যতটুকু না হলে সৃষ্টিকর্তাকে চেনা যায় না, এই পৃথিবীতে মানুষের আসার উদ্দেশ্য বুঝতে পারা যায় না, আর মরার পরের হিসাব নিকাশ সম্পর্কে সচেতন হওয়া হয় না- অন্তত:পক্ষে ততটুকু মৌলিক ধর্মীয় শিক্ষা তার অন্তরে ছোটকাল থেকেই গেঁথে দিতে চেষ্টা করুন। আপনি চেষ্টা করুন, সে কতটুকু রিসিভ করতে পারল সেটা বড় কথা নয়- বরং অভিভাবক হিসেবে আপনি কতটুকু দায়িত্ব পালন করলেন, সেটাই বড় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
মনে রাখবেন, আপনি- আমি এই গুরুদায়িত্ব পালন না করতে পারলে আমাদের ঘরে ঘরে তখন ঐশীরা জন্ম নেবে, বন্ধুদের আহবানে সাড়া দিতে গিয়ে আপনি আপনার মেয়ের লাশ উপহার পাবেন, গভীর রাতে বন্ধুর সাথে একান্তে সময় কাটিয়ে বাসায় ফিরার পথে সন্দেহজনক ভাবে এক্সিডেন্ট এ নিহত হবে আপনার প্রিয় সন্তান টি!
আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই- অনৈতিক সম্পর্কে জড়িত হওয়ার আগেই সম্ভব হলে ছেলে মেয়েদের বিয়ে করিয়ে দিন। প্রয়োজনে ছাত্রজীবন শেষ হবার আগেই। শিক্ষাজীবন শেষ হবার আগ পর্যন্ত অভিভাবক গণ তাদের পরিবারের ভরন পোষণ এর দায়িত্ব নিন। তাতে আস্তে আস্তে রাষ্ট্রকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করুন সম্মিলিত ভাবে, জনমত গঠন করে।
ধীরে ধীরে ব্যক্তি, সমাজ পেরিয়ে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এই ব্যাপারে প্রচার, প্রচারণা জোরদার করার পরিকল্পনা নিন।
নয়তো বিশ্বাস করুন এই নৈতিক চূড়ান্ত অবক্ষয়ে আমার দেশের অধিকাংশ যুব সমাজকে নিমজ্জিত রেখে এই ভূখন্ডের কাংখিত সমৃদ্ধি, উন্নয়ন কখনোই সম্ভবপর হবে না।
আমাদের মনে রাখতে হবে, আমাদের আবহমান সংস্কৃতিকে লালন করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। পশ্চিমা সংস্কৃতির বল্গাহীনতায় গা ভাসিয়ে নয়, নিজেদের স্বকীয়তাকে উর্ধে তুলে ধরেই আমরা আমাদের শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে চাই। অনাগত প্রজন্মের কাছে আমাদের, অভিভাবকদের দায়বদ্ধতা ও এটি নি:সন্দেহে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন