বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার
আন্তর্জাতিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
আন্তর্জাতিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ১২ এপ্রিল, ২০২১

টিকটকে গুলির শব্দ, দুবাইয়ে বাংলাদেশি গ্রেফতার!

আরব আমিরাতের দুবাইয়ে একটি টিকটক ভিডিওতে বন্দুকের গুলির ভুয়া শব্দ ব্যবহার করায় এক প্রবাসী গ্রেফতার হয়েছেন।


মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক গণমাধ্যম গালফ নিউজ জানায়, গ্রেফতার হওয়া ওই প্রবাসী বাংলাদেশি হোটেল শ্রমিক।

রোববার (১১ এপ্রিল) তাকে প্রথমবার দুবাইয়ের আদালতে হাজির করা হয়। ৩৪ বছর বয়সী বাংলাদেশি এই শ্রমিকের বিরুদ্ধে পার্কিং এরিয়ায় টিকটক ভিডিও রেকর্ডিং এবং তাতে বন্দুকের গুলি এবং মানুষের চিৎকার যোগ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

ওই বাংলাদেশি শ্রমিক এই বছরের জানুয়ারিতে নিজের টিকটক একাউন্টে ওই ভিডিওটি আপলোড করেন। ভিডিওতে বন্দুকের গুলির শব্দে মানুষের চিৎকারের শব্দ যোগ করে অনলাইনে পোস্ট করেন তিনি। পরে ভাইরাল হয়ে পড়া ভিডিওটি শনাক্ত করে দুবাই পুলিশ।

সেই সঙ্গে ওই প্রবাসীকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করে দুবাই পুলিশ।

গালফ নিউজ জানায়, ওই প্রবাসীর টিকটক অ্যাকাউন্টও ব্লক করে দেওয়া হয়েছে।

দুবাই পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ওই শ্রমিক ভিডিওটি রেকর্ডিং ও পোস্ট করার কথা স্বীকার করেছে।

অভিযুক্ত বাংলাদেশি শ্রমিকের বিরুদ্ধে পরবর্তী শুনানি এই মাসের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে গালফ নিউজ।

বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২০

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ের মুকুট ছিনিয়ে নিলেন জো-বাইডেন

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ জো বাইডেন আমেরিকার ৪৬ তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। 

সেই সাথে বিদায় নিলেন বিশ্বের তুমুল আলোচনা সমালোচনার কেন্দ্রে থাকা সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তিনি ছিলেন বিশ্ব রাজনৈতিক নেতৃত্ব’র ইতিহাসে সমালোচনার শীর্ষে । 
রাজনীতিসহ  অন্যান্য সকল গুরুত্বপূর্ন অঙ্গনে তার অদ্ভুদ বিচরণ, কথা, আকষ্মিক দিকনির্দেশনা ও  আক্রমণমূলক সিদ্ধান্ত দেশ ও বিশ্ব দরবারেও করেছে প্রশ্নবিদ্ধ ও জনমনে সৃষ্টি হয় মিশ্রপ্রতিক্রিয়া।

ট্রাম্পের পরাজয়ের ফলে বিশ্বনেতৃত্বে ও আমেরিকার ইতহাসে ইতিবাচক ও নীতিবাচক তুমুল ঝড়ের যেন অন্ত নেই।
আমেরিকার নেতৃত্বের পরিবর্তন হতে যাচ্ছে তেমনি বিশ্ব নেতৃত্বেও। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চরম উৎকন্ঠা, উত্তেজনা অবশেষে বিজয়ের মুকুট পেলেন বিশ্ববরেণ্য প্রবীন রাজনৈতিক শীর্ষ নেতৃত্বর কেন্দ্রবিন্দু জো বাইডেন।
জো-বাইডেন হলেন ইতিহাসে দীর্ঘ ৫০ বছর অতিবাহিত করা একজন অতুলনীয় রাজনীতিবিদ ও বহুল আলোচিত ব্যাক্তিত্ব। সারা বিশ্ব আশাবাদী বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় আপনার ভূমিকাও যেন হয় অতুলনীয়। আমেরিকার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেন।

তিনি ডেমোক্রেটিক দল থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ায় বিশ্বের সকল প্রান্তের গন্যমান্য শীর্ষ নেতৃত্ববৃন্দের প্রাণঢালা উষ্ণ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনে সিক্ত ও বিশ্ব শান্তিতে অনন্য অবদান রাখবেন বলে সকলেই আশাবাদী। আবারও জানাই ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন নব নির্বাচিত বিশ্বের ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেন।

বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০২০

আবারও মার্কিন নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হলেন মুসলিম নারী "ইলহান ওমর"

 
আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ দ্বিতীয় মেয়াদে কংগ্রেস সদস্য হলেন মুসলিম নারী ইলহান ওমর।

হিজাব পরিহিত এই মুসলিম নারী কংগ্রেস সদস্য ইলহান ওমররিপাবলিকান প্রার্থী সোমালিয় বংশোদ্ভূত ৪১ বছরের ইলহান ওমর দ্বিতীয় মেয়াদে সহজেই মার্কিন কংগ্রেস সদস্য নির্বাচিত হয়েছে।

মঙ্গলবারের নির্বাচনে এই মুসলিম নারী সহজেই প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী কে পরাজিত করেছেন।

শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২০

এটা কি ধরনের বাকস্বাধীনতা?

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ ফ্রান্সের রাজধানীতে বহুতল দুটি ভবনে প্রকাশ্যে আঁকা হয়েছে নবী মুহাম্মদ ﷺ এর ব্যঙ্গচিত্র কার্টুন(!)এবং ব্যাপক পুলিশি পাহারায় তার সুরক্ষাও নিশ্চিত করেছে ওই দেশীয় প্রশাসন......।

ফ্রান্স বিবৃতি প্রকাশ করেছে, তারা ব্যঙ্গচিত্র কার্টুন প্রকাশনা করেই যাবে(?)...।
.
এটা কি ধরনের বাকস্বাধীনতা?
এটা কি উস্কানিমূলক, বেপরোয়া, আগ্রাসন, এবং উগ্রতা নয়?
.
আমাদের কি সময় আসেনি এসব কাফেরদের বর্জন করার, তাদের পণ্য ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করার, বিশ্বব্যাপী মুসলিম সংগঠনগুলোর প্রতি আহবান করব; আপনারা ফ্রান্সের ব্যাপারে শক্ত অবস্থান নিন।

আলেম-ওলামাসহ সকল ধর্মপ্রাণ মুসলিম ভাই বোনদের কে আহবান করব আপনারা অবশ্যই এসব বিষয়ে এগিয়ে আসবেন।

সংগৃহীত 

বুধবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৯

মাহাথির-আনোয়ারের ভবিষ্যৎ এবং কিছু চ্যালেন্জঃ



আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক জোট পাকতান হারপান সম্প্রতি দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের উদ্দেশ্যে একটি বার্তা দিয়েছে আর তা হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব দেশটির আরেক রাজনৈতিক নেতা আনোয়ার ইব্রাহীমের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তরের হিসেবে হিসেবে তাকে ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হোক।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ভিত্তিক থিংক ট্যাঙ্ক ‘Lowy Institute’ এর বরাত দিয়ে এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে।
‘Asia Institute in the University of Tasmania’ এর অধ্যাপক এবং ‘Lowy Institute’ এর গবেষক ড. জেমস চিন বলেন, ‘মাহাথির মোহাম্মদের উচিত দ্রুততার সাথে আনোয়ার ইব্রাহীমকে তার ডেপুটি হিসেবে নিয়োগ দেয়া এবং প্রশাসনের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিতে পরিণত করা যাতে করে আনোয়ার ক্ষমতা গ্রহণ করতে যাচ্ছে বিশ্ববাসী এমন বার্তা পেতে পারে।’
‘আনোয়ারকে ডেপুটি করার জন্য অতি সত্বর একটি ঐক্যমত্যে পৌঁছানো জরুরী এবং একই সাথে তাকে নিয়োগের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা কার প্রয়োজন।’
পাকতান হারপানের প্রকাশিত প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘একটি নতুন মালয়েশিয়া: নিকট ভবিষ্যতের চারটি প্রতিকূলতা।’
ড. জেমস চিন বলেন, উপরোল্লিখিত চারটির মধ্যে দুটি হচ্ছে আনোয়ার ইব্রাহীমের রাজনীতির ভবিষ্যতে ‘তার ক্ষমতা গ্রহণের রাজনৈতিক অপলাপ’ বাদ দেয়া এবং এর মাধ্যমে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়ন করা।
তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়ার মত একটি দেশে যেখানে সরকারের সমস্ত ক্ষমতা অতি উচ্চ পর্যায়ে কেন্দ্রীভূত এবং তা প্রধানমন্ত্রীর অফিস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় সেখানে এসব দূর করার জন্য আনোয়ার ইব্রাহীমের দক্ষতা যাচাই করা প্রয়োজন।’
কয়েক মাস পূর্বেও আনোয়ার ইব্রাহীম তার এবং ড. মাহাথিরের মধ্যকার ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়াকে একটি ধীর চলমান বিষয় বলে অভিহিত করেছিলেন এবং তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছিলেন যে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের জন্য তাকে অন্তত আরো দুবছর অপেক্ষা করতে হতে পারে। যদিও ড. মাহাথির বার বার বলে আসছিলেন যে, তিনি অতি সত্বর আনোয়ার ইব্রাহীমের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন কিন্তু তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো দিন তারিখ ঘোষণা করেন নি।
তবে পাকতান হারপানের কিছু নেতা মনে করেন প্রশাসন কে ঢেলে সাজানোর জন্য মাহাথির মোহাম্মদের পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা জরুরী।
এরই মধ্যে মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, আসন্ন রমজান মাসে দেশটির অর্থ মন্ত্রী মোহাম্মদ আজমিন আলী ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন। কিন্তু আজমিন আলী এ খবরের সত্যতা অস্বীকার করেছেন।
মালয়েশিয়ার বর্তমান ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন আনোয়ার ইব্রাহীমের স্ত্রী এবং পিকেআরের সাবেক প্রেসিডেন্ট ড. ওয়ান আজিজাহ ওয়ান ইসমাইলি।
ড. জেমস চিন অবশ্য মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে ইসলামের ভূমিকা এবং ইসলামকে রাজনীতিকরণের দৃশ্য পরিবর্তনের জন্য তার গবেষণায় প্রস্তাব এনেছেন।
‘Jeffrey Cheah Institute on South-east Asia’ এর সাবেক একজন গবেষক বলেন, ‘অনৈসলামিক বিশ্বাস সমূহের জন্য দাপ্তরিক ভাবে যদি মত প্রকাশের জন্য প্লাটফর্ম দেয়া যায় তবে এর মাধ্যমে আন্তঃধর্মীয় আলোচনায় তা অবধঅন রাখতে পারবে।’
ড. জেমস চিন বলেন, মালয়েশিয়ায় রাজনৈতিক ইসলামের আগমন এবং প্রশাসনের সর্বত ধর্মীয় করণ দেশটিতে হয়ত অ-সহিষ্ণু ইসলামের বিকাশ ঘটবে যা মুসলিম এবং অমুসলিমদের কে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিবে।
ড. জেমস চিন তার প্রতিবেদনে পাকতান হারপানের প্রশাসনের জন্য অন্য দুটি প্রতিকূলতার তুলে ধরেন। এর একটি হচ্ছে- ‘মালয় এজেন্ডা এবং ভূমিপুত্র নীতি’, আর অন্যটি হচ্ছে- ‘মালয়েশিয়ান চুক্তি আইন ১৯৬৩।’
তিনি বলেন, ‘দেশটির প্রশাসন যদি এসব প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে না পারে তবে তা শুধুমাত্র রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করে দিবে না বরং তা ২০১৮ সালের নির্বাচনে করা প্রশাসনের পূণর্গঠনের প্রতিশ্রুতিকে ভ-ুল করে দিবে।’ 

সৌজন্যেঃ মালয়মেইল ডট কম :

রবিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

সীমান্ত খুলে দিতে বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের আহ্বান !


আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ সম্প্রতি মিয়ানমারে ফের সহিংসতা শুরু হয়েছে। এর ফলে ওই দেশ থেকে যেসব মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে চাইছে তাদেরকে প্রবেশের অনুমতি দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। 
সংস্থাটি এক বিবৃতির মাধ্যমে শুক্রবার বাংলাদেশ সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানায়।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে রোহিঙ্গা নিধন অভিযান শুরু করলে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। 
সম্প্রতি বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন মিয়ানমারের রাখাইন ও চিন প্রদেশে নতুন করে সহিংসতা শুরু হলে গত কয়েক দিনে বান্দরবানের সীমান্ত অতিক্রম করে মিয়ানমারের প্রায় দেড়শ’ নাগরিক বাংলাদেশে এসেছে। নতুন করে আসা এসব মানুষ দেশটির বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বলে জানা গেছে।
ইউএনএইচসিআর বিবৃতির মাধ্যমে মিয়ানমারে সম্প্রতি শুরু হওয়া সহিংসতার কারণে দেশটিতে যে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে তার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করে। তারা এমন বিপর্যয় পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশ সরকারের সাহায্য গুরুত্বপূর্ণ বলেও জানায়।
জেনেভায় অবস্থিত সদর দফতরে সংস্থাটির মুখপাত্র আন্দ্রেজ মাহেসিস বলেন, ‘মিয়ানমারের ওসব রাজ্যে নতুন করে সহিংসতা শুরু ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সহিংসতার কারণে অনেক মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে যাচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘মিয়ানমারে শুরু হওয়া সহিংসতার কারণে দেশের ভেতরে অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছে কিংবা ভয়ে দেশ ছেড়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আশ্রয়ের জন্য যাচ্ছেন অনেকে। আর এ কারণে যে মানবিক বিপর্যয় শুরু হয়েছে তাতে আমরা উদ্বিগ্ন।’
সংস্থাটির মুখপাত্র আন্দ্রেজ মাহেসিস বাংলাদেশের উদ্দেশে বলেন, ‘মিয়ানমারে শুরু হওয়া সহিংসতার কারণে যেসব মানুষ আশ্রয়ের জন্য যাচ্ছে তাদেরকে প্রবেশের অনুমতি দিতে বাংলাদেশ সরকারকে সব রকমের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আমরা।’

মঙ্গলবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৯

সৌদিতে বন্যায় রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে !

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ ভারী বৃষ্টিপাতে সৌদি আরবে বন্যা লেগে গেছে। দেশটির রাজাধানী রিয়াদসহ বিভিন্ন অঞ্চল তুলিয়ে গেছে পানিতে। এছাড়া বেশ কতোগুলো স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

বন্যা কবলিতদের উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। সেইসঙ্গে আবহাওয়া খারাপ বলে সতর্কতাও জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
রোববার (২৭ জানুয়ারি) থেকে উপসাগরীয় এ দেশটিতে ভারী বৃষ্টিপাত এবং ধুলোঝড় শুরু হয়। আর এই পানি জমে রিয়াদের প্রধান প্রধান সড়ক তলিয়ে যায়। বিঘ্ন ঘটে মানুষের চলাফেরায়ও।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, রোববার এবং সোমবার (২৮ জানুয়ারি) সৌদির উত্তরাঞ্চলীয় এবং পশ্চিমাংশে প্রবল বর্ষণ হয়। তখন মরভূমির বালি উড়ে আকাশচুম্বী পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তাতে এক রকম অন্ধকার হয়ে পড়ে পুরো অঞ্চল।
মরভূমির দেশে আকস্মিক বন্যার কারণে তাবুক, আরার ও আল-জাওয়াফে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এসব শহরে বিদ্যুৎ বিভ্রাটও হচ্ছে মাঝে মাঝে।
দেশটির সিভিল ডেফেন্সের মুখপাত্র মুহাম্মদ মেজর আল হাম্মাদি জানিয়েছেন, রিয়াদ, মক্কা, উত্তর সীমান্ত অঞ্চল, হাইল, তাবুক, কাশিম, মদিন, পূ্র্ব প্রদেশ, আসির, জাজান এবং আল-জাওয়াফ বিরূপ আবহাওয়ার কবলে পড়েছে। এসব অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনী ঝুঁকি নিরসনের চেষ্টা করছে। বিভিন্ন উপত্যকা এবং বিপজ্জনক এলাকাগুলোতে তাদের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, তাবুকের বন্যা কবলিত এলাকা থেকে ইতোমধ্যেই ৬৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে দুবা থেকে ৩৭ জনকে উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে জেদ্দার কিং আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট বিলম্ব হতে পারে বলে যাত্রীদের নজর রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া ফ্লাইট বাতিলেরও আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৯।
#banglanews24.com

শুক্রবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৯

গুজরাটে মুসলিমদের ওপর গণহত্যা: দণ্ডিত ৪ জনকে জামিনে মুক্তি দিল ভারতের আদালত

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ ডেস্কঃ ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার অন্যতম বড় ঘটনা নারোদা পাটিয়ায় অভিযুক্ত চারজনের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। চার অভিযুক্ত উমেশভাই ভারওয়াদ, রাজকুমার, হরশাদ ও প্রকাশভাই রাঠোর সন্ত্রাস ও দাঙ্গার অভিযোগে হাইকোর্টে ১০ বছরের কারাদন্ডের দণ্ডিত হয়েছিল।
গত মঙ্গলবার তাদের জামিন দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা বলেন, হাইকোর্ট যেভাবে সাজা দিয়েছিল তাতে কিছু প্রশ্নের অবকাশ রয়েছে। “হাইকোর্টের সাজা বিতর্কিত” বলে উল্লেখ করে তারা সাজা পরিবর্তন করেন।
সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত বাবু বজরঙ্গিসহ অন্যান্য অভিযুক্তদের জামিনের আবেদনের শুনানি স্থগিত রাখা হয়েছে।
তদন্তকারীদের দাবি, গোধরা ট্রেন জ্বালিয়ে ৫৯জন হিন্দু যাত্রীকে খুন করার ঘটনার প্রতিবাদে আমেদাবাদের নিকটবর্তী নারোদা পাটিয়াতে ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে প্রায় ৯৭ জন মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ খুন হন।
গত বছর জুন মাসে গুজরাট হাইকোর্ট অভিযুক্তদের অপরাধ বিচার করে ১০ বছরের জেল হেফাজতের সাজা দিয়েছিল।
হাইকোর্ট বাবু বজরঙ্গি সহ ১৬জনের সাজা ঘোষণা করেছিল। বাকি ১৮ জনকে ঘটনায় জড়িত সন্দেহ করেছে। তাদের মধ্যে বিজেপি নেত্রী মায়া কোদনানির নাম উল্লেখযোগ্য।
“ঘটনায় যারা স্বজন হারিয়েছে তাদের দুঃখ কষ্ট কোর্ট অস্বীকার করছে না এবং একই সঙ্গে এই ঘটনায় যে সামাজিক প্রভাব আছে সেটাও আদালতের নজরে রয়েছে”, ২৫শে জুন জানিয়েছে আদালত।
রায় ঘোষণার সময় হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, “এই মামলার সাজায় যদি নমনীয় মনোভাব দেখানো হয় তাহলে সত্যের অপলাপ হয়। তাই এই ঘটনার কড়া শাস্তিই প্রয়োজন।”
কোর্ট আরও জানিয়েছিল, “এই ধরনের ঘটনায় দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি না হলে সমাজের স্বার্থ বিঘ্নিত হবে।”

বৃহস্পতিবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৯

মালয়েশিয়ার নতুন রাজা সুলতান আব্দুল্লাহ।


আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ আকস্মিক ঘোষণায় পঞ্চম সুলতান মোহাম্মদের পদত্যাগের পর মালয়েশিয়ার রাজপরিবার সুলতান আব্দুল্লাহ সুলতান আহমাদ শাহকে নতুন রাজা হিসেবে নির্বাচিত করেছে।
প্যাহাং রাজ্যের শাসক ৫৯ বছর বয়সী সুলতান আব্দুল্লাহ আগামী ৩১ জানুয়ারি পাঁচ বছরের জন্য সিংহাসনের আরোহণ করবেন।
বৃহস্পতিবার তার জিম্মদার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। গত সপ্তাহে পাহাংয়ের শাসক হিসেবে অসুস্থ বাবার স্থলাভিষিক্ত হন সুলতান আব্দুল্লাহ
এদিকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ প্রাতিষ্ঠানিক ও গণতান্ত্রিক সংস্কারে আরও জোর দেবেন বলেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
গত বছরের মে মাসে নির্বাচনে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিজয়ী হওয়ার পর দেশটির ক্ষমতায় নজিরবিহীন পরিবর্তন আসে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিবর্তন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবে রাজতন্ত্রের প্রতীকী গুরুত্ব। কারণ দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয়দের কাছে রাজতন্ত্র ব্যাপক গুরুত্ব বহন করে। এছাড়াও মালয়েশিয়ায় নৃতাত্ত্বিক চীনা, ভারতীয় আদিবাসীদের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য।
উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য কেলান্তানের শাসক হিসেবেই থেকে যাচ্ছেন রাজা পঞ্চম মোহাম্মদ। সিংহাসন ছাড়ার আগ পর্যন্ত দুই মাস তিনি চিকিৎসা ছুটিতে আছেন। পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পদত্যাগ করা কোনো প্রথম রাজা হলেন তিনি।
গত মে মাসে মালয় সরকারের ঐতিহাসিক পরিবর্তনের তত্ত্বাবধান করেন তিনি। মালয়েশিয়ার প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ আনোয়ার ইব্রাহীমকে ক্ষমা করে দিয়ে তাকে কারামুক্ত করেন পঞ্চম মোহাম্মদ।
১৯৫৭ সালের ব্যবস্থা অনুসারে রাজকীয় পরিবারের সদস্যরা পর্যায়ক্রমে সিংহাসনের আরোহন করেন। রাষ্ট্রপ্রধান ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান হিসেবে প্রতিটি সুলতান পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকেন।
#insaf24.com

শনিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১৯

উইঘুরের কান্না!দেখার কি কেউ নেই?

পুর্ব তুর্কিস্তান, বর্তমানে চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের নির্যাতিত উইঘুর জনগনের মুখপাত্র হয়ে কাজ করেন রাবিয়া কাদির। সম্প্রতি ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিমদের প্রতি একটি খোলা চিঠি লেখেন তিনি। মূল চিঠিটি ইংরেজিতে লেখা। বাংলা অনুবাদ করেছেন প্রিয় তৌফিক এলাহী ভাই..

রাবেয়া কাদের: বাঙালী ও ভারতীয় মুসলিমদের প্রতি খোলা চিঠি..

সম্মানিত বাঙালী ও ভারতীয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা:
গত ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর (২০১৮) আপনারা আমাদের প্রতি যে সমর্থন ও চীন সরকারের প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন তা আমাদের পূর্ব তুর্কিস্তানের ভেতরে ও বাইরের জনগণের অন্তরে আশার বীজ বপন করেছে। একজন উইঘুর কর্মী হিসেবে আমাদের কাছে এটা কোন আশ্চর্যের বিষয় নয় যে চীন ১০ লাখ উইঘুর মানুষকে আটকে রাখতে পারে। কারণ চীন সরকার জাতি হিসেবে আমাদের ধ্বংস করে দিতে ধীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে এবং আমাদের ভ’মি চিরতরে দখল নিয়ে নিতে চাচ্ছে। ১৯৪৯ সালে তারা আমাদের ভূমিতে অভিযান চালিয়েছিল এবং তখন থেকে তাদের দখল কার্যক্রম চালু রাখতে নানা ফন্দি ফিকির করে। আজকে তাদের ক্যাম্পগুলো তার জ্বলন্ত প্রমাণ। তারা প্রকাশ্যে আমাদের লোকদের ধ্বংস করার সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে জঘন্য ব্যাপার হল এই নির্মম নির্যাতনের দৃশ্য দেখেও বিশ্ববাসী নিরব ছিল। বিশেষ করে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের খবর প্রকাশিত হবার পর ইসলামী দেশগুলো থেকে কোন (প্রতিবাদ) শব্দ শোনা যায় নি অথচ তারা আমাদের ভাই।
এ বছরের শুরুতে আমি পশ্চিমা এবং ইসলামী দেশগুলোর নিকট যাদের সাথে চীনের ক’টনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে তাদের কাছে বিভিন্ন প্রতিবেদন জমা দিয়েছি এবং অনুরোধ করেছি। আমার অনুরোধ ছিল ক্যাম্পগুলো বন্ধ করা যেখানে নিয়ে নির্যাতন করে চীন সরকার। যদি সেটাও সম্ভব না হয় তবে ক’টনৈতিকভাবে অন্তত চীনকে বলা হয় নির্যাতন না করতে এবং নিন্দা জানানো হয়।
কিছুই হয় নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ব্যাপারটি গুরুত্বের সাথে নেয় কিন্তু যথাযথ পদক্ষেপ নেবার মত তা যথেষ্ট নয়। কিন্তু একটি মুসলিম দেশও টু শব্দ করে নি। বরং মুসলিম দেশগুলোর যেসব আমাদের সাথে কথা বলেছে তারা যেন বোবা, বধির। যেখানে পশ্চিমা দেশগুলো, তাদের সংস্থা-সংগঠন কথা বলছে সেখানে আমাদের মুসলিম দেশগুলো কেন কোন কথা বলে না? তারা কথা বলতে পারলে আমরা কেন চুপ মেরে থাকি।
যখন আমরা দেখি হাজার হাজার ভাইবোনেরা বাংলাদেশে এবং ভারতে আমাদের জন্য রাস্তায় নামেন তখন আমাদের আনন্দ ধরে না, আমরা অনুভব করি আমরা একা নই। আমরা দেখি অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্বের (শাসকদের) ভ’মিকা ও প্রতিবাদ যথেষ্ঠ না হলেও অন্তত মুসলিম ভাইবোনদের অন্তর থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঘৃনা মুছে যায় নি। আমরা দেখি সেসব ভাইবোনদের যারা গরিব হলেও চায়না থেকে অর্থনৈতিক লাভের হিসাব না করে শুধু অসীম ঈমানী প্রাচুর্যকে দুনিয়াবী টাকা পয়সা অস্ত্রশস্ত্রর উপর প্রাধান্য দিয়েছেন।
আমরা প্রমাণ দেখি যে আল্লাহ মাজলুমের পক্ষে আছেন, জালেমের পক্ষে নয়। আজকে এক মিলিয়নেরও বেশি (১০লাখেরও বেশি) সেসব ক্যাম্পে বন্দি আছেন। সমগ্র উইঘুর পরিবারগুলোকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা একে অপরকে দেখেন না দেড় বছর ধরে। জানেন না তাদের প্রিয়মুখগুলো কোথায় আছে? কমন আছে? আমাদের লোকেরা এরকম নির্যাতন সয়ে আসছে দীর্ঘ ৬৮ বছর ধরে, শুধু ঈমানের বলে বলিয়ান হয়ে। এখন চীন আমাদের ঈমানের উপর আঘাত করছে। তারা আমাদের উঘুর এবং কাজাখ মুসলিম পরিচয়কে চায়না নাস্তিকতায় বদলে দিতে চায়।
আমাদের উইঘুর জাতীয়তা আমাদের নির্বাচিত নয়। এটা আল্লাহর পক্ষ হতে নির্বাচন করে দেয়া। তাই চীনের পক্ষে কখনোই সম্ভব না এই পরিচয় বদলে দেয়া। আমরা বিশ্বাস করি পৃথিবীতে কিয়ামত পর্যন্ত আমরা এই উইঘুর পরিচয় নিয়ে বেঁচে থাকবো। আর এভাবে লড়াই চালিয়ে যাব।
আমাদের ভাইদের কাছে আমাদের এটাই চাওয়া আপনারা স্বৈরাচারের পক্ষ নিবেন না। আপনারা আওয়াজ তুলুন। আমাদের পাশে থাকুন। সে সমর্তন শুধু আমাদের জন্য অনুপ্রেরণাই হবে না বরং মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলেও প্রেরণার বাতি জ্বালবে। জানবে, আমাদের লক্ষ লক্ষ ভাইবোন চীনের ক্যাম্পেগুলোতে বন্দি। দেখবে, রাজনীতিবীদরা কী করে, আর মিডিয়া রাষ্ট্রের কাছে প্রশ্ন করবে।
অধিকিন্তু, সেই সমর্থন এশিয়ার দেশগুলোকে এসব ক্যাম্প সম্পর্কে জানাতে ভূমিকা রাখবে এবং কার্যকরভাবে দ্রুত পদক্ষেপের দিকে নিয়ে যাবে।
ভাইয়েরা, আল্লাহ আপনাদের মঙ্গল করুন! আল্লাহ আপনাদের সংগঠনগুলোর এবং নেতাদের সফল করুন!
ওয়ার্ল্ড উইঘুর কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট
রেবিয়া কাদির

মঙ্গলবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ঐক্যের ডাক হামাস প্রধানের

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃ ফিলিস্তিনের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রতিগুরুত্বারোপ করেছেন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রধান ইসমাইল হানিয়া। শনিবার গাজায় হামাসের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কীর সমাবেশে তিনি জানান, ফিলিস্তিনিদের অভ্যন্তরীন মতভেদ দূর করতে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সাথে যে কোন স্থানে বৈঠকে বসতে চান।

শনিবার গাজায় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর বিশাল ওই সমাবেশে অংশ নেয় কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি। হামাসের সশস্ত্র গ্রুপ ইজ্জেদিন আল কাসসাম গ্রুপের কর্মীরাও অংশ নেয় এতে।

হামাস প্রধান বলেন, ফিলিস্তিনিদের জাতীয় ঐক্য গড়তে ও ভেদাভেদ দূর করতে যে কোন পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত তার সংগঠন। এছাড়া প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের বিষয়েও হামাসের আগ্রহের কথা জানা তিনি। জেরুসালেম ইস্যুতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত স্থগিত করারও দাবি জানান হানিয়া।

গত মাসে হামাস ও মাহমুদ আব্বাসের ফাতাহ আন্দোলনের প্রতিনিধিরা মিসরের কায়রোয় একটি বৈঠক করেছ দূরত্ব ঘোঁচানোর লক্ষ্যে।
ইসরাইলি আগ্রাসন প্রতিরোধের লক্ষ্যে ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় হামাস। সংগঠনটির পৃথক রাজনৈতিক ও সশস্ত্র শাখা রয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে গাজা উপত্যকার শাসন ক্ষমতায় হামাস।
[আল জাজিরা ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৩:০৪ ]
{৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে বক্তৃতা করেন হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া - ছবি : আল জাজিরা}

বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৬

মিয়ানমারে মুসলিমদের উপর চলছে নির্মম নির্জাতন শুধু তাই নয় জালিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদের ঘর বাড়ি

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  মিয়ানমারে মুসলিমদের উপর চলছে নির্মম নির্জাতন শুধু তাই নয় জালিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদের ঘর বাড়ি। এখানে কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ দেয়া হলো  সংশ্লিষ্ট লিংকে ক্লিক করে ভিডিও গুলো দেখুন।

অভিযানের নামে আরাকানের মুসলিমদের উপর মিয়ানমারে সরকারি তিনটি বাহিনী নির্মম নৃশংসতার খবর পাওয়া যাচ্ছে।  
  ভিডিও দেখতে এই লিংকে ক্লিক করুন
গত ৫ দিনে সংঘর্ষে মারা গেছে ৩৯ জন। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ৪০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জীবন বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন রাখাইন রাজ্যের শত শত মুসলিম আরাকানি।  
  
গত সপ্তাহের রোববার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাটিতে পুলিশের ওপর হামলায় ঘটনার সূত্রপাত। 
  

এরপর থেকে শুরু হয় পুলিশ, সেনাবাহিনী ও মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ত্রিমুখী হামলা। বুধবারও মারা গেছে ১০ গ্রামবাসী। সরকারি বাহিনী জ্বালিয়ে দিয়েছে কমপক্ষে ২৫ টি বাড়ি। জারি করা হয়েছে রাত্রিকালিন কারফিউ।  
  ভিডিও টি দেখতে এই লিংকে ক্লিক করুন
কিছুদিন আগে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে একটি উদ্যোগ নিয়েছিলো মিয়ানমারের নতুন সরকার। কিন্তু নতুন করে শুরু হওয়া এই সহিংসতা ওই ‍উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।  
  
জাতিসংঘের ভাষায়, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষজন বিশ্বের সবচাইতে নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর একটি। যারা পৃথিবীর কোনো দেশের নাগরিক নয়।  
  
গত কয়েক শতাব্দী ধরে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের বাস। দেশটি রোহিঙ্গাদের তার নাগরিক মনে করে না। বরং মিয়ানমার মনে করে তাদের আদি আবাস বাংলাদেশ। এমনকি রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহারেও দেশটির সরকারের আপত্তি রয়েছে। 
  
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে বৌদ্ধদের হাতে নির্যাতনের শিকার বলে অভিযোগ রয়েছে। 
  
বিভিন্ন সময়ে সহিংসতার মুখে পালিয়ে সীমান্ত পার হয়ে তাদের অনেকেই বাংলাদেশেও প্রবেশ করেছে। 
বাংলাদেশে কক্সবাজার এলাকাতেই তাদের একটা বড় অংশ বাস করেন। এছাড়া চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়িতেও কিছু রোহিঙ্গা বসবাস করছেন। সরকারের রেজিস্টার্ড ক্যাম্পগুলোতে ৩৩ হাজারের মতো রোহিঙ্গা বাস করে। 
  
কিন্তু বলা হয় বাংলাদেশে তাদের মোট সংখ্যা পাঁচ লাখের মতো।

এখানে কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ দোয়া হলো  সংশ্লিষ্ট লিংকে ক্লিক করে দেখুন।



সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

মুসলিমদের রুখতে হিন্দুদের হাতে অস্ত্র তুলে নিতে হবে - বিশ্ব হিন্দু পরিষদ


ভারত ও বাংলাদেশে হিন্দুরা নির্যাতিত হচ্ছে উল্লেখ করে কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে অস্ত্র হাতে তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার কলকাতায় মহাজাতি সদনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন,‘দেশের বিভিন্ন স্থান এবং পড়শী রাষ্ট্র বাংলাদেশের হিন্দুরা প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই আর ভয় নয়, এবার দেখাতে হবে পরাক্রম বা সাহস। এই আক্রমণকে প্রতিহত করতে বাড়িতে বাড়িতে মজুত লাঠি, অস্ত্র তুলে পাল্টা আক্রমণে নামতে হবে। ভিটে থেকে ভয়ে উৎখাত হওয়ার সময় শেষ। এবার দরকার মারমুখি আক্রমণ।’
বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের হাতে হিন্দুদের নিগৃহীত হওয়ার বিষয়টি আর কোন ভাবেই সহ্য না করার ডাক দিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতারা বলেন,‘এপার-ওপার দুই বাংলার হিন্দুদের সমবেত হয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’
সাংবাদিক সম্মেলনে সভায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্য ও বক্তারা বলেন, ‘ভারতবর্ষে ক্রমাগতই বাড়ছে মুসলমানদের সংখ্যা। সংখ্যালঘু মুসলমানরা ধীরে ধীরে সংখ্যাগুরু হয়ে ওঠার পথে পা বাড়চ্ছে। আগামী বছর কুড়ির মধ্যে হয়তো হিন্দু জাতিসহ অন্যান্য জাতিকে মুসলমানদের ‘অত্যাচারে’ বাস্তচ্যুত হতে হবে। তবে এখনই যদি রুখে দাঁড়ায় হিন্দুরা, তাহলে সেক্ষেত্রে পরিস্থিতির বদল হলেও হতে পারে।’
বক্তার বলেন, পশ্চিমবঙ্গে মোট ২৭ শতাংশ মুসলমান বসবাস করে। এই মুসলমানরা যদি সংঘবদ্ধভাবে ভোট দিয়ে জামায়েতের নেতা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে রাজ্য সরকারের মন্ত্রী পদে আসীন করতে পারেন, তাহলে ৭১ শতাংশ হিন্দুরা কেন নিজেদের অধিকার প্রয়োগের সাহস দেখাতে পারবে না?’
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা সুরেন্দ্র জৈন দাবি, ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভোট ব্যাংকের রাজনীতি করছেন। আর সেই ঘৃণ্য রাজনীতির অঙ্গ হিসেবে তিনি মুসলিম তোষণের পন্থা নিয়েছেন।’
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রশ্ন, মুসলিম তোষণের উদ্দেশে মোয়াজ্জেম ভাতা বা উলেমা ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু দরিদ্র হিন্দু পুরোহিতদের জন্য কোন ভাতা বা আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থা করেন নি। এটা কেন?
হিন্দু পরিষদের ক্ষোভ, ‘বিজয়া দশমীর দিনেই কলকাতার সমস্ত সর্বজনিন দূর্গোৎসবের প্রতিমা বিসর্জন করতে হবে। এমন তুঘলকি ফতোয়া দেওয়ার কারণ কি মুসলমানদের তোষণ নয়? কারণ সামনেই আছে মহরম। আর সেই সময় মুসলমানদের তুষ্ট করার জন্যই এমন আদেশ দিয়েছেন মমতা।
সুরেন্দ্র জৈন মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, বহু মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় হিন্দু মন্দিরে প্রার্থনা, ভজন সবকিছু বন্ধ করা হয়েছে। শুধুমাত্র মুসলমানদের আজান ও নামাজের ক্ষেত্রে অসুবিধা সৃষ্টি যাতে না হয় সেই কারণে। মুসলমানদের তুষ্ট করতে গিয়ে স্বজাতি হিন্দুদের চোখেই খারাপ হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর দল এ রাজ্যে রাস্তায় দাড়িয়ে প্রকাশ্যে গরুর মাংস খেতে পারল। সহনশীল হিন্দুরা সেই ব্যাপারটাকে মেনেও নিলো। কিন্তু কোন বিশেষ ধর্ম-অধ্যুষিত এলাকায় দাড়িয়ে যদি শুকুরের মাংস খেতে বা খাওয়াতে পারেন তিনি, তো বোঝা যাবে তার ক্ষমতা!’
হিন্দুত্ববাদী বিশাখানন্দ শঙ্কারাচার্য বলেন, একের পর এক হিন্দু নির্যাতন চলছে দুই বাংলা জুড়ে। হিন্দুরা চিরকাল শক্তির উপাসক। শক্তিরুপিণী দেবী দূর্গা বা দেবী কালিকা কখনও খড়গহস্তা, কখনও বা ত্রিশূলধারিণী। তারা অন্যায় দমনের জন্য অস্ত্র তুলে নেন। আজ হিন্দুদের সামনেও সেই ক্রান্তিকাল উপস্থিত। তাই হিন্দুরা নিজেদের রক্ষার উদ্দেশ্যে হাতে তুলে নিক অস্ত্র। আঘাতের বদলে পাল্টা আঘাতই হবে মুখের মতো জবাব। 

http://goo.gl/YeZUii

বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৬

কাশ্মির আবার উত্তপ্ত : সঙ্কট নিরসনে উপায় কী?

‘ভূস্বর্গ’ নামে খ্যাত কাশ্মির উপত্যকা এখন জ্বলছে। বিগত মাসাধিককাল প্রতিদিন সেখানে ভারতীয় পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহত হচ্ছেন স্বাধীনতাকমী কাশ্মিরিরা। গত ৮ জুলাই ভারত-অধিকৃত কাশ্মিরের অনন্তনাগের কোকেরনাগ এলাকায় সেনা ও পুলিশের বিশেষ বাহিনীর হাতে স্বাধীনতাকামী সংগঠনের কমান্ডার বুরহান ওয়ানিসহ তিনজন নিহত হন। বুরহানের খবর ছড়িয়ে পড়লে কাশ্মিরজুড়ে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। বিক্ষুব্ধ জনতা ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভের মাত্রা বেড়ে গেলে কাশ্মিরের দশটি জেলা, এমনকি দূরবর্তী গ্রামেও কারফিউ জারি করা হয়। কারফিউ ভঙ্গ করে বিভিন্ন স্থানে জনতা রাজপথে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলে নিরাপত্তাবাহিনী ও পুলিশের গুলিতে অন্তত অর্ধশত নিহত ও বহু আহত হয়েছেন।
তরুণ বুরহান ওয়ানি জনপ্রিয় ছিলেন। তার বড় ভাই খালিদ ওয়ানিকেও ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী হত্যা করেছিল। এ দিকে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর ‘জুলুম-নিপীড়নের শিকার’ হওয়া মানুষের চিকিৎসা সহায়তা দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। আহতদের সহায়তার জন্য কাশ্মিরে প্রবেশের যাতে অনুমতি দেয়া হয়, সে ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে দেশটি। কাশ্মির প্রশ্নে দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাকযুদ্ধের দুই দিনের মাথায় এই প্রস্তাব দেয়া হলো।
কাশ্মিরের অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠক করেছেন। এর আগে মোদির ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মিত্র জম্মু ও কাশ্মিরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সাথে সাক্ষাৎ করে বলেছেন, ‘আশা করি, প্রধানমন্ত্রী জম্মু ও কাশ্মিরের সমস্যা নিরসনের জন্য সেখানকার লোকদের সংলাপ আয়োজনের সুযোগ গ্রহণ করবেন।’ মোদির বৈঠককে ‘স্বাধীনতাকামী’রা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা বলেন, সঙ্ঘাতে লিপ্ত পক্ষগুলোর সাথে আলোচনা ছাড়া বৈঠক ফলপ্রসূ হবে না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং কাশ্মিরের চলমান অচলাবস্থা নিরসনে পাকিস্তানের সাথে আলোচনায় বসতে অস্বীকার করেছেন। কিছু দিন আগে নওয়াজ শরিফ ‘কাশ্মির একদিন পাকিস্তানের সাথে যুক্ত হবে’ এমন আশা ব্যক্ত করলে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এটাকে ‘পাক প্রধানমন্ত্রীর কল্পনাবিলাস’ বলে মন্তব্য করেন।
স্বাধীনচেতা কাশ্মিরিরা বিভিন্ন সময় আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। ৯০ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত উপত্যকাটি এখন তিনভাগে বিভক্ত। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের জন্য দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে যে বাউন্ডারি লাইন টানার কথা ছিল, তা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হলে, কাশ্মির পাকিস্তানের মধ্যে যাওয়ার কথা।
১৯৪৭-এ ভারত বিভক্তির সময় কাশ্মির ছিল স্বাধীন রাজার শাসনাধীন একটি বৃহৎ দেশীয় রাজ্য। এর রাজা ছিলেন হিন্দু-মহারাজা হরি সিং। ব্রিটিশরা স্বাধীন রাজা শাসিত অঞ্চলগুলোর ব্যাপারে এই নীতি ঘোষণা করেনÑ ইচ্ছা করলে তারা ভারত বা পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্ত না হয়েও স্বাধীন সত্তা নিয়ে থাকতে পারেন। আবার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ইচ্ছানুসারে যেকোনো অংশে যুক্ত হতে পারবেন।
১৯৪৭-এ ভারত বিভক্তির সময় ক্রিপস মিশনের মূলনীতিগুলো উপেক্ষা করা হয়। এই ফর্মুলা অনুসরণ করা হলে বাংলা, পাঞ্জাব ও আসাম অবিভক্ত থাকত। দেশীয় রাজ্য হিসেবে কাশ্মিরও সরাসরি ব্রিটিশ রাজার অধীনে স্বায়ত্তশাসিত মর্যাদার একটি রাজ্য হিসেবে থাকার অধিকার পেত। মহারাজা হরি সিং নিজেও এমনটি চেয়েছিলেন। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল হিসেবে পাকিস্তানের সাথে যাওয়া না যাওয়ার প্রশ্নটি গণভোটের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হতে পারত। হরি সিং প্রথমে ভারতভুক্তির ছিলেন বিরোধী। এমন সময় কাশ্মিরে দাঙ্গা লাগিয়ে দেয়া হয়। হরি সিং ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। ১৯৪৭-এর ২২ সেপ্টেম্বর হুঞ্জা, নগর ও গিলগিটের জনগণ রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফিরে আসা এবং কাশ্মিরি সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত সৈনিকদের নেতৃত্বে বিদ্রোহ ঘোষণা করে পুঞ্চ ও মিরপুরের জনগণ। ১৫ সেপ্টেম্বর বিদ্রোহ করে মুজাফফরাবাদ। ২২ তারিখে উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ সংলগ্ন ডোমেল চেকপোস্ট দিয়ে প্রবেশ করল পার্বত্য উপজাতি যোদ্ধা আফ্রিদি ও মাহসুদরা। সাথে যোগ দিলো বিদ্রোহী গিলগিট স্কাউটস, হুঞ্জা, নগর ইয়াসিনের বিদ্রোহীরা এবং মিরপুর, মুজাফফরাবাদ ও পুঞ্চের বিদ্রোহী সেনাদল। ২৪ সেপ্টেম্বর অগ্রসরমান বাহিনী হাজির হলো বারামুল্লায়-শ্রীনগর থেকে মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে। তখন ভারতীয় সেনাদের সাহায্য চাইলেন রাজা হরি সিং। কিন্তু কাশ্মিরের ভারতভুক্তির আগে কোনো সেনা পাঠাতে রাজি হলো না ভারত সরকার। ২৫ তারিখ রাতের অন্ধকারে শহর খালি করে দিয়ে হিন্দু অধ্যুষিত জম্মুতে পালালেন রাজা হরি সিং। ২৬ সেপ্টেম্বর ভারতভুক্তির ঘোষণা নিয়ে দিল্লি গেলেন রাজার প্রধানমন্ত্রী এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের নেতা শেখ আব্দুল্লাহ। ২৭ সেপ্টেম্বর এই ঘোষণা গ্রহণের সাথে সাথে কাশ্মির ভারতের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়া হয়। ২৭ অক্টোবর রাজা জরুরি অবস্থা ঘোষণা এবং শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহকে মুখ্যমন্ত্রী নিযুক্ত করেন। এ দিনই রাজা হরি সিংয়ের আহ্বানে ভারত ‘শ্রীনগর শহরকে রক্ষার কথা বলে এক ব্যাটেলিয়ন শিখ সৈন্য প্রেরণ করে। তবে অভিযোগ আছে, এর অনেক আগেই পাঞ্জাবের পাতিয়ালা রাজ্য থেকে কাশ্মিরে ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রেরণ করা হয়েছিল। পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা ও গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ কাশ্মিরে ভারতভুক্তিকে অবৈধ এবং কাশ্মিরের ভারতীয় সৈন্য প্রেরণকে আগ্রাসন বলে আখ্যায়িত করেন। তিনিই প্রথম কাশ্মিরের অন্তর্ভুক্তির প্রশ্নে গণভোটের কথা বলেছিলেন। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান কাশ্মিরকে তার ‘অবিচ্ছেদ্য অংশ’ বলে দাবি করে ওই অঞ্চল দখলের জন্য সৈন্য পাঠায়। ফলে ভারতীয় বাহিনীর সাথে যুদ্ধ বেধে যায়। এ যুদ্ধে পাকিস্তান কাশ্মিরের এক-তৃতীয়াংশ নিজ নিয়ন্ত্রণে নেয়, যার নামকরণ করা হয় ‘আজাদ কাশ্মির’।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এ অঞ্চলটি নিয়ে চরম বিরোধ ও উত্তেজনা চলতেই থাকে দশকের পর দশক। কাশ্মিরকে নিয়ে দু’টি দেশের মধ্যে দু’টি বড় যুদ্ধও সংঘটিত হয়েছে। ছোটখাটো যুদ্ধ ও গুলিবিনিময় প্রায়ই ঘটে আসছে।
কাশ্মির ইস্যু মীমাংসার জন্য জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছিল। ভারতই কাশ্মির সমস্যাটি জাতিসঙ্ঘের কাছে উপস্থাপন করেছিল। এ প্রসঙ্গে বিশ্লেষকদের অভিমত হলোÑ ভারতের জাতিসঙ্ঘের শরণাপন্ন হওয়ার পেছনে একটা কূটরাজনীতি ছিল। জম্মু ও কাশ্মিরে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক, তা ভারত আসলে চায়নি। ভারত চেয়েছিল, জাতিসঙ্ঘের সহায়তায় কাশ্মিরি ‘স্বাধীনতাকামী’দের যুদ্ধবিরতিতে রাজি করানো। এ উদ্দেশ্য ভালোভাবে হাসিল হয়েছে।
জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ আলাপ-আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র, বেলজিয়াম, কলম্বিয়া, চেকোশ্লোভাকিয়া ও আর্জেন্টিনা সমন্বয়ে পাকিস্তান ও ভারতবিষয়ক একটি কমিশন গঠন করেছিল। ১৯৪৮ সালের ১৩ আগস্ট কমিশন শান্তি পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে। শর্ত ছিলÑ যুদ্ধবিরতি, উপজাতীয় পাঠানদের কাশ্মির উপত্যকা থেকে প্রত্যাহার এবং কমিশনের তত্ত্বাবধানে গণভোট। এ গণভোট ৬৮ বছরেও অনুষ্ঠান সম্ভব হয়নি ভারতের বিরোধিতার কারণে। প্রকৃতপক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগণকে স্বাধীনভাবে রায় প্রদানের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এ দিকে চালানো হচ্ছে অব্যাহত দমনপীড়ন।
সম্প্রতি বিবিসি জানায়, ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে কিছু হিন্দু পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য বিশেষ কলোনি স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ’৯০-এর দশকের গোড়া থেকেই নিরাপত্তাহীনতার কারণ দেখিয়ে পণ্ডিতসহ হিন্দু পরিবারগুলো উপত্যকা ছেড়ে জম্মু কিংবা ভারতের দিল্লি ও অন্যান্য এলাকায় চলে যায়। এখন তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য কলোনি তৈরির পরিকল্পনা নেয়া হলে মুসালিম নেতারা এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তাদের আশঙ্কা, ফিলিস্তিনিদের ভাগ্যে যা ঘটেছে অর্থাৎ ভূমিপুত্র ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে যেভাবে ইহুদি জনবসতি গড়ে তোলা হয়েছে, এ ক্ষেত্রেও তেমনটি ঘটতে পারে।
নিরাপত্তা পরিষদের শান্তি কমিশন যুদ্ধবিরতি রেখা টেনে কাশ্মিরকে দুই ভাগে বিভক্ত করে ফেলে। ৩৪ হাজার ২৪৪ বর্গমাইল এলাকা পড়ে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত অংশে এবং ৮৬ হাজার ২৪ বর্গমাইলের বাকি অংশ পড়ে ভারতের অংশে। জম্মুর সামান্য অংশ, মিরপুর, মুজাফফরাবাদ, গিলগিট ও কারগিল ‘আজাদ’ কাশ্মিরের অন্তর্গত। রাজধানী শ্রীনগর, জম্মু, পুঞ্চ-এর অংশবিশেষ নিয়ে বিশাল উপত্যকা ভারতের জম্মু ও কাশ্মির প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৯৬২ সালে ভারত ও চীনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ভারত চীনের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। যুদ্ধে ভারতের হারানো অংশবিশেষ চীন অধিকৃত (১৪৩৮০ বর্গমাইল) আকসাই চীন হিসেবে পরিচিত। এটি মূল কাশ্মির ভূখণ্ডের অংশ ছিল। এটা এখন চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল জিনজিয়াংয়ের অন্তর্ভুক্ত। ভারত আকসাই চীনের অস্তিত্ব স্বীকার করতে চায় না। এখানে ভারত-চীনের সীমান্তে উভয়ের সেনাবাহিনীর মধ্যে গুলিবিনিময় লেগেই থাকে। কিন্তু ১৯৬৩ ও ১৯৯৬ সালে দু’টি দেশ একটি চুক্তি এই মর্মে স্বাক্ষর করেছে, উভয় দেশ ১৯৬২-এর যুদ্ধের পরপর যে অংশ যে নিয়ন্ত্রণ করছে, সে সেটি সীমান্তরেখা হিসেবে মেনে চলবে। তবুও ভারত ও চীন কেউই তা মেনে চলতে আগ্রহী নয়। চীন মনে করে, অরুণাচল প্রদেশটি তার দেশের অংশ প্রাকৃতিকভাবেই।
কাশ্মির সঙ্কট এখন আর দ্বিপক্ষীয় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ নেই। যথাসময়ে যদি কাশ্মিরি জনগণকে গণভোটের সুযোগ দেয়া হতো, তাহলে অনেক আগেই ওই অঞ্চলের মানুষ খুঁজে পেত তাদের মর্যাদাকর অবস্থান। শান্তি ও স্থিতি প্রতিষ্ঠিত হতো জাতীয় জীবনে। এখন তিনটি দেশের স্বার্থ যুক্ত হওয়ায় এবং ছাড় না দেয়ার মানসিকতা প্রত্যেকে পোষণ করায় বলা খুব কঠিন, কাশ্মিরের ভবিষ্যৎ কী হবে। কিভাবে এ সঙ্কটের সুরাহা হবে, যুদ্ধে না আলোচনায়? 
সোলায়মান আহসান
উৎসঃ   nayadiganta

সোমবার, ৮ আগস্ট, ২০১৬

ভারতে ১০০ টাকার জন্য দুই ভাইকে পিটিয়ে মেরে ফেলল পুলিশ

১০০ রুপি ঘুষ চেয়েছিল পুলিশ। দিতে অস্বীকার করায় দুই ভাইকে বেধড়ক পিটিয়ে পুকুরে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠল। সাঁতার না জানায় দু’জনেরই পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়। তাদের পানিতে ডুবতে দেখেও এগিয়ে আসেনি পুলিশকর্মীরা। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে ভারতের উত্তরপ্রদেশের মৈনপুরীতে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই দিন রাতে দিলীপ যাদব (২২) ও পঙ্কজ যাদব (২৪) নামে দুই ভাই পাথরবোঝাই ট্র্যাক্টর নিয়ে ফিরছিলেন। পথ আটকায় পাঁচ পুলিশকর্মী। ১০০ রুপি দিতে বলে। কিন্তু ওই দুই ভাই সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেন। অভিযোগ, তখন তাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধড়ক পেটায় পুলিশকর্মীরা। তার পর টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে কাছেরই একটি পুকুরে ঠেলে ফেলে দেয়া হয়। পানিতে ডুবে মৃত্যু হয় দুই ভাইয়ের। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা স্থানীয় পুলিশ থানায় গিয়ে পুলিশকর্মীদের পাল্টা মারধর করেন। মার এবং পাল্টা মারে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় মৈনপুরীতে। পরিস্থিতি সামলাতে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে আসে।
জেলা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জানান, এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

বৃহস্পতিবার, ৪ আগস্ট, ২০১৬

উত্তাল কাশ্মীর ......

এক কাশ্মিরী যুবতীকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে নিরপত্তা বাহিনী
বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গত মাস জুড়ে সাম্প্রতিক বছরে সবচেয়ে বড় ভারত বিরোধী আন্দোলন , হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে এসেছে।
ভারত শাসনের অবসানের দাবিতে ধর্মঘট ঢাকায় টানা ২৬ দিন দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও স্কুল বন্ধ রয়েছে।
ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের জনপ্রিয় স্বাধীনতাকামী নেতা বুরহান ওয়ানির (২২) ভারতীয় সেনাদের অস্ত্রে মৃত্যুর পর থেকে কাশ্মীরিদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে । নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন অনেক স্বাধীনতাকামী। আহত শতাধিক।
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে মঙ্গলবার রাতে সরকারি বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে দুই বেসামরিক নাগরিক। রাতে নিহত হওয়া ব্যক্তি শ্রীনগরের একটি ব্যাংকের নিরাপত্তা প্রহরী ছিলেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাতে নিহত দুই ব্যক্তির একজনের জানাজার নামাজ পড়া শেষে কয়েক হাজার নামাজির ওপর কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে ভারতীয় বাহিনী।
সংগ্রহ ঃ- Shadhin Mahfoj Mohon

বুধবার, ৩ আগস্ট, ২০১৬

কাশ্মীরে ওআইসি’র তদন্তদল পাঠাতে পাকিস্তানের দাবি, তুরস্কের সমর্থন..


ইসলামাবাদ: কাশ্মীর উপত্যকায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় তদন্ত করতে ওআইসি’র একটি তদন্তদল পাঠানোর পাকিস্তানের দাবির প্রতি তুরস্কের সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু।
বুধবার পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে দেশটির পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সারতাজ আজিজের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সমর্থনের কথা ব্যক্ত করেন।
মেভলুত কাভুসোগলু বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীর বিষয়ে পাকিস্তানের অবস্থানকে তুরস্ক সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করে। এই ইস্যুতে পাকিস্তানের অবস্থানের প্রতি তুরস্কের সমর্থন সবসময় ছিল এবং এখনো সে সমর্থন রয়েছে।’
কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনে তদন্ত টিম পাঠাতে ইসলামাবাদের দাবিকে সমর্থন করে তিনি বলেন, ‘তুরস্ক আশা করে, আলোচনার মাধ্যমেই কাশ্মীর ইস্যুর সমাধান হবে এবং কাশ্মীরে বিভিন্ন গোষ্ঠীকে সংগঠিত করতে এবং একটি পর্যবেক্ষক টিম পাঠানোর জন্য আমি ওআইসি মহাসচিবকে অনুরোধ করছি।’
কাভুসোগলু বলেন, ‘তুরস্ক ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) একজন সক্রিয় সদস্য। আশা করছি, ওআইসি কাশ্মীরে বিভিন্ন গ্রুপগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করবে। আশা করছি আসছে সেপ্টেম্বরে ওআইসির পরবর্তী সভায় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে।’
ইতোমধ্যে কাশ্মীর ইস্যুটি পাকিস্তান জাতিসংঘে উত্থাপন করেছে এবং সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি তদন্ত করতে একটি তদন্ত টিম পাঠানোর দাবি জানিয়েছে।
গত ৮ জুলাই ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে হিজবুল কমান্ডার বুরহান ওয়ানি নিহত হওয়ার পর থেকে শুরু হওয়া প্রতিবাদ বিক্ষোভে সোমবার পর্যন্ত ৬০ জন কাশ্মীরি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দ্য পাকিস্তান টুডে।
পাকিস্তানের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র হচ্ছে তুরস্ক। সম্প্রতি তুরস্কে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর এক গুরুত্বপূর্ণ সফরে পাকিস্তান এলেন কাভুসোগলু। প্রথম দেশ হিসেবে তুরস্কের ওই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার সমালোচনা করায় ইসলামাবাদকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
তুরস্ক ইতোমধ্যে অভ্যুত্থান চেষ্টার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে তিনি জানান। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বিতর্কিত তুর্কি ফেতুল্লাহ গুলেনের সমর্থকরা এই অভ্যুত্থান চেষ্টার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করছে দেশটির সরকার। 
তিনি বলেন, ‘গুলেনের প্রতিষ্ঠিত সংগঠন প্রতিটি দেশের স্থিতিশীলতা বা নিরাপত্তার জন্য হুমকি। স্কুল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠা ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের মতো বিষয়ে বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক রয়েছে এই সন্ত্রাসী সংগঠনটির। অতীতে আমরা গুলেনকে সমর্থন করেছিলাম কিন্তু অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা মাধ্যমে তুরস্কের ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তাদের এমন গোপন এজেন্ডা ছিল তা, আমাদের জানা ছিল না।’
কাভুসোগলু বলেন, ‘পাকিস্তান এবং তুরস্ক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একে অপরকে সমর্থন করছে।’
বৈঠকে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের গতিশীল নেতৃত্বে তুরস্কে গণতন্ত্র, শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পাকিস্তানের দ্ব্যর্থহীন সমর্থনের অঙ্গীকার করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সারতাজ আজিজ।
অব্যাহত সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে বলে জানান সারতাজ আজিজ। এছাড়াও দুই পক্ষই আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে মত বিনিময় করেন এবং এ বিষয়ে একটি দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান প্রয়োজন বলে মত দেন।
দ্য ইকনোমিকস টাইমস অবলম্বনে ভাষান্তর মো. রাহল আমীন

সোমবার, ২৮ মার্চ, ২০১৬

“মুসলিমদের কলঙ্কিত করবেন না”

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার দেশের জনগণের প্রতি ব্রাসেলসে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনায় মুসলিমদের কলঙ্কিত না করার আহ্বান জানিয়েছেন। কেননা তিনি মনে করেন, মুসলিম সম্প্রদায়কে দোষারোপ করলে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইটি দুর্বল হয়ে পড়বে।
শনিবার সংবাদ মাধ্যমের উদ্দেশ্যে দেয়া প্রেসিডেন্টের সাপ্তাহিক ভাষণে ওবামা বলেছেন,‘ আমেরিকান মুসলিমরা হচ্ছে দেশের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার যারা, জিহাদিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে।’ আমেরিকান মুসলিমদের ওই অবদানকে অস্বীকার করে তাদের দোষারোপ করার যে কোনো উদ্যোগকে প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়ে ওবামা বলেছেন, ‘আমাদের দেশ ও জাতীয় জীবনে তাদের অনেক অবদান রয়েছে।’
মুসলিমদের ওপর দোষারোপের এই প্রবণতা মার্কিনীদের চরিত্র, মূল্যবোধ, ইতিহাস এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার ধারণাটির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলেও মনে করেন ওবামা। এই ধরনের প্রচেষ্টা সন্ত্রাসীদের হাতকেই শক্তিশালী করবে যারা দুটি সম্প্রদায়কে পরস্পরের বিরুদ্ধে বিষোধাগার ছড়াতে ব্যস্ত। তাই তিনি বিদ্বেষ ছড়ানো থেকে সকল মার্কিনীকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার ব্রাসেলস হামলায় ৩১ জন নিহত এবং আরো আড়াইশ’ জন আহত হয়েছে যাদের মধ্যে ১৪ মার্কিন নাগরিকও রয়েছে। প্রেসিডেন্ট ওবামা ওই ১৪ জনসহ হামলায় আহতদের দ্রুত সেরে ওঠার জন্যও প্রার্থণা করেছেন। Courtesy by The Global News 24.com

শনিবার, ১ আগস্ট, ২০১৫

সিসিকে হঠাতে মিশরে বামপন্থী-মুসলিম ব্রাদারহুড ঐক্য ফ্রন্ট

মিডিয়া ওয়াচ ডেস্কঃ মিশরের সামরিক স্বৈরশাসক আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে যৌথ 'বিপ্লবী ফ্রন্ট' গঠনে দেশটির বিপ্লবী সমাজতান্ত্রীদের এক আহবানে সাড়া দিয়েছে মুসলিম ব্রাদারহুড। সামনে রাবআ' দিবসের আগে এই উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে আহবান জানিয়েছে ব্রাদারহুড। ২০১৩ সালে রাবআ' স্কয়ার এবং আল নাহদা স্কয়ারে কয়েকশ ইসলামপন্থী এবং অন্যান্য বিপ্লবী সংগঠনের নেতাকর্মীকে হত্যা করে সদ্য ক্ষমতা দখল করা সিসির নেতৃত্বে সামরিক সরকার।
ব্রাদারহুড নেতা গামাল হেশমাত এক বিবৃতিতে বলেন, আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই এবং সামরিক ক্যুর বিরুদ্ধে বিপ্লবীদের সংগঠিত করি। তিনি আরো বলেন, আগামী ১৪ আগস্টের আগেই একটি বিপ্লবী ফ্রন্ট গঠনের আশা করছি। এতে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে মানুষের মধ্যে বিরাজ করা ক্ষোভের সুযোগ নেয়া যাবে এবং দ্রুত বিপ্লবীদের মধ্য রাজনৈতিক ভুল বোজাবুজির অবসান ঘটবে।
রাশদ নিউজ নেটওয়ার্কের সাথে এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে হেশমাত আরো বলেন, বামপন্থী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে ব্রাদারহুডের প্রতি এই ঐক্যের আহবান অন্য বিপ্লবীদের সাথে ব্রাদারহুডের একটা দীর্ঘ যোগাযোগ প্রক্রিয়ার ফলাফল।
তিনি বলেন, আমরা এখন জানুয়ারি বিপ্লবের সুফল পূনরুদ্ধার প্রচেষ্টায় ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। আমরা আশা করছি অন্য দলগুলোকে নিয়ে ঐক্যবব্ধ হওয়ার জন্য তাদের সাথে আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে। কারণ ২০১১ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময় যেভাবে ঐক্যবব্ধ হয়েছিলাম তা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই এখন।
বামপন্থী বিপ্লবী আন্দোলনের নেতারা "সন্ত্রাসের ব্যাপারে এবং জাতীয় ঐক্যের জন্য আরও একবার" শিরোনামে এক বিবৃতিতে অন্য বিপ্লবীদের সাথে ব্রাদারহুডকে নিয়ে ঐক্যের প্রস্তাব করেন।

বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০১৫

শেখ হাসিনা সরকারের উচিত কোণঠাসা অবস্থার ইতি ঘটানো : দ্য হিন্দু


ණ☛ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি পরিহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা সমাধানের একটি ভাল সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি সমঝোতায় প্রস্তুত আছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উচিত এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কোণঠাসা অবস্থার ইতি ঘটানো ও নির্বাচনকে সামনে রেখে আরও বন্ধুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করা। ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য হিন্দুর এক সম্পাদকীয়তে এ কথা বলা হয়েছে 

ණ☛ । ‘পজিটিভ টার্ন ইন বাংলাদেশ’ বা বাংলাদেশে ইতিবাচক দিক পরিবর্তন শীর্ষক ওই সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি বিএনপির দীর্ঘদিনের। কিন্তু তারা এ সরকার গঠনের দাবি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে বিস্তার লাভকারী অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, তা সমাধানের একটি ভাল সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এতে। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা দ্বিতীয় দফায় নির্বাচিত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। তখন থেকেই বাংলাদেশ রাজনৈতিক সংকটে। খালেদা জিয়া ও তার শরিক বিরোধী দলগুলোর দাবি ছিল নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। কিন্তু সে দাবি প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর তারা ওই নির্বাচন বর্জন করে। এর ফলে নির্বাচন পরিণত হয় একতরফা। 

ණ☛ এতে সরকারের গণতান্ত্রিক অর্জন নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়। তখন থেকেই রাজপথের লড়াই চালিয়ে যেতে থাকে বিএনপি ও তার মিত্র জামায়াতে ইসলামী। এর আগে কর্তৃত্ববাদী শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যুগের পর থেকে বাংলাদেশ প্রায়ই রাজনৈতিক অচলাবস্থার মুখে পড়েছে। এর কারণ, প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে পরস্পরকে ঘায়েল করার খেলা। নির্বাচন ও সংসদ অধিবেশন বর্জন, নিরবচ্ছিন্ন আন্দোলন-বিক্ষোভ খুব বেশি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। বিতর্কিত নির্বাচনের প্রায় ১৯ মাস পরে সংসদের বাইরে থাকা বিরোধী দল হয়তো বুঝতে পেরেছে, তারা দুর্বল হয়ে পড়ছে। তাই খালেদা জিয়া ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি সমঝোতার জন্য প্রস্তুত। 

ණ☛ দুই প্রধান দলের মধ্যকার বিদ্বেষ ও অবিশ্বাস নিয়ে বেশ ভুগতে হয়েছে বাংলাদেশকে। বিএনপি ও জামায়াত সহিংস কায়দায় প্রতিবাদের পথ বেছে নিয়েছে। সরকারও বেশ কঠোর হস্তে বিরোধী দলকে দমন করেছে। গত বছরের নির্বাচনের পর থেকেই রাজনৈতিক সহিংসতা ক্রমেই বাড়ছিল। অনেকেই শেখ হাসিনার অগণতান্ত্রিক ঝোঁকের সমালোচনা করেছেন। পরিস্থিতি এখনও ঘোলাটেই রয়ে গেছে। ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্রের বিরোধী শক্তিসমূহ নিজেদের স্বার্থ হাসিলের সুযোগ কাজে লাগাতে অপেক্ষা করছে। এটি গোপন কিছু নয় যে, রাজনৈতিক এ বিশৃঙ্খলা কাজে লাগাতে আক্রমণাত্মকভাবে চেষ্টা চালিয়ে আসছে ইসলামপন্থিরা। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংঘটনের দায়ে নিজেদের ২ নেতার ফাঁসির পর থেকে জামায়াত শেখ হাসিনা সরকারের জন্য বিশেষ মাথাব্যথার কারণ ছিল। সবচেয়ে বড় কথা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হলে, সামরিক বাহিনীর আরেকটি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অজুহাত বের করার সত্যিকারের বিপদও ছিল। 

ණ☛ পেছনের অবস্থার বিপরীত একটি বিষয় হলো, বিএনপি নিজের অবস্থান নরম করার ইঙ্গিত দিয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের উচিত এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কোণঠাসা অবস্থার ইতি ঘটানো ও নির্বাচনকে সামনে রেখে আরও বন্ধুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করা। বিএনপির উচিত জামায়াতের সঙ্গে জোটের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা ও দলটির অনুসৃত কৌশল বর্জন করা। শেখ মুজিবুর রহমান ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক নীতির ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশকে স্বাধীনতার দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন। সে নীতিতে আবার শক্তিশালীকরণই হওয়া উচিত সামনের পাথেয়। পার্লামেন্টে কার্যকর সরকার ও বিরোধী দলের অংশগ্রহণ গণতন্ত্রের একটি অপরিহার্য বিষয়, বিশেষ করে অপরিপক্ব গণতন্ত্রের জন্য তো বটেই।
নিউজ অর্গান টোয়েন্টিফোর.কম : 

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী