বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

সোমবার, ১৮ জুন, ২০১৮

হুমায়ুন কবিরের ইন্তেকালে ভারপ্রাপ্ত আমীরের শোক

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ জনাব হুমায়ুন কবির সাঈদীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি মাওলানা আ.ন.ম. শামসুল ইসলাম আজ ১৮ জুন ২০১৮ এক শোকবাণী প্রদান করেছেন। 
শোকবাণীতে তিনি বলেন, জনাব হুমায়ুন কবির সাঈদী (রাহিমাহুল্লাহ) কে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ক্ষমা ও রহম করুন এবং তাকে নিরাপত্তা দান করুন। তাকে সম্মানিত মেহমান হিসেবে কবুল করুন ও তার কবরকে প্রশস্ত করুন। তার গুণাহখাতাগুলোকে নেকিতে পরিণত করুন। তার জীবনের নেক আমলসমূহ কবুল করে তাকে জান্নাতুল ফিরদাউসে স্থান দান করুন।  
তিনি শোকবাণীতে তার শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাদেরকে এ শোকে ধৈর্য ধারণ করার তাওফিক দান করুন। 

সোমবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৮

ইসলামী ব্যাংকের সব বিনিয়োগ বন্ধ, কর্মকর্তাদের মধ্যে ‘ছাঁটাই’ আতঙ্ক



ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড সব ধরনের বিনিয়োগ বন্ধ করে দিয়েছে। আগে মৌখিকভাবে বিনিয়োগ বন্ধের কথা বলা হলেও গত রবিবার ব্যাংকের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ সুইচ বন্ধ করে দিয়ে বিনিয়োগ বন্ধ করা হয়েছে।
ফলে দেশের কোনো জায়গা থেকে বিনিয়োগ (ঋণ) দিতে পারেনি ব্যাংকের শাখাগুলো। নগদ টাকার সঙ্কট মেটাতে কোনো ব্যাংকের বিনিয়োগ এভাবে বন্ধ করে দেওয়ার এ ঘটনা দেশে নজিরবিহীন।
ইসলামী ব্যাংক নতুন করে বিনিয়োগ প্রকল্প নিচ্ছে না বেশ আগে থেকেই। আর যেসব গ্রাহক ও প্রকল্পের জন্য বিনিয়োগ অনুমোদিত হয়েছিল সেগুলোতে অর্থ ছাড় করা হচ্ছিল খুব ধীর গতিতে। গতকাল থেকে তা একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হলো। এমনকি ব্যাংকের নিজস্ব কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত বিনিয়োগও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ইসলামী ব্যাংকের জনপ্রিয় সেবা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আউটলেট দেওয়ার কার্যক্রমও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকটির এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ১০৫টি আউটলেটের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে ৯৫টি আউটলেট চালু হয়েছে। বর্তমানে নতুন আউটলেট উদ্বোধন বন্ধ রেখেছে ব্যাংকটি। দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়ায় এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আরো ২০০টি আউটলেটের অনুমোদন চেয়েছিল ব্যাংকটি। বিনিয়োগসহ প্রয়োজনীয় সেবা বন্ধ রাখার পাশাপাশি ব্যাংকটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে এখনো ‘ছাঁটাই’ আতঙ্ক কাজ করছে। এতে ব্যাংকটি এক প্রকার স্থবির হয়ে পড়েছে। তবে আমানতকারীদের কাছ থেকে আমানত গ্রহণ ও প্রদান ঠিক রয়েছে বলে ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
নগদ টাকার সঙ্কট মেটাতে ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত আমানত ও বিনিয়োগ হার (আইডিআর) ঠিক করার জন্য বিনিয়োগ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এ নীতি হিতে বিপরীত হতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব্যাংকিং খাতের সংশ্লিষ্টরা। গত বছর জানুয়ারিতে ব্যাংকটিতে যে পরিবর্তন শুরু হয় তা চলতি মাসেও অব্যাহত থাকায় ব্যাংকটি নানান সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
বিনিয়োগ বন্ধ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র দেবাশিষ চক্রবর্তী বলেন, গ্রাহকের চাহিদা ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বিনিয়োগ বিষয়ে ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেয়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের সরাসরি কিছু বলার নেই। এ বিষয়ে ওই ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তই গুরুত্বপূর্ণ।
দেশের বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় এ ব্যাংক সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকটির এমন সঙ্কটে পড়ার যৌক্তিক কারণ নেই। ব্যাংকটির এত বছরে কখনো তহবিল সঙ্কটে (নগদ টাকা) পড়েনি। গত বছর প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ হয়েছে। তারপরও কেন এমন হচ্ছে সে বিষয়ে কেউই কিছু বলতে পারছে না। দিনে দিনে ব্যাংকটির প্রতি গ্রাহকদের আস্থা সঙ্কট বাড়ছে বলেও মনে করছেন তারা।
জানা গেছে, ইসলামী ব্যাংক থেকে বিনিয়োগ প্রাপ্তির অনুমোদন পাওয়া কোনো কোনো প্রকল্পে বড় অংকের টাকা বিনিয়োগ করে রেখেছে। এখন বিনিয়োগের পুরো অর্থ না পাওয়ায় ওই প্রকল্পগুলো পণ্য উত্পাদনে যেতে পারছে না। ফলে গ্রাহক ও ব্যাংক উভয়ে ক্ষতিতে পড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেখা গেছে, ইসলামী ব্যাংকের ৯২ শতাংশ হয়ে গেছে। যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিত হারের চেয়ে ২ শতাংশ বেশি। ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান মোট আমানতের পরিমাণ ৭৬ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা। যার মধ্যে মুদারাবা আমানত ৬৭ হাজার ৫৩ কোটি টাকা। আর বাকিটা খরচ ছাড়া (কস্ট ফ্রি) আমানত। ব্যাংকটি বিনিয়োগ রয়েছে ৭৭ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা। এ বিনিয়োগের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগ ৭৪ হাজার ৮৭ কোটি এবং বাকিটা শেয়ার বিনিয়োগ। সে হিসাবে আইডিআর ৯১ দশমিক ৪৬ শতাংশ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ইসলামী ব্যাংকগুলো তাদের সংগৃহীত আমানতের ৮৫ শতাংশ ঋণ বিতরণ করতে পারে। তবে সার্বিক আর্থিক সূচক ভালো থাকলে সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশ ঋণ বিতরণ করা যায়। যদিও সর্বোচ্চ এই হার এক শতাংশ কমিয়ে ৮৯ শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যেসব ব্যাংকের ঋণ ৮৯ শতাংশের বেশি রয়েছে তাদেরকে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে এই সীমার মধ্যে নামিয়ে আনতে হবে।
ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কখন চাকরি চলে যায় এমন আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছে। আর কি কারণে চাকরি যাচ্ছে সেটাও কারো কাছেই স্পষ্ট নয়। তুলনামূলক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাঝে এমন আতঙ্ক বিরাজ করছে।

শুক্রবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৮

বাংলা নববর্ষে মঙ্গল প্রতীক ও মঙ্গল শোভা যাত্রার নামে আমদানী করা হচ্ছে ভিন্নধর্মের অপসংস্কৃতি।

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24ঃ ১লা বৈশাখ বাংলা শুভ নববর্ষ উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি 
মাওলানা আ.ন.ম শামসুল ইসলাম আজ ১২ এপ্রিল, ২০১৮ নিম্নোক্ত শুভেচ্ছা বাণী প্রদান করেছেনঃ-
“বাংলা নববর্ষ আমাদের সামনে সমাগত। বাংলা নববর্ষে আমাদের দেশের ব্যবসায়ীগণ হালখাতার অনুষ্ঠান করে থাকেন। মোঘল সম্রাট আকবরের আমল থেকে খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে ১লা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
জাতি এমনি এক সংকটকালে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন করতে যাচ্ছে যখন জাতির ঘাড়ে বসে আছে এক কর্তৃত্ববাদীঅগণতান্ত্রিক সরকার। গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার দেশ থেকে নির্বাসিত। সরকারগণতন্ত্রের বুলি আওড়িয়ে জনগণের ওপর চালাচ্ছে জুলুম-নির্যাতন। লুট হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ, ধর্ষিতা হয়েছে অনেক মা-বোন, হত্যা ও গুম চলছে অবাধে। গুম, অপহরণ ও বিচার বর্হিভুত হত্যাকা-ের মাধ্যমে জীবন কেঁড়ে নেয়াহয়েছে অসংখ্য মানুষের। দেশে চলছে ঘুষ, দুর্নীতি ও লুটপাটের রাজত্ব।

ফ্যাসিবাদী সরকার মিডিয়ার কণ্ঠ রুদ্ধ করে দিয়েছে। বাক-স্বাধীনতাসহ মানুষের সকল মৌলিক অধিকার পদদলিত। বাংলা নববর্ষে মঙ্গল প্রতীক ও মঙ্গল শোভা যাত্রার নামে আমদানী করা হচ্ছে ভিন্নধর্মের অপসংস্কৃতি। ইসলামী শিক্ষা ও সংস্কৃতি ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এ অবস্থা থেকে জাতি মুক্তি চায়। তাই বাংলানববর্ষ মুক্তির সেই আহ্বান নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হয়েছে।
আসুন জাতি হিসেবে আরেকবার ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াবার শপথ নিই, যাতে বাংলাদেশের আপামর জনগণ শান্তি ও স্বস্তিÍর সাথে বাঁচার জন্য নিজেদের মত করে বাংলাদেশটাকে গড়ে তুলতে পারে। আমি দেশবাসী সকলের সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি, সুস্বাস্থ্য কামনার পাশাপাশি জুলুম ও শৃংখলমুক্ত বাংলাদেশ কামনা করছি এবং আমার দলের পক্ষ থেকে প্রিয় দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের উষ্ণ শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি। দেশবাসীকে ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে একটি জুলুমমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধশালী সমাজ গঠনে এগিয়ে আসার জন্য আন্তরিকভাবে আহ্বান জানাচ্ছি।”

সোমবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৮

অধ্যাপক মুজিবকে পুনরায় জেলগেটে গ্রেফতারের প্রতিবাদে জামায়াতের বিক্ষোভ কাল

আমাদের বাংলাতেশ নিউজ24: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলায় আদালত থেকে জামিন লাভ করা সত্ত্বেও ৮ এপ্রিল রাজশাহী জেলগেট থেকে তাকে পুনরায় অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি মাওলানা আ.ন.ম শামসুল ইসলাম বলেন, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান তার বিরুদ্ধে সরকারের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় আদালত থেকে জামিন লাভ করা সত্ত্বেও তাকে রাজশাহী জেলগেট থেকে পুনরায় অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে সরকার তার প্রতি চরম অন্যায় ও জুলুম করেছে। অন্যদিকে সরকার আইনের প্রতি চরম অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছে। সরকারের এহেন অন্যায় ও অমানবিক আচরণের তিনি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
আজ সোমবার দেয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকার অধ্যাপক মুজিবুর রহমানকে জেলগেট থেকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে পুনরায় অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে দেশের আইন ও আদালতের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছে। সরকারের উচিত ছিল তাকে মুক্তি দিয়ে আইন ও আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা। কিন্তু সরকার তা না করে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়েছে। সরকার নিজেই আইনের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করে আইনের শাসনকে গলা টিপে হত্যা করছে। কোন সভ্য গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের অন্যায় ও অগণতান্ত্রিক আচরণ কল্পনাও করা যায় না।
এ ধরনের অন্যায়, অমানবিক ও অগণতান্ত্রিক আচরণ পরিহার করে অধ্যাপক মুজিবুর রহমানকে অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেয়ার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

শুক্রবার, ২৩ মার্চ, ২০১৮

দিল্লী জামে মসজিদে আল্লামা মওদুদী

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ আল্লামা মওদুদী জুমার নামাজ পড়তে দিল্লী জামে মসজিদে গেলেন! . তিনি যখন মসজিদে প্রবেশ করেন তখন মসজিদে ইমাম সাহেবের আলোচনা চলছিল। . ইমাম সাহেবেও তখন খুব আবেগময় আলোচনা করছিল। . আল্লামা মওদুদীও এ আলোচনা শুনে খুবে আবেগময় হয়ে পড়েন। . ইমাম সাহেব তখন বলেছিল,"হায় খোদা, ভারতবর্ষে আজ যদি এমন কোন আল্লাহর বান্দা ইসলামের জিহাদ নীতির উপর প্রামাণ্য গ্রন্থ রচনা করতো, ইসলাম বিরোধী অপপ্রচারের দাতভাঙ্গা জবাব দিয়ে ইসলামের প্রকৃত রূপ সবার সামনে তুলে ধরতো তবে কতই না ভালো হতো।" . ২৪বছরের যুবক মওদুদী তখন নামাজ শেষে মনস্থির করে সে এ এই হবে এ বইয়ের লেখক। . 
যে আল্লাহ আমাকে সৃষ্টি করেছেন,আমি কেন তার মহিমা ঘোষণার জন্য তার পক্ষে কলম ধরবো না ? ..২৪ বছরের এ টগবগে যুবক লিখে ফেলল . "আল জিহাদ ফিল ইসলাম"নামের এক অসাধারন পুস্তক। . যা ইসলামে জিহাদের প্রকৃত পরিচয় অমুসলিমদের কাছে স্পষ্ট করে তোলে। . বইটি এতোটা তথ্যপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে আল্লামা ইকবাল তার এ বইটি পাঠ করে অত্যন্ত আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। . ইকবাল তখন এ বইয়ের ভূয়সি প্রশংসা করে বলেন, "জিহাদ, যুদ্ধ ও সন্ধি সম্পর্কে ইসলামী আইন-কানুন সম্বলিত এ গ্রন্থটি অসাধারণ ও চমৎকার। . প্রত্যেক জ্ঞানী ও সুধীকে এ গ্রন্থটি পাঠ করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। . যে সময়ে মুসলমানরা বিধর্মীদের অপপ্রচারে ছিল দিশেহারা,সেসময়ে ২৪বছরের এ যুবক অসীম সাহসে এগ্রন্থ রচনা করে ইসলামের পক্ষে যে ভূমিকা রেখেছিল। . তা আজও ভারতীয় উপহাদেশে অবিস্মরণীয় হয়ে আছে। . সে ২৪বছরের যুবক পরবর্তী সময়ে ইসলামের পক্ষে ১২০টিরও বেশী বই লেখেন।।। . 
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার এই খেদমতকে কবুল করূন।

বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৮

ঢাকা শহরের বিখ্যাত ৭২ টি খাওয়ার আস্তানা যেখানে অন্তত একবার হলেও খাওয়া উচিৎ

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24: ঢাকা শহরের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য সুস্বাদু রকমারি বাহারি খাবারের রেস্তোরাঁ।  রাস্তার পাশের ঝাল মুড়ি থেকে শুরু করে পিজ্জা বার্গার প্রত্যেক খাবারই তার স্বাদ দিয়ে জয় করে নিয়েছে ফুডিজদের মন। আজকে জানিয়ে দিব ঢাকার বেশ কিছু জনপ্রিয় খাবার রেস্তোরাঁর খোঁজ খবর যেখানে অন্তত একবার হলেও খাওয়া উচিৎ।
১. বেচারাম দেউরীতে অবস্হিত নান্না বিরিয়ানি এর মোরগ-পোলাও
২. ঝিগাতলার সুনামী রেস্তোরা এর কাচ্চি বিরিয়ানী, গাউছিয়া হোটলের গ্রিল
৩. খিঁলগাও এর ভোলা ভাই বিরিয়ানী এর গরুর চাপ এবং মুক্তা বিরিয়ানী এর গরুর চাপ, খাসীর চাপ এবং ফুল কবুতর
৪. মতিঝিলের ঘরোয়া হোটেল এবং হীরাঝীলের ভূনা খিচুড়ী
৫. হোটেল আল-রাজ্জাকের কাচ্চি+গ্লাসি
৬. লালমাটিয়ার স্বাদ এর তেহারী
৭. নবাবপুর রোডে হোটেল স্টার এর খাসীর লেকুশ, চিংড়ি ,ফালুদা
৮. নয়াপল্টনে হোটেল ভিক্টোরীতে ৭০টি আইটেমের বুফে
৯. হাতিরপুল মোড়ে হেরিটেজ এর শর্মা
১০. শ্যামলী রিং রোডের আল-মাহবুব রেস্তোরার গ্রীল চিকেন
১১. মোহাম্মদপুর জেনেভা/বিহারী ক্যাম্পের গরু ও খাশির চাপ

১২. মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের সামনের বিহারী ক্যাম্পের “মান্জারের পুরি”
১৩. চকবাজারের শাহ সাহেবের বিরিয়ানী
১৪. মিরপুর-১০-এর শওকতের কাবাব
১৫. নারিন্দার শাহ সাহেবের ঝুনার বিরিয়ানী
১৬. ইংলিশ রোডের মানিকের নাস্তা
১৭. গুলশানের কস্তুরির সরমা
১৮. সুলতান ডাইন মেন্যু সেট।
১৯. সাইন্স-ল্যাবের ছায়ানীড়ের গ্রীল-চিকেন
২০. নাজিরা বাজারের হাজীর বিরিয়ানী
২১. জেলখানা গেটের পাশে হোটেল নিরবের ব্রেন/মগজ ফ্রাই
২২. নয়া বাজারের করিমের বিরিয়ানী
২৩. হাজি বিরিয়ানী এর উল্টা দিকের হানিফের বিরিয়ানী

২৪. লালবাগের ভাটের মসজিদের কাবাব বন

২৫. তারা মসজিদের সামনের সরবত আর লাচ্ছি, চকবাজারের মুরি ভর্তা।
২৬. বংশালের শমসের আলীর ভূনা খিচুড়ী
২৭. খিলগাঁও বাজারের উল্টো পাশে আল রহমানিয়ার গ্রীল চিকেন আর তেহারী
২৮. মতিঝিল সিটি সেন্টারের পিছনের বালুর মাঠের পিছনের মামার খিচুড়ী
২৯. চানখারপুলের নীরব হোটেলের ভুনা গরু আর ভর্তার সাথে ভাত
৩০. ধানমন্ডী লায়লাতির খাসির ভুনা খিচুড়ী
৩১. হোসনী দালান রোডে রাতের বেলার পরটা আর কলিজা ভাজি
৩২. নাজিরা বাজার মোড়ে বিসমিল্লার বটি কাবাব আর গুরদার


৩৩. পুরানা পল্টনে খানা-বাসমতির চাইনিজ প্যাকেজ
৩৪. বনানীর বুমারস রেস্টুরেন্টের বুফে প্যাকেজ
৩৫. ধানমন্ডির কড়াই গোশত এর ইলিশ সস
৩৬. গুলশান ২ এর খাজানার মাটন দম বিরিয়ানী এবং হাইদ্রাবাদী বিরিয়ানী
৩৭. উত্তরার একুশে রেস্তোরার গ্রীল চিকেন
৩৮. ধানমন্ডি/বনানীর স্টার হোটেলের কাচ্চি এবং কাবাব



৩৯. মৌচাকের স্বাদ রেস্তোরার ভাতের সাথে ৩৬ রকমের ভর্তা
৪০. সাইন্স ল্যাবে মালঞ্চ রেস্তোরার কাচ্চি বিরিয়ানী, রেশমী কাবাব
৪১. সুবহানবাগের তেহারী ঘর এর তেহারী-ভুনা খিচুরী

৪২. ভূত এর কাকড়া, সিজলিং, সূপ
৪৩. শর্মা এন পিজ্জার বীফ শর্মা
৪৪. মিরপুর ঝুট পট্টির রাব্বানির চা
৪৫. চকের নূরানি ড্রিংস এর লাচ্ছি
৪৬. চকের বিসমিল্লাহ হোটেলের মোঘলাই পরটা
৪৭. সেন্ট ফ্রান্সিস স্কুলের সামনের মামার আলুর দম।
৪৮. সোহরয়ার্দী কলেজের সামনে জসিমের চটপটি ও ফুচকা।
৪৯. বাংলাবাজারে (সদরঘাট) চৌরঙ্গী হোটেলের সকালের নাস্তা।
৫০. অমূল্য মিষ্টান্ন ভান্ডারের (শাঁখারীবাজার) হালুয়া, পরোটা, সন্দেশ।
৫১. গোপীবাগের খাজা হালিম ও টিটির কাচ্চি
৫২. বাসাবোর হোটেল রাসেলের “শিককাবাব”
৫৩. বায়তুল মোকাররমে অলিম্পিয়া কনফেকশনারীর “চকলেট পেস্টি”
৫৪. কর্নফুলি গার্ডেন সিটির চার তালার “ফুচকা”
৫৫. কাঁটাবন ঢালে অষ্টব্যঞ্জনের বিফ খিচুড়ী
৫৬. পল্টনের (বিজয়নগর পানির ট্যাকিংর পেছনে) নোয়াখালী হোটেলের গরুর কালো ভুনা
৫৭. ডিসেন্ট (মতিঝিল, হাতিরপুল, বনশ্রী, ধানমন্ডি, চক, নওয়াব—এদের প্রচুর শাখা) এর ডেজার্ট আইটেমগুলা ভালো।
৫৮. ব্রাক ভার্সিটির কাছে নন্দনের বিফ এবং মগজ ফ্রাই।
৫৯. গুলশান ২ এর মোড়ে ঝালমুড়ি ওয়ালার টমেটো মাখানো।
৬০. মহাখালি কন্টিনেন্টাল হোটেলের শর্মার সঙ্গে সস’টা দারুণ সেই সাথে চা টাও খুব একটা খারাপ না।
৬১. নিউমার্কেট এরিয়ায় পেয়ারা, আম মাখানোও যথেষ্ট ভাল।
৬২. নিমতলির বাদশাহ মিয়ার চা
৬৩. আগামাসিহ লেনের মাকসুদের খাসসির পায়ার নেহারী
৬৪. বিউটির লেবুর সরবত আর লাচ্ছি,ফালুদা

৬৫. মোহাম্মদপুরের বিহারি ক্যাম্পের মুস্তাকিমের চাপ, গোল্ডেন বিরিয়ানি।
৬৬. ফকরুদ্দিনের কাচ্চি বিরিয়ানি, বোরহানি।
৬৭. বিহারি ক্যাম্পের গরুর মগজ ফ্রাই

৬৮. মিরপুর পানির ট্যাঙ্কের ঝাল ফুচকা।
৬৯. গুলশান ২ এ ব্যাটন রোজ ১০১ বুফেট মেন্যু সল্প মুল্যে।
৭০.খিলগাঁও তালতলা মার্কেটের অপজিট পাশে ফুট পাতের চিকেন ঝাল শিক
৭১.লালবাগ কেল্লার উলটা পাশে হোটেল রয়েল এর চিকেন চাটনি কারি।
৭২. ধানমন্ডি ১৫ নং এর Pasta state.
Curtsy: Daily Bangladesh 

শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

১৪ ফেব্রূয়ারীর 'বিশ্ব বেহায়া দিবস' কে "না" বলুন !

প্রথমে বলা হয়েছে "ভালোবাসা দিবস", এরপর এখন এটা কেবল "ভ্যালেন্টাইন্স ডে"। যিনার বিস্তার ঘটানোর জন্য আরও ডে বের করেছে সপ্তাহব্যাপী- রোয ডে, চকলেট ডে, হাগ ডে, কিস ডে ইত্যাদি। আগে ভ্যালেন্টান্স ডে কে "ভালোবাসা দিবস" নাম দিয়ে এদেশে বোঝানো হয়েছে- মায়ের ভালোবাসা, বাবার ভালোবাসা, স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা ইত্যাদি। যেনো সারাবছর সবাই মারামারিতে থাকে আর একদিন ভালোবাসা ভালোবাসে। কিন্তু ক্লোজআপের মতো টুথপেস্ট ব্র‍্যান্ড এসে "কাছে আসার গল্পের" আহবান করতে লাগলো। এখন আর ভালোবাসা দিবস নেই- হয়ে গেছে ভ্যালেন্টাইন্স ডে। ভ্যালেন্টাইন্স ডে আর ভ্যালেন্টাইন্স ডে নেই- কিস ডের পরের সিরিয়ালে কী ডে হয়ে গেছে সামান্য ঘিলু থাকলেই বোঝা যায়। আগে এই ভ্যালেন্টাইন্স ডে উপলক্ষ্যে নাটক-বিজ্ঞাপন দিয়ে একটা ভাইভ তৈরি করা হয়েছে। এখন শহর থেকে শুরু করে গ্রামেগঞ্জে বেহায়াপনা চরম আকার ধারণ করেছে। কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ওদিকে ভারতীয় সিনেমা এবং তার অনুকরণে বাংলা সিনেমা দেখে কোমলমতি শিশুরা "জীবনের অর্থ কী তুমি ছাড়া?" মার্কা শ্লোগান দিচ্ছে। না, এটুকুই না। এরপর যিনা-ব্যভিচার হচ্ছে। কিছুদিন পর দেখা যাচ্ছে মেয়েগুলো "প্রতারিত"। ধর্ষণ নাকি করেছে "বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে"। বাড়ছে এসব খবর। বাড়ছে এ্যাবরশন, মৃত্যু, সন্তান ফেলে দেওয়া, স্ক্যান্ডাল ইত্যাদি। 
.
প্রিয় পাঠক, আল্লাহ আমাদের সবচেয়ে ভালোটা চান বলেই তিনি প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সব অশ্লীলতা হারাম করে দিয়েছেন। তিনি বলে দিয়েছেন- "যিনার কাছেও যেওনা।" রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “দুই চক্ষুর যিনা হচ্ছে- দেখা, দুই কানের যিনা হচ্ছে- শুনা, জিহ্বার যিনা হচ্ছে- কথা, হাতের যিনা হচ্ছে- ধরা, পায়ের যিনা হচ্ছে- হাঁটা, অন্তর কামনা-বাসনা করে; আর যৌনাঙ্গ সেটাকে বাস্তবায়ন করে অথবা করে না।” ( সহিহ বুখারী ও মুসলিম)
.
প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোন, শুধু যৌনতার খায়েশকে কেন্দ্র করে ভেসে যেতে আপনাকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা'আলা সৃষ্টি করেননি। বরং ইসলাম সেজন্য বিয়ের বিধান দিয়েছে। আপনার যৌবন আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যত্রতত্র ব্যয় করার জন্য তা আল্লাহ আপনাকে দেননি। বরং তা করলে যে মর্মন্তুদ শাস্তি পেতে হবে তা খুব ভয়াবহ হবে। 
.
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, "গত রাতে আমি এক স্বপ্নে দেখি দু'জন (ফেরেশতা) আমার কাছে এসে আমায় জাগিয়ে দিল এবং বলল, "সামনে চলুন।" আমি তাদের সাথে যাত্রা শুরু করলাম আর... সুতরাং আমরা এগুলাম আর চুল্লীর মতো কিছু দেখলাম ঐ চুল্লী থেকে অনেক কান্না ও শোরগোল শোনা যাচ্ছিল। আমরা এর দিকে তাকিয়ে উলঙ্গ নারী পুরুষ পেলাম যাদের নিচে থেকে আগুনের শিখা উপড়ে উঠছে। যখনই তা তাদের পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছিল তারা চিৎকার করে কান্না করছিল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, "এরা কারা"? তারা বললো, "সামনে চলুন"... আমার দু'জন সঙ্গী আমায় বললো,... আপনি চুলার মতো জায়গায় যে উলঙ্গ নারী-পুরুষকে দেখলেন এরা ব্যভিচারী পুরুষ ও ব্যভিচারী নারী।"( সহীহ আল-বুখারী) [মূল হাদিসটা অনেক বড়। এখানে সম্পর্কিত অংশটা উল্লেখ করা হয়েছে কেবল।]
.
মহানবী (সাঃ) বলেছেন, " যে ব্যাক্তি যেনা করে কিংবা মদ পান করে, আল্লাহ তার কাছ থেকে ঈমান ছিনিয়ে নেন, যে ভাবে কোন ব্যাক্তি তার জামা মাথার উপর দিয়ে খুলে ফেলে । (হাকেম)
.
আপনার যদি সামান্য পরিমাণ আল্লাহর ভয় থাকে তবে একজন নারী যিনি আপনার জন্য হালাল নয় তার সামান্য স্পর্শও আপনার জন্য মাথায় পেরেক ঠোকার চেয়ে ভয়াবহ লাগার কথা। যেমনটা বলেছিলেন ইউসুফ আলাইহিস সালাম- "আমি আল্লাহকে ভয় করি।"
.
এবার আসি বাংলাদেশে এ অযাচার পাপাচারকে কারা কারা প্রমোট করছে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী হিসেবে:
১. যায়যায়দিন:
এই পত্রিকার সম্পাদক শফিক রেহমান সর্বপ্রথম ভ্যালেন্টাইন্স ডেকে বাংলাদেশে প্রবর্তন করে। এদের কিছু অশ্লীলতা প্রমোটকারী লেখাজোখা থাকতো। যা দিয়ে প্রেম-পরকিয়া প্রমোট করা হতো।
২.নারীবাদীগণ:
এরা কোমলমতি ও ইমোশনাল মেয়েদের বিভ্রান্ত করতে দক্ষতা দেখিয়েছে। সবাই নিজের পক্ষে কথা শুনতে চায়। আপনি যদি ন্যায়-অন্যায় না বুঝেন তবে আপনি স্বাভাবিকভাবেই তা করবেন। পক্ষে মিষ্টি কথায় অন্যের চিড়ে ভেজানোর সুযোগ করে দিলে আখেরে নিজের অকল্যাণ। নারীবাদটা হলো বাইরের মুখোশ। বেশ তথ্য আছে- লম্পট ছেলেগুলো নারীবাদী সাজে প্রথমে। বিশিষ্ট নারীবাদি ইমতিয়াজ মাহমুদের সাম্প্রতিক কুকর্ম তো সবাই দেখেছেন। লম্পট ইয়াং ছেলেপেলেদের ফরম্যাটও একই।
৩. ক্লোজআপ তথা ইউনিলিভার:
এর কথা সবাই জানেন। নতুন করে বলার শুধু এটুকু আছে- দেশের কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ব্যভিচারী-ব্যভিচারিনীদের জন্য রিকশায় ব্যভিচারের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। আজ ৯ তারিখ থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত। কিয়ামতের একটা আলামত হলো- যিনা ব্যভিচার প্রকাশ্যে হওয়া।
৪. এয়ারটেল:
"ভালোবাসার টানে পাশে আনে" শ্লোগান দিয়ে এরাই ফ্রি-মিক্সিংকে ডালভাত করে দিয়েছে। লজ্জাকে করে দিয়েছে তাচ্ছিল্যের বস্তু। অথচ যার ঈমান আছে সে লজ্জাশীল স্বভাবতই। লজ্জা প্রাকৃতিক। নির্লজ্জতা বিকৃতির।
৫. প্রাণ-আরএফএল:
ক্লোজআপের সঙ্গে এদের প্রতিযোগিতা যেনো। এরা এখন অনেকগুলো পণ্যের বিজ্ঞাপনে চাইছে ব্যভিচারকে উস্কে দিতে।
.
সময় এখন প্রতিরোধের। সময় এখন এর লাগাম টেনে ধরার। নইলে আল্লাহর আযাবের অপেক্ষা করতে হবে সবার। নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক। আমরা যে যেখান থেকে যা করতে পারি, আমাদের তাই করা উচিত বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে বাঁচাতে। 
.
করণীয়:
১. আপনার মসজিদের খতিব সাহেবকে অনুরোধ করুন আজ জুমু'আর বয়ানটা যাতে এ সংক্রান্ত হয়। দরকার হলে বোঝান।
২. যার যার জায়গা থেকে দাওয়াহ-নসীহাহ দিন, সতর্ক করুন। বোঝান।
৩. প্রশাসনকে খুব ভালো করে বোঝান। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পারলে বোঝান। অভিভাবকদের বোঝান যে এর ফল কী পেতে যাচ্ছি আমরা।
৪. নিজের আইডি, গ্রুপ, পেইজ থেকে শুরু করে সর্বত্র প্রতিবাদ করুন।
৫. সাস্টেইনেবল প্ল্যান করুন। ভাবুন কী কী করা যায়। তবে খেয়াল রাখতে হবে তা যাতে হিতে বিপরীত না হয়।
৬. দু'আ করুন। আল্লাহর কাছে সাহায্য চান। দু'আ হচ্ছে মু'মিনের অস্ত্র।
.
যে ভাইবোনেরা প্রেম (মূলত যিনার একরূপ) নামক মিঠে আলাপে মন গলিয়ে বসে আছেন তাদের বলছি-
না, আপনার জীবন বলে আপনি যাচ্ছেতাই করতে পারেন না। আপনার দশ তলা থেকে লাফ দিতে গেলে এগিয়ে যাও বলা লোকেরা আপনার শত্রু। গালে চড় দিয়ে ফিরিয়ে আনারা আপনার বাবা-মা-শুভাকাঙ্ক্ষী। আজ না বুঝলেও কাল যখন বুঝবেন তখন ক্ষতি হয়ে যাবে অনেক বেশি। ইসলামে প্রেম আছে- তবে তা বিয়ের মাধ্যমে হালাল উপায়ে। বিয়ের আগে নয়।
#Notourculture #Boycottcloseup
#HujurHoye পেইজ থেকে সংগৃহীত

রবিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৮

দোয়ার আশ্চর্য ফল

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24ঃ শাইখ মুহাম্মদ আস সাউঈ খুতবা দিতে যাবেন আসওয়ানে (মিশরের দক্ষিণে একটি শহর)। তাঁর ফ্লাইট ছিল ভোর ৫:৩০ টায়। এখন তিনি যদি আলেক্সযান্দ্রিয়ায় (মিশরের আরেকটি শহর) ফযর সালাত আদায় করে বের হন তাহলে তিনি খুতবা দেওয়ার জায়গায় যথা সময়ে পৌঁছাতে পারবে না। সুতরাং তিনি এয়ারপোর্টের সন্নিকটে একটি মসজিদের ইমাম সাহেবকে অনুরোধ করলেন তিনি যেন মসজিদের মূল দরজাটি খুলে রাখেন। ইমাম সাহেব জানতে চাইলেন সবকিছু ঠিক আছে কিনা? প্রতুত্তরে তিনি জানালেন যে হ্যা, সবকিছু ঠিকঠাক আছে। ভোর সাড়ে পাঁচটায় তাঁর ফ্লাইট, রাত ২/৩ টার দিকে তিনি মসজিদে আসতে চান, ছোট্ট একটা ঘুম দিয়ে, ফযর সালাত তার সাথে জামাতে আদায় করে এয়ারপোর্ট যাবেন। তাহলে, ফজর সালাত বা ফ্লাইট কোনটিই মিস হবে না ইন শাআ আল্লাহ। ইমাম সাহেব তাঁর এই প্রস্তাব সাদরে গ্রহণ করলেন।
শাইখ মুহাম্মদ কায়রোর উদ্দেশে রওয়ানা দিলেন ১০ টায় এবং রাত ২টায় তিনি এয়ারপোর্টের নিকটে ওই মসজিদে পৌঁছে সদর দরজা খোলা ও সবগুলো বাতি জ্বালানো অবস্থায় পেলেন। মিহরাবের কাছে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে সিজদারত অবস্থায় দেখতে পেলেন। লোকটি সিজদায় কাঁদছে এবং মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইছে এই বলে,
“হে আমার রব! আমি আর নিতে পারছি না, আমার কেউ নেই তুমি ছাড়া। তুমি ব্যতীত কার কাছে যাবো আমি ?”
শাইখ লোকটির কথা শুনে বুঝলেন যে সে কোন পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছে না বরং তার ভীষণ প্রয়োজনীয় কিছু মহান আল্লাহর কাছে চাইছে আর সেজন্যই আল্লাহর দরবারে এই আকুতিভরা প্রার্থনা। তিনি লোকটির সলাত শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করলেন। একসময় তা শেষ হলো। তিনি লোকটিকে সালাম দিলেন এবং পিঠে হাত বুলিয়ে তার কাছে জানতে চাইলেন তার কি হয়েছে সেটা বলা যাবে কি? শাইখ লোকটিকে বললেন যে আপনার দুয়া আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। লোকটির কান্নার কারণ এবং কিসের জন্য এত অনুনয়-বিনয় সহকারে মহান রবের দুয়ারে হাত তুলেছেন তা জানতে চাইলেন। লোকটি শাইখের দিকে তাকালেন এবং তিনি কি বলবেন ঠিক বুঝতে পারছেন না। তবুও তিনি বললেন, বিষয়টা হলো তার স্ত্রী খুব অসুস্থ। কাল সকাল ৯টায় অপারেশন হবে। হসপিটালের বিল ও অপারেশন বাবদ তার ১৫,৪০০ পাউন্ড ভীষণ প্রয়োজন। অথচ তার কাছে এর কিছুই নেই।
সব শুনে শাইখ জানালেন যে তাকে অর্থ সাহায্য করার মত অবস্থা তার নেই। তবে তিনি লোকটিকে এই সুসংবাদ দিলেন যে প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা:) আমাদের জানিয়েছেন মহান আল্লাহ্ আমাদের মায়ের চেয়েও বেশি ভালবাসেন। আল্লাহর কাছে যে চায় তিনি তাকে ফিরিয়ে দেন না। শাইখ লোকটিকে তার দুয়া চালিয়ে যেতে বললেন, আল্লাহর দরবারে কাঁদতে বললেন, কারণ মহান আল্লাহ্ বান্দার দুয়া শোনেন। শাইখ বিতির সালাত আদায় করে ঘুমাতে গেলেন।
কিছুক্ষণ পর মুয়াজ্জিন এলেন আযান দিতে এবং শাইখকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দিয়ে আযান দিলেন। তারা সুন্নাত সালাত আদায় করলেন। ইমাম সাহেব শাইখকে ফজরের সালাতের ইমামতি করার জন্য অনুরোধ করলে তিনি জানালেন যে তিনি সফরের কারণে খুবই ক্লান্ত। তথাপি তিনি জুড়াজুড়ির পরে রাজি হলেন ইমামতি করার জন্য। যথাসময়ে সালাত শেষ হলো। দ্বিতীয় কাতার থেকে এক ব্যক্তি হঠাৎ সামনে এগিয়ে এলেন। সে ছিল ওই এলাকার সবচেয়ে ধনী। তার পোশাক পরিচ্ছদে স্পষ্ট বোঝা যায় যে সে যথেষ্ট সম্পদের মালিক। তিনি শাইখকে সালাম ও উষ্ণ অভিবাদন জানিয়ে বললেন যে টেলিভিশনে শাইখের বক্তব্য তিনি নিয়মিত শোনেন। তিনি তাকে আরো জানালেন যে সম্প্রতি এই মসজিদের ওপর তিনি একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। শাইখের গলা শুনে তিনি নিশ্চিত হতে তাকে দেখতে এসেছেন। তিনি আরো বললেন যে প্লাস্টিকের একটি কারখানা দিয়েছেন তিনি এবং সেটির নতুন শাখা খুলেছেন। আলহামদুলিল্লাহ্! মহান আল্লাহ্ তাকে অনেক সম্পদের মালিক করেছেন। শাইখকে তিনি জানালেন যে তার ১৫,৪০০ পাউন্ড যাকাত সংগৃহিত হয়েছে, এগুলো বিতরণ করতে হবে তাকে। তাঁর কাছে পরামর্শ চাইলেন কীভাবে এগুলো বিতরণ করা যায়। শাইখের শরীরের লোমগুলো মহান আল্লাহর অলৌলিক ক্ষমতার কথা স্মরণে দাঁড়িয়ে গেল এবং শেষ পর্যন্ত তিনি কেঁদে ফেললেন। মানুষজন অবাক হয়ে তাকে দেখছে আর ভাবছে কেন তিনি কাঁদছেন।
শাইখ নিজের মনে মনে চিন্তা করে সুবহানাল্লাহ! বললেন এবং ভাবলেন এই ধনী ব্যক্তিটি জানেও না যে তার বাড়ির নিচেই মসজিদে এক দরিদ্র ঠিক এই পরিমাণ টাকার জন্যে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইছে! শাইখ লোকটিকে চারপাশে খুঁজতে লাগলেন। তাকে দেখামাত্র সামনের কাতারে আসতে বললেন। লোকটি তার ডাকে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসল। তার চোখ এখনো অশ্রুসিক্ত, লাল হয়ে আছে কান্নার কারণে। শাইখ দরিদ্র লোকটিকে ধনী ব্যক্তির সামনেই প্রশ্ন করলেন যে কেন সে সারারাত কেঁদেছে? লোকটি বললো যে শাইখ আমি তো আপনাকে বলেছি যে আমার স্ত্রীর আজ সকাল ৯টায় অপারেশন। হসপিটালের বিল ও সার্জারি বাবদ ১৫,৪০০ পাউন্ড আমার জরুরী প্রয়োজন। কিন্তু আমি হতদরিদ্র। এত টাকার কিছুই আমার নেই? তার একথা শুনামাত্র ধনী ব্যক্তিটি কেঁদে ফেলল। মহান আল্লাহর কাছে বারবার শুকরিয়া জানাল আর গরীব লোকটাকে জড়িয়ে ধরলেন।
ধনী ব্যক্তিটি শাইখকে বললো যে এক সপ্তাহ আগে যাকাতের এই টাকা সে আলমারিতে রেখেছে। তার স্ত্রী প্রায় প্রতিদিন তাকে এই যাকাতের টাকা বিতরণ করে দিতে বলতেন, যেহেতু এটা আল্লাহর হক। প্রতুত্তরে তিনি বলতেন একটু ধৈর্য ধরো। আশা করছি এমন কাউকে শীঘ্রই পেয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ যার ভীষণ দরকার এই টাকাটা। আজ এখানে ৫০০ পাউন্ড কাল ওখানে ১০০০ পাউন্ড এইভাবে ভেংগে ভেংগে টাকাটা না দিয়ে আমি আসলে এমন কাউকে খুঁজছি যার এই টাকা একত্রে পেলে অনেক উপকার হবে। কারো দু:শ্চিন্তা, পেরেশানি আমি যদি আজ এতটুকু দূর করতে পারি তাহলে কাল কেয়ামতের দিন মহান আল্লাহ্ হয়তো আমার কষ্ট ও পেরেশানি দূর করে দিবেন।
ধনী লোকটি যাকাতের টাকাটা তার আলমারি থেকে নিয়ে আসলেন এবং ওই লোকটিকে তার স্ত্রীর অপারেশনের জন্য দিয়ে দিলেন। দরিদ্র লোকটির জন্য অল্প সময়ে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাবলি বিশ্বাস করা খুব কঠিন হয়ে পড়লো। তার চারিপাশে কি আছে সব ভুলে গিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মহান আল্লাহর দিকে ফিরে কান্নাজড়া কন্ঠে কৃতজ্ঞতা জানালো, “হে আমার প্রভু! আমি তোমাকে ভালবাসি, আমি অনেক ভালবাসি তোমাকে। “
আল্লাহু আকবর! আমরা কি দেখতে পাই মহান আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসের ফল?
মহান আল্লাহ্ রব্বুল আলামিন পবিত্র কুরআনুল করীমে বলেছেন,
“তারা (গভীর রাতে) শয্যা ত্যাগ করে তাদের রবকে ডাকে ভয় ও আশা নিয়ে এবং আমি তাদের যে জীবনোপকরণ দান করেছি তা হতে তারা ব্যয় করে। কেউই জানে না তার জন্য তার কৃতকর্মের নয়ন প্রীতিকর কি পুরস্কার রক্ষিত আছে।” ( সুরা সিজদাহ : ১৬ ও ১৭)
———————————————————————–
অনুবাদঃ সারাহ ইসলাম
সম্পাদনাঃ Islamic Scholars In Bangla (ISB Team)
সোর্সঃ Daily Fawaid From Shaykh Yunus Katharda

সোমবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৮

বিএনপি-জামায়াত জোট নিয়ে যা লিখলেন শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মন্জু

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24ঃ  বিএনপি-জামায়াত জোট নিয়ে শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মন্জু’র মতামত নিচে তুলে ধরা হলোঃ
(১) এমন প্রসঙ্গে লিখতে বসেছি যা এ মুহুর্তে বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে। অনেকের কাছে এ লেখা অপছন্দনীয় হবে তা হলফ করে বলতে পারি। দ্বিমত থাকতে পারে কারও কারও।
তবুও এ প্রসঙ্গে আলোচনার সূত্রপাত কেন করলাম?
এর জবাব লেখার মাধ্যমে পরিস্কার হবে আশাকরি।
যদি তা না হয় তাহলে উপসংহারে স্পষ্ট করার প্রতিশ্রুতি রইলো-
প্রথমে একটা গল্প বলি।
এটাকে অবশ্য গল্প বলা ঠিক হবেনা। এটা একটা বাস্তব ঘটনা। যা গুরুত্বপূর্ণ লোকদের কাছ থেকে শোনা। ঘটনার তথ্য সম্পর্কে কারও যদি ভিন্নমত থাকে তাহলে জানিয়ে দেবেন, আমি আপনার ভিন্নমত হুবুহু তুলে ধরবো। ঘটনা বা গল্পটা বলা আমার উদ্দেশ্য নয়, প্রাসঙ্গিক কারণে এটা উল্লেখ করছি। যদি কেউ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার উদ্দেশ্য-বিধেয় নিয়ে টানাটানি করেন, গালাগাল করে চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করেন তাতেও আপত্তি নেই। আপনি যে কষ্ট করে পড়লেন, মতামত দিলেন তাতেই আমি অশেষ কৃতজ্ঞ।
ঘটনাটা ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে জোট সরকার ক্ষমতায় থাকা কালীন সময়কার। বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারে জামায়াত প্রধান শরীক হিসেবে যোগ দেয়। সংসদে জামায়াতের ১৭ জন নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। এটা সকলের জানা যে নির্বাচনের সময় প্রার্থীরা তার এলাকার ভোটারদের নানা রকম প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন। এসকল প্রতিশ্রুতির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি হলো নিজ নিজ এলাকার থানা সদর বা উল্লেখযোগ্য কোন ইউনিয়ন পরিষদ কে পৌরসভায় রুপান্তর করা। তাই নির্বাচনের পর পর এমপিরা তাদের প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে দৌঁড় ঝাপ শুরু করেন।
তখন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ছিলেন বিএনপি সেক্রেটারী আব্দুল মান্নান ভূইয়া। এমপিদের প্রতিশ্রুতি, এলাকার বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তা, সর্বাপরি চেষ্টা তদবীর কে সমন্বয় করে অবশেষে সরকার অনেকগুলো নতুন পৌরসভা গঠনের ঘোষনা দেয়। এসকল নতুন পৌরসভার মধ্যে বেশীরভাগ (প্রায় ৪০ টি) ছিল বিএনপি এমপি দের এলাকায়, কিছু ছিল আওয়ামীলীগ এমপি দের এলাকার এবং ৭ টি ছিল জামায়াত এমপিদের এলাকার। (সংখ্যা কম বেশী হতে পারে)।
জামায়াতের যে সাতজন এমপি নিজ এলাকায় পৌরসভা পেলেন, তাঁরা একদিন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মান্নান ভূঁইয়া কর্তৃক তাঁর মিন্টু রোডস্থ বাসভবনে চা পানের আমন্ত্রণ পেলেন। এমপি গণ সানন্দে সে আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেন। কারণ মন্ত্রীকে তাদের পক্ষ থেকে একটু ধন্যবাদ জানানোর কাজটাও তাঁরা এই সুযোগে সেরে নিতে পারবেন।
সে সময়কার কোন এক বিকেলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও বিএনপি মহাসচিব মান্নান ভূঁইয়ার আহুত চা চক্রে জামায়াতের সিনিয়র নেতা মাওলানা আব্দুস সোবহানের নেতৃত্বে ৭ জন এমপি যোগদান করলেন।
চা-পান ও সৌজন্যমূলক নানা আলোচনার পর জনাব মান্নান ভূইয়া জামায়াতের এমপিদের উদ্দেশ্য করে বললেন- একটি বিশেষ বিষয়ে অনুরোধ করার জন্য আমি মূলত: আপনাদের কষ্ট দিয়েছি। আপনারা আপনাদের ভোটারদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পৌরসভা করবেন। আপনাদের সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হলো- এটা আপনাদের বিরাট একটা এচিভমেন্ট। এই কৃতিত্ব যেমনি আপনার তেমনি এটা আমাদের সরকারেরও সাফল্য।
আমরা যেহেতু জোটবদ্ধ সরকার তাই আমাদের একটা চিন্তা হলো আপনারাতো জামায়াতের এমপি আছেনই। আপনাদের পৌরসভায় নির্বাচনের আগ পর্যন্ত প্রথম যে প্রশাসক সরকার নিয়োগ করবে তা হবে বিএনপি-র। আপনাদের কোন আপত্তি না থাকলে আমরা বিএনপি’র পক্ষ থেকে আপনাদের পৌরসভা গুলোর জন্য ৭ জন প্রশাসক নিয়োগ পূর্বক এ চিন্তাটা বাস্তবায়ন করতে চাই।
চা চক্রে এতক্ষণ যে প্রাণেচ্ছল আনন্দময় পরিবেশ ছিল তা হঠাৎ থমকে গেল। এরকম একটা সিরিয়াস প্রস্তাব মান্নান ভূইয়া সাহেব চায়ের টেবিলে দিয়ে দিবেন তা তাঁরা ভাবতে পারেননি।
এমপি গণ পরস্পর মুখ চাওয়া চাওয়ি করলেন। নীতি নির্ধারণী টেবিলে আলোচনা না করে এ বিষয়ে মতামত দেয়া মোটেও সম্ভব নয়। একবার যদি তাঁরা এই প্রস্তাবে হ্যাঁ বলেন তাহলে স্থানীয় ভাবে কঠিন পরিস্থিতি তাদের মোকাবিলা করতে হবে। আবার মন্ত্রী যে যুক্তি দিয়ে প্রস্তাব তুলেছেন মুখের উপর তা না করাও মুশকিল। সকলের মুরুব্বী মাওলানা সোবহান সাহেব তারপরও সংকোচ ত্যাগ করে মন্ত্রীর মুখের ওপর বললেন- মান্নান ভাই আমরা তো এ বিষয়ে আলোচনা করার জন্য আজকে প্রস্তুত নই। এটা যদি আপনার অফিসিয়াল প্রস্তাব হয় তাহলে আমরা আমাদের নীতি নির্ধারণী সভায় আলাপ করে এ বিষয়ে পরে আমাদের মতামত জানাবো।
কিন্তু জামায়াতের (অপেক্ষাকৃত) তরুণ এমপি ডা: সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সবাইকে অবাক করে দিয়ে চট্ করে প্রস্তাবটিকে সমর্থন জানিয়ে বসলেন। তিনি বললেন মান্নান ভাই আপনার প্রস্তাবটি খুবই উত্তম ও যুক্তিপূর্ণ। তাঁর কথা শুনে মান্নান ভূইয়ার মুখ উজ্বল হয়ে উঠলো পক্ষান্তরে জামায়াতের অন্যান্য সতীর্থদের কপালে কিছুটা চিন্তার ভাঁজ পড়লো।
ডা: তাহের বললেন, আপনার চিন্তাটি যথার্থ এবং এটি একটি আদর্শ প্রস্তাব। আপনি বলেছেন এই সরকার জোট সরকার। আপনার প্রস্তাব অনুযায়ী যেখানে জামায়াতের এমপি সেখানে পৌরসভায় প্রশাসক হবে বিএনপি’র আর যেখানে বিএনপি’র এমপি সেখানে পৌরপ্রশাসক হবে জামায়াতের। আমিতো মনেকরি জামায়াতের নীতি নির্ধারণী ফোরামে এই প্রস্তাব অনায়াসে পাশ হবে। কারণ এই প্রস্তাব গৃহীত হলে বিএনপি পাবে ৭ জন পৌরপ্রশাসক আর জামায়াত পাবে ৪০ জন পৌরপ্রশাসক।
মূহুর্তে সবাই তাহের সাহেবের কথার অর্থ বুঝতে পারলেন। এবার জামায়াতের সবাই সহাস্যে তাঁকে সমর্থন জানালেন। মান্নান ভূইয়া’র মুখাবয়বয়বে বিব্রত ভাব তবুও ঠোঁটে মৃদু হাসি টেনে তিনি ডা: তাহের কে উদ্দেশ্য করে বললেন- এমপি সাহেব আপনি খুব বুদ্ধিমান।
মন্ত্রী এরপর আর সে প্রসঙ্গে না গিয়ে অন্যান্য রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করলেন। অত:পর আরেক পশলা খাওয়া-দাওয়ার পর সেদিনকার চা-চক্র শেষ হল।
আলোচনার প্রারম্ভিক হিসেবে বাস্তব ঘটনার এই গল্পটি এখানে উল্লেখ করলাম, শ্রেণীমত যার যা বোঝার বুঝে নেবেন।
২০ দলীয় জোটভুক্ত দলগুলোর নেতৃত্ব যারা দিচ্ছেন তাদের কাছে বিনীত প্রশ্ন- কোন অবস্থা, পরিস্থিতি ও উপলব্ধি থেকে এই জোট গঠিত হয়েছিল তা কী আপনাদের স্মরণে আছে?
কী ছিল এই জোট গঠনের উদ্দেশ্য?
প্রায়শ:ই একটি কথা শোনা যায় ২০ দলীয় জোট হলো নির্বাচনী জোট। আসলেই কী তাই?
কোথায় লেখা আছে এটা?
কী ইসলাম কী গায়রে ইসলাম ভিন্ন মতাদর্শের দলগুলো যখন ঐক্যবদ্ধ হয় তখন তাদের মাঝে একটা সমঝোতা স্মারক হয়। আছে কী আপনাদের সেরকম কোন সন্ধিপত্র?

(২)
২০ দলীয় জোটের ভাই-বোনেরা
আসুন আজ লেখার শুরুতেই কোমর বেঁধে তর্ক করার জন্য প্রস্তুতি নিই। যুক্তি, বুদ্ধি ও বিবেক খাটিয়ে বিতর্কের সুবিধার্থে সংক্ষেপে কিছু জানা তথ্য পূণ: আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই—
৯০ এর গণ অভ্যুত্থানে এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ সালে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বিএনপি পায় ১৪০ সীট এবং জামায়াত পায় ১৮ সীট। জামায়াতের নি:শর্ত সমর্থনে বিএনপি ক্ষমতায় আসীন হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ৯১-৯৬ এই শাসনকালে বিএনপি-জামায়াতের চরম দূরত্ব সৃষ্টি হয়। বিএনপি কেয়ারটেকার পদ্ধতি কে অস্বীকার করে, ফলে বিএনপি-র বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগ-জামায়াত সমন্বিত আন্দোলনে নামে।
তারই কাউন্টার ইফেক্ট হিসেবে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে ক্ষমতার মসনদে আসীন হয় আওয়ামী লীগ।
সেই নির্বাচনে বিএনপি জামায়াত ৩০০ আসনে আলাদা আলাদা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। বিএনপি পায় ১১৬ আসন আর জামায়াত পায় ৩ আসন।
বিএনপি হারায় পূর্বেকার ২৪ সীট এবং ক্ষমতা, জামায়াত হারায় ১৫ সীট। মাত্র ৩ সীট পেয়ে জামায়াত একটি বড় রাজনৈতিক ধাক্কা খায়।
তারপরের হিসাব-নিকাশ খুবই সহজ। ফিরে আসে আওয়ামী দূ:শাসন। বিএনপি জামায়াত বুঝতে পারে ক্ষমতার গরম এবং রাজনৈতিক দূরদৃষ্টির অভাবে তাদের মধ্যকার সম্পর্কের যে তিক্ততা তা তাদের কোথায় নিয়ে এসেছে এবং যাচ্ছে।
জানিনা উভয় রাজনৈতিক দল এর জন্য যথার্থ পর্যালাচনা ও আত্মসমলোচনা করে নিজ নিজ ভুল উপলব্ধি করতে পেরেছিল কিনা! কিন্তু জনগণ বুঝতে পারে এই ভুলের মাশুল শুধরিয়ে এর যথার্থ প্রায়শ্চিত্য করতে হলে উভয় দলকে তাদের দূরত্ব ঘুঁচিয়ে আবার এক হতে হবে।
এরই ফলশ্রুতিতে বহু চেষ্টা, প্রচেষ্টা, ত্যাগ-তিতক্ষার ধাপ পেরিয়ে সেসময় প্রথমে সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য এবং তার পথ ধরে পরবর্তীতে ৪ দলীয় রাজনৈতিক জোট গঠিত হয়। যা আজকের রুপান্তরিত ২০ দলীয় জোট।
রাজপথে তখন ঘোষনা করা হয়- স্বৈর আওয়ামী সরকার পতনে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন, জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন এবং সম্মিলিত সরকার গঠনের লক্ষেই ৪ দলীয় ঐক্যজোট গঠিত হয়েছে।
এর ফলাফল কী হয়েছে তা সকলেরই জানা। উভয় দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করেছে, ২০০১ সালের নির্বাচনে ভালো ফলাফল করে জয়লাভ করেছে এবং একসাথে সরকারও গঠন করেছে। এই নির্বাচনে বিএনপি জেতে ১৯৩ আসন এবং জামায়াত জেতে ১৭ আসন।
বিএনপি-জামায়াতের এই জোট আন্দোলন-নির্বাচন ও একসাথে সরকার গঠনের জোট হলেও সাধারণ জনগণ এটাকে গ্রহণ করেছে আধিপত্যবাদ ও স্বৈরতন্ত্র থেকে বাংলাদেশের মুক্তির জোট হিসেবে। ফলে এই ঐক্যবদ্ধতা শুধু রাজনৈতিক নির্বাচনে সীমাবদ্ধ থাকেনি। আইনজীবী সমিতি, ডক্টরস এসোসিয়েশন, শিক্ষক সমিতি, সাংবাদিক ফোরাম, স্থানীয় নির্বাচন এমনকি ক্লাব, মহল্লা, স্কুল, মসজিদ কমিটি পর্যন্ত এই ঐক্য বিস্তৃত হয়েছে।
এখন যাদের মনে প্রশ্ন আসে এ ঐক্যে কে বেশী লাভবান হয়েছে? তাদের কে আমি বলবো যৌথ ব্যবসায় যিনি চেয়ারে বসেন, যিনি বেশীরভাগ শেয়ার হোল্ড করেন লাভ তো তারই বেশী হবার কথা।
আমি বলবো, বিএনপি-জামায়াতের এই ঐক্যে কে বেশী লাভবান বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই হিসাব মিলাতে গিয়ে
একে অপরের দিকে আঙ্গুল না দেখিয়ে চলুন আঙ্গুলটা নিজের দিকে ঘুরাই। অর্থাৎ আমরা নিজেরা নিজেদের প্রয়োজনেই একজোট হয়েছিলাম এবং এর লাভ ক্ষতির দায়ভার একান্তভাবে আমাদের নিজেদের।
১৯৮০ থেকে আজ ২০১৮ পর্যন্ত দীর্ঘ রাজনৈতিক পরিক্রমায় বিএনপি বুঝেছে জামায়াত কী জিনিষ, জামায়াত ও বুঝেছে বিএনপি কোন ধরনের দল। উভয় দল বুঝে শুনে একে অপরের সম্পর্কে জেনেই একসাথে জোট করেছে। এমনতো নয় যে বিএনপি দাবী করেছে তারা খুব সুসংগঠিত দল! তাদের নেতা-কর্মীরা খুব আনুগত্য পরায়ন, ত্যাগী! বরং বিএনপি নেতাদের সবসময় বলতে শোনা যায় তাদের দল গণ মানুষের দল এখানে নিয়ম নীতি, শৃংখলা, আনুগত্য পরায়নতা বেশ শিথিল।
পক্ষান্তরে জামায়াত কখনো বলেনি যে তারা বৃহত্তর জনসমর্থিত দল। তারা বিএনপি-র নেতৃত্ব মেনে নিয়ে সবচাইতে বেশী ত্যাগ শিকারের নজীর রাখার চেষ্টা করেছে।
তাহলে সমস্যা টা কোথায়?
সমস্যা হলো আওয়ামীলীগ বুঝতে পেরেছে বিএনপি-জামায়াতের এই ঐক্য যতদিন থাকবে ততদিন জনরায়ে তাদের কোন স্তরেই ক্ষমতায় আসা সম্ভব নয়। তাই তারা নির্বাচন ব্যবস্থাকেই ভন্ডুল করে দিয়েছে। পাশাপাশি সবচেয়ে নাজুক যুদ্ধপরাধ ইস্যু কে সামনে এনে জামায়াত কে দমন এবং বিএনপি কে এই ইস্যুতে বিব্রত করে বিএনপি-জামায়াত এর দূরত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে।
জামায়াতের মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের তীব্র মনোকষ্ট হলো তাদের উপর ভয়াবহতম জুলুম নিপীড়নে তারা রাজপথে বিএনপি কে সাথে পায়নি।
এ প্রসঙ্গে বিএনপি-র বক্তব্য হলো তাদের বুদ্ধিজীবীরা লিখে, টক-শো তে বক্তব্য দিয়ে, আইনজীবীরা আদালতে আইনী সাহায্য করে, রাজনীতিকরা বক্তৃতা বিবৃতি দিয়ে জামায়াত কে এই জুলুম নিপীড়নে নৈতিক সহমর্মিতা ও সহযোগিতা প্রদান করেছে। যুদ্ধাপরাধ ইস্যু হবার কারণে এর বেশী বিএনপি-র পক্ষে করা সম্ভব নয়।
প্রায় সময়ই বিএনপি-জামায়াতের একদল নিষ্ঠাবান কর্মীকে বলতে শোনা যায় এ ঐক্যের আর দরকার নাই। বিএনপি-র কিছু লোক মনেকরেন জামায়াত তাদের জন্য বোঝা। জামায়াতের সাথে জোটবদ্ধ হবার কারণে দেশের সুশীল প্রগতিশীলরা তাদের মৌলবাদের সহায়ক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বলে গালি দেয়। আন্তর্জাতিক মহল তাদের একসেপ্ট করতে চায়না।
একইভাবে জামায়াতের কেউ কেউ মনেকরে বিএনপি-র সাথে জোট করার কারণে তাদের উপর এত জুলুম নিপীড়ন হচ্ছে। বিএনপি জামায়াত কে ক্ষমতায় যাবার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে কিন্তু যথাযথ গুরুত্ব ও মর্যাদা দেয়না। আন্দোলন সংগ্রামে জামায়াত রক্ত দেয় জীবন দেয় কিন্তু বিএনপি-র লোকেরা রাস্তায় নামেনা ইত্যাদি ইত্যাদি।
আমি মনেকরি বিএনপি জামায়াতের এই পারস্পরিক অবিশ্বাস এবং অনাস্থা বর্তমান সরকার কে স্বৈরতান্ত্রিক রূপে জেঁকে বসতে সহায়তা করেছে। সরকার বিরোধী আন্দোলন সফল না হওয়ার এটাই অন্যতম কারণ।
বিএনপি-জামায়াতের কর্মীদের মাঝে আজ যে অভিমান ও দূরত্ব এটা প্রশমনের দায়িত্ব কার! উভয় দলের কেন্দ্রীয় নেতারা যদি কার্যকর ভূমিকা না রাখেন তাহলে কী হবে?
উত্তরটা যার যার মত করে ইতিহাস থেকে খুঁজে নিন।
একবার ভাবুন আমরা কী কেবল পেছন দিকে হাঁটবো আর বার বার একই ভুলের পূণরাবৃত্তি করবো! নাকি বাস্তবতা, পরিস্থিতি ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে চিন্তা ও দূরদৃষ্টির সমন্বয়ে নতুন কৌশলে ভিন্ন মাত্রার জাতীয় ঐক্য তৈরী করবো......!(সমাপ্ত)

আমরণ অনশনে অসুস্থ হয়ে কুষ্টিয়ায় নন-এমপিও শিক্ষকের মৃত্যু

ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত নন-এমপিও শিক্ষকদের আমরণ অনশনে অসুস্থ হয়ে কুষ্টিয়ায় এক নন-এমপিও শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ওই শিক্ষকের নাম আব্দুল মান্নান, তিনি নন-এমপিও চিথলিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। জানা গেছে, নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে গত ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নন-এমপিও শিক্ষকরা আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছিলেন। অনশনরত অবস্থায় ওই শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় , পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রবিবার (১৪ জানুয়ারি ) দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
ডেস্ক রিপোর্ট, শিক্ষা সংবাদ

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী