আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ তারা ভেবেছিলো, জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে যখন “যুদ্ধাপরাধের„ অপবাদ দিয়ে জেলে ঢুকানো যাবে, তখন এই অপবাদ দেখে জনগণ তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হবে!
#কিন্তু ২০১৪ সালে ২৩ অক্টোবর যখন অধ্যাপক গোলাম আযম (রহঃ) ইন্তেকাল করলেন তখন বাংলাদেশের ইতিহাস খ্যাত বৃহত্তম জানাযার দৃশ্য দেখে তাদের ভাবনার দালান বিচূর্ণ হয়ে গেলো!
এরপর থেকেই তারা একপ্রকারে জামায়াতে ইসলামীর শহীদ নেতাদের জানাযাও বন্ধ করে দিয়েছে!
কিন্তু এই সিদ্ধান্তেও তাদের গচ্চা গুণতে হয়েছে।
☞তারা মনে করেছিলো, জামায়াত-শিবিরের অফিস বন্ধ করে দিলে এবং তাদের প্রতীক নিষিদ্ধ করে, নিবন্ধ বাজেয়াপ্ত করলে হয়তো জনগণ তাদের বর্জন করবে!
আসলেই বর্জন করার কথা, যে দলের নেতাকর্মীদের কোনো অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ থাকে না, সে দলে কেউ থাকার প্রশ্নই আসে না।
#কিন্তু আল্লাহর কি মহিমা! ২০১৪ সালের উপজেলা নির্বাচনেই জনগণ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ৩৬ জন লোককে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছে।
☞তারা ভাবলো, জামায়াত অর্থনৈতিক দিক দিয়ে খুবই শক্তিশালী। তাদের অর্থ জোগান দাতা প্রতিষ্ঠান গুলো কেড়ে নিলেই, অর্থ না পেয়ে নেতাকর্মীরা তাদের ছাড়বে। যা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ইসলামী ব্যাংক কেড়ে নিয়ে, জামায়াতের মিডিয়া,প্রকাশনা সব বন্ধ করে দিলো...
#কিন্তু দীর্ঘ ৫ বছর পর ২০১৮ সালে এসে দেখে: জাতীয় নির্বাচনে সারা দেশে জামায়াতে ইসলামী আগের থেকেও বড় ফ্যাক্টর হয়ে ওঠেছে!
গত ৩০-১২-১৮ এর কারচুপির নির্বাচনের পর তারা প্রথম কার্যদিবস শুরু করলো জামায়াত ইস্যু দিয়ে।
☞এখন তারা হয়তো শেষ বারের মতো ভাবছে, জামায়াতে ইসলামীকে যদি নিষিদ্ধ করা হয়,জনগণ তাদের বাধ্য হয়ে ছাড়বে...
#সরকারের এই ইস্যু নিয়ে অনেকেই মাজা নিচ্ছে, আবার অনেকেই চিন্তিত -বিচলিত।
আপনারা কি সেই তুরস্কের চার চার বার নিষিদ্ধ করা দলটি দেখেন না?
নিষিদ্ধ ইখওয়ানুল মুসলিমিনকে দেখেন না?অতীতে দুইবার নিষিদ্ধ হওয়া আজকের জামায়াতে ইসলামী দেখেন না?
২০০৮ সালের ২৮ অক্টোবরে রঞ্জিত বায়তুল মুকাররম থেকে শুরু হওয়া শাহাদাতের মিছিল আজ কত বড়ো!?
এই দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময়ে তারা শুধুমাত্র শাহাদাতের সংখ্যা বাড়াতে পেরেছে কিন্তু এই আন্দোলনকে তারা দমিয়ে দিতে পারেনি....
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির শক্তির বলে নয়, অর্থের বলে নয়, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রেখে যাওয়া আদর্শের বলেই টিকে আছে, এই আদর্শ দিয়েই আমরা একদিন সারা বিশ্বে ইসলামের বিজয় সুনিশ্চিত করবো....ইনশাআল্লাহ্।
পরিশেষে আমি সবাইকে আল্লাহর সেই আয়াতের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি:
يُرِيدُونَ أَن يُطْفِئُوا نُورَ اللَّهِ بِأَفْوَاهِهِمْ وَيَأْبَى اللَّهُ إِلَّا أَن يُتِمَّ نُورَهُ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ
يُرِيدُونَ أَن يُطْفِئُوا نُورَ اللَّهِ بِأَفْوَاهِهِمْ وَيَأْبَى اللَّهُ إِلَّا أَن يُتِمَّ نُورَهُ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ
অর্থাৎ, তারা তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর নূরকে নির্বাপিত করতে চায়।কিন্তু আল্লাহ অবশ্যই তাঁর নূরের পূর্ণতা বিধান করবেন, যদিও কাফেররা তা অপ্রীতিকর মনে করে। (সূরা আত্ তাওবা: ৩২)
★সুতরাং কোনো চিন্তা নেই, ভয় নেই, আমাদের মালিক বিজয় আমাদেরকেই দান করবেন, যদি আমরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারি।
#হে, মালিক আমাদের তাওফিক দাও... আমিন।
(কপি করলে দয়া করে আমাকে ম্যানশন করবেন)