বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার
অর্থনীতি ও বাণিজ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
অর্থনীতি ও বাণিজ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ৮ মার্চ, ২০২১

ডিপ্লোমা ইন ইসলামিক ব্যাংকিং পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ব্যাংকের এমডি ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ  ইসলামী ব্যাংক ট্রেনিং এন্ড রিসার্চ একাডেমি (আইবিটিআরএ) আয়োজিত ডিপ্লোমা ইন ইসলামিক ব্যাংকিং পরীক্ষা শুরু হয়েছে ৫ মার্চ ২০২১ শুক্রবার

ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক ট্রেনিং এন্ড রিসার্চ একাডেমির প্রিন্সিপাল এস এম রবিউল হাসান। দেশব্যাপী একসাথে ১২ টি কেন্দ্রে ১১ টি ব্যাংকসহ ৩৩টি ফাইনান্সিয়াল ইন্সটিটিউশনের মোট ৪৭০০ পরিক্ষার্থী ডিপ্লোমা ইন ইসলামিক ব্যাংকিং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন।

বুধবার, ২৬ আগস্ট, ২০২০

ইসলামে ব্যবসার গুরুত্ব এবং ব্যবসায় সফল হওয়ার ১৩টি দিক নির্দেশনা


আমাদের বাংলদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ নি:সন্দেহে ব্যবসা হল, হালাল উপার্জনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপায়। তাই তো আল্লাহ তাআলা কুরআনে ব্যবসাকে হালাল ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন,

أَحَلَّ اللهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا
"আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল এবং সুদকে হারাম করেছেন।" (বাকারা: ২৭৫)
তিনি আরও বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُواْ لاَ تَأْكُلُواْ أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ إِلاَّ أَن تَكُوْنَ تِجَارَةً عَنْ تَرَاضٍ مِّنْكُمْ
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না তবে কেবলমাত্র পারষ্পারিক সম্মতিক্রমে ব্যবসা করা হলে তাতে কোন আপত্তি নাই।” (নিসা: ২৯)
রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও যৌবন বয়সে ব্যবসা করেছেন। মক্কার সাহাবিগণ অধিকাংশই ব্যবসায়ী ছিলেন। তারা বছরে দু বার শীত ও গ্রীষ্মকালে শাম ও ইয়েমেন দেশ থেকে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করতেন-যা সূরা কুরায়শে বর্ণিত হয়েছে।
বড় বড় সম্পদশালী ব্যবসায়ী সাহাবিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, আবু বকর সিদ্দিক রা., উমর ইবনুল খাত্তাব রা. উসমান বিন আফফান রা., আব্দুর রহমান বিন আউফ, তালহা বিন উবাইদিল্লাহ, তালহা বিন যুবাইর, যুবাইর ইবনুল আওয়াম প্রমুখ সাহাবিগণ।
আমাদের পূর্বসূরি মহামতি ইমামগণও ব্যবসা করতেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, ইমাম আবু হানিফা রহ., ইমাম মালেক বিন আনাস রহ., ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহ., ইমাম আব্দুল্লাহ ইবনুল মোবারক রহ. প্রমুখ।
তৎকালীন জাহেলি যুগ থেকে আরবে ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রাণ কেন্দ্র ছিলে উকাজ, মিজান্না, যুল মাজায, বনু কাইনুকা প্রভৃতি। সেখানে সাহাবিগণ ব্যবসা-বাণিজ্য করাকে গুনাহের কারণ মনে করলে আল্লাহ তাআলা কুরআনের আয়াত নাজিল করে তাদের সেই সংকোচ উঠিয়ে নিয়ে সেগুলো ব্যবসা করতে উৎসাহ দিলেন। এ প্রসঙ্গে আয়াত নাজিল হল,
لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَن تَبْتَغُوا فَضْلًا مِّن رَّبِّكُمْ ۚ فَإِذَا أَفَضْتُم
“তোমাদের উপর তোমাদের পালনকর্তার অনুগ্রহ অন্বেষণ করায় কোন গুনাহ নেই।” (সূরা বাকারা: ১৯৮) এটা ছিল হজ্জের মৌসুমে। (সহিহ বুখারি-ইবনে আব্বাস রা. হতে বর্ণিত।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ব্যবসায় বরকতের জন্য দুআ করেছেন।
তাছাড়া প্রায় সকল হাদিস ও ফিকহ এর কিতাবে কিতাবুল বুয়ু বা বেচাকেনা অধ্যায় রয়েছে। যেখানে মুহাদ্দিসগণ এ সংক্রান্ত অনেক হাদিস উল্লেখ করেছেন এবং ফকীহগণ ইসলামের দৃষ্টিতে ব্যবসার বিভিন্ন দিক সবিস্তারে আলোচনা করেছেন। ‌
এখান থেকেই ইসলামে ব্যবসা-বাণিজ্যের গুরুত্ব সুস্পষ্টভাবে প্রতিভাত হয়।
যাহোক, ব্যবসায় সফলতা অর্জনের জন্য একজন ঈমানদার ব্যবসায়ীর মধ্যে কতিপয় গুণ-বৈশিষ্ট্য থাকা জরুরি। নিম্নে এ সংক্রান্ত ১৩টি পয়েন্ট উপস্থাপন করা হল:
১) ব্যবসা শেখা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করা:
ব্যবসা করতে শেখা এবং এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞা অর্জনের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য হয়ত কিছুটা সময় লাগবে। ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতার ঝুড়ি ভরতে হয়। তাই এক লাফে বড়লোক হওয়ার চিন্তা মাথা থেকে সরাতে হবে। অভিজ্ঞতা অর্জন করা ব্যতীত কখনোই সমস্ত মূলধন প্রাথমিক অবস্থায় বিনিয়োগ করা উচিৎ নয়। প্রাথমিকভাবে অল্প পরিসরে কাজ শুরু করতে হবে। তারপর যখন অভিজ্ঞতা বাড়তে থাকবে, তখন ধীরে ধীরে মূলধনের পরিমাণও বৃদ্ধি করতে হবে।
অনেকেরই সুন্দর সুন্দর বিজনেস আইডিয়া থাকে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা অর্জন ছাড়াই তারা বিশাল অংকের অর্থ ইনভেস্ট করে ফেলে। অবশেষে বড় ধরণের ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে নিজে মরে, পরিবারকেও মারে। যেমন কেউ ড্রাইভিং না শিখে গাড়িয়ে নিয়ে রাস্তায় বের হয়ে এক্সিডেন্ট করে নিজে মরে-অন্যকেও মারে। (আল্লাহ হেফাজত করুন। আমিন)
মোটকথা, ব্যবসার ক্ষেত্রে সুন্দর পরিকল্পনার পাশাপাশি ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়াদি সম্পর্কে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
২) পরিকল্পনা: নিজস্ব আর্থিক অবস্থা, ব্যবসার জন্য সঠিক স্থান নির্বাচন, জনবল ও মান সম্মত পণ্যের সহজলভ্যতা ইত্যাদি দিক বিবেচনা করে সুন্দরভাবে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা সাজাতে হবে। এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে, ব্যবসায়িক সফলতা বিষয়ে গবেষকদের লিখিত বই পড়া যেতে পারে, ইউটিউবে বিজনেস প্ল্যান, বিজনেস আইডিয়া, অ্যাডভার্টাইজমেন্ট, ব্যবসায় সফলতা সংক্রান্ত বিভিন্ন ভিডিও দেখা বা এ সংক্রান্ত কোন কর্মশালায় অংশ নেয়া যেতে পারে।
৩) সততা ও সত্যবাদিতা: সত্যবাদিতা তথা কথা-কাজে মিল রাখা প্রতিটি মুসলিমের জন্য আবশ্যিক গুণ তো বটেই তবে ব্যবসায় সাফল্যের ক্ষেত্রে তা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এটি ব্যসায়িকের প্রতি গ্রাহকের আস্থা এনে দেয়।
৪) আমানতদারিতা (বিশ্বস্ততা): আমানতদারিতা না থাকা মুনাফেকের আলামত। সুতরাং চোরাকারবারি, মুনাফাখোরি, মজুদদারি, কালোবাজারি, পণ্যে ভেজাল দেওয়া, ওজনে কারচুপি করা, নকল করা; ধোঁকা, প্রতারণা ও ঠকবাজির আশ্রয় নেওয়া, দামে হেরফের করা প্রভৃতি অসাধুতা ইত্যাদি একজন মুসলিম হিসেবে তো অবশ্যই পরিত্যাজ্য একজন সৎ ব্যবসায়ী হিসেবেও পরিত্যাজ্য।
সত্যবাদিতা ও বিশ্বস্ততা এ দুটি গুণ কেবল দুনিয়ায় সম্মান ও সফলতা অর্জনের কারণ নয় বরং আখিরাতেও বিশাল মর্যাদা লাভের কারণ। যেমন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, আবু সাঈদ খুদরি রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
التَّاجِرُ الصَّدُوقُ الأَمِينُ مع النَّبيِّينَ والصِّدِّيقِينَ والشُّهداءِ
“সত্যবাদী ও আমানতদার (বিশ্বস্ত) ব্যবসায়ী (আখিরাতে) নবী, সিদ্দিক এবং শহিদগণের সঙ্গে অবস্থান করবে।”
(জামে তিরমিযী: ৩/৫১৫ (১২০৯), সহিহ তারগিব-সহিহ লি গাইরিহ ১৭৮২)
সুবহানাল্লাহ! একজন সৎ ও বিশ্বস্ত ব্যবসায়ীর জন্য এর চেয়ে বড় মর্যাদার বিষয় আর কী হতে পারে!
৫) গ্রাহকের সাথে হাসিমুখে কথা ও সুন্দর আচরণ: হাদিসে হাসি মুখে কথা বলাকে সদকার সমপরিমাণ সওয়াব এবং সুন্দর আচরণকে জান্নাতে প্রবেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে যার আচরণ যত বেশি সুন্দর সবাই তাকে তত বেশি ভালোবাসে, সম্মান ও শ্রদ্ধা করে। দোকানের সেলস ম্যান যদি গ্রাহকদের সাথে হাসিমুখে কথা না বলে এবং ভদ্র ব্যবহার না করে তাহলে কেউ তার কাছে আসবে না।
৬) ধৈর্য ও কঠোর পরিশ্রম (অলসতাকে বিদায় জানানো)। বিল গেটস বলেন, “সাফল্যের জন্য কখনই দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন না। সাফল্যের একটি মূল উপাদান হল ধৈর্য।”
৭) ব্যবসায় উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও সৃজনশীলতা: ব্যবসায় এ দুটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসায় সফলতা পেতে সব সময় কিছু নতুনত্ব থাকা প্রয়োজন। যেমন: নতুন কালেকশন, বিশেষ ছাড়, হোম ডেলিভারি, ফ্রি সার্ভিস, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, অনলাইন ওয়ার্ডার ইত্যাদি। বিভিন্ন উপলক্ষে গ্রাহক আকৃষ্ট করার জন্য কিছু কৌশল প্রয়োগ করতে হবে। তাহলে তা গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।
৮) গ্রাহকদের উন্নতমানের সেবা ও তাদের সন্তুষ্টি অর্জন: গ্রহককে কোন কিছুর প্রতিশ্রুতি দিলে তা রক্ষা করা, পণ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে বা কোন কিছু খুঁজে পেতে ক্রেতাকে সাহায্য করা, তার কথা মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করা, তাকে কেয়ার করা ইত্যাদি ব্যবসায়িক সাফল্য এনে দিতে বিরাট সাহায্য করে।
৯) গ্রাহকদের সমালোচনাকে ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করা: গ্রাহকদের পক্ষ থেকে প্রাপ্ত সমালোচনা এবং খারাপ প্রতিক্রিয়াগুলোকে ইতিবাচক ভাবে গ্রহণ করে সেগুলোকে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের প্রভাবক হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।
১০) বাজারের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে যথাসময়ে যথোপযুক্ত পণ্য সরবরাহ করা: ব্যবসায়িক সাফল্যের জন্য বাজারের হালচাল বুঝে সঠিক সময়ে সঠিক মানের পণ্য বা সেবা সঠিক সময়ে ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেয়া অত্যন্ত জরুরি।
১১) মান সম্মত পণ্য (Best Products): মানুষের চাহিদার দিকে লক্ষ রেখে মান সম্মত পণ্য আমদানি করতে হবে। তবে অবশ্যই ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম কোন পণ্য ক্রয় বা বিক্রয় করা জায়েজ নাই।
১২) প্রতিযোগিতা মূলক মূল্যে পণ্য বিক্রয় করা: গ্রাহকদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে যথাসম্ভব প্রতিযোগিতা মূলক মূল্যে পণ্য বিক্রয় করার চেষ্টা করতে হবে।
১৩) দুআ: সর্বোপরি আল্লাহর নিকট হালাল রিজিক ও ব্যবসায়িক সাফল্যের জন্য দুআ করা জরুরি। কেননা ব্যবসায় সব সময় লাভ হবে এমনটা আশা করা ঠিক নয় বরং এখানে লোকসানের ঝুঁকিও আছে। সে মানসিক প্রস্তুতি রাখতে হবে।
আর মনে রাখতে হবে, আমাদের দেহে রূহ ফুঁকার আগেই মহান আল্লাহ আমাদের রিজিকের ফয়সালা করে রেখেছেন। কিন্তু আমাদের কর্তব্য, যথানিয়মে কাজ করা এবং প্রয়োজনীয় চেষ্টা ও পরিশ্রম করা। সফলতা দেয়ার মালিক মহান আল্লাহ। তিনি না দিলে আমরা শত চেষ্টা করেও একটা কানাকড়িও অর্জন করতে পারব না। এই বিশ্বাস মাথায় রেখেই আমাদেরকে কাজ করতে হবে।
আল্লাহ তাওফিক দান করুন। আমিন।
----------------------------------------
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (আল হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ)
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব

বুধবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৯

এএফপি’র রিপোর্ট: ধর্মঘটের কারণে বাংলাদেশে প্রায় ৫০০০ গার্মেন্ট শ্রমিক চাকরিচ্যুত

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃ বাংলাদেশে এ মাসে বেতন বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে ধর্মঘটে যোগ দেন গার্মেন্ট শ্রমিকরা। এক পর্যায়ে তা সহিংস হয়ে ওঠে। এ ধর্মঘটে যোগ দেয়ার কারণে নিম্ন বেতনভুক্ত এসব শ্রমিকের প্রায় ৫০০০ জনকে চাকরিচ্যুত করেছেন কারখানার মালিকরা। বিশ্বের বিভিন্ন ব্রান্ডের পোশাক সেলাই করতেন এসব শ্রমিক। মঙ্গলবার এসব তথ্য দিয়েছে পুলিশ। সারাদেশে গার্মেন্ট কারখানায় কর্মরত হাজার হাজার শ্রমিক কয়েক দিনের এ ধর্মঘট, প্রতিবাদে কারখানা ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন। এতে ৩০০০ কোটি ডলারের এ শিল্পে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। ওই প্রতিবাদ বিক্ষোভে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে।
ঢাকার উপকণ্ঠে আশুলিয়া হলো এ শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। সেখানে বড় বড় খুচরা ক্রেতাদের জন্য পোশাক সেলাই করা হয়। সেখানে সংঘর্ষে একজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫০ জন। 
পুলিশ বলেছে, প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলাকালে লুটপাট ও ভাঙচুরের অভিযোগে কয়েক হাজার শ্রমিককে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে শ্রমিক ইউনিয়নগুলো অভিযোগ করেছে, এ শিল্পে ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে। দমনপীড়ন চালানো হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, শ্রমিক অসন্তোষের কারণে এখন পর্যন্ত ৪৮৯৯ জন শ্রমিককে বরখাস্ত করা হয়েছে। একটি কারখানা থেকেই বরখাস্ত করা হয়েছে কমপক্ষে ১২০০ শ্রমিককে। তাদের বেতন মাসে ৯৫ ডলার থেকে শুরু হয়ে আরো উপরে। কিন্তু শ্রমিক ইউনিয়নগুলো বলছে, বরখাস্ত করা শ্রমিকের বাস্তব সংখ্যা আরো অনেক বেশি, যা ৭ হাজারের কাছাকাচিছ। এ ছাড়া আরো একশত শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 
ইন্ডাস্ট্রি অল বাংলাদেশ কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন স্বপন বলেছেন, অনেক শ্রমিক কাজে ফিরতে ভয়ে আছেন। তিনি বলেন, অজ্ঞাত ৩০০০ শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এতে শ্রমিকদের মধ্যে পীড়া সৃষ্টি হয়েছে। অনেক শ্রমিক কারখানায় না যাওয়াকে বিকল্প হিসেবে বেছে নিয়েছেন। 
বাংলাদেশে রয়েছে ৪৫০০ তৈরি পোশাক কারখানা। এতে কাজ করেন ৪১ লাখ শ্রমিক। চীনের পরেই এ দেশটি সারা বিশ্বে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ। বাংলাদেশের বৈদেশিক আয়ের শতকরা প্রায় ৮০ ভাগই আসে এই পোশাক বিক্রি থেকে। তাই এই শিল্প উল্লেখযোগ্য শক্তি রাখে।

শ্রমিকদের ধর্মঘট বন্ধ করতে মোতায়েন করা হয়েছিল পুলিশ। তবে ওই ধর্মঘট মাত্র তখনই শেষ হয় যখন সরকার বেতন সামান্য বৃদ্ধি করতে রাজি হয়। এই বৃদ্ধি এতটাই সামান্য যে, কোনো কোনো শ্রমিকের জন্য তা মাসে মাত্র কয়েক সেন্ট (১০০ সেন্ট সমান এক ডলার)। সোমবার আমস্টার্ডাম ভিত্তিক শ্রমিক অধিকার বিষয়ক সংগঠন ক্লিন ক্লোথস ক্যাম্পেইনের বেন ভ্যানপেপোরস্ট্রেইটি বলেছেন, প্রকৃত সত্য হলো সাম্প্রতিক সংশোধনীর পরও বাংলাদেশের এসব শ্রমিক এখনও খুবই কম মজুরি পাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকার শ্রমিকদের ভীতি প্রদর্শনেেক বেছে নিয়েছে এবং তাদের যেকোনো সংগঠিত হওয়ার চেষ্টাকে দমন করছে।

মঙ্গলবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৯

এক বছরেই পাচার ৫০ হাজার কোটি টাকা: জিএফআই



আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃ ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৫৯০ কোটি ডলার পাচার হয়েছে। টাকার অঙ্কে যা প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। এর আগে ২০০৬ থেকে এক দশকে পাচারের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ২৯ হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা। আমদানি-রপ্তানির সময়ে পণ্যের প্রকৃত মূল্য গোপন করার মাধ্যমেই এই অর্থের বড় অংশ পাচার করা হয়েছে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি (জিএফআই) এর বার্ষিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। বিশ্বজুড়ে অর্থপাচার নিয়ে প্রায় এক দশক ধরে প্রতিবেদন প্রকাশ করছে জিএফআই। প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে ১৪৮ উন্নয়নশীল দেশের টাকা পাচারের চিত্র। ২০১৫ সালে মোট আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের তুলনায় পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৫ ভাগ।
জিএফআই’র তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয় ৫৯০ কোটি ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের মোট বাণিজ্যের প্রায় ২০ ভাগই পাচার হয়েছে নানা কৌশলে। জিএফআই’র হিসাবে, ১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩০৯ কোটি ডলার বা ৫ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাংলাদেশের মোট বাজেট ছিল ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ চলতি বছরের মোট বাজেটের চেয়েও বেশি টাকা ১০ বছরে পাচার হয়েছে।
মোট আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের কত শতাংশ পর্যন্ত অর্থ পাচার হয়েছে, সেই তথ্য প্রকাশ করেছে জিএফআই। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দুটি হিসাবই রয়েছে। পাশাপাশি অবৈধভাবে কী পরিমাণ অর্থ দেশের ভেতরে এসেছে, সেই তথ্যও প্রতিবেদনে দেয়া রয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, তাদের দেয়া অর্থ পাচারের সব হিসাবই রক্ষণশীল, অর্থ পাচারের প্রকৃত পরিমাণ আরো বেশি হতে পারে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৪ সালে দেশ থেকে পাচার হয় ৮৯৭ কোটি ডলার। অঙ্কের হিসাবে ২০১৫ সালে এর পরিমাণ কমলেও জিএফআই বলছে, এটি আনুমানিক হিসাব। প্রকৃত পাচারের পরিমাণ আরো বেশি হতে পারে। পাচারের পাশাপাশি ২০১৫ সালে অবৈধভাবে দেশে এসেছে ২৮০ কোটি ডলার।
সংস্থাটির প্রতিবেদন অনুসারে, টাকার অঙ্কের দিক দিয়ে ২০১৫ সালে অর্থপাচারে শীর্ষ ৩০ দেশের একটি ছিল বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। এশিয়ার ৩০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের পরেই রয়েছে ফিলিপাইন। দেশটি থেকে পাচার হয়েছে ৫১০ কোটি ডলার। বাংলাদেশের আগে রয়েছে ভারত। দেশটি থেকে ৯৮০ কোটি ডলার পাচার হয়েছে। এর আগে আছে মালয়েশিয়া। দেশটি থেকে পাচার হয়েছে ৩৩.৭ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৩৭০ কোটি ডলার।
প্রতিবেদনে অবৈধভাবে দেশের বাইরে অর্থ পাচারের শীর্ষ তালিকায় রয়েছে সাউথ আফ্রিকা। দেশটি থেকে পাচার হয়েছে ১০.২ বিলিয়ন ডলার। এর পর রয়েছে নাইজেরিয়া (৮.৩ বিলিয়ন), তুরস্ক (৮.৪ বিলিয়ন), হাঙ্গেরি (৬.৫ বিলিয়ন), পোলান্ড (৩.১), মেক্সিকো (৪২.৯ বিলিয়ন), ব্রাজিল (১২.২ বিলিয়ন), কলম্বিয়া (৭.৪ বিলিয়ন), চিলি (৪.১ বিলিয়ন)।
মূল প্রতিবেদনে ১৪৮টি দেশের অবৈধ অর্থ প্রবাহের তথ্য দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, সারা বিশ্বে যে পরিমাণ অর্থ পাচার হয়, তার ২৪ শতাংশই হয় উন্নয়নশীল দেশ থেকে। আর প্রতিবছরই অর্থ পাচারের হার ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। মূলত আর্থিক খাতে স্বচ্ছতার অভাবেই অর্থ পাচার বাড়ছে। জিএফআই বলছে, টাকা পাচারের এ প্রবণতা টেকসই উন্নয়নের বড় বাধা।
জিএফআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে ২০১২ সালে অর্থ পাচারের পরিমাণ ৭২২ কোটি ৫০ লাখ ডলার, ২০১৩ সালে ৯৬৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার ও ২০১৪ সালে ৭০০ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। এ ছাড়া ২০০৫ সালে ৪২৬ কোটি ২০ লাখ ডলার, ২০০৬ সালে ৩৩৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার, ২০০৭ সালে ৪০৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার, ২০০৮ সালে ৬৪৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার, ২০০৯ সালে ৬১২ কোটি ৭০ লাখ ডলার, ২০১০ সালে ৫৪০ কোটি ৯০ লাখ ডলার এবং ২০১১ সালে পাচার হয় ৫৯২ কোটি ১০ লাখ ডলার।
এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক তদন্তে দেখা গেছে, শিল্পের যন্ত্রপাতি ভর্তি কনটেইনারে পাওয়া গেছে ছাই, ইট, বালি, পাথর ও সিমেন্টের বক। এতে শিল্পের কোনো যন্ত্রপাতি পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া বন্দরে শুল্ক গোয়েন্দাদের তদন্তে খালি কনটেইনার আমদানির ঘটনাও ধরা পড়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এবি মীর্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, যখন আস্থার সংকটে ভোগেন তখনেই মূলধন বিদেশে নিয়ে যান অনৈতিক পন্থায়। দেশ থেকে টাকা পাচার বেড়ে যাওয়াও এটি একটি কারণ বলে তিনি মনে করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা কমে যাওয়ার অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে অর্থ পাচার। এ ছাড়া দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ না থাকা, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তাহীনতার কারণেও অর্থ পাচার বাড়ছে। তার মতে, অর্থ পাচার রোধ করতে হলে দুর্নীতি কমিয়ে আনার বিকল্প নেই। পাশাপাশি বিনিয়োগের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। নাগরিক জীবনেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, টাকা পাচার রোধে বাংলাদেশ ব্যাংক সবসময় কাজ করছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে যেসব আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন রয়েছে, আমরা তা পুরোপুরি মেনে চলছি। আন্তর্জাতিকভাবে যেসব তথ্য আসছে, তা সংগ্রহ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সরবরাহ করছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের দিক থেকে চেষ্টায় কোনো ত্রুটি নেই।

সোমবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৮

ইসলামী ব্যাংকের সব বিনিয়োগ বন্ধ, কর্মকর্তাদের মধ্যে ‘ছাঁটাই’ আতঙ্ক



ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড সব ধরনের বিনিয়োগ বন্ধ করে দিয়েছে। আগে মৌখিকভাবে বিনিয়োগ বন্ধের কথা বলা হলেও গত রবিবার ব্যাংকের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ সুইচ বন্ধ করে দিয়ে বিনিয়োগ বন্ধ করা হয়েছে।
ফলে দেশের কোনো জায়গা থেকে বিনিয়োগ (ঋণ) দিতে পারেনি ব্যাংকের শাখাগুলো। নগদ টাকার সঙ্কট মেটাতে কোনো ব্যাংকের বিনিয়োগ এভাবে বন্ধ করে দেওয়ার এ ঘটনা দেশে নজিরবিহীন।
ইসলামী ব্যাংক নতুন করে বিনিয়োগ প্রকল্প নিচ্ছে না বেশ আগে থেকেই। আর যেসব গ্রাহক ও প্রকল্পের জন্য বিনিয়োগ অনুমোদিত হয়েছিল সেগুলোতে অর্থ ছাড় করা হচ্ছিল খুব ধীর গতিতে। গতকাল থেকে তা একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হলো। এমনকি ব্যাংকের নিজস্ব কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত বিনিয়োগও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ইসলামী ব্যাংকের জনপ্রিয় সেবা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আউটলেট দেওয়ার কার্যক্রমও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকটির এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ১০৫টি আউটলেটের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে ৯৫টি আউটলেট চালু হয়েছে। বর্তমানে নতুন আউটলেট উদ্বোধন বন্ধ রেখেছে ব্যাংকটি। দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়ায় এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আরো ২০০টি আউটলেটের অনুমোদন চেয়েছিল ব্যাংকটি। বিনিয়োগসহ প্রয়োজনীয় সেবা বন্ধ রাখার পাশাপাশি ব্যাংকটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে এখনো ‘ছাঁটাই’ আতঙ্ক কাজ করছে। এতে ব্যাংকটি এক প্রকার স্থবির হয়ে পড়েছে। তবে আমানতকারীদের কাছ থেকে আমানত গ্রহণ ও প্রদান ঠিক রয়েছে বলে ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
নগদ টাকার সঙ্কট মেটাতে ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত আমানত ও বিনিয়োগ হার (আইডিআর) ঠিক করার জন্য বিনিয়োগ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এ নীতি হিতে বিপরীত হতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব্যাংকিং খাতের সংশ্লিষ্টরা। গত বছর জানুয়ারিতে ব্যাংকটিতে যে পরিবর্তন শুরু হয় তা চলতি মাসেও অব্যাহত থাকায় ব্যাংকটি নানান সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
বিনিয়োগ বন্ধ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র দেবাশিষ চক্রবর্তী বলেন, গ্রাহকের চাহিদা ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বিনিয়োগ বিষয়ে ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেয়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের সরাসরি কিছু বলার নেই। এ বিষয়ে ওই ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তই গুরুত্বপূর্ণ।
দেশের বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় এ ব্যাংক সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকটির এমন সঙ্কটে পড়ার যৌক্তিক কারণ নেই। ব্যাংকটির এত বছরে কখনো তহবিল সঙ্কটে (নগদ টাকা) পড়েনি। গত বছর প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ হয়েছে। তারপরও কেন এমন হচ্ছে সে বিষয়ে কেউই কিছু বলতে পারছে না। দিনে দিনে ব্যাংকটির প্রতি গ্রাহকদের আস্থা সঙ্কট বাড়ছে বলেও মনে করছেন তারা।
জানা গেছে, ইসলামী ব্যাংক থেকে বিনিয়োগ প্রাপ্তির অনুমোদন পাওয়া কোনো কোনো প্রকল্পে বড় অংকের টাকা বিনিয়োগ করে রেখেছে। এখন বিনিয়োগের পুরো অর্থ না পাওয়ায় ওই প্রকল্পগুলো পণ্য উত্পাদনে যেতে পারছে না। ফলে গ্রাহক ও ব্যাংক উভয়ে ক্ষতিতে পড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেখা গেছে, ইসলামী ব্যাংকের ৯২ শতাংশ হয়ে গেছে। যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিত হারের চেয়ে ২ শতাংশ বেশি। ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান মোট আমানতের পরিমাণ ৭৬ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা। যার মধ্যে মুদারাবা আমানত ৬৭ হাজার ৫৩ কোটি টাকা। আর বাকিটা খরচ ছাড়া (কস্ট ফ্রি) আমানত। ব্যাংকটি বিনিয়োগ রয়েছে ৭৭ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা। এ বিনিয়োগের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগ ৭৪ হাজার ৮৭ কোটি এবং বাকিটা শেয়ার বিনিয়োগ। সে হিসাবে আইডিআর ৯১ দশমিক ৪৬ শতাংশ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ইসলামী ব্যাংকগুলো তাদের সংগৃহীত আমানতের ৮৫ শতাংশ ঋণ বিতরণ করতে পারে। তবে সার্বিক আর্থিক সূচক ভালো থাকলে সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশ ঋণ বিতরণ করা যায়। যদিও সর্বোচ্চ এই হার এক শতাংশ কমিয়ে ৮৯ শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যেসব ব্যাংকের ঋণ ৮৯ শতাংশের বেশি রয়েছে তাদেরকে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে এই সীমার মধ্যে নামিয়ে আনতে হবে।
ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কখন চাকরি চলে যায় এমন আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছে। আর কি কারণে চাকরি যাচ্ছে সেটাও কারো কাছেই স্পষ্ট নয়। তুলনামূলক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাঝে এমন আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০১৬

বৃটিশ পত্রিকা ডেইলি মেইলের চাঞ্চল্যকর তথ্য -- রিজার্ভ চুরির মূল হোতারা থাকেন ভারতে!


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ  বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির পেছনে মূল হোতারা রয়েছে ভারতে। এক বছরের বেশি সময় ধরে তারা হ্যাকিংয়ের পরিকল্পনা করে। আর এটা একজনের নয়, কয়েকজনের কাজ। বৃটেনের ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে সূত্রের বরাত দিয়ে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, এসব হ্যাকারের হদিস পাওয়া সম্ভব নয়। গত ফেব্রুয়ারিতে নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ৯৫ কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে হ্যাকাররা। এর মধ্য থেকে তারা মাত্র ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নিতে সমর্থ হয়। এই অর্থ লোপাটের ঘটনা নিয়ে তদন্ত করছে একাধিক সংস্থা। তবে এখনও পর্যন্ত ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কারও সন্ধান পাওয়া যায়নি। মেইল অনলাইনকে একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের এই রাজকোষ কেলেঙ্কারি কোনো একজন ‘হোতা’র কাজ নয়। এই কাজে একাধিক ব্যক্তি জড়িত এবং তারা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এই ঘটনার পরিকল্পনা করেছে। 
সূত্রটি বলেছে, ‘এতে সংশ্লিষ্টরা ভারতে রয়েছে এবং তারা সম্ভবত প্রক্সি (ইন্টারনেটে নিজের প্রকৃত অবস্থান গোপন করে ভার্চুয়াল অবস্থান দেখানোর পদ্ধতি) ব্যবহার করছে। সে কারণেই তাদের ধরা যাচ্ছে না। তারা ভারতের কেন্দ্রেই অবস্থান করছে এবং কয়েকজন রয়েছে বাইরে। কারিগরি দিক থেকে তারা এতটাই শক্তিশালী যে তাদের সন্ধান পাওয়াই সম্ভব নয়।’ ওই সূত্রটি আরও বলেছে, ‘এসব ব্যক্তি খুব সহজেই নিজেদের লুকাতে পারে এবং ২/৩ মিনিটের মধ্যেই হারিয়ে যেতে পারে।’ সূত্রটি জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ লোপাট হওয়া অর্থের কিছুটা উদ্ধার করতে পারলেও পুরোটা পারেনি এবং এর হোতাদের সারাজীবন নিশ্চিন্তে পার করে দেয়ার জন্য দেড় কোটি ডলারই যথেষ্ট।
এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজনকে ফিলিপাইনে শনাক্ত করা গেলেও কাউকেই গ্রেপ্তার করা হয়নি। ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ অবশ্য ফিলিপাইনের ব্যাংকে পৌঁছানো ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার উদ্ধারে দেশটির কর্তৃপক্ষের ওপর আস্থা রেখেছেন। এদিকে ফিলিপাইনের অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং কাউন্সিলের (এএমএলসি) নির্বাহী পরিচালক জুলিয়া আবাদ জানিয়েছেন, কিম ওংয়ের কাছে থাকা দেড় কোটি ডলার ফেরত দেয়া হয়েছে। আরও দুই কোটি ৮০ লাখ ডলার রয়েছে ম্যানিলার ক্যাসিনো সোলেয়ারে এবং এক কোটি ৭০ লাখ ডলার রয়েছে রেমিট্যান্স কোম্পানি ফিলরেমের কাছে। আরও এক কোটি ২০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের ক্যাসিনো সিস্টেমের মধ্যেই রয়েছে বলে মনে করেন জুলিয়া আবাদ। 
তবে ম্যানিলার একজন বেসরকারি গোয়েন্দা অগাস্টাস এসমেরাল্ডা রয়টার্সকে বলেছেন, এই ঘটনাকে ব্যাংকের হ্যাকিং হিসেবে দেখা উচিত হবে না। তিনি বলেন, ‘এটা অনেকটা হ্যাকারদের নিযুক্ত করে অর্থ চুরির ঘটনার মতো। এর পিছনে রয়েছেন এমন ব্যক্তি যিনি ব্যাংক, অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং সিস্টেম ও ক্যাসিনো সম্পর্কে জানেন। আমার কাছে এটাকে মনে হয়েছে আধুনিক সময়ের ওশান’স ১১। একে বলা যেতে পারে ম্যানিলা ১২।’ উল্লেখ্য, ওশান’স ১১ একটি হলিউড সিনেমা যাতে লাস ভেগাসের একটি ক্যাসিনো থেকে অর্থ চুরি করে ১১ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল।উৎসঃ মানব জমিন

বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৬

পানামা পেপার্সে বাংলাদেশীদের নাম প্রকাশিত হওয়ায় উদ্বেগ যারা বিদেশে অর্থ পাচার করছে তারা দেশের শত্রু -ডাঃ শফিকুর রহমান


বাংলাদেশ বার্তা:পানামা পেপার্স বিস্ফোরণে বাংলাদেশী পঁচিশজন প্রভাবশালী অর্থ পাচারকারী ব্যক্তির নাম প্রকাশিত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, পানামা পেপার্স বিস্ফোরণে বাংলাদেশের যে পঁচিশজন প্রভাবশালী অর্থ পাচারকারী ব্যক্তির নাম প্রকাশিত হয়েছে তাদের ব্যাপারে বিচার বিভাগীয় শক্তিশালী কমিটি গঠন করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার এবং অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। 
বুধবার দেয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, পানামা পেপার্স বিস্ফোরণে বাংলাদেশী পঁচিশজন প্রভাবশালী অর্থ পাচারকারী ব্যক্তির নাম প্রকাশিত হওয়ায় দেশবাসীর নিকট পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে, বাংলাদেশী বহু অর্থ পাচারকারী ব্যক্তি বিদেশে অর্থ পাচার করছে। যারা বিদেশে অর্থ পাচার করছে তারা নিঃসন্দেহে দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি। তারা দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করে সম্পদের পাহাড় গড়ছে। অর্থ পাচারকারীদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ও তার স্ত্রীর নামও এসেছে। আগামী মে মাসে আরো অর্থ পাচারকারী ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে। 
তিনি বলেন, দেশবাসী উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে, বর্তমান সরকারের আমলে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি দেশের অর্থ দুর্নীতির মাধ্যমে লুটপাট করছে এবং বিদেশে পাচার করছে। সরকারের আশ্রয়-প্রশ্রয় থেকেই প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জনগণের অর্থ লুটপাট করছে এবং পাচার করছে। কিন্তু সরকার বরাবরই এসব ব্যাপারগুলো ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। এ সরকারের আমলে অর্থ কেলেংকারির বহু ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কোন একটি ঘটনারই সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হয়নি। 
তিনি আরো বলেন, পাচারকৃত অর্থ দেশের সাধারণ জনগণেরই অর্থ। সুতরাং জনগণের সামনে পুরো বিষয়টি তুলে ধরতে হবে। সরকারের সাথে এদের সামাজিক ও রাজনৈতিক কোন যোগসূত্র না থাকলে বেপরোয়াভাবে তারা এভাবে অর্থ লুটপাট করতে পারতো না। তাই দেশের জনগণ সঙ্গত কারণেই বিশ্বাস করে সরকারের একটি উঁচু মহল এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে।
ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, দেশের অর্থ যারা বিদেশে পাচার করছে, তারা দেশের শত্রু। তারা জনগণকে শোষণ করে এবং দুর্নীতি করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে সেই টাকা বিদেশে পাচার করে দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিচ্ছে। যারা এভাবে দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করছে তাদের সম্পদের হিসাব গ্রহণ করা প্রয়োজন। দুর্নীতি দমন কমিশনের উচিত, অর্থ পাচারকারী হিসেবে যাদের নাম এসেছে তাদের অর্থের হিসাব গ্রহণ করা। অর্থ পাচারকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় না দিয়ে তাদের ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। এই ব্যাপারটি ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা চালানো হলে দেশের জনগণ তা বরদাস্ত করবে না। 
একটি বিচার বিভাগীয় শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে অর্থ পাচারকারী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার এবং অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে যথোপোযুক্ত আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। অন্যথায় দেশের জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।

রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০১৫

বিশ্বের ১০০০ ব্যাংকের তালিকায় ইসলামী ব্যাংক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড দেশের একমাত্র ব্যাংক হিসেবে এবারো বিশ্বসেরা ১০০০ ব্যাংকের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। তিন বছরে ব্যাংকটি ৪৬ ধাপ এগিয়ে ২০১৫ সালে মূলধন সক্ষমতার বিচারে ৯৫৪তম স্থান অর্জন করেছে। ২০১২, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে এর অবস্থান ছিল যথাক্রমে ১০০০তম, ৯৮৪তম ও ৯৭০তম। এছাড়া রিটার্ন অন ক্যাপিট্যাল, রিটার্ন অন অ্যাসেটস, ক্যাপিট্যাল অ্যাসেটস রেশিও এবং সম্পদের পরিমাণ ক্যাটেগরিতে ইসলামী ব্যাংকের অবস্থান যথাক্রমে ৭০, ২৫০, ৭৯১ এবং ৭৮৫তম। যুক্তরাজ্যভিত্তিক ম্যাগ্যাজিন ‘দি ব্যাংকার’ ১৯৭০ সাল থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিশ্বের সেরা ব্যাংকগুলোর র্যা ঙ্কিং প্রকাশ করে আসছে।

বিশ্বের ১৬৩টি দেশের শীর্ষস্থানীয় ৫০০০’র অধিক ব্যাংকের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ও মূল্যায়নের ভিত্তিতে ম্যাগাজিনটি প্রতি বছর জুলাইয়ে এ তালিকা প্রকাশ করে।
সেরা হাজার ব্যাংকের তালিকায় স্থান পাওয়ার মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক বিশ্বমানের ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা লাভ করেছে এবং বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল করেছে বলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তি
উৎসঃ   আরটিএনএন

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী