আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃ বিশ্বজিত এবং নুরু উভয়ের চেহারায় বোধহয় একটা ‘শিবির -শিবির ‘ ভাব আছে । এই ভাবটির কারণেই বেচারা বিশ্বজিতকে জীবনটি দিতে হয়েছিল । ডাকসু ভিপি নুরুকে তজ্জন্যে কী দিতে হয় তা এখনও তা স্পষ্ট নয় ।
সরকার ও সরকারপন্থী মিডিয়া ঠিক ঠাহর করতে পারছে না , একে শিবির বানাবে নাকি ছাত্রলীগ বলে কোলে তুলে নিবে । অর্থাৎ এখন সরকারের একহাত নুরের পায়ে , অন্য হাত ঘাড়ে ।
এদেশের মিডিয়ায় ও সুশীল সমাজে এটি মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে পড়েছে যে শিবিরকে খুন করা ছাত্রলীগের জন্যে নৈতিকভাবে সিদ্ধ । শুধু ছাত্রলীগের বীরদের একটু খেয়াল রাখতে হবে যাতে
বিশ্বজিতদের যেন শিবির বলে ভুল না করে ।
উগ্র এই ছাত্র সংগঠনটি পুলিশকে পাশে রেখে ‘ নুরুর চামড়া তুলে নেব আমরা ‘ , শিবির ধর , জবাই কর ‘ শ্লোগান দিচ্ছে ! একটি রাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সামনে এই ধরণের প্রকাশ্য হুমকি কি কোনো সভ্য সমাজে সম্ভব ?
শিবিরের প্রতি এই উস্মার কারণ তাদের ধারনা কোটা আন্দোলনের সাথে যুক্ত নুরু , রাশেদ প্রমুখ নেতা শিবিরের গোপন ক্যাডার ।
মতলব , Give the dog a bad name and kill him.
এই শিবির অপবাদ দেয়ার পরেও নুরুদের উথ্থান ঠেকানো সম্ভব হয় নি । তাই এখন আবার নুরুকে কাছে টানার কোশেশ শুরু হয়ে গেছে । এই লীগ সব পারে ।
নিজেরা হিজাব পরে , পট্টি পরে । আবার হিজাব পরিহিত ছাত্রীদের শিবিরের ছাত্রী সংস্থার সদস্য বলে অভিহিত করে । গতকাল একটি ছাত্রী হলে গিয়ে আন্দোলনরত ছাত্রীদেরকে
ছাত্রী সংস্থা বলে শাসিয়ে এসেছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক । অথচ মহিলা লীগের যে কোনো সমাবেশেও এখন অনেক হিজাব দেখা যায় । এটা মূলত শিবিরাতংক থেকে সৃষ্ট ।
কেন যেন মনে হচ্ছে , এই দেশটিকে এখন এই সাহসী মেয়েরাই সঠিক গন্তব্যে নিয়ে যাবে ।এই সাহসী মেয়েরা এখন দুর্ধর্ষ ছাত্রলীগ সভাপতির মুখের উপর সন্ত্রাসী বলার হিম্মত দেখাতে পারে ! এখন মাথার উপরে হিজাব না বেহিজাব সেটি বিষয় নয় । মূল কনসার্ন হলো, মাথার ভিতরে কী আছে !
নিজেদেরকে অ-শিবির প্রমাণ করতে গিয়ে অহেতুক শক্তিক্ষয়েরও দরকার নেই । দেশবাসী মালুম করে ফেলেছে এদের শিবির জুজুর মূল কারনটি ।
এখানে আরেকটি বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখা দরকার । পুরো রাজনৈতিক ম্যানুভারিংএ ছাত্রদলের ভূমিকাকে কেমন যেন গৌণ করে ফেলা হয়েছে । এটিও ঠিক নহে । মনে রাখতে হবে বিএনপি এখনো দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল । সেই দলকে পাশ কাটিয়ে এ মুহুর্তে কোনো কাঙ্খিত পরিবর্তন সম্ভব নহে ।
বিএনপি নেতৃত্বকেও উদার মন নিয়ে স্বত:স্ফুর্ত ভাবে গজিয়ে ওঠা এই তরুণ নেতৃত্বকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহন করতে হবে ।
মনে রাখা দরকার এদেশের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক পরিবর্তনে / উথ্থানে ডাকসু অগ্রণী ভূমিকা রেখে এসেছে । সেই ডাকসুকে এখন ডি পলিটিসাইজ করে ফেলা কিংবা রাজনৈতিক ইস্যুতে বোবা বানিয়ে রাখা জাতির জন্যে কোনওভাবেই কল্যাণকর হবে না ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন