বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

শুক্রবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৮

মিঠাপুকুরের গোলাম রব্বানীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করার নিন্দা অব্যাহত ! রিটার্নিং অফিসার দায়িত্ব ও কর্তব্যের প্রতি চরম অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছেন -ডা. শফিকুর রহমান


আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ রংপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক জাতীয় সংসদের আসন নং ২৩, রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনের জন্য ২০ দলীয় জোট কর্তৃক মনোনীত জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মোঃ গোলাম রব্বানীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান বলেন, 
বাংলাদেশের সংবিধান ও গণপ্রতিনিধি আদেশ ১৯৭২ অনুযায়ী বাংলাদেশের যে কোন ভোটার নাগরিক জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার রাখেন। প্রার্থী হওয়ার যোগ্য কোন ব্যক্তি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করতে চাইলে তা গ্রহণ না করার কোনো এখতিয়ার প্রজাতন্ত্রের কোন কর্মকর্তাকে বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন দেয়নি। 
বিবৃতিতে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদের আসন নং ২৩, রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনে ২০ দলীয় জোটের মনোনীত প্রার্থী মোঃ গোলাম রব্বানীর মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার জন্য তার প্রতিনিধি এডভোকেট বায়েজীদ ওসমানীর নেতৃত্বে কয়েকজন আইনজীবী গত ২৮ নবেম্বর দুপুর ২টায় রিটার্নিং অফিসার রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত হলে তাদেরকে নানা অজুহাত দেখিয়ে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রেখে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে। পরবর্তীতে ডিসি, এসপি, সদর থানার ওসি ও রিটার্নিং কর্মকর্তারা মিলে গোপন বৈঠক করে, কোন কারণ ছাড়াই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিষেধ আছে বলে, তারা মোঃ গোলাম রব্বানীর নমিনেশন পেপার জমা নেয়নি। তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করে রিটার্নিং অফিসার তার দায়িত্ব ও কর্তব্যের প্রতি চরম অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছেন। শুধু তাই নয় তিনি আইন ও সংবিধানের প্রতিও অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছেন। আমরা তার এই ভূমিকার নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছি। মোঃ গোলাম রব্বানী তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নিকট লিখিতভাবে আবেদন করেছেন। 
তিনি আশা প্রকাশ করেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে তাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিবেন।

প্রার্থীতা নিয়ে বিএনপি জামায়াতের টানাপোড়ন ।

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর আসন সমঝোতা হয়েছিল ২৫টিতে। এসব আসনে জামায়াতের প্রার্থীদের বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট করতে হবে। কিন্তু গতকাল ওই ২৫টির বাইরে আরও ২২টি আসনে জামায়াতের নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ নিয়ে শেষ মুহূর্তে ২০–দলীয় জোটের এই দুই শরিকের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে।
এদিকে যে ২৫ আসন জামায়াতকে দেওয়া হয়েছে, সেগুলোতে বিকল্প প্রার্থী দিয়ে রেখেছে বিএনপি। অবশ্য ওই ২৫টির মধ্যে একটিতে গতকাল জামায়াতের প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। ফলে ধানের শীষ প্রতীকে ২৪ জন এবং স্বতন্ত্র ২২ মিলিয়ে জামায়াত মোট ৪৬ আসনে প্রার্থী দিল। অন্যদিকে জামায়াত স্বতন্ত্র হিসেবে যে ১৮ আসনে প্রার্থী দিয়েছে, সেগুলো বিএনপি, এর শরিক অন্য দলেরও প্রার্থী আছে।
জামায়াতের নেতাদের দাবি, তাঁদের চাপে রাখতে সমঝোতা হওয়া আসনগুলোতে বিএনপি বিকল্প প্রার্থী রেখেছে। এর পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে জামায়াতও ১৮টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়েছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান (রাজশাহী-১), প্রচার সেক্রেটারি অধ্যাপক তাসনীম আলম (নাটোর-১), নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ (সাতক্ষীরা-১), নুরুল ইসলাম বুলবুল (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩) ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ (পটুয়াখালী-২) সাবেক সচিব এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী (কুমিল্লা-৯) অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম (চট্টগ্রাম-১৬) অধ্যক্ষ তায়েব আলী (বগুড়া-৪) অন্যতম।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে বিএনপির কাছে দুটি অনুরোধ রেখেছিল জামায়াত। এক. যে ২৫টি আসনে সমঝোতা হয়েছে, সেগুলোতে যাতে বিএনপির কাউকে মনোনয়ন দেওয়া না হয়। দুই. ওই ২৫ আসনে যেন জামায়াতের দুজনকে মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়, যাতে তাদের মূল প্রার্থী কোনো কারণে বাছাইয়ে বাদ গেলে দ্বিতীয়জন ভোট করতে পারেন। কিন্তু বিএনপি প্রতিটি আসনেই জামায়াতকে একটি করে চিঠি দেয়। পাশাপাশি প্রায় সব কটি আসনেই বিএনপি নিজেদের প্রার্থীও মনোনয়ন দেয়। এ নিয়ে দুই দলের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়।
যদিও বিএনপির একটি সূত্র বলছে, শেষ মুহূর্তে জামায়াতের প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করতে না পারলে বা কোনো কারণে প্রার্থিতা বাতিল হলে ওই আসনটি একেবারে ফাঁকা হয়ে যেতে পারে। এই আশঙ্কা থেকে তারা বিকল্প প্রার্থী দিয়ে রেখেছে। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে জামায়াত বাড়তি ২২ আসনে প্রার্থী দিয়েছে।
এই বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহম​দ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এগুলো দর–কষাকষি ও চাপ তৈরির জন্য করা হয়।’ তিনি বলেন, প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৯ ডিসেম্বর। তার আগ পর্যন্ত কোনো কিছুই চূড়ান্ত বলা যাবে না। আরও অনেক সমঝোতা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, কেবল বিকল্প প্রার্থীই নয়; প্রতীক বরাদ্দ নিয়েও বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে মৃদু টানাপোড়েন ছিল। শুরুতে জামায়াতের দলীয় সিদ্ধান্ত ছিল স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করার। তখন বিএনপির দিক থেকে জামায়াতকে উদ্বুদ্ধ করা হয় ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে। শেষ মুহূর্তে জামায়াত মত বদলায় এবং ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা জানায়। কিন্তু মনোনয়নপত্র দাখিলের আগের দিন গত মঙ্গলবার রাতে বিএনপির পক্ষ থেকে জামায়াতকে বলা হয় স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করতে। এ নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে জামায়াত। পরে একপর্যায়ে জামায়াতকে ২৫টি আসনে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়।
এই বিষয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের প্রথম আলোকে বলেন, ‘এত দিন ওনারাই (বিএনপি) উদ্বুদ্ধ করেছিলেন আমরা যেন ধানের শীষ প্রতীক ​নিই। আমাদের মধ্যে এ বিষয়ে ভিন্ন মত থাকলেও শেষ পর্যন্ত সম্মত হই। কিন্তু বিএনপি মঙ্গলবার রাতে চিঠি ইস্যু করতে এতটা বিলম্ব করে যে আমাদের প্রার্থীদের চিঠি নিয়ে পৌঁছানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। ওই অবস্থায় আমরা সন্ধ্যায় আমাদের প্রার্থীদের বার্তা দিয়েছি, তাঁরা যেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হন।’ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, চূড়ান্তভাবে সমঝোতা হলে দুপক্ষই বাড়তি প্রার্থীদের প্রত্যাহার করে নেবে।
যে ২৫ আসনে সমঝোতা
বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের সমঝোতা হয় ঠাকুরগাঁও-২ (আবদুল হাকিম), দিনাজপুর-১ (মোহাম্মদ হানিফ), দিনাজপুর-৬ (আনোয়ারুল ইসলাম), নীলফামারী-২ (মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মন্টু), নীলফামারী-৩ (অধ্যক্ষ আজিজুল ইসলাম), গাইবান্ধা-১ (মাজেদুর রহমান সরকার), সিরাজগঞ্জ-৪ (রফিকুল ইসলাম খান), পাবনা-৫ (প্রিন্সিপ্যাল ইকবাল হুসাইন), ঝিনাইদহ-৩ (অধ্যাপক মতিয়ার রহমান), কুমিল্লা-১১ (ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের), কক্সবাজার-২ (হামিদুর রহমান আযাদ), চট্টগ্রাম-১৫ (আ ন ম শামসুল ইসলাম), যশোর-২ (মুহাদ্দিস আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন), বাগেরহাট-৩ (আবদুল ওয়াদুদ), বাগেরহাট-৪ (অধ্যাপক আবদুল আলীম), খুলনা-৫ (অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার), খুলনা-৬ (আবুল কালাম আযাদ), সাতক্ষীরা-৩ (মুফতি রবিউল বাশার), সাতক্ষীরা-২ (মুহাদ্দিস আবদুল খালেক), সাতক্ষীরা-৪ (গাজী নজরুল ইসলাম), পিরোজপুর-১ (শামীম সাঈদী), সিলেট-৫ (অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী), সিলেট-৬ (হাবিবুর রহমান), ঢাকা-১৫ (ডা. শফিকুর রহমান) ও রংপুর-৫ আসনে (অধ্যাপক গোলাম রব্বানী)।

এর মধ্যে রংপুর-৫–এ গোলাম রব্বানী মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। তিনি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি উপজেলা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়েছিলেন।
গোলাম রব্বানীর আইনজীবী বায়েজিদ ওসমানী বলেন, তাঁরা চেষ্টা করেও মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের দাবি করেন, পুলিশ ও প্রশাসনের বাড়াবাড়ির কারণে রংপুর–৫ আসনে গোলাম রব্বানী মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। তাঁরা আইনি ব্যবস্থা নেবেন।
জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট রায় দেন। গত ২৮ অক্টোবর দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাই দল হিসেবে জামায়াতের নির্বাচন করার সুযোগ নেই।
প্রথমআলো

সরে দাঁড়ালেন শাহজাহান চৌধুরী



আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসন থেকে সরে দাঁড়ালেন জামায়াতে ইসলামের কর্মপরিষদ সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী। এর পরিবর্তে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনে। দলীয় কোন্দল এড়াতে জামায়াতের সিদ্ধান্ত তিনি শেষ পর্যন্ত মেনে নিয়েছেন বলে সংগঠনটির নেতারা জানিয়েছেন। এখন এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে আছেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আ ন ম শামসুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমির জাফর সাদেক।
জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যদি আইনি জটিলতায় শেষ পর্যন্ত শামসুল ইসলাম নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারেন, তবে জাফর সাদেকই হবেন জামায়াতের প্রার্থীতবু শাহজাহান চৌধুরী নন। এই আসনে শাহজাহান চৌধুরী দুইবার সংসদ সদস্য ছিলেন। আর শামসুল ইসলাম ছিলেন একবার। এ নিয়ে দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। জাফর সাদেক অতীতে সাতকানিয়া পৌরসভার মেয়র নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তৃতীয় হয়েছিলেন।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে জাফর সাদেক কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, দলের সিদ্ধান্ত আমরা সবাই মেনে নেব।
চট্টগ্রাম-১০ আসনটির অবস্থান নগরীতে। ২০০৮ সালে এ আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান আওয়ামী লীগের নগর সহসভাপতি ডা. আফছারুল আমীনের কাছে হেরে যান। জানা যায়, জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্দেশে তখন থেকে শাহজাহান চৌধুরী চট্টগ্রাম-১০ আসনে কাজ করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ তিনি ওই এলাকা থেকেই গ্রেপ্তার হন। বর্তমানে শামসুল ইসলাম ও শাহজাহান চৌধুরী দুজনই জেলে আছেন। শাহজাহান চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ এক জামায়াত নেতা বলেন, তিনি চাপ সৃষ্টি করে দলের মনোনয়ন আদায়ের চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত দলীয় কোন্দলে জড়াতে চাননি।
তাই চট্টগ্রাম-১৫ আসনে তার জন্য ফরম কেনা হলেও সংগঠনের সবুজ সংকেত না থাকায় তিনি সেটিতে স্বাক্ষর করেননি।
নিজে দলীয় কোন্দল এড়িয়ে চলতে চাইলেও সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলায় রয়েছে শাহজাহান চৌধুরীর হাজার হাজার ভক্ত। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর সাতকানিয়া ও লোহগাড়ায় ব্যাপক ভাংচুর ও সড়কের দুই পাশের হাজার হাজার গাছ কাটা হয়। জামায়াত কর্মীদের হামলায় এক জাপানি নারী পর্যটক চোখ হারান। পুরো তা-বের নেতৃত্ব দেন শাহজাহান চৌধুরী।
জামায়াতে ইসলাম থেকে শামসুল ইসলামকে মনোনয়ন দেওয়ার ঘোষণা সত্ত্বেও লোহাগাড়া উপজেলা এলাকায় নাগরিক কমিটির ব্যানারে জামায়াত-শিবিরের একদল নেতাকর্মী ও সমর্থক শাহজাহান চৌধুরীকে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেন। তবে শাহজাহান চৌধুরী চট্টগ্রাম-১৫ আসনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে মনোনয়নপত্র গ্রহণে সম্মত না হওয়ায় তাঁর সমর্থকরাও পিছু হটে যান। এই কমিটির আহ্বায়ক ও আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন, আমরাও শেষ পর্যন্ত নেতার কথাই মেনে নিয়েছি।
জানা যায়, প্রতীক বরাদ্দ না দেওয়া পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামের নেতাকর্মীরা জনসম্মুখে না এসে নিজেদের এক প্রকার আড়াল করে রেখেছেন। তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে। একজন নেতা বলেন, প্রতীক বরাদ্দ ও প্রচার পুরোদমে শুরু হলেই তারা আনুষ্ঠানিকভাবে মাঠে নামবেন।
-আমাদের সময়

সোমবার, ১৮ জুন, ২০১৮

হুমায়ুন কবিরের ইন্তেকালে ভারপ্রাপ্ত আমীরের শোক

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ জনাব হুমায়ুন কবির সাঈদীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি মাওলানা আ.ন.ম. শামসুল ইসলাম আজ ১৮ জুন ২০১৮ এক শোকবাণী প্রদান করেছেন। 
শোকবাণীতে তিনি বলেন, জনাব হুমায়ুন কবির সাঈদী (রাহিমাহুল্লাহ) কে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ক্ষমা ও রহম করুন এবং তাকে নিরাপত্তা দান করুন। তাকে সম্মানিত মেহমান হিসেবে কবুল করুন ও তার কবরকে প্রশস্ত করুন। তার গুণাহখাতাগুলোকে নেকিতে পরিণত করুন। তার জীবনের নেক আমলসমূহ কবুল করে তাকে জান্নাতুল ফিরদাউসে স্থান দান করুন।  
তিনি শোকবাণীতে তার শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাদেরকে এ শোকে ধৈর্য ধারণ করার তাওফিক দান করুন। 

সোমবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৮

ইসলামী ব্যাংকের সব বিনিয়োগ বন্ধ, কর্মকর্তাদের মধ্যে ‘ছাঁটাই’ আতঙ্ক



ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড সব ধরনের বিনিয়োগ বন্ধ করে দিয়েছে। আগে মৌখিকভাবে বিনিয়োগ বন্ধের কথা বলা হলেও গত রবিবার ব্যাংকের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ সুইচ বন্ধ করে দিয়ে বিনিয়োগ বন্ধ করা হয়েছে।
ফলে দেশের কোনো জায়গা থেকে বিনিয়োগ (ঋণ) দিতে পারেনি ব্যাংকের শাখাগুলো। নগদ টাকার সঙ্কট মেটাতে কোনো ব্যাংকের বিনিয়োগ এভাবে বন্ধ করে দেওয়ার এ ঘটনা দেশে নজিরবিহীন।
ইসলামী ব্যাংক নতুন করে বিনিয়োগ প্রকল্প নিচ্ছে না বেশ আগে থেকেই। আর যেসব গ্রাহক ও প্রকল্পের জন্য বিনিয়োগ অনুমোদিত হয়েছিল সেগুলোতে অর্থ ছাড় করা হচ্ছিল খুব ধীর গতিতে। গতকাল থেকে তা একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হলো। এমনকি ব্যাংকের নিজস্ব কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত বিনিয়োগও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ইসলামী ব্যাংকের জনপ্রিয় সেবা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আউটলেট দেওয়ার কার্যক্রমও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকটির এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ১০৫টি আউটলেটের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে ৯৫টি আউটলেট চালু হয়েছে। বর্তমানে নতুন আউটলেট উদ্বোধন বন্ধ রেখেছে ব্যাংকটি। দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়ায় এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আরো ২০০টি আউটলেটের অনুমোদন চেয়েছিল ব্যাংকটি। বিনিয়োগসহ প্রয়োজনীয় সেবা বন্ধ রাখার পাশাপাশি ব্যাংকটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে এখনো ‘ছাঁটাই’ আতঙ্ক কাজ করছে। এতে ব্যাংকটি এক প্রকার স্থবির হয়ে পড়েছে। তবে আমানতকারীদের কাছ থেকে আমানত গ্রহণ ও প্রদান ঠিক রয়েছে বলে ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
নগদ টাকার সঙ্কট মেটাতে ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত আমানত ও বিনিয়োগ হার (আইডিআর) ঠিক করার জন্য বিনিয়োগ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এ নীতি হিতে বিপরীত হতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব্যাংকিং খাতের সংশ্লিষ্টরা। গত বছর জানুয়ারিতে ব্যাংকটিতে যে পরিবর্তন শুরু হয় তা চলতি মাসেও অব্যাহত থাকায় ব্যাংকটি নানান সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
বিনিয়োগ বন্ধ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র দেবাশিষ চক্রবর্তী বলেন, গ্রাহকের চাহিদা ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বিনিয়োগ বিষয়ে ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেয়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের সরাসরি কিছু বলার নেই। এ বিষয়ে ওই ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তই গুরুত্বপূর্ণ।
দেশের বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় এ ব্যাংক সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকটির এমন সঙ্কটে পড়ার যৌক্তিক কারণ নেই। ব্যাংকটির এত বছরে কখনো তহবিল সঙ্কটে (নগদ টাকা) পড়েনি। গত বছর প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ হয়েছে। তারপরও কেন এমন হচ্ছে সে বিষয়ে কেউই কিছু বলতে পারছে না। দিনে দিনে ব্যাংকটির প্রতি গ্রাহকদের আস্থা সঙ্কট বাড়ছে বলেও মনে করছেন তারা।
জানা গেছে, ইসলামী ব্যাংক থেকে বিনিয়োগ প্রাপ্তির অনুমোদন পাওয়া কোনো কোনো প্রকল্পে বড় অংকের টাকা বিনিয়োগ করে রেখেছে। এখন বিনিয়োগের পুরো অর্থ না পাওয়ায় ওই প্রকল্পগুলো পণ্য উত্পাদনে যেতে পারছে না। ফলে গ্রাহক ও ব্যাংক উভয়ে ক্ষতিতে পড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেখা গেছে, ইসলামী ব্যাংকের ৯২ শতাংশ হয়ে গেছে। যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিত হারের চেয়ে ২ শতাংশ বেশি। ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান মোট আমানতের পরিমাণ ৭৬ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা। যার মধ্যে মুদারাবা আমানত ৬৭ হাজার ৫৩ কোটি টাকা। আর বাকিটা খরচ ছাড়া (কস্ট ফ্রি) আমানত। ব্যাংকটি বিনিয়োগ রয়েছে ৭৭ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা। এ বিনিয়োগের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগ ৭৪ হাজার ৮৭ কোটি এবং বাকিটা শেয়ার বিনিয়োগ। সে হিসাবে আইডিআর ৯১ দশমিক ৪৬ শতাংশ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ইসলামী ব্যাংকগুলো তাদের সংগৃহীত আমানতের ৮৫ শতাংশ ঋণ বিতরণ করতে পারে। তবে সার্বিক আর্থিক সূচক ভালো থাকলে সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশ ঋণ বিতরণ করা যায়। যদিও সর্বোচ্চ এই হার এক শতাংশ কমিয়ে ৮৯ শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যেসব ব্যাংকের ঋণ ৮৯ শতাংশের বেশি রয়েছে তাদেরকে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে এই সীমার মধ্যে নামিয়ে আনতে হবে।
ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কখন চাকরি চলে যায় এমন আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছে। আর কি কারণে চাকরি যাচ্ছে সেটাও কারো কাছেই স্পষ্ট নয়। তুলনামূলক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাঝে এমন আতঙ্ক বিরাজ করছে।

শুক্রবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৮

বাংলা নববর্ষে মঙ্গল প্রতীক ও মঙ্গল শোভা যাত্রার নামে আমদানী করা হচ্ছে ভিন্নধর্মের অপসংস্কৃতি।

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24ঃ ১লা বৈশাখ বাংলা শুভ নববর্ষ উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি 
মাওলানা আ.ন.ম শামসুল ইসলাম আজ ১২ এপ্রিল, ২০১৮ নিম্নোক্ত শুভেচ্ছা বাণী প্রদান করেছেনঃ-
“বাংলা নববর্ষ আমাদের সামনে সমাগত। বাংলা নববর্ষে আমাদের দেশের ব্যবসায়ীগণ হালখাতার অনুষ্ঠান করে থাকেন। মোঘল সম্রাট আকবরের আমল থেকে খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে ১লা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
জাতি এমনি এক সংকটকালে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন করতে যাচ্ছে যখন জাতির ঘাড়ে বসে আছে এক কর্তৃত্ববাদীঅগণতান্ত্রিক সরকার। গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার দেশ থেকে নির্বাসিত। সরকারগণতন্ত্রের বুলি আওড়িয়ে জনগণের ওপর চালাচ্ছে জুলুম-নির্যাতন। লুট হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ, ধর্ষিতা হয়েছে অনেক মা-বোন, হত্যা ও গুম চলছে অবাধে। গুম, অপহরণ ও বিচার বর্হিভুত হত্যাকা-ের মাধ্যমে জীবন কেঁড়ে নেয়াহয়েছে অসংখ্য মানুষের। দেশে চলছে ঘুষ, দুর্নীতি ও লুটপাটের রাজত্ব।

ফ্যাসিবাদী সরকার মিডিয়ার কণ্ঠ রুদ্ধ করে দিয়েছে। বাক-স্বাধীনতাসহ মানুষের সকল মৌলিক অধিকার পদদলিত। বাংলা নববর্ষে মঙ্গল প্রতীক ও মঙ্গল শোভা যাত্রার নামে আমদানী করা হচ্ছে ভিন্নধর্মের অপসংস্কৃতি। ইসলামী শিক্ষা ও সংস্কৃতি ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এ অবস্থা থেকে জাতি মুক্তি চায়। তাই বাংলানববর্ষ মুক্তির সেই আহ্বান নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হয়েছে।
আসুন জাতি হিসেবে আরেকবার ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াবার শপথ নিই, যাতে বাংলাদেশের আপামর জনগণ শান্তি ও স্বস্তিÍর সাথে বাঁচার জন্য নিজেদের মত করে বাংলাদেশটাকে গড়ে তুলতে পারে। আমি দেশবাসী সকলের সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি, সুস্বাস্থ্য কামনার পাশাপাশি জুলুম ও শৃংখলমুক্ত বাংলাদেশ কামনা করছি এবং আমার দলের পক্ষ থেকে প্রিয় দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের উষ্ণ শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি। দেশবাসীকে ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে একটি জুলুমমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধশালী সমাজ গঠনে এগিয়ে আসার জন্য আন্তরিকভাবে আহ্বান জানাচ্ছি।”

সোমবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৮

অধ্যাপক মুজিবকে পুনরায় জেলগেটে গ্রেফতারের প্রতিবাদে জামায়াতের বিক্ষোভ কাল

আমাদের বাংলাতেশ নিউজ24: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলায় আদালত থেকে জামিন লাভ করা সত্ত্বেও ৮ এপ্রিল রাজশাহী জেলগেট থেকে তাকে পুনরায় অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি মাওলানা আ.ন.ম শামসুল ইসলাম বলেন, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান তার বিরুদ্ধে সরকারের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় আদালত থেকে জামিন লাভ করা সত্ত্বেও তাকে রাজশাহী জেলগেট থেকে পুনরায় অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে সরকার তার প্রতি চরম অন্যায় ও জুলুম করেছে। অন্যদিকে সরকার আইনের প্রতি চরম অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছে। সরকারের এহেন অন্যায় ও অমানবিক আচরণের তিনি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
আজ সোমবার দেয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকার অধ্যাপক মুজিবুর রহমানকে জেলগেট থেকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে পুনরায় অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে দেশের আইন ও আদালতের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছে। সরকারের উচিত ছিল তাকে মুক্তি দিয়ে আইন ও আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা। কিন্তু সরকার তা না করে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়েছে। সরকার নিজেই আইনের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করে আইনের শাসনকে গলা টিপে হত্যা করছে। কোন সভ্য গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের অন্যায় ও অগণতান্ত্রিক আচরণ কল্পনাও করা যায় না।
এ ধরনের অন্যায়, অমানবিক ও অগণতান্ত্রিক আচরণ পরিহার করে অধ্যাপক মুজিবুর রহমানকে অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেয়ার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

শুক্রবার, ২৩ মার্চ, ২০১৮

দিল্লী জামে মসজিদে আল্লামা মওদুদী

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ আল্লামা মওদুদী জুমার নামাজ পড়তে দিল্লী জামে মসজিদে গেলেন! . তিনি যখন মসজিদে প্রবেশ করেন তখন মসজিদে ইমাম সাহেবের আলোচনা চলছিল। . ইমাম সাহেবেও তখন খুব আবেগময় আলোচনা করছিল। . আল্লামা মওদুদীও এ আলোচনা শুনে খুবে আবেগময় হয়ে পড়েন। . ইমাম সাহেব তখন বলেছিল,"হায় খোদা, ভারতবর্ষে আজ যদি এমন কোন আল্লাহর বান্দা ইসলামের জিহাদ নীতির উপর প্রামাণ্য গ্রন্থ রচনা করতো, ইসলাম বিরোধী অপপ্রচারের দাতভাঙ্গা জবাব দিয়ে ইসলামের প্রকৃত রূপ সবার সামনে তুলে ধরতো তবে কতই না ভালো হতো।" . ২৪বছরের যুবক মওদুদী তখন নামাজ শেষে মনস্থির করে সে এ এই হবে এ বইয়ের লেখক। . 
যে আল্লাহ আমাকে সৃষ্টি করেছেন,আমি কেন তার মহিমা ঘোষণার জন্য তার পক্ষে কলম ধরবো না ? ..২৪ বছরের এ টগবগে যুবক লিখে ফেলল . "আল জিহাদ ফিল ইসলাম"নামের এক অসাধারন পুস্তক। . যা ইসলামে জিহাদের প্রকৃত পরিচয় অমুসলিমদের কাছে স্পষ্ট করে তোলে। . বইটি এতোটা তথ্যপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে আল্লামা ইকবাল তার এ বইটি পাঠ করে অত্যন্ত আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। . ইকবাল তখন এ বইয়ের ভূয়সি প্রশংসা করে বলেন, "জিহাদ, যুদ্ধ ও সন্ধি সম্পর্কে ইসলামী আইন-কানুন সম্বলিত এ গ্রন্থটি অসাধারণ ও চমৎকার। . প্রত্যেক জ্ঞানী ও সুধীকে এ গ্রন্থটি পাঠ করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। . যে সময়ে মুসলমানরা বিধর্মীদের অপপ্রচারে ছিল দিশেহারা,সেসময়ে ২৪বছরের এ যুবক অসীম সাহসে এগ্রন্থ রচনা করে ইসলামের পক্ষে যে ভূমিকা রেখেছিল। . তা আজও ভারতীয় উপহাদেশে অবিস্মরণীয় হয়ে আছে। . সে ২৪বছরের যুবক পরবর্তী সময়ে ইসলামের পক্ষে ১২০টিরও বেশী বই লেখেন।।। . 
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার এই খেদমতকে কবুল করূন।

বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৮

ঢাকা শহরের বিখ্যাত ৭২ টি খাওয়ার আস্তানা যেখানে অন্তত একবার হলেও খাওয়া উচিৎ

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24: ঢাকা শহরের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য সুস্বাদু রকমারি বাহারি খাবারের রেস্তোরাঁ।  রাস্তার পাশের ঝাল মুড়ি থেকে শুরু করে পিজ্জা বার্গার প্রত্যেক খাবারই তার স্বাদ দিয়ে জয় করে নিয়েছে ফুডিজদের মন। আজকে জানিয়ে দিব ঢাকার বেশ কিছু জনপ্রিয় খাবার রেস্তোরাঁর খোঁজ খবর যেখানে অন্তত একবার হলেও খাওয়া উচিৎ।
১. বেচারাম দেউরীতে অবস্হিত নান্না বিরিয়ানি এর মোরগ-পোলাও
২. ঝিগাতলার সুনামী রেস্তোরা এর কাচ্চি বিরিয়ানী, গাউছিয়া হোটলের গ্রিল
৩. খিঁলগাও এর ভোলা ভাই বিরিয়ানী এর গরুর চাপ এবং মুক্তা বিরিয়ানী এর গরুর চাপ, খাসীর চাপ এবং ফুল কবুতর
৪. মতিঝিলের ঘরোয়া হোটেল এবং হীরাঝীলের ভূনা খিচুড়ী
৫. হোটেল আল-রাজ্জাকের কাচ্চি+গ্লাসি
৬. লালমাটিয়ার স্বাদ এর তেহারী
৭. নবাবপুর রোডে হোটেল স্টার এর খাসীর লেকুশ, চিংড়ি ,ফালুদা
৮. নয়াপল্টনে হোটেল ভিক্টোরীতে ৭০টি আইটেমের বুফে
৯. হাতিরপুল মোড়ে হেরিটেজ এর শর্মা
১০. শ্যামলী রিং রোডের আল-মাহবুব রেস্তোরার গ্রীল চিকেন
১১. মোহাম্মদপুর জেনেভা/বিহারী ক্যাম্পের গরু ও খাশির চাপ

১২. মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের সামনের বিহারী ক্যাম্পের “মান্জারের পুরি”
১৩. চকবাজারের শাহ সাহেবের বিরিয়ানী
১৪. মিরপুর-১০-এর শওকতের কাবাব
১৫. নারিন্দার শাহ সাহেবের ঝুনার বিরিয়ানী
১৬. ইংলিশ রোডের মানিকের নাস্তা
১৭. গুলশানের কস্তুরির সরমা
১৮. সুলতান ডাইন মেন্যু সেট।
১৯. সাইন্স-ল্যাবের ছায়ানীড়ের গ্রীল-চিকেন
২০. নাজিরা বাজারের হাজীর বিরিয়ানী
২১. জেলখানা গেটের পাশে হোটেল নিরবের ব্রেন/মগজ ফ্রাই
২২. নয়া বাজারের করিমের বিরিয়ানী
২৩. হাজি বিরিয়ানী এর উল্টা দিকের হানিফের বিরিয়ানী

২৪. লালবাগের ভাটের মসজিদের কাবাব বন

২৫. তারা মসজিদের সামনের সরবত আর লাচ্ছি, চকবাজারের মুরি ভর্তা।
২৬. বংশালের শমসের আলীর ভূনা খিচুড়ী
২৭. খিলগাঁও বাজারের উল্টো পাশে আল রহমানিয়ার গ্রীল চিকেন আর তেহারী
২৮. মতিঝিল সিটি সেন্টারের পিছনের বালুর মাঠের পিছনের মামার খিচুড়ী
২৯. চানখারপুলের নীরব হোটেলের ভুনা গরু আর ভর্তার সাথে ভাত
৩০. ধানমন্ডী লায়লাতির খাসির ভুনা খিচুড়ী
৩১. হোসনী দালান রোডে রাতের বেলার পরটা আর কলিজা ভাজি
৩২. নাজিরা বাজার মোড়ে বিসমিল্লার বটি কাবাব আর গুরদার


৩৩. পুরানা পল্টনে খানা-বাসমতির চাইনিজ প্যাকেজ
৩৪. বনানীর বুমারস রেস্টুরেন্টের বুফে প্যাকেজ
৩৫. ধানমন্ডির কড়াই গোশত এর ইলিশ সস
৩৬. গুলশান ২ এর খাজানার মাটন দম বিরিয়ানী এবং হাইদ্রাবাদী বিরিয়ানী
৩৭. উত্তরার একুশে রেস্তোরার গ্রীল চিকেন
৩৮. ধানমন্ডি/বনানীর স্টার হোটেলের কাচ্চি এবং কাবাব



৩৯. মৌচাকের স্বাদ রেস্তোরার ভাতের সাথে ৩৬ রকমের ভর্তা
৪০. সাইন্স ল্যাবে মালঞ্চ রেস্তোরার কাচ্চি বিরিয়ানী, রেশমী কাবাব
৪১. সুবহানবাগের তেহারী ঘর এর তেহারী-ভুনা খিচুরী

৪২. ভূত এর কাকড়া, সিজলিং, সূপ
৪৩. শর্মা এন পিজ্জার বীফ শর্মা
৪৪. মিরপুর ঝুট পট্টির রাব্বানির চা
৪৫. চকের নূরানি ড্রিংস এর লাচ্ছি
৪৬. চকের বিসমিল্লাহ হোটেলের মোঘলাই পরটা
৪৭. সেন্ট ফ্রান্সিস স্কুলের সামনের মামার আলুর দম।
৪৮. সোহরয়ার্দী কলেজের সামনে জসিমের চটপটি ও ফুচকা।
৪৯. বাংলাবাজারে (সদরঘাট) চৌরঙ্গী হোটেলের সকালের নাস্তা।
৫০. অমূল্য মিষ্টান্ন ভান্ডারের (শাঁখারীবাজার) হালুয়া, পরোটা, সন্দেশ।
৫১. গোপীবাগের খাজা হালিম ও টিটির কাচ্চি
৫২. বাসাবোর হোটেল রাসেলের “শিককাবাব”
৫৩. বায়তুল মোকাররমে অলিম্পিয়া কনফেকশনারীর “চকলেট পেস্টি”
৫৪. কর্নফুলি গার্ডেন সিটির চার তালার “ফুচকা”
৫৫. কাঁটাবন ঢালে অষ্টব্যঞ্জনের বিফ খিচুড়ী
৫৬. পল্টনের (বিজয়নগর পানির ট্যাকিংর পেছনে) নোয়াখালী হোটেলের গরুর কালো ভুনা
৫৭. ডিসেন্ট (মতিঝিল, হাতিরপুল, বনশ্রী, ধানমন্ডি, চক, নওয়াব—এদের প্রচুর শাখা) এর ডেজার্ট আইটেমগুলা ভালো।
৫৮. ব্রাক ভার্সিটির কাছে নন্দনের বিফ এবং মগজ ফ্রাই।
৫৯. গুলশান ২ এর মোড়ে ঝালমুড়ি ওয়ালার টমেটো মাখানো।
৬০. মহাখালি কন্টিনেন্টাল হোটেলের শর্মার সঙ্গে সস’টা দারুণ সেই সাথে চা টাও খুব একটা খারাপ না।
৬১. নিউমার্কেট এরিয়ায় পেয়ারা, আম মাখানোও যথেষ্ট ভাল।
৬২. নিমতলির বাদশাহ মিয়ার চা
৬৩. আগামাসিহ লেনের মাকসুদের খাসসির পায়ার নেহারী
৬৪. বিউটির লেবুর সরবত আর লাচ্ছি,ফালুদা

৬৫. মোহাম্মদপুরের বিহারি ক্যাম্পের মুস্তাকিমের চাপ, গোল্ডেন বিরিয়ানি।
৬৬. ফকরুদ্দিনের কাচ্চি বিরিয়ানি, বোরহানি।
৬৭. বিহারি ক্যাম্পের গরুর মগজ ফ্রাই

৬৮. মিরপুর পানির ট্যাঙ্কের ঝাল ফুচকা।
৬৯. গুলশান ২ এ ব্যাটন রোজ ১০১ বুফেট মেন্যু সল্প মুল্যে।
৭০.খিলগাঁও তালতলা মার্কেটের অপজিট পাশে ফুট পাতের চিকেন ঝাল শিক
৭১.লালবাগ কেল্লার উলটা পাশে হোটেল রয়েল এর চিকেন চাটনি কারি।
৭২. ধানমন্ডি ১৫ নং এর Pasta state.
Curtsy: Daily Bangladesh 

শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

১৪ ফেব্রূয়ারীর 'বিশ্ব বেহায়া দিবস' কে "না" বলুন !

প্রথমে বলা হয়েছে "ভালোবাসা দিবস", এরপর এখন এটা কেবল "ভ্যালেন্টাইন্স ডে"। যিনার বিস্তার ঘটানোর জন্য আরও ডে বের করেছে সপ্তাহব্যাপী- রোয ডে, চকলেট ডে, হাগ ডে, কিস ডে ইত্যাদি। আগে ভ্যালেন্টান্স ডে কে "ভালোবাসা দিবস" নাম দিয়ে এদেশে বোঝানো হয়েছে- মায়ের ভালোবাসা, বাবার ভালোবাসা, স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা ইত্যাদি। যেনো সারাবছর সবাই মারামারিতে থাকে আর একদিন ভালোবাসা ভালোবাসে। কিন্তু ক্লোজআপের মতো টুথপেস্ট ব্র‍্যান্ড এসে "কাছে আসার গল্পের" আহবান করতে লাগলো। এখন আর ভালোবাসা দিবস নেই- হয়ে গেছে ভ্যালেন্টাইন্স ডে। ভ্যালেন্টাইন্স ডে আর ভ্যালেন্টাইন্স ডে নেই- কিস ডের পরের সিরিয়ালে কী ডে হয়ে গেছে সামান্য ঘিলু থাকলেই বোঝা যায়। আগে এই ভ্যালেন্টাইন্স ডে উপলক্ষ্যে নাটক-বিজ্ঞাপন দিয়ে একটা ভাইভ তৈরি করা হয়েছে। এখন শহর থেকে শুরু করে গ্রামেগঞ্জে বেহায়াপনা চরম আকার ধারণ করেছে। কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ওদিকে ভারতীয় সিনেমা এবং তার অনুকরণে বাংলা সিনেমা দেখে কোমলমতি শিশুরা "জীবনের অর্থ কী তুমি ছাড়া?" মার্কা শ্লোগান দিচ্ছে। না, এটুকুই না। এরপর যিনা-ব্যভিচার হচ্ছে। কিছুদিন পর দেখা যাচ্ছে মেয়েগুলো "প্রতারিত"। ধর্ষণ নাকি করেছে "বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে"। বাড়ছে এসব খবর। বাড়ছে এ্যাবরশন, মৃত্যু, সন্তান ফেলে দেওয়া, স্ক্যান্ডাল ইত্যাদি। 
.
প্রিয় পাঠক, আল্লাহ আমাদের সবচেয়ে ভালোটা চান বলেই তিনি প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সব অশ্লীলতা হারাম করে দিয়েছেন। তিনি বলে দিয়েছেন- "যিনার কাছেও যেওনা।" রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “দুই চক্ষুর যিনা হচ্ছে- দেখা, দুই কানের যিনা হচ্ছে- শুনা, জিহ্বার যিনা হচ্ছে- কথা, হাতের যিনা হচ্ছে- ধরা, পায়ের যিনা হচ্ছে- হাঁটা, অন্তর কামনা-বাসনা করে; আর যৌনাঙ্গ সেটাকে বাস্তবায়ন করে অথবা করে না।” ( সহিহ বুখারী ও মুসলিম)
.
প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোন, শুধু যৌনতার খায়েশকে কেন্দ্র করে ভেসে যেতে আপনাকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা'আলা সৃষ্টি করেননি। বরং ইসলাম সেজন্য বিয়ের বিধান দিয়েছে। আপনার যৌবন আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যত্রতত্র ব্যয় করার জন্য তা আল্লাহ আপনাকে দেননি। বরং তা করলে যে মর্মন্তুদ শাস্তি পেতে হবে তা খুব ভয়াবহ হবে। 
.
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, "গত রাতে আমি এক স্বপ্নে দেখি দু'জন (ফেরেশতা) আমার কাছে এসে আমায় জাগিয়ে দিল এবং বলল, "সামনে চলুন।" আমি তাদের সাথে যাত্রা শুরু করলাম আর... সুতরাং আমরা এগুলাম আর চুল্লীর মতো কিছু দেখলাম ঐ চুল্লী থেকে অনেক কান্না ও শোরগোল শোনা যাচ্ছিল। আমরা এর দিকে তাকিয়ে উলঙ্গ নারী পুরুষ পেলাম যাদের নিচে থেকে আগুনের শিখা উপড়ে উঠছে। যখনই তা তাদের পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছিল তারা চিৎকার করে কান্না করছিল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, "এরা কারা"? তারা বললো, "সামনে চলুন"... আমার দু'জন সঙ্গী আমায় বললো,... আপনি চুলার মতো জায়গায় যে উলঙ্গ নারী-পুরুষকে দেখলেন এরা ব্যভিচারী পুরুষ ও ব্যভিচারী নারী।"( সহীহ আল-বুখারী) [মূল হাদিসটা অনেক বড়। এখানে সম্পর্কিত অংশটা উল্লেখ করা হয়েছে কেবল।]
.
মহানবী (সাঃ) বলেছেন, " যে ব্যাক্তি যেনা করে কিংবা মদ পান করে, আল্লাহ তার কাছ থেকে ঈমান ছিনিয়ে নেন, যে ভাবে কোন ব্যাক্তি তার জামা মাথার উপর দিয়ে খুলে ফেলে । (হাকেম)
.
আপনার যদি সামান্য পরিমাণ আল্লাহর ভয় থাকে তবে একজন নারী যিনি আপনার জন্য হালাল নয় তার সামান্য স্পর্শও আপনার জন্য মাথায় পেরেক ঠোকার চেয়ে ভয়াবহ লাগার কথা। যেমনটা বলেছিলেন ইউসুফ আলাইহিস সালাম- "আমি আল্লাহকে ভয় করি।"
.
এবার আসি বাংলাদেশে এ অযাচার পাপাচারকে কারা কারা প্রমোট করছে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী হিসেবে:
১. যায়যায়দিন:
এই পত্রিকার সম্পাদক শফিক রেহমান সর্বপ্রথম ভ্যালেন্টাইন্স ডেকে বাংলাদেশে প্রবর্তন করে। এদের কিছু অশ্লীলতা প্রমোটকারী লেখাজোখা থাকতো। যা দিয়ে প্রেম-পরকিয়া প্রমোট করা হতো।
২.নারীবাদীগণ:
এরা কোমলমতি ও ইমোশনাল মেয়েদের বিভ্রান্ত করতে দক্ষতা দেখিয়েছে। সবাই নিজের পক্ষে কথা শুনতে চায়। আপনি যদি ন্যায়-অন্যায় না বুঝেন তবে আপনি স্বাভাবিকভাবেই তা করবেন। পক্ষে মিষ্টি কথায় অন্যের চিড়ে ভেজানোর সুযোগ করে দিলে আখেরে নিজের অকল্যাণ। নারীবাদটা হলো বাইরের মুখোশ। বেশ তথ্য আছে- লম্পট ছেলেগুলো নারীবাদী সাজে প্রথমে। বিশিষ্ট নারীবাদি ইমতিয়াজ মাহমুদের সাম্প্রতিক কুকর্ম তো সবাই দেখেছেন। লম্পট ইয়াং ছেলেপেলেদের ফরম্যাটও একই।
৩. ক্লোজআপ তথা ইউনিলিভার:
এর কথা সবাই জানেন। নতুন করে বলার শুধু এটুকু আছে- দেশের কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ব্যভিচারী-ব্যভিচারিনীদের জন্য রিকশায় ব্যভিচারের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। আজ ৯ তারিখ থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত। কিয়ামতের একটা আলামত হলো- যিনা ব্যভিচার প্রকাশ্যে হওয়া।
৪. এয়ারটেল:
"ভালোবাসার টানে পাশে আনে" শ্লোগান দিয়ে এরাই ফ্রি-মিক্সিংকে ডালভাত করে দিয়েছে। লজ্জাকে করে দিয়েছে তাচ্ছিল্যের বস্তু। অথচ যার ঈমান আছে সে লজ্জাশীল স্বভাবতই। লজ্জা প্রাকৃতিক। নির্লজ্জতা বিকৃতির।
৫. প্রাণ-আরএফএল:
ক্লোজআপের সঙ্গে এদের প্রতিযোগিতা যেনো। এরা এখন অনেকগুলো পণ্যের বিজ্ঞাপনে চাইছে ব্যভিচারকে উস্কে দিতে।
.
সময় এখন প্রতিরোধের। সময় এখন এর লাগাম টেনে ধরার। নইলে আল্লাহর আযাবের অপেক্ষা করতে হবে সবার। নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক। আমরা যে যেখান থেকে যা করতে পারি, আমাদের তাই করা উচিত বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে বাঁচাতে। 
.
করণীয়:
১. আপনার মসজিদের খতিব সাহেবকে অনুরোধ করুন আজ জুমু'আর বয়ানটা যাতে এ সংক্রান্ত হয়। দরকার হলে বোঝান।
২. যার যার জায়গা থেকে দাওয়াহ-নসীহাহ দিন, সতর্ক করুন। বোঝান।
৩. প্রশাসনকে খুব ভালো করে বোঝান। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পারলে বোঝান। অভিভাবকদের বোঝান যে এর ফল কী পেতে যাচ্ছি আমরা।
৪. নিজের আইডি, গ্রুপ, পেইজ থেকে শুরু করে সর্বত্র প্রতিবাদ করুন।
৫. সাস্টেইনেবল প্ল্যান করুন। ভাবুন কী কী করা যায়। তবে খেয়াল রাখতে হবে তা যাতে হিতে বিপরীত না হয়।
৬. দু'আ করুন। আল্লাহর কাছে সাহায্য চান। দু'আ হচ্ছে মু'মিনের অস্ত্র।
.
যে ভাইবোনেরা প্রেম (মূলত যিনার একরূপ) নামক মিঠে আলাপে মন গলিয়ে বসে আছেন তাদের বলছি-
না, আপনার জীবন বলে আপনি যাচ্ছেতাই করতে পারেন না। আপনার দশ তলা থেকে লাফ দিতে গেলে এগিয়ে যাও বলা লোকেরা আপনার শত্রু। গালে চড় দিয়ে ফিরিয়ে আনারা আপনার বাবা-মা-শুভাকাঙ্ক্ষী। আজ না বুঝলেও কাল যখন বুঝবেন তখন ক্ষতি হয়ে যাবে অনেক বেশি। ইসলামে প্রেম আছে- তবে তা বিয়ের মাধ্যমে হালাল উপায়ে। বিয়ের আগে নয়।
#Notourculture #Boycottcloseup
#HujurHoye পেইজ থেকে সংগৃহীত

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী