আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ আপনি পর্দার খুব গভীর ব্যাখ্যা দিয়ে নিজের দীনদারির গভীরতা দেখাচ্ছেন, অথচ সামগ্রিক ইসলামের জ্ঞানে আপনার এতটুকু গভীরতা নেই যে মাসালা এখানে বোরকা পরে ক্রিকেট খেলার বৈধতা নিয়ে নয়। মাসালা ইসলামের ন্যূনতম সৌন্দর্য দেখে বিবেক-প্রতিবন্ধীদের এলার্জি রোগের।
আপনি একজন সাধারণ (নন আলেম) ফ্যামিলির অসাধারণ মায়ের ভেতর খুঁজছেন তাকওয়ার সবোর্চ্চ স্তর, অথচ দেখতে পাচ্ছেন না ওদের গায়ে কী প্রচণ্ড আগুন ধরে গেছে। একজন আধুনিক মাকে বোরকা পরা আর তাঁর সন্তানকে মাদ্রাসায় দেওয়া ওদের উন্মাদ বানিয়ে দিয়েছে।
একজন জাতীয় দলের ফুটবলারের বোন, একজন জাতীয় নারী খেলোয়াড়ের কত বড় রূপান্তর! মুখ ঢাকা বোরকা পরছেন। সন্তানকে দিয়েছেন মাদ্রাসায়। এমন একটা পরিবার ও প্রেক্ষাপট থেকে যারা দীনের পথে আসেন, তাদের যে নিজের পরিবার-প্রতিবেশে কত লড়াই করতে সেটা কি আপনারা অনুধাবন করেন?
সবার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, আপনারা যারা জন্মের পর থেকে পরিবারের সবাইকে ইসলামের ভেতর পেয়েছেন, তারা কখনো এই ভাইরাল মহিলার স্বপ্ন ও সাধনার মাহাত্ম্য বুঝতে পারবেন না। চৌদ্দ গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথম আমাকে মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দেওয়ার পর আমি ও বাবা-মা কত পরীক্ষা দিয়েছি তা আমরাই জানি। এই ক্রিকেটার মাদ্রাসার ছাত্রটিকে দেখে নিজের অনেক অতীত আনন্দ-বেদনা জাগরূক হয়েছে।
পরিশেষে একটি আত্মসমালোচনামূক কথা বলি, সাহাবায়ে কেরাম অন্যের সামান্য দীনদারিকেও বড় মূল্যায়ন করতেন। আর নিজের গভীর পরহেজগারিকেও ভাবতেন সামান্য। আমরা তাঁদের সম্পূর্ণ উল্টো। অন্যের এত এত আমল-আখলাক দেখেও তার মন্দ বা দুর্বল দিকগুলোই সামনে আনি। অথচ নিজের লেবাস আর গতানুগতিক আমলেই আত্মতুষ্ট থাকি। নিজের বড় বড় গলদ ও গুনাহকেও তুচ্ছ মনে করি।
(সংগৃহীত)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন