বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০

আমাদের চিটাংগা বিয়ের খরচের বিবরণঃ

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ ডেস্কঃ ১।পাত্রী দেখার জন্য ছেলের কম করে ১০ হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকা হতে পারে।

২।মেয়ে পছন্দ হওয়ার পর মেয়ে পক্ষের খরচ শুরু!৫ জনের বৈঠকের নামে ছেলে পক্ষ থেকে কম করে হলেও ১৫-২০জন আসবে মেয়ের বাড়ি।কোন কোন সময় ৫০ জনও পার হয়ে যায়।খরচ ২০-২৫হাজার টাকা থেকে শুরু করে লক্ষাদিক টাকা পার হয়।
৩।এবার ছেলে মেয়ের উভয় পক্ষের একে অপরের আকদের সাজানির জন্য ৫০হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকার বাজার।
৪।আকদের দিন ছেলে মেয়ে উভয় পক্ষকে মসজিদে দেওয়ার জন্য নাস্তার প্যাকেট করতে হয়।তবে এখনো মেয়ে পক্ষকে এর জন্য বাধ্য করা হয় না।খরচ ৫-৫০ হাজার টাকা।
৫।এবার আকদের দিন ছেলে মেয়েকে দেখতে ও শুশুর শাশুড়ী কে সালাম করতে আসবে।জামাই তো একা আসতে পারবে না,তাই বেশী না ৫০-৬০ জন নিয়ে আসে।আর বড় লোকের ছেলেরা আবার বেশী ভয় পাই!!তাই তারা ২০০ থেকে ৫০০ জন নিয়ে আসে।মেয়ের পক্ষ কে এর জন্য ৪০-৫০ হাজার থেকে শুরু করে ২-৩ লক্ষ টাকার মত খরচ হয় আর কি!!
৬।এবার বিয়ে ও গায়ে হলুদ এর বাজারের পালা।ছেলেপক্ষ কে কম করে হলেও লক্ষাধিক টাকা খরছ করতে হয়।বড় লোকের পোলামায়ার তো আলাদা হিসাব নিকাস। যারা বেশী চালাক তারা ৫০ থেকে ৭০-৮০ হাজার টাকা খরচ ধরে মেয়েপক্ষ কে দিয়ে দেয়। এবার মেয়েপক্ষ ছেলেপক্ষ কে বুঝানোর জন্য তারা সম্পূর্ণ টাকার সাজানি কিনেছে, মেয়ের বাপের পকেটের দিগুন টাকা খরচ করে মেয়ের সাজানী কিনে।
ছেলেকে সাজানীর পাশাপাশি,পাঁচ কাপড় বা স্যুট দিতে হবে।অনেকে এর বদলে ২০-৩০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। আর পার্টওয়ালা ছেলেরা তো ৭০-৯০ হাজার টাকার নিচে স্যুট পরেও না।কিছু পরিবারে ছেলেকে একা দিলে হয় না।দেবরদুলা ভাইদেরও দিতে হয়।দুলার সঙ্গে যারা যারা যায় তাদেরও কিছুনা কিছু কিনে দিতে হয়।
৭।আমাদের চট্টগ্রামে গায়ে হলুদ ২ধরনের হয়।১টা হলো ছেলে মেয়ে উভয়পক্ষ একসাথে করেন, আর একটা হলো ২ পক্ষ ২দিন গায়ে হলুদ করেন।উভয় পক্ষ একে অপরের হলুদে অনেক উপহার নিয়ে উপস্থিত হয়।একসাথে করা গায়ে হলুদ এর সম্পুর্ন খরচ এর দায়িত্ব থাকে মেয়ে পক্ষের।বেশী না ২-৩ লক্ষ টাকা করছ হয় আর কি!!
৮।বিয়ের দিন হয় এলাহি কান্ড।১ থেকে দেড় হাজার বরযাত্রী, কম করে হলেও ৫০০-৬০০জন। অনেকে কিছু খাবার আগে নিয়ে যায় বা টাকা নিয়ে নেয়।অনেকে বলে দেয় যাতে বরযাত্রীকে ভালো মতো দেখার জন্য যাতে তাদের আপ্যায়নে বা অন্য কিছুতে ভুল বা ত্রুটি না হয়। সম্মান করার জন্য। খাবারের মেন্যু ঠিক করে দেয়, অবশ্য এটা একেবারে ছোট লোক তারা করে থাকে, কারণ চট্টগ্রামে বিয়ের খাবার এর কথা বলতে হয় না।মেয়ের পক্ষ সর্বোচ্চ চেষ্টা করে থাকে খাবারের মান ও আইটেম ঠিক রাখার জন্য।
যদিও চিংড়ি মাছ না থাকার জন্য এখানে বিয়ে ভেঙ্গে যায়। আর বিয়েটা তো অবশ্যই নামিদামি ক্লাবের ফেলতে হবে,সুন্দর ডেকোরেশন করতে হবে।ছেলের বোন জামাই কে, ছেলের ভাইকে স্বর্ণের আন্টি দিতে হবে। ছেলেকে ঘড়ি দিতে হবে। এই ভাবে বিয়ের দিন বেশী না ৬-৭ লাখ টাকা, তা না হলে ১০-১২ লাখ টাকা খরচ হয় আর কি।
৯।এবার বউ ফিরাপারা বা পুনরায় নিজের বাড়ি আসা পর্যন্ত বউ এর কোন না কোন আত্মীয় প্রতিদিন জামাই বাড়ি আসতে থাকবে। তাই তাড়াতাড়ি বউকে ফিরাপারার ব্যবস্থা করা হয়।অনেকে একসাথে বউএর কিছু আত্মীয়কে খাইয়ে দিয়ে ওয়ালিমাটা সেরে ফেলে।কিছু ছোট লোক বউ এর বাড়ি থেকে আনা খাবার গুলো দিয়ে এইসব আত্মীয়দের আত্মীতিয়তা সেরে ফেলে। কেউ কেউ ওয়ালিমায় ২০০-৩০০ থেকে শুরু করে ৫০০-১০০০ মানুষের খাবার করে।ওয়ালিমাতে ছেলেপক্ষ ১ লাখ থেকে শুরু করে ৭-৮ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করে।
১০। এবার ছেলে চুরি করে মেয়েকে দেখতে যাবে বন্ধুবান্ধব নিয়ে।তখন বেশি না ৩০-৪০ জন যায় আরকি।চুরি করে যায় বলে এটাকে চোরা বৈরত বলা হয়।জামাই চুরি করতে গেলেও সম্মানের সাথে অনেক গুলো আইটেম এর নাস্তা, রাতের খাবার ও ডেজার্ট তৈরি করা হয়। ৫০-৬০হাজার টাকার মধ্যে অবশ্য একটা চোরা বৈরতের আয়োজন করে ফেলে যায়। তবে হ্যাঁ!! ই বৈরাতীর দিকে কড়া নজরদারী করতে হয়। তা না হলে কিছু না কিছু এরা চুরি করবেই।
১১।এবার বউ জামাইবাড়ী ফিরে আসার পালা। এই ১০-১২জন আসে নিয়ে যেতে। দেবর, ননদের জামাই আসলে ওদের কে স্বর্ণের আন্টি দিতে হয় অথবা বকসিস দিতে হয়। এই২০ হাজার থেকে লক্ষাধীক টাকা খরচ হয়।
১২।এবার বিয়াইনভাতার পালা। অর্থাৎ বরের মা-বাবা তাদের ভাই-বোন নিকট আত্মীয় নিয়ে বউ এর বাড়ি বেড়াতে যায়। এই ২০০-৩০০ লোক যায়।এইদিন বিশেষ করে বরের মা প্রথমবারের বউ এর বাড়ি দেখতে যায়। তাই তিনি এই আয়োজন এর মুল আকর্ষণ। তিনি এই আয়োজন ছাড়া বউ এর বাড়ি যান না।
ভাই খরচের কথা আর বলতে ইচ্ছে করছে না। আপনাদের মত ধরে নিন কত খরচ হতে পারে।
১৩। ১ম রমজানের ঈদে উভয় পক্ষ ঘরের সদস্যকে পছন্দ সই কাপড় কিনে দিতে হবে। ছেলেপক্ষ না দিলে মেয়েপক্ষ তেমন কিছু বলে না। বউ একটু খুটা দেয় আর কি।
১৪। কোরবানির ঈদ বউ বাড়ি থেকে গরু অবশ্যই। ছেলে দয়া করে সে গরু থেকে ১টা আস্ত রান মেয়ের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। গরু ছোট হলে কিন্তু কনেপক্ষ গরুর রান থেকে বঞ্চিত হয়।
এছাড়া বউ এর বাড়ি থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নামে বেনামে জামাই এর পুরো আত্মীয় সজন,পাড়া প্রতিবেশীর জন্য খাবার পাটাতে হয়। যেমন-শীতের পিঠা,মধুভাত, বিভিন্ন মৌসুমি ফলের সময় সে ফল গুলো, ইফতারী,নাতি হলে জীবন্ত হাঁস-মুরগি,নাতির আকিকা, নাতি দোলনায় দেওয়া, নাতির দাঁত ওটা, মিলাদুন্নবীর তবররুক, পরবী, ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি....................!!!""""
আরে বিরাট বড় বড় দুই দুই টা খরচের কথা তো বলিই নাই!!
বিয়ের কাবিনের বাবদ স্বর্ণ।এই জায়গায় ছেলে অথবা মেয়ে যে কোন একজন টকবেই। প্রথমে এমন ভাবে কাবিনটা ধরা হবে ছেলের চৌদ্দ গুস্টিও এই কাবিন পরিশোধ করতে পারবে না। অবশ্য এই নিয়ে চিন্তা নাই। এটা পুরো টাই বাকি থাকলেও সমস্যা। মারা যাওয়ার আগে বউ এর পা ধরে ক্ষমা চাইলেই হয়।স্বর্ণ যায় দেওয়া হয় অনেক সময় পুরো টাই উপহার স্বরুপ ধরা হয়। কেউ স্বর্ণ দেয় ৬-৭ লক্ষ টাকার, উসুল ধরা হয় ১-২ লাখ টাকা। অনেক ৫-১০লাখ টাকা উসুল ধরে দেয় কিন্তু বিয়ের পর স্বর্ণ গুলো নিয়ে নেয়।
আর যৌতুক এর কথা বলা হয় নাই।। আমাদের চট্টগ্রামে আমরা কিন্তু যৌতুক নিই না। উপহার নিই। উপহার কিন্তু কম দিলে হবে না। বেশি বেশি করে দিতে হবে। যায় দিবেন আপনাদের মেয়েই তো ব্যবহার করবে।আমরা তো শুধু শুঁকে শুঁকে দেখব।
এতোকিছুর পরেও মেয়েটি হয় বেতন ছাড়া দাসী
অথবা ছেলেটি হয় বউ এর গোলাম। সেটা করতে না পারলে বিভিন্ন মামলায় জেল খাটো।
যারা মান সম্মান নিয়ে থাকতে চাই। ভালবাসা ছাড়া একে অপরের সাথে অসম্মানজনক ভাবে সারাটা জীবন কাটাই দেয়।
বর্তমানে চট্টগ্রামের ৯৯℅ মানুষ বিয়ের সময় লোন করে। এই বিয়ের আজাবে প্রায় প্রতিটি পরিবার কোন না কোন ভাবে জর্জরিত।
অথচ ইসলাম বলে সবচেয়ে কম খরচের বিয়েতে আল্লাহর রহমত নাজিল হয়।
ইসলামে বিয়ে কত সহজ বিষয়।
চট্টগ্রাম এ বিয়ের মত কঠিন আর কিছুই নাই!!!!!!
সংগৃহীত

শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০

৩৩ জন শিল্পপতি যারা করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন

 

 আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ বিদায় নিচ্ছে আরও একটি বছর। বিদায়-বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ঘটে গেছে নানান ঘটনা। বিশেষ করে করোনাকালে (এপ্রিল-ডিসেম্বর ২০২০) দেশে ৩৩ জন শিল্পপতির মৃত্যু হয়েছে।


দেশের বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এ হাসেম করোনায় আক্রান্ত হয়ে বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটে মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর কারোনা শনাক্ত হওয়ার পর এম এ হাসেমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১৬ ডিসেম্বর থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল।

আলী যাকের ছিলেন অভিনেতা, মুক্তিযোদ্ধা এবং একজন সফল ব্যবসায়ী। দেশের বৃহৎ বিজ্ঞাপনী সংস্থা এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটির কর্ণধার ছিলেন তিনি। গত ২৩ নভেম্বর তার করোনা পজিটিভ আসে। গত ২৭ নভেম্বর ৭৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন এস আলম গ্রুপ ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের পরিচালক মোরশেদুল আলম। তিনি এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং চেমন ইস্পাত লিমিটেডের চেয়ারম্যান ছিলেন। ৬৫ বছর বয়সে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে ২২ মে তিনি মারা যান।
বেসকারি হাসপাতাল পপুলারের চেয়ারপারসন তাহেরা খানম ১০ জুন মারা যান। তার করোনা পজিটিভ থাকলেও হৃদরোগের কারণে তিনি ঢাকার অন্য একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

২৫ জুন মারা যান শিল্পপতি হাসান জামিল সাত্তার। তিনি ছিলেন ময়নামতি টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।
যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুলের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে ১৫ জুন। করোনায় তার কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৩ জুলাই ৭৪ বছর বয়সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান আকিজ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সেখ আকিজ উদ্দিনের মেজো ছেলে ও আদ-দ্বীন ফাউন্ডেশনের পরিচালক শেখ মোমিন উদ্দিন মারা যান গত ২৪ আগস্ট। তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন চট্টগ্রামের আরেক শিল্পপতি হাসান মাহমুদ চৌধুরী। ৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তিনি লাতিন আমেরিকা বাংলাদেশ চেম্বারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও থাই চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
চা শিল্পের খ্যাতিমান ব্যবসায়ী আজমত মঈন ৬৮ বছর বয়সে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান। তিনি ছিলেন মৌলভী চা কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও সুরমা চা কোম্পানির পরিচালক।

এছাড়া পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান অ্যাপারেল ফেয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন মাহমুদ, মোনেম গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল মোনেম খান, ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান, কুরিয়ার সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি এবং এফবিসিসিআই সাবেক সদস্য ইমামুল কবির শান্ত, বাংলাদেশ হোটেল অ্যান্ড গেস্ট হাউজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সদস্য সাদিক আহসান, বাংলাদেশ প্লাস্টিক রাবার সু মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও সাবেক এফবিসিসিআই সদস্য হাজী মো. মনসুর আলী, বাংলাদেশ পেপার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আলহাজ সিরাজ উদ্দিন দেওয়ান, বাংলাদেশ পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি হাজী নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ড্রেস মেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হাজী মো. আব্দুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ রি-রোলিং মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি ও সাবেক এফবিসিসিআই পর্ষদ সদস্য আবু বকর সিদ্দিক, বাংলাদেশ চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ শের মোহাম্মদ, ন্যাশনাল কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. কামরুল হুসেন চৌধুরী (গোর্কি), বাংলাদেশ মনিহারি বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম খান, বাংলাদেশ মেটাল ওয়্যার অ্যান্ড ওয়্যারনেইলস মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন সহ-সভাপতি মো. মোবারক হোসেন, রয়েল ট্রেডিং করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী বদরুল হুদা মুকুল, এফবিসিসিআইয়ের সদস্য মো. হাবিবুল্লাহ ও বাংলাদেশ পোদ্দার সমিতির সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের সদস্য মো. বাচ্চু মিঞা মারা গেছেন।

মারা যাওয়া ব্যবসায়ীর মধ্যে আরও আছেন ইস্ট ওয়েস্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের চেয়ারম্যান হারুন- অর- রশিদ, রহমত গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ মোহাম্মদ আলী সরকার, এনএফকে টেক্সটাইলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান, পার্ল প্রিনস বিডি লিমিটেডের চেয়ারম্যান তসলিম আক্তার ও অ্যাপারেল ফেয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন মাহমুদ।

এদিকে, এপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী করোনা থেকে সুস্থ হলেও তার স্ত্রী নিলুফার মঞ্জুর মারা যান। তিনি সানবিম স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ এবং এসএমসির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।

আল্লাহ জীবিত সকলকে হেফাজত করুন।
(সংগ্রহিত)

সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০

৫০তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শিশুদের মধ্যে ভ্যাসলিন বিতরণ

 

আমাদের বাংলাদেশ  নিউজ 24 ডেস্কঃ ৫০তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ফুলকুঁড়ি আসর চট্টগ্রাম মহানগরী নীহারিকা শাখা'র পাঁচলাইশ অঞ্চল কর্তৃক আয়োজিত হয় শিশুদের মাঝে "ভ্যাসলিন বিতরণ" অনুষ্ঠান।

শাখা অর্থ সম্পাদক ও অঞ্চল পরিচালক জাবেদুল ইসলাম'র পরিচালনায় অঞ্চল সহকারী পরিচালক অগ্রপথিক মুহাম্মদ ইউসুফ'র সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আসরের প্রধান পরিচালক অলী ইব্রাহীম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আসরের অর্থ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, নীহারিকা শাখা পরিচালক সোহাইল ইসলাম, অরুণোদয় শাখা পরিচালক আকবর হোসাইন ও অঞ্চল অর্থ সম্পাদক সাইফুদ্দিন খালেদ প্রমুখ

শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২০

শান্তি ও ভালসার ধর্ম ইসলাম

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ বিশ্বনবি হজরত মুহাম্মদ (সা.) হলেন ইতিহাসের একমাত্র নবী রাসুল (সা.), যিনি সমগ্র বিশ্বমানবতার জন্য প্রেরিত হয়েছেন। প্রাচ্য-প্রতীচ্য, সাদা-কালো আর জাতি-ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে মানবজাতির কল্যাণেই তার আবির্ভাব। যেভাবে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ ইরশাদ করেনহে মানবমণ্ডলী, আমি তোমাদের সবার জন্য রাসুল হিসেবে প্রেরিত করেছি।তাই তিনি কোনো অঞ্চলভিত্তিক অথবা কোনো নির্দিষ্ট ভাষাগোষ্ঠীর জন্য প্রেরিত হননি বরং মহান সত্তার পক্ষ থেকে সমগ্র বিশ্বমানবতার জন্য দয়ার প্রতীক হিসেবে তাকে ঘোষণা করা হয়েছে।

সেই মহান রাসুলের বিরুদ্ধে কেউ যদি বিকৃতভাবে কিছু উপস্থাপন করে সে ক্ষেত্রে তাকে উন্মাদ বলা ছাড়া আর কি-বা বলা যেতে পারে। কেননা এই উন্মাদদের এমন হীন আচরণে বিশ্বনবির সম্মানে কি সামান্যতম ঘাটতি দেখা দিতে পারে? অবশ্যই না, বরং এতে মুসলিম উম্মাহ মহানবির (সা.) অতুলনীয় জীবনাদর্শ সবার কাছে আরো ভালো করে তুলে ধরার চেষ্টা করবে। অধিক হারে তার প্রতি দরুদ প্রেরণ করবে।

সম্প্রতি ফ্রান্সে বিশ্বনবি শ্রেষ্ঠনবি হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটাক্ষ করে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করা হয়েছে। এরপূর্বে মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা স্যাম বাসিল তার কলাকুশলীরা ইনোসেন্স অব মুসলিম নামক চলচ্চিত্রে মহানবি হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সা.)-কে অত্যন্ত অশালীন বিকৃতভাবে বিদ্রুপ করেছিল। এসব ঘটনায় একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের হৃদয় ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে আর এমনটা প্রত্যেক মুসলমানেরই হওয়ার কথা। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

তাই যারা এমন গর্হিত কাজে জড়িত তারা ইসলামের কোন ক্ষতি করতে পারবে না বরং তারা নিজেরাই ধ্বংস হয়ে যাবে। আমাদের দেখা উচিৎ, মহানবিকে (সা.) যারা কটাক্ষ করার চেষ্টা করে এবং চলচ্চিত্র নির্মাণ করে তারা কোন পর্যায়ের ব্যক্তি। আমরা যদি ক্ষতিয়ে দেখি তাহলে দেখব এই ধরনের লোকদের কোন ধর্ম নেই এবং তাদের চরিত্রও ঠিক নেই। কেননা কোন ভাল চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তি, সে যে ধর্মেরই অনুসারী হোক না কেন তারা এমন কাজ করতে পারে না।

দেখা যায় মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা স্যাম বাসিল তার কলাকুশলীরা মূলত অশ্লিল নগ্ন ছবি নির্মাণ করে থাকে, এদের মত লম্পটদের কথায় কি ইসলাম কলঙ্কিত হয়ে যাবে? মহানবির (সা.) সম্মানের হানি হবে? অবশ্যই তা কখনো হতে পারে না। কেননা ইসলামই কেবল একমাত্র পরিপূর্ণ ধর্ম। তবে আমরা ধরনের গর্হিত কাজের তীব্র নিন্দা জানাই এবং আল্লাহপাকের দরবারে তাদের হেদায়েতের জন্য দোয়া করি। যখন কেউ ইসলামের অবমাননা, কুরআনের অবমাননা এবং রাসুলের (সা.) অবমাননা করবে এর প্রতিবাদ আমরা অবশ্যই করব। তবে আমাদের প্রতিবাদের ধরন হবে শ্রেষ্ঠনবীর অনুপম আদর্শের প্রতিফলন ঘটিয়ে। কোন দেশের পতাকা পুড়িয়ে বা কোন দেশের রাষ্ট্রদূতের ওপর হামলা চালিয়ে বা কাউকে হত্যা করে অথবা অগ্নিসংযোগ অপহরণ করে এর প্রতিবাদ আমরা করব না। কারণ এগুলোর কোনটাই ইসলাম বিশ্বনবি আমাদেরকে অনুমতি দেয় না।

আমাদের প্রতিবাদের ধরন হবে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য, কুরআনের অনিন্দ্য সুন্দর শিক্ষা এবং বিশ্বনবির (সা.) অতুলনীয় আদর্শ সারা বিশ্বের মাঝে ফুটিয়ে তোলা। প্রতিটি দেশে বড় বড় সভা-সেমিনার করা, কোরআন প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা এবং সকল ধর্মের লোকদের ডেকে ইসলামের শান্তির শিক্ষা সম্পর্কে অবগত করা। আর কাজের জন্য যে বিষয়েটি সবচেয়ে প্রথমে প্রয়োজন তাহল সারা বিশ্বের মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া। আজকে সারা বিশ্বের মুসলমানদের যদি এক ঐশী নেতা থাকত তাহলে এধরনের গর্হিত কাজের কথা কেউ চিন্তাও করতে পারত না।

আমরা যদি প্রতিবাদ করতে গিয়ে ইসলামের আদর্শ ভুলে জুলুম নির্যাতনের রাস্তা অবলম্বন করি তাহলে বিধর্মীরা এটা বলতে আরো সাহস পাবে যে, মুসলমানরা সন্ত্রাসী আর এরাই পৃথিবীতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ। তাই বিধর্মীদেরকে কোনভাবেই অভিযোগের সুযোগ দেয়া ঠিক হবে না। আমরা যদি প্রতিবাদ করতে গিয়ে দেশের রাস্তা বন্ধ করে রেখে জনগণের কষ্ট দেই তা কিন্তু শ্রেষ্ঠনবির আদর্শের বিপরিত হবে।

 


About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী