বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

সোমবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৫

অন্তর্কোন্দলে ৬ মাসে আওয়ামী লীগের ৩৫ নেতাকর্মী খুন


দলীয় পদ-পদবি, চাঁদার টাকা ভাগাভাগিসহ নানা কারণে খুনোখুনিতে জড়িয়ে পড়ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসব কারণে গত ৬ মাসে ৩৫ নেতাকর্মী খুন হয়েছেন।
খুন আতঙ্কে ভুগছেন আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা। কখন কে কোথায় কীভাবে আক্রান্ত হন সে আশঙ্কায় উদ্বেগ উৎকণ্ঠা রয়েছে তারা।
এছাড়া একের পর এক খুনের ঘটনায় মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাজধানীসহ সারাদেশের চিত্র প্রায় একই। এসব হত্যাকা-ের নেপথ্যে রয়েছে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তার। এছাড়া টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও মাদক ব্যবসার ভাগবাটোয়ারার বিষয়ও আছে বেশ কিছু হত্যাকা-ের নেপথ্যে। হত্যাকা-ের সঙ্গে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও ভাগবাটোয়ারার বিষয় জড়িত।
তবে দলটির শীর্ষ নেতারা বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তাঁরা বলছেন, দলের ভেতর কোনো কোন্দল নেই। সন্ত্রাসী, খুনি ও মাদক ব্যবসায়ীদের কোনো দলও নেই। একটি কুচক্রীমহল আওয়ামী লীগের উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে নানা অপপ্রচার করছে। ১৩ আগস্ট রাজধানীর মধ্যবাড্ডার পানির ট্যাঙ্কি এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবলীগের দু’গ্রুপের গোলাগুলিতে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩ নেতা নিহত হন। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ খুনের ঘটনা ঘটেছিল।
১৫ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেট এলাকায় জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ওপর গুলিবর্ষণ করেছেন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা। সবুজ (২৪) নামে আওয়ামী লীগের এক কর্মী নিহত হন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘দলীয় কোন্দলে কোনো খুনোখুনির ঘটনা ঘটেনি। যদি এমন প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে দল ও সরকার অবশ্যই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সংসদে গৃহপালিত বিরোধী দল এবং তাদের সক্রিয় কোনো ভূমিকা না থাকায় সরকারি দলের নেতাকর্মীরা ব্যক্তিগত নানা সুযোগ-সুবিধা হাসিলের জন্য বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ফলে ক্ষমতাসীন দলটির মধ্যে খুনোখুনি ও অন্তর্দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে।
বিশ্বের প্রথম মানবাধিকার ও মিডিয়া কোম্পানি ওয়ার্ল্ড সেফগার্ড অ্যান্ড মিডিয়া লিমিটেড, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ভয়াবহ চিত্র পাওয়া গেছে।
আসকের তথ্যমতে, ‘গত ছয় বছরে (২০০৯-১৫) সরকারি দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অন্তত ১৭২ নেতাকর্মী খুন হয়েছেন। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও চরমপন্থিদের হাতে খুন হয়েছেন আরও ৭৪ জন।
এসব হত্যার পাশাপাশি দলীয় কোন্দলে সৃষ্ট সংঘর্ষে ছয় বছরে আহত ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ৬৯১। এদের প্রায় সবাই সরকারি দলের নেতাকর্মী। এ সময়ে নিজেদের মধ্যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে এক হাজার ১১১টি। এছাড়া গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠনের প্রায় ২৫ নেতা খুন হয়েছেনÑ বলছে ওয়ার্ল্ড সেফগার্ড অ্যান্ড মিডিয়া লিমিটেড।
৫ জুন ঝালকাঠি সদর উপজেলায় তৌহিদুল ইসলাম সিকদার নামে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় গগন বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি বিনয়কাঠি ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
১৭ জুন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বালাইশপুর গ্রামে মফিজ উল্লাহ (৫৫) নামে এক মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগ নেতাকে গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত মফিজ উল্লাহ বশিকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এ ঘটনায় লাদেন মাছুম বাহিনীকে দায়ী করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
১৯ জুন ফেনীতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মোহাম্মদ মানিক (৩০) নামে যুবলীগের এক নেতা নিহত হয়েছেন। মানিক ফেনী সদর উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কিছুদিন আগে বালিগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের কিছু নেতাকর্মীর মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। ওই বিরোধের জেরে ইউনিয়নের ধোন সাহাদ্দা গ্রামের কয়েকজন যুবলীগ কর্মী বালিগাঁও ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে উজ্জ্বল মেম্বারকে মারধর করেন। এ ঘটনায় মোয়াজ্জেমের সমর্থকরা কুরুচিয়া গ্রামে গিয়ে মোহাম্মদ মানিককে গুলি করেন। জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম মিয়াজী ওরফে স্বপন অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কথা অস্বীকার করে বলেন, দুর্বৃত্তরা মানিককে গুলি করে হত্যা করেছে।
২৮ জুন লালমনিরহাট সদর উপজেলা যুবলীগ সদস্য বুলেটকে (৩২) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, শত্রুতার জেরে দুর্বৃত্তরা রাতে তাঁকে ফোন করে মহেন্দ্রনগর বাজারে ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
২৯ জুন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলার বাইশগাঁও ইউনিয়নের কেয়ারী গ্রামের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে স্থানীয় ছাত্রলীগকর্মী হারুনুর রশিদ বাবুর সঙ্গে একই গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে ওসমান গনির হাতাহাতি হয়। এর জেরে ওইদিন সন্ধ্যায় বাবুর পক্ষ নিয়ে কেয়ারী গ্রামের ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত ওমর ফারুকের নেতৃত্বে ৮-১০ নেতাকর্মী ওসমানের ঘর, তাঁর চাচা আওয়ামী লীগ নেতা ইয়াকুব আলী ও চাচাতো ভাই সিরাজ মাস্টারের ঘরে ভাঙচুর চালায়। এ সময় তাদের বাধা দিলে ছাত্রলীগের ওই নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ নেতা ইয়াকুব আলী ও তাঁর চাচা ফজলুর রহমানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে এবং পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে শনিবার দুপুর ৩টার দিকে গাজীপুরের টঙ্গীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইয়াকুব আলী।
৪ জুলাই চট্টগ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে নুরুল হুদা নামে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১২ জন। নুরুল হুদা বাড়বকু- ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। সীতাকুন্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইফতেখার হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে নিহত নুরুল হুদা ও ছালামত উল্লাহ ছুট্টুর মধ্যে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। জমি চাষকে কেন্দ্র করে পূর্বশত্রুতার জেরে ছালামত উল্লার পক্ষের লোকজনের আঘাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’
৫ জুলাই কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় ইয়াকুব আলী (৫৮) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। গাজীপুরের টঙ্গীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। ইয়াকুব আলী উপজেলার কেয়ারী গ্রাম আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
১১ জুলাই রাজবাড়ী সদরের পাঁচুরিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুস ছাত্তারকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি রেল কর্মচারী ছিলেন। পুলিশ ও চেয়ারম্যানের ধারণা, জমিজমা সংক্রান্ত পূর্বশত্রুতার জেরে দুর্বৃত্তরা তাঁকে হত্যা করে।
২১ জুলাই জেলার রানীনগরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আমজাদ হোসেন (৩৫) নামে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। উপজেলার বোঁহার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের স্ত্রী ফাইমা বিবি বাদী হয়ে রানীনগর থানায় ৩৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ ৫ আসামিকে গ্রেফতার করে।
২৪ জুলাই পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুরে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। নিহত দানেজ শেখ আমিনপুরের চরপাড়া মালঞ্চি গ্রামের কিয়ামুদ্দিন কেরু শেখের ছেলে এবং আমিনপুর থানা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
৩১ জুলাই চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল হান্নান ছোটকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি উপজেলার দর্শনা পৌরসভার শ্যামপুর গ্রামের মরহুম তনু মল্লিকের ছেলে। সীমান্তবর্তী ঈশ্বরচন্দ্রপুর কানাপুকুর ব্রিজের অদূরে গত বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
১ আগস্ট সন্দ্বীপের মগধরা ইউনিয়নের নামারবাজার এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সন্দ্বীপ থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক গ্রুপ আরেক গ্রুপের ওপর হামলা চালিয়ে ওই কর্মীকে খুন করে।’
৭ আগস্ট নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়ন যুবলীগের দফতর সম্পাদক মিলন সরকারকে (২৮) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। দেওটি ইউনিয়নের মুহুরীগঞ্জ বাজারের কাছে এ ঘটনা ঘটে। মিলন স্থানীয় সারেং বাড়ির নাদেরুজ্জামানের ছেলে। মিলনের মুহুরীগঞ্জ বাজারে ডেকোরেশনের ব্যবসা রয়েছে।
একইদিন বরিশালের আগৈলঝাড়ায় রাসেল ব্যাপারী (২৩) নামে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় রিন্টু (২২) নামে আরও এক ছাত্রলীগ কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। আগৈলঝাড়া উপজেলার ট্যামার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাসেল ব্যাপারীর মৃত্যু হয়।
১২ আগস্ট দুপুরে সিলেট মদন মোহন কলেজ ক্যাম্পাসে আগের দিনের বিরোধের জেরে ছাত্রলীগকর্মী আবদুল আলীকে প্রণজিৎ দাশের নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে ছুরিকাঘাত করেন। সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে নেওয়ার পর আলীর মৃত্যু হয়। আলী একই কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ও সিলেটের দক্ষিণ সুরমার নিজসিলাম গ্রামের আলকাছ মিয়ার ছেলে।
২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলায় হতাহতদের স্মরণে শুক্রবার বিকালে কালিয়াকৈর পৌর আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠান চলার সময় কাছের চা দোকানের সামনে হত্যা করা হয় কালিয়াকৈর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলামকে (৫০)।
আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে এই হত্যাকা- ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
১ সেপ্টম্বর দুর্বৃত্তের গুলিতে পলিটেকনিক ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগ কর্মী মেহেদী হাসান বাদল নিহত হয়েছেন। নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার শেরশাহ কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, পায়ে হেঁটে বাসায় ফেরার পথে পিছন থেকে মেহেদীকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। শেরশাহ কলোনির বাসিন্দা মুখলেছুর রহমানের ছেলে মেহেদী।
৬ সেপ্টম্বর গফরগাঁও উপজেলার নবগঠিত পাগলা থানার পাইথল ইউনিয়নে রাজমিস্ত্রিকে খুন হয়েছেন। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, পাইথল পশ্চিমপাড়া ক্লাবঘর থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে রাজমিস্ত্রি মো. আজিজুল হককে (২৪) হয়েছেন। সে পাইথল পশ্চিমপাড়া গ্রামের মো. সুলতানের ছেলে। তার পরিবারের লোকজন খুনের সংবাদ পেয়ে পাগলা থানায় বিষয়টি অবহিত করে। পাইথল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আফতাব উদ্দিন ঢালী জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে খুন হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। সে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
১৪ সেপ্টম্বর ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের নিগুয়ারি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোহর উদ্দিন (৬০) দুর্বৃত্তের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হয়েছেন। ডুবাইল গ্রামের খোকা মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তিনি গফরগাঁও উপজেলার (পাগলা) মাখল গ্রামের মৃত শামসুদ্দিনের ছেলে।

১ অক্টোবর ফেনীর সোনাগাজীতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীদের হাতে গিয়াস উদ্দিন (৩০) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় রানা নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী এবং সেলিম নামে এক যুবলীগ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
৮ অক্টোবর কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আকম শাহাব উদ্দিন ফরায়েজী দুর্বৃত্তের হাতে খুন হয়েছেন। খুনের আলামত নষ্ট করতে তার মুখ ও শরীরের বিভিন্ন অংশ এসিডে ঝলসে দেয়া হয়েছে।
শাহাব উদ্দিন ফরায়েজীর ছেলে মেহেদী হাসান জানান, তার বাবাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
২০ অক্টোবর হাতুড়ির আঘাতে রাজশাহী নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম (৫০) খুন হয়েছেন। নগরীর লক্ষ্মীপুর প্যারামেডিকেল রোডে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ নিহত আসলামের খালাতো ভাই জাহিদকে আটক করেছে। নিহত আসলাম নগরীর হেতেমখাঁ এলাকার মৃত ইসলামের ছেলে। তিনি রাজশাহী ওয়াসার পানির পাম্পচালকের কাজ করতেন।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, এক সপ্তাহ আগে জাহিদের সঙ্গে আসলামের বাকবিত-া হয়। এরই জের ধরে জাহিদ কৌশলে আসলামকে লক্ষ¥ীপুর এলাকায় নিয়ে গিয়ে তার ভাগ্নে পাভেলের সহযোগিতায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন।
২০ অক্টোবর বাগেরহাটের রামপালে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের কালিকাপ্রসাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল মাজেদ সরদার (৬৫) রাজনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক। তিনি কালিকাপ্রসাদ গ্রামের প্রয়াত আব্বাস সরদারের ছেলে।
২২ অক্টোবর নাটোরের সিংড়া উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় আবদুল হান্নান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মী খুন হয়েছেন। সিংড়া উপজেলার ইটালী ইউনিয়নের তিরাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২৩ অক্টোবর রংপুর পীরগাছা উপজেলার দামুরচাকলা বাজারে আওয়ামীলীগ নেতা সদরুল ইসলামকে(৪৫) নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বাড়ি ফেরার সময় উপজেলার দামুরচাকলা বাজারের পূর্ব পার্শ্বে ইট ভাটার নিকট একদল মুখোশধারী সন্ত্রাসী তার পথ রোধ করে। পরে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মাথা ও হাত-পা দ্বিখন্ডিত করে লাশ রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যায়।
২৫ অক্টোবর নোয়াখালীতে ছাত্রলীগ মাগুরায় আওয়ামী লীগ কর্মী খুন আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীতে ছাত্রলীগ কর্মী তারেক হোসেন স্বপন ও মাগুরায় আওয়ামী লীগ কর্মী আরব লস্কর খুন হয়েছেন।
দলীয় আধিপত্যকে কেন্দ্র করে চাটখিল পৌরসভার ছয়ানী-টগবা গ্রামে ছাত্রলীগ কর্মী তারেক হোসেন স্বপনকে (২৪) নিজ বাড়িতে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ কর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গঙ্গারামপুর ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা মাকছুদুর রহমান ডলার এবং ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ শেখের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বিরোধের কারণেই তিনি খুন হন।
৩০ অক্টোবর যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার কাগজপুকুর বাজারে আব্দুস সামাদ (৪৫) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত সামাদ কাগজপুকুর গ্রামের নসরউদ্দিনের ছেলে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান জানান, নিহত সামাদের শরীরে কোপের দাগ রয়েছে। চোরাকারবারি ব্যবসায় প্রতিপক্ষের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জের ধরে এ হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কর্মী ছিল।
১০ নভেম্বর রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার টেপামধূপুর ইউনিয়ন এর বাজেমজকুর গ্রামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত রহমত আলী (৫৯) আওয়ামী লীগের টেপামধূপুর ইউনিয়ন কমিটির নেতা। পেশায় তিনি ওষুধ ব্যবসায়ী। ঘটনার সময় তিনি রাত সাড়ে ১০টায় বাড়ি ফেরার পথে চৈতার মোড় বাজারের কাছাকাছি পৌঁছালে একদল দুর্বৃত্ত তার ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। খুনিরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়।
সর্বশেষ গতকাল ১৪ নভেম্বর জমি নিয়ে বিরোধের জের নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আওয়ামী মহিলা লীগ নেত্রী হালিমা বেগম জরিনাকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে স্বামীসহ প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
Media watch Bangladesh এর সৌজন্যে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী