন লাইনের আশেপাশে। বেশিরভাগই বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করে ফেলা হয়।
-
৫. কপাল খারাপ হলে ছিনত্যাইয়ের শিকার হবেন। ধরা যাক হলেন। কি করবেন ? ছিনতাইকারী বেশ কয়েকজন। আপনি একা, চারপাশে কেউ নেই। আপনাকে ঘেরাও করে রেখেছে। আপনার পকেটে দামী ফোন। এসবক্ষেত্রে ভালো হয় ফোনের মায়া ত্যাগ করা। কারণ যারা ছিনতাইকারী তাদের বেশিরভাগই নেশাগ্রস্থ। আপনার জীবনের দাম পৃথিবীর যেকোনো দামী ফোনের চেয়েও অনেক বেশি।
৬. বান্ধবী বা মেয়ে বন্ধুর সাথে রেস্টুরেন্ট বা পার্কে যাচ্ছেন। হঠাৎ দেখবেন আপনার চারপাশে একদল ছেলের আবির্ভাব। এরা কিন্তু একটা গ্যাং। দেখবেন আপনাদের নিয়ে নানান রকম আজে বাজে কথা বলছে, বাজে ইঙ্গিত দিচ্ছে। আসলে ওরা চাইছেই আপনাকে উত্তেজিত করে একটা ঝামেলায় বাধাতে। এতে ওদের লাভ, সেটা কিরকম ?
ধরাযাক আপনি মাথা গরম করে ঝামেলায় জড়ালেন। ওরা আপনাকে অপমান করেছে বলে আপনি পাল্টা কিছু বললেন বা করলেন। এই পেয়ে গেলো সুযোগ। ওরা তখন বাইরে থেকে নেতা গোছের কাউকে ধরে আনবে। যিনি এসেই আপনাকে আপনার বান্ধবীর সামনেই নানান রকমভাবে জেরা করবে। তারপর বিচারে আপনাকেই দোষী বানিয়ে দেবে। অত:পর মিটমাট করার নাম করে আপনার কাছ থেকে জরিমানা বাবদ টাকা পয়সা কিংবা দামী ঘড়ি, ফোন অথবা ল্যাপটপটা রেখে দেবে। তাই এসব জায়গায় কথা বাড়ানো মানেই ঝামেলা ডেকে আনা। আর নির্জন জায়গা হলে এদের দেখা মাত্রই সরে পড়ুন।

৭. ভোররাতে ঢাকা এসে পৌঁছেছেন। সাহস দেখিয়ে রাস্তায় নেমে পড়তে যাবেন না। বাসস্টপে বা ট্রেন স্টেশনেই অপেক্ষা করুন। সকালে যখন রাস্তায় যথেস্ট মানুষ থাকবে তখন বের হন।
-
৮. ট্রেন স্টেশনে বা সদরঘাটে নিজে নিজে বয়ে নিয়ে যেতে পারেন না এমন বোঝা নিয়ে এসেছেন তো মরেছেন। মাথায় করে পৌঁছেব দেয়ার নামে আপনার কাছ থেকে চাদার মতো ৪০০-৫০০ টাকা খসিয়ে ছাড়বে কুলিরা। তাই সাবধানে থাকুন, দরদাম করে তারপর কুলি ঠিক করুন।
-
৯. নিউমার্কেট বা নীলক্ষেতের মত জায়গায় কেনা কাটা করতে গেলে খুবই সাবধান। কৌতুহলের বশে কোনো কিছুর দাম জিজ্ঞেস করলেও এখানে আপনাকে পাল্টা দাম বলার জন্য জোরাজুরি করবে। মনে রাখবেন এখানে মেজাজ দেখিয়ে লাভ নাই, এখানকার দোকানীরা সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করে।
-
১০. বাসে উঠলে প্যান্টের পিছনের পকেটে মোবাইল, মানিব্যাগ এসব কিছু রাখা নিরাপদ না। দেখবেন ভিড়ের মাঝে বাসে ওঠতেছেন যে কেউ টান মেরে নিয়ে যেতে পারে টের ও পাবেন না। তাই সামনের পকেটে এসব জিনিস রাখুন।
-
১১. বাণিজ্যমেলা, চিড়িয়াখানা, চন্দ্রিমা উদ্যান কিংবা শিশুপার্কে গিয়ে দাম খুব ভালো করে না জেনে কিচ্ছু খাবেন না। দেখা যাবে একটা সিংগাড়া কিংবা আধা প্লেট বিরিয়ানি খাইয়ে ৪০০-৫০০টাকার বিল ধরিয়ে দেবে আপনাকে।
-
১২. রাতে ঘোরাঘুরি না করাই ভালো। ছিনত্যাইকারী ধরলেতো কথাই নেই। এমনকি ‌( কিছু বিপদগামী)পুলিশ ( সক‌লেই নয় )ধরলেও বিপদ। যতই নির্দোষ হন, পুলিশ যদি বুঝতে না চায় আর আপনাকে আটকে রাখার নিয়ত যদি থাকে, তাহলে আপনার কিছুই করার থাকবে না।
-
১৩. বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছেন, হঠাৎ একটা মাইক্রোবাস এসে থামলো আপনার সামনে। সেটা প্রাইভেট গাড়িও হতে পারে। আপনাকে চালক বলবে সে গ্যারেজে ফেরার পথে বাড়তি কিছু ‘ট্রিপ’ নিচ্ছে। খুব অল্প ভাড়ায় আপনাকে পৌছে দেবার কথা বলবে। আপনি উঠবেন না। মেয়ে হলেতো আরো আগে না।
-
১৪. রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন। হঠাৎ ভদ্রবেশি কেউ এসে, সে হতে পারে ছেলে বা মেয়ে বা বয়ষ্ক পুরুষ কিংবা মহিলা, আপনার ফোন চাইলো। বললো, উনার কোন একটা সমস্যার কথা, এক্ষুনি একটা ফোন দিতে হবে কাউকে। আপনি বিশ্বাস করে ফোনটা দিলেন, দেখবেন পরক্ষণেই হুট করে বাইকে উঠে হাওয়া।
-
১৫. সাথে সবসময় আইডি কার্ডের ফটোকপি সাথে রাখুন। বিপদে পড়লে খুব কাজে দেয়। হয়তো কোনো দূর্ঘটনা ঘটেছে, অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন, তখন যারা উদ্ধার কাজে আসবে তারা আপনার পরিবার পরিজনকে জানাতে পারবে।
-
১৬. নতুন বিবাহিত হলে এবং স্ত্রীকে সাথে নিয়ে ঘুরতে এলে কাবিননামার ছবি মোবাইলে তুলে রাখুন। কখন কোন কাজে লেগে যাবে বুঝতেও পারবেন না। সবচেয়ে বড় কথা, সবসময় সতর্ক থাকুন, চোখ কান খোলা রাখুন। মনে রাখবেন,,,, 
আপনার নিরাপত্তা আপনারই হাতে। এই বিষয়ে আপনারা সতর্ক থাকবেন। নিজে সতর্ক ও সচেতন থাকুন। এবং অন্যকেও সতর্ক ও সচেতন করুন।

শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২০

কারা সত্যিকারের অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও সহনশীল ?

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ আজ পর্যন্ত কি কেউ কখনও শুনেছেন? বিশ্বের কোন মুসলিম খ্রিস্টানদের যীশুকে অবমাননা করেছে? কোন গালি দিয়েছে (নাউজুবিল্লাহ)। বা ব্যাঙ্গাত্বক কোন কার্টুন এঁকেছে?

না। কোন মুসলিমের পক্ষে কখনও এটা সম্ভব নয়। কারন মুসলমানরা তাদের ধর্ম বিশ্বাসের এক অবিচ্ছেদ্য ফরজ অংশ হিসেবেই তাদের অন্যতম নবী হযরত ঈসা (আঃ)-কে গভীরভাবে সম্মান করেন। কারন খ্রিস্টানদের যীশুই হচ্ছেন মুসলিমদের নবী হযরত ঈসা (আঃ)। ইসলাম ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআনে নাম ধরে উল্লেখ করা হয়েছে এমন নারী আছেন মাত্র একজন। তিনি হচ্ছেন হযরত মারইয়াম (আঃ)। আর তিনিই হচ্ছেন খ্রিস্টানদের “ঈশ্বরের মাতা” মেরি।
অন্যদিকে ইহুদিদের ‘মোশি’ হচ্ছেন মুসলিমদের সম্মানীত নবী হযরত মুসা (আঃ)। এভাবে আব্রাহাম হচ্ছেন মুসলিমদের জাতির পিতা হযরত ইবরাহিম (আঃ)। জোসেফ হচ্ছেন মুসলিমদের নবী হযরত ইউসুফ (আঃ)। জেকব হচ্ছেন মুসলিমদের নবী হযরত ইয়াকুব (আঃ)। ডেভিড হচ্ছেন মুসলিমদের নবী হযরত দাউদ (আঃ)। আইজেক হচ্ছেন মুসলিমদের নবী হযরত ইসহাক (আঃ)। নোয়াহ হচ্ছেন মুসলিমদের নবী হযরত নুহ (আঃ)। অ্যারন হচ্ছেন মুসলিমদের নবী হযরত হারুন (আঃ)। স্যামুয়াল হচ্ছেন মুসলিমদের নবী হযরত ইসমাঈল (আঃ)। সলেমন হচ্ছেন মুসলিমদের নবী হযরত সোলায়মান (আঃ)। মাইকেল হচ্ছেন মুসলিমদের সম্মানিত একজন ফেরেশতা হযরত মীকাঈল (আঃ)।
আল্লাহর প্রেরিত এই মহাসম্মানীত নবীদের উপর বিশ্বাস রাখা মুসলিমদের ঈমানের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তেমনিভাবে আল্লাহর ফেরেশতাদের উপর বিশ্বাস রাখাটাও ঈমানের অংশ। তাই পৃথিবীর যে কোন প্রান্তেই হোক। কোন মুসলিমের পক্ষে খ্রিস্টানদের যীশুকে এবং ইহুদিদের মোশিকে কোনভাবেই অবমাননা, কটুক্তি বা ব্যাঙ্গাত্বক কার্টুন আঁকা একেবারেই অসম্ভব।
অন্যদিকে ইসলাম ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআনে অন্যান্য সব পৌত্তলিক ধর্মের উপাস্য দেব-দেবীদের গালিগালাজ করতেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই মুসলিমদের পক্ষে আল্লাহর এই আদেশ অমান্য করে দেব-দেবীদের গালিগালাজ করাও সম্ভবপর নয়।
অথচ ফ্রান্সের মত উন্নত একটি দেশ তাদের রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে মুসলমানদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর চরমতম অবমাননাকর ব্যাঙ্গাত্বক কার্টুন শহরের সুউচ্চ ভবনে টাঙিয়ে জোড় গলায় দাবী করছে, এটাই নাকি তাদের বাক স্বাধীনতা! এটাই নাকি তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা!
অথচ সারাবিশ্বের মুসলমানদের জীবনের চাইতেও অধিকতর প্রিয় মুসলমানদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)। মহানবীর প্রতি এহেন বর্বরোচিত হিংস্র আচরনে বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের হৃদয় ভেংগে চুরমার হয়ে যাচ্ছে! হৃৎপিন্ডে রক্তক্ষরণ হচ্ছে! কান্নায় বুক ফেটে যাচ্ছে! যে নবী জীবদ্দশায় প্রতিটা মুহুর্তে মক্কার কাফের, মুনাফেক, ইহুদি ও খ্রিস্টানদের অপমান ও নির্যাতন মুখ বুঝে সহ্য করেছেন। রক্তাক্ত হয়েছেন। চরমতম অত্যাচারে নিজ মাতৃভূমি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেছেন। কিন্তু আল্লাহর দরবারে আবার তাদের জন্যই দু’হাত তুলে দোয়া চেয়েছেন- ‘হে আল্লাহ, এদের বুঝ দাও, এদের ক্ষমা কর।’
এখন বলুন তো। কারা সত্যিকারের অন্য ধর্মের প্রতি সহনশীল? কারা সত্যিকারের অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল?

পশ্চিমা দেশগুলোর সুপারিশ আর অজুহাতগুলোর মধ্যে একটা বাটপারি থাকে

 

পশ্চিমা দেশগুলোর সুপারিশ আর অজুহাতগুলোর মধ্যে একটা বাটপারি থাকে। ফ্রান্স প্রশাসন মুসলিমদের বিরুদ্ধে অযাচিত অভিযোগ উপস্থাপন করেছে, অথচ তারাই শত বছর আগে আলজেরিয়ার মুসলমানদের ওপর গনহত্যা চালিয়েছিল। তখন ফরাসী সেনারা হাজার হাজার মুসলিম সাধারণ নাগরিক, শিক্ষকসহ নানা পেশার মানুষকে হত্যা করেছে।

তখন বিশ্বের কোথাও কোনো মুসলিম ফরাসীদের গনহত্যার প্রতিবাদে খৃষ্টান কোনো পুরোহিত বা খৃষ্টীয় কোনো কিংবদন্তীকে অপমান করে কিছু করেছে বলে জানা যায় না।
আজ যখন তারা হযরত মুহাম্মদ সা.কে ঠুনকো কারণে ব্যাঙ্গচিত্র প্রস্তুত ও প্রদর্শন করছে, তখন বুঝতে হবে, অতীতকাল থেকে ফরাসী নেতৃত্বের মাঝে ইসলামের প্রতি যে ঘৃণা ও বিদ্বেষ রয়ে গেছে এ ঘটনা তারই ধারাবাহিক বহিঃপ্রকাশ।
আর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ বাক-স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে যে অন্যায়টা করলেন, তাও মানা যায় না। প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের নীতিনির্ধারকেরা যদি বাকস্বাধীনতা ভোগ না করতে পারেন, তাও ফ্রান্সের মতো দেশে, তাহলে এসব দেশের দালালদের অপদস্ত করা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না।
ফ্রান্সে মুসলিমরা সংখ্যালঘু, আর খৃষ্টানেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। দুর্বলেরা বাক স্বাধীনতার অভাব অনুভব করে, আর সংখ্যাগরিষ্ঠরা বাক স্বাধীনতার সুফল ভোগ করে। এটাই বৈশ্বিক বাস্তবতা। তাহলে কেন তারা বাকস্বাধীনতার ভিত্তিহীন অজুহাতে আমার নবির সা. অমর্যাদা করবে? ফ্রান্স, সুইডেন, ডেনমার্ক বা নেদারল্যান্ডসের এসব নোংরা ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড এখন বর্বরতার কাছাকাছি চলে গেছে।
তোমার নেতা আমার নেতা বিশ্বনবি মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আল্লাহ তাকে সম্মানিত করেছেন, দুনিয়ার কেউ তাকে অসম্মান করতে পারবে না।
‘ইন্নাল্লাহা ওয়া মালাইকাতাহু ইউসাল্লুনা আলান্নাবিয়্যি। ইয়া আইয়্যুহাল্লাজিনা আমানু সাল্লু আলাইহি ওয়া সাল্লিমু তাসলিমা।’
অর্থাৎঃ- "নিশ্চয়ই আল্লাহ এবং তাঁর ফেরেস্তাগণ নবীর উপর দুরূদ পড়েন। হে ঈমানদারগণ তোমরাও তাঁর উপর দুরূদ পড় এবং যথাযথ সম্মানের সাথে তাঁকে সালাম জানাও।"
[সূরা আহযাব, আয়াত : ৫৬]
আলী আহমেদ মাবরুর

রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০

শিরোনামহীন

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ আপনি পর্দার খুব গভীর ব্যাখ্যা দিয়ে নিজের দীনদারির গভীরতা দেখাচ্ছেন, অথচ সামগ্রিক ইসলামের জ্ঞানে আপনার এতটুকু গভীরতা নেই যে মাসালা এখানে বোরকা পরে ক্রিকেট খেলার বৈধতা নিয়ে নয়। মাসালা ইসলামের ন্যূনতম সৌন্দর্য দেখে বিবেক-প্রতিবন্ধীদের এলার্জি রোগের।

আপনি একজন সাধারণ (নন আলেম) ফ্যামিলির অসাধারণ মায়ের ভেতর খুঁজছেন তাকওয়ার সবোর্চ্চ স্তর, অথচ দেখতে পাচ্ছেন না ওদের গায়ে কী প্রচণ্ড আগুন ধরে গেছে। একজন আধুনিক মাকে বোরকা পরা আর তাঁর সন্তানকে মাদ্রাসায় দেওয়া ওদের উন্মাদ বানিয়ে দিয়েছে।

একজন জাতীয় দলের ফুটবলারের বোন, একজন জাতীয় নারী খেলোয়াড়ের কত বড় রূপান্তর! মুখ ঢাকা বোরকা পরছেন। সন্তানকে দিয়েছেন মাদ্রাসায়। এমন একটা পরিবার ও প্রেক্ষাপট থেকে যারা দীনের পথে আসেন, তাদের যে নিজের পরিবার-প্রতিবেশে কত লড়াই করতে সেটা কি আপনারা অনুধাবন করেন?

সবার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, আপনারা যারা জন্মের পর থেকে পরিবারের সবাইকে ইসলামের ভেতর পেয়েছেন, তারা কখনো এই ভাইরাল মহিলার স্বপ্ন ও সাধনার মাহাত্ম্য বুঝতে পারবেন না। চৌদ্দ গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথম আমাকে মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দেওয়ার পর আমি ও বাবা-মা কত পরীক্ষা দিয়েছি তা আমরাই জানি। এই ক্রিকেটার মাদ্রাসার ছাত্রটিকে দেখে নিজের অনেক অতীত আনন্দ-বেদনা জাগরূক হয়েছে।

পরিশেষে একটি আত্মসমালোচনামূক কথা বলি, সাহাবায়ে কেরাম অন্যের সামান্য দীনদারিকেও বড় মূল্যায়ন করতেন। আর নিজের গভীর পরহেজগারিকেও ভাবতেন সামান্য। আমরা তাঁদের সম্পূর্ণ উল্টো। অন্যের এত এত আমল-আখলাক দেখেও তার মন্দ বা দুর্বল দিকগুলোই সামনে আনি। অথচ নিজের লেবাস আর গতানুগতিক আমলেই আত্মতুষ্ট থাকি। নিজের বড় বড় গলদ ও গুনাহকেও তুচ্ছ মনে করি। 

(সংগৃহীত)

রবিবার, ৩০ আগস্ট, ২০২০

প্রসঙ্গ: আশুরার কমেডি, কারবালার ট্র্যাজেডি: প্রফেসর ড. আ ক ম আবদুল কাদের

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ আমার কিছু শিষ্য ও শুভানুধ্যায়ী আমাকে আশুরার উপর কিছু আলোকপাত করার জন্য অনুরোধ করেন। গতকাল রাতেও আমি ইউরোশিয়া ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এই বিষয়ে কথা বলি। আমি সাধারণত বিষয়টিকে তিনটি পয়েন্টে বিভক্ত করে আলোকপাত করে থাকি। এক. বিভিন্ন নবী- রাসূলগণের জীবনে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক ও সুসংবাদের বার্তাবহ ঘটনাপঞ্জি, দুই . মহানবী সা. এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হুসাইন রা. ও তাঁর পরিবারের সদস্যবৃন্দের জীবনে কারবালার প্রান্তরে ঘটে যাওয়া বিয়োগাত্মক লোমহর্ষক নারকীয় ঘটনা এবং তিন. মুহাররাম মাস ও আশুরার দিনে মুসলিম উম্মাহর করণীয়। এই আলোকে আমি অনেক আগে একটি গবেষণামূলক প্রবন্ধ রচনা করি যা ১৯৯৭ সালে একটি গবেষণা জার্নালে প্রকাশিত হয়। যেহেতু এই বিষয়ে মসজিদ, মাদ্রাসা, বিভিন্ন মাহফিল ও সেমিনারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়ে থাকে, তাই আমি এই প্রসঙ্গে দুই একটা পয়েন্ট আলোচনা করবো সাধারণত যা এই সব মজলিসে আলোচনা করা হয় না।

হিজরী ৬০ সাল। যিলহাজ্জ মাসের প্রথম দিকে ইমাম হুসাইন রা. ছিলেন পবিত্র মক্কা নগরীতে। এর আগে তিনি পবিত্র মদীনায় অবস্থান করছিলেন। কিন্তু এখানে ইয়াজীদের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ বিষয়ে বায়'আত হওয়ার জন্য তাঁর উপর চাপ প্রয়োগ করা হলে তিনি মক্কা চলে যান। তখন লোকজন পবিত্র হজ্জ্ব পালনের নিমিত্তে পবিত্র মক্কা নগরীতে এসে পৌঁছছিলেন। আর এখানেও তাঁর উপর একই রকম চাপ প্রয়োগ অব্যাহত থাকে। আর এই সময় কূফা গমনের জন্য অসংখ্য পত্র পেয়ে তিনি কূফার উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিছু সংখ্যক ভক্ত অনুরক্ত ও কয়েকজন বিশিষ্ট সাহাবী তাঁকে পবিত্র হজ্জ্ব পালনের পর যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু ইমাম হুসাইন রা. চিন্তা করলেন, এই হজ্জ্ব তো পালিত হবে আমীর মুয়াভিয়্যাহ রা. কর্তৃক মনোনীত আমীরের তত্ত্বাবধানে। এই মনোনয়ন ছিল খুলাফা রাশিদূনের যুগে খলীফা নির্বাচনের অনুসৃত ধারার ব্যাতিক্রম। যেহেতু তিনি ইয়াযীদকে বৈধ খলীফা মনে করেন না, তাই তাঁর তত্ত্বাবধানে হজ্জ্ব পালন করে ইয়াযীদের খিলাফতকে বৈধতা দিতে চান না।

এখন প্রশ্ন হলো, যেখানে মহানবীর সা. সাহাবীগণ এমন কি তাঁর আত্মীয় স্বজন এবং তাবিয়ীগণ ইয়াযীদের খিলাফত মেনে নিয়ে বায়'আত হন সেখানে ইমাম হুসাইন রা. কেন তাঁর হাতে বায়'আত করতে অস্বীকার করেন। এই বিষয়টি বুঝতে হলে আমাদেরকে Principles of Islamic Jurisprudence এর দিকে ফিরে যেতে হবে। এখানে দুটি বিষয় আলোচিত হয়। এক. 'আযীমাত আর দুই. রুখসাত। 'আযীমাত হলো যে কোন বিধানের যথাযথ অনুসরণ। আর রুখসাত হলো একাধিক অবকাশ থাকলে তার মধ্য হতে সুবিধাজনক বিধানের অনুসরণ।

ইয়াযীদের খিলাফত প্রশ্নে সাহাবীগণ ধরে নিয়েছেন এটি উম্মাহর একটি আভ্যন্তরীণ সমস্যা। এই সমস্যার সাথে কোন বহিঃ জাতি, গোষ্ঠী কিংবা ভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের কোন প্রকার ষড়যন্ত্র জড়িত নয়। তাই এই বিষয়টি নিয়ে উম্মাহর মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করা উচিত হবে না। আর ইমাম হুসাইন রা. চিন্তা করলেন, আহলে বায়তের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং মহানবীর সা. এর দৌহিত্র হিসাবে তাঁকে 'আযীমাতের পথটি অনুসরণ করা উচিত। নতুবা 'আযীমাতের পথ অনুসরণের কথা উম্মাহ বিস্মৃত হয়ে যাবে। তা ছাড়া, খিলাফত প্রশ্নে রাজনীতিতে উত্তরাধিকার মনোনয়নের মাধ্যমে রাজতন্ত্রের যে বিদ'আতের অনুপ্রবেশ ঘটেছে তা যদি প্রতিহত করা না হয় তা হলে নবী সা. এর দৌহিত্র ইয়াজীদের হাতে বায়'আত হওয়ার ফলে এটি অনুমোদন দেওয়ার কারণে তা সুন্নাহর রূপ পরিগ্রহ করবে, যা কোন ক্রমেই কাম্য হতে পারে না। তাই তিনি এই বিষয়ে কঠিন পথ তথা 'আযীমাতের পথটি অনুসরণ করেন, যার পরিসমাপ্তি ঘটে তাঁর শাহাদাতের মধ্য দিয়ে।

ইমাম হুসাইন রা. তাঁর শাহাদাতের প্রাক্কালে ফোরাত নদীর তীরে দাঁড়িয়ে ইয়াযীদ কর্তৃক নিয়োজিত সেনাবাহিনীকে উদ্দেশ্য করে এক হৃদয়গ্রাহী ভাষণ দেন। এই ভাষণটি ইমাম তাবারী তাঁর "তারীখ আল উমাম ওয়াল মলূক" গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। এই ভাষণে তিনি নিজের অবস্থান এবং এখানে আগমনের উদ্দেশ্য ও তিনি কারো জন্য হুমকি নন বলে সুস্পষ্ট ভাবে ঘোষণা করেন। এবং তিনি নিজেকে মহানবীর সা. একমাত্র জীবিত দৌহিত্র হিসাবে দাবী করেন। এর পরও কেন তাঁকে শহীদ করা হয় এটি একটি বিরাট প্রশ্ন। আমার যা মনে হয়েছে, ইয়াযীদ কিংবা তাঁর বাহিনী মনে করেছে , মহানবীর সা. এর দৌহিত্র মানে মুসলিম উম্মাহর আবেগের কেন্দ্রস্হল। যদি তাঁকে জীবিত রাখা হয় তা হলে তাঁকে কেন্দ্র করে মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধ হতে পারে, যা পুনরায় ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করার সমূহ সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই তারা তাঁকে শহীদ করাকেই নিজেদের ক্ষমতা পাকা পোক্ত করার নিরাপদ ব্যবস্থা বলে মনে করেছে। কিন্তু ভাগ্য ইয়াজীদের সহায়ক হয় নি। এই ঘটনার মাত্র তিন বছরের মধ্যেই তাঁকে অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ক্ষমতা ছেড়ে এই পৃথিবীর বুক থেকে চিরতরে বিদায় নিতে হয়েছে।

মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০২০

সময়ের পরিবর্তন......

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ যে পোস্ট অফিসে একটা মানি অর্ডার আসার জন্য তীর্থের কাকের মত জনতারা অপেক্ষা করত,সেটা আজ পরিত্যক্ত।

যেই ছেলে ১৩ টাকার বেনসন কিনে বন্ধু'দের সামনে অহংকারের ধোঁয়া ছাড়তো...সেই ছেলে এখন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মানুষের কাছে দোয়া চায়...!!

ন্যায্যমূল্যে ৫ কেজি মোটা চাল কেনার জন্য যেই লোক'টা কাঠফাটা রৌদ্রে ২০ জনের পিছনে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতো দুই-আড়াই ঘন্টা, আজ উনার বাড়ীর সামনে লোকজন লাইন ধরে বসে থাকে পেটভরে খেতে পাবে সেই আশায়...!!

মাসের ৫ তারিখের মধ্যে ভাড়া দিতে না পারলে,বাড়ী ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিতেন যেই হাজীসাহেব..উনি আজকে শ্বশুরবাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছেন ব্যাংক নিলামের শিকার হয়ে...!!

যে শিক্ষক ক্লাসের সবচেয়ে অপছন্দের ছেলেটা কে অমানুষ বলে প্রতিদিন অপমান করত সেই ছেলেটাই আজকে দায়িত্ব নিয়েছে শিক্ষকের সন্তানকে মানুষ বানানোর বৈশ্বিক চ্যালেন্জের...!!

এক সময়কার নামকরা বিউটি সোপ কসকো আজ হোটেলের টয়লেটে ব্যবহৃত হচ্ছে।

পূর্ব পুরুষ হতে প্রজন্ম প্রজন্ম ধরে যারা আপনার বাড়িতে কাজ করে পেটের জ্বালা মিটাত তাদের সন্তানেরা আজ আপনার বংশধরদের ভিটেছাড়া করতে চায়!!

সময় খুব'ই নির্মম,খুব'ই অমানবিক আবার মাঝে মাঝে খুব'ই রোমান্টিক! কখন কি উপহার নিয়ে দাঁড়িয়ে যাবে আপনার সামনে,আপনি টেরই পাবেন না...!!

সময় কখনোই স্থির নয়, সব-সময় আমার নয়, সারাজীবন আমার পক্ষেও নয় আবার বিপক্ষেও নয়! সুতরাং প্রতিশোধপরায়ন, হতাশ কিংবা আনন্দিত হবার কিছুই নাই,অহংকার কিংবা দাম্ভিকতারও কিছুই নাই...

চিরকাল কারো সমান নাহি যায়। এই কষ্টের সময়ও একদিন ফুরিয়ে যাবে......

সংগৃহীত :

বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ, ২০১৯

‘শিবিরাতংকে’ ছাত্রলীগ এবং পেছনে ঠেলা ছাত্রদল ==== মিনার রশীদ

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃ বিশ্বজিত এবং নুরু উভয়ের চেহারায় বোধহয় একটা ‘শিবির -শিবির ‘ ভাব আছে । এই ভাবটির কারণেই বেচারা বিশ্বজিতকে জীবনটি দিতে হয়েছিল । ডাকসু ভিপি নুরুকে তজ্জন্যে কী দিতে হয় তা এখনও তা স্পষ্ট নয় । 
সরকার ও সরকারপন্থী মিডিয়া ঠিক ঠাহর করতে পারছে না , একে শিবির বানাবে নাকি ছাত্রলীগ বলে কোলে তুলে নিবে । অর্থাৎ এখন সরকারের একহাত নুরের পায়ে , অন্য হাত ঘাড়ে ।
এদেশের মিডিয়ায় ও সুশীল সমাজে এটি মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে পড়েছে যে শিবিরকে খুন করা ছাত্রলীগের জন্যে নৈতিকভাবে সিদ্ধ । শুধু ছাত্রলীগের বীরদের একটু খেয়াল রাখতে হবে যাতে
বিশ্বজিতদের যেন শিবির বলে ভুল না করে ।
উগ্র এই ছাত্র সংগঠনটি পুলিশকে পাশে রেখে ‘ নুরুর চামড়া তুলে নেব আমরা ‘ , শিবির ধর , জবাই কর ‘ শ্লোগান দিচ্ছে ! একটি রাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সামনে এই ধরণের প্রকাশ্য হুমকি কি কোনো সভ্য সমাজে সম্ভব ?
শিবিরের প্রতি এই উস্মার কারণ তাদের ধারনা কোটা আন্দোলনের সাথে যুক্ত নুরু , রাশেদ প্রমুখ নেতা শিবিরের গোপন ক্যাডার । 
মতলব , Give the dog a bad name and kill him.
এই শিবির অপবাদ দেয়ার পরেও নুরুদের উথ্থান ঠেকানো সম্ভব হয় নি । তাই এখন আবার নুরুকে কাছে টানার কোশেশ শুরু হয়ে গেছে । এই লীগ সব পারে । 
নিজেরা হিজাব পরে , পট্টি পরে । আবার হিজাব পরিহিত ছাত্রীদের শিবিরের ছাত্রী সংস্থার সদস্য বলে অভিহিত করে । গতকাল একটি ছাত্রী হলে গিয়ে আন্দোলনরত ছাত্রীদেরকে 
ছাত্রী সংস্থা বলে শাসিয়ে এসেছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক । অথচ মহিলা লীগের যে কোনো সমাবেশেও এখন অনেক হিজাব দেখা যায় । এটা মূলত শিবিরাতংক থেকে সৃষ্ট ।

কেন যেন মনে হচ্ছে , এই দেশটিকে এখন এই সাহসী মেয়েরাই সঠিক গন্তব্যে নিয়ে যাবে ।এই সাহসী মেয়েরা এখন দুর্ধর্ষ ছাত্রলীগ সভাপতির মুখের উপর সন্ত্রাসী বলার হিম্মত দেখাতে পারে ! এখন মাথার উপরে হিজাব না বেহিজাব সেটি বিষয় নয় । মূল কনসার্ন হলো, মাথার ভিতরে কী আছে !
নিজেদেরকে অ-শিবির প্রমাণ করতে গিয়ে অহেতুক শক্তিক্ষয়েরও দরকার নেই । দেশবাসী মালুম করে ফেলেছে এদের শিবির জুজুর মূল কারনটি ।
এখানে আরেকটি বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখা দরকার । পুরো রাজনৈতিক ম্যানুভারিংএ ছাত্রদলের ভূমিকাকে কেমন যেন গৌণ করে ফেলা হয়েছে । এটিও ঠিক নহে । মনে রাখতে হবে বিএনপি এখনো দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল । সেই দলকে পাশ কাটিয়ে এ মুহুর্তে কোনো কাঙ্খিত পরিবর্তন সম্ভব নহে ।
বিএনপি নেতৃত্বকেও উদার মন নিয়ে স্বত:স্ফুর্ত ভাবে গজিয়ে ওঠা এই তরুণ নেতৃত্বকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহন করতে হবে ।

মনে রাখা দরকার এদেশের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক পরিবর্তনে / উথ্থানে ডাকসু অগ্রণী ভূমিকা রেখে এসেছে । সেই ডাকসুকে এখন ডি পলিটিসাইজ করে ফেলা কিংবা রাজনৈতিক ইস্যুতে বোবা বানিয়ে রাখা জাতির জন্যে কোনওভাবেই কল্যাণকর হবে না ।

মঙ্গলবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

'ইসলাম কি জ্ঞান বিজ্ঞান ও সভ্যতার বিকাশের পথে বাঁধা নাকি সহায়ক?' -বুরহান উদ্দীন আযাদ,তুরস্ক

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ইসলামী সভ্যতার পতন লগ্নে মুসলমানদের মধ্যে একটি প্রশ্ন প্রকট আকার ধারণ করে। আর সেই প্রশ্নটি হল, 'ইসলাম কি জ্ঞান বিজ্ঞান ও সভ্যতার বিকাশের পথে বাঁধা নাকি সহায়ক?' এই প্রশ্নে উসমানী খিলাফতের শেষের দিকের সুলতানগণ ইউরোপীয় ধ্যান ধারণাকে গ্রহণ করে নেন এবং তাঞ্জিমাত ফরমানের মাধ্যমে এই ধারণাকে সাংবিধানিক রূপ দান করেন। এই অবস্থা চলতে থেকে ১৮৭৬ সাল পর্যন্ত। ১৮৭৬ সালে উসমানী খিলাফতের দায়িত্ত্ব গ্রহণ করেন সুলতান আব্দুল হামিদ হান। তিনি তার পূর্ববর্তী সুলতানদের এই সকল অনুকরণকে আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করেন। তিনি প্যান ইসলামীজম বা ইসলামী ঐক্যকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে ইসলামী সভ্যতাকে বেগবান করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। তার এই কাজে সবচেয়ে বেশী প্রেরণা ও শক্তি যোগান প্রখ্যাত আলেম ও বহু ভাষাবিদ আহমেদ জাওদাত পাশা। 

উসমানী খিলাফতের সুলতানদের এই পাশ্চাত্যের অনুকরণ প্রিয়তা শুধুমাত্র উসমানী শাসনাধীন অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। এই চিন্তা ভাইরাসের মত ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র বিশ্বে। সমগ্র বিশ্বে চালু হয় ২ টি ধারা। 

এদের মধ্যে এক শ্রেনী হল, পাশ্চাত্যে অন্ধ অনুকরণ ও অনুসরণ করে পাশ্চাত্য সভ্যতার (!) আলোকে নিজেদেরকে গড়ে তোলা। এই ধারনার লোকেরা পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুকরণকে আধুনিকতা গণ্য করে থাকে। নিজদেরকে যত ইসলামী চিন্তা দর্শন থেকে দূরে রাখতে পারবে ততটাই এলিট হবে বলে চিন্তা করে থাকে।

আর দ্বিতীয় শ্রেনী হল, আমরা আমাদের সভ্যতাকে পুনরায় প্রতিষ্ঠা করতে পারি। আমাদের পতনের মূল কারণ ইসলাম নয়, বরং ইসলামী সভ্যতা ও সংস্কৃতি থেকে দূরে সরে যাওয়ার ফলেই আমাদের পতন হয়েছে। 

দ্বিতীয় ধারণাকে শক্তিশালী ভাবে প্রতিষ্ঠা করেন, আল্লামা ইকবাল, সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদুদী, হাসান আল বান্না, আল্লামা শিবলী নোমানী, আলিয়া ইজ্জেত বেগভিচ সহ আরও অনেক মহান মনিষী। 
অপরদিকে প্রথম ধারাকে জনপ্রিয় করে তুলে ওরিয়েন্টালিস্টরা এবং পাশ্চাত্যের জীবন দর্শনের আলোকে গড়ে তোলা বুদ্ধিজীবীদের বিশাল একটি অংশ।

উসমানী খিলাফতের সময়ে প্রথম ধারার পক্ষে ছিল, তানজিমাত ও ইসলাহাত ফরমানের পক্ষের লোকেরা এবং ইত্তেহাদ ও তারাক্কী আন্দোলন। এই আন্দোলন সমূহ মূলত পরিচালিত হত ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস এবং লন্ডন থেকে। উসমানী খিলাফতের পতনের পর এই ধারাকে ধরে রাখে আতাতুর্ক পন্থী বামরা এবং ইত্তিহাদ ও তারাক্কী ঘরনার লেখক ও কবি শ্রেনী। 

অপরদিকে দ্বিতীয় ধারার পক্ষে উসমানী আমলে সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন সুলতান আব্দুল হামিদ হান, জাওদাদ সাঈদ, প্রখ্যাত আলেম জাহিদ আল কাওসারী, মুস্তাফা সাবরী এফেন্দী, সাঈদ হালিম পাশা, প্রখ্যাত কবি ও দার্শনিক মেহমেদ আকীফ এরসয় সহ আরও অনেকে। উসমানী খিলাফতের পতনের পর এই পথে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, বদীঊজ্জামান সাঈদ নুরসী, প্রখ্যাত মুফাসসির এলমালী হামদী ইয়াজার, , জেমিল মেরিচ, নাজিপ ফাযিল কিসাকুরেক এবং সেজাই কারাকোচ সহ আরও অনেকে। 

আর এই দ্বিতীয় ধারাকে বিজয় করার জন্য সবচেয়ে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন প্রফেসর ডঃ নাজমুদ্দিন এরবাকান এবং তার প্রতিষ্ঠিত মিল্লি গরুশ আন্দোলন, মাওলানা মওদুদী ও তার প্রতিষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামী ও ইমাম শহীদ হসান আল বান্না ও তার প্রতিষ্ঠিত ইখওয়ানুল মুসলিমিন। 

Copyright

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী