ঝিনাইদহে ২ শিবির নেতাকে আটকের পর অস্বীকারের প্রতিবাদ ও অবিলম্বে তাদের সন্ধানের দাবীতে আগামী ৩১ মার্চ বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেন, নিরাপত্তার বদলে ছাত্রদের জীবন ধ্বংসের নির্মম খেলায় মেতে উঠেছে সরকার। গত ১৮.০৩.১৬ তারিখ শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে বাড়ি যাওয়ার পথে ঝিনাইদহ জামতলা মোড় থেকে দু’টি মটরসাইকেল যোগে ৪ জন ব্যক্তি পুলিশ পরিচয়ে যশোর এমএম কলেজের ছাত্র ও ছাত্রশিবির কালিগঞ্জ পৌরসভার সভাপতি আবুজর গিফারির পথরোধ করে। এরপর তাকে মটরসাইকেলে তুলে গান্না সড়কের দিকে চলে যায়। পরে তার পরিবার এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানায় যোগাযোগ করলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন গ্রেপ্তারের কথা অস্বীকার করে। পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে তার সন্ধানের দাবী জানানো হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকেও বিবৃতির মাধ্যমে তার সন্ধান দাবী করা হয়। কিন্তু পুলিশ তাতে কর্ণপাত না করে উল্টো ২৫.০৩.১৬ তারিখে ঝিনাইদহ কে সি কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র শামীম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। তার গ্রেপ্তারের কথাও পুলিশ অস্বীকার করছে। পুলিশের এই অমানবিক কাজে ঝিনাইদহসহ দেশবাসী হতবাক ও বিক্ষুদ্ধ। কিন্তু তাতে প্রশাসন কর্ণপাত করেনি। যা দেশের প্রচলিত আইনের সুস্পষ্ট লংঘন। আমরা মনে করি সরকার পরিকল্পিত ভাবে পুলিশকে ব্যবহার করে এমন অমানবিক ও বেআইনি কাজ করাচ্ছে। কিন্তু তা মেনে নেয়া যায়না।
অবৈধ সরকারের এই বেআইনি কাজের প্রতিবাদে আগামী ৩১শে মার্চ বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করছি। আমরা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সকল নেতা-কর্মীদের, দেশপ্রেমিক জনতা ও ছাত্রসমাজকে সাথে নিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে এ কর্মসূচি পালন করার জন্য আহবান জানাচ্ছি। আশা করি সরকার ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইনে প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে গ্রেপ্তারকৃত দুই শিবির নেতাকে অনতিবিলম্বে আদালতে হাজির করবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন