বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার
স্বাস্থ্য বিজ্ঞান লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
স্বাস্থ্য বিজ্ঞান লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শনিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২০

গরম পানির গ্লাসে লেবুর টুকরা আপনার বাকি জীবনের জন্য আপনাকে বাচাতে পারে: অধ্যাপক চেন হোরিন

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ বেইজিং সামরিক হাসপাতালের চীফ এক্সিকিউটিভ অধ্যাপক চেন হোরিন বলেন, "গরম পানির গ্লাসে লেবুর টুকরা আপনার বাকি জীবনের জন্য আপনাকে বাচাতে পারে"।
এমন কি আপনি যদি ব্যস্ত ও থাকেন তাহলে এই বার্তা টি দেখা মাত্র অন্যের কাছে পাঠানো উচিৎ মানবিক কারনে।
প্রথমতঃ গরম লেবু ক্যান্সার কোষ কে মেরে ফেলতে পারে।
একটা লেবু তিন টুকরা করে কেটে একটা কাপে রাখুন। তার পর গরম পানি ঢালুন। এটি (alkaline পানি) হয়ে যাবে। প্রতিদিন এটা পানে অবশ্যই সবার বিশেষ উপকারে আসবে। হট লেবু থেকে এন্টি ক্যান্সার ড্রাগ বের (release) হয়।
ক্যন্সার, টিউমারের উপর গরম লেবুর রসের একটি কার্যকরী প্রভাব আছে এবং এটা সব ধরনের ক্যান্সারের চিকিৎসার ক্ষেত্রে বলা বা দেখানো হয়েছে।
এই নির্যাসের চিকিৎসা (গরম লেবুর রস) শুধু মাত্র ম্যালিগন্যান্ট কোষ ধ্বংস হবে এবং সুস্হ কোষের উপর এর কোনো প্রভাব পরবে না।
দ্বিতীয়তঃ লেবুর রস এসিড এবং মন কার্বক্সিলিক এসিড উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করে। অন্তত যারা এই লিখাটি পাবেন তারা পড়বেন এবং বন্ধুদের সাস্হ্য সচেতনতার জন্য অবশ্য ই শেয়ার যদি করেন তবেই আমার কস্ট করে লিখা সার্থক হবে।
অধ্যাপক চেন হোরিন বলেছেন, আমি আমার কর্তব্য পালন করেছি, আশা করি আপনিও এটি ছড়িয়ে দিতে আমাকে সাহায্য করবেন।

নোটঃ গরম লেবুপানি বানানোর এই প্রকৃয়ায় কোনো প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার করা যাবে না। কাঁচের গ্লাস অথবা কাপ ব্যবহার করবেন। 

বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৮

ঢাকা শহরের বিখ্যাত ৭২ টি খাওয়ার আস্তানা যেখানে অন্তত একবার হলেও খাওয়া উচিৎ

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24: ঢাকা শহরের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য সুস্বাদু রকমারি বাহারি খাবারের রেস্তোরাঁ।  রাস্তার পাশের ঝাল মুড়ি থেকে শুরু করে পিজ্জা বার্গার প্রত্যেক খাবারই তার স্বাদ দিয়ে জয় করে নিয়েছে ফুডিজদের মন। আজকে জানিয়ে দিব ঢাকার বেশ কিছু জনপ্রিয় খাবার রেস্তোরাঁর খোঁজ খবর যেখানে অন্তত একবার হলেও খাওয়া উচিৎ।
১. বেচারাম দেউরীতে অবস্হিত নান্না বিরিয়ানি এর মোরগ-পোলাও
২. ঝিগাতলার সুনামী রেস্তোরা এর কাচ্চি বিরিয়ানী, গাউছিয়া হোটলের গ্রিল
৩. খিঁলগাও এর ভোলা ভাই বিরিয়ানী এর গরুর চাপ এবং মুক্তা বিরিয়ানী এর গরুর চাপ, খাসীর চাপ এবং ফুল কবুতর
৪. মতিঝিলের ঘরোয়া হোটেল এবং হীরাঝীলের ভূনা খিচুড়ী
৫. হোটেল আল-রাজ্জাকের কাচ্চি+গ্লাসি
৬. লালমাটিয়ার স্বাদ এর তেহারী
৭. নবাবপুর রোডে হোটেল স্টার এর খাসীর লেকুশ, চিংড়ি ,ফালুদা
৮. নয়াপল্টনে হোটেল ভিক্টোরীতে ৭০টি আইটেমের বুফে
৯. হাতিরপুল মোড়ে হেরিটেজ এর শর্মা
১০. শ্যামলী রিং রোডের আল-মাহবুব রেস্তোরার গ্রীল চিকেন
১১. মোহাম্মদপুর জেনেভা/বিহারী ক্যাম্পের গরু ও খাশির চাপ

১২. মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের সামনের বিহারী ক্যাম্পের “মান্জারের পুরি”
১৩. চকবাজারের শাহ সাহেবের বিরিয়ানী
১৪. মিরপুর-১০-এর শওকতের কাবাব
১৫. নারিন্দার শাহ সাহেবের ঝুনার বিরিয়ানী
১৬. ইংলিশ রোডের মানিকের নাস্তা
১৭. গুলশানের কস্তুরির সরমা
১৮. সুলতান ডাইন মেন্যু সেট।
১৯. সাইন্স-ল্যাবের ছায়ানীড়ের গ্রীল-চিকেন
২০. নাজিরা বাজারের হাজীর বিরিয়ানী
২১. জেলখানা গেটের পাশে হোটেল নিরবের ব্রেন/মগজ ফ্রাই
২২. নয়া বাজারের করিমের বিরিয়ানী
২৩. হাজি বিরিয়ানী এর উল্টা দিকের হানিফের বিরিয়ানী

২৪. লালবাগের ভাটের মসজিদের কাবাব বন

২৫. তারা মসজিদের সামনের সরবত আর লাচ্ছি, চকবাজারের মুরি ভর্তা।
২৬. বংশালের শমসের আলীর ভূনা খিচুড়ী
২৭. খিলগাঁও বাজারের উল্টো পাশে আল রহমানিয়ার গ্রীল চিকেন আর তেহারী
২৮. মতিঝিল সিটি সেন্টারের পিছনের বালুর মাঠের পিছনের মামার খিচুড়ী
২৯. চানখারপুলের নীরব হোটেলের ভুনা গরু আর ভর্তার সাথে ভাত
৩০. ধানমন্ডী লায়লাতির খাসির ভুনা খিচুড়ী
৩১. হোসনী দালান রোডে রাতের বেলার পরটা আর কলিজা ভাজি
৩২. নাজিরা বাজার মোড়ে বিসমিল্লার বটি কাবাব আর গুরদার


৩৩. পুরানা পল্টনে খানা-বাসমতির চাইনিজ প্যাকেজ
৩৪. বনানীর বুমারস রেস্টুরেন্টের বুফে প্যাকেজ
৩৫. ধানমন্ডির কড়াই গোশত এর ইলিশ সস
৩৬. গুলশান ২ এর খাজানার মাটন দম বিরিয়ানী এবং হাইদ্রাবাদী বিরিয়ানী
৩৭. উত্তরার একুশে রেস্তোরার গ্রীল চিকেন
৩৮. ধানমন্ডি/বনানীর স্টার হোটেলের কাচ্চি এবং কাবাব



৩৯. মৌচাকের স্বাদ রেস্তোরার ভাতের সাথে ৩৬ রকমের ভর্তা
৪০. সাইন্স ল্যাবে মালঞ্চ রেস্তোরার কাচ্চি বিরিয়ানী, রেশমী কাবাব
৪১. সুবহানবাগের তেহারী ঘর এর তেহারী-ভুনা খিচুরী

৪২. ভূত এর কাকড়া, সিজলিং, সূপ
৪৩. শর্মা এন পিজ্জার বীফ শর্মা
৪৪. মিরপুর ঝুট পট্টির রাব্বানির চা
৪৫. চকের নূরানি ড্রিংস এর লাচ্ছি
৪৬. চকের বিসমিল্লাহ হোটেলের মোঘলাই পরটা
৪৭. সেন্ট ফ্রান্সিস স্কুলের সামনের মামার আলুর দম।
৪৮. সোহরয়ার্দী কলেজের সামনে জসিমের চটপটি ও ফুচকা।
৪৯. বাংলাবাজারে (সদরঘাট) চৌরঙ্গী হোটেলের সকালের নাস্তা।
৫০. অমূল্য মিষ্টান্ন ভান্ডারের (শাঁখারীবাজার) হালুয়া, পরোটা, সন্দেশ।
৫১. গোপীবাগের খাজা হালিম ও টিটির কাচ্চি
৫২. বাসাবোর হোটেল রাসেলের “শিককাবাব”
৫৩. বায়তুল মোকাররমে অলিম্পিয়া কনফেকশনারীর “চকলেট পেস্টি”
৫৪. কর্নফুলি গার্ডেন সিটির চার তালার “ফুচকা”
৫৫. কাঁটাবন ঢালে অষ্টব্যঞ্জনের বিফ খিচুড়ী
৫৬. পল্টনের (বিজয়নগর পানির ট্যাকিংর পেছনে) নোয়াখালী হোটেলের গরুর কালো ভুনা
৫৭. ডিসেন্ট (মতিঝিল, হাতিরপুল, বনশ্রী, ধানমন্ডি, চক, নওয়াব—এদের প্রচুর শাখা) এর ডেজার্ট আইটেমগুলা ভালো।
৫৮. ব্রাক ভার্সিটির কাছে নন্দনের বিফ এবং মগজ ফ্রাই।
৫৯. গুলশান ২ এর মোড়ে ঝালমুড়ি ওয়ালার টমেটো মাখানো।
৬০. মহাখালি কন্টিনেন্টাল হোটেলের শর্মার সঙ্গে সস’টা দারুণ সেই সাথে চা টাও খুব একটা খারাপ না।
৬১. নিউমার্কেট এরিয়ায় পেয়ারা, আম মাখানোও যথেষ্ট ভাল।
৬২. নিমতলির বাদশাহ মিয়ার চা
৬৩. আগামাসিহ লেনের মাকসুদের খাসসির পায়ার নেহারী
৬৪. বিউটির লেবুর সরবত আর লাচ্ছি,ফালুদা

৬৫. মোহাম্মদপুরের বিহারি ক্যাম্পের মুস্তাকিমের চাপ, গোল্ডেন বিরিয়ানি।
৬৬. ফকরুদ্দিনের কাচ্চি বিরিয়ানি, বোরহানি।
৬৭. বিহারি ক্যাম্পের গরুর মগজ ফ্রাই

৬৮. মিরপুর পানির ট্যাঙ্কের ঝাল ফুচকা।
৬৯. গুলশান ২ এ ব্যাটন রোজ ১০১ বুফেট মেন্যু সল্প মুল্যে।
৭০.খিলগাঁও তালতলা মার্কেটের অপজিট পাশে ফুট পাতের চিকেন ঝাল শিক
৭১.লালবাগ কেল্লার উলটা পাশে হোটেল রয়েল এর চিকেন চাটনি কারি।
৭২. ধানমন্ডি ১৫ নং এর Pasta state.
Curtsy: Daily Bangladesh 

সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৬

শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে করণীয় অধ্যাপক নইম কাদের

আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ  শরীরের বাড়তি ওজন খুবই বিপদজনক। তাই, শরীরের ওজন যেন বেড়ে না যায়, সেদিকে সবাইকে লক্ষ রাখতে হবে এবং এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনির নানা সমস্যাসহ বহু জটিল ও কঠিন রোগের কারণ শরীরের অতিরিক্ত ওজন। অনেকে ওজন কমাতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ, নিয়মিত ব্যায়াম, ওষুধ সেবন ইত্যাদি। মনে রাখতে হবে ওজন নিয়ন্ত্রণের সঠিক নিয়ম জানা না থাকলে আপনার স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। বর্তমান সময়ে কিছু উঠতি বয়সের তরুণীদের মধ্যে ‘ িম ফিগার’ ধারণাটি বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছে। এ জন্য তারা ঠিকমত খাওয়া-দাওয়া করে না। তাদের ধারণা হচ্ছে পরিমাণে কম খেয়েই ফিগার ৗিম রাখা যাবে। এটা করতে গিয়ে অনেকের জীবন মারাত্মক হুমকিম মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। আবার বিভিন্ন মিডিয়িায় এ বিষয়ে চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে অনেকে আকৃষ্ট হয়। মনে রাখতে হবে, ওষুধ সেবন করে কিংবা কোমরে বেল্ট বেঁধে ঘাম ঝরিয়ে মেদ কমানো যায় না, ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এসব প্রতারণা ছাড়া কিছুই নয়। অনুরূপ খাওয়া-দাওয়া বাদ দিয়ে শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে যাওয়াও মারাত্মক ভুল। খাওয়া-দাওয়া বাদ দিয়ে নয়, বরং পানাহার করতে হবে পরিমিত ও নিয়ন্ত্রিত। মনে রাখতে হবে, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং গঠনের জন্য পরিমিত পানাহার অপরিহার্য। ঠিকমত না খেলে অপুষ্টিতে ভোগতে হবে, শরীরের গঠন ও বৃদ্ধি সঠিকভাবে হবে না। এর ফলে বয়োঃবৃদ্ধির সাথে সাথে নানা জটিল রোগে ভোগতে হবে।
শরীরের ওজন কীভাবে ঠিক রাখবেন, বাড়িতে ওজন কীভাবে কমাবেন এ নিয়ে সম্প্রতি একদল গবেষক গবেষণা করেছেন। আন্তর্জাতিক এই গবেষকদল দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্নভাবে গবেষণা চালিয়ে শরীরের বাড়তি ওজন কমানো, ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য দিয়েছেন। গবেষকদল ৯২টি প্রশ্নের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণের কলাকৌশল জানার চেষ্টা করেছেন। গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে, ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য কয়েকটি বিষয় মেনে চলতে হবে। যথা- খাবারের পরিমাণ কমবেশি নয়, বরং খাবারের গুণগত মান বিবেচনায় আনতে হবে। অর্থাৎ আপনি বেশি খাচ্ছেন কিংবা খুব কম খাচ্ছেন, এটা বড় কথা নয়, দেখতে হবে, আপনি যা খাচ্ছেন তার খাদ্যমান কেমন। খাবারের গুণগত মানের প্রতি বেশি খেয়াল রাখতে হবে। 
ঘরে তৈরি খাবার সবসময় উত্তম। যারা বাইরের খাবারের চেয়ে ঘরে তৈরি খাবার বেশি খান, তাদের ওজন তুলনামূলক নিয়ন্ত্রণে থাকে। এখানেও ‘খাবারের গুণগত মান’ বিষয়টি লক্ষণীয়। হোটেল- রেস্তোরাঁর তুলনায় ঘরে তৈরি খাবার অধিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত এবং ঘরের খাবারের মান বাইরের খাবারের চাইতে অনেক ভাল তাতে কারো দ্বিমত থাকার কথা নয়। সুতরাং আপনি যদি শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে চান, আপনাকে বাইরের খাবার বর্জন করতে হবে। 
ওজন নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত ব্যায়াম দরকার। ব্যায়াম মানে এই নয় যে, আপনাকে প্রতিদিন জিমে যেতে হবে। ব্যায়াম বলতে এখানে শারীরিক পরিশ্রম বুঝানো হয়েছে। হ্যাঁ যারা অতিরিক্ত মোটা হয়ে গেছে, অতিরিক্ত মেদ জমে গেছে, যাদের ওজন স্বাভাবিক পরিমাণের তুলনায় বেশ বেড়ে গেছে, তাঁদের জন্য ব্যায়াম জরশুরী। কিন্তু যাদের শারীরিক অবস্থা এখনো ঠিক আছে, ওজন নিয়ন্ত্রণে আছে, তাদের এ অবস্থা ধরে রাখার জন্য শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। নিয়মিত হাঁটা-চলা করা, সাঁতার কাটা, হল্কা ব্যায়াম ইত্যাদির সাথে যদি পানাহারে গুণগত মান ল রাখা যায়, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। দীর্ঘ রাত জাগা, সকালে দীর্ঘক্ষণ শুয়ে থাকা, চর্বিযুক্ত খাবার এবং বাইরের খাবার ও ফার্স্টফুডে অভ্যস্ত হয়ে পড়া ইত্যাদি শরীরের ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। 

সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৬

অনিদ্রা : ঘুমের ওষুধ সেবনে সতর্কতা অধ্যাপক নইম কাদের

আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্ক ১৪ আগষ্ট, ২০১৬ইং সোমকবারঃ  অনিদ্রা : শিশু, বৃদ্ধ, যুবক, নারী-পুরুষ প্রত্যেকের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। যদি কোন কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, ঠিকমত ঘুম নাহয়, তাকে অনিদ্রা বলে। অর্থাৎ কারণ যাই হোক, পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়াই অনিদ্রা। অনিদ্রা একটি মানসিক রোগলক্ষণ।
কতটুক ঘুম প্রয়োজন : একজন মানুষের জন্য কয় ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন তা নির্ভর করে ব্যক্তির বয়স ও পরিশ্রমের উপর। নবজাতক শিশু ২৪ঘণ্টার মধ্যে ১৭/১৮ঘণ্টা পর্যন্ত ঘুমায়। কিশোর বয়সে ঘুমের পরিামণ ৯/১০ঘণ্টা। প্রাপ্তবয়স্ক একজন সুস্থ মানুষের জন্য ৭/৮ঘণ্টা ঘুম যথেষ্ট। বৃদ্ধ বয়সে স্বাভাবিক নিয়মে ঘুম কিছুটা কমে আসে। প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য রাত্রে একটানা ৩/৪ঘণ্টা ভাল ঘুম দরকার। বাকি সময় ভেঙ্গে ভেঙ্গে ঘুম হতে পারে।
অনিদ্রা কোন রোগ নয়, বরং একটি রোগলক্ষণ। নানাবিধ কারণে মানুষের অনিদ্রা হয়, নিদ্রায় ব্যঘাত ঘটে বা ঘটতে পারে। তথ্যানুযায়ী বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ১০শতাংশ মানুষ অনিদ্রায় ভোগেন। উদ্বেগের খবর হচ্ছে দিন দিন এই সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আতঙ্কজনক তথ্য হচ্ছে যে, যারা অনিদ্রায় ভোগেন, তাদের মধ্যে ডাক্তারের কাছে বা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন মাত্র ৬শতাংশ মানুষ। ৭০ শতাংশ মানুষ কোন চিকিৎসাই নেন না। তারা এটাকে রোগলক্ষণ বলেও মনে করেন না। অনেকে আবার এটাকে একেবারে হাল্কা রোগ মনে করে চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে ওষুধের দোকান থেকে নিজেই নিজের জন্য ওষুধ নির্বাচন করে ঘুমের ওষুধ কিনে খায়। চিকিৎসা না নেয়া এবং নিজে নিজে ওষুধ কিনে খাওয়া দুটোই মারাত্মক।
ঘুমের ওষুধ সেবনে সবসময় খুবই সতর্ক থাকতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঘুমের ওষুধ সেবনে যে কোন সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। যাদের শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা আছে তাদের জন্য ঘুমের ওষুধ খুবই ক্ষতিকর। কারণ ঘুমের ওষুধ সেবনে স্নায়ু ব্যবস্থার উপর নিয়ন্ত্রণ শিথিল হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ওষুধ খেতে থাকলে ওষুধের উপর নির্ভর হয়ে উঠে। মনে রাখতে হবে, অনিদ্রা রোগ নয়, বরং রোগলক্ষণ। একজন চিকিৎসকই চিহ্নিত করতে পারবেন অনিদ্রার কারণ। এবং সে অনুযায়ী ওষুধ নির্বাচন করবেন। বয়স এবং রোগজটিলতার উপর নির্ভর করে ওষুধের মাত্রা ও শক্তি নির্ধারণ করতে হয়। চিকিৎসক ছাড়া একাজ অন্যদের পক্ষে সম্ভব নয়। 
একটানা দীর্ঘদিন ঘুমের ওষুধ খাওয়া ক্ষতিকর। এতে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যেতে পারে, দেহ অবসাদগ্রস্ত ও ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারে। এতে কার্যক্ষমতা কমে যায়। ওষুধের মাত্রা বেশি হলে মাথাধরাসহ হৃদরোগের ন্যায় জটিল রোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি আছে। 
যতটা সম্ভব ঘুমের ওষুধ নাখাওয়াই ভাল। অনিদ্রা দীর্ঘস্থায়ী হয়, কিংবা কোন জটিল রোগের কারণে হয়, অবশ্যই চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হতে হবে। তবে, অনিদ্রা দেখা দিলেই বা ঘুম একটু কম হলেই চিকিৎসকের কাছে ছুটে যেতে হবে, ওষুধ খেতে হবে, তা নয়। খাওয়া-দাওয়াসহ অভ্যাস এবং প্রত্যাহিক জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনলে, এই সমস্যা অনেকটা কেটে যায়। যেমন- রুটিন করে প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঘুমানোর ব্যাপারে সিরিয়াস হতে হবে। ঘুম না আসলেও বিছানায় শুয়ে পড়তে হবে। এভাবে কিছু দিন অভ্যাস করলে আস্তে আস্তে অনিদ্রা কেটে যাবে।
প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম থেকে উঠে যেতে হবে। রাত্রে ঘুম ভাল হয়নি তাই বলে সকালে দীর্ঘক্ষণ বিছানায় শুয়ে থাকা যাবে না। রাতে ঘুম কম হোক বা নাহোক, সকালে তাড়াতাড়ি বিছানা ছাড়লে পরবর্তী রাতে ঘুম ঠিক হয়ে যাবে।
বিছানায় যাওয়ার উপযুক্ত সময় হয় রাতের প্রথম ভাগ এবং বিছানা ছাড়ার উপযুক্ত সময় ভোরবেলা। এ ক্ষেত্রে ইসলামের নির্দেশটি খুবই বিজ্ঞান সম্মত। এশার নামযের পর ঘুমাতে যাওয়া এবং ফজরের নামায আদায়ের জন্য ভোরে বিছানা ছাড়াতে কঠোর নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। রাতে চা-কফি বর্জন করা দরকার। কারণ এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। ঘুমানোর আগে এক কাপ হাল্কা গরম দুধ পান করলে ভাল ঘুম হয়। কারণ দুধ মাংসপেশিকে শিথিল করে, যা ঘুমের সহায়ক। মনে রাখতে হবে, ওষুধ খেয়ে ঘুমের অভ্যাস করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। যতটা সম্ভব ঘুমের ওষুধ পরিহার করা দরকার। অনিদ্রা হলেই ওষুধ নয়। বরং কিভাবে অনিদ্রা কাটানো যায় সে চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০১৫

ডায়বেটিস রোগীদের জন্যে সুখবর!!

জিবিনিউজ২৪ ডেস্ক ::
ঘটনাটি একজন ডায়বেটিস আক্রান্ত ৬৫ বছর বয়সী নারীর যিনি বিগত ২০ বছর ধরে ডায়বেটিসের কারণে দুই বেলা ইনসুলিন গ্রহন করতেন।তিনি কিছুদিন ঘরে থাকা সরঞ্জাম দিয়ে তৈরি এমন একটি ওষুধ সেবন করেছেন যার দরুন আজ তিনি সম্পূর্ণ ডায়বেটিস মুক্ত এবং তিনি প্রতিনিয়ত তার প্রিয় মিষ্টির তৈরি খাবার খাচ্ছেন । অবাক হয়েছেন কি? অবাক হবার মতই একটি ঘটনা। জেনে আরও অবাক হবেন যে এখন চিকিৎসকেরাও তাকে ইনসুলিন এবং ব্লাডসুগার নিয়ন্ত্রণের ওষুধ নিতে মানা করেছেন। দীর্ঘদিনের গবেষণার পরে মুম্বাই এর গবেষকেরা অবশেষে এমন একটি ওষুধ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে যা স্বল্প খরচে ও স্বল্প সময়ে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে সক্ষম। মুম্বাই কিডনি হাসপাতালের ডাক্তার টনি আলমেদিয়া সামাজিক মাধ্যমে সবাইকে অনুরোধ করেছেন এ বিষয়টি সম্পর্কে সবাইকে অবগত করে দিতে এবং অন্যকে সুস্থ ভাবে বেচে থাকার সুযোগ করে দিতে। 
এ ওষুধ তৈরিতে যা প্রয়োজনঃ গম-১০০ গ্রাম এডিবল গাম বা ঘানিগাছের আটা (ভারতীয় মসলা) 
-১০০ গ্রাম যবের গুঁড়াঃ ১১ গ্রাম কালুঞ্জি বা কালো জিরেঃ ১০০ গ্রাম প্রণালীঃ 
৫ কাপ পানির মধ্যে সবগুলো উপাদান মিশিয়ে নিন এবং ১০ মিনিট পর্যন্ত সিদ্ধ করুন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে ছেঁকে নিন এবং বোতল অথবা কোন পাত্রে সংরক্ষণ করুন। ব্যবহার বিধিঃ এই মিশ্রণটি ৭ দিন সকালে খালি পেটে ছোট এক কাপ আন্দাজে খান। পরবর্তী সপ্তাহে একই ভাবে বিকেল বেলায় মিশ্রণটি সেবন করুন। এই দুই সপ্তাহ একটু নিয়ম করে মিশ্রণটি সেবন করলেই আপনি নিজের পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন। আজই নিজ বাড়িতে এই মিশ্রণটি তৈরি করুন এবং ডায়বেটিসকে আপনার জীবন থেকে একেবারে দূর করে দিন।

রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০১৫

দুধ-আনারস একসঙ্গে খেলে কী হয়?

আনারস ও দুধ নিয়মমাফিক সঠিক খাদ্যের সমন্বয়ে খান 

আনারস খুব উপাদেয় ফল। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ এবং সি। রয়েছে ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম ও ফসফরাস। আর দুধকে আমরা সুষম খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করি। তবে আনারস আর দুধ একসঙ্গে খেলে মানুষ বিষক্রিয়া হয়ে মারা যায়-এ রকম একটি ধারণা প্রচলিত আছে। বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠরা অনেক সময় ছোটদের এ খাবার একসঙ্গে খেতে নিষেধ করেন। তবে আসলেই কি এ রকম হয়? আসুন জেনে নিই আসলে কী হয় আনারস আর দুধ একসঙ্গে খেলে। 
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের ডিন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘আনারস ও দুধ একসঙ্গে খেলে বিষক্রিয়া হয়ে কেউ মারা যায় এই ধারণা ভুল। এগুলো এক ধরনের ফুড ট্যাবু বা খাদ্য কুসংস্কার।’
অধ্যাপক আবদুল্লাহ বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘আনারস একটি এসিডিক এবং টকজাতীয় ফল। দুধের মধ্যে যেকোনো টকজাতীয় জিনিস দিলে দুধ ছানা হয়ে যেতে পারে বা ফেটে যেতে পারে। এটা কমলা ও দুধের বেলায় বা লেবু ও দুধের বেলাতেও ঘটে। ফেটে যাওয়া দুধ খেলে খুব বেশি হলে বদ হজম, পেট ফাঁপা, পেট খারাপ– এ ধরনের সমস্যা হতে পারে, তবে বিষক্রিয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। যাদের গ্যাসট্রিকের সমস্যা রয়েছে, খালি পেটে আনারস খেলে তাদের এই সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।’  
একই বিষয়ে কথা হয় হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজের রেজিস্ট্রার ও মেডিসিন বিভাগ ডা. শ আ মোনেমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এমন কখনো দেখিনি যে দুধ-আনারস একসঙ্গে খেয়ে মানুষ মারা গেছে। এটা একটা কুসংস্কার। আমরা তো অনেক সময় ডেজার্ট, কাস্টার্ড বা স্মুদিতে আনারস-দুধ একত্রে মিশিয়ে খাই। এগুলো খেলে তো কোনো সমস্যা হয় না।’ 
অ্যাপোলো হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী বলেন, ‘আনারস একটি এসিডিক খাবার। আর দুধ হলো অ্যালকালাইন বা ক্ষার। দুধ যদি পাস্তুরিত না হয়, তবে কাঁচা দুধ ও আনারসের সমন্বয়ে শরীরে বিক্রিয়া হতে পারে। দুধের সঙ্গে আনারসের সঠিক সমন্বয় না হলে শারীরিক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ ক্ষেত্রে অন্যান্য খাবারের বেলাতেও একই বিষয় হতে পারে।’
তামান্ন চৌধুরী আরো যোগ করেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময়ই পাইনা অ্যাপেল কাস্টার্ড, ডেজার্ট, পাইন অ্যাপেল স্মুদি, পাইন অ্যাপেল মিল্ক সেক, পাইন অ্যাপেল সালাদ, পাইন অ্যাপেল ইয়োগার্ট ইত্যাদি খাই। এতে সমস্যা হয় না। কারণ এগুলোর মধ্যে খাদ্যের সঠিক সমন্বয় থাকে এবং নিয়মমাফিক বা সঠিক নিয়মে বানানো হয়। আর হয়তো এক গ্লাস দুধ খেলেন, পাশাপাশি আনারস খেয়ে নিলেন তাহলে সঠিক খাদ্যের সমন্বয় হয় না। এ ক্ষেত্রে সঠিক সমন্বয় না হওয়ার ফলে পাতলা পায়খানা, বদ হজম, এসিডিটি ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। তবে বিষক্রিয়া হয়ে মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা নেই।’ 
তবে ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘আনারস আর দুধ বিরতি দিয়ে খাওয়াই ভালো। দুই থেকে তিন ঘণ্টা বিরতি দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। নয়তো অনেক সময় পেটে গিয়ে হজমের সমস্যা হতে পারে। তবে যদি সঠিক নিয়মে খাবার বানানো হয় এবং সঠিক খাদ্যের সমন্বয় থাকে তাহলে কোনো সমস্যা হবে না। দুধ ফুটিয়ে নিলে বা প্রসেস করে নিলে টক্সিটিক বিষয়টি আর থাকে না, তখন খাওয়া যেতে পারে। তাই আনারস-দুধ সঠিক নিয়মে এবং সঠিক খাদ্যের সমন্বয়ে খাওয়া যেতে পারে।’

 এনটিভি অনলাইন

অ্যালুমিনিয়ামে রান্না ডেকে আনছে মৃত্যু!

কথায় বলে না, 'কু-পাত্রে দান'। অ্যালুমিনিয়ামের ক্ষেত্রে কথাটা একদম ঠিকঠাকভাবে খাটে। কারণ অ্যালুমিনিয়ামের পাত্রে রান্না করার পর সেই খাবার যে পরিমাণ 'বিষ' শরীরে ঢোকে, তা থেকে দীর্ঘমেয়াদি অসুখ হওয়াটাই স্বাভাবিক। এমনকী এই বিষ ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়।
প্রত্যেক বাড়িতেই কম-বেশি অ্যালুমিনিয়ামের পাত্রেই রান্না করা হয়ে থাকে। এই পাত্রগুলিতে তেমন ভালো কোটিং থাকে না। বেশিরভাগ পাত্রে তো থাকেই না। ফলে রান্না করার সময় পাত্র থেকে অ্যালুমিনিয়ামের অংশ খাবারে মিশতে থাকে। লক্ষ্য করে থাকবেন, বেশ কিছু দিন ব্যবহার করার ফলে অ্যালুমিনিয়ামের পাত্র ক্ষয়ে যায়, বা নীচের দিকে ফুটো হয়ে যায়।
রান্না করার সময় হাতা-খুন্তি নাড়ানোর জন্য ওই অ্যালুমিনিয়ামের বেশিরভাগটাই খাবারের সঙ্গে মিশে যায়। পরে তা আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। আর সব থেকে খারাপ যেটা তা হল, এই অ্যালুমিনিয়াম আমাদের শরীরে বাসা বেঁধে থেকে যায়। সহজে তা বের করা যায় না। 
চিকিত্‍সকদের মতে, অ্যালুমিনিয়ামের মধ্যে মিশে থাকে ক্ষতিকারক আয়ন। মূলত এটাই শরীরের পক্ষে মারাত্মক খারাপ। কী করে এই আয়ন? এই আয়ন ব্রেন বা মস্তিষ্কের পক্ষে অত্যন্ত খারাপ। দীর্ঘ দিন ধরে এই আয়ন ব্রেনের সূক্ষ টিস্যুগুলোর ক্ষতি করতে থাকে।
এর ফলে ডেমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ হওয়ার রোগ হয়। অ্যালঝাইমার্স হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণও এই আয়ন। তাঁদের মতে, অ্যালুমিনিয়ামের পাত্রের বদলে স্টিলের পাত্রে রান্না করা অনেক নিরাপদ। এতে রান্না করা খাবারে কোনও ক্ষতিকারক বস্তু শরীরে ঢোকে না।
দীর্ঘ দিন ধরে এই সব পাত্রে রান্না করা খাবার খেলে সাধারণের তুলনায় বেশি ক্লান্তি লাগতে পারে। সময়-অসময়ে ঘুম পাওয়া এর অন্যতম লক্ষ্মণ। এমনটা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই ভালো। হাঁড়েরও ভীষণ ক্ষতি করে এই আয়ন। এর ফলে অস্টিও পোরোসিস হয়।
এ জন্যই বিশেষত মহিলাদের হাঁড়ে ক্ষয় বেশি হয়। অল্প আঘাতে ভেঙেও যেতে পারে। এখানেই শেষ নয়, দীর্ঘ দিন ধরে অ্যালুমিনিয়ামের পাত্রে রান্না করা খাবার খেলে বৃহদ্রান্ত্র বা লার্জ ইন্টেস্টাইন, কিডনি এবং রক্ত কনিকার বারোটা বাজায়। এই জিনিসই পরে ক্যান্সারের দিকে মোড় নিতে পারে।
অন্য দিগন্ত

শুক্রবার, ২৪ জুলাই, ২০১৫

ডায়াবেটিস আর ক্যান্সার : মুক্তির দূত আমলকি


রাস্তায়, বাসে, ট্রেনে এখন আমলকির রমরমা বাজার। ছোট্ট ফল, তবে ভেষজ গুণ রয়েছে অনেক। রোজ সকালে উঠে যদি একটা গোটা আমলকি খাওয়া যায়, তাহলে শরীরের পক্ষে খুবই ভালো। শুধুই ফলই না, পাতাও ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আমলকিতে প্রচুর ভিটামিন 'সি' থাকে। বিজ্ঞানীদের মতে, পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে আমলকিতে তিন গুণ ও দশ গুণ বেশি ভিটামিন 'সি' রয়েছে। এই আমলকি বিভিন্ন অসুখ সারানো ছাড়াও রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে তুলতে দারুণ সাহায্য করে। আমলকির গুণাগুণের জন্য আয়ুর্বেদিক ওষুধেও এর নির্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে। উপকারিতা ১. ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। ২. আমলকি রস ত্বক, চুল ও চোখ ভালো রাখার জন্য উপকারী। এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল যা চোখের সঙ্গে জড়িতও ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ৩. হজমে সাহায্য করে ও স্টমাকে আসিডের ভারসাম্য বজায় রাখে। ৪. আমলকি লিভার ভালো রাখে, মাথায় রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। ৫. আমলকি ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল লেভেলেও কম রাখাতে যথেষ্ট সাহায্য করে। ৬. হার্ট সুস্থ রাখে, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে তোলে। ৭. শরীর ঠাণ্ডা রাখে, শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে আর পেশি মজবুত করে। ৮. লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলে দাঁত ও নখ ভালো রাখে। জ্বর, বদহজম, সানবার্ন, সানস্ট্রোক থেকে রক্ষা করে। ৯. যাদের কোষ্ঠকাটিন্যের সমস্যা রয়েছে, তারা প্রতিদিন সকালে একটি করে গোটা আমলকি খেতে পারেন। ১০. শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় মেদ ঝরাতেও আমলকি অপরিহার্য। ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার জন্য আমলকির জুস দারুণ উপকারী। ১১. আমলকি গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেতে পারেন। এতে খিদে বেড়ে যায়।। ১২. এক গ্লাস দুধ বা পানির সঙ্গে আমলকি গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু'বার খেতে পারেন। অ্যাসিডিটির সমস্যা কম রাখবে অনেক। ১৩. আমলকিতে সামান্য নুন আর লেবুর রস মাখিয়ে রোদে শুকোতে দিন। শুকনো আমলকি রোজ খান। খাবারের সঙ্গে আমলকির আচারও খেতে পারেন। হজমে দারুন সাহায্য করে। ১৪. আমলকি মাঝারি আকারে টুকরো করে ফুটন্ত পানির মধ্যে দিয়ে নরম করতে দিন। পানি ঝরিয়ে টান্ডা করতে দিন। এরপর নুন, আদা কুচি, লেবুর রস মাখিয়ে রোদে শুকোতে দিন। একটি এয়ারটাইট পরিস্কার জারের মধ্যে রেখে দিন। নষ্ট হবে না। ১৫. এছাড়া প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগের পরে ক্ষতিগ্রস্ত প্যানক্রিয়াস (অগ্ন্যাশয়)-এর ক্ষত সারাতে আমলকি খুবই কার্যকর। ১৬. ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, প্রদাহ এবং কিডনি রোগ সারাতে আমলকির বিশেষ গুণ রয়েছে। আমলকির ফল, পাতা ও ছাল থেকে তৈরি পরীক্ষামূলক ওষুধে এইসব রোগ নিরাময়ের প্রমাণ মিলেছে। ১৭. আমলকি মানুষের রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে পারে বলে প্রমাণ রয়েছে। ১৮. রিপোর্ট বলছে, ডায়াবেটিক ইঁদুরের ওপর চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকির রস রক্তের চিনির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। লিভারের কর্মক্ষমতা পুনরুদ্ধারে সাহায্য করতে পারে।  নয়া দিগন্ত অনলাইন

মঙ্গলবার, ২১ জুলাই, ২০১৫

ডিমের ১২টি উপকারিতা, যেসব কারণে রোজ ডিম খাওয়া উচিত


১) ছোট্টো একটা ডিম হাজারো ভিটামিনে ভরা। এর ভিটামিন বি ১২ আপনি যা খাচ্ছেন সেই খাবারকে এনার্জি বা শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে। 
২) এর মধ্যে আছে ভিটামিন এ। যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। ডিমের কেরোটিনয়েড, ল্যুটেন ও জিয়েক্সেনথিন বয়সকালের চোখের অসুখ ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। এই একই উপাদান চোখের ছানি কমাতেও সাহায্য করে।
৩) কেবলমাত্র ডিমেই রয়েছে ভিটামিন ডি। যা পেশীর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
৪) আছে ভিটামিন ই। এটি কোষ এবং ত্বকে উত্পন্ন ফ্রি র‌্যাডিক্যাল নষ্ট করে দেয়। এবং স্কিন ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
৫) ডিমের সবচেয়ে বড়ো গুণ এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। ব্রেকফাস্টে রোজ একটি ডিম মানে সারাদিন আপনার ক্ষুধা কম হবে, খাওয়া হবে কম। গবেষণায় দেখা যায়, শরীর থেকে দিনে প্রায় ৪০০ ক্যালোরি কমাতে পারে সকালে একটি ডিম খাওয়া। তার মানে মাসে ওজন কমার পরিমাণ প্রায় তিন পাউন্ড। সমীক্ষা বলছে, ৬৫% বডি ওয়েট, ১৬% বডি ফ্যাট, ৩৪% কোমরে জমে থাকা মেদের পরিমাণ কমাতে পারে ডিম! 
৬) ডিমে আছে আয়রন, জিঙ্ক, ফসফরাস। মেনস্ট্রুয়েশনের জন্য অনেক সময় অ্যানিমিয়া দেখা দেয়। শরীর তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ডিমের মধ্যে থাকা আয়রন এই ঘাটতি মেটাতে পারে সহজেই। জিঙ্ক শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। আর ফসফরাস হাড় ও দাঁত মজবুত করে।
৭) প্রত্যেক নারীর শরীরে রোজ কমপক্ষে ৫০ গ্রাম প্রোটিনের দরকার। একটি ডিমে থাকে ৭০-৮৫ ক্যালোরি বা ৬.৫ গ্রাম প্রোটিন। সুতরাং চাঙা থাকতে রোজ ডিম খেতেই পারেন।
৮) ২০০৩ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় একটি সমীক্ষায় দেখিয়েছে, অ্যাডোলেশন পিরিয়ডে বা পরবর্তী কালে সপ্তাহে ৬টি করে ডিম নিয়মিত খেলে প্রায় ৪৪% ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব৷ সঙ্গে এটাও জানিয়েছে, ডিম হৃৎপিন্ডে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। ফলে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটাই কম থাকে।
৯) শরীর সুস্থ রাখার আরও একটি জরুরি উপাদান কোলাইন। কোলাইনের ঘাটতি ঘটলে অনেক সময় কার্ডিওভাসকুলার, লিভারের অসুখ বা নিউরোলজিক্যাল ডিজ-অর্ডার দেখা দিতে পারে। একটি ডিমে প্রায় ৩০০ মাইক্রোগ্রাম কোলাইন থাকে। যা কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম, স্নায়ু, যকৃত্ ও মস্তিষ্ককে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
১০) নতুন সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ডিম কোলেস্টেরল বাড়ায় না। দিনে দুটো ডিম শরীরের লিপিড প্রোফাইলে কোনও প্রভাব ফেলে না। বরং ডিম রক্তে লোহিতকণিকা তৈরি করে।
১১) প্রোটিন শরীর গঠন করে। আর প্রোটিন তৈরিতে সাহায্য করে অ্যামিনো অ্যাসিড। একুশ ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড এই কাজে প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু আমাদের শরীর অতি প্রয়োজনীয় নয়টি অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি করতে পারে না। তার জন্য আমাদের প্রোটিন সাপি­মেন্ট নিতে হয়। খাবারের মধ্যে এই প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট হল ডিম। যা ঝটপট শরীরে প্রোটিন উৎপাদন করতে পারে।
১২) নখ ভেঙে যাচ্ছে চটপট? নাকি চুলের স্বাস্থ্য একেবারেই বেহাল? চোখ বন্ধ করে রোজ ডিম খেয়ে যান। ডিমের মধ্যে থাকা সালফার ম্যাজিকের মতো নখ আর চুলের মান উন্নত করবে।
Source: rtv
আপনি কি প্লাস্টিক খাবার খান? চিকিৎসকদের মুখে এমন প্রশ্ন শুনে চমকে যাবেন না। কারণ, রোজকার খাবারের সঙ্গে বহুল পরিমাণে প্লাস্টিক আপনার শরীরে ঢুকছে। শুধু ঢুকছেই না, মিশছে রক্তের সঙ্গেও। এর ফলেই শরীরে তৈরি হচ্ছে নানা সমস্যা। যার প্রাথমিক প্রভাব গিয়ে পড়ছে চুলের ওপর। সম্প্রতি ১০০০ জন নারী-পুরুষের উপর একটি পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, ৯২ শতাংশ মানুষের রক্তেই মিলেছে বিস্ফানল এ, যা বিশেষ ধরনের প্লাস্টিক তৈরি করতে কাজে লাগে। যাদের রক্তে মিলেছে, দেখা গিয়েছে তারা বেশিরভাগই ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে বয়স এবং প্রায় সবাই কর্মরত। অর্থাৎ দিনে বেশ কয়েকবার বাইরের খাবার খান। আবার অনেকে বাড়ি থেকেই টিফিন নিয়ে আসেন। অফিসের মাইক্রোওয়েভে খাবার গরম করে খাচ্ছেন। দেখা যাচ্ছে এদের সবাই প্লাস্টিকের পাত্রে খাবার নিয়ে আসছেন। সেখান থেকেই শরীরে ওই বিষ ঢুকছে প্রতিদিন। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ক্রমে স্টিল এবং চিনেমাটির পাত্রের জায়গায় দৈনন্দিন জীবনে প্লাস্টিকের পাত্রের ব্যবহার বহুল পরিমাণে বাড়ছে। এখন প্রায় প্রত্যেক ঘরেই মাইক্রোওয়েভ থাকায় পাত্রে রাখা খাবার গরম করা হচ্ছে তাতেই। তার ওপর রান্না করার পর সরাসরি প্লাস্টিকের পাত্রে খাবার রাখার ফলে খাবারের মধ্যেই বিস্ফানল মিশে যাচ্ছে। এই বিষ হার্টের জন্য ভয়ানক। তাছাড়া মেটাবলিজম এবং হজম সংক্রান্ত নানা অসুখ বাঁধাতে এর জুড়ি মেলা ভার। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. প্রিয়াঙ্কা রোহাতগি বলেন, 'চুল পড়া আসলে একটা উপসর্গ। শরীরে কোনো বড় রোগ বাঁধার আশঙ্কা তৈরি হলে ভীষণভাবে চুল পড়তে থাকে। বিস্ফানল আমাদের শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে। শুধু খাবার গরম করা থেকেই এটা শরীরে প্রবেশ করে না, বাচ্চাদের টিফিনবক্স বা পানির বোতল থেকেও প্রতিনিয়ত এই ক্ষতিকারক বস্তু শরীরে ঢুকছে। এটা প্রথমেই চুলের ওপর হামলা করছে।'  উৎসঃ নয়া দিগন্ত

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী