বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০১৬

রিজার্ভ চুরি বাংলাদেশেই হয়েছে: মাহফুজ উল্লাহ


বিশিষ্ট সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে যদি বায়োমেট্রিক সিস্টেম থেকে থাকে তাহলে ১০০ ভাগের উপরে সত্য যে বাংলাদেশেই রিজার্ভ চুরি হয়েছে। তিনি বলেন, যদিও সারা পৃথিবী জুড়েই হ্যাকিং হয় এবং হ্যাকিং এর বিষয় কিন্তু একাডেমিক ভাবে পড়ানো হয়, যারা কম্পিউটারের বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করেন তাদেরকে। পাড়ানোর কারণ হলো, আপনাকে কাউন্টার বিষয়টা জানানোর জন্য।
মঙ্গলবারে বাংলাভিশন টেলিভিশনে নিউজ এন্ড ভিউজ অনুষ্ঠানে সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ এ কথা বলেন।
মাহফুজ উল্লাহ বলেন, আজকে পৃথিবীতে এবং বিজ্ঞানে বায়োমেট্রিক এমন একটা বিষয় যেখানে কারো ছাপের সাথে কারো আঙ্গুলের ছাপ মেলে না। কারণ আল্লাহ্ আলাদা আলাদা অঙ্গুলের ছাপ তৈরি করে দিয়েছে সুতরাং এখানে আলাদা একটা পাসওয়ার্ড থাকে এবং একটা চাবি থাকে অনেকটা পেনড্রাইভ এর মত এবং তার মধ্যে একটা বিলটিন সফটওয়ার থাকে।
তিনি বলেন, এখানে বড় একটা টেকনিক্যাল বিষয় আছে, আর যে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে সেখানে একজন টেকনোলজি বিশেষজ্ঞ থাকা খুবই দরকার ছিল কিন্তু নেই।
তিনি আরও বলেন, এখানে যে বিষয়টা ঘটেছে তাতে পরিষ্কার ভাবে ৩টা বিষয় আছে তা হলো, সুইফট কোডের মাধ্যমে সুইফট এর মেম্বার যারা থাকে “বেলজিয়ামে” তাদের প্রতেকের আলাদা আলাদা কোড আছে এবং সুইফটের পুরো সফটওয়ার সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং এটা ভাঙ্গা কোনো ভাবেই সম্ভব না এবং কোনো কালেই হয়নি। এছাড়াও সুইফটের সফটওয়ার দিয়ে যখন কাজ করে, সেই কম্পিউটার গুলো সম্পূর্ণ আলাদা থাকে এবং বিশেষ লোকের কাছে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংকেও তাই ছিল।
সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ বলেন, আমরা যতটুকু জানি তাতে আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংকেও ৩টা কম্পিউটার আছে যেখানে সুইফট সফটওয়াকে ব্যবহার করে। যারা এটা ব্যবহার করেন তারা একটা লকড তৈরি করে এবং সেই লকডটা নিউইয়র্ক, বেলজিয়ামে এবং অন্যান্য জায়গায় সংরক্ষিত থাকে। সেই কম্পিউটারটা যদি কেউ দেখে তাহলে বোঝা যাবে যে কে কখন কিভাবে ব্যবহার করেছে তার একটা রেকর্ড থাকে এবং সেটা কখনোই মুছে ফেলা যায় না।
তিনি আরও বলেন, এখন যে পাসওয়ার্ড থাকে সেটা ৬৪ বিটের হয়ে থাকে এবং সেখানে ছোট হাতের এবং বড় হাতের অনেক কিছু মিলিয়ে পাসওয়ার্ড করতে হয়। যেটা মনে রাখা সম্ভব না এবং সুইফটের নিয়ম অনুসারে ১ মাসের বেশি ঐ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা যায় না, কিন্তু কিছু কিছু সময়ে এর আগেও পরিবর্তন করা যায় কিন্তু ১ মাসের বেশি রাখা যায় না। সুইফটের যে আলাদা ক্ষমতা তাতে বাহিরের কোনো কিছু প্রবেশ করানো সম্ভব না যদি প্রবেশ করেও থাকে তাহলে সাথে সাথে বন্ধ হয়ে যাবে এবং কোন কাজ করা সম্ভব না।
তিনি বলেন, এখন আইনজীবী আজমল সাহেব যে প্রশ্নটা তুলেছেন যে এতগুলো ফেরত এসেছে। দেখেন এটা একটা বিষয় আছে সেটা হলো, যদি পুরো তথ্য না থাকে এবং যদি সঠিক না হয় তাহলে ব্যাংক কিন্তু নেয় না, আমাদের এখানেই নেয় না তারপর ওখানে। শ্রীলংকায় যে টাকাটা শনাক্ত করা গেছে সেটা কিন্তু জার্মানিতে শনাক্ত করা হয়েছে।
কারণ তারা ফাউন্ডেশনের জায়গায় ফাউন্ডেট লেখেছে।
তিনি আরও বলেন, আমেরিকায় ৩টা ব্যাংকের মাধ্যমে এই টাকাগুলো ফিলিপাইনে গেছে। কাজেই এখান থেকে যদি পরিষ্কার নির্দেশনা না দেয় তাহলে ওখানে নেয়ার কথা না। কারণ রির্জাভ ফেডারেল ব্যাংকেও এই ধরণের ঘটনা কোনো দিনও ঘটে নাই। আসলে নির্দেশনা ছাড়া করা সম্ভব না।
সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ বলেন, কম্পিউটার সম্পর্কে সারা পৃথিবীতে একটা কথা বলা আছে সেটা হচ্ছে কম্পিউটার একটা বোকা যন্ত্র যেখানে আরগুমেন্ট হয় না। আমরা কম্পিউটারকে যে ভাবে নির্দেশনা দিবো ও সেই ভাবেই করবে। কিন্তু সুইফটের যে পাসওয়ার্ডগুলো থাকে সেটা ভাংতে হলে সুপার কম্পিউটার দরকার যা শুধু মাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই আছে। সুপার কম্পিউটারের যে ক্ষমতা তা সাধারণ মানুষ কল্পনাও করতে পাবে না।
তিনি বলেন,“এটা হ্যাকিং না এটা চুরি, এবং যারা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে আছে তারাই এটি করেছে। আর এটা বের করারা দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের আমর আপনার না”।
তাহলেতো পৃথিবীর সব হ্যাকিংকে চুরি বলতে হবে?
জবাবে তিনি বলেনা সব হ্যাকিং চুরি না, যেটা হ্যাকিং সেটা হ্যাকিংই আর যেটা চুরি সেটা চুরিই। এখানে আপনাকে পার্থক্য বুঝতে হবে। উদাহরণ স্বরুপ তিনি বলেন চুরি আর খুন কি এক বিষয় ? এখানে যারা এই ধরণের কথা বলে বা এই ধরণের শব্দ ব্যবহার করে তাদের পার্থক্যটা বোঝা উচিত।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক একটা গাধার মত ভাইরাসের কথা বলছে, কারণ সুইফটে সফটওয়ারে ভাইরাসের ঘটনা ঘটতে পারে না। হ্যা ভাইরাস আসতে পারে সেটা সাধারণ কম্পিউটারের ক্ষেত্রে কিন্তু সুইফট সফটওয়ার এর কম্পিউটার সম্পূর্ণভাবে আলাদা। আর যদি তাই হতো তাহলে তো অনেক আগেই রিজার্ভ ব্যাংক বন্ধ হয়ে যেত, সুইফটও বন্ধ হয়ে যেত। এখানে মানুষের নির্দেশনা ছাড়া সম্ভব না। আস

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী