সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখার দাবিতে ছাত্রজনতাকে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছে ছাত্রশিবির।
রোববার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে শিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, নাস্তিক্যবাদী রাষ্ট্র গঠন করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে বাদ দেয়ার চক্রান্ত করছে সরকার। রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে সম্প্রতি কালে কোন বিতর্ক না থাকলেও সরকার তাদের অশুভ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে ২৮ বছর আগের একটি রিটকে সচল করেছে। একের পর এক ইসলাম বিদ্বেষী কর্মকাণ্ডের পর এখন সরাসরি দেশকে ইসলাম শুন্য করার পাঁয়তারা করছে। কিন্তু সরকারের এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র জনগণ মানবে না।
তারা বলেন, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একের পর এক ইসলাম বিদ্বেষী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের অসংখ্য ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও কুরআনের মাহফিলে ১৪৪ ধারা জারি করে আওয়ামী লীগ তাদের ইসলাম বিদ্বেষী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। শুধু তাই নয়, দেশের শীর্ষ আলেম ও দেশপ্রেমিক ইসলামী নেতৃবৃন্দের উপর যে নির্যাতন চালানো হয়েছে তার আরেকটি উদাহারণ ইতিহাসে বিরল। সরকার দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে হরণ করার পর এবার ধর্মীয় অধিকারকেও হরণ করতে চায়।
শিবির নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে ইসলাম বিরোধী তৎপরতা কার স্বার্থে? দেশের সর্বস্তরের মানুষ এর বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। রাজধানীসহ সারাদেশে মানুষ রাজপথে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে। ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আগামীকাল জামায়াতে ইসলামী শান্তিপূর্ণ হরতাল কর্মসূচি আহবান করেছে। আমরা এই হরতালকে পুরোপুরি সমর্থন করছি। একই সাথে দেশের সর্বস্তরের ছাত্রজনতাকে ইসলাম রক্ষার এই সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহবান জানাচ্ছি। আমরা সরকারকে বলতে চাই, দেশের মানুষ এখনো শান্তিপূর্ণ উপায়ে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তাদের কর্মসূচি পালন করছে। কিন্তু ইসলাম এদেশের মানুষের কাছে জীবনের চেয়ে বেশি প্রিয়। কোন হঠকারী সিদ্ধান্ত নিলে জনগণ তা মানবে না। সুতরাং সরকারের উচিৎ জনগণের অনুভূতিকে সম্মান দেখিয়ে আত্মঘাতি এ ষড়যন্ত্র থেকে সরে আসা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন