বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০১৫

দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে -মকবুল আহমাদ ভারপ্রাপ্ত আমীর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী


গত ৩০ জুলাই রাত পৌনে নয়টার দিকে ধানমন্ডি ঈদগাহ্ মসজিদের ইমামের রেস্টরুমে দুর্বৃত্তরা খাদেম দুলাল গাজীকে হত্যা করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর জনাব মকবুল আহমাদ আজ ৩১ জুলাই ’১৫ নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেনঃ-
“গত ৩০ জুলাই রাত পৌনে নয়টার দিকে ধানমন্ডি ঈদগাহ্ মসজিদের ইমামের রেস্টরুমে দুর্বৃত্তরা খাদেম দুলাল গাজীকে হত্যা করার নৃশংস ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই ঘটনার দ্বারা আবারো প্রমাণিত হলো দেশে কারো জানমালের কোন নিরাপত্তা নেই। পবিত্র মসজিদের ইমামের রেস্টরুমে খাদেমকে হত্যা করা হয়েছে। দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে সরকার চরমভাবে ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে। 
ধানমন্ডি ঈদগাহ্ মসজিদের খাদেম দুলাল গাজীকে হত্যা করার ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে এই ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৫

আমাদের সমাজে প্রচলিত ৮১টি রং নাম্বার

১) পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পূর্বে ডিম খাওয়া যাবে না। তাহলে পরীক্ষায় ডিম (গোল্লা) পাবে।
২) নতুন স্ত্রীকে দুলা ভাই কোলে করে ঘরে আনতে হবে।
৩) দোকানের প্রথম কাস্টমর ফেরত দিতে নাই।
৪) নতুন স্ত্রীকে নরম স্থানে বসতে দিলে মেজাজ নরম থাকবে।
৫) বিড়াল মারলে আড়াই কেজি লবণ দিতে হবে।
৬) ঔষধ খাওয়ার সময় ‘বিসমিল্লাহ বললে’ রোগ বেড়ে যাবে।
৭) জোড়া কলা খেলে জোড়া সন্তান জন্ম নিবে।
৮) রাতে নখ, চুল ইত্যাদি কাটতে নাই।
৯) চোখে কোন গোটা হলে ছোট বাচ্চাদের নুনু লাগাইলে সুস্থ হয়ে যাবে।
১০) ভাই-বোন মিলে মুরগী জবেহ করা যাবে না।
১১) ঘরের ময়লা পানি রাতে বাইরে ফেলা যাবে না।
১২) ঘর থেকে কোন উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর পেছন থেকে ডাক দিলে যাত্রা অশুভ হবে।
১৩) ব্যাঙ ডাকলে বৃষ্টি হবে।
১৪) কুরআন মাজীদ হাত থেকে পড়ে গেলে আড়াই কেজি চাল দিতে হবে।
১৫) ছোট বাচ্চাদের দাঁত পড়লে ইঁদুরের গর্তে দাঁত ফেলতে বলা হয়, দাঁত ফেলার সময় বলতে শিখানো হয়, “ইঁদুর ভাই, ইঁদুর ভাই, তোর চিকন দাঁত টা দে, আমার মোটা দাঁত টা নে।”
১৬) মুরগীর মাথা খেলে মা-বাবার মৃত্যু দেখবে না।
১৭) বলা হয়, কেউ ঘর থেকে বের হলে পিছন দিকে ফিরে তাকানো নিষেধ। তাতে নাকি যাত্রা ভঙ্গ হয় বা অশুভ হয়।
১৮) ঘরের ভিতরে প্রবেশ কৃত রোদে অর্ধেক শরীর রেখে বসা যাবে না। (অর্থাৎ শরীরের কিছু অংশ রৌদ্রে আর কিছু অংশ বাহিরে) তাহলে জ্বর হবে।
১৯) রাতে বাঁশ কাটা যাবে না।
২০) রাতে গাছের পাতা ছিঁড়া যাবে না।
২১) ঘর থেকে বের হয়ে বিধবা নারী চোখে পড়লে যাত্রা অশুভ হবে।
২২) ঘরের চৌকাঠে বসা যাবে না।
২৩) মহিলাদের মাসিক অবস্থায় সবুজ কাপড় পরিধান করতে হবে। তার হাতের কিছু খাওয়া যাবে না।
২৪) বিধবা নারীকে সাদা কাপড় পরিধান করতে হবে।
২৫) ভাঙ্গা আয়না দিয়ে চেহারা দেখা যাবে না। তাতে চেহারা নষ্ট হয়ে যাবে।
২৬) ডান হাতের তালু চুলকালে টাকা আসবে। আর বাম হাতের তালু চুলকালে বিপদ আসবে।
২৭) নতুন কাপড় পরিধান করার পূর্বে আগুনে ছেক দিয়ে পড়তে হবে।
২৮) নতুন কাপড় পরিধান করার পর পিছনে তাকাইতে নাই।
২৯) বৃষ্টির সময় রোদ দেখা দিলে বলা হয় শিয়ালের বিয়ে।
৩০) আশ্বিন মাসে নারী বিধবা হলে আর কোন দিন বিবাহ হবে না।
৩১) খানার পর যদি কেউ গা মোচড় দেয়, তবে বলা হয় খানা না কি কুকুরের পেটে চলে যায়।
৩২) রাতের বেলা কাউকে সুই-সূতা দিতে নাই।
৩৩) গেঞ্জি ও গামছা ছিঁড়ে গেলে সেলাই করতে নাই।
৩৪) খালি ঘরে সন্ধ্যার সময় বাতি দিতে হয়। না হলে ঘরে বিপদ আসে।
৩৫) গোছলের পর শরীরে তেল মাখার পূর্বে কোন কিছু খেতে নেই।
৩৬) মহিলার পেটে বাচ্চা থাকলে কিছু কাটা-কাটি বা জবেহ করা যাবে না।
৩৭) পাতিলের মধ্যে খানা থাকা অবস্থায় তা খেলে পেট বড় হয়ে যাবে।
৩৮) কোন ব্যক্তি বাড়ি হতে বাহির হলে যদি তার সামনে খালি কলস পড়ে যায় বা কেউ খালি কলস নিয়ে তার সামনে দিয়ে অতিক্রম করে তখন সে যাত্রা বন্ধ করে দেয়, বলে আমার যাত্রা আজ শুভ হবে না।
৩৯) ছোট বাচ্চাদের হাতে লোহা পরিধান করাতে হবে।
৪০) রুমাল, ছাতা, হাত ঘড়ি ইত্যাদি কাউকে ধার স্বরূপ দেয়া যাবে না।
৪১) হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলে ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে।
৪২) হাত থেকে প্লেট পড়ে গেলে মেহমান আসবে।
৪৩) নতুন স্ত্রী কোন ভাল কাজ করলে শুভ লক্ষণ।
৪৪) পাখি ডাকলে বলা হয় ইষ্টি কুটুম (আত্মীয়)আসবে।
৪৫) কাচা মরিচ হাতে দিতে নাই।
৪৬) তিন রাস্তার মোড়ে বসতে নাই।
৪৭) খানার সময় যদি কারো ঢেকুর আসে বা মাথার তালুতে উঠে যায়, তখন একজন আরেকজনকে বলে, দোস্ত তোকে যেন কেউ স্মরণ করছে বা বলা হয় তোকে গালি দিচ্ছে।
৪৮) কাক ডাকলে বিপদ আসবে।
৪৯) শুঁকুন ডাকলে মানুষ মারা যাবে।
৫০) পেঁচা ডাকলে বিপদ আসবে।
৫১) তিনজন একই সাথে চলা যাবে না।
৫২) দুজনে ঘরে বসে কোথাও কথা বলতে লাগলে হঠাৎ টিকটিকির আওয়াজ শুনা যায়, তখন একজন অন্যজনকে বলে উঠে “দোস্ত তোর কথা সত্য, কারণ দেখছস না, টিকটিকি ঠিক ঠিক বলেছে।”
৫৩) একজন অন্য জনের মাথায় টোকা খেলে দ্বিতীয় বার টোকা দিতে হবে, একবার টোকা খাওয়া যাবে না। নতুবা মাথায় ব্যথা হবে/শিং উঠবে।
৫৪) ভাত প্লেটে নেওয়ার সময় একবার নিতে নাই।
৫৫) নতুন জামাই বাজার না করা পর্যন্ত একই খানা খাওয়াতে হবে।
৫৬) নতুন স্ত্রীকে স্বামীর বাড়িতে প্রথম পর্যায়ে আড়াই দিন অবস্থান করতে হবে।
৫৭) পাতিলের মধ্যে খানা খেলে মেয়ে সন্তান জন্ম নিবে।
৫৮) পোড়া খানা খেলে সাতার শিখবে।
৫৯) পিপড়া বা জল পোকা খেলে সাতার শিখবে।
৬০) দাঁত উঠতে বিলম্ব হলে সাত ঘরের চাউল উঠিয়ে তা পাক করে কাককে খাওয়াতে হবে এবং নিজেকেও খেতে হবে।
৬১) সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই ঘর ঝাড়– দেয়ার পূর্বে কাউকে কোন কিছু দেয়া যাবে না।
৬২) রাতের বেলা কোন কিছু লেন-দেন করা যাবে না।
৬৩) সকাল বেলা দোকান খুলে যাত্রা (নগদ বিক্রি) না করে কাউকে বাকী দেয়া যাবে না। তাহলে সারা দিন বাকীই যাবে।
৬৪) দাঁড়ী-পাল্লা, মাপার জিনিস পায়ে লাগলে বা হাত থেকে নিচে পড়ে গেলে সালাম করতে হবে, না হলে লক্ষ্মী চলে যাবে।
৬৫) শুকরের নাম মুখে নিলে ৪০দিন মুখ নাপাক থাকে।
৬৬) রাতের বেলা কাউকে চুন ধার দিলে চুন না বলে ধই বলতে হয়।
৬৭) বাড়ি থেকে বের হলে রাস্তায় যদি হোঁচট খেয়ে পড়ে যায় তাহলে যাত্রা অশুভ হবে।
৬৮) কোন ফসলের জমিতে বা ফল গাছে যাতে নযর না লাগে সে জন্য মাটির পাতিল সাদা-কালো রং করে ঝুলিয়ে রাখতে হবে।
৬৯) বিনা ওযুতে বড় পীর (!!) আবদুল কাদের জিলানীর নাম নিলে আড়াইটা পশম পড়ে যাবে।
৭০) নখ চুল কেটে মাটিতে দাফন করতে হবে, কেননা বলা হয় কিয়ামতের দিন এগুলো খুঁজে বের করতে হবে।
৭২) মহিলাগণ হাতে বালা বা চুড়ি না পড়লে স্বামীর অমঙ্গল হবে।
৭৩) স্ত্রীগণ তাদের নাকে নাক ফুল না রাখলে স্বামীর বেঁচে না থাকার প্রমাণ।
৭৪) দা, কাচি বা ছুরি ডিঙ্গিয়ে গেলে হাত-পা কেটে যাবে।
৭৫) গলায় কাটা বিঁধলে বিড়ালের পা ধরে মাপ চাইতে হবে।
৭৬) বেচা কেনার সময় জোড় সংখ্যা রাখা যাবে না। যেমন, এক লক্ষ টাকা হলে তদস্থলে এক লক্ষ এক টাকা দিতে হবে। যেমন, দেন মোহর (কাবীন) এর সময় করে থাকে, একলক্ষ এক টাকা ধার্য করা হয়।
৭৭) বন্ধু মহলে কয়েকজন বসে গল্প-গুজব করছে, তখন তাদের মধ্যে অনুপস্থিত কাউকে নিয়ে কথা চলছে, এমতাবস্থায় সে উপস্থিত হলে, কেউ কেউ বলে উঠে “দোস্ত তোর হায়াত আছে।” কারণ একটু আগেই তোর কথা বলছিলাম।
৭৮) হঠাৎ বাম চোখ কাঁপলে দুখ: আসে।
৭৯) বাড়ী থেকে কোথাও জাওয়ার উদ্দেশে বেড় হলে সে সময় বাড়ির কেউ পেছন থেকে ডাকলে অমঙল হয়।
৮০) স্বামীর নাম বলা জাবে না এতে অমঙল হয়।
৮১) বাছুর এর গলায় জুতার টুকরা ঝুলালে কারো কু দৃষ্টি থেকে বাচা যায়।

ঘূর্নিঝড় সতর্ক সংকেত: ১ থেকে ১১ নম্বর সংকেত সমুহের কার্যকারীতা জেনে নিন।

★১ নং দূরবর্তী সতর্ক সংকেতঃ
জাহাজ ছেড়ে যাওয়ার পর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সম্মুখীন হতে পারে। দূরবর্তী এলাকায় একটি ঝড়ো হাওয়ার অঞ্চল রয়েছে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬১ কিলোমিটার (কি.মি.)। ফলে সামুদ্রিক ঝড়ের সৃষ্টি হবে।
★২ নং দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেতঃ
দূরে গভীর সাগরে একটি ঝড় সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কি.মি.। বন্দর এখনই ঝড়ে কবলিত হবে না, তবে বন্দর ত্যাগকারী জাহাজ পথে বিপদে পড়তে পারে।

★৩ নং স্থানীয় সতর্ক সংকেতঃ
বন্দর ও বন্দরে নোঙর করা জাহাজগুলোর দুর্যোগ কবলিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বন্দরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে এবং ঘূর্ণি বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০-৫০ কি.মি. হতে পারে।

★৪ নং স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেতঃ
বন্দর ঘূর্ণিঝড় কবলিত। বাতাসের সম্ভাব্য গতিবেগ ঘণ্টায় ৫১-৬১ কি.মি.। তবে ঘূর্ণিঝড়ের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয়ার মতো তেমন বিপজ্জনক সময় এখনও আসেনি।

★৫ নং বিপদ সংকেতঃ
বন্দর ছোট বা মাঝারি তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কি.মি.। ঝড়টি বন্দরকে বাম দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

★৬ নং বিপদ সংকেত:
বন্দর ছোট বা মাঝারি তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কি.মি.। ঝড়টি বন্দরকে ডান দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

★৭ নং বিপদ সংকেতঃ
বন্দর ছোট বা মাঝারি তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কি.মি.। ঝড়টি বন্দরের উপর বা এর নিকট দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

★৮ নং মহাবিপদ সংকেতঃ
বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতর ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে পারে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কি.মি. বা এর বেশী হতে পারে। প্রচণ্ড ঝড়টি বন্দরকে বাম দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করবে।

★৯ নং মহাবিপদ সংকেতঃ
বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কি.মি. বা এর বেশী হতে পারে। প্রচণ্ড ঝড়টি বন্দরকে ডান দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করবে।

★১০ নং মহাবিপদ সংকেতঃ
বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কি.মি. বা এর বেশী হতে পারে। প্রচণ্ড ঝড়টি বন্দরের উপর বা নিকট দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে।

★১১ নং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সংকেত
আবহাওয়ার বিপদ সংকেত প্রদানকারী কেন্দ্রের সাথে সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং স্থানীয় কর্মকর্তা আবহাওয়া অত্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ বলে মনে করেন।

বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০১৫

ডায়বেটিস রোগীদের জন্যে সুখবর!!

জিবিনিউজ২৪ ডেস্ক ::
ঘটনাটি একজন ডায়বেটিস আক্রান্ত ৬৫ বছর বয়সী নারীর যিনি বিগত ২০ বছর ধরে ডায়বেটিসের কারণে দুই বেলা ইনসুলিন গ্রহন করতেন।তিনি কিছুদিন ঘরে থাকা সরঞ্জাম দিয়ে তৈরি এমন একটি ওষুধ সেবন করেছেন যার দরুন আজ তিনি সম্পূর্ণ ডায়বেটিস মুক্ত এবং তিনি প্রতিনিয়ত তার প্রিয় মিষ্টির তৈরি খাবার খাচ্ছেন । অবাক হয়েছেন কি? অবাক হবার মতই একটি ঘটনা। জেনে আরও অবাক হবেন যে এখন চিকিৎসকেরাও তাকে ইনসুলিন এবং ব্লাডসুগার নিয়ন্ত্রণের ওষুধ নিতে মানা করেছেন। দীর্ঘদিনের গবেষণার পরে মুম্বাই এর গবেষকেরা অবশেষে এমন একটি ওষুধ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে যা স্বল্প খরচে ও স্বল্প সময়ে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে সক্ষম। মুম্বাই কিডনি হাসপাতালের ডাক্তার টনি আলমেদিয়া সামাজিক মাধ্যমে সবাইকে অনুরোধ করেছেন এ বিষয়টি সম্পর্কে সবাইকে অবগত করে দিতে এবং অন্যকে সুস্থ ভাবে বেচে থাকার সুযোগ করে দিতে। 
এ ওষুধ তৈরিতে যা প্রয়োজনঃ গম-১০০ গ্রাম এডিবল গাম বা ঘানিগাছের আটা (ভারতীয় মসলা) 
-১০০ গ্রাম যবের গুঁড়াঃ ১১ গ্রাম কালুঞ্জি বা কালো জিরেঃ ১০০ গ্রাম প্রণালীঃ 
৫ কাপ পানির মধ্যে সবগুলো উপাদান মিশিয়ে নিন এবং ১০ মিনিট পর্যন্ত সিদ্ধ করুন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে ছেঁকে নিন এবং বোতল অথবা কোন পাত্রে সংরক্ষণ করুন। ব্যবহার বিধিঃ এই মিশ্রণটি ৭ দিন সকালে খালি পেটে ছোট এক কাপ আন্দাজে খান। পরবর্তী সপ্তাহে একই ভাবে বিকেল বেলায় মিশ্রণটি সেবন করুন। এই দুই সপ্তাহ একটু নিয়ম করে মিশ্রণটি সেবন করলেই আপনি নিজের পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন। আজই নিজ বাড়িতে এই মিশ্রণটি তৈরি করুন এবং ডায়বেটিসকে আপনার জীবন থেকে একেবারে দূর করে দিন।

শেখ হাসিনা সরকারের উচিত কোণঠাসা অবস্থার ইতি ঘটানো : দ্য হিন্দু


ණ☛ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি পরিহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা সমাধানের একটি ভাল সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি সমঝোতায় প্রস্তুত আছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উচিত এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কোণঠাসা অবস্থার ইতি ঘটানো ও নির্বাচনকে সামনে রেখে আরও বন্ধুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করা। ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য হিন্দুর এক সম্পাদকীয়তে এ কথা বলা হয়েছে 

ණ☛ । ‘পজিটিভ টার্ন ইন বাংলাদেশ’ বা বাংলাদেশে ইতিবাচক দিক পরিবর্তন শীর্ষক ওই সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি বিএনপির দীর্ঘদিনের। কিন্তু তারা এ সরকার গঠনের দাবি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে বিস্তার লাভকারী অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, তা সমাধানের একটি ভাল সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এতে। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা দ্বিতীয় দফায় নির্বাচিত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। তখন থেকেই বাংলাদেশ রাজনৈতিক সংকটে। খালেদা জিয়া ও তার শরিক বিরোধী দলগুলোর দাবি ছিল নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। কিন্তু সে দাবি প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর তারা ওই নির্বাচন বর্জন করে। এর ফলে নির্বাচন পরিণত হয় একতরফা। 

ණ☛ এতে সরকারের গণতান্ত্রিক অর্জন নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়। তখন থেকেই রাজপথের লড়াই চালিয়ে যেতে থাকে বিএনপি ও তার মিত্র জামায়াতে ইসলামী। এর আগে কর্তৃত্ববাদী শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যুগের পর থেকে বাংলাদেশ প্রায়ই রাজনৈতিক অচলাবস্থার মুখে পড়েছে। এর কারণ, প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে পরস্পরকে ঘায়েল করার খেলা। নির্বাচন ও সংসদ অধিবেশন বর্জন, নিরবচ্ছিন্ন আন্দোলন-বিক্ষোভ খুব বেশি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। বিতর্কিত নির্বাচনের প্রায় ১৯ মাস পরে সংসদের বাইরে থাকা বিরোধী দল হয়তো বুঝতে পেরেছে, তারা দুর্বল হয়ে পড়ছে। তাই খালেদা জিয়া ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি সমঝোতার জন্য প্রস্তুত। 

ණ☛ দুই প্রধান দলের মধ্যকার বিদ্বেষ ও অবিশ্বাস নিয়ে বেশ ভুগতে হয়েছে বাংলাদেশকে। বিএনপি ও জামায়াত সহিংস কায়দায় প্রতিবাদের পথ বেছে নিয়েছে। সরকারও বেশ কঠোর হস্তে বিরোধী দলকে দমন করেছে। গত বছরের নির্বাচনের পর থেকেই রাজনৈতিক সহিংসতা ক্রমেই বাড়ছিল। অনেকেই শেখ হাসিনার অগণতান্ত্রিক ঝোঁকের সমালোচনা করেছেন। পরিস্থিতি এখনও ঘোলাটেই রয়ে গেছে। ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্রের বিরোধী শক্তিসমূহ নিজেদের স্বার্থ হাসিলের সুযোগ কাজে লাগাতে অপেক্ষা করছে। এটি গোপন কিছু নয় যে, রাজনৈতিক এ বিশৃঙ্খলা কাজে লাগাতে আক্রমণাত্মকভাবে চেষ্টা চালিয়ে আসছে ইসলামপন্থিরা। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংঘটনের দায়ে নিজেদের ২ নেতার ফাঁসির পর থেকে জামায়াত শেখ হাসিনা সরকারের জন্য বিশেষ মাথাব্যথার কারণ ছিল। সবচেয়ে বড় কথা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হলে, সামরিক বাহিনীর আরেকটি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অজুহাত বের করার সত্যিকারের বিপদও ছিল। 

ණ☛ পেছনের অবস্থার বিপরীত একটি বিষয় হলো, বিএনপি নিজের অবস্থান নরম করার ইঙ্গিত দিয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের উচিত এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কোণঠাসা অবস্থার ইতি ঘটানো ও নির্বাচনকে সামনে রেখে আরও বন্ধুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করা। বিএনপির উচিত জামায়াতের সঙ্গে জোটের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা ও দলটির অনুসৃত কৌশল বর্জন করা। শেখ মুজিবুর রহমান ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক নীতির ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশকে স্বাধীনতার দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন। সে নীতিতে আবার শক্তিশালীকরণই হওয়া উচিত সামনের পাথেয়। পার্লামেন্টে কার্যকর সরকার ও বিরোধী দলের অংশগ্রহণ গণতন্ত্রের একটি অপরিহার্য বিষয়, বিশেষ করে অপরিপক্ব গণতন্ত্রের জন্য তো বটেই।
নিউজ অর্গান টোয়েন্টিফোর.কম : 

বিএনপি নেতার মৃত্যুদণ্ডে জামায়াতে ইসলামীর বিবৃতি:-সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড জাতীয় নেতাদের নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্রের অংশ: জামায়াত


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্ক: ২৯ জুলাই ২০১৫; সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড জাতীয় নেতাদের নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্রের অংশ জামায়াত। সরকার বিরোধী দলীয় দেশপ্রেমিক জাতীয় নেতৃবৃন্দকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করছে।

সরকার দেশপ্রেমিক জাতীয় নেতৃবৃন্দকে নিশ্চিহ্ন করার কৌশল হিসেবে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকেও মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে জামায়াতে ইসলামী।
বুধবার এক বিবৃতিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান এ অভিযোগ করেন। বিবৃতিতে ‘সরকার বিরোধীদলীয় দেশপ্রেমিক জাতীয় নেতৃবৃন্দকে নিশ্চিহ্ন করার যে ষড়যন্ত্র করছে তা বন্ধ করার’ আহ্বান জানান তিনি। ডা. শফিকুর বলেন, ‘সরকার বিরোধীদলীয় দেশপ্রেমিক জাতীয় নেতৃবৃন্দকে নিশ্চিহ্ন করার কৌশল হিসেবে জামায়াতের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের মত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকেও মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘এতে দেশবাসীর মত আমরাও উদ্বিগ্ন। জাতীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যার এ ষড়যন্ত্র বন্ধ করা না হলে দেশ ও জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ সরকার জাতীয় নেতৃবৃন্দকে নিশ্চিহ্ন করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার যে স্বপ্ন দেখছে জনগণ তা কখনো বাস্তবায়ন হতে দেবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন জামায়াতে ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি।

পিএমখালী ইউনিয়নের পাতলী এলাকায় বন্যা দূর্গত প্রায় সাতশত জনকে শুকনা খাবার বিতরণ করেছে জামায়াতে ইসলামী

পিএমখালী ইউনিয়নের পাতলী এলাকায় বন্যা দূর্গত প্রায় সাতশত জনকে শুকনা খাবার বিতরণ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কক্্সবাজার জেলা আমীর মুহাম্মদ শাহজাহান। ত্রাণ বিতরণকালে তিনি বলেছেন, বিগত বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারো বন্যার কারণে প্রান্তিক মানুষের সীমাহীন দূর্ভোগ ছড়িয়ে পড়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ সহায়তা ও উদ্ধার তৎপরতার অভাবে পানিবন্দি মানুষগুলো ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছে। খাবার ও বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাবে পানিবাহিত রোগ সংক্রমনের আশংকা রয়েছে। এহেন অবস্থায় আমরা সমাজের বিত্তবান সকলের কাছে পানিবন্দি মানুষের প্রয়োজনে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করার আহবান জানাচ্ছি। পাশাপাশি বন্যায় ক্ষতি-ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তড়িৎ পদক্ষেপ কামনা করছি। ত্রাণ বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম রহিমুল্লাহ, সদর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, শ্রমিকনেতা আনু মেম্বার ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তাক আহমদ প্রমূখ।

জনগণ জামায়াতকে ক্ষমতায় দেখতে চায়: সেলিম উদ্দিন


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্ক: ২৯ জুলাই ২০১৫; জনগণ জামায়াতে ইসলামীকে ক্ষমতায় দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মো: সেলিম উদ্দিন।
বুধবার সকালে রাজধানীর ভাটারায় জামায়াতের এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সেলিম উদ্দিন বলেন, বিগত দিনের উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ ও সিটি নির্বাচনে জামায়াতের অভাবনীয় সাফল্যই প্রমাণ করে যে এদেশের মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার পাওয়ার জন্য জামায়াতে ইসলামীকেই ক্ষমতায় দেখতে চায়।
তিনি বলেন, বিগত উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীদের চেয়ে সামান্য কিছু ভোট বেশি পেয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা সর্বমোট ভোট পেয়েছে ১ কোটি ৩৫ লাখ আর জামায়াত পেয়েছে ১কোটি ২০ লাখ। শেষের দিকে কেন্দ্র দখল আর ব্যালট ছিনতাই না হলে জামায়াতের ভোট আরো বেশি হতো।
তিনি আরো বলেন, জামায়াতের উপর সরকারের জুলুম-নির্যাতন যত বাড়বে জামায়াতের প্রতি জনগণের সমর্থন ও সহমর্মিতা ততই বাড়বে। ইসলামী আন্দোলনের দাওয়াত মানুষের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছাতে পারলে সরকারের সকল চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে যাবে।
ভাটারা থানা জামায়াত আমির মো: হেদায়াতুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন থানা সেক্রেটারি আব্দুল কাইয়ুম মজুমদার, জামায়াত নেতা সিরাজুল ইসলাম ও আবুল কাশেম প্রমুখ।

'প্রত্যেক ছাত্রের কাছে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে'


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারী মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন মহান আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর খেলাফতের দায়িত্ব দিয়ে এ পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। এজন্য তিনি যুগে যুগে প্রত্যেক জাতির নিকট নবী-রাসূল পাঠিয়েছিলেন যারা পথহারা মানুষকে সঠিক পথের দিশা দিতেন। একইভাবে মক্কার মরুর বুকে মানুষ যখন এক আল্লাহর দাসত্ব ভুলে অসংখ্য মূর্তি পূজা, জীবন্ত কন্যা সন্তান কবর দেয়া, একে অপরের মধ্যে হানাহানিতে লিপ্ত হন ঠিক তখনই মহান প্রভু মানবজাতিকে হেদায়াত দেয়ার জন্য সর্বশেষ নবী হিসেবে হযরত মুহাম্মদ (স.) কে পাঠিয়েছিলেন। তিনি আরবের আইয়্যামে জাহেলিয়াতকে দূরীভূত করে এক শান্তির সমাজ কায়েম করতে সক্ষম হয়েছিলেন। একই সাথে তাঁর পরে আর কোন নবী-রাসূল পাঠাবেন না বলে জানিয়ে দেন। কিন্তু মানুষ শয়তানের ধোঁকায় পড়ে স্রষ্টার দেয়া দায়িত্ব ভুলে অন্ধকার পথে পরিচালিত হলে তাকে সু-পথে আনার দায়িত্ব শেষ নবীর উম্মত হিসেবে আমাদের উপর অর্পন করেছেন। এ দায়িত্ব পালন না করার কারনে প্রত্যেক মুসলমানকে শেষ বিচার দিনে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলে হুঁশিয়ার করেন। তাই দিকভ্রান্ত মুসলিমকে আল্লাহর দেয়া দায়িত্ব-কর্তব্য স্মরণ করিয়ে দিতে হবে আমাদেরকে। এর মাধ্যমেই আমরা পরকালের কঠিন শাস্তি থেকে মুক্তি লাভ করতে পারব। এজন্য প্রতিটি শিবির নেতা কর্মীদের পরকালীন জবাবদিহিতার মানসিকতা নিয়ে সকল ছাত্রের মাঝে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানান। 
চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর শিবিরের ষান্মাসিক সদস্য বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আজ (২৮.০৭.’১৫) এসব কথা বলেন। নগর উত্তর সভাপতি নুরুল আমিন’র সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী সালাউদ্দিন মাহমুদ’র সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন নগর জামায়াতের সহ-সেক্রেটারী অধ্যক্ষ নুরুল আমিন, সাবেক নগর সভাপতি মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী,মিজানুর রহমান, শিবির নেতা তৌহিদুল ইসলাম,কায়েস মাহমুদ প্রমুখ। বৈঠকে বিগত দিনের কার্যক্রম পর্যালোচনা করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

আমার ভাই লতিফ সিদ্দিকী-বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম


ঈদের পরপরই আমার পর্ব ছিল বলে গত মঙ্গলবার লিখতে পারিনি। জীবনে প্রথম এতেকাফে বসেছিলাম। বেশ ভালো লেগেছে। এক নতুন অভিজ্ঞতা। এতেকাফে বসার আগে চিন্তা করেছিলাম মসজিদে কোনো কথা বলব না। প্রয়োজনে লিখে জানাব। কিন্তু মসজিদে গিয়ে দেখলাম তেমনটি হওয়ার নয়। কতজন সালাম দিচ্ছে একবার, দুবার তিনবার। কেউ হয়তো বলছে, 'এই যে স্যার, আপনাকে সালাম দিয়েছিলাম।' আবার কেউ বলছে, 'সালামুআলাইকুম। স্যার, আসসালামুআলাইকুম। সালামালাইকুম।' কতক্ষণ চুপ করে থাকা যায়? মসজিদে গিয়ে একজনকে পেয়েছিলাম। তিনি এক সরকারি কর্মচারী। ২০ রমজান থেকে মসজিদে আছেন। তবে অফিসের কাগজপত্র টেলিফোন সব নিয়ে এসেছেন। আমি যাওয়ার একদিন পর ওসব নিয়ে কথা হওয়ায় তিনি ত্যাগ করেছিলেন। মনে হয় স্বাধীনতার পর এমন দিন খুব কমই গেছে যেদিন খবরের কাগজ দেখিনি। এতেকাফে বসে খবরের কাগজের দিকে তাকাইনি। টেলিফোন বাইরে ফেলে গিয়েছিলাম। দুনিয়ার সঙ্গে সব কানেকশন কেটে আল্লাহর নৈকট্য পেতে চেষ্টা করেছি। রাজনৈতিক কর্মীরা দারুণ সহযোগিতা করেছে। যতক্ষণ এতেকাফে ছিলাম ততক্ষণ মসজিদ তাদের চোখে চোখে ছিল। এতেকাফে বসে নিজেকে বেশ ঝরঝরে লেগেছে। এখন প্রতি মুহূর্তে মনে হয় প্রতিটি মুসলমানের আল্লাহর ধ্যানে এতেকাফে বসা উচিত।
সেই কবে লিখেছিলাম সাবেক মন্ত্রী বড় ভাইকে নিয়ে লিখব। যখনই লিখতে যাই তখনই অন্য কোনো প্রসঙ্গ হিমালয়ের মতো মাথা তুলে দাঁড়ায়। বৃহত্তর ময়মনসিংহের কৃতী সন্তান সৈয়দ আশরাফ ক'দিন আগে মন্ত্রিত্ব হারিয়ে সান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে মন্ত্রণালয় পেয়েছে। সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের এখন ভিন্ন নাম। কানা ছেলের নাম পদ্মলোচনের মতো আর কী? সৈয়দ আশরাফকে যে মন্ত্রণালয়ই দেওয়া হোক সে কাজ করলে অবশ্যই ভালো করতে পারে। কিন্তু সে সুযোগ কোথায়? সেই কবে শুনেছিলাম, 'সকাল বেলার আমির রে ভাই, ফকির সন্ধ্যাবেলা।' আমার বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীর ক্ষেত্রে কথাটি সাজে কিনা ভেবে পাচ্ছি না। ঈদের এই ক'দিন মহামারীর মতো সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। মানুষ মরে সয়লাব। আগে কলেরায় যেমন গ্রামকে গ্রাম বিরান হতো, তেমনি সড়কে যেন কলেরা লেগেছে। প্রতিদিন ২০-২৫-৫০ জন মৃত্যুবরণ করছে, কোনো প্রতিকার নেই। সেদিন কোনো দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, 'লাশ সামনে নিয়ে ফুল নিতে আসিনি।' সরকারি দলের স্তাবকরা কী পরিমাণ হৃদয়হীন হয়েছে, দুর্ঘটনাস্থলে আহত-নিহতদের মাঝে মন্ত্রীকে দেওয়ার জন্য ফুল হাতে দাঁড়িয়ে থাকে- এটাই তো গজব। রাজন নামের ছোট্ট এক বাচ্চাকে কয়েকজন সীমার মারতে মারতে মেরেই ফেলেছে। আল্লাহ জানেন এর কোনো প্রতিকার হবে কিনা। মানুষের মধ্যে দয়ামায়া মমতার যেন লেশমাত্র নেই। তাহলে এই কি কিয়ামতের আলামত- উত্তর খুঁজে পাই না। সেদিন আবার এক মারাত্মক ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যেখানে রাজারবাগের পুলিশরা প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল, সেই পুলিশের মুখে চুনকালি দিয়ে একজন ডাকাতি করেছে। মামলা তদন্তের কাগজপত্র নিয়ে ব্যবসায়ীর টাকা লুট করতে গিয়ে ধরা পড়ে এখন চৌদ্দ শিকের ভিতরে। সেই কুলাঙ্গার পুলিশ জাহান্নামে যাক তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। কিন্তু সে যে সারা দেশকে ডুবিয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে অবিস্মরণীয় ভূমিকা রাখা সব পুলিশকে ডুবিয়েছে। পুলিশই যদি ডাকাত হয়, ডাকাতের প্রতিকারে মানুষ কার কাছে যাবে? এমন অবস্থায় প্রাক্তন মন্ত্রী বড় ভাইকে নিয়ে লিখতে গিয়ে হোঁচট না খেয়ে পারি না। ওদিকে পরম ভাগ্যবান মোফাজ্জল হোসেন মায়া কোনো ইন্দ্রজালে সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়েও দাপটে মন্ত্রিত্ব করছেন। তার মন্ত্রিত্ব যায় না, সংসদ সদস্য পদও না। কিন্তু কোনো অভিযোগ ছাড়াই জনাব লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে টানাটানি। প্রবাদ আছে, 'নিজের ধন পরকে দিয়ে দৈবগ্য মরে ক্যাথা বয়ে'; বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীর ব্যাপারটা অনেকটা সেই রকম। তিনি জীবনে  বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীর ব্যাপারটা অনেকটা সেই রকম। তিনি জীবনে বহুবার রাজনৈতিক উত্থান-পতন দেখেছেন। রাজনৈতিক উথাল-পাথাল মোকাবিলা তার জন্য কঠিন না হলেও আল্লাহ-রসুলের অবমাননায় পার পাওয়ার কোনো উপায় নেই বলেই আমার বিশ্বাস। তাই তাকে অনেকবার বলেছি আল্লাহর কাছে মাফ চাইতে। চুরির চুরি তার উপর আবার শিনাজুড়ি- সে এক মারাত্মক অপরাধ। আমেরিকায় আল্লাহ রসুল হজ জাকাত নিয়ে যদি কোন নকশা করার থাকে সে ভিন্ন কথা। ওটা আওয়ামী কৌশল হলেও আমাদের বলার নেই। লোকাচার রয়েছে, মহানবী (সা.) ও হজ নিয়ে কথা বলায় তার মন্ত্রিত্ব যায়নি, ভাগ্নে জয়কে নিয়ে বলায় মন্ত্রিত্ব গেছে। আমার তেমন মনে হয় না। তিনি জয়কে অত্যন্ত স্নেহ করতেন, ভালোবাসতেন। জয় সম্পর্কে তার অনেক উচ্চ ধারণা, তাই তাকে নিয়ে কিছু বলার কোনো কারণ খুঁজে পাই না। 'জয় বাবা কে, সে সরকারের কেউ না।' ও ধরনের কথা মোটেই জয়কে ছোট করতে নয়। তাই জয়ের ব্যাপারটা ওভাবে চিন্তা না করাই ভালো। ব্যাপার নিশ্চয়ই অন্যখানে যা আমরা না জানলেও বয়সের কারণে কিছুটা আন্দাজ করতে পারি। বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী যে খুব একটা কাঁচা খেলোয়াড় তেমন নয়। খেলতে গেলে অনেক সময় পা মচকাবে, ভাঙতেও পারে। ভাঙা-মচকা কত গুরুতর সেটাই এখন দেখার বিষয়। যে মানুষ ৭০ হাত মাটির নিচে গেলেও কিছু না বলে থাকতে পারে না, তিনি কী করে এতদিন নিশ্চুপ- এটাও তো তলিয়ে দেখা দরকার। তাই সময় বড় নিয়ামক। সময়ের চেয়ে বড় কোনো শক্তি নেই। একসময় সময়ই বলে দেবে আসল সত্য কী। আমরা এখন তা নিয়ে শুধু আলোচনা করতে পারি।
আমার বাবা-মা মৌলভী মুহাম্মদ আবদুল আলী সিদ্দিকী ও লতিফা সিদ্দিকীর প্রথম সন্তান আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। দুই মায়ের গর্ভে আমরা ১৫ ভাইবোন। ষাটের দশকের আগেই কয়েকজন মারা গিয়ে এখন অব্দি ৭ ভাই, ৩ বোন আছি। আমি এখন দুই, কিন্তু আদতে আমার নম্বর চার। আমার আর বড় ভাইর মাঝে এক ভাই, এক বোন অনেক আগেই আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। আমাকে হেয় করতে বড় ভাই দুই-একবার পিতা-মাতার তৃতীয় সন্তান হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
কারণ মোগল সম্রাট শাহজাহানের ৪ পুত্রের তৃতীয়জন ভ্রাতৃঘাতী আওরঙ্গজেব। আমাকে সেরকম একটা কিছু সাজানোর প্রয়াসে তিনি অমন করেছেন। কিন্তু হালে পানি পাননি। সে যাই হোক, ছেলেবেলায় আমরা একেবারে অজপাড়াগাঁয়ে কাটিয়েছি। বড় ভাইয়ের মধ্যে অত শক্তি, সাহস ও প্রতিভা আছে আমার জানা ছিল না। '৬২-র শিক্ষা কমিশন আন্দোলনে প্রতিভাবান বড় ভাইকে প্রথম আবিষ্কার করি। আইয়ুববিরোধী দুর্বার আন্দোলনে টাঙ্গাইলকে যারা মাতিয়ে তুলেছিলেন তাদের মধ্যে ফজলুল করিম মিঠু, আল মুজাহিদী, ফজলুর রহমান ফারুক ও লতিফ সিদ্দিকীর নাম আসে সবার আগে। তখন মোটাগাটা শওকত তালুকদার ছিলেন মূলত শ্রমিক নেতা। এদের ঘিরেই আন্দোলন আবর্তিত হচ্ছিল। নেতা ছিলেন হুজুর মওলানা ভাসানী, শামসুর রহমান খান, বদিউজ্জামান, মীর্জা তোফাজ্জল হোসেন। এদের কারও বয়স ৪০-এর কোঠা পেরোয়নি। তখনো শাজাহান সিরাজের কোনো খবর ছিল না। শাজাহান সিরাজ এসেছেন তারও ৩-৪ বছর পর।

সে এক অভাবনীয় সময়। কেবল আইউবের মার্শাল'ল উঠে গেছে। মুসলিম লীগের দাপটে মাথা তুলে রাস্তায় হাঁটা যায় না, মাথা নিচু করে চলতে হয়। তার মধ্যে ছাত্রদের আন্দোলন। আমি তখনো তেমন কিছু বুঝতাম না। পাকিস্তান জন্মের পর থেকেই পাকিস্তানের জন্য যারা রক্ত পানি করেছে, রাত-দিন সংগ্রাম করেছে তারা বঞ্চিত হচ্ছিল। কোটারী মুসলিম লীগের রাজনীতিতে তাদের কোনো জায়গা ছিল না। যা নিয়ে শুরু থেকেই বিরোধের সূত্রপাত। পাকিস্তানের জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই মুসলিম লীগবিরোধী উপদলের সৃষ্টি হয়। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর মতো একজন বিচক্ষণ নেতা আমাদের মায়ের ভাষা কেড়ে নিতে চায়। যার ফলশ্রুতিতে ভাষা আন্দোলনের জন্ম এবং বাঙালি বুকের রক্ত দিয়ে '৫২-র ২১শে ফেব্রুয়ারি সফলতা লাভ করে। এরপর পূর্ববঙ্গের বঞ্চনার ইতিহাস বড় দ্রুতগতি পায়। এই গতি সবচেয়ে জোরদার করে করটিয়ার স্বনামধন্য জমিদার খুররম খান পন্নীর সঙ্গে এক অজ্ঞাত অখ্যাত কৃষক পরিবারের সন্তান শামসুল হকের দক্ষিণ টাঙ্গাইল উপনির্বাচন। সেই নির্বাচনে খুররম খান পন্নীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। যদিও শামসুল হক একদিনের জন্যও পূর্ব পাকিস্তান আইনসভায় অংশ নিতে পারেননি, তবু জনতার রায় কাকে বলে সেটা পাকিস্তান সরকার বুঝে গিয়েছিল। তার পরপরই ভাষা আন্দোলনের সফলতা পূর্ববঙ্গবাসীকে আরও অনুপ্রাণিত করে। যার প্রতিফলন ঘটে '৫৪-র যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে। রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর পিতা জনাব আবদুল হামিদ চৌধুরী '৫৪-র নির্বাচনে কালিহাতি থেকে মুসলিম লীগের সাইকেল মার্কায় প্রার্থী হয়েছিলেন। 'সাইকেলে পাম নাই, ভোট দিয়ে কাম নাই'- গ্রামেগঞ্জে স্লোগান উঠেছিল। '৪৯-র টাঙ্গাইল দক্ষিণ উপনির্র্বাচনের মতো '৫৪-র যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনেও একই ফল ফলেছিল। পাকিস্তান হাসিলকারী মুসলিম লীগ সাত বছরের মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। ৩০০ আসনের মোট ৯টি পেয়েছিল তারা। আর সবকটি হক-ভাসানী-সোহরাওয়ার্দী-শেখ মুজিবের যুক্তফ্রন্ট পেয়েছিল। রুয়াইল-ছাতিহাটির আমির আলী খাঁর বিপরীতে বিপুল বিত্তের অধিকারী আবদুল হামিদ চৌধুরী জামানত খুইয়েছিলেন। সেই নির্বাচনে লতিফ সিদ্দিকী পাদপ্রদীপের সামনে আসেন। আমি তখন বেশ ছোট, দৌড়াদৌড়ি করি। নির্বাচনী প্রচারণায় আউলিয়াবাদ হাটে যুক্তফ্রন্ট এবং মুসলিম লীগের প্রচারকদের মধ্যে ভীষণ মারামারি হয়েছিল। যুক্তফ্রন্ট প্রার্থী ছোটখাটো আমির আলী খাঁকে বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী পাজাকোলা করে আমাদের গ্রামের পুবের পাড়া এক কলাঝোপের মধ্যে বসিয়ে রেখেছিলেন। সেই প্রথম তাকে আমি রাজনীতিতে আবিষ্কার করি। আমরা থাকতাম গ্রামের বাড়ি, বড় ভাই টাঙ্গাইলে থেকে বিন্দুবাসিনীতে পড়ালেখা করতেন। সেই সময় তিনি স্কাউট জাম্বুরিতে চিটাগাং গিয়েছিলেন। সেখানে ভোলা থেকে তোফায়েল আহমেদও গিয়েছিলেন। সেই থেকে তাদের মধ্যে পরিচয়। তাদের তুই তুমি সম্পর্ক ছিল। কত চিঠি দেখতাম। দিনে দিনে বহু বেলা গড়িয়েছে। হঠাৎই একদিন টাঙ্গাইলে এক ছাত্র সম্মেলন হয়। আমরা তখন ময়মনসিংহ জেলার বাসিন্দা। মনে হয় '৬২ কী '৬৩ সাল। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের টাঙ্গাইল মহকুমাকে জেলায় উত্তীর্ণ করা হয়। সম্মেলনে আসেন ছাত্রলীগের সভাপতি শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ফজলুল হক মণিসহ আরও অনেকে। রওশন টকিজে সম্মেলন কেন্দ্রে সারা দিন বক্তৃতা হয়। ওর আগে অমন বলিষ্ঠ বক্তব্য কখনো শুনিনি। টাঙ্গাইল জেলার প্রথম ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। সভাপতি শওকত আলী তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। এরপর লতিফ সিদ্দিকী আর লতিফ সিদ্দিকী। টাঙ্গাইলের ছাত্র আন্দোলনে মাত্র কয়েকটি নাম শোনা যেত- ফজলুুল করিম মিঠু, ফজলুর রহমান ফারুক, আল-মুজাহিদী, বুলবুল খান মাহবুব, আতিকুর রহমান ছালু ও লতিফ সিদ্দিকী। ।বাংলাদেশ প্রতিদিন।

লেখক : রাজনীতিক।

মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই, ২০১৫

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি বহাল


মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন সু্প্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃতাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
গত ৭ জুলাই যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে আপিল শুনানি শেষ হওয়ায় ২৯ জুলাই রায়ের দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। গত ১৬ জুন শুরু হয়ে ১৩ কার্যদিবসে এ আপিল শুনানি শেষ হয়।  ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম 

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম: শিক্ষক-কম্যকর্তাদের ঈদ পূনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্ক: ২৭ জুলাই ২০১৫: আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম কুমিরায় শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের ঈদ পূনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ফেকাল্টির ডীন ও ক্যম্পাস চীফ প্রফেসর ডঃ মোঃ দেলাওয়ার হোসাইন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত ঈদ পূনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন কুরআনিক সায়েন্স ও ইসলামিক স্টাডিজ এর এসোসিয়েট প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ শফি উদ্দিন, স্টুডেন্ট এ্যাফেয়ার্স  ডিভিশনের এডিশনাল ডাইরেক্টর জনাব চৌধুরী গোলাম মাওলা। অন্যান্যের মধ্যে ইলেকট্রিকেল এন্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের হেড প্রফেসর আবদুল মান্নান, কুরআনিক সায়েন্স ও ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টের হেড জনাব ডঃ মোঃ রশিদ জাহিদ, দাওয়াহ ও ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টের হেড ও এসোসিয়েট প্রফেসর জনাব মুহাম্মদ আবুল কালাম, ইটিই ডিপার্টমেন্টের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ও হেড ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুল গফুর, ল’ডিপার্টমেন্টের হেড জনাব মোঃ সাইদুল ইসলাম, প্রফেসর ডঃ শেখ সিরাজুল ইসলাম, প্রফেসর মোঃ ইউনুস, প্লানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট ডিভিশনের সুপারিনটেন্টডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জাহেদ হোসাইন, লাইব্রেরী ও ইনফরমেশন ডিভিশনের ডাইরেক্টর(ইনচার্জ) জনাব মুহাম্মদ নুরুল কবির খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। ঈদ পূনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভার সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিবিএ ডিপার্টমেন্টের এসোসিয়েট প্রফেসর জনাব মুহাম্মদ জুনায়েত কবির।
বক্তাগণ রমজান, কুরআন, তাকওয়া এবং সদ্য সমাপ্ত ঈদুল ফিতরের নানা  শিক্ষনীয় দিক তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন এবং সেই শিক্ষাকে বুকে ধারণ করে ব্যক্তিগত জীবনের কর্মকান্ড ও অফিসের কার্যক্রম পরিচালনার আহবান জানান। 

সোমবার, ২৭ জুলাই, ২০১৫

আবদুল কালামের মৃত্যুতে জামায়াতের শোক


ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও পরমাণু বিজ্ঞানী এপিজে আবদুল কালামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোক বার্তায় দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ শোক প্রকাশ করেন।
মকবুল আহমাদ বলেন, “ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী এপিজে আবদুল কালামের মৃত্যুতে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তার রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাঁর পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। তার মৃত্যুতে উপমহাদেশের মানুষ একজন প্রখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী ও রাজনীতিবিদকে হারাল।”

'আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প চালু হলে বাংলাদেশ হবে মরুভূমি'


ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প চালু হলে বাংলাদেশ মরুভূমিতে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। একই সঙ্গে ভারতের সাথে বিরাজমান অভিন্ন নদীর পানির সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে সরকার কোনো সহযোগিতা চাইলে জামায়াতে ইসলামী তা দিতে প্রস্তুত আছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
মকবুল আহমাদ বলেন, ভারত আমাদের বৃহৎ প্রতিবেশী দেশ। ভারত ও বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ৫৪টি অভিন্ন নদী প্রবাহিত হচ্ছে এবং এ সব নদীর পানি বাংলাদেশ হয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়ে।
ভারত আন্তর্জাতিক আইন-কানুন উপেক্ষা করে বিভিন্ন নদীতে বাঁধ দেওয়ায় বাংলাদেশ তার ন্যায্য পানি পাচ্ছে না। আপাততঃ ৩টি অভিন্ন নদী নিয়ে আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প চালুর উদ্যোগ নিলেও পর্যায়ক্রমে পুরো প্রকল্পই বাস্তবায়ন করবে।
উজানের দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যৌথ নদীর ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা করা জরুরী। কিন্তু ভারত আলোচনা ছাড়াই বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালুর কথা বলা হলেও আজ পর্যন্ত পরীক্ষা শেষ হয়নি। ফলে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ৬ কোটি মানুষকে এর খেসারত দিতে হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গঙ্গা পানি চুক্তি করা হলেও গ্যারান্টি ক্লজ না থাকায় বাংলাদেশ চুক্তি অনুযায়ী পানি পাচ্ছে না এবং বাংলাদেশ মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে।
প্রমত্তা পদ্মা এখন ধু ধু বালুচরে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে বর্ষার সময় ফারাক্কা গেট খুলে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশ প্রতি বছরই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
জামায়াত আমির বলেন, ভারত সরকার বরাবরই বলে আসছে যে, তারা এমন কোনো প্রকল্প বা বাঁধ দেবে না যাতে বাংলাদেশের জনগণের জন্য ক্ষতির কারণ হয়।
বাংলাদেশের জনগণ ভারতের প্রতি এ আস্থা রাখতে আগ্রহী কিন্তু বাস্তবে বাংলাদেশের জনগণ বারবার হতাশ হচ্ছে। কারণ, ফারাক্কা বাঁধের সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি।
তিস্তা নদীর পানি বন্টন চুক্তি এখনও হয়নি। টিপাইমুখ বাঁধ দেয়া হলে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রায় ৪ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সর্বশেষ আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প চালু হলে বাংলাদেশ প্রকৃতপক্ষেই মরুভূমিতে পরিণত হবে।
তিনি আরো বলেন, বিষয়টি বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের বাঁচা-মরার সঙ্গে জড়িত হলেও ভোটারবিহীন তথাকথিত নির্বাচিত সরকারের কোনো উদ্যোগ এবং কার্যকরী পদক্ষেপ নেই।
নিজ দেশের ন্যায্য পাওনা প্রতিবেশীর নিকট থেকে আদায় করার জন্য সরকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে দুর্বলতা কোথায় তা দেশের জনগণ বুঝতে অপারগ।
জামায়াত প্রধান বলেন, ভারতের সঙ্গে বিরাজমান অভিন্ন নদীর পানির সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে সরকার কোনো সহযোগিতা চাইলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তা দিতে প্রস্তুত।
তাই আমি সরকারকে বলতে চাই, অবিলম্বে যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক ডাকার জন্য ভারতকে চাপ দিন। সরকারি পর্যায় ছাড়াও বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে আলোচনা হতে পারে।
আমরা আশা করবো ভারতের বর্তমান প্রধান মন্ত্রী নরেদ্র মোদি বাংলাদেশ সফরকালে যে ওয়াদা করেছিলেন তা রক্ষা করবেন। তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশের ক্ষতি হয় এমন কিছু পদক্ষেপ ভারত নেবে না।
সেই সঙ্গে আমি আশা করবো বাংলাদেশের ১৬ কোটি জনগণ তাদের ন্যায্য পানির হিস্যা পাওয়ার জন্য দলমত নির্বিশেষে ভূমিকা রাখবে।


জামায়াত নেতা ইব্রাহীমের মায়ের ইন্তিকালে মহানগরী জামায়াতের শোক


বাংলাদেশ বার্তা ২৭ জুলাই ২০১৫; জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর চকবাজার থানা কর্মপরিষদ সদস্য এবিএম সিদ্দিক ইব্রাহীমের মা নূরজাহান বেগমের গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৮ টায় ঢাকায় বাধ্যক্যজনিত কারনে ইন্তিকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি দুই ছেলে, তিন মেয়ে, নাতি-নাতনি, আত্মিয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার গ্রামের বাড়ী লক্ষ¥ীপুর জেলার সদর থানাধীন নূরুল্লাপুর গ্রামে। নূরজাহান বেগমের ইন্তিকালে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 
রাজধানীর চকবাজার খাজে নেওয়াজ তালগাছ মসজিদে মরহুমার প্রথম নামাজে জানাজা শেষে মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে দাফন করা হয়।
মহানগরী জামায়াতের শোক: জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর চকবাজার থানা কর্মপরিষদ সদস্য এবিএম সিদ্দিক ইব্রাহীমের মা নূরজাহান বেগমের ইন্তিকালে শোক প্রকাশ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও সেক্রেটারি নূরুল ইসলাম বুলবুল।
গতকাল দেয়া বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, নূরজাহান বেগমের ইন্তিকালে আমরা আমাদের একজন অভিভাবককে হারালাম। মহান রাব্বুল আলামীন যেন তার পরিবারের সদস্যদের এই শোক কাটিয়ে উঠার তাওফিক দেন এবং পরকালে তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করেন। নেতৃদ্বয় তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।


ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও পরমাণুবিজ্ঞানী এ পি জে আবদুল কালামের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
শোক বার্তায় তিনি বলেন, এ পি জে আবদুল কালামের মৃত্যুতে পৃথিবী এক মেধাবী নেতাকে হারাল।
‘বাসযোগ্য পৃথিবী’ বিষয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট শিলংয়ে গিয়েছিলেন ‘উইংস অব ফায়ার’-এর রচয়িতা আবদুল কালাম। অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ে গেলে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় তাকে দ্রুত পাশের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
৮৩ বছর বয়সী পরমাণু বিজ্ঞানী এ পি জে আবদুল কালাম ২০০২ সালের ২৫ জুলাই থেকে ২০০৭ সালের ২৫ জুলাই পর্যন্ত ভারতের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। আবদুল কালামের জন্ম ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর ব্রিটিশ ভারতের রামেশ্বরামে।

ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট এপিজে আবদুল কালাম মারা গেছেন


ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট এপিজে আবদুল কালাম মারা গেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। 
আজ শিলংয়ে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় অকস্মাৎ তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে একটি হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে (আইসিইউ)তে রাখা হয়। সেখানে তারমৃত্যু হয় বলে খবর দিয়েছে ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআই।
এতে বলা হয়, এক অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিচ্ছিলেন। বক্তব্য দিতে দিতেই তিনি পড়ে যান। ৮৪ বছর বয়সী আবদুল কালামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খাসি হিলসের এসপি এম খারক্রাং এ কথার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ভারতের ১১তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এপিজে আবদুল কালাম।

জান্নাতের পথে বাধা সৃষ্টি করে যে সব কাজ


১. ঈমান না আনা 
২. প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া
৩. অহংকার করা
৪. চোগলখোরি ও পরনিন্দা করা
৫. আত্মহত্যা করা
৬. আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা
৭. হারাম খাওয়া
৮. উপকার করে খোটা দেয়া
৯. তক্দীর (ভাগ্যের লিখন) অস্বীকার করা
১০. যাদুর বৈধতায় বিশ্বাস করা
১১. মদ, গাঁজা ও নেশা দ্রব্য গ্রহণ করা
১২. গণক
১৩. ঋণ পরিশোধ না করা
১৪. পুরুষ বেশধারী নারী
১৫. দাইয়ুস
১৬. বৃদ্ধ ব্যভিচারী
১৭. মিথ্যাবাদী শাসক
১৮. অহংকারী দরিদ্র
১৯. কঠোর প্রকৃতি ও কটুভাষী লোক এবং যে ব্যক্তি মানুষের কাছে এমন বিষয় নিয়ে গর্ব-অহংকার প্রকাশ করে বেড়ায় প্রকৃতপক্ষে যা তার নিকট নেই
২০. মুসলিম সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ ভাবে বসবাসকারী অমুসলিমকে হত্যা করা
২১. বিশ্বাসঘাতক শাসক
২২. মানুষকে প্রহার করা
২৩. মহিলাদের পর্দা হীনতা (একশটি কবীরা গুনাহ বই থেকে)

প্রেসক্রিপশনে ব্যবহৃত ‘Rx’ চিহ্ন দিয়ে যা বোঝায়


প্রেসক্রিপশন বা চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্রে ব্যবহৃত ‘Rx’ চিহ্ন নিয়ে কয়েকটি মতবাদ প্রচলিত আছে। প্রথমত, Rx হল বৃহস্পতি গ্রহের Astrological সাইন আর বৃহস্পতি গ্রহের নাম ইংরেজিতে Jupiter যা কিনা রোমানদের মতে দেবতাদের রাজা। Rx লেখা হয় এই জন্য যে প্রেসক্রিপশনে লিখা পথ্যের উপর যেন রোমান দেবতা Jupiter শুভদৃষ্টি দেন এবং রোগী আরোগ্য লাভ করে।
এছাড়া, চিকিৎসা শাস্ত্রের অভিধান মতে, Rx একটি ল্যটিন শব্দ যা ‘recipe’ ও ‘to take’ এই দুটো মানে বোঝায়। মূলত এই RX প্রতীকটি এসেছে একটা ল্যাটিন শব্দ থেকে। শব্দটা হল Recipe, যার অর্থ হল ‘আপনি নিন’। প্রাচীন মিশরীয়দের মধ্যে ‘উটচাট’ বা ‘হোরাসের চোখ’ নামে এক ধরনের কবচের প্রচলন ছিল। হোরাস হচ্ছেন একজন স্বাস্থ্য দেবতা। ‘হোরাসের চোখ’ নামে যে কবচ প্রচলিত ছিল তা অনেক রোগ প্রতিরোধ করত। এই কবচের প্রাথমিক আকৃতি অনেকটা হেরাসের চোখের মত ছিল। তবে এটা নানান জিনিস দিয়ে তৈরি করা হত।
এভাবে এটি ব্যবহৃত হতে শুরু করে এবং কালক্রমে এটি ব্যবস্থাপত্রে চলে আসে। তবে অবশ্যই এটি ব্যবস্থাপত্রে আসার পেছনে দেবতার অনুগ্রহে রোগ নিরাময়ের একটা ব্যাপার থেকেই যায়। ভিন্ন মতানুসারে, Rx বলতে R = Refer to এবং X = Jesus Christ, অর্থাৎ Rx = Refer to Jesus Christ, মানে ‘যিশুর নামে পড়া শুরু করুন’। যেমন আমরা বলি ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ বা ‘মহান আল্লাহর নামে পড়া শুরু করছি’, ঠিক সেরকম।
X শব্দের ব্যাখ্যা: X দ্বারা জেসাস ক্রাইস্ট বা যিশু খ্রিস্টকে বোঝানো হয়। যেমন Xmas দ্বারা বোঝানো হয় ক্রিসমাস। উল্লেখ্য, X দ্বারা গ্রিক অক্ষর “Chi”কে নির্দেশ করে, যা দ্বারা গ্রিক ভাষায় সংক্ষেপে ক্রাইস্ট বা যিশুকে বোঝানো হয়ে থাকে। কেউ কেউ বলে থাকেন, Rx মানে Report extended। আপনার শরীরের সমস্যা বা রোগ নির্ণয় করে ‘এক্সটেন্ডেড’ যে রিপোর্ট করা হয় যাতে পরবর্তী পদক্ষেপ বর্ণিত থাকে বিধায় এখানে Rx লেখা থাকে।
লেখক: ডা: মো. এনামুল হক মনি (পিএইচডি গবেষক, কোরিয়া)
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসএফ

কাবা শরিফ সাঁতরানো সেই কিশোরের ইন্তেকাল

কাবা শরীফ পানিতে ডুবে গেছে, আর একজন সাতার কেটে তওয়াফ করছে, ৭৪ বছর পুরনো সাদাকালো এই ছবিটি যিনিই দেখেছেন তিনিই অবাক হয়ে তাকিয়ে ভালো করে বোঝার চেষ্টা করেছেন ছবিটির মর্মার্থ কি ? কাবা শরিফ যে ভ্যালিতে আল্লাহর নির্দেশে তৈরী হয়েছে সেখানে বেশি বৃষ্টি হলে সবসময়ই পানি জমে যেতো। ১৯৪১ সনে একাধারে ৭ দিন বৃষ্টি হওয়াতে ৬ফুট পানি জমে গিয়েছিলো কাবার চারপাশে। বাহরাইনের ১২ বছর বয়সী শেখ আলআওয়াদী তখন মক্কায় দ্বীনি স্কুলের ছাত্র। ২০১৩ সনে কুয়েত আল রাই টেলিভিশনে তিনি তার স্মৃতি চারণে বলেন, “বন্যার পানিতে মানুষ, যানবাহন, আর গবাদি পশু ভেসে যেতে দেখেছি। ৭ দিন পর বৃষ্টি থামলে আমর ভাই হানিফ, বন্ধুবর তিমবাক্তুর মালিয়ান শহরের মোহাম্মদ আল তাইয়িব, ও আলী থাবিত, আর ইয়ামেনের এডেনের হাসিম আল বার, আর আমাদের শিক্ষক তিউনিসের আব্দুল রউফ মিলে কাবা শরীফের বন্যার অবস্থা দেখতে যাই। বাচ্চারা পানি দেখলে যা করে আমরাও তাই করলাম, মাথায় আসলো সাতরিয়ে তওয়াফ করবো। যা ভাবা তাই, আমরা চারজন পানিতে ঝাপিয়ে পড়লাম।পুলিশ হই হই করে উঠলো, আমরা কালো পাথর চুরি করার নিয়তে পানিতে নেমেছি কিনা। আমি সাতরাতে সাতরাতে পুলিশকে বোঝাতে চেষ্টা করলাম, আমি শুধু সাতরিয়ে তওয়াফ করব ৭ বার, পুলিশ তার স্বভাব সুলভ খবরদারী করেই চলছিলো। ইতিমধ্যে আলী থাবিত আর মোহাম্মদ আল তাইয়িব ক্লান্ত হয়ে পড়লে কাবা শরীফের দরজার ওপর বসে থাকে, উদ্ধার হবার আশায়।” তিনি বলেন, “আমার ভয় হচ্ছিলো যে পুলিশ আমাকে গুলি করে না বসে আবার আনন্দ হচ্ছিলো এই ভেবে যে, পৃথিবীতে কেউ কোনদিন এই ভাবে কাবা প্রদক্ষিন করেনি, আমিই প্রথম। তাই ভয় আর আনন্দের মিশ্র অনুভুতি নিয়ে আমি কাবার চারপাশে সাতরিয়েই চললাম। পরবর্তীতে জানতে পেরেছিলাম, পুলিশের রাইফেলে আসলে গুলি ছিলোনা।” শেখ জানান তিনি তত্কালীন মক্কার বুড়ো মানুষদের কাছে জানতে চেয়ে ছিলেন তারা এরকম বানের পানি আগে দেখেছেন কিনা, তারা কস্মিন কালেও এত পানি দেখেননি বলে খবর দিয়েছেন। ২০১৫ র মে মাসের ১৬ তারিখ ৮৬ বছর বয়সে শেখ আল আওয়াদি বাহরাইনে ইন্তেকাল করেন। তার ছেলে আব্দুল মজিদ ২০ বছর আগে হজ্জ করতে গিয়ে তার বাবার ছবির পোস্টার কপি কিনে এনেছিলো মক্কা থেকে পিতার জন্যে উপহার হিসাবে। প্রতিটি মুসলমান জানে কাবাঘর আল্লাহর হুকুমে বানানো একটি প্রতিকী ঘর, মুসলমানরা এই ঘরের দিকে কেন্দ্র করে শুধুমাত্র আল্লাহর উদ্যেশ্যে সেজদা, প্রনতি করে, কাবাঘর বা এর আনুসঙ্গিক কালো পাথর, মাকামে ইব্রাহিম এগুলির পূজা করেনা কেউ, তাই অনেকবার কাবা পানিতে ডুবে গেছে, আগুন লেগেছে, কালো পাথর খুলে নিয়ে গেছে বহু বছরের জন্যে ধর্মীয় উগ্রবাদীরা। আব্বাসীয় খলিফাদের উদ্ধার পর্বে ভাঙ্গা পাথরটির সব টুকরাও পাওয়া যায়নি হয়তো, এখন রুপোর বেষ্টনী দিয়ে আটকানো আছে বাকিগুলি সেই থেকে। মহা বিশ্বের যেকোনো উপাদান দিয়ে তৈরী কোনো জিনিষ স্থায়ী নয়, এগুলি সবই আল্লার সৃষ্ট বস্তু নীচয় । আল্লাহ সব কিছুর স্রষ্টা, চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী, মুসলমানরা শুধু আল্লাহরই উপাসনা করে। সৃষ্ট কোনো কিছুরই পূজা ইসলামে নেই। সূত্র : বিডি-টুডে 

রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০১৫

দুধ-আনারস একসঙ্গে খেলে কী হয়?

আনারস ও দুধ নিয়মমাফিক সঠিক খাদ্যের সমন্বয়ে খান 

আনারস খুব উপাদেয় ফল। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ এবং সি। রয়েছে ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম ও ফসফরাস। আর দুধকে আমরা সুষম খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করি। তবে আনারস আর দুধ একসঙ্গে খেলে মানুষ বিষক্রিয়া হয়ে মারা যায়-এ রকম একটি ধারণা প্রচলিত আছে। বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠরা অনেক সময় ছোটদের এ খাবার একসঙ্গে খেতে নিষেধ করেন। তবে আসলেই কি এ রকম হয়? আসুন জেনে নিই আসলে কী হয় আনারস আর দুধ একসঙ্গে খেলে। 
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের ডিন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘আনারস ও দুধ একসঙ্গে খেলে বিষক্রিয়া হয়ে কেউ মারা যায় এই ধারণা ভুল। এগুলো এক ধরনের ফুড ট্যাবু বা খাদ্য কুসংস্কার।’
অধ্যাপক আবদুল্লাহ বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘আনারস একটি এসিডিক এবং টকজাতীয় ফল। দুধের মধ্যে যেকোনো টকজাতীয় জিনিস দিলে দুধ ছানা হয়ে যেতে পারে বা ফেটে যেতে পারে। এটা কমলা ও দুধের বেলায় বা লেবু ও দুধের বেলাতেও ঘটে। ফেটে যাওয়া দুধ খেলে খুব বেশি হলে বদ হজম, পেট ফাঁপা, পেট খারাপ– এ ধরনের সমস্যা হতে পারে, তবে বিষক্রিয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। যাদের গ্যাসট্রিকের সমস্যা রয়েছে, খালি পেটে আনারস খেলে তাদের এই সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।’  
একই বিষয়ে কথা হয় হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজের রেজিস্ট্রার ও মেডিসিন বিভাগ ডা. শ আ মোনেমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এমন কখনো দেখিনি যে দুধ-আনারস একসঙ্গে খেয়ে মানুষ মারা গেছে। এটা একটা কুসংস্কার। আমরা তো অনেক সময় ডেজার্ট, কাস্টার্ড বা স্মুদিতে আনারস-দুধ একত্রে মিশিয়ে খাই। এগুলো খেলে তো কোনো সমস্যা হয় না।’ 
অ্যাপোলো হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী বলেন, ‘আনারস একটি এসিডিক খাবার। আর দুধ হলো অ্যালকালাইন বা ক্ষার। দুধ যদি পাস্তুরিত না হয়, তবে কাঁচা দুধ ও আনারসের সমন্বয়ে শরীরে বিক্রিয়া হতে পারে। দুধের সঙ্গে আনারসের সঠিক সমন্বয় না হলে শারীরিক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ ক্ষেত্রে অন্যান্য খাবারের বেলাতেও একই বিষয় হতে পারে।’
তামান্ন চৌধুরী আরো যোগ করেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময়ই পাইনা অ্যাপেল কাস্টার্ড, ডেজার্ট, পাইন অ্যাপেল স্মুদি, পাইন অ্যাপেল মিল্ক সেক, পাইন অ্যাপেল সালাদ, পাইন অ্যাপেল ইয়োগার্ট ইত্যাদি খাই। এতে সমস্যা হয় না। কারণ এগুলোর মধ্যে খাদ্যের সঠিক সমন্বয় থাকে এবং নিয়মমাফিক বা সঠিক নিয়মে বানানো হয়। আর হয়তো এক গ্লাস দুধ খেলেন, পাশাপাশি আনারস খেয়ে নিলেন তাহলে সঠিক খাদ্যের সমন্বয় হয় না। এ ক্ষেত্রে সঠিক সমন্বয় না হওয়ার ফলে পাতলা পায়খানা, বদ হজম, এসিডিটি ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। তবে বিষক্রিয়া হয়ে মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা নেই।’ 
তবে ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘আনারস আর দুধ বিরতি দিয়ে খাওয়াই ভালো। দুই থেকে তিন ঘণ্টা বিরতি দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। নয়তো অনেক সময় পেটে গিয়ে হজমের সমস্যা হতে পারে। তবে যদি সঠিক নিয়মে খাবার বানানো হয় এবং সঠিক খাদ্যের সমন্বয় থাকে তাহলে কোনো সমস্যা হবে না। দুধ ফুটিয়ে নিলে বা প্রসেস করে নিলে টক্সিটিক বিষয়টি আর থাকে না, তখন খাওয়া যেতে পারে। তাই আনারস-দুধ সঠিক নিয়মে এবং সঠিক খাদ্যের সমন্বয়ে খাওয়া যেতে পারে।’

 এনটিভি অনলাইন

হাঁড়িতে রেখে শিশুর হাড় বাঁকা করে ভিক্ষাবৃত্তিতে ব্যবহার করা হচ্ছে


শিশুদের পঙ্গু করতে একটি নিষ্ঠুর প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়। আসলে শিশুর জন্মের আগেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। সিন্ডিকেট প্রথমে সম্ভাব্য ‘মা’কে টার্গেট করে। প্রয়োজনে টাকা দেয়। জন্মের পর শিশুটিকে একটি হাঁড়িতে রাখা হয়। এভাবে চলে প্রায় ১৫ দিন। খেতে দেয়া হয়। এই খাবার খাওয়ার পর শিশুটি বেড়ে ওঠে। কিন্তু এই বেড়ে ওঠা স্বাভাবিক নয়। হাঁড়িতে থাকে বলে শিশুর কচি হাড় বেঁকে যায়। ঢাকার কয়েকটি জায়গায় এভাবে শিশুদের পঙ্গু করার ‘কারখানা’ চলছে।
রাজধানীর বিভিন্ন বস্তি ও রেললাইন সংলগ্ন ঝুপড়ি ঘরগুলোতে শিশু-পঙ্গুর কাজটি সম্পন্ন করা হয়। এক্ষেত্রে জন্মের পর ১০-১৫ দিনের জন্য নবজাতককে বড় পাতিল বা হাঁড়ির মধ্যে রেখে দেয়া হয়। সেখানে রেখেই নবজাতককে দেয়া হয় প্রয়োজনীয় খাবার। ফলে সেখানে থাকতে থাকতেই বেঁকে যায় নবজাতকের কচি হাড়, এই বাঁকা হাড় তার সারা জীবনের সঙ্গী হয়। এভাবেই একটি শিশু পরে চিরস্থায়ী ভিক্ষুকে পরিণত হয়। ইচ্ছা করলেও ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে আর ফিরে আসতে পারেন না স্বাভাবিক জীবনে। যে সিন্ডিকেট এই ভিক্ষুক তৈরি করে তারা ভিক্ষুকদের নিয়ন্ত্রণ করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিক্ষুক সিন্ডিকেটের সঙ্গে হাইকোর্ট এলাকার কোরবান আলী, জহির, মাসুদ, ফার্মগেট-কারওয়ানবাজার এলাকার মহব্বত আলী, করিম শেখ, আব্দুল জব্বার, মহাখালী এলাকার রহমান ফকির, জাহাঙ্গীর, কমলাপুরের আব্বাস মিয়া, কাল্লু ফকির ও রশীদ মণ্ডল প্রমুখ জড়িত। এছাড়া বিভিন্ন এলাকাভেদে স্থানীয় রাজনীতিক ও সন্ত্রাসী বাহিনী ভিক্ষুকদের নিয়ন্ত্রণ করে বলে জানা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নবজাতক শিশুকে স্থায়ী পঙ্গু ভিক্ষুক বানানোর প্রক্রিয়াটি কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন করে ভিক্ষুক সিন্ডিকেট। প্রথমে তারা দরিদ্র বাবা-মাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে হাত করে নেয়। এক্ষেত্রে ভিক্ষুক বাবা-মাকে লক্ষ্য হিসেবে ঠিক করে তারা। পরে বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে গর্ভধারণে তাদের উদ্বুদ্ধ করা হয়।
গর্ভকালীন সময়টাতে ঐ দম্পতিকে কিছু টাকা-পয়সাও দেয় তারা। বাচ্চা প্রসব হওয়ার পর শুরু হয় সিন্ডিকেটের দ্বিতীয় ধাপ। এ পর্যায়ে তারা নবজাতক শিশুকে পঙ্গু বানানোর কাজটি করে থাকে। বয়স দুই সপ্তাহ অতিক্রম হওয়ার পর একটি বড় মাটির পাতিল বা হাঁড়ির মধ্যে রাখা হয় নবজাতককে। এক্ষত্রে বেছে নেওয়া হয় রেললাইনের পাশের বস্তির কোনো ঝুপড়ি ঘর। বাঁচিয়ে রাখার জন্য পাতিল বা হাঁড়ির মধ্যেই ফিডারের মাধ্যমে শিশুটিকে সরবরাহ করা হয় দুধ। এভাবে ১০-১৫ দিন রেখে দেওয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে বেঁকে যায় শিশুটির কচি হাড়। এরপর নবজাতককে পাতিল/হাঁড়ি থেকে বের করা হয়। এরপর শিশুটির শরীরে যেভাবে বাঁক ধরে সেভাবেই শুইয়ে রাখা হয় বিছানায়। তৃতীয় ধাপে শুরু হয় পঙ্গু শিশুকে নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তির প্রাথমিক কাজ। এ পর্যায়ে মা বাচ্চাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ভিক্ষা প্রার্থনা করেন। সময়ের সাথে সাথে বেড়ে ওঠে পঙ্গু শিশু। এরপর সে চলে যায় সিন্ডিকেটের খপ্পরে। চতুর্থ ধাপে নিজেদের স্বার্থে পঙ্গু শিশুকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় সিন্ডিকেট। মাসিক ৫-৬ হাজার টাকা দেয়ার বিনিময়ে সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে ভিক্ষাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয় তাকে। পঙ্গু শিশুর বাবা-মাও মাসিক ৫/৬ হাজার টাকা পেয়ে সন্তুষ্ট থাকেন। আর এই পঙ্গু ভিক্ষুককে দিয়ে দৈনিক হাজার হাজার টাকা পকেটে পুরে ভিক্ষুক সিন্ডিকেটের নেতারা।
দেশবরেণ্য শিশু বিশেষজ্ঞ ও জাতীয় অধ্যাপক ডা. এম আর খান বলেন, জন্মের পর একজন নবজাতকের শরীরের হাড় (বোন) খুবই নমনীয় থাকে। এই সময়টাতে শিশুদের ‘বোন ডেভেলপমেন্ট’ হয়। ফলে নবজাতক শিশুকে যেভাবে রাখা হয় তার শরীরের প্রতিটি হাড় সেভাবেই গড়ে ওঠে। বিজয় সরণি সিগন্যালে কথা হয় পঙ্গু শিশু শরিফুল ইসলামের সঙ্গে। তার বয়স আনুমানিক ১০ বছর। মায়ের সঙ্গে সে ভিক্ষা করে হাইকোর্ট মাজার এলাকায়। দিনে আয় ৫০০-৬০০ টাকা। ঈদ, পূজা ও অন্যান্য উৎসব আর ছুটির দিনগুলোতে তার আয় বেড়ে যায়। প্রতিদিন পাওয়া ভিক্ষার টাকা কী করে, এমন প্রশ্নে মুহূর্তেই মলিন হয়ে যায় শরিফুলের মুখ। সে বলে, ‘পুরোটা পাইলে তো এতদিনে বহুত টাকার মালিক হইয়া যাইতাম। মানুষ অফিসে চাকরি করে, আমি করি রাস্তায়। আমারও বস আছে। আমার বেতন মাসে পাঁচ হাজার। বাকিটা বসের।’
গুলশান এলাকায় দেখা যায় ভিক্ষারত শিশু কবিরকে (ছদ্মনাম)। বয়স ১২-১৩ বছর। তার দুই পা ও দুই হাত অস্বাভাবিকভাবে বাঁকানো। মাটিতে ভর দিয়ে সরীসৃপের মতো এগিয়ে চলে সে। সিগন্যাল পড়লেই দাঁড়ানো গাড়ির জানালার কাছে গিয়ে ভিক্ষা প্রার্থনা করে। মনের খেদে এ প্রতিবেদককে সে বলে, ‘অনেকেই কয় ঢাকার ফকিররা ভিক্ষা করে ফ্ল্যাট-গাড়ি কইরা ফ্যালাইছে। রাস্তায় রাস্তায় মানুষের হাতে-পায়ে ধরে ভিক্ষা নেয়। কিন্তু কপালের পরিবর্তন হয় না। বাড়ি-গাড়ি ঠিকই আছে, তা আমাগো না। আমাগো যারা কন্ট্রোল করে তাদের টাকার শেষ নাই।’ সেই সঙ্গে এ প্রতিবেদককে তার নাম-ঠিকানা না প্রকাশ করার অনুরোধ জানিয়ে বলে, ‘আপনাকে আমি এসব বলছি জানতে পারলে বস মাইরাই ফ্যালাবো আমারে।’

মগবাজার সিগন্যালে কথা হয় রাকিব হোসেনের সঙ্গে (৯)। তার হাত, পা, মেরুদণ্ড ও ঘাড় অস্বাভাবিকভাবে বাঁকানো। কিভাবে এই পঙ্গুত্ব এমন প্রশ্নের জবাবে সে বলে, ‘শুনছি জন্মের পর আমি সুস্থ ও দেখতে ভালা আছিলাম। পরে কিভাবে এমন হইল বলতে পারি না। শুধু আমিই না, আমার মতো আরো অনেকেই আছে যারা জানে না কিভাবে পঙ্গু হইছে।’
সমাজকল্যাণ অধিদফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুধু রাজধানী ঢাকাতেই রয়েছে প্রায় এক লাখ স্থায়ী ভিক্ষুক। এর মধ্যে অনেকেই শিশু। শিশু ভিক্ষুকদের মধ্যে সিংহভাগেরই হাত বা পা নেই, অস্বাভাবিক বড় মাথা, কঙ্কালসার দেহ, অস্বাভাবিকভাবে বাঁকানো হাত ও পা। চলাফেরায় একেবারই অক্ষম। সৌজন্যঃ আজকের পত্রিকা

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী