বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

বুধবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

মাঠে আওয়ামী লীগ আদালতে বিএনপি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর বাকী মাত্র ২৪দিন। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। বিএনপি প্রতিটি আসনে একাধিক প্রার্থী দিলেও আওয়ামী লীগ দুএকটি ছাড়া প্রায় অধিকাংশ আসনেই তাদের একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে। ফলে দলটির প্রার্থীরা বিজয়ী হতে ইতোমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছেন। নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগ,নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করার কাজ করছেন। যেসব আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে তাদেরকে বসিয়ে দিতে কেন্দ্র থেকেও দেয়া হচ্ছে কঠোর বার্তা। কিন্তু নির্বাচনের মাঠে আওয়ামী লীগ জোটের প্রধান প্রতিদ্বদ্বী বিএনপি এখনো নির্বাচনের মাঠেই নামতে পারেনি। 
একদিকে দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলানেতাকর্মীরা ঘর-বাড়ি ছাড়া। তফসিল ঘোষণার পরই প্রায় সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের অভিযোগ করেছে দলটি। প্রতিদিনই শত শত নেতাকর্মী দেশের সবকটি আদালতে হাজির হচ্ছেন জামিন নিতে। যাদের জামিন হচ্ছে না ঠাঁই হচ্ছে কারাগারে। অন্যদিকে গণহারে দলটির জনপ্রিয় ও হেভিওয়েট প্রার্থীদের প্রার্থীতা বাতিল হওয়ায় বেকায়দায় পড়েছে দলটি। ফলে এখনো বিএনপি তাদের প্রার্থী চূড়ান্তই করতে পারেনি। দলটির প্রথম সারির দেড় শতাধিক নেতার মনোনয়ন বাতিল করার কারণে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে অনেকটা হিমশিম খেতে হচ্ছে। আবার যাদেরকে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে তাদের অনেকেই মামলার কারণে নিজ এলাকায় যেতে পারছেন না। 
তাদের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিতে পারছেন না মামলা থাকা দলটির নেতাকর্মীরাও। এই অবস্থায় অবাধ,সুষ্ঠুনিরপেক্ষ নির্বাচনের কোন সুযোগ দেখছেনা বিএনপি। শেষ মুহূর্তে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের আশা করলেও তার পরিবর্তে সরকারি দলকে জেতানোর জন্য নির্বাচন কমিশন কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেনএখনো সুষ্ঠু নির্বাচনের কোন পরিবেশ নাই। বিএনপি ও বিরোধী দলের প্রার্থী এবং তাদের কর্মী-সমর্থকরা মাঠে নামতে পারছে না। হাজার হাজার গায়েবি মামলার কারণে এলাকায় যেতে পারছে না। বাড়িতে থাকতে পারছে না। এভাবে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হয় না। নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেননির্বাচন কমিশন একচোখা নীতি গ্রহণ করেছে। নির্বাচনকে তারা তামাশার বিষয় করে তুলেছে। তারা এমন একটি নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করেছে যেখানে সরকার দলীয় প্রার্থীকে সিল মেরে দেয়ার সুযোগ করে দেয়া। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মত প্রতিদ্বিদ্বতাহীন একটি নির্বাচন করার চেষ্টা করছে। এরপরও বিএনপি নির্বাচনে গেছে কেন সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে শামসুজ্জামান দুদু বলেনএখনো আমরা একটা ভাল নির্বাচনের আশা করছি। আমরা নির্বাচনকে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরে পাবার আন্দোলন হিসেবে নিয়েছি।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে ৩ হাজার ৬৫ জন। এর মধ্যে ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ২ হাজার ৫৬৭জন এবং স্বতন্ত্র ৪৯৮ জন। জমা দেয়া প্রার্থীদের মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই শেষে গত রোববার প্রাথমিক প্রার্থীভাবে ২ হাজার ২৭৯ জনকে বৈধ ঘোষণা করেছে। আর রাজনৈতিক দলগুলোর ২হাজার ৫৬৭ জনের মধ্যে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে ২ হাজার ১৬৫জনকে এবং বাতিল করা হয়েছে ৪০২ জনের মনোনয়নপত্র। যার মধ্যে বিএনপির ১৪১জন এবং আওয়ামী লীগের মাত্র তিনজনে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রার্থী বাতিল করার কারণে ইতোমধ্যে ঢাকা-১বগুড়া-৭মানিকগঞ্জ-২সুনামগঞ্জ-৩জামালপুর-৪ ও শরীয়তপুর-১ আসনে প্রার্থী শূণ্য হয়ে গেছে বিএনপির।
মনোনয়নপত্রে ভুলঋণ খেলাপিবিল খেলাপিমামলায় সাজা হওয়ার কারণে মনোনয়নপত্র বাতিলের কথা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে নানা অজুহাতে,ছোটখাটো ভুলে সরকারের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন বেছে বেছে সারাদেশে বিএনপির হেভিওয়েট ও জনপ্রিয় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। সরকার দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করতেই এধরণের কৌশল নেয়া হয়েছে বলেও মনে করেন দলটির নেতারা। প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে এরই মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াস্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস (প্রথমে গ্রহণ করা না হলেও গতকাল আদালত গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছে)চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমানভাইস চেয়ারম্যান এম মোর্শেদ খানশাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনগিয়াস কাদের চৌধুরীযুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীসাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুমহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসগোলাম মাওলা রনিঢাকার নবাবপুরের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশফাক হোসেনসহ বিএনপির ১৪১ নেতা। যারা অন্তত ৮০টি আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বিদ্বতা করার কথা রয়েছে। এছাড়া বিএনপির জোটসঙ্গী গণফোরামের প্রার্থী রেজা কিবরিয়ারলিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) এমএ করিম আব্বাসীরও মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। 
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেনটার্গেট করে বিএনপির হেভিওয়েট ও জনপ্রিয় নেতা এবং সাবেক এমপিদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপির অসংখ্য মনোনয়ন প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে। তিনি বলেনবিনা অজুহাতেই বিএনপি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। রিটার্নিং অফিসারদের কক্ষ সংলগ্ন ছোট রুম’ আছে। বিএনপি প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হবে কি হবে না সেটি জানার জন্য বারবার রিটার্নিং অফিসার ঐ ছোট রুমে ছুটে যান। মূলত: সরকারের নির্দেশ শোনার জন্যই রিটার্নিং অফিসারকে বারবার ঐ রুমে যেতে হয়। বিএনপির প্রার্থীদের অনেকেরই মনোনয়নপত্র নির্ভূল থাকার পরেও ওই ছোট রুম থেকে ফিরে এসে রিটার্নিং অফিসার (ডিসি) বলেনউপরের নির্দেশ আছে বলেই এই মনোনয়নপত্রটি বাতিল করতে আমি বাধ্য হচ্ছি। 
প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে মনোনয়নপত্র বাতিল হলেও এখনো আপিল করে প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ প্রার্থীতা ফিরে পেতে আপিল করার শেষ দিন। যেসব অবৈধ ঘোষিত প্রার্থী আপিল করবেন তাদের বিষয়ে ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুনানি শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইসি। তবে এক্ষেত্রে সরকার এবং নির্বাচন কমিশন খুব একটা নমনীয় হবে বলে মনে করেন না বিএনপি নেতারা। এছাড়াও একই কারণে বিএনপির প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হলেও আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে বহাল রাখা হয়েছে বলেও দাবি করে বিএনপি। 
রুহুল কবির রিজভী বলেনক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রে অসংখ্য ত্রুটি থাকার পরেও সেগুলোকে বাতিল করা হয়নি। দুর্নীতি মামলায় দন্ডিত হওয়ার তথ্য গোপনের অভিযোগ থাকার পরেও সরকারি দলের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়নি। তিনি বলেনদন্ড হওয়ার কারণ দেখিয়ে বেগম খালেদা জিয়া,ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও আমানউল্লাহ আমানসহ বিএনপির পাঁচ নেতার আবেদন নাকচ করা হলেও একই কারণ বিদ্যমান থাকলেও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবং কক্সবাজারের এমপি আব্দুর রহমান বদির মনোনয়নপত্র বৈধ করা হয়েছে। 
চূড়ান্ত বাছাইয়ে বিএনপির প্রার্থীরা প্রার্থিতা ফিরে না পেলে বেশ সঙ্কটেই পড়তে হবে বলে মনে করেন দলটির শীর্ষ নেতারা। এছাড়া এর সাথে রয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা। দলটির তৃণমূলের নেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়দলের পক্ষ থেকে যাদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে এবং তাদের পক্ষ হয়ে যেসব নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মাঠে কাজ করবেন তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। কারো কারো বিরুদ্ধে এই মামলার সংখ্যা আড়াইশও ছাড়িয়ে গেছে। দলটির ঢাকা-১২ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাইফুল আলম নিরবের বিরুদ্ধে ২৬৭টি মামলাব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের প্রার্থী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার মামলা ২৫টিঢাকা-১৮ আসনের প্রার্থী এসএম জাহাঙ্গীরের মামলা ১৩৮টিনবীউল্লাহ নবী ১২১শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের ১০৮টিখোদ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে মামলা প্রায় শতাধিক। একইভাবে দলের শীর্ষ নেতা থেকে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে বিএনপি। 
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেনদলের এমন কোন নেতা নাই যার বিরুদ্ধে কোন মামলা নাই। ২০০৯ সালের পর গত ১০ বছরে বিএনপির বিরুদ্ধে ৯০ হাজার মামলা করা হয়েছে এবং এসব মামলায় আসামী করা হয়েছে ২৫ লাখ ৭০ হাজার আসামী। আর গত ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পরথেকে দলের ৮৫ হাজার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৪ হাজার ১২৬টি গায়েবি মামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এই অবস্থায় দলটির নেতাকর্মীদের নির্বাচনের মাঠের পরিবর্তে আদালত-কারাগারে চক্কর খেতে হচ্ছে। 
দলটির তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানান- মনোনয়ন পাওয়ার পরও নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় অনেক বিএনপি প্রার্থীই যেতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ-সংশয় রয়েছে। এছাড়া প্রার্থীদের পক্ষেধানের শীষের পক্ষে যারা মাঠে নামবেন সেই কর্মী-সমর্থকরাও মামলা-হামলার কারণে এলাকা ছাড়া। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এলাকায় গেলেই নতুন করে দিয়ে দেয়া হচ্ছে মামলা। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতাকর্মী দেখলেই খবর দিচ্ছে পুলিশকেপুলিশও ছো মেরে নেতাকর্মীদের নিয়ে যাচ্ছে। যাদের পাচ্ছে না তাদের বিরুদ্ধে দিচ্ছে নতুন মামলা।
দলের যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেননির্বাচনের এখন পর্যন্ত যে পরিবেশ তাতে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী প্রচারণা করছে আর বিএনপি ও তাদের প্রার্থীরা থানা-আদালত-কারাগারে ঘুরপাক খাচ্ছে। এই অবস্থায় কি নির্বাচন হবেতা সহজেই অনুমান করা যায়। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী