আমাদের বাংলাদেশ নিউজ ডেস্কঃ নির্বাচনী মৌসুম শেষ হতেই সারাদেশে ধর্ষণের মৌসুম শুরু হয়ে গেলো! নির্বাচনে বিজয়ের উৎসবটা শুরু হয়েছে ৪ সন্তানের জননীকে গণধর্ষন দিয়ে!
ধর্ষকের অভয়রাণ্যে দুই বছরের শিশুদেরও কোন নিস্তার নাই। এদেশে ধর্ষণের আইন থাকলেও বিচার নাই! এখানে আইনের চেয়ে ক্ষমতার দাপটই যেন মূখ্য! যেদেশে ধর্ষণের শতক পূরন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে মিষ্টি বিতরন করা হয়, সেখানে ধর্ষণ যেন নেতা হবার আশ্চর্য এক যোগ্যতা!
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর গড়ে মাত্র ৪ শতাংশ ধর্ষণ মামলার সাজা হয়। বাকিদের অধিকাংশই মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছে। বেসরকারী জরীপে, ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণার হার ৩ দশমিক ৬৬ ভাগ। আর সাজার হার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ।
ধর্ষণের শাস্তির এই দশাই বলে দেয়, ধর্ষণের বিচারহীনতাই ধর্ষণ সংঘটনের বড় উৎসাহের কারন! কেননা দেশে এই ধর্ষক পশুদের সামনে কোনো কঠোর শাস্তির দৃষ্টান্ত যে নেই!
অনেকেই সুযোগ পেলেই ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক কঠিন শাস্তির সমালোচনা করেন। ইসলামে চুরির শাস্তি হাত কাটা। কিন্তু ইসলামী রাষ্ট্রে কতজনকে আপনারা হাতকাটা দেখেছেন? কালেভদ্রে চোরের হাত কাটা হয়। ধর্ষকের শিরোচ্ছেদ হয়। এগুলো দৃষ্টান্ত সৃষ্টির জন্য। কারন হাতকাটার ভয়ে সেখানে উম্মুক্ত স্বর্নের দোকানে ঢুকতেও কারো সাহসে কুলায় না। এটাকেই আমরা আমাদের জুরিসপ্রুডেন্স বা আইনবিজ্ঞানে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বলি। অর্থাৎ দুয়েকজনকে কঠিনতম দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করা, যাতে কঠোর শাস্তির ভয়ে কেউ এপথে পা না বাড়ায়।
ইদানীং অনেকেই ধর্ষণের বিচারহীনতার বিরুদ্ধে ইসলামের কঠোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কথা বলে আসছেন। কেননা, ইসলামে ধর্ষককে দেখা হয় ‘মুহাররিব’ হিসেবে, যার অর্থ হচ্ছে, রাষ্ট্র ও আল্লাহ্র বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণাকারী। মুহারাবার বা ধর্ষকের শাস্তির ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহ ও তার রাসুলের সঙ্গে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলিতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেওয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হলো- তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্চনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি।’ (সুরা মায়েদা, আয়াত: ৩৩)
ইসলামের এই শাস্তির মত দুই একটা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যদি বাস্তবায়িত করা যেতো তাহলে দেশে আজ ধর্ষণের মৌসুম চলতো না, বরং মা বোন শিশু কন্যাদের জন্য স্বস্তির মৌসুম চলতো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন