বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭

ইসলামের মূল চেতনার অপব্যাখ্যার কারণে বিশ্বব্যাপী ভুল ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে: আইআইইউসিতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ইউজিসি চেয়ারম্যান

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান বলেছেনইসলামের মূল চেতনার অপব্যাখ্যার কারণে বিশ্বব্যাপী ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। দার্শনিকসহ বিভিন্ন ইসলামিক গুণী ব্যক্তির পদচারণায় এক সময় ইসলামের স্বর্ণযুগ ছিল। তিনি বলেনধর্মের নামে জঙ্গিবাদ ইসলামের সুনাম ক্ষুণ্ন করছে। সন্ত্রাসবাদীদের কোনো ধর্ম নেই। সন্ত্রাসবাদই হচ্ছে তাদের ধর্ম। গতকাল শনিবার সকালে কুমিরাস্থ আইআইইউসি (আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)’র ক্যাম্পাস মিলনায়তনে ‘ওয়ার্ল্ড পিস এন্ড সিকিউরিটিরোল অব ইসলাম’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আইআইইউসির এটি ১১তম সম্মেলন।
প্রফেসর আবদুল মান্নান বলেনইসলাম শান্তির ধর্মএটা আমরা গত ১৪০০ সাল থেকে বলে আসছি। বাংলাদেশে এটি আরো বেশি প্রযোজ্য। কারণ বাংলাদেশই সুফী মতবাদের কেন্দ্রবিন্দু। তিনি বলেনবাংলাদেশে ইসলাম কোনো শক্তির মাধ্যমে আসেনিসুফী সাধকদের মাধ্যমে এসেছিল। বিশাল মুসলিম জনগোষ্ঠী থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে ইসলাম নিয়ে বড় আকারের শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার কোন ঘটনা ঘটে নি। কিছু নির্বোধের কারণে ইসলাম প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে জানিয়ে আব্দুল মান্নান বলেন১৯৭১ সালে বাংলাদেশে ধর্মের নামে যুদ্ধ চাপিয়ে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। এক কোটি মানুষকে ঘর ছাড়া এবং একই সময় ৩ লাখ মাবোনের সম্ভ্রমহানি করা হয়েছিল। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭১ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত আমরা চেষ্টা করেছি যে চিন্তা নিয়ে আমরা বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছিলাম,সেই বাংলাদেশের চরিত্র বজায় রাখার জন্য। কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু নির্বোধের কারণে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে কোনো কোনো ক্ষেত্রে কিছু কাজ প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
ইউজিসি চেয়ারম্যান আরো বলেনএকটি নৈতিকতাবোধ সম্পন্ন রাষ্ট্র তৈরিতে আমরা অনেক দুর সাফল্য অর্জন করেছি। এখানে ধর্মের নামে শান্তি বিনষ্টকারী ঘটনা ঘটছে না। সরকারও এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স অবস্থানে রয়েছে । বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে ইসলামকে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে একত্রিত করে ফেলা হচ্ছে। তার অন্যতম কারণ হচ্ছেইসলামের অপব্যাখ্যা। তিনি সম্প্রতি আফগানিস্তানে নিরপরাধ ও অবুঝ শিশুদের হত্যার ঘটনা তুলে ধরে বলেনমুসলমান ধর্মের কোথায় লেখা আছেনিরপরাধ মানুষ অথবা মুসলমান কিংবা অন্য ধর্মাবলম্বী হোক আপনি হত্যা করতে পারবেনইউজিসি চেয়ারম্যান বলেনঅন্য ধর্মের নামে সন্ত্রাস হলেও তা ফলাও করে প্রচার হয় না। কিন্তু ইসলামের নামে নেতিবাচক কিছু হলে তার ব্যাপক প্রচার হয়। ইসলামের মূল চেতনার অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলেই এই গন্ডগোলটা হয়। তিনি বলেনবোমা মেরে ইসলাম কায়েম করা যায় না। তিনি বলেনইসলাম চর্চা করতে হলে বেশিদূর যেতে হবে না। চার্টার অব মদিনাইমাম বুখারীইবনে সিনার জীবনিসহ বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ভালো করে পড়লে ও বুঝলে ইসলামকে আত্মস্থ করা যাবে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবদুল করিম বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেনযদি স্রষ্টা ও সৃষ্টির প্রতি একজন মানুষ নিবেদিত হয় তাহলে সে যে কোনোভাবেই সন্ত্রাসবাদের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারে না। সন্ত্রাসের মূল কারণ অনুসন্ধান করতে হবে। এই অনুসন্ধানেও শিক্ষার প্রয়োজন আছে। তিনি বলেনইসলামের মূল চেতনা হচ্ছে সমতা ও শান্তি। সন্ত্রাসমুক্ত একটি শান্তির বিশ্ব পাওয়ার জন্য কোরআন ও হাদীস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে আইআইইউসি’র ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর এ কে এম গোলাম মহিউদ্দীন বলেনমুসলিম বিশ্ব একটি সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই সংকটকালে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পথ খুঁজতে হবে। এই সম্মেলন ইসলাম সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা দূর করতে সহায়ক হবে বলে তিনি এ সময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেনপ্রফেসর ডএ কে এম আজহারুল ইসলামভারতের আলীগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ডমোহাম্মদ সানাউল্লাহ নাদভীআলজেরিয়ার এমির আবদ আল কাদের ইউনিভার্সিটির ভাইসরেক্টর প্রফেসর ডডিজেমাই চিবাইকি এবং আইআইইউসি’র প্রোভাইস চ্যান্সেলর (ভারপ্রাপ্তপ্রফেসর ডমোদেলাওয়ার হোসাইন।
এর আগে স্বাগত বক্তব্য দেনশরীয়াহ অনুষদের ডীন ও আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ডমোনাজমুল হক নদভী। অতিথি মঞ্চে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজ এর ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডকাজী দ্বীন মোহাম্মদট্রাস্টি সদস্য অধ্যাপক আহসান উল্যাহ ও মোহাম্মদ নুরুল্লাহ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন চৌধুরী গোলাম মাওলালুৎফর রহমান ও মামুনুর রশীদ।
আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে বাংলাদেশের পাশাপাশি অস্ট্রিয়াইংল্যান্ডভারতহংকংমধ্যপ্রাচ্যইউরোপ ও আফ্রিকার ১৮ টি দেধের প্রতিনিধিরা অংগ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে ৬ জন কীনোট স্পিকার আছেন। কনফারেন্সে মোট প্রাপ্ত প্রবন্ধের সংখ্যা ১৫৮ টি। এরমধ্যে ৯০ টি প্রবন্ধ কনফারেন্সে উপস্থাপন করা হবে। এগুলোর ৬৯টি বিদেশি এবং ২১ টি দেশিয় প্রবন্ধ। সম্মেলনে ১৫ টি একাডেমিক সেশন হবে। প্রতিটি সেশনে ৬ টি করে প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে।
সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইআইইউসি’র সাবেক ভাইসচ্যান্সেলর প্রফেসর ডকেএমআজহারুল ইসলাম,ভারতের আলীগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ডমোহাম্মদ সানাউল্লাহ নাদভীআলজেরিয়ার এমির আবদ আল কাদের ইউনিভার্সিটির ভাইসরেক্টর প্রফেসর ডডিজেমাই চিবাইকিমরক্কোর ইবনে জহির ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ডমোহাম্মদ আবু ইয়াহিয়াসুদানের আল কোরআন এন্ড ইসলামিক সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ডনাজি মুস্তাফা বাদউই সুলায়মান এবং সুদানের উম্মে দারমান ইসলামিক ইউনির্ভাসিটির প্রফেসর ডআলী ঈসা বিন আব্দুর রহমান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী