চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এস আলম গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রতিবাদ করায় গ্রামবাসীর উপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে বাংলাদেশের পুলিশে। এতে কমপক্ষে পাঁচজন শাহাদাত বরণ করেছেন। তবে স্থানীয়রা দাবি করছেন শহীদের সংখ্যা এরই মধ্যে ১০ এ পৌঁছেছে।
সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বাঁশখালী উপজেলার উপকূলীয় গ্রাম গন্ডামারায় এ সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটে।
পুলিশের গুলিতে শহীদদের মধ্যে মর্তুজা আলী (৫২) ও আঙ্গুর আলী (৪৫) নামে দুই সহোদর রয়েছেন। এছাড়া জাকের আহমেদ (৩৫), বাদশা মিয়া ও বদিউল আলম নামে আরও তিনজন শহীদের নাম জানা গেছে।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, বাঁশখালীর গন্ডামারায় প্রায় ৬শ’ একর জমিতে ১২২৪ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক প্রাইভেট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে এস আলম গ্রুপ। পরিবেশের ক্ষতির কথা বিবেচনা করে এটির নির্মাণ বন্ধের দাবিতে বহুদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছেন স্থানীয়রা। কিন্তু পুলিশ ও স্থানীয় সরকার দলীয় কর্মীদের ব্যবহার করে এই আন্দোলনে বাধা দিয়ে আসছে এস আলম গ্রুপ। এরমধ্যে একাধিকবার সন্ত্রাসী হামলাও চালানো হয় আন্দোলনকারীদের উপর।
সর্বশেষ সোমবার গন্ডামারায় গ্রামবাসী শান্তিপূর্ণ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করতে গেলে মতলবি ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। জনগণ এই সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে শুরু করে। কিন্তু বিকাল বেলা পুলিশ একযোগে জনগণকে বন্দুক তাক করে ফেলে। তারা নিরস্ত্র জনগণের উপর গুলিবর্ষণ করতে থাকলে ঘটনাস্থলেই অনেকে লুটিয়ে পড়েন।
এ পর্যন্ত মর্তুজা আলী, আঙ্গুর আলী ও জাকের আহমেদসহ চারজন শহীদ হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।
গন্ডামারার ঘরে ঘরে আর্তচিৎকার আর মাতম চলছে। গুলিবিদ্ধ বহু মানুষকে স্থানীয় হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। কে মারা গেছে, কে বেঁচে আছে তা নিশ্চিত করে জানা যাচ্ছে না।
সূত্র : অনলাইন বাংলা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন