বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার
সমাজ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সমাজ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২১

বিয়েকে সহজ করুন; যিনা মুক্ত সমাজ গড়ুন

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ

একটি ফিতনাময় বিয়ের সূচিপত্রঃ

১) গায়ে হলুদের নাম ফ্রীমিক্সিং বেপর্দা!
২) মেহেদী নাইটের নামে বিধর্মীদের ফলো করা!
৩) সংগীতের অনুষ্ঠান ফটোশুট লাইটিং করা!
৪) অতিরিক্ত দেনমোহর ধার্য করা, যৌতুক প্রদান করা।

একটি সুন্নতি বিয়ের সূচিপত্রঃ

১) শুক্রবারে মসজিদে বিয়ে পড়া !
২)ছেলে মেয়ে আলাদা পর্দার সহীত বিয়ের ব্যবস্থা করা
৩) কম দেনমোহরে এবং ছেলের বাড়িতে ওয়ালিমা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা!
৪) যৌতুক আদান প্রদান না করা।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে বিয়েতে খরচ কম এবং সহজ ; সেই বিয়ে বেশি বরকতময়। ( বায়হাকী, হাদিস নং ২৯৬৩)।

শুক্রবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২১

সাম্প্রতিক ঘটনাবলি : অভিভাবক দের করনীয় কি?

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ
মা-বাবারা দয়া করে আপনাদের সন্তানদের বল্গাহীন ছেড়ে দেবেন না। আপনাদের শাসনের ছড়িটা উঠাবেন না প্লিজ। সমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাদের ছোটকাল থেকেই আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষা সমান তালে দিয়ে যান।
🐾
যতটুকু না হলে সৃষ্টিকর্তাকে চেনা যায় না, এই পৃথিবীতে মানুষের আসার উদ্দেশ্য বুঝতে পারা যায় না, আর মরার পরের হিসাব নিকাশ সম্পর্কে সচেতন হওয়া হয় না- অন্তত:পক্ষে ততটুকু মৌলিক ধর্মীয় শিক্ষা তার অন্তরে ছোটকাল থেকেই গেঁথে দিতে চেষ্টা করুন। আপনি চেষ্টা করুন, সে কতটুকু রিসিভ করতে পারল সেটা বড় কথা নয়- বরং অভিভাবক হিসেবে আপনি কতটুকু দায়িত্ব পালন করলেন, সেটাই বড় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
🐾
মনে রাখবেন, আপনি- আমি এই গুরুদায়িত্ব পালন না করতে পারলে আমাদের ঘরে ঘরে তখন ঐশীরা জন্ম নেবে, বন্ধুদের আহবানে সাড়া দিতে গিয়ে আপনি আপনার মেয়ের লাশ উপহার পাবেন, গভীর রাতে বন্ধুর সাথে একান্তে সময় কাটিয়ে বাসায় ফিরার পথে সন্দেহজনক ভাবে এক্সিডেন্ট এ নিহত হবে আপনার প্রিয় সন্তান টি!
🐾
আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই- অনৈতিক সম্পর্কে জড়িত হওয়ার আগেই সম্ভব হলে ছেলে মেয়েদের বিয়ে করিয়ে দিন। প্রয়োজনে ছাত্রজীবন শেষ হবার আগেই। শিক্ষাজীবন শেষ হবার আগ পর্যন্ত অভিভাবক গণ তাদের পরিবারের ভরন পোষণ এর দায়িত্ব নিন। তাতে আস্তে আস্তে রাষ্ট্রকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করুন সম্মিলিত ভাবে, জনমত গঠন করে।
🐾
ধীরে ধীরে ব্যক্তি, সমাজ পেরিয়ে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এই ব্যাপারে প্রচার, প্রচারণা জোরদার করার পরিকল্পনা নিন।
🐾
নয়তো বিশ্বাস করুন এই নৈতিক চূড়ান্ত অবক্ষয়ে আমার দেশের অধিকাংশ যুব সমাজকে নিমজ্জিত রেখে এই ভূখন্ডের কাংখিত সমৃদ্ধি, উন্নয়ন কখনোই সম্ভবপর হবে না।
🐾
আমাদের মনে রাখতে হবে, আমাদের আবহমান সংস্কৃতিকে লালন করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। পশ্চিমা সংস্কৃতির বল্গাহীনতায় গা ভাসিয়ে নয়, নিজেদের স্বকীয়তাকে উর্ধে তুলে ধরেই আমরা আমাদের শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে চাই। অনাগত প্রজন্মের কাছে আমাদের, অভিভাবকদের দায়বদ্ধতা ও এটি নি:সন্দেহে।

বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০

আমাদের চিটাংগা বিয়ের খরচের বিবরণঃ

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ ডেস্কঃ ১।পাত্রী দেখার জন্য ছেলের কম করে ১০ হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকা হতে পারে।

২।মেয়ে পছন্দ হওয়ার পর মেয়ে পক্ষের খরচ শুরু!৫ জনের বৈঠকের নামে ছেলে পক্ষ থেকে কম করে হলেও ১৫-২০জন আসবে মেয়ের বাড়ি।কোন কোন সময় ৫০ জনও পার হয়ে যায়।খরচ ২০-২৫হাজার টাকা থেকে শুরু করে লক্ষাদিক টাকা পার হয়।
৩।এবার ছেলে মেয়ের উভয় পক্ষের একে অপরের আকদের সাজানির জন্য ৫০হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকার বাজার।
৪।আকদের দিন ছেলে মেয়ে উভয় পক্ষকে মসজিদে দেওয়ার জন্য নাস্তার প্যাকেট করতে হয়।তবে এখনো মেয়ে পক্ষকে এর জন্য বাধ্য করা হয় না।খরচ ৫-৫০ হাজার টাকা।
৫।এবার আকদের দিন ছেলে মেয়েকে দেখতে ও শুশুর শাশুড়ী কে সালাম করতে আসবে।জামাই তো একা আসতে পারবে না,তাই বেশী না ৫০-৬০ জন নিয়ে আসে।আর বড় লোকের ছেলেরা আবার বেশী ভয় পাই!!তাই তারা ২০০ থেকে ৫০০ জন নিয়ে আসে।মেয়ের পক্ষ কে এর জন্য ৪০-৫০ হাজার থেকে শুরু করে ২-৩ লক্ষ টাকার মত খরচ হয় আর কি!!
৬।এবার বিয়ে ও গায়ে হলুদ এর বাজারের পালা।ছেলেপক্ষ কে কম করে হলেও লক্ষাধিক টাকা খরছ করতে হয়।বড় লোকের পোলামায়ার তো আলাদা হিসাব নিকাস। যারা বেশী চালাক তারা ৫০ থেকে ৭০-৮০ হাজার টাকা খরচ ধরে মেয়েপক্ষ কে দিয়ে দেয়। এবার মেয়েপক্ষ ছেলেপক্ষ কে বুঝানোর জন্য তারা সম্পূর্ণ টাকার সাজানি কিনেছে, মেয়ের বাপের পকেটের দিগুন টাকা খরচ করে মেয়ের সাজানী কিনে।
ছেলেকে সাজানীর পাশাপাশি,পাঁচ কাপড় বা স্যুট দিতে হবে।অনেকে এর বদলে ২০-৩০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। আর পার্টওয়ালা ছেলেরা তো ৭০-৯০ হাজার টাকার নিচে স্যুট পরেও না।কিছু পরিবারে ছেলেকে একা দিলে হয় না।দেবরদুলা ভাইদেরও দিতে হয়।দুলার সঙ্গে যারা যারা যায় তাদেরও কিছুনা কিছু কিনে দিতে হয়।
৭।আমাদের চট্টগ্রামে গায়ে হলুদ ২ধরনের হয়।১টা হলো ছেলে মেয়ে উভয়পক্ষ একসাথে করেন, আর একটা হলো ২ পক্ষ ২দিন গায়ে হলুদ করেন।উভয় পক্ষ একে অপরের হলুদে অনেক উপহার নিয়ে উপস্থিত হয়।একসাথে করা গায়ে হলুদ এর সম্পুর্ন খরচ এর দায়িত্ব থাকে মেয়ে পক্ষের।বেশী না ২-৩ লক্ষ টাকা করছ হয় আর কি!!
৮।বিয়ের দিন হয় এলাহি কান্ড।১ থেকে দেড় হাজার বরযাত্রী, কম করে হলেও ৫০০-৬০০জন। অনেকে কিছু খাবার আগে নিয়ে যায় বা টাকা নিয়ে নেয়।অনেকে বলে দেয় যাতে বরযাত্রীকে ভালো মতো দেখার জন্য যাতে তাদের আপ্যায়নে বা অন্য কিছুতে ভুল বা ত্রুটি না হয়। সম্মান করার জন্য। খাবারের মেন্যু ঠিক করে দেয়, অবশ্য এটা একেবারে ছোট লোক তারা করে থাকে, কারণ চট্টগ্রামে বিয়ের খাবার এর কথা বলতে হয় না।মেয়ের পক্ষ সর্বোচ্চ চেষ্টা করে থাকে খাবারের মান ও আইটেম ঠিক রাখার জন্য।
যদিও চিংড়ি মাছ না থাকার জন্য এখানে বিয়ে ভেঙ্গে যায়। আর বিয়েটা তো অবশ্যই নামিদামি ক্লাবের ফেলতে হবে,সুন্দর ডেকোরেশন করতে হবে।ছেলের বোন জামাই কে, ছেলের ভাইকে স্বর্ণের আন্টি দিতে হবে। ছেলেকে ঘড়ি দিতে হবে। এই ভাবে বিয়ের দিন বেশী না ৬-৭ লাখ টাকা, তা না হলে ১০-১২ লাখ টাকা খরচ হয় আর কি।
৯।এবার বউ ফিরাপারা বা পুনরায় নিজের বাড়ি আসা পর্যন্ত বউ এর কোন না কোন আত্মীয় প্রতিদিন জামাই বাড়ি আসতে থাকবে। তাই তাড়াতাড়ি বউকে ফিরাপারার ব্যবস্থা করা হয়।অনেকে একসাথে বউএর কিছু আত্মীয়কে খাইয়ে দিয়ে ওয়ালিমাটা সেরে ফেলে।কিছু ছোট লোক বউ এর বাড়ি থেকে আনা খাবার গুলো দিয়ে এইসব আত্মীয়দের আত্মীতিয়তা সেরে ফেলে। কেউ কেউ ওয়ালিমায় ২০০-৩০০ থেকে শুরু করে ৫০০-১০০০ মানুষের খাবার করে।ওয়ালিমাতে ছেলেপক্ষ ১ লাখ থেকে শুরু করে ৭-৮ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করে।
১০। এবার ছেলে চুরি করে মেয়েকে দেখতে যাবে বন্ধুবান্ধব নিয়ে।তখন বেশি না ৩০-৪০ জন যায় আরকি।চুরি করে যায় বলে এটাকে চোরা বৈরত বলা হয়।জামাই চুরি করতে গেলেও সম্মানের সাথে অনেক গুলো আইটেম এর নাস্তা, রাতের খাবার ও ডেজার্ট তৈরি করা হয়। ৫০-৬০হাজার টাকার মধ্যে অবশ্য একটা চোরা বৈরতের আয়োজন করে ফেলে যায়। তবে হ্যাঁ!! ই বৈরাতীর দিকে কড়া নজরদারী করতে হয়। তা না হলে কিছু না কিছু এরা চুরি করবেই।
১১।এবার বউ জামাইবাড়ী ফিরে আসার পালা। এই ১০-১২জন আসে নিয়ে যেতে। দেবর, ননদের জামাই আসলে ওদের কে স্বর্ণের আন্টি দিতে হয় অথবা বকসিস দিতে হয়। এই২০ হাজার থেকে লক্ষাধীক টাকা খরচ হয়।
১২।এবার বিয়াইনভাতার পালা। অর্থাৎ বরের মা-বাবা তাদের ভাই-বোন নিকট আত্মীয় নিয়ে বউ এর বাড়ি বেড়াতে যায়। এই ২০০-৩০০ লোক যায়।এইদিন বিশেষ করে বরের মা প্রথমবারের বউ এর বাড়ি দেখতে যায়। তাই তিনি এই আয়োজন এর মুল আকর্ষণ। তিনি এই আয়োজন ছাড়া বউ এর বাড়ি যান না।
ভাই খরচের কথা আর বলতে ইচ্ছে করছে না। আপনাদের মত ধরে নিন কত খরচ হতে পারে।
১৩। ১ম রমজানের ঈদে উভয় পক্ষ ঘরের সদস্যকে পছন্দ সই কাপড় কিনে দিতে হবে। ছেলেপক্ষ না দিলে মেয়েপক্ষ তেমন কিছু বলে না। বউ একটু খুটা দেয় আর কি।
১৪। কোরবানির ঈদ বউ বাড়ি থেকে গরু অবশ্যই। ছেলে দয়া করে সে গরু থেকে ১টা আস্ত রান মেয়ের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। গরু ছোট হলে কিন্তু কনেপক্ষ গরুর রান থেকে বঞ্চিত হয়।
এছাড়া বউ এর বাড়ি থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নামে বেনামে জামাই এর পুরো আত্মীয় সজন,পাড়া প্রতিবেশীর জন্য খাবার পাটাতে হয়। যেমন-শীতের পিঠা,মধুভাত, বিভিন্ন মৌসুমি ফলের সময় সে ফল গুলো, ইফতারী,নাতি হলে জীবন্ত হাঁস-মুরগি,নাতির আকিকা, নাতি দোলনায় দেওয়া, নাতির দাঁত ওটা, মিলাদুন্নবীর তবররুক, পরবী, ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি....................!!!""""
আরে বিরাট বড় বড় দুই দুই টা খরচের কথা তো বলিই নাই!!
বিয়ের কাবিনের বাবদ স্বর্ণ।এই জায়গায় ছেলে অথবা মেয়ে যে কোন একজন টকবেই। প্রথমে এমন ভাবে কাবিনটা ধরা হবে ছেলের চৌদ্দ গুস্টিও এই কাবিন পরিশোধ করতে পারবে না। অবশ্য এই নিয়ে চিন্তা নাই। এটা পুরো টাই বাকি থাকলেও সমস্যা। মারা যাওয়ার আগে বউ এর পা ধরে ক্ষমা চাইলেই হয়।স্বর্ণ যায় দেওয়া হয় অনেক সময় পুরো টাই উপহার স্বরুপ ধরা হয়। কেউ স্বর্ণ দেয় ৬-৭ লক্ষ টাকার, উসুল ধরা হয় ১-২ লাখ টাকা। অনেক ৫-১০লাখ টাকা উসুল ধরে দেয় কিন্তু বিয়ের পর স্বর্ণ গুলো নিয়ে নেয়।
আর যৌতুক এর কথা বলা হয় নাই।। আমাদের চট্টগ্রামে আমরা কিন্তু যৌতুক নিই না। উপহার নিই। উপহার কিন্তু কম দিলে হবে না। বেশি বেশি করে দিতে হবে। যায় দিবেন আপনাদের মেয়েই তো ব্যবহার করবে।আমরা তো শুধু শুঁকে শুঁকে দেখব।
এতোকিছুর পরেও মেয়েটি হয় বেতন ছাড়া দাসী
অথবা ছেলেটি হয় বউ এর গোলাম। সেটা করতে না পারলে বিভিন্ন মামলায় জেল খাটো।
যারা মান সম্মান নিয়ে থাকতে চাই। ভালবাসা ছাড়া একে অপরের সাথে অসম্মানজনক ভাবে সারাটা জীবন কাটাই দেয়।
বর্তমানে চট্টগ্রামের ৯৯℅ মানুষ বিয়ের সময় লোন করে। এই বিয়ের আজাবে প্রায় প্রতিটি পরিবার কোন না কোন ভাবে জর্জরিত।
অথচ ইসলাম বলে সবচেয়ে কম খরচের বিয়েতে আল্লাহর রহমত নাজিল হয়।
ইসলামে বিয়ে কত সহজ বিষয়।
চট্টগ্রাম এ বিয়ের মত কঠিন আর কিছুই নাই!!!!!!
সংগৃহীত

শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২০

ইয়াসমিনের যোনি ও পায়ুপথসহ পুরো নিম্নাঙ্গে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন স্বামী

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ তোর বিষ কমাচ্ছি' বলেই ইয়াসমিনের যোনি ও পায়ুপথসহ পুরো নিম্নাঙ্গে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন স্বামী। শরীর ভর্তি দাউদাউ করে জ্বলন্ত লেলিহান শিখা। ৭ বছরের সংসার এবং ৪ বছর বয়সী সন্তানের দোহাই দিয়ে অসহায় ইয়াসমিন স্বামীর কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইলেও স্বামী রাফেলের তাতে কোন ভ্রূক্ষেপ নেই। উপায়ান্তর না দেখে নিজেকে রক্ষার শেষ চেষ্টা হিসেবে ঘর থেকে বের হবার চেষ্টা করেন ইয়াসমিন। কিন্তু হায়, এখানেও স্বামীর বাঁধা। পুড়ে মরতে হবে, বের হওয়া চলবে না।


পুড়তে পুড়তে এক পর্যায়ে শরীরে লেপ্টে থাকা পেট্রল ফুরিয়ে গেলে ইয়াসমিনের শরীরের আগুনও নিভে যায়। কিন্তু নেভেনি রাফেলের নিষ্ঠুরতার আগুন। এবার নতুন খেলায় মাতে সে। স্ত্রীর পোড়া শরীর থেকে কাবাব করা মুরগির মতো করে চামড়া তুলে নিতে থাকেন দুই হাতের ঘষায়। একেক ঘর্ষণের সাথে খসে পড়তে থাকে পুড়ে যাওয়া চামড়া, সাথে ইয়াসমিনের মরন আর্তচিৎকার। কিন্তু তাতেও রাফেলের নিষ্ঠুরতায় কোন হেরফের ঘটে না। উল্টো মেয়ের যন্ত্রণার খানিকটা ভাগ বাবা-মাকেও দিতে ফোন করেন ইয়াসমিনের বাসায়। এত গভীর রাতে জামাইর ফোন পেয়ে উৎকন্ঠিত শাশুড়ী ফোন তুলতেই তাকে সোজা জানিয়ে দেন, 'তোর মেয়েকে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছি। এসে নিয়ে যা'। রাফেলের পাশবিকতা-হিংস্রতার এখানেই শেষ নয়। পৈশাচিকতার চূড়ান্ত উদাহরণ সৃষ্টি করে আর্তচিৎকার করতে থাকা স্ত্রীকে রেখেই পাশের কক্ষে গিয়ে দিব্যি ঘুমিয়েও পড়েন তিনি।

উপরের ঘটনাবলির বর্ণনা শুনে যদি অবাক হয়ে থাকেন, গ্রেপ্তারের পর রাফেলের আচরণের বিষয়ে জানলে হতবাক হবেন নিশ্চিত। আজ বিকেলে পালানোর চেষ্টারত অবস্থায় আসামি রাফেলকে গ্রেপ্তার করি আমরা। প্রেপ্তারের বিষয়ে তার কোন বিকার নেই। নেই নিজের কৃতকর্মের জন্য ন্যূনতম অনুতাপবোধও। উল্টো খোশমেজাজের সঙ্গে জানালেন, তিনি গরুর মাংস দিয়ে ভাত খেতে চান। থানার হাজতে বসে কাউকে এত নির্বিকারভাবে কথা বলতে আমি কোনদিন শুনিনি।

গুরুতর আহত ইয়াসমিনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রিয় ইয়াসমিন, পোড়া শরীর আপনাকে যেই যন্ত্রণা দিয়ে চলেছে, সেই যন্ত্রণার ভাগ হয়তো আমরা নিতে পারব না। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আপনাকে পুড়িয়ে দেওয়া রাফেলকে যেভাবে আমরা পালিয়ে যাওয়ার আগেই গ্রেপ্তার করেছি, একইভাবে এই মামলায় ন্যায়বিচার নিশ্চিতে যা যা করা প্রয়োজন, তার সবকিছুই করা হবে। এখন দোয়া আর অপেক্ষা- শুধু আপনি সুস্থ হয়ে ফিরুন।

কালেক্ট-
Md. Anwar Hossan (Shamim Anwar)
এএসপি (রাঙ্গুনিয়া সার্কেল)।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ। 

মানুষ মানুষের জন্য: চিকিজৎসার জন্য সাহায্যের আবেদন মিছবাহ’র

  

বাংলাদেশবার্তাডেস্কঃ মাদার বাজারের এক সময়ের সফল এবং জনপ্রিয় ব্যবসায়ী ছাদিকুর রহমান মিছবাহ। 
সবাই যাকে এক নামে চিনতো। সেই মিছবাহ মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে ২০১৮ সালে। 

২০১৮ থেকে ২০২০ পর্যন্ত মিছবাহ এর চিকিৎসা বাবদ / লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে। এখনও ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা লাগবে। 

যা তার পরিবারের পক্ষে সম্ভব নামিছবার বাবা নেই এমন কি কোন ভাই  নেই।একমাত্র মা তিনি নিজেও এখন অসুস্থ।


 এতোদিন আত্মীয়স্বজন এবং এলাকার দানশীল ব্যক্তি এবং প্রবাসীদের সহোযোগিতায় সাধ্যমত চিকিৎসা চালিয়েছেন। এখন তা  সম্ভব হচ্ছে না। 

প্রতি মাসে দুইবার কেমোথেরাপী দিতে হয়।

যার ব্যায় নিতান্ত ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা।

 আজ / মাস চলছে মুখে খাবার বন্ধ। গলায় শ্বাসনালীতে পাইপ লাগানো আছে।

 

ঠিকানাঃ-

নামঃছাদিকুর রহমান মিছবাহ

গ্রামঃলতিব পুর

ডাকঃলতিব পুর

থানাঃওসমানী নগর

উপজেলাঃওসমানী নগর

জেলাঃসিলেট।

মোবাইল নংঃ০১৭১১-৯৮৩৩২৬


 বৃদ্ধ ও অসহায় মায়ের একমাত্র সন্তান এবং ৩ জন অবুঝ সন্তানের পিতা ছাদিকুর রহমান মিছবাহ বাঁচতে চায়! তাই সকলের সাহায্য ও সহযোগিতা চেয়েছেন।

সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করতে চাইলে সরাসরি এই নাম্বারে যোগাযোগ করুন।

📞+88-01711-983326

 Bkash  (Personal) Number: 01711-983326

 

বুধবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২০

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গ্রামের মানুষকে মসজিদমুখী করতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ!

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ সময়ের কাঁটা তখন ভোর ৫টা ছুঁই ছুঁই। সরকারতালুক গ্রামের রাস্তায় সকল বয়সী মানুষের আনাগোনা। সবার গন্তব্য মসজিদে, ফজরের নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন তাঁরা। এ যেন এক অন্যরকম দৃশ্য। মহুর্তের মধ্যে মুসল্লীদের পদাচারণায় মসজিদ পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। একসাথে নামাজ আদায় করলো প্রায় ২শতাধিক মুসল্লী। এমন চিত্র প্রতিদিন দেখা যায় মিরসরাই উপজেলার ১ নং করেরহাট ইউনিয়নের সরকারতালুক জামে মসজিদে। যে মসজিদে প্রতি ওয়াক্ত নামাজে ১০ থেকে ১২জন মুসল্লী আসতো এখন তা হয়ে দাঁড়িয়েছে দুইশ’র বেশি। সবার মাঝে অন্যরকম ভ্রাতৃত্য সৃষ্টি হয়েছে।

মসজিদ নির্মাণের প্রতিযোগিতা আর মসজিদের শোভাবর্ধন নিয়েই আমরা চিন্তিত কিন্তু মসজিদের মুসল্লীদের আত্মীক উন্নতি, মানুষকে মসজিদমূখী করা নিয়ে নেই কোনো কর্মসূচী। মসজিদের ইমাম সাহেব থেকে কমিটি কেউ দায়ভার এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম মাওলানা নিজাম উদ্দিন মিয়াজী। মিরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সরকারতালুক গ্রামের মানুষ।

মাওলানা নিজাম উদ্দিন মিয়াজী সরকারতালুক গ্রামের জামে মসজিদের দায়িত্ব যেদিন নিয়েছেন তখন ফজরের নামাজে মুসল্লীর সংখ্যা ১০ থেকে ১২ জন। গ্রামের এত মানুষের বসবাস ফজরের নামাজে মুসল্লীর সংখ্যা এত নগণ্য তা মানসিকভাবে মেনে নেয়নি ইমাম সাহেব।
তখনই প্রতিজ্ঞা করেন ফজরের নামাজে গ্রমের সব পুরুষদের মসজিদমুখী করবেন। একটু ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ নেন তিনি। কোমর বেঁধে নামলেন , প্রতিদিন ৫০ জনকে পালাক্রমে মোবাইলে কল দিতেন, গ্রামের মানুষের দুয়ারে গিয়ে বোঝাতেন। মসজিদ পরিচালনা কমিটিকে অবহিত করলেন।
পরিশ্রম ব্যর্থ হয়নি ইমাম সাহেবের। গ্রামের মানুষের সদিচ্ছা ইমাম সাহেবের ডাকে সাড়া দিয়ে গ্রামের শিশু থেকে তরুণ, যুবক থেকে বায়োজোষ্ঠ সবার অংশগ্রহণে অন্যান্য ওয়াক্তের ন্যায় প্রতিদিন ফজরের নামাজে মসজিদ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।
নিয়মিত মুসল্লী প্রশিক্ষণ,বিষয় ভিত্তিক বাস্তবসম্মত জীবনাচারণ সম্পর্কে নিয়মিত গ্রুমিং করেন ইমাম নিজাম উদ্দিন।
প্রত্যেক শুক্রবার ফজরের নামাজ আদায়ের পর সব মুসল্লী একসাথে নাস্তা করে মসজিদ প্রাঙ্গনে। ব্যাক্তি উদ্যোগের সপ্তাহের যেকোনো দিন সম্মিলিত ভাবে নাস্তা করানো হয়।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমরুল আলম জানান, ফজরের নামাজ মসজিদে পড়া হতো না আমার, এখন রোজ ফজরে মসজিদে নামাজ আদায় করা হয়। পুরো গ্রামের মানুষের অংশগ্রহণে এখন ফজরের ওয়াক্তে মসজিদ পূর্ণ হয়ে যায়। পুরো কৃতিত্ব ইমাম মাওলানা নিজাম উদ্দিন মিয়াজী সাহেবের। ইমাম সাহেব আলোকিত মানুষ। আলো দিয়ে যাচ্ছেন পুরো গ্রামে।
মসজিদের ইমাম নিজাম উদ্দিন মিয়াজী বলেন, মসজিদ কমিটির সহযোগিতা, গ্রামের মানুষের সদিচ্ছায় সম্ভব হয়েছে। গ্রামে একটা মেলবন্ধন তৈরি হয়েছে। ফজরের নামাজে অংশগ্রহন অল্প কজন বাকি আছে। তারা নামাজে আসলে পুরষ্কৃত করা হবে তাদের। তিনি আরো বলেন, মুসল্লীদের নিয়মিত বিষয়ভিত্তিক মুসল্লী প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে।

বুধবার, ১১ নভেম্বর, ২০২০

শুধু ছেলেদেরই নয়, মেয়েদেরও সঠিক সময়ে বিয়ে দেওয়া জরুরি

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ  যৌন ক্ষুধা কি সাধারণ ক্ষুধার চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ? ক্ষুধা লাগলে খেতে হয়। খাবার না পেলে চুরি করে হলেও মানুষ খাবার সংগ্রহ করে। তাহলে, যৌন ক্ষুধা নিবারণ করার সুযোগ করে না দিলে তো মানুষ স্বাভাবিকভাবেই হারামের দিকে পা বাড়াবে। দেখুন! বিয়ে কত সহজ ছিলো সাহাবাদের সময়ে!

.সাহল বিন সা’দ (রা.) হতে বর্ণিত আছে যে, একবার এক নারী রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বললো, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি আমার নিজেকে আপনার জন্য উপহার দিতে এসেছি (পরোক্ষ ভাষায় বিয়ের প্রস্তাব)।’ তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দিকে তাকিয়ে তার আপাদমস্তক লক্ষ্য করে মাথা নিচু করলেন। সেই নারী যখন দেখলো যে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন ফায়সালা দিচ্ছেন না, তখন সে বসে পড়লো। এমন সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীদের একজন বললো, ‘যদি আপনার কোন প্রয়োজন না থাকে, তবে এই নারীর সাথে আমার বিয়ে দিয়ে দিন।’ তিনি বললেন, ‘‘তোমার কাছে কি (মোহর দেওয়ার মতো) কিছু আছে?’’ সে বললো, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর কসম! কিছুই নেই।’ তিনি বললেন, ‘‘তুমি তোমার পরিবারের কাছে ফিরে যাও এবং দেখো কিছু পাও কি না!’’ এরপর লোকটি চলে গেলো এবং ফিরে এসে বললো, ‘আল্লাহর কসম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কিছুই পেলাম না।’
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘দেখো, একটি লোহার আংটি হলেও!’’ তারপর সে চলে গেলো এবং ফিরে এসে বললো, ‘আল্লাহর কসম! একটি লোহার আংটিও পেলাম না। কিন্তু এই যে আমার লুঙ্গি আছে।’ সাহল (রা.) বলেন, তার কোন চাদর ছিলো না। অথচ লোকটি বললো, ‘এটাই আমার পরনের লুঙ্গি; এর অর্ধেক দিতে পারি।’ এ কথা শুনে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘তোমার লুঙ্গি দিয়ে সে কি করবে? তুমি পরিধান করলে তার গায়ে কোনো কিছু থাকবে না। আর সে পরিধান করলে তোমার গায়ে কোনো কিছু থাকবে না।’’ তখন লোকটি বসে পড়লো এবং অনেকক্ষণ সে বসেছিল।
তারপর উঠে গেলো। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ফিরে যেতে দেখে ডেকে আনলেন। যখন সে ফিরে আসলো, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘‘তোমার কতটুকু কুরআন মুখস্থ আছে?’’ সে গুণে বললো, ‘অমুক অমুক সূরা মুখস্থ আছে।’ তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘‘তুমি কি এ সকল সূরা মুখস্থ তিলাওয়াত করতে পারো?’’ সে বললো, ‘হ্যাঁ!’ তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘যাও, তুমি যে পরিমাণ কুরআন মুখস্থ করেছো, এর বিনিময়ে এ মহিলার সাথে তোমার বিবাহ দিলাম।’’ [সহিহ বুখারি: ৫০৩০, সহিহ মুসলিম: ১৪২৫]
.
অথচ, এখন ছেলেকে এস্টাবলিশড হতে হয়, ক্যারিয়ার গঠন করতে হয়, বিয়ের আগেই টাকাওয়ালা হতে হয়, সরকারি চাকরিজীবী হতে হয়! কত পরিকল্পনা! সেই সোনালী যামানায় এত কিছু চিন্তা করতে হতো না। যদি বুঝা যেতো, ছেলে পরিশ্রম করে বউয়ের চাহিদা পূরণ করতে পারবে এবং এবং সে এ ব্যাপারে আন্তরিক থাকবে, তাহলে সহজেই কণেকে এমন ছেলের হাতে তুলে দেওয়া হতো। তাই বলে কি তারা না খেয়ে থাকতো? জি না, আল্লাহই তাদের রিযিকের ব্যবস্থা করতেন। আবার বর্তমানে যেভাবে ‘আগুন সুন্দরী’ খোঁজা হয়, ৫ ফুট ৩/৪ ইঞ্চি খোঁজা হয়, দুধেআলতা দেখা হয় এগুলো তখন ছিলো না। কিংবা এখনকার মতো তখন যৌতুকের জন্য ছেলেপক্ষ দিওয়ানা ছিলো না।
.
আবদুল্লাহ্ ইবনু মাসউদ (রা.) বলেন: ‘‘আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে কিছু যুবক ছিলাম, যাদের কিছুই ছিলো না। তখন রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘‘হে যুব সমাজ! তোমাদের মধ্যে যারা সামর্থ্য রাখো, তাদের উচিত বিয়ে করে ফেলা। কেননা বিয়ে দৃষ্টি অবনতকারী ও লজ্জাস্থানকে হেফাযতকারী। আর যার সামর্থ্য নেই, তার উচিত রোজা রাখা। কেননা রোজা যৌন-উত্তেজনা প্রশমনকারী।’’ [সহিহ বুখারি: ৫০৬৬, সহিহ মুসলিম: ১৪০০]
.
মেয়েদের ক্ষেত্রেও একই কথা। কারণ ছেলেদের যৌন-চাহিদার কথা অনেক সময় দৃশ্যমান হলেও মেয়েরা লজ্জায় কিছু বলতে পারে না। আবার মেয়েদের যতটা-না যৌন চাহিদার প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি প্রয়োজন এমন একজন উত্তম জীবনসঙ্গী, যার সাথে সে একান্তে সময় কাটাতে পারে। এজন্য মেয়েরা যখন বিয়ের মাধ্যমে এই সুযোগটি লাভ করতে পারে না, তখন হারাম রিলেশনে জড়ায়। কিন্তু দিনে দিনে তার থেকে লাজুকতা ও কোমলতা হারিয়ে যেতে থাকে। অনেক সময় সে ছেলে বন্ধুর প্ররোচনায় অশ্লীল চ্যাট করে, ন্যুডিটি আদান-প্রদান করে আবার অনেক সময় নিজেই এসবে অভ্যস্ত হয়ে যায়, ট্রেন্ডে গা ভাসিয়ে দেয়। তাই, শুধু ছেলেদেরই নয়, মেয়েদেরও সঠিক সময়ে বিয়ে দেওয়া জরুরি।

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘তোমরা যে ছেলের দ্বীনদারি ও চরিত্রের ব্যাপারে সন্তুষ্ট হতে পারবে, সে যদি প্রস্তাব দেয়, তাহলে তার কাছে (তোমাদের মেয়েকে) বিয়ে দিয়ে দাও। যদি তা না করো, তবে পৃথিবীতে মহা-বিপর্যয় সৃষ্টি হবে।’’ [তিরমিযি: ১০৮৪, হাদিসটি হাসান]
.
সম্মানিত অভিভাবক, আপনি বাস্তবতায় আসুন। নিজের অবিবাহিত (ব্যাচেলর) জীবনকে স্মরণ করুন। আপনার সন্তান এখন সেই সময়টি অতিবাহিত করছে। আপনি সেই সময়টিতে যা কামনা করতেন, আপনার সন্তান এখন সেটি কামনা করে। আপনি তখন যেভাবে মন খারাপ করে থাকতেন, আপনার সন্তান এখন তেমনটা করে। আশা করি, বুঝেছেন। না বোঝার তো কিছু নেই। দয়া করে সমাজের দোহাই দিয়ে নিজের সন্তানকে হারামে জর্জরিত করে রাখবেন না। সন্তানের প্রতি এই অবহেলায় সন্তানের গুনাহের দায় আপনি এড়াতে পারবেন না। আল্লাহর কসম! আল্লাহর পাকড়াও থেকে রেহাই পাবেন না।
.
ফাতেমা খাতুন, কেশরহাট, মোহনপুর, রাজশাহী ।

বুধবার, ২৬ আগস্ট, ২০২০

জাবি প্রফেসর ছেলে মেয়েদের মানুৃষ করে নিজের ঠাই বৃদ্ধাশ্রমে!!!

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সাবেক প্রফেসরের বড় মেয়ে আমেরিকা প্রবাসী, বড় ছেলে উইং কমান্ডার (অব.) ও ছোট ছেলে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। ছেলে-মেয়েদের মানুষ করে তার ঠাঁই হয়েছে বৃদ্ধাশ্রমে!!

.
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আব্দুল আউয়ালের তিন সন্তান। সবার বড় মেযের নাম রেজিনা ইয়াসিন। তিনি আমেরিকা প্রবাসী। বড় ছেলে ইফতেখার হাসান উইং কমান্ডার (অব.)। ছোট ছেলে রাকিব ইফতেখার হাসান অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। জীবনে এত কিছু থাকার পরও আজ তার দু’চোখে অন্ধকার। থাকেন আগারগাঁও প্রবীণ নিবাসে।

দীর্ঘ ১৭ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন সুনামের সঙ্গে। ২০০৬ সালে অবসর নেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. এম আব্দুল আউয়াল। অবসরের পর কিছুদিন ভালোই চলছিল তার।

আব্দুল আউয়াল বলেন, শিক্ষকতার আগে ১৯৬৫-১৯৮৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ এটমিক এনার্জিতে চাকরি করেছি। এরপর শিক্ষকতা। জীবনে অনেক টাকা-পয়সা উপার্জন করেছি। ২০০৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নিয়েছি। এরপর ছেলে-মেয়েরা আমার খোঁজখবর নেওয়া বন্ধ করে দেয়।

কল্যাণপুর হাউজিং এস্টেটে নিজের ফ্ল্যাট ছিল আব্দুল আউয়ালের। এছাড়া পল্লবীতেও বেশ কিছু জমি ছিল। কিন্তু এসব বড় ছেলে কৌশলে বিক্রি করে টাকা পয়সা নিজের অ্যাকাউন্টে জমা করেছেন, আক্ষেপ করেই বলেন প্রফেসর আউয়াল।

তিনি বলেন, ওরা আমাকে এতো কষ্ট দেয় কেন। আমাকে নিয়ে এতো ছলচাতুরি করে কেন? বলতে বলতে ডুকরে কেঁদে উঠেন প্রফেসর আউয়াল।

তিনি বলেন, চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর কিছু দিন বড় ছেলের সঙ্গেই থাকতাম। ছেলের সংসারে থাকার সময় জানতে পারি ছেলে ও বউয়ের মধ্যে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। একদিন বাসায় থাকা অবস্থায় বউয়ের মুখে গালি শুনে বাসা থেকে নেমে আসি। আর ফিরে যাইনি। ওরাও কেউ খোঁজ নেয়নি। ছোট ছেলে অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে আসে ২০১৪ সালে। এসে মিরপুর-১ নম্বরে একটি দোকানে আমার সঙ্গে দেখা করে কথা বলে। সেখানে গেলে আমাকে জানায় তার বিয়ে ঠিক হয়েছে। আমি ওর বাবা অথচ আমাকে জানালও না যে বিয়ে করতে যাচ্ছে। বিয়ে করে আবার চলে যাবে, একথা শুনে ছেলের বউকে দেখতে চাই। কিন্তু তার সাথে দেখা করা যাবে না বলে জানায় ছেলে। অথচ এই ছেলের পড়ালেখার জন্যও পেনশনের টাকা থেকে ২৬ লাখ পাঠিয়েছি। সেই ছেলেও আমাকে কোনো দিন ফোন করে না। মাঝে মাঝে ইমেইলে চিঠি লেখে।

ভেবে দেখুন অতি উচ্চ শিক্ষিত হতে গিয়ে আমরা দিন দিন আরও অমানুষ হয়ে যাচ্ছি। অথচ অনেক গরীব, মূর্খ আছে যারা বাবা মাকে নিয়েই একসাথে থাকে। তাহলে তারা কি আমাদের মতো মুখোশধারী শিক্ষিতের চেয়ে ভালো নয়? তাই উচ্চ শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিকতা ও মানুষ্যত্ব টা ও সবার শিক্ষাগ্রহন করা উচিৎ বলে মনে করি।

বুধবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

কন্যা সন্তান; মা-বাবার জন্য মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিশেষ রহমত (আশির্বাদ)।

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ সেদিনটির কথা আমি কখনোই ভুলবো না, যেদিন কোর্টে বাবা মায়ের সেপারেশনের সময় মা কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, "আপনি কাকে চান, ছেলে কে না মেয়েকে?? "
মা তখন ছেলেকে চেয়েছিল, আমাকে চায়নি। বাবাও তখন আমার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। কারণ তিনি আবার বিয়ে করে নতুন সংসার করার স্বপ্ন দেখেছিলেন, অযথা আমাকে নিয়ে নতুন সংসারে বোঝা বাড়াতে চাননি।

কাঠের বেঞ্চিতে বসে যখন অঝোরে কাঁদছিলাম তখন বুকে আগলে ধরেছিলেন এক লেডি কনস্টেবল। আশ্রয় দিয়েছিলেন তার বাড়িতে। কিন্তু তার মাতাল স্বামীর লোলুপ দৃষ্টি পড়েছিল আমার উপর। শিশু বয়সে অত কিছু না বুঝলে ও কেমন যেন খারাপ লাগতো। রাতে যখন আন্টি বাসায় ফিরতেন, আমি তাকে সব বলে দিতাম। মহিলা দুঃশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। অতঃপর আমার নিরাপত্তার কথা ভেবে তিনি আমাকে একটা এতিমখানায় রেখে আসলেন। যাবার সময় আমাকে দু হাতে জড়িয়ে ধরে যেমন করে কাঁদলেন, আমার মাও আমাকে রেখে যাওয়ার সময় ওভাবে কাঁদেনি।
দিন যায়-মাস যায়, এতিমখানাতেই জীবন কাটতে থাকে আমার। খুব অসহায় লাগতো নিজেকে। বাবা মা বেঁচে থাকতে ও যে শিশুকে এতিমখানায় থাকতে হয় তার থেকে অসহায় বুঝি আর কেউ নেই!!
বছর দু'য়েক পরের কথা। এক নিঃসন্তান ডাক্তার দম্পতি আমাকে দত্তক নেন। জীবনটাই পাল্টে গেল আমার। হেসে খেলে রাজকীয় ভাবে বড় হতে লাগলাম আমি। আমার নতুন বাবা মা আমাকে তাঁদের মতই ডাক্তার বানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমার একগুঁয়ে ইচ্ছে ছিল একটাই, আমি ল'ইয়ার হবো। আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আজ আমি একজন ডিভোর্স ল' ইয়ার। যারাই আমার কাছে তালাকের জন্য আসে, আগেই আমি বাচ্চার কাস্টোডির জন্য তাদের রাজি করাই। কারণ বাবা মা ছাড়া একটা শিশু যে কতটা অসহায়, তা আমি ছাড়া কেউ জানে না!!
চেম্বারে বসে খবরের কাগজ পড়ছিলাম। হঠাৎ একটা নিউজে চোখ আটকে গেল। এক বৃদ্ধা মহিলাকে তার ছেলে আর বউ মিলে বস্তায় ভরে রেলস্টেশনে ফেলে রেখে গেছে। পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। নিচে বৃদ্ধা মহিলার ছবি দেয়া। মুখটা খুব চেনা চেনা লাগছিল। কাছে এনে ভালো করে ছবিটা দেখলাম। বুকের মাঝে ধক করে উঠলো। এ তো সেই মহিলা যে আমাকে অনেক বছর আগে আদালতে ছেড়ে গিয়েছিল, আমার মা। নিজেই গাড়ি ড্রাইভ করে ছুটে গেলাম হাসপাতালে।
সেই মুখটা কিন্তু চেনার উপায় নেই। চামড়াটা কুঁচকে আছে, শরীরটা রোগে শোকে জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। ঘুমন্ত মুখটার দিকে তাকিয়ে খুব মায়া লাগছে, ভেতরটা ভেঙে ভেঙে যাচ্ছে। আচ্ছা, সেদিন কি তার একটু ও কষ্ট লাগেনি, যেদিন তার ১০ বছরের শিশু কন্যাটি মা-মা করে পিছু পিছু কাঁদতে কাঁদতে দৌড়াচ্ছিল?? হয়তো লাগেনি। নয়তো এভাবে ফেলে যেতে পারতো না।
একবার ভেবেছিলাম চলে যাবো। হঠাৎ দেখি তিনি ঘুম ভেঙে চোখ পিটপিট করে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। বুঝলাম চিনতে পারেন নি, চেনার কথা ও নয়!! আমি আমার পরিচয় দিলাম। কয়েক সেকেন্ড নিষ্পলক তাকিয়ে থেকে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে। নিজের কৃতকর্মের জন্য বারবার ক্ষমা চাইতে থাকে। নিজের বুকের সাথে শক্ত করে জড়িয়ে ধরি মাকে।
মাকে পাওয়ার পর বাবার জন্য ও মনটা উতলা হয়ে উঠে। মায়ের কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে বাবার অফিসে যোগাযোগ করি। জানতে পারি, কয়েক বছর আগেই রিটায়ার্ড করেছেন তিনি। বাসার ঠিকানায় গিয়ে দেখি উনি নেই। উনার দ্বিতীয় পক্ষের ছেলেমেয়েদের জিজ্ঞেস করে জানলাম, রিটায়ার্ড করার কিছু দিনের মধ্যেই তিনি প্যারালাইজড হয়ে বিছানায় পড়েন। অযথা একটা রুম দখল করে নোংরা করত, তাই বিরক্ত হয়ে ছেলেমেয়েরা তাকে একটা সরকারি বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে, অযথা ঘরে বোঝা বাড়িয়ে কি লাভ!!!
ওদের কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে বৃদ্ধাশ্রম গেলাম। চিনতে খুব কষ্ট হচ্ছিলো, মনে হলো একটা জীবিত লাশ পড়ে আছে বিছানায়। পাশে বসে হাতটা ধরলাম, পরিচয় দিতেই মুখ ফিরিয়ে কাঁদতে লাগলেন।
বাবা মা এখন আমার সাথে একই বাড়িতে আছেন। একসময় তারা আমাকে ছেড়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু আমি পারিনি ছাড়তে। হাজার হোক আমার বাবা মা তো!!! 
.
.... কন্যা....
আফরিন শোভা

সোমবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

মহিলা পরিষদের তথ্য : জানুয়ারিতে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা ২৯৮ !

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ চলতি বছরের প্রথম মাসেই ধর্ষণ, ধর্ষণচেষ্টা ও নারী নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটেছে মোট ২৯৮টি। আর বিদায়ী ২০১৮ সালে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে ৩৯১৮টি। যা খুবই উদ্বেগজনক। তাই দেশের চলমান ধর্ষণ আইনের পরিবর্তন ও আইনের মাধ্যমে ধর্ষকের দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানম। তবে বিচারবহির্ভূত হত্যার পর কাউকে ধর্ষণ মামলার আসামি হিসেবে যেন প্রচার করা না হয় সেদিকেও নজর রাখতে হবে বলে জানান তিনি।
গতকাল জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নের পরিবর্তে সরাসরি নির্বাচন প্রক্রিয়া চালু এবং অব্যাহত নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতন, ধর্ষণের প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে আয়েশা খানম বলেন, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের একটি ইতিবাচক দৃশ্য এখন বাংলাদেশে বিদ্যমান। আজকে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে নারীরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে একটি বড় ভূমিকা রাখছে। 
সেই ভূমিকার স্বীকৃতির প্রতিফলন হতে হবে রাষ্ট্র পরিচালনায় নারীর অংশগ্রহণের ভেতর দিয়ে এবং একটি শক্তিশালী, ভবিষ্যৎমুখী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে।
কিন্তু নির্বাচন ব্যবস্থায় অর্থ এবং পেশীশক্তির ব্যবহার, নারীর প্রতি সমাজের প্রথাগত দৃষ্টিভঙ্গি, নারী হিসেবে অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা, বিদ্যমান সাংঘর্ষিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ইত্যাদির কারণে রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশগ্রহণ করে নারীদের অগ্রসর হওয়া অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে এই সরকারের যখন নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল সেখানে নির্বাচনী এলাকা পুনঃনির্ধারণ করে সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করার মতো একটি সহায়ক পরিবেশ ছিল এবং তা করা হলে ২০১৮তে অনেক নারী সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারতেন। 
কিন্তু তা এখনো কারোর দৃষ্টিগোচর হয়নি। তাই আমরা এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সরকারের কাছে আবারো বলতে চাই যে, এখনো সময় আছে, সংবিধান সংশোধন করে আগামীর জন্য সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নের পরিবর্তে সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য যাতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারীরা রাষ্ট্র পরিচালনায় জনশক্তি হিসেবে এগিয়ে আসতে পারে। 
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে সংগ্রহ করা তথ্য-উপাত্তের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, নতুন বছরের প্রথম মাসেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ২৯৮টি। এর মধ্যে ধর্ষণ ৫২টি। আর গণধর্ষণ ২২টি। ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে ৫টি। একইভাবে ২০১৮ সালে ৩৯১৮টি নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৬৯৭টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৮২ জন এবং ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে ৬৩। এ ছাড়া বাসা থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, পরিবহন সব জায়গায় নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। সংবাদ সম্মেলনে এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি লক্ষ্মী চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রেখা চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাখী দাশ, অ্যাড. মাসুদা রেহানা বেগম প্রমুখ।

রবিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

রুমানা থেকে মিতু, সাঈদ থেকে আকাশ ।। আমাদের শিক্ষা কি?

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ মিতু আর ডাক্তার আকাশের সাম্প্রতিক ঘটনা দেখে আমার রুমানা মঞ্জুর আর হাসান সাইদের কথা মনে পড়ে গেলে। আজ থেকে ৮ বছর আগের কথা। রুমানা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআর এর শিক্ষক আর সাইদ বুয়েট থেকে পাশ করা ইঞ্জিনিয়ার। মিতু যেমন প্যাটেল নামক এক বিদেশী ছেলের সাথে পরকীয়া করতো, ঠিক তেমনি রুমানাও ইরানি বয়ফ্রেন্ড তারেক বিন নাভেদের সাথে পরকীয়া করতো। তবে দুটো ঘটনাই স্বামী-স্ত্রীর মারামারি পর্যন্ত এসে দুইদিকে ডায়ভার্ট হয়ে গেছে। আকাশ যেমন মিতুকে মেরে মুখে সেলাই ফেলে দিয়েছে, সাইদও রুমানাকে মেরে তাকে অন্ধ করে দেয়। তবে আকাশ আর সাঈদের মধ্যে তফাৎ হলো- আকাশ আত্মহত্যা করে, আর সাইদকে সমাজের প্রচণ্ড চাপে গ্রেফতার করা হয়, কিন্তু সামান্য কয়েকদিন পর জেলের ভেতরে রহস্যজনকভাবে সাইদের লাশ পাওয়া যায়। তবে কোন কোন পুরুষবাদী এমনও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, আকাশ তখন আত্মহত্যা না করলে এবং আহত মিতু মিডিয়ার সামনে আসলে হয়ত নারীদেরবাদীদের চাপে আকাশকে গ্রেফতার করা হতো এবং হয়ত সাইদের মত আকাশকেও মৃত্যুকে বরণ করতে হতো।
গত কয়েকদিন ধরে দেখেছি সাধারণ মানুষ ফেসবুকে আকাশের পক্ষ নিয়েছে, আর নারীবাদীরা মিতুর পক্ষ নিয়ে তুমুল দ্বন্দ্ব করছে। কোন কোন নারীবাদী তো আকাশকে হিটলার বলে উপাধি দিয়েছে। হিটলার যেমন আত্মহত্যা করেছে, তেমনি আকাশও নাকি আত্মহত্যা করেছে। কেউ বলেছে, আকাশের আত্মহত্যা ছিলো নারীর প্রতি পুরুষতন্ত্রের প্রতিশোধ।
নারী ও পুরুষবাদীরা যাই বলুক, আসলে আমরা সাধারণ মানুষ যেমন চাই না- সাইদ-আকাশরা মারা যাক, ঠিক তেমনি মিতু-রুমানারা আহত হোক, এটাও কাম্য নয়। প্রত্যেকটা মানুষ সুস্থ স্বাভাবিক সুন্দর হয়ে বেচে থাকুক এটাই আমাদের কাম্য। কিন্তু এটা তখন সম্ভব হবে, যখন সমাজে একটা ভারসাম্য বজায় থাকবে। কাজী নজরুল ইসলাম বলেছিলেন, “বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর”। নারী-পুরুষ মিলিয়েই সমাজ। একটা ছাড়া অন্যটা চলতে পারবে না, একজন অন্যজনের সহযোগী, কখনই প্রতিযোগী নয়। কিন্তু একটা গোষ্ঠী আছে, যারা সমাজে নারী-পুরুষের লাগিয়ে দিয়ে, উপর থেকে ফায়দা নিতে চায়। সমাজে কিছু কিছু পুরুষ আছে যারা তাদের স্ত্রী/নারীদের নির্যাতন করে, যার উদহারণগুলো টেনে নারীবাদ সৃষ্টি করা হয়। এরপর সেই নারীবাদীরা নারীদের উস্কানি দেয়, বাধন ছিড়ে ফেলার আহবান জানায়। এরপর সেই সব বাধণ ছেড়া নারীদের দেখিয়ে ফের পুরুষবাদ তৈরী করা হয়, ব্যস নারী-পুরুষ তখন হয়ে যায় প্রতিদ্বন্দ্বী, সমাজে তৈরী হয় কলহ। কিন্তু বাস্তবতা হলো আপনি কলহ করে সাময়িক জয়লাভ করতে পারেন, কিন্তু দীর্ঘ সময়ের প্রেক্ষিতে কখনই সমাজের জন্য তা ভালো ফল বয়ে আনবে না।
এই তো কিছুদিন আগে দেখলাম, বাংলাদেশে নারী নির্যাতন হ্রাস করতে নাকি নারীদের কুংফু-ক্যারাতের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। কি আশ্চর্য ! নারী ধর্ষণের অন্যতম একটা বড় কারণ হচ্ছে প্রতিহিংসা বা শত্রুতা। এই যে আপনি নারীদের কুংফু প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, তার আলটিমেট রেজাল্ট কি বুঝতে পারছেন ? একজন নারী কোন পুরুষকে হয়ত কুংফু দিয়ে সাময়িক পরাজিত করতে পারলো, কিন্তু এতে ঐ পুরুষটা কিন্তু ঐ নারীর উপর ক্ষেপে গেলো, পরে প্রতিশোধ নিতে হলেও সে মেয়েটির উপর আক্রমণ করতে পারে। আসলে যে ইস্যুগুলো সমাজের গণমানুষের সাইকোলোজির সাথে সংযুক্ত সেগুলো সফটলি হ্যান্ডেল করতে হয়। দ্রুতকোন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলে সমাজে বরং বিশৃঙ্খলতা হতে পারে। আর নারীবাদীদের কথা কখনই পাত্তা দেয়া যাবে না, কারণ নারীবাদীরা হলো লেজকাটা শেয়াল। তারা নিজেরা উচ্ছন্নে গেছে, তারা চায় সমাজের অন্য নারীরাও উচ্ছন্নে যাক।
আমি আগেও বলেছি, আমাদেরকে এখন যে সমাজ ব্যবস্থার দিকে ঢেলে দেয়া হচ্ছে, তাতে সামনে আরও কঠিন পরিবেশ আসছে। রুমানা-সাইদ আর মিতু-আকাশের ঘটনা সামনে আরো অসংখ্য দেখা যাবে। তাই শুধু আইন-শালিস করে নয়, কি কি কারণে সমাজে পরকীয়া/নারী নির্যাতন বাড়ছে, সেগুলো আগে চিহ্নিত করে বন্ধ করতে হবে বা আপডেট করতে হবে। যেমন:
১) যেসব মিডিয়া পরকীয়া/নারী নির্যাতনের শিক্ষা দেয়া হয় বা উস্কানি দেয়া হয় সেগুলো বন্ধ করতে হবে।
২) বাল্যবিয়ে নিষিদ্ধ করা যাবে না। যার প্রয়োজন সে করবে। বিয়ের বিষয়গুলো আরো সহজ করতে হবে। বাল্যবিয়ে নিষেধ থাকায় অনেক নারী/পুরুষ বিয়ের আগে কম বয়সে অবৈধ মেলামেশা করে অভ্যস্থ হয়ে যায়, যার কারণে বিয়ের পরও বহুগামীতা ছাড়তে পারে না।
৩) ঢাকা শহরে জীবননির্বাহ ব্যয় কমাতে হবে। ঢাকাতে জীবন নির্বাহ ব্যয় বিশেষ করে বাড়িভাড়া বেশি থাকায় অনেক বিবাহিত পুরুষ কর্মক্ষেত্রে ঢাকায় আসলেও স্ত্রীকে গ্রামে রেখে আসে। এতে তার স্ত্রী যেমন স্বামীহীনতা ভুগে ঠিক তেমনি শহরে স্ত্রীহীন পুরুষটির দ্বারাও অনেক অপকর্ম ঘটতে পারে।
৪) বিদেশে শ্রমিক রফতানির সময় একদম প্রশিক্ষণহীন শ্রমিক না পাঠিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে শ্রমিক পাঠানো উচিত। আরো ভালো হয় যদি শ্রমিক রফতানি না করে দেশী লোক দিয়েকোম্পানি করে সার্ভিস রফতানি করা যায়। এতে বেতন বেশি পাওয়া যাবে। তখন অনেক প্রবাসী চাইলে তার স্ত্রীকে বিদেশ নিয়ে যেতে পারবে। এতে সমস্যা অনেকটা দূর হবে।
৫) অনেক নারী কম বয়সে বিধবা হয়ে যায়। কিন্তু দেখা যায় সমাজের কথা চিন্তা করে, বাচ্চাদের কথা বলে তাকে আর বিয়ে দেয়া হয় না। বিধবা নারীদের বিয়ে নিয়ে সমাজের কুসংস্কার বন্ধ করতে হবে, তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
৬) নেশা জাতীয় দ্রব্য নিষিদ্ধ করতে হবে। নেশার কারণে পুরুষত্বহীনতা তৈরী হয়। পর্নোগ্রাফীও নিষিদ্ধ করতে হবে।
৭) জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি, এবরেশনসহ যাবতীয় সিস্টেম যা পশ্চিমারা বাংলাদেশে প্রবেশ করিয়েছে এগুলো সাইডএফেক্ট হলো সমাজে ব্যাভিচার বৃদ্ধি পাওয়া। এগুলো অবাধ ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে।
৮) কোন পুরুষের প্রয়োজন লাগলে এবং সামর্থ থাকলে সে বহুবিবাহ করবে, এ বিষয়টি সমাজে সহজ করতে হবে। অনেক সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মিল নাও হতে পারে। এক্ষেত্রে ডিভোর্সের বিষয়টিও সহজ করতে হবে।
৯) ধর্মীয় পর্দা বাধ্যতামূলক করতে হবে। নারী পুরুষের জন্য পৃথক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শপিং কমপ্লেক্স, হাসপাতাল, যাতায়াত ব্যবস্থা করতে হবে। নারীদের প্রতিষ্ঠানগুলো নারীরাই পরিচালনা করবে, সেখানে কোন পুরুষ থাকতে পারবে না।
১০) সমাজের সর্বত্র ধর্মীয় চর্চা বাধ্যতামূলক করতে হবে। সেক্যুলার শিক্ষা ব্যবস্থা বাতিল করে ধর্ম নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে। একটি বিষয় মনে রাখতে হবে শুধু আইন-শালিস করে মানুষের মন নিয়ন্ত্রণ করা করা যায় না। মানুষের মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ যত বাড়বে, স্বামী-স্ত্রী তত সুখী হবে। সেক্যুলার-নারীবাদীরা সব সময় ধর্মীয় বিধানকে নারীবিদ্বেষী বলে অপপ্রচার করেছে। কিন্তু তারা ধর্মহীন যে সমাজ আনতে চাইছে তাতে নারীরা অনেক বেশি অনিরাপদ ও নির্যাতিত। সুতরাং তাদের সকল নীতি বর্জন করতে হবে, এর কোন বিকল্প নাই।
লেখক:নয়ন দাদা

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী