আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্ক; ২৭ মে, ২০১৬ঃ ২৫ মে তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ৯টি পৌরসভা নির্বাচনে ব্যাপক সন্ত্রাস, কারচুপি, জাল ভোট প্রদান, ভোট কেন্দ্র দখল করে ব্যালট ডাকাতি করে সরকারী দলের প্রার্থীদের বিজয়ী করার প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান আজ ২৬ মে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “গত ২৫ মে অনুষ্ঠিত ৯টি পৌরসভার নির্বাচনে ব্যাপক সন্ত্রাস, কারচুপি, জালভোট প্রদান ও ভোট কেন্দ্র দখল করে ব্যালট ডাকাতি করে সরকারী দলের প্রার্থীদের বিজয়ী করা হয়েছে।
৯টি পৌরসভার সব কয়টিতেই ব্যালট ডাকাতি করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী করে সরকার এবং সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন আবারও প্রমাণ করলো যে তাদের অধীনে এ দেশে কখনো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। ফেনী জেলার ছাগল নাইয়া পৌরসভা নির্বাচনে বোমাবাজী, ভোট কেন্দ্র দখল করে সরকারী দলের প্রার্থীদের বিজয়ী করার জন্য ব্যাপকভাবে ব্যালট ডাকাতি করা হয়েছে। সরকারী দলের সন্ত্রাসীদের তান্ডবে কক্সবাজার জেলার টেকনাফে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজের ভোটটি পর্যন্ত দিতে পারেননি। ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার কসবা পৌরসভায় বিরোধী দলের প্রার্থীর পোলিং এজেন্টসহ অন্যান্যদের পোলিং এজেন্টদের ভোট কেন্দ্র থেকে জোর পূর্বক সরকারী দলের সন্ত্রাসীরা বের করে দিয়েছে। নোয়াখালী পৌরসভায় সরকারী দলের সন্ত্রাসীরা ভোট কেন্দ্র দখল করে বিরোধী দলের প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের জোর করে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার কারণে বিরোধী দলের প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করতে বাধ্য হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টিতে ফেনীর ছাগল নাইয়া, নোয়াখালী ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার কসবা পৌরসভায় সবচেয়ে বাজে নির্বাচন হয়েছে। এ পৌরসভাগুলোতে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা ভোট কেন্দ্র দখল করে ব্যালটে সিল মেরেছে। নির্বাচন কমিশনের এ বক্তব্যই প্রমাণ করে যে, গত ২৫ মে’র অনুষ্ঠিত কোন পৌরসভায়ই’ নির্বাচন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি। এর দ্বারা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের চরম ব্যর্থতাই প্রমাণিত হয়েছে।
সরকার নিজের দলের প্রার্থীদের ছলে বলে কলে কৌশলে বিজয়ী করার জন্য গোটা নির্বাচন ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে। সরকার পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট করে দিয়ে দেশে একদলীয় স্বৈরশাসন কায়েম করার ষড়যন্ত্র করছে। এ ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।
২৫ মে যে সব পৌরসভায় ব্যাপক সন্ত্রাস, ভোট ডাকাতি, কারচুপিসহ নানা অনিয়ম হয়েছে সেগুলোর নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করে পূনরায় নির্বাচন দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন