বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

রবিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২০

মীর নিসার আলী তিতুমীর: তাঁর শহীদ দিবসে রইল আন্তরিক ও বিনম্র শ্রদ্ধার্ঘ্য

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ দু'হাজার চার সালে বিবিসি বাংলা একটি 'শ্রোতা জরিপ'-এর আয়োজন করে। বিষয়টি ছিলো -সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি কে? তিরিশ দিনের ওপর চালানো জরিপে শ্রোতাদের ভোটে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ ২০জনের জীবন নিয়ে বিবিসি বাংলায় বেতার অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয় ২০০৪-এর ২৬শে মার্চ থেকে ১৫ই এপ্রিল পর্যন্ত।

বিবিসি বাংলার সেই জরিপে শ্রোতাদের মনোনীত শীর্ষ কুড়িজন বাঙালির তালিকায় ১১ তম স্থানে আসেন মীর নিসার আলী তিতুমীর।

বিপ্লবী, বিদ্রোহী মীর নাসির আলী বেশি পরিচিত শহীদ তিতুমীর হিসাবে। তিনি শুধু ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধেই লড়াই করেননি, তিনি বাংলার জমিদারদের বিরুদ্ধে কৃষকদের সংগঠিত করেছিলেন, প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন তাঁর বাঁশের কেল্লা থেকে।

ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মীর নিসার আলী তিতুমীরের নাম উজ্জল হয়ে আছে।

তিনি সর্বপ্রথম ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে লড়াই করে মৃত্যুবরণ করেছিলেন।

মীর নিসার আলী তিতুমীরের জন্ম ১৭৮২ সালে পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগণা জেলার বারাসত মহকুমার চাঁদপুর গ্রামে। বাবা সৈয়দ মীর হাসান আলী এবং মা আবিদা রোকেয়া খাতুন।

গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষাগ্রহণের পর তিনি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন। কোরান ও হাদিস বিষয়ে অল্প বয়সেই তিনি পাণ্ডিত্য লাভ করেন।

পবিত্র হজ্জ পালন করতে গিয়ে মক্কায় অবস্থানকালে তিতুমীর মুক্তি সংগ্রামের পথপ্রদর্শক সৈয়দ আহমদ শহীদের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন।

১৮২৭ সালে দেশে ফিরে গিয়ে তিনি সমাজ সংস্কারে আত্মনিয়োগ করেন।

নীলচাষীদের বিদ্রোহের পিছনে ছিল অর্ধ শতাব্দী ধরে নীল চাষীদের উপরে ব্রিটিশ নীলকরদের অত্যাচার ও নিপীড়ন। ভারতীয় উপমহাদেশের মাটি নীল চাষের উপযোগী হওয়ায় ব্রিটিশ নীলকররা এতে বিপুল পুঁজি বিনিয়োগ করেছিল। প্রথমদিকে নীলচাষ একচেটিয়া ছিল ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির।

বাংলাদেশে ইতিহাসের অধ্যাপক আব্দুল মোমেন চৌধুরী জানান তিতুমীর জীবন শুরু করেছিলেন একজন সমাজ ও ধর্মীয় সংস্কারক হিসাবে।

"তখন মুসলমান সমাজে যেসব বিদআত (এমন রীতি যা ইসলামসম্মত নয়) এবং শিরক্ (আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে উপাস্য হিসেবে সাব্যস্ত করা বা তার উপাসনা করা) ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলোকে দূর করার উদ্দেশ্য নিয়েই তিনি তাঁর কাজ শুরু করেছিলেন।"

"কিন্তু এই ধর্মীয় এবং সামাজিক প্রেক্ষাপট পরে একটা অর্থনৈতিক এবং ব্রিটিশ বিরোধী প্রেক্ষাপটে পরিণত হয়েছিল," বলেন আব্দুল মোমেন চৌধুরী।

তিতুমীর হিন্দু ও মুসলমান কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ করেন এবং জমিদার ও ব্রিটিশ নীলকরদের বিরুদ্ধে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে নিতে উৎসাহিত করেন। ২৪ পরগণা ও নদীয়ার অনেক কৃষক তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে তাঁর আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করেছিলেন।

অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন জানান কৃষকদের নিয়ে তিতুমীরের আন্দোলন অল্প কিছুদিনের মধ্যেই গণ আন্দোলনে রূপ নেয়।

"তিতুমীরের আন্দোলন, সংগ্রাম, কর্মকাণ্ড এবং জীবনাদর্শ সব কিছুকেই আমাদের মূল্যায়ন করতে হবে ঔপনিবেশিক পটভূমিতে," বলেন সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।

বাংলায় ১৭৫৭ সালে পলাশী যুদ্ধে জয়ী হবার সুবাদে প্রথম রাজনৈতিক ক্ষমতা গ্রহণ করে ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি।

"এই বাংলায় ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি ১৭৫৭ সালে পলাশী যুদ্ধে জয়ী হবার সুবাদে প্রথম রাজনৈতিক ক্ষমতা গ্রহণ করে এবং সেখান থেকেই ক্রমাগত সারা উপমহাদেশে তাদের রাজ্যসীমা সম্প্রসারিত হয়। আবার এই বাংলা থেকেই ইংরেজ রাজত্বের বিরুদ্ধে শুরু হয় প্রতিরোধ আন্দোলন," বলেন সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন একাধিক এবং অসংখ্য প্রতিরোধ আন্দোলন হয়েছে বাংলায় ইংরেজ রাজত্বের বিরুদ্ধে।

"ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনগুলির পটভূমিতে একটি উজ্জ্বল অধ্যায় হচ্ছে তিতুমীরের সংগ্রাম," ব্যাখ্যা করেন অধ্যাপক হোসেন।

প্রজাদের ওপর অত্যাচারের প্রতিকার তিতুমীর করতে চেয়েছিলেন শান্তিপূর্ণভাবে ও সমঝোতার মাধ্যমে। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে বারাসাতে ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। কোম্পানির বিরুদ্ধে এটাই ছিল তাঁর প্রথম বিদ্রোহ।

তিনি ২৪ পরগণার কিছু অংশ, নদীয়া ও ফরিদপুরের একাংশ নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করেন। এই বিদ্রোহ "বারাসাতের বিদ্রোহ" নামে পরিচিত।

এই বিদ্রোহে তিরাশি হাজার কৃষক সেনা তিতুমীরের পক্ষে যোগ দিয়েছিলেন।

"তাঁর আন্দোলনের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য, শেষ পর্যন্ত পরিণত হয়েছিল উপনিবেশ বিরোধিতায়। এবং এই উপনিবেশ বিরোধিতা করতে গিয়ে, ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে নিজের শক্তি পরীক্ষা করতে গিয়ে, তিনি কখনও ভাবেননি যে তিনি অত্যন্ত দরিদ্র, ক্ষুদ্র একটি শক্তির প্রতিনিধিত্ব করছেন এবং তাঁর বিপরীতে আছে বিরাট, বিশাল, শক্তিধর ইংরেজ রাজশক্তি," বলেছেন অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।

বারাসাত বিদ্রোহের পর তিতুমীর বুঝতে পারেন ইংরেজদের সঙ্গে যুদ্ধ অনিবার্য।

১৮৩১ সালে তিনি বারাসতের কাছে নারিকেলবাড়িয়া গ্রামে একটি বাঁশের কেল্লা নির্মাণ করে সেখানে অস্ত্র জমা করেন। বাঁশ এবং কাদা দিয়ে তিনি ও তাঁর অনুসারীরা এই কেল্লা নির্মাণ করেছিলেন।

তাঁর আন্দোলনের একটি বড় প্রতীকী তাৎপর্য ছিল অন্যায়, এবং শাসকবর্গের অসঙ্গত শোষণের বিরুদ্ধে একটি ন্যায়সঙ্গত অবস্থান নিয়ে দাঁড়ানো এবং প্রতিবাদে জ্বলে ওঠা।

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন মনে করেন তিতুমীরের আন্দোলনের দ্বিমাত্রিক একটা তাৎপর্য রয়েছে।

"তিনি শুধু উপনিবেশ বিরোধী আন্দোলন করেছেন একথা বললে তাঁর অবদানকে কিছুটা সীমিত করা হয়, খণ্ডিত করা হয়। সমাজে অন্যায়, অবিচার, শোষণের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ, আন্দোলন ও সংগঠন- সেসব ব্যাপারে তাঁর যে অবদান ছিল, ঐটিই সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক।"

আঠারোশ একত্রিশ সালে কর্নেল স্টুয়ার্টের নেতৃত্বে পদাতিক বাহিনী, অশ্বারোহী ও বন্দুকধারী সৈন্যদের একটি বিশাল বাহিনী পাঠায় ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি তিতুমীরের সঙ্গে লড়াইয়ের লক্ষ্যে।

নারিকেলবাড়িয়ায় ১৮৩১এর উনিশে নভেম্বর ভীষণ যুদ্ধ বাঁধে।

ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য ১৮৩১ সালে বারাসতের কাছে নারিকেলবাড়িয়া গ্রামে তিতুমীর ও তাঁর অনুসারীরা একটি বাঁশের কেল্লা নির্মাণ করে সেখানে অস্ত্র জমা করেছিলেন।

ব্রিটিশ সৈন্যরা চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাদের বাঁশের কেল্লা। তিতুমীর তাঁর অনুসারীদের অভয় দিয়ে বলেন মৃত্যুকে ভয় পলে চলবে না। এই লড়াই আমাদের শেষ লড়াই নয়। আমাদের কাছ থেকে প্রেরণা পেয়েই এ দেশের মানুষ দেশ উদ্ধার করবে। এই লড়াইয়ের পথ ধরেই একদিন দেশ স্বাধীন হবে।

ইংরেজদের কামানের গোলাবর্ষণে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায় তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা। তিতুমীর ও তাঁর চল্লিশজন সঙ্গী যুদ্ধরত অবস্থায় সেই বাঁশের কেল্লাতেই প্রাণ হারান।

তিতুমীরের এই আন্দোলন, দেশপ্রেম আর আত্মত্যাগ সব স্বাধীনতাকামীদের মনে প্রেরণার উৎস হয়ে ওঠে ।

আজ তাঁর শহীদ দিবসে তাঁর প্রতি রইল আন্তরিক ও বিনম্র শ্রদ্ধার্ঘ্য ।
সৌজন্য: B B C NEWS l বাংলা
"""""""""""""""""""""""""""""""

শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২০

ভাস্কর্যের মাধ্যমে সর্বপ্রথম যেভাবে শিরক বা মূর্তিপূজা শুরু হয়..

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ সর্বপ্রথম নবী আদম (আ:), এরপরে ইদ্রিস (আ:), এরপরে শীষ (আ:) এর ইন্তেকালের পরে নূহ (আ:) এর আগ পর্যন্ত কয়েকশত বছর কোন নবী আসেননি। এই সময়ে মানুষ ছোটখাটো কিছু পাপকাজ শুরু করলেও মূর্তিপূজা তখনো শুরু হয়নি।


সেইসময়ের আলেম-বুজুর্গ-শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিরা যখন বার্ধক্যজনিত কারনে মারা যেতে থাকলো, তখন শয়তান যুবকদের উস্কানি দিতে শুরু করলো। আহা! কত্ত ভালো মানুষগুলা সবাই মারা যাচ্ছে। তোমরা এদের স্মৃতি ধরে রাখো। এদের ছোট ছোট মূর্তি বানায়ে রাখো। যাতে সেগুলো দেখলে তোমাদের তাদের কথা স্মরন হয়। তোমরা ভালো কাজ করতে উৎসাহ পাও। তারা স্মৃতি ধরে রাখার জন্য ভালো কাজ মনে করে তাদের মূর্তি বানিয়ে রাখলো।

তারা মারা যাওয়ার পরে পরের প্রজন্ম আসলো। শয়তান এবার একটু বাড়িয়ে উস্কানি দিতে লাগলো। ঐ যে দেখো ঐ মূর্তিগুলা, তারা অনেক ভালো মানুষ ছিলো। তোমাদের বাপ-দাদারা তাদের শ্রদ্ধা করতো। তোমাদেরও তাদের শ্রদ্ধা করা উচিৎ। কিভাবে করতে হবে? তাদের সামনে শ্রদ্ধায় মাথা নুইয়ে দিতে হবে! তারা ভালো কাজ মনে করে মাথা নোয়াতে শুরু করলো!

সেই প্রজন্মের মৃত্যুর পরে এরপরের প্রজন্ম আসলো। শয়তান এবার তার চূড়ান্ত পরিকল্পনা ঢুকিয়ে দিলো। তাদেরকে বললো, ঐ যে দেখো মূর্তিগুলো। তোমাদের বাপ-দাদারা তাদের সামনে মাথা নোয়াতো। কেন জানো? কারন তারাই তোমাদের রব! তোমাদের আলো, বাতাস, পানি সবকিছু দেয়। তোমরাও তাদের কাছে সবকিছু চাইবে! এভাবে তারা মূর্তির সামনে সেজদাহ করে সবকিছু চাইতে শুরু করলো। শিরক শুরু হয়ে গেলো!

এরকয়েক প্রজন্ম পরে নূহ (আ:) এসে দেখলো সবাই মূর্তিপূজা, শিরক করতেছে। তিনি তাদের আল্লাহর একত্ত্ববাদের দাওয়াত দিতে লাগলেন। তারা উত্তর দিলো, আমরা আমাদের বাপ-দাদাদের থেকে এভাবেই দেখে এসেছি, এভাবেই শিখেছি। তারা দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করলো!!

বর্তমানেই বাংলাদেশে কিছু মানুষ একই সুরে কথা বলছে, তাদের কু যুক্তি হলো ভাস্কর্য আর মূর্তি এক নয়।
তারা সৌদি সহ বিভিন্ন দেশের কিছু মূর্তি/ ভাস্কর্য প্রদর্শন করে উদহারন দেয়। অথচ মাথা মোটা বলদরা এটা জনেনা যে সৌদি, পাকিস্তান কিংবা পৃথিবীর অন্য কোন দেশ ভালো মন্দের বিচারের মাপকাঠি নয়। আপনি যদি মুসলিম হন তাহলে আপনার ধর্মের মৌলিক বিষয়গুলো নিজে ভালো করে জানুন এবং খুজে দেখুন অর্থ অপচয় করে এসব করার মানে কি ? আর যদি বিজ্ঞান মনষ্ক হন তাহলেও যুক্তি দিয়ে বিচার করুন এসব ফালতু কাজ মানবজাতির প্রয়োজনিয় কি কাজে লাগে? ৭১ এ বীর বাঙ্গালীরা মুক্তিযুদ্ধে জীবন ত্যাগের মাধ্যমে সারা বিশ্বে দৃষ্টান্তমুলক গৌরবোজ্বল ইতিহাস রচনা করেছিলেন আর আমরা তাদের দেশটাকে লুটে পুটে চেটে পুটে খেয়ে এখন ভাস্কর্য বানিয়ে ইতিহাস বানাতে চাচ্ছি।

শিক্ষা: আজকে যেটি শ্রদ্ধার ভাস্কর্য, আগামীতে সেটি শিরকের কেন্দ্রবিন্দু
সংগৃহীত 

মোহরায় মধ্যরাতে দোকান ঘর দখলের চেষ্টায় হামলা ও ৩লক্ষ টাকার মালামল লুটপাট আহত-২

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ নগরীর চান্দগাঁও থানার মোহরা কাজীরহাট চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু ও মাদক ব্যবসায়ী মৃত রাজা মিয়ার ছেলে মো.মনির আহমদ প্রকাশ মনির কোম্পানি তার দুই ছেলে কিশোর গ্যাং লিডার মো.রিদুয়ান আহমেদ সাদমান (২৫) ও ইনতিশার আহমেদ সামি (১৬),মো.ফারুক (৩৫) সহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জন সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রস্বস্ত্র নিয়ে মধ্যরাতে দোকান ঘরের তলা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দোকানের দেওয়াল ভেঙে ফেলে এবং দোকানে থাকা প্রায় ৩কোটি টাকার মালামাল লোটপাট করে নিয়ে যায় এসময় খবর পেয়ে দোকানের মালিক মো.ইব্রাহিম ও তার বড় ভাই মো.আবদুর রহিম ছুটে তাদের বাধা দিলে তারা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে গুরুতর জখম করে।

এই ব্যাপারে গুরুতর আহত হওয়া মো.ইব্রাহিম ৯৯৯ লাইনে ফোন দিলে তাৎক্ষণিক চান্দগাঁও থানায় রাত্রে ডিউটিরত টহল পুলিশ গঠনে স্হলে গিয়ে গঠনের বিষয়ে অবগত হন এবং গুরুতর আহত মো.ইব্রাহিম ও মো.আব্দুর রহিম কে থানায় পাঠায় তারা থানায় এসে এজাহার নিতে বললে ডিউটি অফিসার এস আই অদির তাদের এজাহার না নিয়ে অভিযোগ দিতে বলেন তখন তারা অভিযোগ না করে চিকিৎসা সেবা নিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা চিকিৎসা সেবা নেন।
দোকানের ম্যানেজার এই ব্যাপারে Cstv24 কে বলেন আমি রাত ১১টায় দোকান বন্ধ করে দিয়ে বাসায় চলে যায় আমি এই খবর জানার পর সন্ত্রাসীদের ভয়ে বাসা থেকে বাহির হয় নাই আমি সকালে দোকানে এসে দেখতে পাই আমার দোকানে কিছুই সব কিছু লোটপাট করে নিয়ে গেছে তারা আমার দোকানের মাঝখানের দেওয়ালটা ভেঙ্গে দিয়ে গেছে আমি এখন দোকানের ক্ষতিপূরণ চাই!
Cstv24 টিম সরজমিনে প্রতিবেদন করতে গিয়ে দেখতে পান তাদের এক বছর পূর্বে এই দোকান ঘর নিয়ে থানায় একাধিকবার বৈঠক শেষে উভয়ের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে একটা চুক্তি পত্র স্বাক্ষরিত হয় কিভাবে এক বৎসর পর কিশোর গ্যাং লিডার ভূমিদস্যু মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসায়ী মো.রিদুয়ান আহমেদ সাদমান গংরা আইন অমান্য করে আবার দোকান ঘর দখলে নিতে এই হামলা চালানো হয় বলে তারা জানান থানায় কোন মামলা হয়েছে কিনা Cstv24 জানতে চাইলে তারা বলেন যেহেতু থানায় আসামীদের হাত আমাদের মামলা নেয়নি সেহেতু আমরা এখন মাননীয় আদালতে মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলমান...
ভুক্তভোগীরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছেন এবং প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
👉চোখ রাখুন আসছে বিস্তারিত Cstv24 চ্যানেল এ।

ইয়াসমিনের যোনি ও পায়ুপথসহ পুরো নিম্নাঙ্গে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন স্বামী

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ তোর বিষ কমাচ্ছি' বলেই ইয়াসমিনের যোনি ও পায়ুপথসহ পুরো নিম্নাঙ্গে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন স্বামী। শরীর ভর্তি দাউদাউ করে জ্বলন্ত লেলিহান শিখা। ৭ বছরের সংসার এবং ৪ বছর বয়সী সন্তানের দোহাই দিয়ে অসহায় ইয়াসমিন স্বামীর কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইলেও স্বামী রাফেলের তাতে কোন ভ্রূক্ষেপ নেই। উপায়ান্তর না দেখে নিজেকে রক্ষার শেষ চেষ্টা হিসেবে ঘর থেকে বের হবার চেষ্টা করেন ইয়াসমিন। কিন্তু হায়, এখানেও স্বামীর বাঁধা। পুড়ে মরতে হবে, বের হওয়া চলবে না।


পুড়তে পুড়তে এক পর্যায়ে শরীরে লেপ্টে থাকা পেট্রল ফুরিয়ে গেলে ইয়াসমিনের শরীরের আগুনও নিভে যায়। কিন্তু নেভেনি রাফেলের নিষ্ঠুরতার আগুন। এবার নতুন খেলায় মাতে সে। স্ত্রীর পোড়া শরীর থেকে কাবাব করা মুরগির মতো করে চামড়া তুলে নিতে থাকেন দুই হাতের ঘষায়। একেক ঘর্ষণের সাথে খসে পড়তে থাকে পুড়ে যাওয়া চামড়া, সাথে ইয়াসমিনের মরন আর্তচিৎকার। কিন্তু তাতেও রাফেলের নিষ্ঠুরতায় কোন হেরফের ঘটে না। উল্টো মেয়ের যন্ত্রণার খানিকটা ভাগ বাবা-মাকেও দিতে ফোন করেন ইয়াসমিনের বাসায়। এত গভীর রাতে জামাইর ফোন পেয়ে উৎকন্ঠিত শাশুড়ী ফোন তুলতেই তাকে সোজা জানিয়ে দেন, 'তোর মেয়েকে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছি। এসে নিয়ে যা'। রাফেলের পাশবিকতা-হিংস্রতার এখানেই শেষ নয়। পৈশাচিকতার চূড়ান্ত উদাহরণ সৃষ্টি করে আর্তচিৎকার করতে থাকা স্ত্রীকে রেখেই পাশের কক্ষে গিয়ে দিব্যি ঘুমিয়েও পড়েন তিনি।

উপরের ঘটনাবলির বর্ণনা শুনে যদি অবাক হয়ে থাকেন, গ্রেপ্তারের পর রাফেলের আচরণের বিষয়ে জানলে হতবাক হবেন নিশ্চিত। আজ বিকেলে পালানোর চেষ্টারত অবস্থায় আসামি রাফেলকে গ্রেপ্তার করি আমরা। প্রেপ্তারের বিষয়ে তার কোন বিকার নেই। নেই নিজের কৃতকর্মের জন্য ন্যূনতম অনুতাপবোধও। উল্টো খোশমেজাজের সঙ্গে জানালেন, তিনি গরুর মাংস দিয়ে ভাত খেতে চান। থানার হাজতে বসে কাউকে এত নির্বিকারভাবে কথা বলতে আমি কোনদিন শুনিনি।

গুরুতর আহত ইয়াসমিনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রিয় ইয়াসমিন, পোড়া শরীর আপনাকে যেই যন্ত্রণা দিয়ে চলেছে, সেই যন্ত্রণার ভাগ হয়তো আমরা নিতে পারব না। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আপনাকে পুড়িয়ে দেওয়া রাফেলকে যেভাবে আমরা পালিয়ে যাওয়ার আগেই গ্রেপ্তার করেছি, একইভাবে এই মামলায় ন্যায়বিচার নিশ্চিতে যা যা করা প্রয়োজন, তার সবকিছুই করা হবে। এখন দোয়া আর অপেক্ষা- শুধু আপনি সুস্থ হয়ে ফিরুন।

কালেক্ট-
Md. Anwar Hossan (Shamim Anwar)
এএসপি (রাঙ্গুনিয়া সার্কেল)।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ। 

মানুষ মানুষের জন্য: চিকিজৎসার জন্য সাহায্যের আবেদন মিছবাহ’র

  

বাংলাদেশবার্তাডেস্কঃ মাদার বাজারের এক সময়ের সফল এবং জনপ্রিয় ব্যবসায়ী ছাদিকুর রহমান মিছবাহ। 
সবাই যাকে এক নামে চিনতো। সেই মিছবাহ মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে ২০১৮ সালে। 

২০১৮ থেকে ২০২০ পর্যন্ত মিছবাহ এর চিকিৎসা বাবদ / লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে। এখনও ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা লাগবে। 

যা তার পরিবারের পক্ষে সম্ভব নামিছবার বাবা নেই এমন কি কোন ভাই  নেই।একমাত্র মা তিনি নিজেও এখন অসুস্থ।


 এতোদিন আত্মীয়স্বজন এবং এলাকার দানশীল ব্যক্তি এবং প্রবাসীদের সহোযোগিতায় সাধ্যমত চিকিৎসা চালিয়েছেন। এখন তা  সম্ভব হচ্ছে না। 

প্রতি মাসে দুইবার কেমোথেরাপী দিতে হয়।

যার ব্যায় নিতান্ত ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা।

 আজ / মাস চলছে মুখে খাবার বন্ধ। গলায় শ্বাসনালীতে পাইপ লাগানো আছে।

 

ঠিকানাঃ-

নামঃছাদিকুর রহমান মিছবাহ

গ্রামঃলতিব পুর

ডাকঃলতিব পুর

থানাঃওসমানী নগর

উপজেলাঃওসমানী নগর

জেলাঃসিলেট।

মোবাইল নংঃ০১৭১১-৯৮৩৩২৬


 বৃদ্ধ ও অসহায় মায়ের একমাত্র সন্তান এবং ৩ জন অবুঝ সন্তানের পিতা ছাদিকুর রহমান মিছবাহ বাঁচতে চায়! তাই সকলের সাহায্য ও সহযোগিতা চেয়েছেন।

সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করতে চাইলে সরাসরি এই নাম্বারে যোগাযোগ করুন।

📞+88-01711-983326

 Bkash  (Personal) Number: 01711-983326

 

"মর্গে থাকা নারীদের ধর্ষণ করতেন মুন্না ভগত"

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ নাম মুন্না ভগত। ছেলেটির বয়স মাত্র ২০। মামার সঙ্গে সহযোগী হিসেবে মর্গে কাজ করতো সে। কিন্তু জঘন্যতম একটি অপরাধের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ—মর্গে থাকা মৃত নারীদের ধর্ষণ করতো সে। সিআইডি কর্মকর্তারা জানান, বিভিন্ন স্থান থেকে যেসব লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেওয়া হতো, সেসব লাশের মধ্য থেকে মৃত নারীদের ধর্ষণ করতো মুন্না।

সিআইডির অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক সৈয়দ রেজাউল হায়দার বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই ন্যক্কারজনক। শুক্রবার (২০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়।

সিআইডি ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গ্রেফতার হওয়া মুন্না ভগত সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে ডোম জতন কুমার লালের সহযোগী হিসেবে কাজ করতো। দুই-তিন বছর ধরে সে মর্গে থাকা মৃত নারীদের ধর্ষণ করে আসছিল। সম্প্রতি এরকম একটি অভিযোগ পেয়ে মুন্নার বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে সিআইডি। প্রাথমিক অনুসন্ধানে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় মুন্নাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুন্না মৃত নারীদের ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

সিআইডির এক কর্মকর্তা জানান, মৃত নারীদের ধর্ষণ করা পৃথিবীর জঘন্যতম একটি কাজ। সুস্থ ও স্বাভাবিক কেউ এমন জঘন্যতম কাজ করতে পারে না। গ্রেফতার হওয়া মুন্না বিকৃত মানসিকতার। তা না হলে এমন কাজ তার করার কথা নয়।

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে দায়িত্বরত ডোম ও মুন্নার মামা জতন কুমার লাল জানান, মুন্না গত দুই/তিন বছর ধরে তার সহযোগী হিসেবে মর্গে কাজ করতো। তার বাবার নাম দুলাল ভগত। গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ বাজারে। সে আরও দুই/তিন জনের সঙ্গে মর্গের পাশে একটি কক্ষেই রাতে থাকতো।

তিনি জানান, মুন্নাকে হঠাৎ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার মোবাইল নম্বরও বন্ধ। একারণে তারা বৃহস্পতিবার সন্ধ‌্যায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নম্বর- ১২৩৬) দায়ের করেছেন।

মুন্নার বিরুদ্ধে মৃত নারীদের ধর্ষণের অভিযোগ প্রসঙ্গে জতন লাল কুমার বলেন, ‘মুন্না মাঝে মধ্যে নেশাটেশা করতো। কিন্তু এরকম একটি কাজ সে করতে পারে, তা ভাবতেই পারছি না।
সৌজন্য আমরা সংবাদ কর্মী

বুধবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২০

একটি দূর্লভ ছবি গুণটানা পণ্যবাহী নৌকা

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃতিরিশ চল্লিশ বছর আগেও গাঙের কিনার দিয়ে হেঁটে যেতো গুণটানা মাঝিমাল্লারা। একটি বাঁশের বা কাঠির সাথে বাঁধা থাকতো প্রত্যেকের গুণ বা সুতলির মাথা। অপর মাথাগুলো বাঁধা থাকতো মাস্তুলের উপর। ছবিতে পালে হাওয়া কম বিধায় উজান চলতে গুণটানায় নেমে গেছে সবাই। ঝোপঝাড় জঙ্গল ও নদীর পাড় ভাঙা স্থানে পথ চলতে চলতে রাস্তার মতো হয়ে যেতো। যারা নিয়মিত গুণ টানতেন তাদের ঘাড়ে দাগ পরে যেতো।

বর্তমানে অধিকাংশ নৌকাতে মেশিন যুক্ত হওয়ায় এই দৃশ্য আর কারো চোখে পড়ে না।

একদিকে এই খেটে কাওয়া মানুষগুলোর কষ্ট যেমন কমে গেছে, অপর দিকে পানি দুষত হচ্ছে মেশিনের তেলে আর অনেকের কর্মসংস্তানও কমেছে এই নৌকায়। 

নদীমাতৃক বাংলাদেশে নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় নৌকার ব্যবহারও অনেক কমেছে।

একটা সময় ছিলো নৌকার মাধ্যমে অনেক কাজ করা হতো। এখন বিকল্প পদ্ধতিতে সে সকল কাজ সম্পন্ন করা হয়।

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গ্রামের মানুষকে মসজিদমুখী করতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ!

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ সময়ের কাঁটা তখন ভোর ৫টা ছুঁই ছুঁই। সরকারতালুক গ্রামের রাস্তায় সকল বয়সী মানুষের আনাগোনা। সবার গন্তব্য মসজিদে, ফজরের নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন তাঁরা। এ যেন এক অন্যরকম দৃশ্য। মহুর্তের মধ্যে মুসল্লীদের পদাচারণায় মসজিদ পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। একসাথে নামাজ আদায় করলো প্রায় ২শতাধিক মুসল্লী। এমন চিত্র প্রতিদিন দেখা যায় মিরসরাই উপজেলার ১ নং করেরহাট ইউনিয়নের সরকারতালুক জামে মসজিদে। যে মসজিদে প্রতি ওয়াক্ত নামাজে ১০ থেকে ১২জন মুসল্লী আসতো এখন তা হয়ে দাঁড়িয়েছে দুইশ’র বেশি। সবার মাঝে অন্যরকম ভ্রাতৃত্য সৃষ্টি হয়েছে।

মসজিদ নির্মাণের প্রতিযোগিতা আর মসজিদের শোভাবর্ধন নিয়েই আমরা চিন্তিত কিন্তু মসজিদের মুসল্লীদের আত্মীক উন্নতি, মানুষকে মসজিদমূখী করা নিয়ে নেই কোনো কর্মসূচী। মসজিদের ইমাম সাহেব থেকে কমিটি কেউ দায়ভার এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম মাওলানা নিজাম উদ্দিন মিয়াজী। মিরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সরকারতালুক গ্রামের মানুষ।

মাওলানা নিজাম উদ্দিন মিয়াজী সরকারতালুক গ্রামের জামে মসজিদের দায়িত্ব যেদিন নিয়েছেন তখন ফজরের নামাজে মুসল্লীর সংখ্যা ১০ থেকে ১২ জন। গ্রামের এত মানুষের বসবাস ফজরের নামাজে মুসল্লীর সংখ্যা এত নগণ্য তা মানসিকভাবে মেনে নেয়নি ইমাম সাহেব।
তখনই প্রতিজ্ঞা করেন ফজরের নামাজে গ্রমের সব পুরুষদের মসজিদমুখী করবেন। একটু ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ নেন তিনি। কোমর বেঁধে নামলেন , প্রতিদিন ৫০ জনকে পালাক্রমে মোবাইলে কল দিতেন, গ্রামের মানুষের দুয়ারে গিয়ে বোঝাতেন। মসজিদ পরিচালনা কমিটিকে অবহিত করলেন।
পরিশ্রম ব্যর্থ হয়নি ইমাম সাহেবের। গ্রামের মানুষের সদিচ্ছা ইমাম সাহেবের ডাকে সাড়া দিয়ে গ্রামের শিশু থেকে তরুণ, যুবক থেকে বায়োজোষ্ঠ সবার অংশগ্রহণে অন্যান্য ওয়াক্তের ন্যায় প্রতিদিন ফজরের নামাজে মসজিদ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।
নিয়মিত মুসল্লী প্রশিক্ষণ,বিষয় ভিত্তিক বাস্তবসম্মত জীবনাচারণ সম্পর্কে নিয়মিত গ্রুমিং করেন ইমাম নিজাম উদ্দিন।
প্রত্যেক শুক্রবার ফজরের নামাজ আদায়ের পর সব মুসল্লী একসাথে নাস্তা করে মসজিদ প্রাঙ্গনে। ব্যাক্তি উদ্যোগের সপ্তাহের যেকোনো দিন সম্মিলিত ভাবে নাস্তা করানো হয়।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমরুল আলম জানান, ফজরের নামাজ মসজিদে পড়া হতো না আমার, এখন রোজ ফজরে মসজিদে নামাজ আদায় করা হয়। পুরো গ্রামের মানুষের অংশগ্রহণে এখন ফজরের ওয়াক্তে মসজিদ পূর্ণ হয়ে যায়। পুরো কৃতিত্ব ইমাম মাওলানা নিজাম উদ্দিন মিয়াজী সাহেবের। ইমাম সাহেব আলোকিত মানুষ। আলো দিয়ে যাচ্ছেন পুরো গ্রামে।
মসজিদের ইমাম নিজাম উদ্দিন মিয়াজী বলেন, মসজিদ কমিটির সহযোগিতা, গ্রামের মানুষের সদিচ্ছায় সম্ভব হয়েছে। গ্রামে একটা মেলবন্ধন তৈরি হয়েছে। ফজরের নামাজে অংশগ্রহন অল্প কজন বাকি আছে। তারা নামাজে আসলে পুরষ্কৃত করা হবে তাদের। তিনি আরো বলেন, মুসল্লীদের নিয়মিত বিষয়ভিত্তিক মুসল্লী প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে।

ভাতা বৃদ্ধির দরখাস্ত মন্জুর হলো না: চৌদ্দ তালির জামা, হযরত ওমর (রাঃ) এর ছেলের গায়ে!

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ উমার (রাঃ) এর খিলাফত। খীলফা হওয়ারা পূর্বে তিনি ব্যবসা করে, পরিবার পরিজন চালাতেন।

যখন খলীফা নিযুক্ত হলেন, তখন জনসাধারণের ধনাগার (বাইতুলমাল) থেকে, অতি সাধারণভাবে জীবন ধাণের উপযুক্ত অর্থ তাঁকে ও তাঁর পরিবারের জন্য দেয়া হলো। বছরে মাত্র দু‘প্রস্থ পোশাক।

পারস্য ও রোম সাম্রাজ্যের শক্তি যাঁর কাছে নত,ভয়ে প্রকম্পমান, সেই দোর্দন্ড প্রতাপ খলীফা উমার সামান্য অর্থ পান জীবনধারণের জন্য!

হযরত আলী, উসমান ও তালহা (রাঃ) ঠিক করলেন খলীফার এ মাসোহারা যথোপযুক্ত নয়, আরও কিছু অর্থ বাড়িয়ে দেয়া হোক।

কিন্তু কে এই প্রস্তাপব খলীফা উমারের কাছে পেশ করবে! অবশেষে উমারের কন্যা ও রাসুল (সাঃ) এর স্ত্রী হাফসা (রাঃ) কে তাঁর কাছে এই প্রস্তাব উত্থাপন করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

হাফসা (রাঃ) পিতার নিকট এই প্রস্তাব তুলতেই, খলীফা উমার (রাঃ) তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন। রুক্ষস্বরে তিনি প্রশ্ন করলেন, “কারা এই প্রস্তাব করেছে?” হাফসা নিরুত্তর বাকরুদ্ধ।
পিতাকে তিনি কি উত্তর দেবেন? সাহস হলোনা।

খলীফা বললেন, “যদি জানতাম কারা এই প্রস্তাব তোমার মারফতে পাঠিয়েছে। তবে তাদের পিটিয়ে আমি নীল সাগরে ভাসিয়ে দিতাম।

বেটি, তুমি তো জান! কী পোশাক রাসুল (সাঃ) পরিধান করতেন! কীরূপ খাদ্য তিনি গ্রহণ করতেন! কী শয্যায় তিনি শয়ন করতেন! বলতো, আমার পোশাক, আমার খাদ্য, আমার শয্যা কী তার চাইতে নিকৃষ্ট?”

হাফসা উত্তর দিলেন, “না”।

খলীফা বললেন, “তবে যারা এই প্রস্তাব করে পাঠিয়েছে, তাদের বলো - আমাদের নবী জীবনের যে আদর্শ স্থাপন করে গেছেন তা থেকে আমি এক চুল পরিমান ও বিচ্যুত হবো না।” যে আগুন ছড়িয়ে দিয়েছেন এ ধরায়।

সহজ অনাড়ম্বর ও নিঃস্বার্থ জীবন যাপন সত্যিকাকর মানুষের আদর্শ—সংযত ও সুনিয়ন্ত্রিত যার জীবন নয়, সে কি করে শহীদের রক্তাক্ষরে লেখা সত্যের জীবনকে গ্রহণ করতে পরে?

সেই খলীফা উমার ও এক দিন আততায়ীর হাতে নিহত হন।
খলীফা উমার শহীদ হয়েছেন কবে! কিন্তু সত্যের নির্ভীক সাধক শহীদ উমার (রাঃ) আজও বেঁচে আছেন, দেশ ও জাতির দিগদর্শন রূপে।

একদিন উমার (রাঃ) এর ছেলে,মক্তব থেকে ফিরে এসে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছেন।

উমার (রাঃ) তাকে টেনে কোলে নিলেন, জিজ্ঞাসা করলেন, কাঁদছ কেন বাবা?

ছেলে উত্তর দিলেন, “সবাই আমাকে টিটকারী করে, হাসি তামাসা করে” বলে, “দেখ তোমার জামার ছিরি, চৌদ্দ জায়গায় তালি।"

"তোমার বাবা তো মুসলিম জাহানের শাসনকর্তা” এই বলে ছেলেটি তার কান্নার মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিল।

ছেলে কথা শুনে উমার (রাঃ) ভাবলেন কিছুক্ষন।

তারপর বাইতুল মা’লের কোষাধ্যক্ষকে চিটি লিখে পাঠালেন, “আমাকে আগামী মাসের ভাতার সাথে চার দিরহাম ধার দেবেন।”

কিন্তু একি উত্তর! উত্তরে কোষাধ্যক্ষ তাঁকে লিখে জানালেন,
“আপনি ধার নিতে পারেন। কিন্তু আগমী কালের পর আপনি বেঁচে থাকবেন এটার গ্রান্টি কী! কাল যদি আপনি মারা যান তাহলে কে আপনার ধার শোধ করবে?”

উমার (রাঃ) ছেলের গা-মাথা মুছে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন, “যাও বাবা, যা আছে তা পরেই মক্তবে যাও।

আমাদের তো আর অনেক টাকা পয়সা নেই।

আমি খলীফা সত্য, কিন্তু ধন সম্পদ তো সবই জন সাধারণের।

অধ্যাপক শামছুদ্দিন আহমেদ

মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২০

বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার: চট্টগ্রাম নগরীর যে সকল এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবেনা!

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল অনেক এলাকায় বুধবার (১৮ নভেম্বর) এবং বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) এই দুদিন বেশ অনেকটা সময়জুড়ে বিদ্যুৎ থাকবে না এসব এলাকায় সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকবে না

উন্নয়ন, জরুরি মেরামত সংরক্ষণ কাজের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। তবে কাজ সম্পাদন সাপেক্ষে নির্ধারিত সময়ের আগেও বিদ্যুৎ চালু হতে পারে বলে তাতে জানানো হয়েছে

পাহাড়তলী উপকেন্দ্রের যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না
বুধবার, ১৮ নভেম্বরসকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত

বিক্রয় বিতরণ বিভাগ পাহাড়তলীর আওতাধীন ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রের ১১ কেভি ফিডার নম্বর-খুলশী/১০ (আংশিক) এর আওতায় আব্দুল হাকিম মিঞা রোড, মনছুরাবাদ, ঝর্ণাপাড়া, ডিটি রোড, পাহাড়তলী বাজার, বারকোয়াটার, ঈদগাঁ, ভেলুয়ার দিঘীর পাড়, সিডিএ মার্কেট, মুন্সীপাড়া, রঙ্গিপাড়া, নজির আহম্মদ চৌধুরী সড়ক, সিগন্যাল কলোনি, হাজী ক্যাম্প, টেক্সিন ফকির মাজার আশপাশ এলাকাসমূহ

রামপুর উপকেন্দ্রের যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না
বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বরসকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত

বিক্রয় বিতরণ বিভাগ, রামপুরের আওতাধীন ৩৩ কেভি আগ্রাবাদ-রামপুর, রামপুর ১১ কেভি এইচ-০৬, ০৮, ০৯ ১১ এর আওতায় সোনালী আবাসিক, শান্তিবাগ আবাসিক, রমনা আবাসিক, রঙ্গীপাড়া, শ্যামলী আবাসিক, কে ব্লক, এল ব্লক, কর্ণফুলী আবাসিক, বিজিবি সংলগ্ন এলাকাসমূহ

গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড

সৌজন্যে: সিপ্লাস 

 


About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী