আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ আয়াত সমূহের অনুবাদ তাফহীমুল কুরআন থেকে নেওয়া হয়েছ। আরও বিস্তারিত ভাবে বুঝার জন্য তাফহীমুল কোরআন থেকে তাফসীর পড়ে নেওয়া যেতে পারে।
1. আল্লাহ তালার নাম নিলে ভয়ে অন্তর কেঁপে উঠবেঃ
﴿إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ اللَّهُ وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيمَانًا وَعَلَىٰ رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ﴾
সাচ্চা ঈমানদার তো তারাই আল্লাহকে স্মরণ করা হলে যাদের হৃদয় কেঁপে ওঠে৷ আর আল্লাহর আয়াত যখন তাদের সামনে পড়া হয়, তাদের ঈমান বেড়ে যায় ২ এবং তারা নিজেদের রবের ওপর ভরসা করে৷ (সুরা আনফাল ২)
2. আল্লাহ তালার সাথে কক্ষনো শিরক করবে নাঃ
لَا يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَٰهًا آخَرَ
তারা আল্লাহ ছাড়া আর কোন উপাস্যকে ডাকে না। (সুরা ফুরকান ৬৮)
3. জিনা করবে নাঃ
وَلَا يَزْنُونَ
ব্যভিচার করে না৷(সুরা ফুরকান ৬৮)
4. নিজেদের লজ্জা স্থানের হেফাজত করেঃ
﴿وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَ﴾
নিজেদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। (সুরা মুমিনুন ৫)
5. খুশু সহকারে নামাজ আদায় করেঃ
﴿الَّذِينَ هُمْ فِي صَلَاتِهِمْ خَاشِعُونَ﴾
যারাঃ নিজেদের নামাযে বিনয়াবনত হয়,
﴿وَالَّذِينَ هُمْ عَلَىٰ صَلَوَاتِهِمْ يُحَافِظُونَ﴾
এবং নিজেদের নামাযগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করে,
( সুরা মুমিনুন ২, ৯)
6. পিতা মাতার প্রতি উফ শব্দও করবে নাঃ
فَلَا تَقُل لَّهُمَا أُفٍّ
তাদেরকে “উহ্” পর্যন্তও বলো না (সুরা ইসরা ২৩)
7. অযথা এবং বাজে কাজথেকে দূরে থাকবেঃ
﴿وَالَّذِينَ هُمْ عَنِ اللَّغْوِ مُعْرِضُونَ﴾
বাজে কাজ থেকে দূরে থাকে। (সুরা মুমিনুন ৩)
8. জান মাল দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে।
9. কক্ষনোই ধারণা করে কাজ করবে নাঃ
﴿وَقَالُوا مَا هِيَ إِلَّا حَيَاتُنَا الدُّنْيَا نَمُوتُ وَنَحْيَا وَمَا يُهْلِكُنَا إِلَّا الدَّهْرُ ۚ وَمَا لَهُم بِذَٰلِكَ مِنْ عِلْمٍ ۖ إِنْ هُمْ إِلَّا يَظُنُّونَ﴾
এরা বলে : জীবন বলতে তো শুধু আমাদের দুনিয়ার এই জীবনই৷ আমাদের জীবন ও মৃত্যু এখানেই এবং কালের বিবর্তন ছাড়া আর কিছুই আমাদের ধ্বংস করে না৷ প্রকৃতপক্ষে এ ব্যাপারে এদের কোন জ্ঞান নেই৷ এরা শুধু ধারণার বশবর্তী হয়ে এসব কথা বলে৷(সুরা জাসিয়া ২৪)
10. মূর্খদের সাথে কক্ষনো তর্ক করে নাঃ
وَإِذَا خَاطَبَهُمُ الْجَاهِلُونَ قَالُوا سَلَامًا﴾
মূর্খরা তাদের সাথে কথা বলতে থাকলে সালাম বলে দেয় (সুরা ফুরকান ৬৩)
11. নিন্দুকের নিন্দাকে পরওয়া করে নাঃ
وَلَا يَخَافُونَ لَوْمَةَ لَائِمٍ ۚ
যারা আল্লাহর পথে প্রচেষ্টা ও সাধনা করে যাবে এবং কোন নিন্দুকের নিন্দার ভয় করবেনা (সুরা মায়েদা ৫৪)
12. কক্ষনোই মিথ্যা কথা বলবে নাঃ
﴿وَالَّذِينَ هُمْ لِأَمَانَاتِهِمْ وَعَهْدِهِمْ رَاعُونَ﴾
নিজেদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে
13. আমানতের খিয়ানত করবে না।
14.প্রতিশ্রুতি দিলে রক্ষা করবে।
وَالْمُوفُونَ بِعَهْدِهِمْ إِذَا عَاهَدُوا
যারা অংগীকার করে তা পূর্ণ করবে (সুরা বাকারা ১৭৭)
15.পরিপুরন ভাবে যাকাত আদায় করবে।
وَآتَى الزَّكَاةَ
যাকাত দান করবে (সুরা বাকারা ১৭৭)
16.ইয়াতিমের হক নষ্ট করবে না।
﴿وَآتُوا الْيَتَامَىٰ أَمْوَالَهُمْ
এতিমদেরকে তাদের ধন-সম্পদ ফিরিয়ে দাও৷ (সুরা নিসা ২)
17. রাস্তায় অবস্থান রতদের সাহায্য করবে।
সুরা বাকারা ১৭৭ নম্বর আয়াত দেখুন।
18. কাফিরদের সাথে শক্ত দিল আর মুমিনদের সাথে সৌহার্দপূর্ণ আচরন করবে।
أَشِدَّاءُ عَلَى الْكُفَّارِ رُحَمَاءُ بَيْنَهُمْ
মুহাম্মাদ আল্লাহর রসূল৷ আর যারা তাঁর সাথে আছে তারা কাফেরদের বিরুদ্ধে আপোষহীন ৫২ এবং নিজেরা পরস্পর দয়া পরবশ৷ (সুরা ফাতহ ২৯)
19.মানুষের ভুল ভ্রান্তিকে ক্ষমা করবে।
وَالْعَافِينَ عَنِ النَّاسِ ۗ
অন্যের দোষ –ক্রটি মাফ করে দেয়৷ (সুরা আলে ইমরান ১৩৪)
20. সর্বাবস্থায় কেবল মাত্র আল্লাহতালার উপরেই নির্ভর করবে।
.কেবল মাত্র মুমিনদেরকেই বন্ধু হিসেবে গ্রহন করবে।
﴿لَّا يَتَّخِذِ الْمُؤْمِنُونَ الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاءَ مِن دُونِ الْمُؤْمِنِينَ ۖ وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ فَلَيْسَ مِنَ اللَّهِ فِي شَيْءٍ إِلَّا أَن تَتَّقُوا مِنْهُمْ تُقَاةً ۗ وَيُحَذِّرُكُمُ اللَّهُ نَفْسَهُ ۗ وَإِلَى اللَّهِ الْمَصِيرُ﴾
মু’মিনরা যেন ঈমানদারদের বাদ দিয়ে কখনো কাফেরদেরকে নিজেদের পৃষ্ঠপোষক, বন্ধু ও সহযোগী হিসেবে গ্রহণ না করে৷ যে এমনটি করবে, আল্লাহর সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই৷ তবে হ্যাঁ, তাদের জুলুম থেকে আত্মরক্ষার জন্য তোমরা যদি বাহ্যত এ নীতি অবলম্বন করো তাহলে তা মাফ করে দেয়া হবে৷২৫ কিন্তু আল্লাহ তোমাদেরকে তাঁর নিজের সত্তার ভয় দেখাচ্ছেন আর তোমাদের তাঁরই দিকে ফিরে যেতে হবে৷ (আলে ইমরান ২৮)
22.অভাব অনটন এবং সচ্ছলতায় সর্বাবস্থায় দান করবে।
﴿الَّذِينَ يُنفِقُونَ فِي السَّرَّاءِ وَالضَّرَّا
যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল সব অবস্থায়ই অর্থ-সম্পদ ব্যয় করে এবং যারা ক্রোধ দমন করে (আলে ইমরান ১৩৪)
23.রাগান্বিত হলে রাগকে দমন করবে।
وَالْكَاظِمِينَ الْغَيْظَ
যারা ক্রোধ দমন করে (আলে ইমরান ১৩৪)
24.অন্যদের উপাস্যকে গালি দিবে না।
﴿وَلَا تَسُبُّوا الَّذِينَ يَدْعُونَ مِن دُونِ اللَّهِ
আর ( হে ঈমানদারগণ!) এরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদেরকে ডাকে তোমরা তাদেরকে গালি দিয়ো না৷ (আনআম ১০৮)
25.অন্যায় ভাবে কাওউকে হত্যা করবে না।
وَلَا تَقْتُلُوا النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ
আল্লাহ যে প্রাণকে মর্যাদা দান করেছেন ন্যায় সংগতভাবে ছাড়া তাকে ধ্বংস করো না৷(আনআম ১৫১)
26.আল্লাহর আয়াতকে অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করা যাবে না।
لَا يَشْتَرُونَ بِآيَاتِ اللَّهِ ثَمَنًا قَلِيلًا
আল্লাহর আয়াতকে সামান্য দামে বিক্রি করে না৷(আলে ইমরান ১৯৯)
27.মিথ্যার রঙে রাঙিয়ে সত্যকে সন্দেহযুক্ত করো না এবং জেনে বুঝে সত্যকে গোপন করার চেষ্টা করো না৷
﴿وَلَا تَلْبِسُوا الْحَقَّ بِالْبَاطِلِ وَتَكْتُمُوا الْحَقَّ وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ﴾
মিথ্যার রঙে রাঙিয়ে সত্যকে সন্দেহযুক্ত করো না এবং জেনে বুঝে সত্যকে গোপন করার চেষ্টা করো না৷ (বাকারা ৪২)
28.মানুষকে একথা বলতে পারবে না যে ‘’তুমি মুমিন নও’’।
ً ﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا ضَرَبْتُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَتَبَيَّنُوا وَلَا تَقُولُوا لِمَنْ أَلْقَىٰ إِلَيْكُمُ السَّلَامَ لَسْتَ مُؤْمِنًا
হে ঈমানদারগণ ! যখন তোমরা আল্লাহর পথে জিহাদ করার জন্য বের হও তখন বন্ধু ও শত্রুর মধ্যে পার্থক্য করো এবং যে ব্যক্তি সালামের মাধ্যমে তোমাদের দিকে এগিয়ে আসে তাকে সংগে সংগেই বলে দিয়ো না যে, তুমি মুমিন নও৷ (সুরা নিসা ৯৪)
29. কোন রাসুলের মধ্যই পার্থক্য করবে না।
﴿قُولُوا آمَنَّا بِاللَّهِ وَمَا أُنزِلَ إِلَيْنَا وَمَا أُنزِلَ إِلَىٰ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَالْأَسْبَاطِ وَمَا أُوتِيَ مُوسَىٰ وَعِيسَىٰ وَمَا أُوتِيَ النَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمْ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ﴾
হে মুসলমানরা!তোমরা বলো, “আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর প্রতি, যে হিদায়াত আমাদের জন্য নাযিল হয়েছে তার প্রতি এবং যা ইবরাহীম, ইসমাঈল , ইসহাক , ইয়াকুব ও ইয়াকুবের সন্তানদের তাদের রবের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছিল তার প্রতি ৷ তাদের করোর মধ্যে আমরা কোন পার্থক্য করি না৷ ১৩৬ আমরা সবাই আল্লাহর অনুগত মুসলিম ৷” (বাকারা ১৩৬)
30.মাটিতে নম্রভাবে চলাফেরা করবে।
﴿وَعِبَادُ الرَّحْمَٰنِ الَّذِينَ يَمْشُونَ عَلَى الْأَرْضِ هَوْنًا
রহমানের (আসল) বান্দা তারাই , যারা পৃথিবীর বুকে নম্রভাবে চলাফেরা করে (ফুরকান ৬৩)
31. সঠিকভাবে ওজন করবে ওজনে কম দেয় না।
وَيْلٌ لِّلْمُطَفِّفِينَ﴾
ধবংস তাদের জন্য যারা মাপে কম দেয়৷
وَأَوْفُوا الْكَيْلَ وَالْمِيزَانَ بِالْقِسْطِ
ওজন ও পরিমাপে পুরোপুরি ইনসাফ করো (আনআম ১৫২)
32.হালাল এবং পাক পবিত্র জিনিশ ভক্ষন করবে।
﴿يَا أَيُّهَا النَّاسُ كُلُوا مِمَّا فِي الْأَرْضِ حَلَالًا طَيِّبًا وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ ۚ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ﴾
হে মানব জাতি ! পৃথিবীতে যে সমস্ত হালাল ও পাক জিনিস রয়েছে সেগুলো খাও এবং শয়তানের দেখানো পথে চলো না। (বাকারা ১৬৮)
33.কক্ষনোই মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করবে না।
﴿وَالَّذِينَ لَا يَشْهَدُونَ الزُّورَ وَإِذَا مَرُّوا بِاللَّغْوِ مَرُّوا كِرَامًا﴾
(আর রহমানের বান্দা হচ্ছে তারা) যারা মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় না এবং কোন বাজে জিনিসের কাছ দিয়ে পথ অতিক্রম করতে থাকলে ভদ্রলোকের মত অতিক্রম করে যায়৷ (ফুরকান ৭২)
34.পেঁচিয়ে কথা বলবে না।
وَإِن تَلْوُوا أَوْ تُعْرِضُوا فَإِنَّ اللَّهَ كَانَ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرًا﴾
আর যদি তোমরা পেঁচালো কথা বলো অথবা সত্যতাকে পাশ কাটিয়ে চলো, তাহলে জেনে রাখো, তোমরা যা কিছু করছো আল্লাহ তার খবর রাখেন৷ (নিসা ১৩৫)
35. মানুষকে ন্যায়সঙ্গত ভাবে শাসন করবে।
36.অভাব অনটনের কারনে সন্তান হত্যা করবে না।
وَلَا تَقْتُلُوا أَوْلَادَكُم مِّنْ إِمْلَاقٍ ۖ نَّحْنُ نَرْزُقُكُمْ وَإِيَّاهُمْ
দারিদ্রের ভয়ে নিজের সন্তানদেরকে হত্যা করো না, আমি তোমাদেরকে জীবিকা দিচ্ছি এবং তাদেরকেও দেবো। (আনআম ১৫১)
37.কক্ষনোই শপথ ভঙ্গ করবে না।
﴿وَأَوْفُوا بِعَهْدِ اللَّهِ إِذَا عَاهَدتُّمْ وَلَا تَنقُضُوا الْأَيْمَانَ بَعْدَ تَوْكِيدِهَا وَقَدْ جَعَلْتُمُ اللَّهَ عَلَيْكُمْ كَفِيلًا ۚ إِنَّ اللَّهَ يَعْلَمُ مَا تَفْعَلُونَ﴾
আল্লাহর অংগীকার পূর্ণ করো যখনই তোমরা তাঁর সাথে কোনো অংগীকার করো এবং নিজেদের কসম দৃঢ় করার পর আবার তা ভেঙে ফেলো না যখন তোমরা আল্লাহকে নিজের ওপর সাক্ষী বানিয়ে নিয়েছো৷ আল্লাহ তোমাদের সমস্ত কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত৷
38.মান্নত পুরন করবে ।
وفُونَ بِالنَّذْرِ وَيَخَافُونَ يَوْمًا كَانَ شَرُّهُ مُسْتَطِيرًا﴾
এরা হবে সেসব লোক যারা (দুনিয়াতে )মানত পূরণ করে, সে দিনকে ভয় করে যার বিপদ সবখানে ছড়িয়ে থাকবে৷ (দাহর ৭)
39.আল্লাহকে প্রদত্ত ওয়াদা পালন করে।
﴿الَّذِينَ يُوفُونَ بِعَهْدِ اللَّهِ وَلَا يَنقُضُونَ الْمِيثَاقَ﴾
আর তাদের কর্মপদ্ধতি এমন হয় যে, তারা আল্লাহকে প্রদত্ত নিজেদের অংগীকার পালন করে এবং তাকে মজতুব করে বাঁধার পর ভেঙ্গে ফেলে না৷ (সুরা রাদ ২০)
40. নিকটাত্মীয়দের সাহায্য করবে। ( বাকারা ১৭৭)
41. অসুস্থ এবং পথচারীদের সাহায্য করবে। (বাকারা ১৭৭)
42. নিঃস্ব এবং দরিদ্রদের সাহায্য করবে (বাকারা ১৭৭)
43. দুঃখ, দুর্দশা এবং যুদ্ধের সময় ধরজ ধারণ করবে। (বাকারা ১৭৭)
44. আল্লাহ প্রদত্ত রিজিক থেকে দান করে।
﴿الَّذِينَ يُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنفِقُونَ﴾
তারা নামায কায়েম করে এবং যা কিছু আমি তাদেরকে দিয়েছি তা থেকে ( আমার পথে) খরচ করে৷ (আনফাল ৩)
45. রাতে কম ঘুমায়
﴿كَانُوا قَلِيلًا مِّنَ اللَّيْلِ مَا يَهْجَعُونَ﴾
রাতের বেলা তারা কমই ঘুমাতো৷ (যারিয়াত ১৭)
46. চেহারায় সিজদার চিহ্ন থাকবে।
سِيمَاهُمْ فِي وُجُوهِهِم مِّنْ أَثَرِ السُّجُودِ
তোমরা যখনই দেখবে তখন তাদেরকে চেহারায় সিজদার চিহ্ন বর্তমান যা দিয়ে তাদেরকে আলাদা চিনে নেয়া যায়৷ (ফাতহ ২৯)
47. মানুষকে সৎ কাজের উপদেশ এবংঅসৎ কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিবে।
﴿كُنتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ ﴾
এখন তোমরাই দুনিয়ায় সর্বোত্তম দল৷ তোমাদের কর্মক্ষেত্রে আনা হয়েছে মানুষের হিদায়াত ও সংস্কার সাধনের জন্য ৷ তোমরা নেকীর হুকুম দিয়ে থাকো, দুষ্কৃতি থেকে বিরত রাখো এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনো৷ (আলে ইম্রান ১১০)
48. এমন বিষয়ে প্রশ্ন করবে না যেটা প্রকাশ হয়ে পড়লে তারা লজ্জিত হবে।
لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ
হে ঈমানদারগণ ! এমন কথা জিজ্ঞেস করো না যা তোমাদের কাছে প্রকাশ করে দেয়া হলে তোমাদের খারাপ লাগবে৷ (মায়েদাহ ১০১)
49. কাজ করার পূর্বে সভাসদদের সাথে পরামর্শ করবে।
وَأَمْرُهُمْ شُورَىٰ بَيْنَهُمْ
নিজেদের সব কাজ পরস্পর পরামর্শের ভিত্তিতে চালায়। (শুরা ৩৮)
50. বাড়াবাড়ি করা হলে তার মোকাবিলা করে।
﴿وَالَّذِينَ إِذَا أَصَابَهُمُ الْبَغْيُ هُمْ يَنتَصِرُونَ﴾
তাদের বিরুদ্ধে বাড়াবাড়ি করা হলে তার মোকাবিলা করে৷ (শুরা ৩৯)
( কালেক্টেড)