বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

শুক্রবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৮

“জিএম রহিম উল্লাহ স্মৃতি ফাউন্ডেশন গঠিত”


আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ  কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের জনপ্রিয় সাবেক চেয়ারম্যান বিশিষ্ট রাজনীতিববীদ সাবেক ছাত্রনেতা ভারুয়াখালীর কৃতি সন্তান 'মরহুম জিএম রহিম উল্লাহ স্মৃতি ফাউন্ডেশন, গঠন কল্পে মরহুমের প্রতিষ্ঠিত ভারুয়াখালী মাদ্রাসা মাঠে ৩০ নভেম্বর শুক্রবার এক মতবিনিময় সভা আলহাজ্ব মাওলানা আবুল বশরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ নুরুল আমিন। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন সিনিয়র এডভোকেট মোঃ নেজামুল হক। 
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান সিকদার, ভারুয়াখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন, ভারুয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মাস্টার গোলাম কাদের, ভারুয়াখালী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা আবদুল হাকিম সিদ্দিকী, আইডিয়াল ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, ফজলুল হক মেম্বার, মাস্টার সুলতান আহমদ, মাওলানা সোলাইমান করিম, মাস্টার আবুল হোছাইন, মাওলানা আব্দুস ছালাম, মোঃ সায়েম, মাস্টার শেফাউদ্দীন, ব্যাংকার নুরুল মোস্তফা, শিক্ষানবীশ আইনজীবী আবু হেনা, শওকত ওসমান, রুহুল আমিন, মোহাম্মদ নূর, সাবেক মেম্বার মোবারক, শহীদুল্লাহ প্রমুখ। 
পরে সবার সম্মতিক্রমে জিএম রহিম উল্লাহ ফাউন্ডেশনের নয় সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

জাহাঙ্গীর আলম শামস।

মিঠাপুকুরের গোলাম রব্বানীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করার নিন্দা অব্যাহত ! রিটার্নিং অফিসার দায়িত্ব ও কর্তব্যের প্রতি চরম অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছেন -ডা. শফিকুর রহমান


আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ রংপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক জাতীয় সংসদের আসন নং ২৩, রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনের জন্য ২০ দলীয় জোট কর্তৃক মনোনীত জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মোঃ গোলাম রব্বানীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান বলেন, 
বাংলাদেশের সংবিধান ও গণপ্রতিনিধি আদেশ ১৯৭২ অনুযায়ী বাংলাদেশের যে কোন ভোটার নাগরিক জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার রাখেন। প্রার্থী হওয়ার যোগ্য কোন ব্যক্তি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করতে চাইলে তা গ্রহণ না করার কোনো এখতিয়ার প্রজাতন্ত্রের কোন কর্মকর্তাকে বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন দেয়নি। 
বিবৃতিতে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদের আসন নং ২৩, রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনে ২০ দলীয় জোটের মনোনীত প্রার্থী মোঃ গোলাম রব্বানীর মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার জন্য তার প্রতিনিধি এডভোকেট বায়েজীদ ওসমানীর নেতৃত্বে কয়েকজন আইনজীবী গত ২৮ নবেম্বর দুপুর ২টায় রিটার্নিং অফিসার রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত হলে তাদেরকে নানা অজুহাত দেখিয়ে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রেখে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে। পরবর্তীতে ডিসি, এসপি, সদর থানার ওসি ও রিটার্নিং কর্মকর্তারা মিলে গোপন বৈঠক করে, কোন কারণ ছাড়াই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিষেধ আছে বলে, তারা মোঃ গোলাম রব্বানীর নমিনেশন পেপার জমা নেয়নি। তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করে রিটার্নিং অফিসার তার দায়িত্ব ও কর্তব্যের প্রতি চরম অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছেন। শুধু তাই নয় তিনি আইন ও সংবিধানের প্রতিও অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছেন। আমরা তার এই ভূমিকার নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছি। মোঃ গোলাম রব্বানী তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নিকট লিখিতভাবে আবেদন করেছেন। 
তিনি আশা প্রকাশ করেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে তাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিবেন।

প্রার্থীতা নিয়ে বিএনপি জামায়াতের টানাপোড়ন ।

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর আসন সমঝোতা হয়েছিল ২৫টিতে। এসব আসনে জামায়াতের প্রার্থীদের বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট করতে হবে। কিন্তু গতকাল ওই ২৫টির বাইরে আরও ২২টি আসনে জামায়াতের নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ নিয়ে শেষ মুহূর্তে ২০–দলীয় জোটের এই দুই শরিকের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে।
এদিকে যে ২৫ আসন জামায়াতকে দেওয়া হয়েছে, সেগুলোতে বিকল্প প্রার্থী দিয়ে রেখেছে বিএনপি। অবশ্য ওই ২৫টির মধ্যে একটিতে গতকাল জামায়াতের প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। ফলে ধানের শীষ প্রতীকে ২৪ জন এবং স্বতন্ত্র ২২ মিলিয়ে জামায়াত মোট ৪৬ আসনে প্রার্থী দিল। অন্যদিকে জামায়াত স্বতন্ত্র হিসেবে যে ১৮ আসনে প্রার্থী দিয়েছে, সেগুলো বিএনপি, এর শরিক অন্য দলেরও প্রার্থী আছে।
জামায়াতের নেতাদের দাবি, তাঁদের চাপে রাখতে সমঝোতা হওয়া আসনগুলোতে বিএনপি বিকল্প প্রার্থী রেখেছে। এর পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে জামায়াতও ১৮টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়েছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান (রাজশাহী-১), প্রচার সেক্রেটারি অধ্যাপক তাসনীম আলম (নাটোর-১), নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ (সাতক্ষীরা-১), নুরুল ইসলাম বুলবুল (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩) ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ (পটুয়াখালী-২) সাবেক সচিব এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী (কুমিল্লা-৯) অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম (চট্টগ্রাম-১৬) অধ্যক্ষ তায়েব আলী (বগুড়া-৪) অন্যতম।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে বিএনপির কাছে দুটি অনুরোধ রেখেছিল জামায়াত। এক. যে ২৫টি আসনে সমঝোতা হয়েছে, সেগুলোতে যাতে বিএনপির কাউকে মনোনয়ন দেওয়া না হয়। দুই. ওই ২৫ আসনে যেন জামায়াতের দুজনকে মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়, যাতে তাদের মূল প্রার্থী কোনো কারণে বাছাইয়ে বাদ গেলে দ্বিতীয়জন ভোট করতে পারেন। কিন্তু বিএনপি প্রতিটি আসনেই জামায়াতকে একটি করে চিঠি দেয়। পাশাপাশি প্রায় সব কটি আসনেই বিএনপি নিজেদের প্রার্থীও মনোনয়ন দেয়। এ নিয়ে দুই দলের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়।
যদিও বিএনপির একটি সূত্র বলছে, শেষ মুহূর্তে জামায়াতের প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করতে না পারলে বা কোনো কারণে প্রার্থিতা বাতিল হলে ওই আসনটি একেবারে ফাঁকা হয়ে যেতে পারে। এই আশঙ্কা থেকে তারা বিকল্প প্রার্থী দিয়ে রেখেছে। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে জামায়াত বাড়তি ২২ আসনে প্রার্থী দিয়েছে।
এই বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহম​দ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এগুলো দর–কষাকষি ও চাপ তৈরির জন্য করা হয়।’ তিনি বলেন, প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৯ ডিসেম্বর। তার আগ পর্যন্ত কোনো কিছুই চূড়ান্ত বলা যাবে না। আরও অনেক সমঝোতা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, কেবল বিকল্প প্রার্থীই নয়; প্রতীক বরাদ্দ নিয়েও বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে মৃদু টানাপোড়েন ছিল। শুরুতে জামায়াতের দলীয় সিদ্ধান্ত ছিল স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করার। তখন বিএনপির দিক থেকে জামায়াতকে উদ্বুদ্ধ করা হয় ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে। শেষ মুহূর্তে জামায়াত মত বদলায় এবং ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা জানায়। কিন্তু মনোনয়নপত্র দাখিলের আগের দিন গত মঙ্গলবার রাতে বিএনপির পক্ষ থেকে জামায়াতকে বলা হয় স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করতে। এ নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে জামায়াত। পরে একপর্যায়ে জামায়াতকে ২৫টি আসনে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়।
এই বিষয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের প্রথম আলোকে বলেন, ‘এত দিন ওনারাই (বিএনপি) উদ্বুদ্ধ করেছিলেন আমরা যেন ধানের শীষ প্রতীক ​নিই। আমাদের মধ্যে এ বিষয়ে ভিন্ন মত থাকলেও শেষ পর্যন্ত সম্মত হই। কিন্তু বিএনপি মঙ্গলবার রাতে চিঠি ইস্যু করতে এতটা বিলম্ব করে যে আমাদের প্রার্থীদের চিঠি নিয়ে পৌঁছানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। ওই অবস্থায় আমরা সন্ধ্যায় আমাদের প্রার্থীদের বার্তা দিয়েছি, তাঁরা যেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হন।’ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, চূড়ান্তভাবে সমঝোতা হলে দুপক্ষই বাড়তি প্রার্থীদের প্রত্যাহার করে নেবে।
যে ২৫ আসনে সমঝোতা
বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের সমঝোতা হয় ঠাকুরগাঁও-২ (আবদুল হাকিম), দিনাজপুর-১ (মোহাম্মদ হানিফ), দিনাজপুর-৬ (আনোয়ারুল ইসলাম), নীলফামারী-২ (মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মন্টু), নীলফামারী-৩ (অধ্যক্ষ আজিজুল ইসলাম), গাইবান্ধা-১ (মাজেদুর রহমান সরকার), সিরাজগঞ্জ-৪ (রফিকুল ইসলাম খান), পাবনা-৫ (প্রিন্সিপ্যাল ইকবাল হুসাইন), ঝিনাইদহ-৩ (অধ্যাপক মতিয়ার রহমান), কুমিল্লা-১১ (ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের), কক্সবাজার-২ (হামিদুর রহমান আযাদ), চট্টগ্রাম-১৫ (আ ন ম শামসুল ইসলাম), যশোর-২ (মুহাদ্দিস আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন), বাগেরহাট-৩ (আবদুল ওয়াদুদ), বাগেরহাট-৪ (অধ্যাপক আবদুল আলীম), খুলনা-৫ (অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার), খুলনা-৬ (আবুল কালাম আযাদ), সাতক্ষীরা-৩ (মুফতি রবিউল বাশার), সাতক্ষীরা-২ (মুহাদ্দিস আবদুল খালেক), সাতক্ষীরা-৪ (গাজী নজরুল ইসলাম), পিরোজপুর-১ (শামীম সাঈদী), সিলেট-৫ (অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী), সিলেট-৬ (হাবিবুর রহমান), ঢাকা-১৫ (ডা. শফিকুর রহমান) ও রংপুর-৫ আসনে (অধ্যাপক গোলাম রব্বানী)।

এর মধ্যে রংপুর-৫–এ গোলাম রব্বানী মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। তিনি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি উপজেলা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়েছিলেন।
গোলাম রব্বানীর আইনজীবী বায়েজিদ ওসমানী বলেন, তাঁরা চেষ্টা করেও মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের দাবি করেন, পুলিশ ও প্রশাসনের বাড়াবাড়ির কারণে রংপুর–৫ আসনে গোলাম রব্বানী মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। তাঁরা আইনি ব্যবস্থা নেবেন।
জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট রায় দেন। গত ২৮ অক্টোবর দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাই দল হিসেবে জামায়াতের নির্বাচন করার সুযোগ নেই।
প্রথমআলো

সরে দাঁড়ালেন শাহজাহান চৌধুরী



আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসন থেকে সরে দাঁড়ালেন জামায়াতে ইসলামের কর্মপরিষদ সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী। এর পরিবর্তে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনে। দলীয় কোন্দল এড়াতে জামায়াতের সিদ্ধান্ত তিনি শেষ পর্যন্ত মেনে নিয়েছেন বলে সংগঠনটির নেতারা জানিয়েছেন। এখন এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে আছেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আ ন ম শামসুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমির জাফর সাদেক।
জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যদি আইনি জটিলতায় শেষ পর্যন্ত শামসুল ইসলাম নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারেন, তবে জাফর সাদেকই হবেন জামায়াতের প্রার্থীতবু শাহজাহান চৌধুরী নন। এই আসনে শাহজাহান চৌধুরী দুইবার সংসদ সদস্য ছিলেন। আর শামসুল ইসলাম ছিলেন একবার। এ নিয়ে দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। জাফর সাদেক অতীতে সাতকানিয়া পৌরসভার মেয়র নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তৃতীয় হয়েছিলেন।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে জাফর সাদেক কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, দলের সিদ্ধান্ত আমরা সবাই মেনে নেব।
চট্টগ্রাম-১০ আসনটির অবস্থান নগরীতে। ২০০৮ সালে এ আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান আওয়ামী লীগের নগর সহসভাপতি ডা. আফছারুল আমীনের কাছে হেরে যান। জানা যায়, জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্দেশে তখন থেকে শাহজাহান চৌধুরী চট্টগ্রাম-১০ আসনে কাজ করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ তিনি ওই এলাকা থেকেই গ্রেপ্তার হন। বর্তমানে শামসুল ইসলাম ও শাহজাহান চৌধুরী দুজনই জেলে আছেন। শাহজাহান চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ এক জামায়াত নেতা বলেন, তিনি চাপ সৃষ্টি করে দলের মনোনয়ন আদায়ের চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত দলীয় কোন্দলে জড়াতে চাননি।
তাই চট্টগ্রাম-১৫ আসনে তার জন্য ফরম কেনা হলেও সংগঠনের সবুজ সংকেত না থাকায় তিনি সেটিতে স্বাক্ষর করেননি।
নিজে দলীয় কোন্দল এড়িয়ে চলতে চাইলেও সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলায় রয়েছে শাহজাহান চৌধুরীর হাজার হাজার ভক্ত। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর সাতকানিয়া ও লোহগাড়ায় ব্যাপক ভাংচুর ও সড়কের দুই পাশের হাজার হাজার গাছ কাটা হয়। জামায়াত কর্মীদের হামলায় এক জাপানি নারী পর্যটক চোখ হারান। পুরো তা-বের নেতৃত্ব দেন শাহজাহান চৌধুরী।
জামায়াতে ইসলাম থেকে শামসুল ইসলামকে মনোনয়ন দেওয়ার ঘোষণা সত্ত্বেও লোহাগাড়া উপজেলা এলাকায় নাগরিক কমিটির ব্যানারে জামায়াত-শিবিরের একদল নেতাকর্মী ও সমর্থক শাহজাহান চৌধুরীকে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেন। তবে শাহজাহান চৌধুরী চট্টগ্রাম-১৫ আসনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে মনোনয়নপত্র গ্রহণে সম্মত না হওয়ায় তাঁর সমর্থকরাও পিছু হটে যান। এই কমিটির আহ্বায়ক ও আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন, আমরাও শেষ পর্যন্ত নেতার কথাই মেনে নিয়েছি।
জানা যায়, প্রতীক বরাদ্দ না দেওয়া পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামের নেতাকর্মীরা জনসম্মুখে না এসে নিজেদের এক প্রকার আড়াল করে রেখেছেন। তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে। একজন নেতা বলেন, প্রতীক বরাদ্দ ও প্রচার পুরোদমে শুরু হলেই তারা আনুষ্ঠানিকভাবে মাঠে নামবেন।
-আমাদের সময়

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী