বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

সোমবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৮

ইসলামী ব্যাংকের সব বিনিয়োগ বন্ধ, কর্মকর্তাদের মধ্যে ‘ছাঁটাই’ আতঙ্ক



ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড সব ধরনের বিনিয়োগ বন্ধ করে দিয়েছে। আগে মৌখিকভাবে বিনিয়োগ বন্ধের কথা বলা হলেও গত রবিবার ব্যাংকের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ সুইচ বন্ধ করে দিয়ে বিনিয়োগ বন্ধ করা হয়েছে।
ফলে দেশের কোনো জায়গা থেকে বিনিয়োগ (ঋণ) দিতে পারেনি ব্যাংকের শাখাগুলো। নগদ টাকার সঙ্কট মেটাতে কোনো ব্যাংকের বিনিয়োগ এভাবে বন্ধ করে দেওয়ার এ ঘটনা দেশে নজিরবিহীন।
ইসলামী ব্যাংক নতুন করে বিনিয়োগ প্রকল্প নিচ্ছে না বেশ আগে থেকেই। আর যেসব গ্রাহক ও প্রকল্পের জন্য বিনিয়োগ অনুমোদিত হয়েছিল সেগুলোতে অর্থ ছাড় করা হচ্ছিল খুব ধীর গতিতে। গতকাল থেকে তা একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হলো। এমনকি ব্যাংকের নিজস্ব কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত বিনিয়োগও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ইসলামী ব্যাংকের জনপ্রিয় সেবা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আউটলেট দেওয়ার কার্যক্রমও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকটির এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ১০৫টি আউটলেটের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে ৯৫টি আউটলেট চালু হয়েছে। বর্তমানে নতুন আউটলেট উদ্বোধন বন্ধ রেখেছে ব্যাংকটি। দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়ায় এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আরো ২০০টি আউটলেটের অনুমোদন চেয়েছিল ব্যাংকটি। বিনিয়োগসহ প্রয়োজনীয় সেবা বন্ধ রাখার পাশাপাশি ব্যাংকটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে এখনো ‘ছাঁটাই’ আতঙ্ক কাজ করছে। এতে ব্যাংকটি এক প্রকার স্থবির হয়ে পড়েছে। তবে আমানতকারীদের কাছ থেকে আমানত গ্রহণ ও প্রদান ঠিক রয়েছে বলে ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
নগদ টাকার সঙ্কট মেটাতে ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত আমানত ও বিনিয়োগ হার (আইডিআর) ঠিক করার জন্য বিনিয়োগ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এ নীতি হিতে বিপরীত হতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব্যাংকিং খাতের সংশ্লিষ্টরা। গত বছর জানুয়ারিতে ব্যাংকটিতে যে পরিবর্তন শুরু হয় তা চলতি মাসেও অব্যাহত থাকায় ব্যাংকটি নানান সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
বিনিয়োগ বন্ধ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র দেবাশিষ চক্রবর্তী বলেন, গ্রাহকের চাহিদা ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বিনিয়োগ বিষয়ে ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেয়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের সরাসরি কিছু বলার নেই। এ বিষয়ে ওই ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তই গুরুত্বপূর্ণ।
দেশের বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় এ ব্যাংক সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকটির এমন সঙ্কটে পড়ার যৌক্তিক কারণ নেই। ব্যাংকটির এত বছরে কখনো তহবিল সঙ্কটে (নগদ টাকা) পড়েনি। গত বছর প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ হয়েছে। তারপরও কেন এমন হচ্ছে সে বিষয়ে কেউই কিছু বলতে পারছে না। দিনে দিনে ব্যাংকটির প্রতি গ্রাহকদের আস্থা সঙ্কট বাড়ছে বলেও মনে করছেন তারা।
জানা গেছে, ইসলামী ব্যাংক থেকে বিনিয়োগ প্রাপ্তির অনুমোদন পাওয়া কোনো কোনো প্রকল্পে বড় অংকের টাকা বিনিয়োগ করে রেখেছে। এখন বিনিয়োগের পুরো অর্থ না পাওয়ায় ওই প্রকল্পগুলো পণ্য উত্পাদনে যেতে পারছে না। ফলে গ্রাহক ও ব্যাংক উভয়ে ক্ষতিতে পড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেখা গেছে, ইসলামী ব্যাংকের ৯২ শতাংশ হয়ে গেছে। যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিত হারের চেয়ে ২ শতাংশ বেশি। ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান মোট আমানতের পরিমাণ ৭৬ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা। যার মধ্যে মুদারাবা আমানত ৬৭ হাজার ৫৩ কোটি টাকা। আর বাকিটা খরচ ছাড়া (কস্ট ফ্রি) আমানত। ব্যাংকটি বিনিয়োগ রয়েছে ৭৭ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা। এ বিনিয়োগের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগ ৭৪ হাজার ৮৭ কোটি এবং বাকিটা শেয়ার বিনিয়োগ। সে হিসাবে আইডিআর ৯১ দশমিক ৪৬ শতাংশ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ইসলামী ব্যাংকগুলো তাদের সংগৃহীত আমানতের ৮৫ শতাংশ ঋণ বিতরণ করতে পারে। তবে সার্বিক আর্থিক সূচক ভালো থাকলে সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশ ঋণ বিতরণ করা যায়। যদিও সর্বোচ্চ এই হার এক শতাংশ কমিয়ে ৮৯ শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যেসব ব্যাংকের ঋণ ৮৯ শতাংশের বেশি রয়েছে তাদেরকে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে এই সীমার মধ্যে নামিয়ে আনতে হবে।
ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কখন চাকরি চলে যায় এমন আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছে। আর কি কারণে চাকরি যাচ্ছে সেটাও কারো কাছেই স্পষ্ট নয়। তুলনামূলক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাঝে এমন আতঙ্ক বিরাজ করছে।

শুক্রবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৮

বাংলা নববর্ষে মঙ্গল প্রতীক ও মঙ্গল শোভা যাত্রার নামে আমদানী করা হচ্ছে ভিন্নধর্মের অপসংস্কৃতি।

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24ঃ ১লা বৈশাখ বাংলা শুভ নববর্ষ উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি 
মাওলানা আ.ন.ম শামসুল ইসলাম আজ ১২ এপ্রিল, ২০১৮ নিম্নোক্ত শুভেচ্ছা বাণী প্রদান করেছেনঃ-
“বাংলা নববর্ষ আমাদের সামনে সমাগত। বাংলা নববর্ষে আমাদের দেশের ব্যবসায়ীগণ হালখাতার অনুষ্ঠান করে থাকেন। মোঘল সম্রাট আকবরের আমল থেকে খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে ১লা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
জাতি এমনি এক সংকটকালে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন করতে যাচ্ছে যখন জাতির ঘাড়ে বসে আছে এক কর্তৃত্ববাদীঅগণতান্ত্রিক সরকার। গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার দেশ থেকে নির্বাসিত। সরকারগণতন্ত্রের বুলি আওড়িয়ে জনগণের ওপর চালাচ্ছে জুলুম-নির্যাতন। লুট হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ, ধর্ষিতা হয়েছে অনেক মা-বোন, হত্যা ও গুম চলছে অবাধে। গুম, অপহরণ ও বিচার বর্হিভুত হত্যাকা-ের মাধ্যমে জীবন কেঁড়ে নেয়াহয়েছে অসংখ্য মানুষের। দেশে চলছে ঘুষ, দুর্নীতি ও লুটপাটের রাজত্ব।

ফ্যাসিবাদী সরকার মিডিয়ার কণ্ঠ রুদ্ধ করে দিয়েছে। বাক-স্বাধীনতাসহ মানুষের সকল মৌলিক অধিকার পদদলিত। বাংলা নববর্ষে মঙ্গল প্রতীক ও মঙ্গল শোভা যাত্রার নামে আমদানী করা হচ্ছে ভিন্নধর্মের অপসংস্কৃতি। ইসলামী শিক্ষা ও সংস্কৃতি ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এ অবস্থা থেকে জাতি মুক্তি চায়। তাই বাংলানববর্ষ মুক্তির সেই আহ্বান নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হয়েছে।
আসুন জাতি হিসেবে আরেকবার ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াবার শপথ নিই, যাতে বাংলাদেশের আপামর জনগণ শান্তি ও স্বস্তিÍর সাথে বাঁচার জন্য নিজেদের মত করে বাংলাদেশটাকে গড়ে তুলতে পারে। আমি দেশবাসী সকলের সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি, সুস্বাস্থ্য কামনার পাশাপাশি জুলুম ও শৃংখলমুক্ত বাংলাদেশ কামনা করছি এবং আমার দলের পক্ষ থেকে প্রিয় দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের উষ্ণ শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি। দেশবাসীকে ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে একটি জুলুমমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধশালী সমাজ গঠনে এগিয়ে আসার জন্য আন্তরিকভাবে আহ্বান জানাচ্ছি।”

সোমবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৮

অধ্যাপক মুজিবকে পুনরায় জেলগেটে গ্রেফতারের প্রতিবাদে জামায়াতের বিক্ষোভ কাল

আমাদের বাংলাতেশ নিউজ24: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলায় আদালত থেকে জামিন লাভ করা সত্ত্বেও ৮ এপ্রিল রাজশাহী জেলগেট থেকে তাকে পুনরায় অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি মাওলানা আ.ন.ম শামসুল ইসলাম বলেন, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান তার বিরুদ্ধে সরকারের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় আদালত থেকে জামিন লাভ করা সত্ত্বেও তাকে রাজশাহী জেলগেট থেকে পুনরায় অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে সরকার তার প্রতি চরম অন্যায় ও জুলুম করেছে। অন্যদিকে সরকার আইনের প্রতি চরম অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছে। সরকারের এহেন অন্যায় ও অমানবিক আচরণের তিনি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
আজ সোমবার দেয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকার অধ্যাপক মুজিবুর রহমানকে জেলগেট থেকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে পুনরায় অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে দেশের আইন ও আদালতের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছে। সরকারের উচিত ছিল তাকে মুক্তি দিয়ে আইন ও আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা। কিন্তু সরকার তা না করে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়েছে। সরকার নিজেই আইনের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করে আইনের শাসনকে গলা টিপে হত্যা করছে। কোন সভ্য গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের অন্যায় ও অগণতান্ত্রিক আচরণ কল্পনাও করা যায় না।
এ ধরনের অন্যায়, অমানবিক ও অগণতান্ত্রিক আচরণ পরিহার করে অধ্যাপক মুজিবুর রহমানকে অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেয়ার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী