বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২১

আলেমরা কেন পালায়না !!

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24: আলেমরা কেন পালায় না  বাংলাদেশ নিউজ24 আমাদের
আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃ সরকার যেভাবে প্রতিদিন আলেমদের গ্রেফতার করছে তাতে একটা ব্যাপার পরীক্ষিত হয়ে গেছে . পুলিশ যতোই গ্রেফতার করছে ততোই সানন্দে আলেমরা স্বপ্রনোদিত ভাবে নিজেদের সমর্পন করে দিচ্ছেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ।

গত কয়েকদিন যেভাবে গ্রেফতার যজ্ঞ চালানো হয়েছে তা আসলেই নজিরবিহীন . কি কারণে গ্রেফতার করছে সেই বিচার বা বিশ্লেষণ আমি না-ই বা করলাম ।
কিন্তু আলেমদের ঈমানী শক্তি এতোটা কঠোর ও পোক্ত তা প্রমাণিত হলো এই গ্রেফতার যজ্ঞের মাধ্যমে . এ যেন স্বেচ্ছায় কারাবরণ. যেখানেই গ্রেফতারের জন্য গিয়েছে সেখানেই তাদেরকে যথাস্থানে ও যথারীতি পাওয়া গেছে ।
এইসব গ্রেফতারি ভীতি থাকলে সচরাচর রাজনৈতিক নেতারা গা ঢাকা দিয়ে থাকেন . কিন্তু আলেমদের ক্ষেত্রে তা দেখা যায়নি ।
আরো আশ্চর্য বিষয় হলো প্রথম দিকে যা একটু ভীতি ছিল, এখন তাও কাজ করছেনা তাদের মনে . কারণ , নির্ঘাত গ্রেফতারের সম্ভাবনা নিয়ে তরুণ ইসলামিক নেতা মুফতি হারুন ইজহার নিজ বাসভবনেই ছিল . খুব সাধারণ ভাবেই পুলিশের কাছে নিজেকে সমর্পন করেছে ।
আমার দীর্ঘ টকশো জীবনে শুধুমাত্র গত ২/৩ মাসে আগে থেকে আলেম বা ইসলামিক বক্তাদের আসার সুযোগ দেই . এর আগে কখনোই এতটা সম্পর্ক ছিলোনা এই সম্মানিত আলেম সমাজের সাথে ।
টকশোতে ইনভাইট করতে গিয়ে তাদের সাথে আমার যথেষ্ট ভাল সম্পর্ক হয় . সরাসরি দেখা না হলেও ফোনে যতটুকু কথা হয়েছে তাতে তাঁদের প্রতি আমার অনেক সম্মানবোধ তৈরী হয়েছে।
কিন্তু আফসোস এখন টকশোতে তাঁদের কাউকেই পাচ্ছিনা . যাকেই কল দেই তার ফোন বন্ধ . পরিবারের কেউ ধরলে বলছে তিনি তো এখন জেলে । পরিবারের মানুষজনগুলিও যথেষ্ট স্বাভাবিক । কি আজব মানসিক শক্তি ।
রাষ্ট্রের ক্ষতি করলে যে কেউ গ্রেফতার হবে আইনি ভাবে বিচারপূর্বক সাজা ভোগ করবে , এটাই চিরাচরিত নিয়ম।
কিন্তু এই রোজার মাসে অন্ধকার প্রকোষ্টে আলেমদের এভাবে ফেলে রাখাটা কতটুকু সমর্থিত তা ভাবতে ভারী কষ্ট লাগছে।
সরকারের কাছে আবেদন করছি, সবকিছুর উর্দ্ধে উঠে এই রমজানের সময়ে কাউকে গ্রেফতার না করে ঈদুল ফিতর যেন পরিবারের সাথে কাটাতে পারে সবাই সেই ব্যবস্থা করুন দয়া করে . কি কারণে এই বিশাল গ্রেফতার আমি জানিনা, তবে যদি শুধুই রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার গুলো করা হয়ে থাকে তাহলে বলবো এই মাসটিতে নয়।
উনারা সবাই দ্বীনি ও পরহেজগার . রোজার মাসটির জন্য তারা সারা বছর তাকিয়ে থাকে. দয়া করে ব্যাপারটি বিবেচনায় নিন।
টকশোর কারণে যাদেরকে চিনেছি তাদের প্রতিনিয়ত গ্রেফতার দেখে হাতে কলম না নিয়ে শান্তি পাচ্ছিলামনা .
আমার এই কলম সবার জন্য . নির্যাতিতদের পাশে সবসময় আছি।
সাইফুর সাগর
সঞ্চালক , ফেস দ্যা পিপল

শনিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২১

মনের ভেতরে নানা প্রশ্ন জাগানো তিনটি ঘটনা আজ হৃদয়কে নাড়া দিয়ে গেল! - শিহাব শাকির

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24: মনের ভেতরে নানা প্রশ্ন জাগানো তিনটি ঘটনা আজ হৃদয়কে নাড়া দিয়ে গেল! - শিহাব শাকির
আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃ 
১. পঞ্চাশোর্ধ্ব এক করোনা রোগী সুইসাইড নোট লিখে মুগদা হাসপাতাল থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন। লিখে গেছেন, নিজের একাকীত্বের কথা। টাকা ছিল, পয়সা ছিল। কিন্তু আত্মীয়-সজন, বন্ধু ছিল না কাছে। পরিবার ও আত্মীয়দের সবাই ছিল যুক্তরাষ্ট্রসহ "উন্নত" দেশে! একাকীত্ব সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন বলে লিখে গেছেন!

২. চলচ্চিত্রের "মিষ্টি মেয়ে" খ্যাত নায়িকা, সাবেক সাংসদ কবরী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মারা যাওয়ার পর তার একটি সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ ভাইরাল হয়েছে। তা হলো, জীবনে ভালো একজন বন্ধু পেলাম না, ভালো একজন স্বামী পেলাম না, সন্তানরাও যে যার মতো! কারো সাথে বসে এক কাপ চা খাবো, মনের কথা খুলে বলব- তা পেলাম না!
৩. "বিশ্ব রাজনীতির ১০০ বছর" লেখক, খ্যাতনামা কলামিস্ট, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রফেসর তারেক শামসুর রাহমানের লাশ নিজের বাসা থেকে দরজা, তালা ভেঙে উদ্ধার করা হয়েছে! বাসায় তিনি ছিলেন একা। স্ত্রী ও কন্যা আছেন যথারীতি "স্বপ্নের দেশ" যুক্তরাষ্ট্রে! অসুস্থ ও মৃত্যুর সময় কেউ ছিল না পাশে, কেউ জানেনি কিছু!
টাকা, পয়সা, যশ, খ্যাতি, পরিচিতি সবই ছিল। কিন্তু কারো পাশে ছিল না স্ত্রী, স্বামী বা পুত্র-কন্যা!
ছিল একাকীত্ব! অখণ্ড একাকীত্ব!
প্রত্যেকের মৃত্যুতে খুব কষ্ট লেগেছে।
কিন্তু "উন্নত" মহলে আমাদের সমাজ ও পরিবার ব্যবস্থা কোনদিকে যাচ্ছে তা ভাবতে গিয়ে আবারও শিউরে উঠেছি!
হায় রে ক্যারিয়ার, হায় রে উন্নয়ন, হায় রে উন্নত বিশ্বের স্বপ্ন! হায় রে, পরিবার ও সমাজ ব্যবস্থা!
একটু চিন্তা করতে পারেন, একটু ভাবতে পারেন।
আহা রে জীবন!!

শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২১

জাপানে কোনো কালো বাজারি দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে মানুষকে জিম্মি করেনা

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 জাপানে কোনো কালো বাজারি দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে মানুষকে জিম্মি করেনা বাংলাদেশ নিউজ24
 আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃ জাপানে রাস্তার মোড়ে মোড়ে কোনো মসজিদ নেই, রাত জেগে ওয়াজ নেই, নসিহত নেই, ধর্মীয় স্কলার নেই, মাজার নেই, ওরশ নেই, পীর নেই, মুরিদ নেই, কুতুব নেই, আবদাল নেই, তাবলীগ নেই, আমরা শ্রেষ্ঠ জাতি বলেও কোনো কিছুই নেই। এগুলো ছাড়াই জাপান একটা সুশৃঙখল জাতি।


গত ত্রিশ বছরের মধ্যে কোনো দূর্নীতি নেই, কোনো ঘুষ নেই, কোনো ধর্ষণ নেই, স্কুলে কোনো ছাত্রকে বেত্রাঘাতের রেকর্ড নেই। কোনো কাজের জন্য কোনো ফাইল আটকে পড়ার নজির নেই। কারো সুপারিশ ছাড়া কোনো ছাত্র স্কুলে ভর্তি হতে পারছেনা, কারো প্রমোশন হচ্ছেনা- এমন দৃষ্টান্তও নেই। দলীয় ভাবে জাপানের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষকের নিয়োগের নজিরও নেই। রাস্তায় পড়ে থাকা বুভুক্ষু মানুষও নেই। আছে শুধু কর্মনিষ্ঠা, শৃঙখলা।

ভূমিকম্পের সময় সব খাবার ক্যাম্পে রেখে দেয়া হয়েছিলো। নিজের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কেউ একটা রুটিও নিয়ে যায়নি। ত্রান কেন্দ্রে একজন প্রহরীকেও পাহারাদার রাখতে হয়নি। লাইন দাঁড়িয়ে সবাই যার যার মতো প্রয়োজনীয় খাবার নিয়ে গেছে। লাইন দাঁড়ানো শেষ ছেলেটির হাতে খাবার প্যাকেট দেয়ায় -সে সেই প্যাকেট আবার লাইনের সামনে রেখে এসেছে। যদি তার সামনে দাঁড়ানো কারো খাবার কম পড়ে যায়।

জাপানে কোনো কালো বাজারি দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে মানুষকে জিম্মি করেনা। কেউ খাবারে ভেজাল মেশায় না। রাস্তাঘাট গুলো এতো ঝকঝকে পরিষ্কার। নিজের চেহারা রাস্তায় দেখা যায়। শুধু বয়স্ক কিংবা যুবকরা না একজন শিশুও জাপানের রাস্তায় যেখানে সেখানে ময়লা ফেলে রাখেনা। কোনো প্রোগ্রাম এক মিনিট দেরিতে শুরু হয় না। এক মিনিট ট্রেন লেট করেছিলো বলে - পত্রিকার পাতায় ক্ষমা চাওয়া হয়েছিলো।

টেকনোলজি আর ডেভেলপমেন্টে জাপান পৃথিবী থেকে দশ বছর এগিয়ে আছে। পুরো পৃথিবীর খাবার ফুরিয়ে গেলেও জাপানে আগামি ত্রিশ বছরের জন্য খাবার মজুদ আছে। বোমায় কয়লা হয়ে যাওয়া জাপান পুরো দুনিয়ার গাড়ীর বাজারে নেতৃত্ব দিচ্ছে। অথচ, জাপানে ভার্চুয়ালি কোনো ন্যাচারাল রিসোর্স বলতে কিছুই নেই।

জাপানের মানুষের মাঝে আছে শুধু বিনয় আর বিনয়। আর ক্ষমা প্রার্থনা। অবসরে যাওয়া জাপানি প্রধানমন্ত্রী বারবার বলছেন- কি করতে পেরেছি তার জন্য দয়া করে গুণ কীর্তন করবেন না। বরং যা করতে পারিনি সেটার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। দু হাত একসাথে করে- জনগনের সামনে মাথা নীচু করে- (যেটা জাপানি কালচার) - বারবার ক্ষমা চাচ্ছিলেন জাপানের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবে।

সামনে রোজা আসছে। দেখবেন রোজার আগমনে অন্যান্য মুসলিম দুনিয়া শান্ত হয়ে আসছে। মানুষের মাঝে একটা ভাবগম্ভীর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে শুরু হবে কেনা কাটার মচ্ছব। যার দুই কেজি পিঁয়াজ দরকার সে কিনবে বিশ কেজি। যার এক কেজি চিনি দরকার সে কিনবে- দশ কেজি। এমন করে খাবার মজুদ করা শুরু হবে -
যেন সারা বছর না খেয়ে ছিলো। রোজার পরও আর কোনোদিন খাবার খাবোনা। দুনিয়ার সব খাবার এই ত্রিশ দিনেই খেয়ে শেষ করতে হবে। এই সুযোগে পবিত্র রমজানের ব্যানার টাঙ্গিয়ে দ্রব্য মূল্যের দাম বাড়িয়ে ব্যবসায়ীরাও অপবিত্র কাজ করা শুরু করে দিবে।

আমাদের মোড়ে মোড়ে এতো এতো মসজিদ, মাঠে মাঠে এতো ওয়াজ, গলিতে গলিতে এতো মাজার হওয়ার পরও পরিবর্তন হচ্ছে না কেন? ধর্মের দোষ দিচ্ছিনা, মসজিদেরও না, মাজারেরও না। শুধু আত্মসমালোচনা করছি।
(সংগৃহীত)

বুধবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২১

হারিয়ে যাওয়া ইবাদাত: ফজরের আগে ইস্তিগফার

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ হারিয়ে যাওয়া একটি ইবাদাত হলো ফজরের (আযানের) আগে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া (ইস্তিগফার করা)। এটি তাহাজ্জুদ ও তারাবীহ থেকে ভিন্ন ধরনের ইবাদাত। আর ইবাদাত তো এটাই যে, বান্দা বিভিন্নভাবে ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অনুসন্ধান করবে। আল্লাহ বলেন,

“আর আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি সুদৃষ্টি রাখেন। যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা ঈমান এনেছি, কাজেই আমাদের গোনাহ ক্ষমা করে দাও আর আমাদেরকে দোযখের আযাব থেকে রক্ষা কর। তারা ধৈর্যধারণকারী, সত্যবাদী, নির্দেশ সম্পাদনকারী, সৎপথে ব্যয়কারী এবং শেষরাতে ক্ষমা প্রার্থনাকারী। ” (সূরাহ আলে ইমরানঃ আয়াত ১৫-১৭)

আয়াতের শেষে আল্লাহ বলেন “এবং যারা রাতের শেষ ভাগে ইস্তিগফার করে।” ‘সাহার’ হলো রাতের শেষাংশ, ঠিক ফজরের আগের সময়। এজন্য সুহুরকে সুহুর বলা হয়, কারণ তা রাতের শেষে করা হয়। কিয়ামুল লাইল, কুরআন তিলাওয়াত এবং যিকির আযকারের পর আপনি হয়তো এখন পরিবারের সাথে সেহেরী করার জন্য প্রস্তুত। এর মধ্যেই এসব থেকে একটু সরে গিয়ে ফজরের ঠিক আগে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। এর ফযিলত এত বেশি যে, আপনার উপর এই আয়াত প্রযোজ্য হবে-“এবং যারা রাতের শেষ ভাগে ইস্তিগফার করে।”
.
রমাদান হলো আরো কিছু নতুন ইবাদাত শুরু করা ও নিজের উন্নতি ঘটানোর এক ঈমানী থেরাপি। ধীরে ধীরে এটা শুরু করুন। ফজরের তিন বা পাঁচ মিনিট আগে ইস্তিগফারের জন্য বসে পড়ুন। আবার এই কথা শুনেই অতি উৎসাহী হয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে এ কাজ করতে যাবেন না। কারণ এটা শয়তানের একটা চাল হতে পারে। কেউ হয়তো একটা ইবাদাতের ফযিলত শুনে উত্তেজিত হয়ে পড়লো, শয়তান তখন তাকে এই কাজে দীর্ঘক্ষণ লাগিয়ে রেখে ইবাদাতের প্রতি তার সব শক্তি আর আগ্রহ শেষ করে ফেলে। ফলে সে এক রাত ইবাদাত করার পরেই সেই ইবাদাত ছেড়ে দেয়। ইবাদাত করা হলো নতুন গাড়ি কেনার মতো। দোকানদার আপনাকে বলে দিবে আস্তে আস্তে ইঞ্জিনের জড়তা কাটাতে। শুরুতেই সত্তর মাইল বেগে চালাতে শুরু করলে হবে না। আস্তে আস্তে শুরু করতে হবে। এক দিনে অনেক ইবাদাত করে পরদিন থেকে তা ছেড়ে দেওয়ার চাইতে নিয়মিত অল্প অল্প ইবাদাত করাই উত্তম।
.
সেহরির সময় অনেকেই হয়তো খাবার টেবিলে বসে অর্থহীন কথাবার্তা বলছে, এমন আলোচনা করছে যাতে বরং পাপের ভাগীদার হতে হয়। আপনি এসব আলোচনা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে ইস্তিগফারে ব্যস্ত হয়ে যান। সত্তর থেকে একশ বার আস্তাগফিরুল্লাহ পড়ুন, যেভাবে রাসূল (ﷺ) পড়তেন। অথবা অন্য যে কোনোভাবে ইস্তিগফার করুন। আর এটাই হবে আপনার জীবনে এক নতুন ইবাদাতের সূচনা।
যেকোনো সময়েই ইস্তিগফার করা যায়। কিন্তু এই সময়টার ব্যাপারে আল্লাহ কুরআনে বিশেষভাবে উৎসাহিত করেছেন। এটা করে আপনি তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যেতে পারেন, যাদের প্রশংসা আল্লাহ কুরআনে করেছেন। এই আমলটি শুরু করুন, ইনশাআল্লাহ এর মাধ্যমে আল্লাহর ক্ষমা পেয়ে যাবেন।
.
আল্লাহ বলেছেন, “তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও; নিশ্চয় তিনি পরম ক্ষমাশীল। ”
(সূরাহ নূহ: আয়াত ১০)
.
যারা ক্ষমা চায়, আল্লাহ তাদের ক্ষমা করবেন। আপনার যদি আর্থিক সমস্যা থাকে, যদি নিঃসন্তান দম্পতি হয়ে থাকেন, ইস্তিগফার হলো এ সবকিছুর ঔষধ, কুরআনের স্পষ্ট আয়াত দ্বারা তা প্রমাণিত। আর এই ইস্তিগফারের উত্তম সময় হলো ফজরের আগে। আল্লাহ বলেন,
.
“আর বলেছি, ‘তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও; নিশ্চয় তিনি পরম ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের উপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, আর তোমাদেরকে ধন-সম্পদ ও সন্তান- সন্ততি দিয়ে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের জন্য বাগ-বাগিচা দেবেন আর দেবেন নদী-নালা।” (সূরাহ নূহ: আয়াত ১০-১২)
.
আপনি ক্ষমতা চান? সমাজে একটি ভালো পজিশনে যেতে চান বা চাকরিতে পদোন্নতি চান? ইউনিভার্সিটিতে এডমিশন নিতে গিয়ে বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন? আল্লাহর কসম! ইস্তিগফার করুন আর ফলাফল দেখুন।
.
বই:ধূলিমলিন উপহার: রামাদান।
শাইখ আহমাদ মুসা জিবরীল।

সোমবার, ১২ এপ্রিল, ২০২১

টিকটকে গুলির শব্দ, দুবাইয়ে বাংলাদেশি গ্রেফতার!

আরব আমিরাতের দুবাইয়ে একটি টিকটক ভিডিওতে বন্দুকের গুলির ভুয়া শব্দ ব্যবহার করায় এক প্রবাসী গ্রেফতার হয়েছেন।


মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক গণমাধ্যম গালফ নিউজ জানায়, গ্রেফতার হওয়া ওই প্রবাসী বাংলাদেশি হোটেল শ্রমিক।

রোববার (১১ এপ্রিল) তাকে প্রথমবার দুবাইয়ের আদালতে হাজির করা হয়। ৩৪ বছর বয়সী বাংলাদেশি এই শ্রমিকের বিরুদ্ধে পার্কিং এরিয়ায় টিকটক ভিডিও রেকর্ডিং এবং তাতে বন্দুকের গুলি এবং মানুষের চিৎকার যোগ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

ওই বাংলাদেশি শ্রমিক এই বছরের জানুয়ারিতে নিজের টিকটক একাউন্টে ওই ভিডিওটি আপলোড করেন। ভিডিওতে বন্দুকের গুলির শব্দে মানুষের চিৎকারের শব্দ যোগ করে অনলাইনে পোস্ট করেন তিনি। পরে ভাইরাল হয়ে পড়া ভিডিওটি শনাক্ত করে দুবাই পুলিশ।

সেই সঙ্গে ওই প্রবাসীকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করে দুবাই পুলিশ।

গালফ নিউজ জানায়, ওই প্রবাসীর টিকটক অ্যাকাউন্টও ব্লক করে দেওয়া হয়েছে।

দুবাই পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ওই শ্রমিক ভিডিওটি রেকর্ডিং ও পোস্ট করার কথা স্বীকার করেছে।

অভিযুক্ত বাংলাদেশি শ্রমিকের বিরুদ্ধে পরবর্তী শুনানি এই মাসের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে গালফ নিউজ।

সোমবার, ৫ এপ্রিল, ২০২১

জুতা পরিধানে ডান পা দিয়ে শুরু করা

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24
আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত; 

তিনি বলেন,  রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যখন জুতো পরবে, তখন সে যেন ডান পা দিয়ে শুরু করে এবং যখন জুতো কুলবে তখন যেন বাঁ পা থেকে আরম্ভ করে। 

আর জুতো পরলে দুটোই পরবে, খুলে রাখলে দুটোই কুলে রাখবে’

[বুখারী -১৮৫৫; মুসলিম- ২০৯৭]

শুক্রবার, ২ এপ্রিল, ২০২১

‘এ দেশে ইসলামের ইসলামের বিজয়-পতাকা উড়বেই’: হেফাজতে ইসলাম

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রঘোষিত দোয়া দিবসে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, মুসলিমপ্রধান এ দেশে পুলিশ গুলি করে নিরীহ মুসলমান হত্যা করবে, এটি বরদাশত করা যায় না। এ সময় হত্যাকাণ্ডে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা।

রোববার হেফাজতের ডাকা হরতাল পালনকালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে নিহত ও আহতদের জন্য সোমবার আয়োজিত দোয়া মাহফিলে বক্তারা এ কথা বলেন।
বাদ আসর চট্টগ্রাম নগরীর তালিমুল কুরআন মাদরাসা মিলনায়তনে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি মাওলানা হাফেজ তাজুল ইসলাম (পীরসাহেব ফিরোজ শাহ)।
দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা হাফেজ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এ দেশ মুসলিমপ্রধান দেশ। এ দেশের পুলিশ গুলি করে নিরীহ মুসলমান হত্যা করবে, এটি বরদাশত করা যায় না। খুনিদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’
এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘কওমি মাদরাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার মাধ্যমে সরকারের ইসলামবিদ্বেষী মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। কওমি মাদরাসা বন্ধ করার ষড়যন্ত্র এ দেশের ধর্মপ্রাণ তৌহিদী জনতা মেনে নেবে না।’
দোয়া মাহফিলে হেফাজতের ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, ‘দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ হরতালে নিরীহ আলেম-ওলামা, মাদরাসার ছাত্র ও তৌহিদী জনতার ওপর পুলিশ গুলি চালিয়েছে। শহীদদের রক্ত কখনো বৃথা যেতে পারে না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খুশি করার জন্য যারা দেশের নিরপরাধ প্রতিবাদী নাগরিকদের হত্যা করতে দ্বিধা করে না, তারা জালিম ও অত্যাচারী।’
তিনি আরো বলেন, ‘যারা ধর্ম ও মানবতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে না, তারা জনগণের কাছে সবসময় ঘৃণিত ও প্রত্যাখ্যাত।’
তিনি বলেন, ‘শহীদদের রক্তের বিনিময়ে এ দেশে একদিন ইসলামের বিজয়-পতাকা উড়বেই, ইনশাআল্লাহ।’

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী