আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ সর্বপ্রথম নবী আদম (আ:), এরপরে ইদ্রিস (আ:), এরপরে শীষ (আ:) এর ইন্তেকালের পরে নূহ (আ:) এর আগ পর্যন্ত কয়েকশত বছর কোন নবী আসেননি। এই সময়ে মানুষ ছোটখাটো কিছু পাপকাজ শুরু করলেও মূর্তিপূজা তখনো শুরু হয়নি।
সেইসময়ের আলেম-বুজুর্গ-শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিরা যখন বার্ধক্যজনিত কারনে মারা যেতে থাকলো, তখন শয়তান যুবকদের উস্কানি দিতে শুরু করলো। আহা! কত্ত ভালো মানুষগুলা সবাই মারা যাচ্ছে। তোমরা এদের স্মৃতি ধরে রাখো। এদের ছোট ছোট মূর্তি বানায়ে রাখো। যাতে সেগুলো দেখলে তোমাদের তাদের কথা স্মরন হয়। তোমরা ভালো কাজ করতে উৎসাহ পাও। তারা স্মৃতি ধরে রাখার জন্য ভালো কাজ মনে করে তাদের মূর্তি বানিয়ে রাখলো।
তারা মারা যাওয়ার পরে পরের প্রজন্ম আসলো। শয়তান এবার একটু বাড়িয়ে উস্কানি দিতে লাগলো। ঐ যে দেখো ঐ মূর্তিগুলা, তারা অনেক ভালো মানুষ ছিলো। তোমাদের বাপ-দাদারা তাদের শ্রদ্ধা করতো। তোমাদেরও তাদের শ্রদ্ধা করা উচিৎ। কিভাবে করতে হবে? তাদের সামনে শ্রদ্ধায় মাথা নুইয়ে দিতে হবে! তারা ভালো কাজ মনে করে মাথা নোয়াতে শুরু করলো!
সেই প্রজন্মের মৃত্যুর পরে এরপরের প্রজন্ম আসলো। শয়তান এবার তার চূড়ান্ত পরিকল্পনা ঢুকিয়ে দিলো। তাদেরকে বললো, ঐ যে দেখো মূর্তিগুলো। তোমাদের বাপ-দাদারা তাদের সামনে মাথা নোয়াতো। কেন জানো? কারন তারাই তোমাদের রব! তোমাদের আলো, বাতাস, পানি সবকিছু দেয়। তোমরাও তাদের কাছে সবকিছু চাইবে! এভাবে তারা মূর্তির সামনে সেজদাহ করে সবকিছু চাইতে শুরু করলো। শিরক শুরু হয়ে গেলো!
এরকয়েক প্রজন্ম পরে নূহ (আ:) এসে দেখলো সবাই মূর্তিপূজা, শিরক করতেছে। তিনি তাদের আল্লাহর একত্ত্ববাদের দাওয়াত দিতে লাগলেন। তারা উত্তর দিলো, আমরা আমাদের বাপ-দাদাদের থেকে এভাবেই দেখে এসেছি, এভাবেই শিখেছি। তারা দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করলো!!
বর্তমানেই বাংলাদেশে কিছু মানুষ একই সুরে কথা বলছে, তাদের কু যুক্তি হলো ভাস্কর্য আর মূর্তি এক নয়।
তারা সৌদি সহ বিভিন্ন দেশের কিছু মূর্তি/ ভাস্কর্য প্রদর্শন করে উদহারন দেয়। অথচ মাথা মোটা বলদরা এটা জনেনা যে সৌদি, পাকিস্তান কিংবা পৃথিবীর অন্য কোন দেশ ভালো মন্দের বিচারের মাপকাঠি নয়। আপনি যদি মুসলিম হন তাহলে আপনার ধর্মের মৌলিক বিষয়গুলো নিজে ভালো করে জানুন এবং খুজে দেখুন অর্থ অপচয় করে এসব করার মানে কি ? আর যদি বিজ্ঞান মনষ্ক হন তাহলেও যুক্তি দিয়ে বিচার করুন এসব ফালতু কাজ মানবজাতির প্রয়োজনিয় কি কাজে লাগে? ৭১ এ বীর বাঙ্গালীরা মুক্তিযুদ্ধে জীবন ত্যাগের মাধ্যমে সারা বিশ্বে দৃষ্টান্তমুলক গৌরবোজ্বল ইতিহাস রচনা করেছিলেন আর আমরা তাদের দেশটাকে লুটে পুটে চেটে পুটে খেয়ে এখন ভাস্কর্য বানিয়ে ইতিহাস বানাতে চাচ্ছি।
শিক্ষা: আজকে যেটি শ্রদ্ধার ভাস্কর্য, আগামীতে সেটি শিরকের কেন্দ্রবিন্দু
সংগৃহীত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন