আমাদের বাংলাদেশ ডেস্কঃ কক্সবাজারে গত কয়েক দিন যাবত নাশকতার পরিকল্পনাকারি ধরার অজুহাতে গণগ্রেফতার অভিযানের নামে পেকুয়ার জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা অধ্যাপক নুরুজ্জামান মঞ্জু এবং মহেশখালীর জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা মাওলানা জহিরসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গণহারে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কক্সবাজার জেলা আমির মাওলানা মুস্তাফিজুর রাহমান, নায়েবে অামির অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী, এসিসস্টেন্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, মহেশখালী উত্তরের আমির আব্দুশ শাকুর, দক্ষিণের আমির জাকের হোসেন, কুতুবদিয়ার আমির মাওলানা আনোয়ার হোসাইন।
নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, জামায়াতের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়েই সরকার জনপ্রতিনিধিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করছে। যা সম্পূর্ণ অমানবিক ও বেআইনী।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও সরকার বিরোধী দলের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে দেশকে কারাগারে পরিনত করেছে ।
বিশেষভাবে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদেরকে টার্গেট করে গণগ্রেফতার অভিযানের কারণে মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।যা ইতিমধ্যে বিভিন্ন উপজেলায় পরিলক্ষিত হয়েছে।
জামায়াত নেতারা বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা সর্বকালের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। সরকার তাদের ক্যাডার ও পুলিশ দিয়ে জুলুম নির্যাতন, হত্যা, গুম, রিমান্ডে নিয়ে পঙ্গু করে ও মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধী দলকে দমন করতে চায়। যা নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করছে।
বেছে বেছে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করাটা সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে একটি বড় অন্তরায়।
নির্বাচনের দায়িত্বে যারা থাকবে তারা যদি গ্রেফতার হয় তবে নির্বাচন করবে কে? এমন প্রশ্ন বিবৃতিতে উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের দুই উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুজ্জামান মঞ্জু এবং মাওলানা জহিরসহ নেতা-কর্মীদের নিঃশর্তভাবে মুক্তি প্রদান করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
বিষয়টি নির্বাচন কমিশনারের হস্তক্ষেপ কামনা এবং আশা করি নির্বাচন কমিশনের উপর ন্যস্ত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলায় সুন্দর উৎসবমুখর গ্রহন যোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন