চট্টগ্রামের শিবির নেতা তারেক হোসেনকে অন্যায় ভাবে গ্রেফতার এবং তাকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে ব্লগার নিলয় হত্যা মামলার সাথে জড়ানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমান বলেন, তারেক হোসাইনকে শনিবার রাত ১১ টায় ঘুমন্ত অবস্থায় বাসা থেকে অন্যায়ভাবে আটক করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। পরে পুলিশ তাকে রবিবার বিকেল পর্যন্ত থানা হাজতে আটকে রেখে ডিবি পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ডিবি পুলিশ তাকে ঢাকায় খুন হওয়া ব্লগার নিলয় হত্যাকান্ড মামলায় গ্রেফতার দেখায়। অথচ ব্লগার নিলয় খুন হওয়ার কয়েকদিন পরেই নিহতের স্ত্রী খিলগাঁও থানায় ১১/৭/১৫ নং যে মামলাটি দায়ের করেছেন তার এজাহারে তারেকের নাম নেই। এ ঘটনার সাথে তারেক জড়িত থাকতে পারে এমন কথা নিহতরে আত্বীয় স্বজন, তদন্ত কর্মকর্তা বা অন্য কেউ সামান্যতম উচ্চারন না করলেও এত দিন পরে এসে এই নিরীহ মেধাবী ছাত্রকে এই মামালায় জড়ানো হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ও সাজানো। মূলত সরকার ও পুলিশ প্রকৃত হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে না পেরে নিজেদের লজ্জাজনক ব্যর্থতা আড়াল করতে এই মেধাবী ছাত্রকে বলির পাঠা বানাতে চাইছে। এটি শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপকৌশল মাত্র। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই ছাত্রশিবিরের কোন নেতা কর্মী এই ধরনের কোন কাজের সাথে জড়িত নয়। সরকার শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই শিবির নেতা তারেক কে গ্রেফতার করেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বার্থান্বেষী মহলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে পুলিশের একের পর এক বেআইনি কর্মকান্ড দেখতে দেখতে দেশের মানুষ বিরক্ত ও ক্ষুদ্ব। নিরাপরাধ ছাত্রদের গ্রেপ্তার করে তাদের নিয়ে নাটক সাজানো ও ইচ্ছামত মামলায় জড়িয়ে দেয়া পুলিশের নিত্যদিনের কাজে পরিণত হয়েছে। এই অমানবিক ও দায়িত্বহীন আচরণ এক দিকে যেমন অনেক নিরীহ ছাত্রের জীবন ধ্বংস করে দিচ্ছে অন্য দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহীনির ভাব মর্যাদা ক্ষুন্ন করছে। যা একটি রাষ্ট্রের জন্য চরম লজ্জাজনক। আমরা অবিলম্বে নিরাপরাধ শিবির নেতাকে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে তার মুক্তির দাবী জানাচ্ছি। একই সাথে ভবিষ্যতে এমন আইনের শাসনের পরিপন্থী কাজ থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন