বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

সবচেয়ে ভাল মানুষ কে?

আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে বলা হল, সবচেয়ে ভাল মানুষ কে? তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক হিংসা-বিদ্বেষ মুক্ত অন্তরের অধিকারী এবং সত্য কথার অধিকারী ব্যক্তি সবচেয়ে উত্তম মানুষ’। ছাহাবীগণ বললেন, আমরা সত্য কথার অধিকারী জানি। কিন্তু হিংসা-বিদ্বেষ মুক্ত অন্তর কি জিনিস তা জানি না। তিনি বললেন, যে ব্যক্তি স্বচ্ছ ও পরহেযগার। যার মধ্যে (১) পাপ নেই, পাপ হলেই ক্ষমা চায় (২) সীমালংঘন নেই (৩) খিয়ানত নেই (৪) হিংসা নেই (ইবনু মাজাহ হা/৪২১৬)।

মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

চান্দগাঁও এর ইয়াং স্পোর্টিং ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত ক্রিকেট লীগের ফাইনাল খেলা সম্পন্ন

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃ ইয়াং স্পোর্টিং ক্লাব (চান্দগাঁও) কর্তৃক আয়োজিত ক্রিকেট লীগের ফাইনাল খেলা সম্পন্ন

উক্ত ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মেহেদি বাগ ন্যাশনাল হাসফাতালের ডাইরেকটর বিশিষ্ট সমাজ সেবক, ক্রিয়াবিদ, বিশিষ্ট চিকিৎসক, জনাব ডা.মোঃ আবুনাছের সাহেব।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পেকুয়া কলেজের সম্মানিত শিক্ষক, চট্রগ্রাম বিভাব স্কাউট লিডার, হক মার্কেটের প্রধান নির্বাচন কমিশনার, জনাব মোঃ ড.জাকির হাওলাদার সাহেব।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের সাবেক ল্যাকচারার, বিশিষ্ট সমাজ সেবক, ক্রিয়াবিদ, জনাব, মোঃ এম এ আব্দুল কাদের পাটোয়ারি সাহেব।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন হক মার্কেটের স্বনামধন্য ব্যাবসায়ী ইন্জিনিয়ার,জনাব হাজি মোঃ নাছির উদ্দিন সাহেব।
এসময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব ডা.আবুনাছের সাহেব বলেন, ক্রিয়া মানুষের শারিরীক ও মানুষিক শক্তি যোগায়, সুস্থ সংস্কৃতি বিকাশে ক্রিয়ার কোন বিকল্প নেই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনাব হাজি নাছির সাহেব বলেন, খেলোয়াড় তৈরির জন্য ক্রিয়াবিদ দের এগিয়ে আসতে হবে।
এসময় উপস্থিতির মধ্যে আরো বক্তব্যে রাখেন, জনাব এম এ আব্দুল কাদের পাটোয়ারী সাহেব, ক্রিয়াবিদ ড.জাকির হোসাইন হাওলাদার সাহেব।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, খেলার আহব্বায়ক মোঃ নাঈম উদ্দিন, সহকারী আহব্বায়ক মোঃ আরিফুল ইসলাম, মোঃ খলিলুর রহমান,এ গ্রুপের অধিনায়ক মোঃ মহিউদ্দিন, বি গ্রুপের অধিনায়ক মোঃ কায়েস।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মোঃ মোবারক হোসেন।

মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২১

আয়াতুল কুরসি পড়ার ফজিলত

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃ ১. আয়াতুল কুরসি পড়ে বাড়ি থেকে বের হলে ৭০  হাজার ফেরেস্তা চারদিকে থেকে তাকে রক্ষা করে।

২. আয়াতুল করসি পড়ে বাড়ি ঢুকলে বাড়িতে দারিদ্রতা প্রবেশ করতে পারে না।

৩. আয়াতুল কুরসি পড়ে ঘুমালে সারারাত একজন ফেরেস্তা তাকে পাহাড়া দেন।

৪. ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়লে তার আর বেহেস্তের মাঝে একটি জিনিসেরই দূরত্ব থাকে; তাহলো মৃত্যু এবং মৃত্যু আযাব এতই হালকা হয়; যেন একটে পিপড়ার কামরের সমান।

৫. অজুুর পর আয়াতুল কুরসি পড়লে আল্লাহর নিকট ৭০ গুন মর্যাদা বৃদ্ধি লাভ করে।

শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২১

বিয়েকে সহজ করুন; যিনা মুক্ত সমাজ গড়ুন

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ

একটি ফিতনাময় বিয়ের সূচিপত্রঃ

১) গায়ে হলুদের নাম ফ্রীমিক্সিং বেপর্দা!
২) মেহেদী নাইটের নামে বিধর্মীদের ফলো করা!
৩) সংগীতের অনুষ্ঠান ফটোশুট লাইটিং করা!
৪) অতিরিক্ত দেনমোহর ধার্য করা, যৌতুক প্রদান করা।

একটি সুন্নতি বিয়ের সূচিপত্রঃ

১) শুক্রবারে মসজিদে বিয়ে পড়া !
২)ছেলে মেয়ে আলাদা পর্দার সহীত বিয়ের ব্যবস্থা করা
৩) কম দেনমোহরে এবং ছেলের বাড়িতে ওয়ালিমা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা!
৪) যৌতুক আদান প্রদান না করা।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে বিয়েতে খরচ কম এবং সহজ ; সেই বিয়ে বেশি বরকতময়। ( বায়হাকী, হাদিস নং ২৯৬৩)।

বুধবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২১

"তোমরা উম্মে আইমানের যত্ন নিবে, তিনি আমার মায়ের মতো”

 আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃ আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর পিতা আব্দুল্লাহ একদিন মক্কার বাজারে গিয়েছিলেন কিছু কেনাকাটা করার জন্য। এক জায়গায় তিনি দেখলেন একজন লোক কিছু দাসদাসী নিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে বিক্রি করছে। আব্দুল্লাহ দেখলেন সেখানে দাঁড়িয়ে আছে একটা ছোট নয় বছরের কালো আফ্রিকান আবিসিনিয়ার মেয়ে। মেয়েটাকে দেখে আব্দুল্লাহর অনেক মায়া হলো, একটু রুগ্ন হালকা-পাতলা কিন্তু কেমন মায়াবী ও অসহায় দৃষ্টি দিয়ে তাঁকিয়ে আছে। তিনি ভাবলেন ঘরে আমেনা একা থাকেন, মেয়েটা পাশে থাকলে তার একজন সঙ্গী হবে, এই ভেবে তিনি মেয়েটাকে কিনে নিলেন।

মেয়েটিকে আব্দুল্লাহ ও আমেনা অনেক ভালোবাসতেন, স্নেহ করতেন এবং তাঁরা লক্ষ্য করলেন যে, তাঁদের সংসারে আগের চেয়েও বেশি রহমত ও বরকত চলে এসেছে। এই কারণে আব্দুল্লাহ ও আমেনা মেয়েটিকে আদর করে নাম দিলেন 'বারাকাহ'।
এই গল্প বারাকার গল্প।
একদিন আব্দুল্লাহ ব্যবসার কারণে সিরিয়া রওয়ানা দিলেন। আমেনার সাথে সেটাই ছিল উনার শেষ বিদায়।
উনার যাত্রার দু'এক দিন পর আমেনা একরাতে স্বপ্নে দেখলেন আকাশের একটা তারা যেন খুব আলো করে তাঁর কোলে এসে পড়লো। পরদিন ভোরে তিনি বারাকাকে এই স্বপ্নের কথা বললেন। উত্তরে বারাকা মৃদু হেসে বললেন, "আমার মন বলছে আপনার একটা সুন্দর সন্তানের জন্ম হবে"।
আমেনা তখনও জানতেন না তিনি গর্ভধারণ করেছেন কিন্তু কিছুদিন পর তিনি বুঝতে পারলেন বারাকার ধারণাই সত্য।
আব্দুল্লাহ আর ফিরে আসেননি, সিরিয়ার পথেই মৃত্যুবরণ করেছেন! আমেনার সেই বিরহ ও কষ্টের সময়ে বারাকা ছিলেন একমাত্র সবচেয়ে কাছের সঙ্গী।
একসময় আমেনার অপেক্ষার শেষ হয় এবং তিনি জন্ম দিলেন আমাদের প্রিয় নবীকে।
শেখ ওমর সুলাইমানের বর্ণনা অনুযায়ী, সর্বপ্রথম আমাদের নবীকে দেখার ও স্পর্শ করার সৌভাগ্য হয়েছিল যে মানুষটির সে হলো এই আফ্রিকান ক্রিতদাসী ছোট কালো মেয়েটি। আমাদের নবীকে নিজ হাতে আমেনার কোলে তুলে দিয়েছিলেন, আনন্দে ও খুশিতে বলেছিলেন, "আমি কল্পনায় ভেবেছিলাম সে হবে চাঁদের মত কিন্তু এখন দেখছি, সে যে চাঁদের চেয়েও সুন্দর"।
এই সেই বারাকা। নবীজির জন্মের সময় উনার বয়স ছিল তেরো বছর। ছোটবেলায় শিশু নবীকে আমেনার সাথে যত্ন নিয়েছেন, গোসল দিয়েছেন, খাওয়াতে সাহায্য করেছেন এবং আদর করে ঘুম পাড়িয়েছেন। মৃত্যুর সময় আমেনা বারাকার হাত ধরে অনুরোধ করেছিলেন তিনি যেন তাঁর সন্তানকে দেখে শুনে রাখেন। বারাকা তাই করেছিলেন। বাবা-মা দুজনকেই হারিয়ে ইয়াতিম নবী চলে আসলেন দাদা আবদুল মোত্তালিবের ঘরে। উত্তরাধিকার সূত্রে নবী হলেন বারাকার নতুন মনিব। কিন্তু তিনি একদিন বারাকাকে মুক্ত করে দিলেন, বললেন, "আপনি যেখানে ইচ্ছে চলে যেতে পারেন, আপনি স্বাধীন ও মুক্ত।" সেই শিশুকাল থেকেই নবী এই ক্রীতদাস প্রথাকে দূর করতে চেয়েছিলেন। বারাকা নবীকে ছেড়ে যেতে রাজি হলেন না, রয়ে গেলেন। মায়ের ছায়া হয়ে পাশে থেকে গেলেন। এমনকি নবীজির দাদা উনাকে বিয়ে দেয়ার জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু তিনি কিছুতেই রাজি হলেন না। উনার একই কথা, "আমি আমেনাকে কথা দিয়েছি, আমি কোথাও যাবো না।"
তারপর একদিন খাদিজা (রাঃ) এর সাথে নবীজির বিয়ে হলো। বিয়ের দিন রাসূল (সাঃ) খাদিজা (রাঃ) এর সাথে বারাকাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন। তিনি বললেন, "উনি হলেন আমার মায়ের পর আরেক মা।" বিয়ের পর রাসূল (সাঃ) একদিন বারাকাকে ডেকে বললেন, "উম্মি, আমাকে দেখাশোনা করার জন্য এখন খাদিজা আছেন, আপনাকে এখন বিয়ে করতেই হবে" (নবীজি উনাকে উম্মি ডাকতেন, নাম ধরে ডাকতেন না)। তারপর রাসূল (সাঃ) ও খাদিজা মিলে উনাকে উবাইদ ইবনে জায়েদের সাথে বিয়ে দিয়ে দিলেন। কিছুদিন পর বারাকার নিজের একটা ছেলে হলো, নাম আইমান। এরপর থেকে বারাকার নতুন নাম হয়ে গেলো "উম্মে আইমান" একদিন বারাকার স্বামী উবাইদ মৃত্যু বরণ করেন, নবীজি গিয়ে আইমান ও বারাকাকে সাথে করে নিজের বাড়ি নিয়ে আসেন এবং সেখানেই থাকতে দিলেন।
কিছুদিন যাওয়ার পর নবীজি একদিন বেশ কয়েকজন সাহাবীকে ডেকে বললেন, "আমি একজন নারীকে জানি, যার কোন সম্পদ নেই, বয়স্ক এবং সাথে একটা ইয়াতিম সন্তান আছে কিন্তু তিনি জান্নাতি, তোমাদের মধ্যে কেউ কি একজন জান্নাতি নারীকে বিয়ে করতে চাও?" এইকথা শোনে জায়েদ ইবনে হারিসা (রাঃ) নবীজির কাছে এসে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন। নবীজি উম্মে আইমানের সাথে কথা বলে বিয়ের আয়োজন করলেন।
বিয়ের দিন রাসূল (সাঃ) জায়েদকে বুকে জড়িয়ে আনন্দে ও ভালোবাসায়, ভেজা চোখে, কান্না জড়িত কণ্ঠে বললেন, "তুমি কাকে বিয়ে করেছো, জানো জায়েদ?"
-হ্যাঁ, উম্মে আইমানকে, জায়েদের উত্তর। নবীজি বললেন, "না, তুমি বিয়ে করেছো, আমার মা কে"।
সাহাবীরা বলতেন, রাসূল (সাঃ) কে খাওয়া নিয়ে কখনো জোর করা যেত না। উনি সেটা পছন্দ করতেন না। কিন্তু উম্মে আইমান একমাত্র নারী, যিনি রাসূল (সাঃ) কে খাবার দিয়ে "খাও".." খাও".. বলে তাড়া দিতেন, আর খাওয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত পাশে বসে থাকতেন। নবীজি মৃদু হেসে, চুপ চাপ খেয়ে নিতেন।
রাসূল (সাঃ) উনার দুধ মাতা হালিমাকে দেখলে যেমন করে নিজের গায়ের চাদর খুলে বিছিয়ে তার উপর হালিমাকে বসতে দিতেন ঠিক তেমনি মদিনায় হিজরতের পর দীর্ঘ যাত্রা শেষে উম্মে আইমান যখন ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন নবীজি উনার গায়ের চাদরের একটা অংশ পানিতে ভিজিয়ে, উম্মে আইমানের মুখের ঘাম ও ধুলোবালি নিজ হাতে মুছে দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, "উম্মি, জান্নাতে আপনার এইরকম কোন কষ্ট হবে না"।
নবীজি মৃত্যুর আগে সাহাবীদের অনেক কিছুই বলে গিয়েছিলেন। সেইসব কথার মধ্যে একটা ছিল, উম্মে আইমানের কথা। বলেছেন, "তোমরা উম্মে আইমানের যত্ন নিবে, তিনি আমার মায়ের মতো। তিনিই একমাত্র নারী, যিনি আমাকে জন্ম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখেছেন, আমার পরিবারের একমাত্র সদস্য, যিনি সারাজীবন আমার পাশে ছিলেন।"
সাহাবীরা সেই কথা রেখেছিলেন। গায়ের রং নয়, একসময়ের কোন ক্রিতদাসী নয়, তাঁর পরিচয় তিনি নবীর আরেক মা। মায়ের মতোই তাঁরা এই বৃদ্ধা নারীকে ভালোবেসে আগলে রেখেছিলেন।
সূত্র: ইবনে হিশাম ও শেখ ওমর সুলাইমান। "Woman who cared forever." সিরাতে খাতামুল আম্বিয়া, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া।
(সংগৃহীত)

*মেয়েদের সাদাস্রাব নিয়ে কিছু গুরুত্বপুর্ন কথা*

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃ আসসালামু আলাইকুম আজকে আমি আপনাদের সাথে মেয়েদের খুব কমন একটি সমস্যা whistish veginal discharges বা সাদাস্রাব নিয়ে খুব গুরুত্ব পূর্ন কিছু কথা বলব, আজকের এই পোষ্ট থেকে জানতে পারবেন, কখন অতিরিক্ত সাদাস্রাব বা লিউকোরিয়া কে আমরা স্বাভাবিক বলব কখন অস্বাভাবিক বলব,অথাৎ কখন আপনি চিকিৎসকের শরানাপন্ন হবেন এবং বাসায় কি কি নিয়মে বা উপদেশ মেনে চললে সহজে এর থেক পরিত্রাণ লাভ করতে পারবেন

এই সাদাস্রাব কে সাধরনত আমরা লিউকোরিয়া বলে থাকি,প্রথমে আমরা জেনে নেই এই সাদা স্রাব জিনিসটা আসলে কি? এটি আমাদের যৌনাঙ্গের কিছু গ্রন্থি বা গ্ল্যান্ডের নিঃসৃত তরল পদার্থ বা সিক্রেশন, যা মেয়েদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। এই সিক্রেশন সাধারণত বর্ণহীন বা ইষৎ সাদা গন্ধহীন এবং পিচ্ছিল হয়ে থাকে যা স্বাভাবিক নিয়মে মেয়েদের মাসিকের রাস্তা কে বাহিরের ফরেন বডি বা ইনজুরি থেকে নিরাপদ রাখে। আসুন এখন আমরা জেনে নিই কীভাবে এই সাদা স্রাব কে আমরা স্বাভাবিক বা মেয়েদের কখন কখন এই সাদা স্রাব স্বাভাবিকভাবেই বেশি হতে পারে? একটি মেয়ে বাচ্চার জন্মের পরপরই প্রথম দশদিন অতিরিক্ত সাদা স্রাব হতে পারে।এছাড়া একটি মেয়ে যখন বয়সন্ধিকালে আসে তখন মাসিক শুরু হওয়ার সময় অতিরিক্ত সাদাস্রাব হতে পারে। মাসিক শুরু হওয়ার ঠিক আগে এবং মাসিক ভাল হয়ে যাওয়ার ইমিডিয়েড পরে অতিরিক্ত সাদা স্রাব হতে পারে।মেনস্ট্রুয়াল সারকেল এর মাঝামাঝি সময়ে যখন ওভূলেশন হয় অর্থাৎ যখন ডিমফুটে তখন অতিরিক্ত সাদাস্রাব হতে পারে।এছাড়া প্রেগনেন্সির সময় অতিরিক্ত সাদা স্রাব হতে পারে।উপরের এই কারণগুলোর যেকোনো একটি যদি থাকে৷ তাহলে তার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই
এখন আমরা জেনে নেই সাদাস্রাব এর সাথে কি কি লক্ষণ থাকলে আমরা তাকে অস্বাভাবিক বলব।
১। সাদা স্রাবের সাথে যদি দুর্গন্ধ থাকে
২।মাসিকের রাস্তা যদি চুলকানো থাকে।
৩।যৌনাঙ্গে যদি অসস্তিবোধ হয়।
৪।তলপেটে যদি ব্যাথা হয়।
৫।সহবাসের সময় যদি জালাপোড়া থাকে।
৬।প্রস্রাবের সময় যদি জ্বালাপোড়া থাকে।
৭।সাদা স্রাবের সাথে যদি ব্লিডিং বা রক্ত মিশ্রিত থাকে।
৮।সাদাস্রাব এর রং পরিবর্তন হয় যদি সাদা বা সবুজাভাব হয়ে যায়।
উপরের আটটি লক্ষণ এর যেকোনো একটি লক্ষণ থাকলেও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
সাধারনত ব্যাকটেরিয়া ফাংগাল, প্রোটোজোয়াল ইনফেকশন এবং কোন কোন ক্ষেত্রে জরায়ু ক্যানসার বা জরায়ু মুখে ক্যানসারের জন্য সাদাস্রাব হতে পারে।
এখন আমরা জেনে নিই বাসায় কি কি উপদেশ মেনে চললে এথেকে সহজেই পরিত্রান লাভ করা সম্ভব।
*নিয়মিত পার্সোনাল হাইজিন বা পরিষ্কার পরিছন্নতা মেইনটেইন করতে হবে।
* পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য কমক্ষার যুক্ত বা মৃদু সাবান ব্যাবহার করতে হবে।
লিকুইড সুপ গোলো সাধারণত মৃদুক্ষার যুক্ত হয়ে থাকে।
*সব সময় ঢিলেঢালা অন্তবাস পড়তে হব।
প্রতিদিন অন্তবাস এবং কাপড় প্রতিদিন পরিস্কার করে ধুয়ে ফপলতে হবে।
*মাসিকের সময় স্যানেটারী প্যাড ব্যাবহার করতে হবে।
*কাপড় ব্যাবহার করা যাবে না।
এবং একটি নিদিষ্ট সময় পর পর স্যানেটারী প্যাড পরিবর্তন করতে হবে।
*মাসিকের রাস্তা পরিস্কার করার জন্য হেক্সিসল সেভলন ডেটল জাতীয় ক্ষতিকর তরল ব্যাবহার করা যাবে না।
*প্রতিবার সহবাসের পর এবং প্রসাবের পর জায়গাটি পরিস্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
আমাদের সমাজে মেয়েদের সাদাস্রাব নিয়ে কিছু প্রচলিত ভুল ধারনাঃ
অনেকেই মনে করে সাদাস্রাব থাকলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়।আবার অনেকেই মনে করে সাদাস্রাব হলে শরীর শুকুয়ে যায়
অনেকই আমাদের কে বলেন ভিটামিন খেলে কি সাদাস্রাব সমস্যা সমাধান হয়ে যায়।
আমি বলব এর কোন বৈজ্ঞানিক বিত্তি নেই।
পরিশেষে আমি বলতে চাই আপনার যদি সাদাস্রাব সমস্যা থাকে তাহলে চিন্তিত না হয়ে খেয়াল করবেন
আপনার অস্বাভাবিক সাদাস্রাব লক্ষন আছে কি না?
যদি না থাকে তাহলে এ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোন কারন নেই আর অস্বাভাবিক হলে চিকৎসকের শরানাপন্ন হোন।
চিকিৎসক মোঃ শাহীন মিয়া
ডি,ইউ, এম,এস (বি ইউ এ বি)ঢাকা
ডি, এইচ, এম, এস( ইন কোর্স)
ডিপ্লমা- ইন- প্যারামেডিকস্
জেনারেল ফিজিসিয়ান অফ অল্টারনেটিভ মেডিসিন।
চেম্বারঃ
জামতলী বাজার জামালপুর।

জন্মদিনের শুভেচ্ছা —মল্লিক মাহমুদ .

 

জন্মদিনের ভালোবাসা মাখা

শুভেচ্ছা নিও প্রিয়,
সারাটি জীবন দ্বীনি ময়দানে
হয়ে থেকো সক্রিয়।
তুমি ছিলে এই আন্দোলনের
সংগ্রামী রাহাবার,
হৃদয়ের মাঠে ফাল্গুনী ফুল
হাসে তাই অনিবার।
স্নেহ-প্রেম দিয়ে আগলে রেখেছো
শত শত কর্মীকে,
আল কোরানের দৃপ্ত প্রদীপ
জ্বালিয়েছো দিকে দিকে।
ডায়েরি-রিপোর্ট কেনার জন্য
তোমার অফিসে গেলে,
হাসি ভরা মুখে কাছে টেনে নিতে
ইয়া বড় হাত মেলে।
পেটের ব্যাপারে কথা বললেই
দিয়ে দিতে পিঠে চড়,
বলতে,"এখন কাজ সেরে নিয়ে
বাড়ির রাস্তা ধর।
তোদের আমরা প্রশ্রয় দিয়ে
মাথায় নিয়েছি তুলে,
সংগঠনের নিয়মকানুন
সব গেলি তাই ভুলে।
কী কী নিবি সব দ্রুত ভাঁজ কর
কিছুই হবে না বাকি,
বাকি বাকি করে সবাই আমাকে
দিয়ে দেয় খালি ফাঁকি"।
সোনাঝরা এই খুনসুটিগুলো
ভুলবো না কোনোদিন,
সোনালী হরফে স্মৃতির খাতাতে
রবে চির অমলিন।
আজকের দিনে মন থেকে শুধু
এই দোয়া করে যাই,
আমরণ যেন আমরা তোমাকে
খুব কাছাকাছি পাই।
.
১৯।০১।২১

রবিবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২১

একটি নিউজ থেকে আঁতকে উঠলাম— গত এক বছরে তিন হাজার কোটি টাকার গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেয়েছে বাঙালি

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ একটি নিউজ থেকে আঁতকে উঠলাম— গত এক বছরে তিন হাজার কোটি টাকার গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেয়েছে বাঙালি!

এই ওষুধ বাঙালি সকালে খায়, রাতে খায়, খালি পেটে খায়, ভরে পেটে খায়, বিয়ের দাওয়াতে খায়, বাসায় খাইলেও খায়, পেট ব্যাথা করলে খায়, পেটে গ্যাস হলে খায়, পেট জ্বললে খায়, বুক জ্বললে খায়, পায়খানা না হলে খায়— এভাবে লিখতে লিখতে অনন্তকাল লিখেও হয়ত শেষ করা যাবে না! বলতে পারি, এটা খাওয়া নেশা হয়ে গেছে, ইয়াবার চেয়েও ভয়ংকর নেশা!

আমি নিজে বাসায় সবাইকে বকাবকি করেও এটা খাওয়া বন্ধ করতে পারি না। এটা খায়তে না করলে মনে করে আমার ডাক্তারি পড়া বৃথা, আমি কিচ্ছু জানি না।

এই ওষুধগুলোর আসল কাজ হলো, আপনার পাকস্থলীর অ্যাসিডের ক্ষরণ কমানো, যা আপনার খাবার পরিপাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তাররা আলসার এবং ‌অন্যান্য রোগে সুনির্দিষ্ট কারণে এই ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন।

আপনি নিজ থেকে খেতে থাকলে আপনার অ্যাসিডের ক্ষরণ কমতে থাকবে, কমতে থাকবে হজম শক্তি। একসময় দেখবেন আপনার খাবার হজম হচ্ছেই না! এই ওষুধগুলোর সাইড ইফেক্টও মাশাআল্লাহ অনেক! যেমন, মাথাব্যথা, ডায়েরিয়া, পেটব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটফাঁপা, জ্বর, বমি, ফুসকুড়ি— এসব সাধারণ সাইড ইফেক্ট। এখন যেগুলোর কথা বলবো সেগুলো একটু উন্নত পর্যায়ের, দেখলেই বুঝতে পারবেন! যেমন: কোলনে ইনফেকশন, হাড়ক্ষয়, ভিটামিনের অভাব, হার্টঅ্যাটাক, কিডনির কার্যকারিতা হ্রাস, অগ্নাশয়ের প্রদাহ, যকৃতের কার্যকারিতা হ্রাস ইত্যাদি!

এবার নিজ দায়িত্বে মুড়ির মত গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খান। মহান জাতি আমরা। ‌নেক কিউটও! সর্বরোগের মহৌষধ পিপিআই জিন্দাবাদ! ফার্মাসিউটিক্যালস ব্যবসা জিন্দাবাদ!
--Collected post

শনিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২১

একজন সফল উদ্যোক্তার গল্প

আমদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্ক  রাত তখন অনেক গভীর। পুরো শহর যেন নিঝুম এক পরিবেশে ছেয়ে গেছে। অনেক দুর থেকে একটি পেঁচার শব্দ ভেসে আসছে।


এমন এক নিস্তব্দ পরিবেশে বিছানায় গা এলিয়ে দেওয়া এক তরুণ ভাবছে তার পরিকল্পনার কথা। একটি স্বপ্নের কথা। বারবার নানান জায়গা থেকে প্রত্যাখাত এই তরুণের মধ্যে কোন হতাশা নেই। সে যেন এক অসীম আত্নবিশ্বাস নিয়ে বুকভরা স্বপ্ন বুনছে।

চীনের ঝি-জিয়াং প্রদেশে জন্ম নেওয়া এই তরুণটির মা-বাবা ছিলেন পেশাদার গল্পবলিয়ে ও সংগীতশিল্পী। অর্থনৈতিক দুর্দশা নিয়েও মা বাবা ছেলেকে ভর্তি করিয়েছিলেন স্কুলে। কিন্তু স্কুলে ভর্তি করালে কি হবে, ছেলের যে গৎবাধা পড়াশোনায় মন নেই। প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া থেকেও সে তখন ইংরেজী শেখার নেশায় বুঁদ। টানা ৯ বছর ধরে প্রায় ৭০ মাইল পথ পাড়ি দিয়ে পর্যটকদের এলাকা ঘুরিয়ে দেখাতেন শুধু ইংরেজী শিখবেন বলে। উদ্দেশ্য একটাই, তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা পরিবর্তন করা।

ওই বয়সেই সে তিনি বুঝে গিয়েছিলেন, অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য ইংরেজী শেখার বিকল্প নেই। বলছি জায়ান্ট ই-কমার্স কোম্পানী আলীবাবার রুপকার জ্যাক মা’র কথা। জ্যাক’মার এই নামটি অবশ্য জন্মগত ছিলো না। পারিবারিক সুত্রে পাওয়া নাম মা ইউন। পর্যটকদের সাথে কাজ করার সুবাধে একজন পর্যটকের সাথে বন্ধুত্ব হয়ে যায় তার। তিনিই তাকে জ্যাক মা নামটি দেন। কারণ চায়না এই নামটি ইংরেজদের জন্য উচ্চারণ করা কঠিন ছিলো।

আলীবাবার আগে জ্যাক মা পুরোদস্তুর একজন ব্যর্থ মানুষ ছিলেন। ব্যর্থতার চরম শিখরে এতোটাই অবস্থান করছিলেন যে কলেজে পাশ করতে জ্যাক মা’র প্রায় ৪ বার পরীক্ষা দিতে হয়েছিলো। ৪বার ফেল করার পর যখন পাশ করে কর্মজীবনে ঢোকা জ্যাক মা ব্যর্থতা যেন হাড়ে হাড়ে টের পেলেন। টানা ৩০টি চাকরীর আবেদন করে প্রত্যেকটিতেই প্রত্যাখাত হলেন। আমেরিকান এক টকশোতে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে জ্যাক মা বলেছিলেন, আমি যখন পুলিশের জন্য চাকরী করলাম তখন ১০ জনের মধ্যে ৯ জনের চাকরী হলো কিন্তু আমাকে বলা হলো ‘তুমি উপযুক্ত নও’।

আমার শহরে যখন কেএফসি আসলো আমরা ২৪ তখন আবেদন করেছিলাম। ২৩ জনের চাকরী হলো, বাদ পড়লাম শুধু আমি। হার্ভাডে আমি ১০বার আবেদন করেও প্রত্যাখাত হয়েছিলাম তখন মনে হয়েছিলো ‘হয়তো একদিন আমি হার্ভাডে লেকচার দিব’।

ই-কমার্স বিজনেস শুরু করার আগে জ্যাক মা তার ২৪ বন্ধুকে বাসায় ডাকেন আইডিয়া শেয়ার করার জন্য কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত ২৪ জনের ২৩জনই তার আইডিয়াকে তাচ্ছিল্যের সাথে উড়িয়ে দেন। চার চারবার পরীক্ষায় ফেল, ৩০টিরও বেশী চাকরীতে প্রত্যাখাত সাথে বন্ধুদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য- এরপরও কিন্তু তিনি দমে যাননি। তিনি কম্পিউটার চালাতেও জানতেন না, ইন্টারনেট কি জিনিস তা ভালোভাবে বুঝতেন না কিন্তু তিনি এটা বুঝেছিলেন যে এই জিনিসই একদিন পৃথিবীকে নতুন করে চলতে শেখাবে।

একটি সাক্ষাৎকারে জ্যাক মা বলছিলেন, প্রথম যেদিন আমরা ওয়েবসাইট শুরু করি তখন আমার বেশ কিছু বন্ধুবান্ধব এবং টিভিসাংবাদিককে দাওয়াত করেছিলাম। খুবই ধীরগতির ইন্টারনেটে ওয়েবসাইটটির অর্ধেক লোড নিতেই প্রায় ৩ ঘন্টা সময় নিয়েছিলো। ওই সময়টায় আমরা খাওয়াদাওয়া ও গল্প করেই কাটিয়েছিলাম কিন্তু আমি খুব গর্বিত ছিলাম। কারণ আমি ওদের কাছে এটা প্রমাণ করতে পেরেছিলাম যে ইন্টারনেট সত্যিই কাজ করে।

আমরা সবাই আলীবাবা ও ৪০ চোরের কাহিনী জানি। ছোটবেলায় যখনও জ্যাক মা’র ব্যাপারে জানতাম না ঠিক তখনোও আমি বাংলাদেশের এক প্রত্যন্ত গ্রামে বসেও আলীবাবা ও তার চোরদের কাহিনী পড়েছিলাম। আলীবাবা নামটির নামকরণ করতে গিয়ে জ্যাক মা বলেন, ইন্টারনেট যেহেতু সারাবিশ্বে চলছে সেজন্য আমাদের ওয়েবসাইটের নামও এমন কিছু হওয়া উচিৎ যা সবাই খুব সহজে চিনবে ও জানবে।

সেই সময়ে সার্চ ইঞ্জিন ইয়াহু ছিলো সেরা একটি নাম- আমি এরকম একটি নাম খুঁজছিলাম। একদিন মনে হলো আলীবাবা নামটি ভালো হতে পারে।
সৌভাগ্যই বলতে হবে, চিন্তাটি মাথায় আসার পর তখন আমি এক হোটেলে খাবার খাচ্ছিলাম। ওয়েটার খাবার সার্ভ করতে এলে তাকে বললাম আলীবাবা চেনে কিনা। সে বললো চিনে। আমি বললাম কি? সে বললো- চিচিং ফাক। দারুণ ব্যাপার!

জ্যাক মা’র এসব উদ্যোগকে সেই সময়ে পাগলামো হিসেবে দেখা হচ্ছিলো। এমনকি একটি প্রত্রিকায় তো ‘ক্রেজি জ্যাক’ বা ‘পাগল জ্যাক’ হিসেবেও নামকরণ করেছিলো। এই পাগল জ্যাকই তার সফল উদ্যোগের জন্য মাত্র একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট দিয়েই বর্তমানে প্রায় ৪০ বিলিয়ন সম্পদের মালিক।

বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে তরুণ ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের জন্য জ্যাক মা সবচেয়ে বড় একটি উপমা হতে পারে। বারবার ব্যর্থতায় গ্রাস করা মানুষটিই পৃথীবীর সবচেয়ে কোম্পানীগুলোর একটি তৈরী করেছিলেন। হার্ভাডে প্রায় ১০ বার প্রত্যাখাত হয়ে নিজের মাকে বলেছিলেন ‘ওখানে পড়ার সুযোগ হয়তো পাইনি কিন্তু একদিন আমি ওখানে লেকচার দিব।’ হয়েছিলোও তাই।

ই-কমার্স ওয়েবসাইট ডেভলপমেন্ট নিয়ে কাজ করার সময় আমরা আমাদের ক্লায়েন্টদের জ্যাক মাকে অনুসরণ করতে বলি। কারণ হতাশ হয়ে বন্ধ করে দিলেই একটি সুদূরপ্রসারী ভবিষ্যতও বন্ধ হয়ে যায়। স্বপ্ন দেখার সময় ব্যর্থ হলে অন্যরা যখন সাহসই হারিয়ে ফেলেন তখন জ্যাক মা ঘুরে দাড়িয়েছেন বারবার। আর এখানেই তার সাথে অন্যদের পার্থক্য। তাই স্বপ্ন দেখুন, লেগে থাকুন। আপনার স্বপ্নের সাথে লেগে থাকলে সফলতা আসবেই।

আপনার অনলাইনের বিজেনেসের যেকোন ধরনের কনসাল্টেন্সি পেতে জানাতে পারেন, বিনা পারিশ্রমিকে সঠিক গাইডলাইন ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট সবসময়ই আপনার পাশে থাকবে।

একজন নুরুল ইসলাম সিকদার ও একটি চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ ১৯৮৬সাল। আমি তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র। কী একটা কাজে আমার জরুরি ভিত্তিতে নাগরিকত্ব সনদ প্রয়োজন পড়েছিল। বদরখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন এম হোছাইন আহমদ। গ্রামে এসে পরদিন সকালে তাঁর সাথে দেখা করতে গেলাম। বলাবাহুল্য, তখনকার সময়ে এক দিনে বদরখালী-চট্টগ্রাম আসা-যাওয়া করা যেত না। বদরখালী থেকে জীপে/চাঁদের গাড়িতে বাটাখালীর পশ্চিম পাড়। নৌকায় নদী পার হয়ে পূর্ব পাড়। সেখান থেকে রিক্সায় চিরিংগা সোসাইটি। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর কাঠবডির বাসে চড়ে চট্টগ্রাম। চিরিংগা থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছতে সময় লাগত প্রায় পাঁচ ঘণ্টা। বদরখালী থেকে বাটাখালী জীপ মালিক সমিতির নির্ধারিত সময় ছিল দেড় ঘণ্টা। জীপগুলি আবার মাঝেমধ্যে পথে বিকল হয়ে যেত।

বদরখালী বাজারের উত্তর-পশ্চিম কর্নারে চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে দেখা হয়ে গেল। সালাম করে চট্টগ্রাম থেকে আমার আসার কারণ জানালাম। তিনি বললেন- চল অফিসে যাই।
ওয়াপদা রোডে একটি সেলুন ছিল। একটু এগিয়ে তিনি সেভ করার জন্য সেলুনে ঢুকলেন আর আমি বাইরে দাঁড়িয়ে রইলাম। চেয়ারম্যান সাহেবের কাজ নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করতে নরসুন্দরের দীর্ঘ সময় লাগল। অতঃপর অফিসের দিকে যাত্রা শুরু। তখন ইউনিয়ন পরিষদের অফিস ছিল বাজারের দক্ষিণে বিআইডব্লিউটিএ ভবনের দ্বিতীয় তলায়। অফিসে প্রবেশ করে চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে বললেন- একটা দরখাস্ত লিখে দাও।
আমি বিনয়ের সাথে জানতে চাইলাম- চেয়ারম্যান সার্টিফিকেটের জন্য কি দরখাস্ত দিতে হবে?
এবার তিনি মুখে কিছু না বলে হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লেন।
হঠাৎ আমার ভেতরের এক অদৃশ্য শক্তি জেগে উঠল। বললাম- দরখাস্ত লিখে আমি পরে আসব। তারপর সালাম করে অফিস থেকে বের হয়ে গেলাম। আমি তখন অনার্স ফাইন্যাল ইয়ারের ছাত্র। অনার্স শব্দের অর্থ সম্মান। দরখাস্ত করে নাগরিকত্ব সনদ নেয়াটা আইন হোক কিংবা চেয়ারম্যানের তৈরি করা নিয়ম, আমি এটাকে নিজের জন্য সম্মানজনক মনে করিনি। পরে চট্টগ্রাম মহানগরীর একজন ওয়ার্ড কমিশনারের (বর্তমান পদবি কাউন্সিলর) কাছ থেকে দরখাস্ত ছাড়াই নাগরিকত্ব সনদ নিয়ে কাজ সেরেছিলাম।
১৯৯০সাল। নুরুল ইসলাম সিকদার তখন বদরখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। বদরখালী বাজারের পূর্ব পাশে দুলাল নামক কুতুবদিয়ার এক হিন্দু ভদ্রলোকের একটি লন্ড্রি ছিল। এক দিন বিকেলে লন্ড্রিতে সিকদার সাহেবকে বসা দেখে কাছে গিয়ে সালাম করলাম। তিনি জানতে চাইলেন কেমন আছি, দেশের কী অবস্থা ইত্যাদি। উল্লেখ্য, তখন এরশাদ বিরোধী তীব্র গণ আন্দোলন চলছে। কথা বলেত বলেত হঠাৎ প্রাক্তন চেয়ারম্যান এম হোছাইন আহমদের কথা মনে পড়ে গেল। সিকদার সাহেবকে বললাম- চাচা, আমার একটি নাগরিকত্ব সনদ দরকার।
তিনি আমাকে বসতে বলে একজন লোক ডেকে অফিসে পাঠালেন অফিস খোলা কি না এবং সচিব সাহেব অফিসে আছে কি না দেখতে। লোকটি এসে বলল- অফিস বন্ধ। ইউইনিয়ন পরিষদের সচিব ছিলেন আহমদ নামক বদরখালীর এক যুবক। আহমদ বাজারের কোথাও আছে কি না দেখার জন্য তাকে পুনরায় পাঠালেন। সে সময় বদরখালী বাজারের আয়তন ছিল বর্তমান আয়তনের বড়জোর দশ ভাগের এক ভাগ। লোকটি ফিরে এসে জানাল বাজারের কোথাও আহমদ নেই। তখন নুরুল ইসলাম সিকদার আমাকে বললেন- তুমি চলে যাও, দেখি কি করা যায়।
তখন মোবাইল ফোন নামক কোন যন্ত্রের অস্তিত্ব ছিল না। না হয় তাৎক্ষিণক একটা ব্যবস্থা তিনি করতেন। আমারও সার্টিফিকেটের ব্যাপারে কোন তাড়া নেই। তাই আর কিছু না বলে সালাম করে চলে আসি।
রাত প্রায় ১০টা। তখনকার সময়ে গ্রামে ১০টা মানে গভীর রাত। ঘরে আমরা সবাই ঘুম। সিকদার সাহেবের ডাকে ঘুম ভেঙ্গে গেল। এত রাতে রাস্তা থেকে তিনি আমাকে ডাকছেন। তাড়াতাড়ি বের হলাম।
তিনি বললেন- আহমদকে না পেয়ে তার ঘরে লোক পাঠালাম সে যেন এখুনি এসে আমার সাথে দেখা করে। সে ঘরে ছিল না। দরবেশকাটা না ইলিশিয়া কোথায় যেন গেছে। রাতে ঘরে এসে খবর পেয়ে সে বাজারে এসে আমার সাথে দেখা করল। তারপর অফিস খুলে সার্টিফিকেট লিখে আমি ঘরে যাওয়ার পথে তোমাকে দিতে এলাম।
আমি অবাক বিষ্ময়ে শুনে গেলাম। প্রথমে আমার মুখ দিয়ে কোন কথাই বের হল না। তারপর বললাম- চাচা কেন আপনি এত কষ্ট করতে গেলেন?
তিনি বললেন- তোমরা উচ্চশিক্ষিত ছেলে, দেশের ভবিষ্যৎ। তোমাদের নিয়ে আমরা গৌরব বোধ করি। আগামী দিনে তোমরাইতো দেশ পরিচালনা করবে। তুমি একটি সার্টিফিকেটর কথা বলেছ, নিশ্চয় এটা তোমার খুব দরকার। ভাবলাম যেভাবে হোক আমাকে ব্যবস্থা করতে হবে.........।
তখন বদরখালীতে কোন রিক্সা-গাড়ি ছিল না। আমার হাতে সার্টিফিকেটটি দিয়ে তিনি বাড়ির দিকে হাঁটা শুরু করলেন। যতক্ষণ তাঁকে দেখা যায়, আমি দাঁড়িয়েছিলাম।
দু জন চেয়ারম্যান। একজন বলেছিলেন দরখাস্ত লিখতে, অন্যজন গভীর রাতে আমার ঘরে এসে সার্টিফিকেট দিয়ে গেলেন।
আমাকে যদি কেউ প্রশ্ন করে, আমার কাছে মূল্যবান কি সম্পদ আছে? উত্তরে বলব- বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রিসহ ডজনখানেক একাডেমিক ও পেশাগত সার্টিফিকেটের একটি ফাইল আছে আমার। ওই ফাইলটাই এখনো পর্যন্ত আমার কাছে সবচেয়ে দামি। নুরুল ইসলাম সিকদারের দেয়া সেই চেয়ারম্যান সার্টিফিকেটটি আমি এই দামি ফাইলেই সংরক্ষণ করে রেখেছি। আমার কাছে ওটা নিছক একটি সার্টিফিকেট নয়, বরং এর সাথে জড়িয়ে আছে আমার মর্যাদা, আমার সম্মান এবং আমার প্রতি একজন মানুষের অকৃত্রিম স্নেহ।
এখনো তাঁর কথাগুলো কানে বাজে- ‘তোমরা উচ্চশিক্ষিত ছেলে, দেশের ভবিষ্যৎ। আগামী দিনে তোমরাইতো দেশ পরিচালনা করবে।’ সেদিন তিনি আমাকে অনেক বড় করে দেখেছিলেন। নেতা বনার কোন আকাঙ্খা কখনো আমার মনে জাগে নি। দেশ পরিচালনা দূরের কথা, ঠিকমত নিজেকে পরিচালনা করার যোগ্যতাও তো আমার নেই।
বদরখালী ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার আজ আমাদের মাঝে বেঁচে নেই। যখনি একাডেমিক সার্টিফিকেটের ফাইলিট খুলি, চোখের সামনে ভেসে উঠে বিশাল দেহের, ততোধিক বিশাল মনের অধিকারী একজন মানুষের চেহারা।
মহান রবের দরবারে তাঁর মাগফেরাত কামনা করছি। দোয়া করি আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসে জায়গা দেন।

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী