বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৬

রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর উপলক্ষ্যে চান্দগাঁও জামায়াতের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চান্দগাঁও থানা রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা ও ২৮ অক্টোবর শহীদের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল আয়োজন করে। 
জামায়াত নেতা আবু জাওয়াদ এর সভাপতিত্বে অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে  সর্ব জনাব  মুহাম্মদ ইবনে হোসাইন, আবু নাহিদ, মুহাম্মদ  জালাল, সাইফুল প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা সরকারের সমালোচনা করে বলেন, বর্তমান সরকার রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবরের ঘটনার বেনিফিসিয়ারী। তাই রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবরের ঘটনার  ন্যায় বিচারের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ২৮ অক্টোবরের শহীদদের রক্ত বৃথা যাবেনা। শহীদের রক্তে রঞ্জিত বাংলাদেশে এই মাটিতে কালেমার পতাকা একদিন ঊড়বেই। 

বর্তমান বিশ্বে গুরুত্বের আলোকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সামাজিক ডাইমেনশনের উপর বুদ্ধি বৃত্তিক কাজ হওয়া প্রয়োজনঃ ইন্টারন্যাশনাল কনফরেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রফেসর ড. আজহারুল ইসলাম

বক্তব্য রাখছেন প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. এ. কে. এম    আজহারুল ইসলাম
আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ ২৯ অক্টোবর ২০১৬: আইআইইউসি’র ভাইস-চ্যান্সেলর আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পদার্থ বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এ. কে. এম    আজহারুল ইসলাম বলেছেন, বর্তমান বিশ্বে গুরুত্বের আলোকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সামাজিক ডাইমেনশনের উপর বুদ্ধি বিত্তিক কাজ গওয়া প্রয়োজন।তিনি বলেন, একাডেমিক গবেষণা কুব কমজনের বোধগম্য হয়। সেই বোধগম্য না হওয়াটা প্রয়োগের ক্ষেত্রে একটা বড় বাধা। এই বোঝা বা উপলব্ধির ক্ষমতা বাড়ানোর জন্যে জ্ঞানের বিনিময় এবং যৌথ উদ্যোগ বাড়ানো প্রয়োজন।
শনিবার বিকালে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম(আইআইইউসি) এর বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের প্রথম এবং আইআইইউসি’র আয়োজনে ১০ম ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইআইইউসি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কে. এম    আজহারুল ইসলাম এ কথা বলেন।নগরীর লডর্স ইন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘ইনোভেশন ইন সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি-২০১৬’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী কনফরেন্সের এই সমাপনী আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন আইআইইউসি’র ভারপ্রাপ্ত প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর এবং কমিটি কনভেনার প্রফেসর ড. দেলওয়ার হোসেন।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটি সে্ইন্স মালয়েশিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বিল্ট এনভাইরনমেন্ট অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. কামারুজ্জামান শিমন এবং আই ট্রিপল ই বাংলাদেশ সেকশনের সহ-সভাপতি ও রুয়েট এর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল গাফ্ফার খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিটি কো-কনভেনার মোহাম্মদ সামসুল আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিসি প্রফেসর ড. এ. কে. এম আজহারুল ইসলাম বলেন, এই কনফারেন্স বিশ্বের গবেষক, শিক্ষাবিদ ও পন্ডিতদের সম্মিলনের এবং বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের সর্বক্ষেত্রের নতুন ধারণা, সাম্প্রতিক ফলাফল এবং ভবিষ্যত সম্ভাবনা সম্পর্কে মতবিনিময়ের দারুন সুযোগ করে দিয়েছে।দেশ-বিদেশের বিজ্ঞানী, প্রেকৌশলী, প্রযুক্তিবিদ, গবেষক, শিক্ষাবিদ ও পন্ডিতদের এই সমাবেশ এবং মেধা ও অভিজ্ঞতার, বিনিময় বিশেষ করে তরুণ গবেষকদেরকে তাদের মেধার স্বাক্ষর রাখার বড় সুযোগ করে দিয়েছে।এই কনফারেন্স ছিল বাস্তব চ্যালেন্সগুলো আলোচনা এবং সমাধানের একটা উপযুক্ত প্লাটফরম।তিনি এই  কনফারেন্সের সাফল্রের অংশীদার এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
এদিকে আজ সকালে আই ট্রিপল ই বাংলাদেশ সেকশনের আয়োজনে এবং আইআইইউসি’র সহযোগিতায় ইউনিভার্সিটি- ইন্ডাস্ট্রি কলাবরেশন শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।আই ট্রিপল ই বাংলাদেশ সেকশনের এক্টিভিটি কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. মোঃ নুরুন্নবী মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন আইআইইউসি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কে. এম    আজহারুল ইসলাম।এত বিশেষ অতিথি ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার্স  ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী সাদেক মোহাম্মদ চৌধুরী।স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইআইইউসি’র ট্রিপল ই বিভাগের প্রধান মুহাম্মদ আতাহার উদ্দিন।টেকনিক্যাল টক উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল গাফ্ফার খান, ড. রিদোয়ান হাসান খান এবং প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, এই ইন্টারন্যাশনাল কনফরেন্সে দেশের প্রায় সবক’টি সরকারী বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এবং কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, সৌদি আরবসহ ১৮টি দেশে প্রসিদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষক- প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।কনফরেন্সে প্রাপ্ত ২৭৯টা প্রবন্ধের মধ্যে ৭৮ টা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়েছে। এছাড়া ৬টি মূল প্রবন্ধ ও ৪টি আমন্ত্রিত প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইআইইউসি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কে. এম    আজহারুল ইসলাম, ইউনিভার্সিটি সে্ইন্স মালয়েশিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বিল্ট এনভাইরনমেন্ট অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. কামারুজ্জামান শিমন, ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়ার ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক এনাড সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ড. মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসির প্রফেসর ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান, ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়ার ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক এনাড সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ড. নওশাদ আমিন এবং কানাডার ক্যালগেরি ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল এন্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এসোসিয়েট হেড ড. আনিস হক।

বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৬

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মকবুল আহমাদ: ছোট-খাটো মতপার্থক্য পরিহার করে ইসলামী আন্দোলনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য সর্বাবস্থায় ইস্পাত কঠিন ঐক্য বজায় রাখতে হবে


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ সোমবার নতুন আমীর হিসেবে শপথ গ্রহনের পর নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মকবুল আহমাদ বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির অনেক উত্থান-পতন ও ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে কঠিন পথ অনুসরণ করে জামায়াতে ইসলামী আজকের অবস্থানে এসে পৌঁছেছে। সরকারের জুলুম-নির্যাতনের ফলে জামায়াতের প্রতি জনগণের আস্থা ও প্রত্যাশা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
তিনি বলেন, সুবিচারপূর্ণ কল্যাণমুখী সমাজ বিনির্মাণ করতে কুরআন-হাদীসের চর্চা বাড়াতে হবে। ইসলামী ও আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ হতে হবে। মজবুত ঈমান, উন্নত আমল ও নৈতিকতার অধিকারী হতে হবে। দ্বীনের প্রকৃত দায়ী হিসাবে সমাজের মানুষের নিকট নিজেদেরকে ইসলামের রোল-মডেল এবং সত্যের সাক্ষ্য হিসাবে উপস্থাপন করতে হবে। দরদপূর্ণ মন নিয়ে সুখে-দুঃখে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
তিনি বলেন, যার উপরে যে সাংগঠনিক দায়িত্ব অর্পিত হবে, তা যথাযথভাবে পালনের জন্য সদা সচেতন থেকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার পরিচয় দিতে হবে। নেতৃত্বের সামান্য ভুল সংগঠনকে বড় ক্ষতির দিকে ঠেলে দিতে পারে। সংগঠনের সদস্য-কর্মীদের মধ্যে ইনসাফপূর্ণ আচরণ নিশ্চিত করতে হবে। নিজেদের মধ্যে ছোট-খাটো মতপার্থক্য পরিহার করে ইসলামী আন্দোলনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য সর্বাবস্থায় ইস্পাত কঠিন ঐক্য বজায় রাখতে হবে

বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৬

মিয়ানমারে মুসলিমদের উপর চলছে নির্মম নির্জাতন শুধু তাই নয় জালিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদের ঘর বাড়ি

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  মিয়ানমারে মুসলিমদের উপর চলছে নির্মম নির্জাতন শুধু তাই নয় জালিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদের ঘর বাড়ি। এখানে কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ দেয়া হলো  সংশ্লিষ্ট লিংকে ক্লিক করে ভিডিও গুলো দেখুন।

অভিযানের নামে আরাকানের মুসলিমদের উপর মিয়ানমারে সরকারি তিনটি বাহিনী নির্মম নৃশংসতার খবর পাওয়া যাচ্ছে।  
  ভিডিও দেখতে এই লিংকে ক্লিক করুন
গত ৫ দিনে সংঘর্ষে মারা গেছে ৩৯ জন। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ৪০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জীবন বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন রাখাইন রাজ্যের শত শত মুসলিম আরাকানি।  
  
গত সপ্তাহের রোববার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাটিতে পুলিশের ওপর হামলায় ঘটনার সূত্রপাত। 
  

এরপর থেকে শুরু হয় পুলিশ, সেনাবাহিনী ও মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ত্রিমুখী হামলা। বুধবারও মারা গেছে ১০ গ্রামবাসী। সরকারি বাহিনী জ্বালিয়ে দিয়েছে কমপক্ষে ২৫ টি বাড়ি। জারি করা হয়েছে রাত্রিকালিন কারফিউ।  
  ভিডিও টি দেখতে এই লিংকে ক্লিক করুন
কিছুদিন আগে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে একটি উদ্যোগ নিয়েছিলো মিয়ানমারের নতুন সরকার। কিন্তু নতুন করে শুরু হওয়া এই সহিংসতা ওই ‍উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।  
  
জাতিসংঘের ভাষায়, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষজন বিশ্বের সবচাইতে নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর একটি। যারা পৃথিবীর কোনো দেশের নাগরিক নয়।  
  
গত কয়েক শতাব্দী ধরে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের বাস। দেশটি রোহিঙ্গাদের তার নাগরিক মনে করে না। বরং মিয়ানমার মনে করে তাদের আদি আবাস বাংলাদেশ। এমনকি রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহারেও দেশটির সরকারের আপত্তি রয়েছে। 
  
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে বৌদ্ধদের হাতে নির্যাতনের শিকার বলে অভিযোগ রয়েছে। 
  
বিভিন্ন সময়ে সহিংসতার মুখে পালিয়ে সীমান্ত পার হয়ে তাদের অনেকেই বাংলাদেশেও প্রবেশ করেছে। 
বাংলাদেশে কক্সবাজার এলাকাতেই তাদের একটা বড় অংশ বাস করেন। এছাড়া চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়িতেও কিছু রোহিঙ্গা বসবাস করছেন। সরকারের রেজিস্টার্ড ক্যাম্পগুলোতে ৩৩ হাজারের মতো রোহিঙ্গা বাস করে। 
  
কিন্তু বলা হয় বাংলাদেশে তাদের মোট সংখ্যা পাঁচ লাখের মতো।

এখানে কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ দোয়া হলো  সংশ্লিষ্ট লিংকে ক্লিক করে দেখুন।



সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৬

শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে করণীয় অধ্যাপক নইম কাদের

আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ  শরীরের বাড়তি ওজন খুবই বিপদজনক। তাই, শরীরের ওজন যেন বেড়ে না যায়, সেদিকে সবাইকে লক্ষ রাখতে হবে এবং এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনির নানা সমস্যাসহ বহু জটিল ও কঠিন রোগের কারণ শরীরের অতিরিক্ত ওজন। অনেকে ওজন কমাতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ, নিয়মিত ব্যায়াম, ওষুধ সেবন ইত্যাদি। মনে রাখতে হবে ওজন নিয়ন্ত্রণের সঠিক নিয়ম জানা না থাকলে আপনার স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। বর্তমান সময়ে কিছু উঠতি বয়সের তরুণীদের মধ্যে ‘ িম ফিগার’ ধারণাটি বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছে। এ জন্য তারা ঠিকমত খাওয়া-দাওয়া করে না। তাদের ধারণা হচ্ছে পরিমাণে কম খেয়েই ফিগার ৗিম রাখা যাবে। এটা করতে গিয়ে অনেকের জীবন মারাত্মক হুমকিম মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। আবার বিভিন্ন মিডিয়িায় এ বিষয়ে চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে অনেকে আকৃষ্ট হয়। মনে রাখতে হবে, ওষুধ সেবন করে কিংবা কোমরে বেল্ট বেঁধে ঘাম ঝরিয়ে মেদ কমানো যায় না, ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এসব প্রতারণা ছাড়া কিছুই নয়। অনুরূপ খাওয়া-দাওয়া বাদ দিয়ে শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে যাওয়াও মারাত্মক ভুল। খাওয়া-দাওয়া বাদ দিয়ে নয়, বরং পানাহার করতে হবে পরিমিত ও নিয়ন্ত্রিত। মনে রাখতে হবে, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং গঠনের জন্য পরিমিত পানাহার অপরিহার্য। ঠিকমত না খেলে অপুষ্টিতে ভোগতে হবে, শরীরের গঠন ও বৃদ্ধি সঠিকভাবে হবে না। এর ফলে বয়োঃবৃদ্ধির সাথে সাথে নানা জটিল রোগে ভোগতে হবে।
শরীরের ওজন কীভাবে ঠিক রাখবেন, বাড়িতে ওজন কীভাবে কমাবেন এ নিয়ে সম্প্রতি একদল গবেষক গবেষণা করেছেন। আন্তর্জাতিক এই গবেষকদল দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্নভাবে গবেষণা চালিয়ে শরীরের বাড়তি ওজন কমানো, ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য দিয়েছেন। গবেষকদল ৯২টি প্রশ্নের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণের কলাকৌশল জানার চেষ্টা করেছেন। গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে, ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য কয়েকটি বিষয় মেনে চলতে হবে। যথা- খাবারের পরিমাণ কমবেশি নয়, বরং খাবারের গুণগত মান বিবেচনায় আনতে হবে। অর্থাৎ আপনি বেশি খাচ্ছেন কিংবা খুব কম খাচ্ছেন, এটা বড় কথা নয়, দেখতে হবে, আপনি যা খাচ্ছেন তার খাদ্যমান কেমন। খাবারের গুণগত মানের প্রতি বেশি খেয়াল রাখতে হবে। 
ঘরে তৈরি খাবার সবসময় উত্তম। যারা বাইরের খাবারের চেয়ে ঘরে তৈরি খাবার বেশি খান, তাদের ওজন তুলনামূলক নিয়ন্ত্রণে থাকে। এখানেও ‘খাবারের গুণগত মান’ বিষয়টি লক্ষণীয়। হোটেল- রেস্তোরাঁর তুলনায় ঘরে তৈরি খাবার অধিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত এবং ঘরের খাবারের মান বাইরের খাবারের চাইতে অনেক ভাল তাতে কারো দ্বিমত থাকার কথা নয়। সুতরাং আপনি যদি শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে চান, আপনাকে বাইরের খাবার বর্জন করতে হবে। 
ওজন নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত ব্যায়াম দরকার। ব্যায়াম মানে এই নয় যে, আপনাকে প্রতিদিন জিমে যেতে হবে। ব্যায়াম বলতে এখানে শারীরিক পরিশ্রম বুঝানো হয়েছে। হ্যাঁ যারা অতিরিক্ত মোটা হয়ে গেছে, অতিরিক্ত মেদ জমে গেছে, যাদের ওজন স্বাভাবিক পরিমাণের তুলনায় বেশ বেড়ে গেছে, তাঁদের জন্য ব্যায়াম জরশুরী। কিন্তু যাদের শারীরিক অবস্থা এখনো ঠিক আছে, ওজন নিয়ন্ত্রণে আছে, তাদের এ অবস্থা ধরে রাখার জন্য শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। নিয়মিত হাঁটা-চলা করা, সাঁতার কাটা, হল্কা ব্যায়াম ইত্যাদির সাথে যদি পানাহারে গুণগত মান ল রাখা যায়, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। দীর্ঘ রাত জাগা, সকালে দীর্ঘক্ষণ শুয়ে থাকা, চর্বিযুক্ত খাবার এবং বাইরের খাবার ও ফার্স্টফুডে অভ্যস্ত হয়ে পড়া ইত্যাদি শরীরের ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। 

সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

দেশবাসীকে ছাত্রশিবিরের ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ  দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। আজ এক শুভেচ্ছা বার্তায় শিবির নেতৃবৃন্দ এই শুভেচ্ছা জানান।
এক যৌথ শুভেচ্ছা বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেন, ত্যাগ-কুরবাণীর মহান আদর্শ নিয়ে পবিত্র ঈদুল আয্হা আমাদের দ্বারে সমাগত। ত্যাগই ঈদুল আজহার মূল প্রেরণা। এই প্রেরণা আমাদেরকে হিংসা, বিদ্বেষ, লোভ, লালসা, পাপ-পঙ্কিলতা পরিত্যাগ করার শিক্ষা দেয়। ঈদুল আযহা আমাদেরকে ত্যাগ ও কুরবাণীর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বৈষম্য ও শোষণ দূর করে একটি শোষণমুক্ত ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য ত্যাগ স্বীকারে অনুপ্রেরণা যোগায়।

আজ দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখ্যিন এবং অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার ভূলুন্ঠিত। দেশ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। আমরা আশা করি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ত্যাগের মানষিকতা নিয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা রাখবে। ধনী-গরীব, রাজনৈতিক বিভেদ ভূলে পবিত্র ঈদকে সুখময় করে তোলাই হোক আমাদের প্রত্যয়। ঈদের আনন্দকে ঐক্যের সুদৃঢ় বন্ধনে পরিণত করে মুসলিম উম্মাহ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে এটাই আমাদের কামনা। দেশবাসীকে ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে আন্তরিক ঈদ শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

নেতৃবৃন্দ দেশবাসীর সুখ, সমৃদ্ধি ও প্রশান্তি কামনায় মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।

মুসলিমদের রুখতে হিন্দুদের হাতে অস্ত্র তুলে নিতে হবে - বিশ্ব হিন্দু পরিষদ


ভারত ও বাংলাদেশে হিন্দুরা নির্যাতিত হচ্ছে উল্লেখ করে কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে অস্ত্র হাতে তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার কলকাতায় মহাজাতি সদনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন,‘দেশের বিভিন্ন স্থান এবং পড়শী রাষ্ট্র বাংলাদেশের হিন্দুরা প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই আর ভয় নয়, এবার দেখাতে হবে পরাক্রম বা সাহস। এই আক্রমণকে প্রতিহত করতে বাড়িতে বাড়িতে মজুত লাঠি, অস্ত্র তুলে পাল্টা আক্রমণে নামতে হবে। ভিটে থেকে ভয়ে উৎখাত হওয়ার সময় শেষ। এবার দরকার মারমুখি আক্রমণ।’
বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের হাতে হিন্দুদের নিগৃহীত হওয়ার বিষয়টি আর কোন ভাবেই সহ্য না করার ডাক দিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতারা বলেন,‘এপার-ওপার দুই বাংলার হিন্দুদের সমবেত হয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’
সাংবাদিক সম্মেলনে সভায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্য ও বক্তারা বলেন, ‘ভারতবর্ষে ক্রমাগতই বাড়ছে মুসলমানদের সংখ্যা। সংখ্যালঘু মুসলমানরা ধীরে ধীরে সংখ্যাগুরু হয়ে ওঠার পথে পা বাড়চ্ছে। আগামী বছর কুড়ির মধ্যে হয়তো হিন্দু জাতিসহ অন্যান্য জাতিকে মুসলমানদের ‘অত্যাচারে’ বাস্তচ্যুত হতে হবে। তবে এখনই যদি রুখে দাঁড়ায় হিন্দুরা, তাহলে সেক্ষেত্রে পরিস্থিতির বদল হলেও হতে পারে।’
বক্তার বলেন, পশ্চিমবঙ্গে মোট ২৭ শতাংশ মুসলমান বসবাস করে। এই মুসলমানরা যদি সংঘবদ্ধভাবে ভোট দিয়ে জামায়েতের নেতা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে রাজ্য সরকারের মন্ত্রী পদে আসীন করতে পারেন, তাহলে ৭১ শতাংশ হিন্দুরা কেন নিজেদের অধিকার প্রয়োগের সাহস দেখাতে পারবে না?’
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা সুরেন্দ্র জৈন দাবি, ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভোট ব্যাংকের রাজনীতি করছেন। আর সেই ঘৃণ্য রাজনীতির অঙ্গ হিসেবে তিনি মুসলিম তোষণের পন্থা নিয়েছেন।’
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রশ্ন, মুসলিম তোষণের উদ্দেশে মোয়াজ্জেম ভাতা বা উলেমা ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু দরিদ্র হিন্দু পুরোহিতদের জন্য কোন ভাতা বা আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থা করেন নি। এটা কেন?
হিন্দু পরিষদের ক্ষোভ, ‘বিজয়া দশমীর দিনেই কলকাতার সমস্ত সর্বজনিন দূর্গোৎসবের প্রতিমা বিসর্জন করতে হবে। এমন তুঘলকি ফতোয়া দেওয়ার কারণ কি মুসলমানদের তোষণ নয়? কারণ সামনেই আছে মহরম। আর সেই সময় মুসলমানদের তুষ্ট করার জন্যই এমন আদেশ দিয়েছেন মমতা।
সুরেন্দ্র জৈন মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, বহু মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় হিন্দু মন্দিরে প্রার্থনা, ভজন সবকিছু বন্ধ করা হয়েছে। শুধুমাত্র মুসলমানদের আজান ও নামাজের ক্ষেত্রে অসুবিধা সৃষ্টি যাতে না হয় সেই কারণে। মুসলমানদের তুষ্ট করতে গিয়ে স্বজাতি হিন্দুদের চোখেই খারাপ হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর দল এ রাজ্যে রাস্তায় দাড়িয়ে প্রকাশ্যে গরুর মাংস খেতে পারল। সহনশীল হিন্দুরা সেই ব্যাপারটাকে মেনেও নিলো। কিন্তু কোন বিশেষ ধর্ম-অধ্যুষিত এলাকায় দাড়িয়ে যদি শুকুরের মাংস খেতে বা খাওয়াতে পারেন তিনি, তো বোঝা যাবে তার ক্ষমতা!’
হিন্দুত্ববাদী বিশাখানন্দ শঙ্কারাচার্য বলেন, একের পর এক হিন্দু নির্যাতন চলছে দুই বাংলা জুড়ে। হিন্দুরা চিরকাল শক্তির উপাসক। শক্তিরুপিণী দেবী দূর্গা বা দেবী কালিকা কখনও খড়গহস্তা, কখনও বা ত্রিশূলধারিণী। তারা অন্যায় দমনের জন্য অস্ত্র তুলে নেন। আজ হিন্দুদের সামনেও সেই ক্রান্তিকাল উপস্থিত। তাই হিন্দুরা নিজেদের রক্ষার উদ্দেশ্যে হাতে তুলে নিক অস্ত্র। আঘাতের বদলে পাল্টা আঘাতই হবে মুখের মতো জবাব। 

http://goo.gl/YeZUii

রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

আজ পবিত্র হজ্ব...!!!


“লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারীকা লাকা লাব্বাইক। ইন্নাল হামদা ওয়ান নিয়মাতা লাকা ওয়াল মুলক। লা শারীকা লাক্।” লাখ লাখ কণ্ঠের এই ধ্বনীতে আজ মুখরিত হয়ে উঠবে আরাফাত ময়দান। বিঘোষিত হবে মহান আল্লাহর একত্ব ও মহত্ত্বের কথা। কাফনের কাপড়ের মতো সাদা দু’টুকরো ইহরামের কাপড় পরে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যলাভের জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়বেন আল্লাহর বান্দাহগণ। সৌদিআরবের গ্র্যান্ড ইমাম হাজীদের উদ্দেশে খুতবা প্রদান করবেন। আল্লাহ তায়ালা এবং বান্দার মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের অনন্য আবহে বিরাজ করবে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্বের এক অনুপম দৃশ্য। 
ফজরের নামায মিনায় আদায় করার পর হাজীগণ ইহরাম বাঁধা অবস্থায় আরাফাত ময়দানে এসে অবস্থান গ্রহণ করবেন। এই আরাফাতের ময়দানে দাঁড়িয়েই সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) আজ থেকে চৌদ্দশত বছর আগে বিদায় হজ্বে¡র ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন। লাখো মানুষের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত এই ভাষণের পর আল্লাহর পক্ষ থেকে ঘোষণা এসেছিল দ্বীনের পরিপূর্ণতা লাভের। আজো সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ভাষণ দেয়া হয়। ভাষণে গোটা বিশ্বের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়া হয়। আর হাজীগণ এক আবেগঘন পরিবেশে মহান আল্লাহর জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করে দেয়ার মন-মানসিকতা নিয়ে কান্নাকাটি করতে থাকেন। তারা নিজেদের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন, নিজের পরিবার পরিজন, সমাজ ও রাষ্ট্রের সুখ শান্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।
বাংলাদেশে আজ ৮ জিলহজ্ব হলেও সৌদি আরবে আজ ৯ জিলহজ্ব। গতকাল সারাদিন ও রাত হাজীগণ মিনায় অবস্থান করেছেন। আজ ফজরের নামায মিনায় আদায় করার পর আরাফার ময়দানে হাজীগণ অবস্থান করবেন। এখানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত থাকতে হবে। সূর্যাস্তের পর মুযদালিফার উদ্দেশ্যে আরাফার ময়দান ত্যাগ করবেন এবং মুযদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশা’র নামায এশা’র ওয়াক্তে একত্রে পড়বেন এবং সমস্ত রাত অবস্থান করবেন। মিনায় জামরাতে নিক্ষেপ করার জন্য ৭০টি কংকর এখান থেকে সংগ্রহ করবেন। মুযদালিফায় ফজরের নামায পড়ে মিনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন।
পবিত্র মক্কা থেকে প্রায় ৯ মাইল পূর্বদিকে একটি পাহাড়ের নাম ‘জাবালুর রহমত’ বা করুণার পাহাড়। এই পাহাড় সংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রলম্বিত বিরাট প্রান্তরটি আরাফাত প্রান্তর নামে পরিচিত। পাহাড়টি মধ্যম আকৃতির এবং গ্রানাইট শিলা দ্বারা গঠিত। এর উচ্চতা প্রায় ২০০ ফুট। এই পাহাড়ের পূর্বদিকে প্রস্তরের সিঁড়ি রয়েছে। এর ষষ্ঠ ধাপের উচ্চতা বরাবর আগে একটি উন্নত মঞ্চ ও একটি মিম্বর ছিল। এই মিম্বরে দাঁড়িয়ে প্রতি বছর ৯ জিলহজ্ব আরাফার দিন ইমাম সাহেব খুতবা প্রদান করতেন। এখন আর সেই মঞ্চ ও মিম্বার নেই এবং এখান হতে হজ্বে¡র খুতবাও প্রদান করা হয় না। বরং এখন খুতবা দেয়া হয় মসজিদে নামিরা হতে। সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি এ খুতবা প্রদান করবেন।
আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য প্রতি বছর মাত্র ১ দিন হাজীরা আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করেন। তখন তাদের পরণে থাকে কাফনের কাপড়ের মতো সেলাইবিহীন সাদা দুই টুকরো কাপড়। হাজীরা আরাফারাতের ময়দানে অবস্থানকালে উচ্চস্বরে ‘লাব্বাইকা’ তালবিয়াহ পাঠ করেন, যদি সম্ভব হয় হজ্বের খুতবা শ্রবণ করেন। যোহর ও আছরের নামায একত্রে আদায় করেন, আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করেন, কুরআন তেলাওয়াত, দরূদ ও সালাম প্রেরণ এবং ইহ ও পরকালের কল্যাণ কামনায় অবস্থানকালটি অতিবাহিত করেন।
হযরত আবদুর রহমান বিন ইয়ামার আদ-দায়লি (রা.) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “আরাফাই তো হজ্ব।” ইমাম শাওকানী (রহ.) এ কথার ব্যাখ্যায় বলেছেন, “যে ব্যক্তি আরাফাতে অবস্থানের জন্য নির্দিষ্ট দিনে উক্ত ময়দানে উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য অর্জন করলো তার হজ্ব হয়ে গেল।” ইমাম তিরমিযী (রহ.) এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “আরাফাত ময়দানে অবস্থান করার ভাগ্য যার হয়নি তার হজ্ব বাতিল হয়ে যাবে।” ((সংগ্রহঃ দৈনিক সংগ্রাম))

নগরবাসীকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগরী আমীর রফিকুল ইসলাম খাঁন


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্ক ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬, রবিবারঃ  ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জল ‘পবিত্র ঈদুল আযহা’র শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালানোর আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। 
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে নগরবাসীর উদ্দেশ্যে এক শুভেচ্ছা বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। 
মহানগরী আমীর বলেন, পবিত্র ‘মাহে জিলহজ্জ’ এক মহিমান্বিত মাস। এ মাসেই মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইব্রাহীম (আ.) পরম করুণাময় আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নির্দেশে এবং তার সন্তষ্টি অর্জনের জন্যই স্বীয় পুত্র হযরত ঈসমাইল (আ.) কে কোরবানী করতে উদ্দত হয়েছিলেন। যা সৃষ্টির আদিকাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত অবিস্বরণীয় ও নজীরবিহীন। আর হযরত ইব্রাহীম (আ.)এর অনুসরণেই মুসলিম উম্মাহ দিবসটিকে পবিত্র ঈদুল আযহা হিসাবে পালন করে থাকে। মূলত মানুষের জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নির্দেশনার বাইরে যাওয়ার কোনই সুযোগ নেই। জাতির পিতা হযরত ইব্রাহীম (আ.) মহিমান্বিত মাসে প্রিয় পুত্র ঈসমাঈল (আ.)কে কোরবানী করতে উদ্দত হয়ে আল্লাহর নির্দেশ পালানে যে পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করেছিলেন তা শত-সহস্র বছর পরেও মুসলিম উম্মাহর জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় আদর্শ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত আছে। 

তিনি বলেন, মূলত ষড়রিপুর উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে পশুপ্রবৃত্তির উপর বিজয় অর্জনই কোরবানীর প্রকৃত শিক্ষা। বস্তুত অন্যায়-অসত্য, অনাচার-পাপাচার, হিংসা-বিদ্বেষ, জুলুম-নির্যাতন, বিভেদ-বিসংবাদ বন্ধ করে সমাজে সার্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করে মানবজাতির সর্বাঙ্গীন কল্যাণ সাধন করায় পবিত্র ঈদুল আযহার উদ্দেশ্য। আর এ উদ্দেশ্য যখন যথাযথভাবে সাধন করা সম্ভব হয়, তখনই আমাদের জন্য ঈদ আনন্দঘন ও অর্থবহ হয়ে ওঠে। বর্ষপরিক্রমায় আবারও আমাদের মাঝে পবিত্র ঈদুল আযহা ফিরে আসলেও দেশের মানুষ বরাবরের মত ঈদের অনাবিল আনন্দ থেকে বঞ্চিত। রাষ্ট্রশক্তি পশুশক্তি দমনের পরিবর্তে নিজেরাই সকল অপশক্তিকেই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও জুলুম-নির্যাতনের মাধ্যম জনজীবনকে দুর্বিসহ করে তোলা হয়েছে। কথিত বিচারের নামে নির্বিবাদে মানুষ হত্যা করে পৈশাচিক উম্মাদনা চলছে। হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, গুম, অপহরণ ও গুপ্তহত্যা চলছে নির্বিবাদে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের হলেও সরকারের ভূমিকা পুরোপুরি বিপরীতমুখী।
তিনি আরও বলেন, দেশ কল্যাণ রাষ্ট্র না হওয়ায় এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত না থাকায় দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে ঈদের আনন্দ অনেকটাই ম্লান। সরকারের জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়ে অনেক নিরাপরাধ মানুষের বছরের পর বছর কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্টে দিনাতিপাদ করছেন। সরকারের হত্যা-সন্ত্রাসের শিকার হয়ে স্বজনহারা মানুষেরা করছেন আহাজারী। পঙ্গুত্ববরণের কারণে অনেক পরিবারে ঈদের খুশী অনেকটাই ম্লান। তাই ঈদকে অর্থবহ করে আনন্দকে সর্বজনীন করার জন্য দেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই। তিনি পবিত্র ঈদুল আযহার প্রকৃত শিক্ষা ধারণ করে দেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে বেগবাগ করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান এবং পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে সকল স্তরের নগরবাসীর প্রতি শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।

সকল জুলুমের বিরুদ্ধে আমার এ কলম চলবে

আজ রাত দশাটার কিছুক্ষন পরেই আমার স্ত্রী ৩ জন বখাটে রাজনৈতিক কর্মীর হাতে আক্রান্ত হয়েছেন! প্রায় মাস তিনেক থেকেই তারা দিনের বেলা কিংবা সন্ধ্যায় মাঝে মধ্যেই মহল্লার গলিতে একা পেলে উত্যক্ত করতো। এ বিষয়ে আমাকে অনেকবার জানিয়েছে আমি প্রায়ই চেষ্টা করতাম বাইরে গেলে তার সঙ্গ দিতে। যদিও জীবনমুখী ব্যস্ততার কারণে তা সবসময় হয়ে ওঠে না।
আমার স্ত্রী পেশায় একজন শিক্ষক। তিনি অন্তঃসত্বা। ৭ মাস চলছে। অনেকদিন পর আজ বাবার বাড়ি গিয়েছে ফিরতে একটু দেরী হয়েছে আমিও অফিসের কিছু কাজ জমে থাকায় তাকে সাথে আনতে পারিনি। বাইরে থেকে এসে ওয়াশরুমে ঢুকেছি বাইরে থেকে দরজায় প্রচন্ড ধাক্কাধাক্কি পরে বের হয়ে দেখি আমার স্ত্রী ভয়ে কাঁপছে। আমাকে দেখে চিৎকার করে কান্না শুরু করে দিল! বললাম কি হয়েছে? ভয়ে কথাও বলতে পারছে না। পরে শুনলাম তার রিক্সা আটকিয়ে ভয়ংকর অশ্রাব্য ভাষায় তাকে গালিগালি করা হয়েছে!
এক পর্যায়ে আমার স্ত্রী বলেন, আমার সাথে এমন করছেন কেন? আমি কি করেছি? ওরা বলেছে ‘তোর হাজবেন্ড বেশি বাড়াবাড়ি করছে। আমাদের ভাই ব্রাদারদের বিরুদ্ধে লেখালেখি করে? সে ভাবছে সে পার পাবে?’ আমার স্ত্রী বলে ও যদি কিছু করে থাকে তাহলে তার কাছে যান আমার পথ আটকিয়েছেন কেন? বলার সাথে সাথেই তার গলা চেপে ধরে চড়-থাপ্পর দিতে থাকে। উপস্থিত ঘটনায় হতভম্ব হয়ে সে চিৎকার করলে একজন চাকু বের করে তার পেটে ঠেকায়! তার চিৎকার শুনে পাশের দুএকটা ফ্লাটের যারা বাইরে ছিল তারা ভেতরে চলে যায়! পরে একজন গরু বিক্রেতা ও এক ভদ্রলোক পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তারা এসে প্রতিবাদ জানায়। পরে তারা পুলিশকে খবর দিতে চাইলে বখাটেরা পালিয়ে যায়!
ঘটনার আকস্মিকতায় আমি আসলে কি বলবো বা কিভাবে সান্তনা দেবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। একজন সাত মাসের গর্ভবতী নারীকে তার স্বামীর লেখালিখির কারণে কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলেরা তাদের বিরুদ্ধমতের প্রতিপক্ষের স্ত্রীর গায়ে হাত তুলবে বাংলাদেশ এখন সেই জামানায় ঢুকে গেছে।
কিছুদিন আগে একটি বেসরকারী টিভি একুশে বইমেলায় সাক্ষাতকার নিয়েছিল বিভিন্ন দর্শনার্থীদের। স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বিভিন্ন স্তরের মানুষের কাছে জানতে চেয়েছে একুশে ফেব্রুয়ারীতে কি হয়েছিল? একটা ছেলে মেয়েও কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেনি।
কথা সেটা নয়। এরকম কোটি কোটি কর্মী বাহিনী নিয়ে চেতনার গল্প শুনিয়ে লাফাচ্ছে তাদের হয়তো একাত্তরের কোন সঠিক খবরা খবরও জানা নেই! কিন্তু এই ভয়ংকর বিদ্বেষ এবং সাম্প্রদায়িকতা কিভাবে ছড়ানো হেলো এসব বখাটে ইতিহাস বিমূখ ছেলেদের কাছে। কিসের চেতনায় তারা আজ গর্ভবতী নারীদের গায়ে হাত তুলতে উজ্জীবিত হচ্ছে।

কিসের শিক্ষা, কিসের আবেগ, কিসের চেতনায় একটা প্রজন্মের তরুণদের অন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অল্প বয়সী এসব তরুণদের চেতনার নামে কিভাবে বদ্ধ উম্মাদ তৈরী করা হচ্ছে? যারা ভুলে যাচ্ছে মনুষত্ব? এসবই কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা?
আমার স্ত্রী অপমানে কাঁদছে, ব্যাথায় কাঁদছে কিন্তু আমি নির্বাক! কার কাছে যাব? কার কাছে বিচার দেবো? কে দাঁড়াবে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে? আমার অনাগত সন্তান তার মায়ের পেট থেকেই হয়তো অনুভব করছে তার মায়ের আত্মচিৎকার!
আমার স্ত্রী এখনও ভয়ে কাঁপছে। গায়ে তীব্র জ্বর। যেহেতু গর্ভাবস্থার এই সময়ে কোন পেইন কিলার খেতে পারবে না। তাই কিছুই করার নেই। ব্যাথায় ছটফট করছে। আমি কোনমতে তাকে রেখে কিবোর্ড হাতে নিয়েছি। আমার ব্যথার কথাগুলো নির্বাক বাংলাদেশকে জানাতে।
একজন নির্যাতিত গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে শুধু ভাবছি, যারা আজ ক্ষমতার দম্ভে অন্ধ হয়ে গেছে। যাদের লাখো অন্ধ অনুসারী পাড়ায় পাড়ায় গলিতে গলিতে ছড়িয়ে দিয়ে কোটি মানুষের জীবনকে দূর্বিষহ করছে তারা কি একটিবারও ভেবে দেখে না, যে ক্ষমতার দম্ভে তারা ঘরে ঘরে আগুনের উত্তাপ ছড়িয়ে দিচ্ছে তাদের সন্তান কিংবা আপনজনরাও কি তাদের মতই ক্ষমতাধর হবে এটা কি তারা নিশ্চিত?

যদি তা না হয়, তাহলে তাদের সন্তান, স্ত্রী, পরিজনকেও কারো না কারো হাতে এরকম নির্যাতিত নিগৃহীত হতেই হবে? কারণ যে বৃক্ষ তারা রোপন করছেন সেটি ফলবান হয়ে আরও বেশি অপরাধ অনাচারের জন্ম দেবে। সেটা অবশ্যই কাউকে না কাউকে দগ্ধ করবেই!
আমি ওয়াহিদ ফারুকী একজন সামান্য গণমাধ্যম কর্মী। আমি যখন যা লিখি নিজের বিশ্বাস থেকে লিখি, নিজের দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, তাহযীব তামুদ্দূন অক্ষুন্ন রাখার জন্যই লিখি। চোখের সামনে স্বদেশ লুট হবে জেগে জেগে ঘুমাবো? সব অনাচার হাসি মুখে সয়ে যাবো এমনটা ভাবার কিংবা করার জন্য মিডিয়াতে আসিনি।

পৃথিবীর সকল মজলুম আমার ভাই। আমার স্বজন। সকল জুলুমের বিরুদ্ধে আমার এ কলম চলবে। কোন বাঁধাই এই কলম থামাতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। ছোট্ট একটা প্রাচীন মিশরীয় গল্প দিয়ে শেষ করছি-
‘হযরত ইব্রাহীম (আ) এর জন্য নমরূদ বিশাল অগ্নিকান্ড তৈরি করেছে খবর পেয়ে টিকটিকি ছুটছে আগুন নেভাতে। পথিমধ্যে একজন তাকে জিজ্ঞেস করলো ও টিকটিকি কই যাও? টিকটিকি বললো নমরুদ ইব্রাহীমের জন্য আগুন জ্বালিয়েছে আমি যাচ্ছি সেটা নেভাতে। পথিক টিকটিকিকে ভৎর্সনা করে বললো, ‘তোমার মত এত ছোট টিকটিকি কিভাবে এত বড় আগুন নেভাবে?’ টিকটিকি বললো, আগুন নেভাতে পারবো না সেটা আমিও জানি কিন্তু আমার আল্লাহ তো জানবে ইব্রাহীমের বিপদে আমি ছুটে গিয়েছি, সত্যের পক্ষ নিয়েছি এটাই আমার বড় পাওয়া!’
আমি জানি, আমার মত ক্ষুদ্র টিকটিকিসম গণমাধ্যম কর্মীর কোন চিৎকার চেচামেচি কিংবা আওয়াজ জালিমের কানে পৌছাবে না কিন্তু আমার আল্লাহ তো দেখছেন আমি দূর্দিনেও মজলুমের পক্ষে ছিলাম!
আমিন।
ওয়াহিদ ফারুকী
ঢাকা

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী