বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৭

ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরজাতীয় বিপ্লব ওসংহতি দিবস:

আমাদের বাংলাদেশ  অনলাইন নিউজঃ ৭ নভেম্বর। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সিপাহী-জনতার মিলিত বিপ্লবে নস্যাৎ হয়ে যায় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ববিরোধী ষড়যন্ত্র। আধিপত্যবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আগ্রাসন থেকে রক্ষা পায় বাংলাদেশ। এদিন সিপাহী-জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঢাকা সেনানিবাসের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে আনেন তৎকালীন সেনাপ্রধান ও স্বাধীনতার ঘোষক মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে। 
৭ নভেম্বর সংঘটিত হওয়ার পর প্রতিটি সরকার দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে। কিন্তু ড. ফখরুদ্দীনের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এ দিনের সরকারি ছুটি বাতিল করে এবং দিবসটি পালন করা থেকে বিরত থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় আঁতাতের মাধ্যমে ক্ষমতার মসনদে চেপে বসা বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারও তা পালন করছে না। এর আগে ১৯৯৬ সালের আওয়ামী লীগ সরকারও দিবসটি পালন করা থেকে বিরত ছিল। বাতিল করেছিল সরকারি ছুটি।
আগ্রাসী শক্তি তাদের থাবা বিস্তারে অনেকটাই সফল হয়েছে। ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টের নামে অবাধ করিডোর দিয়ে হুমকির মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তাকে।
১৯৭৫ সালের ৩ থেকে ৬ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর অনিশ্চিত অবস্থা বিরাজ করছিল। হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছিল স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব। ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে ৩ নভেম্বর সেনাবাহিনীর একটি উচ্চাভিলাষী দল সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে ক্যান্টনমেন্টের বাসভবনে বন্দি করে এক সামরিক অভ্যুত্থান ঘটালে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনা সাধারণ জনগণ ও সিপাহীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করে। জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর সর্বমহলে, বিশেষত সিপাহীদের কাছে ছিলেন খুবই জনপ্রিয়। ফলে তারা পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ ও জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ৬ নভেম্বর মধ্যরাতে ঘটে সিপাহী-জনতার ঐক্যবদ্ধ এক বিপ্লব, যা ইতিহাসে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে স্থান লাভ করেছে। দেশবাসী সেদিন জিয়ার হাতেই তুলে দিয়েছিল রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর তদানীন্তন দৈনিক বাংলার রিপোর্টে বিপ্লব সম্পর্কে বলা হয়, ‘সিপাহী ও জনতার মিলিত বিপ্লবে চারদিনের দুঃস্বপ্ন শেষ হয়েছে। মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ১টায় সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনীর সিপাহী-জওয়ানরা বিপ্লবী অভ্যুত্থান ঘটিয়েছেন। ষড়যন্ত্রের নাগপাশ ছিন্ন করে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে উদ্ধার করেছেন বিপ্লবী সিপাহীরা। ৭ নভেম্বর শুক্রবার ভোরে রেডিওতে ভেসে আসে, ‘আমি মেজর জেনারেল জিয়া বলছি।’ জেনারেল জিয়া জাতির উদ্দেশে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে যথাস্থানে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। ওইদিন রাজধানী ঢাকা ছিল মিছিলের নগরী। পথে পথে সিপাহী-জনতা আলিঙ্গন করেছে একে অপরকে। নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ ধ্বনিতে ফেটে পড়েন তারা। সিপাহী-জনতার মিলিত বিপ্লবে ভণ্ডুল হয়ে যায় স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ববিরোধী সব ষড়যন্ত্র। আনন্দে উদ্বেলিত হাজার হাজার মানুষ নেমে আসেন রাজপথে। সাধারণ মানুষ ট্যাঙ্কের নলে পরিয়ে দেন ফুলের মালা। এই আনন্দের ঢেউ রাজধানী ছাড়িয়ে দেশের সব শহর-নগর-গ্রামেও পৌঁছে যায়।’
৭ নভেম্বর সম্পর্কে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাংবাদিক অ্যান্থনি মাসকারেনহাস তার ‘বাংলাদেশ এ লিগ্যাসি অব ব্লাড’ বইতে লেখেন, ‘১৯৭৫ সালের ৫ ও ৬ নভেম্বর ক্যান্টনমেন্টসহ সারা শহরে ছড়ানো হলো হাজার হাজার প্রচারপত্র। একটি ব্যাপারে ডান ও বাম উভয় রাজনৈতিক দলই একমত ছিল, আর তা হচ্ছে খালেদ মোশাররফ একজন বিশ্বাসঘাতক, ভারতের দালাল এবং সে ঘৃণিত বাকশাল ও মুজিববাদ ফিরিয়ে আনতে চাইছে।’
৭ নভেম্বরের ভোরের দিকে জওয়ানরা ব্যারাক থেকে বেরিয়ে পড়ল। সারা ঢাকা শহরে এই ‘সিপাহী বিপ্লব’ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ল। রাত ১টার মধ্যেই সিপাহীরা পুরো ক্যান্টনমেন্ট দখল করে নিল। একদল জওয়ান গেল জেনারেল জিয়ার বাসভবনে। চারদিন বন্দি থাকার পর মুক্তি পেলেন জেনারেল জিয়া। নৈশ পোশাক পরা অবস্থাতেই জিয়াকে উল্লসিত জওয়ানরা কাঁধে করে নিয়ে গেল ২ ফিল্ড আর্টিলারির হেডকোয়ার্টারে। ঘটনার আকস্মিকতায় তখন বিহ্বল হয়ে পড়েন জিয়া। নাম না জানা অনেক জওয়ানের সঙ্গে আলিঙ্গন, করমর্দন করেন তিনি।
গ্রন্থটিতে আরও বলা হয়েছে, ‘রেডিওতে ক্রমাগত সিপাহী জনতার বিপ্লবের ঘোষণা এবং জেনারেল জিয়ার ক্ষমতা দখলের খবর শুনে হাজার হাজার লোক স্রোতের মতো রাস্তায় নেমে এলো। তিন দিন ধরে তারা বিশ্বাস করছিল যে, ভারত খালেদ মোশাররফের মাধ্যমে তাদের কষ্টে অর্জিত স্বাধীনতাকে বিপন্ন করছে। এখন সেই দুঃস্বপ্ন কেটে গেছে। সর্বত্র জওয়ান এবং সাধারণ মানুষ খুশিতে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করল, রাস্তায় নামল। সারারাত তারা স্লোগান দিল, ‘আল্লাহু আকবর, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, সিপাহী বিপ্লব জিন্দাবাদ।’ অবস্থা দেখে মনে হচ্ছিল, ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের মতো এদেশের মানুষ আবার জেগে উঠেছে।
৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতা অভ্যুত্থানের প্রকৃত তাৎপর্য শাসক সমাজের ওপর বৈদেশিক মুরুব্বিয়ানার বাধ্যতা প্রত্যাখ্যান করে গণচেতনায় জাতিরাষ্ট্রের আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধার। দেশবাসীর মনে সার্বভৌমত্বের গর্ববোধ পুনঃপ্রতিষ্ঠা। পঁচিশ বছর মেয়াদি শান্তি ও মৈত্রী চুক্তির অসম সম্পর্কের মায়াজাল এদেশের অভিজন সমাজে যে ভারতমুখাপেক্ষিতা ও হীনম্মন্যতার প্রসার ঘটিয়ে চলেছিল, তার বজ্রআঁটুনি ছিন্ন করেছিল দৃপ্ত সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান ও আত্মস্থশক্তির বহিঃপ্রকাশ। রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে উৎখাত হয়েছিল দিল্লির প্রাসাদকামী পরগাছার জঞ্জাল।
এভাবে জাতিরাষ্ট্রের আত্মমর্যাদাবোধ ঐ দিন থেকে যে স্বকীয়তা, স্বনির্ভরতা ও আত্মোন্নতির উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছিল, আজও তা জাতিকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছে। যদিও ভূরাজনৈতিক চক্রান্তে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতা দিল্লির পদলেহি একটা পরিবারতন্ত্রের সংঘশক্তির করায়ত্ত, জাতিরাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ও সংবিধানকে সাবোটাজ করে ঐ সংঘশক্তির পঞ্চম বাহিনী এদেশকে বিশ্বের চোখে স্বশাসনের অযোগ্য প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লেগেছে, প্রকাপ্রন্তরে বাংলাদেশের ভারতভুক্তির একটা নীলনকশা অনুসরণ করে চলেছে, নভেম্বর বিপ্লবে জাগ্রত দেশবাসী পদে পদে নতজানু ভারতমুখাপেক্ষী সরকারি উদ্যোগগুলোকে জনমতের প্রাচীর দিয়ে অবরুদ্ধ করেছে। জনস্বার্থ রক্ষায় রাষ্ট্রের বিকলাঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোর খর্বশক্তি দিয়েও প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। চলমান বিশ্বব্যবস্থার সংঘাতসঙ্কুল আবর্তে, আঞ্চলিক আধিপত্যবাদের হুমকিতে কিংবা বিশ্বায়ন প্রক্রিয়ার গোলকধাঁধায় পথ হারায়নি। রাষ্ট্রঘাতী চক্রান্তের মোকাবেলায় রাজপথে নেমে এসেছে, প্রতিবাদে প্রতিরোধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। রাষ্ট্রঘাতী চক্রের কবল থেকে অচিরে আবার রাষ্ট্রক্ষমতা ছিনিয়ে নেবে জাগ্রত জনতা, এ কথা সুনিশ্চিত।

বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৬

স্বাধীনতার মূল অর্জন গণতন্ত্রকে হারিয়ে সমাজ অনিশ্চিত গন্তব্যের পথে যাত্রা শুরু করেছে -মকবুল আহমাদ

১৬ই ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর মকবুল আহমাদ গতকাল সোমবার বিবৃতি দিয়েছেন। 
তিনি বলেন, ১৬ই ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’। আমাদের জাতীয় জীবনে এ দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। যারা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে অপরিসীম ত্যাগ স্বীকার করেছেন সেই সব বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সমগ্র জাতির অবদানের কথা আমরা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ও শহীদদের মাগফিরাতের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করছি। 
তিনি বলেন, জাতি এমন এক সময় মহান বিজয় দিবস পালন করতে যাচ্ছে যখন দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। স্বাধীনতার মূল অর্জন গণতন্ত্রকে হারিয়ে সমাজ আজ এক অনিশ্চিত গন্তব্যের পথে যাত্রা শুরু করেছে। এ অবস্থায় জাতীয় ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। 
ব্যাপকভিত্তিক জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে হেফাজতের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিলসহ নানাবিধ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১৬ই ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে উদযাপন করার জন্য তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সকল শাখার প্রতি আহ্বান জানান। সেই সাথে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে তিনি দেশবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান এবং দেশবাসী সকলের সুখ-সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন। দৈনিক সংগ্রাম

চট্টগ্রাম ষোলশহর থেকে অন্যায়ভাবে ২৭ মেধাবী ছাত্র গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ  এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেন, গভীর রাতে কোন কারণ ছাড়াই চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ২৭ জন মেধাবী ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ ছিলনা। পুলিশ এই অন্যায় গ্রেপ্তারকে আড়াল করতে 'জিহাদী বই উদ্ধার' নামক ভাঙ্গা রেকর্ড বাজিয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। কোন কারণ ছাড়াই এভাবে নিরপরাধ ছাত্রদের গ্রেপ্তার ও হয়রানীর যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারেনি পুলিশ প্রশাসন। এর আগেও নিরপরাধ ছাত্রদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার ও হয়রানী করা হয়েছে। যা নিয়ে নানা মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশের এমন নির্বিচার গ্রেপ্তার জনমনে আতঙ্ক তৈরি করছে। এতে করে সারা দেশে বিভিন্ন মেস ও ব্যাচেলর বাসায় অবস্থানরত হাজার হাজার শিক্ষার্থীর লেখাপড়া মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। নিজেদের ব্যর্থতাকে আড়াল ও জাতিকে বিভ্রান্ত করতে একের পর এক নিরপরাধ ছাত্রের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে সরকার।

নেতৃবৃন্দ বলেন, কোন কারণ ছাড়াই সাধারণ ছাত্রদের জীবন হুমকির মুখে ফেলা নূন্যতম দায়িত্বশীলতার মধ্যে পড়েনা। আমরা অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবী জানাচ্ছি। একই সাথে মেস ও বাসা-বাড়িতে সাধারণ ছাত্রদেরকে হয়রানি না করার আহবান জানাচ্ছি।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে নিরপরাধ নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে এবং ভবিষ্যতে এমন দায়িত্বহীন কাজ থেকে বিরত থাকতে সরকার ও পুলিশের প্রতি আহবান জানান।

রবিবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৬

এবার মসজিদে রাখা হল মূর্তি: নাসিরনগর পুরুষশূন্য, তাণ্ডবের নেপথ্যে ফারুক


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে শুক্রবার রাতে বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ৩৩ জনকে।  
  এরপর থেকেই এলাকায় বিরাজ করছে থমথমে অবস্থা। গ্রেফতার এড়াতে বাড়িঘর ছেড়েছেন পুরুষরা। 
  শুক্রবার ৫ বাড়িতে আগুন দেয়ার পর নাসিরনগরে বাড়ানো হয় নিরাপত্তা। একদিকে আইনশৃংখলা বাহিনীর বজ্র আঁটুনি, অন্যদিকে গ্রেফতার আতংক- এরই মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় আরেক বাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঘটেছে উসকানিমূলক বিপরীত ঘটনাও। এক মসজিদের ভেতরে কে বা কারা রেখে গেছে লক্ষ্মী মূর্তি। 
  পাঁচ বাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যায় মামলা হয়েছে। এদিকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হক তার সমর্থক তিন নেতাকে বহিষ্কারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। প্রতিক্রিয়া জানাতে আজ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন তিনি।  
  ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী মোয়াজ্জেম আহমেদের পদত্যাগ চেয়েছে। সেই সঙ্গে তাকেও তদন্তের আওতায় আনার দাবি তুলেছে তারা। 
  রোববার নাসিরনগরে ১৫ মন্দির ও শতাধিক বাড়িতে তাণ্ডব চালায় দুর্বৃত্তরা। অগ্নিসংযোগ করে।  
  ফেসবুক ঘেঁটে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই দিন উত্তেজনা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন হরিণবেড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ফারুক আহমেদ।  
  রসরাজের ফেসবুক আইডিতে ধর্মীয় অবমাননার ব্যঙ্গচিত্র আপলোড হওয়ার পর ফারুকই তা শেয়ার দিয়ে ফেসবুকে প্রতিবাদের ডাক দেন।  
  অনেকেই মনে করেন, ফারুক ওই ব্যঙ্গচিত্র আপলোডের সঙ্গেও যুক্ত। রাজনৈতিক ও স্থানীয় বিলে আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্বে পানি ঘোলা করে ফায়দা লোটার জন্য এমনটি করা হয়েছে। শুক্রবার যে তিন নেতাকে বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ, ফারুক তাদের একজন। 
  পুলিশের এক সূত্র জানায়, ভিডিও ফুটেজ দেখে এবং বিভিন্ন সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে শুক্রবার ৩৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।  
  তবে নাসিরনগর থানার ওসি (তদন্ত) শওকত হোসেন বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তিদের ৭ দিনের রিমান্ডে আনার আবেদন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এ নিয়ে ৪৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 
  পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমরা অপরাধীদের গ্রেফতারে বিশেষ অভিযান শুরু করেছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলবে।’  
  এক প্রশ্নের উত্তরে ডিআইজি বলেন, পত্র-পত্রিকায় যেসব নেতার নাম এসেছে তাদের ব্যাপারে তদন্ত চলছে। দোষী প্রমাণ হলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, ৭ কার্যদিবসের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার চেষ্টা চলছে। 
  
শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অঞ্জন কুমার দেবের বাড়ির পাটশলার গুদামে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সেখানে যান। 
  এদিন ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর ও উপাসনালয় পরিদর্শন শেষে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক শাহরিয়ার কবির যুগান্তরকে বলেন, নাসিরনগরে রামুর ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। রসরাজের মতো সাধারণ জেলের পক্ষে ওই রকম ব্যঙ্গচিত্র বানানো সম্ভব নয়। কারণ ধর্মীয় ওই ব্যঙ্গচিত্র তৈরি করতে যে ধরনের মেধা প্রয়োজন তা রসরাজের নেই। সে ৪র্থ বা ৫ম শ্রেণী পাস।  
  তিনি বলেন, ওই ব্যঙ্গচিত্র তৈরিতে কম্পিউটারের প্রয়োজন হয়েছে। রসরাজ ফটোশপের কাজ তো দূরের কথা, সে কম্পিউটার চেনে কিনা তাও আমার সন্দেহ রয়েছে।  
  শাহরিয়ার বলেন, হরিণবেড় গ্রামের একজন আইনজীবীর সঙ্গে আমাদের দেখা হয়েছিল। তিনি রসরাজের পক্ষে আদালতে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন কিন্তু দাঁড়াতে দেয়া হয়নি। পরে তাকে রিমান্ডে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।’ 
  শাহরিয়ার কবির আরও বলেন, ‘হরিণবেড় বাজারে আল আমিন নামক একটি কম্পিউটারের দোকান থেকে এই ব্যঙ্গচিত্র তৈরি করে রসরাজের ফেসবুকে আপলোড করা হয়। এ ব্যাপারে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে।’  
  
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নাসিরনগর থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘২৯ অক্টোবর ইউএনও শুধু দুটি প্রতিবাদ সভার অনুমতিই দেননি, সেখানে তিনি বক্তব্যও দিয়েছেন। সেদিন ওই সমাবেশের অনুমতি যদি না দেয়া হতো তাহলে হিন্দু পরিবারগুলো হামলা ও ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেত।’ ঘটনার এক সপ্তাহ পরও ইউএনওকে স্বপদে বহাল রাখার সমালোচনা করেন তিনি। 
  
শাহরিয়ার কবিরের সঙ্গে ছিলেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। তিনি বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট রসরাজের পক্ষে আইনজীবীকে দাঁড়ানোর সুযোগ দেননি। ম্যাজিস্ট্রেট যেটি করেছেন, সেটি সংবিধান পরিপন্থী কাজ। ম্যাজিস্ট্রেট রসরাজকে কোনো কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে তার বিরুদ্ধে রিমান্ড অর্ডার দিয়েছেন। এজন্য ম্যাজিস্ট্রেটের কাছেও ব্যাখ্যা চাওয়া উচিত।’  
  
এ সময় নির্মূল কমিটির সদস্য সচিব কাজী মুকুল, মহিলা পরিষদের সহসভাপতি রেখা চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক রাখী দাস, জেলা নির্মূল কমিটির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন প্রমুখ সেখানে ছিলেন। এছাড়া শনিবার নাসিরনগরের ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির ও বাড়িঘর পরিদর্শন করেন প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। 
  
উপজেলা সদর থেকে ১৪ কিলোমিটার পূর্বে রসরাজের গ্রাম হরিণবেড়। শনিবার সেখানে গিয়ে দেখা যায়, তিতাস নদীর পারের এ গ্রামে সবই জেলে পরিবার।  
  
হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখি যুগান্তরকে বলেন, রসরাজ দৈনিক শ্রমিক। বাড়ির পাশের বিলে জেলে হিসেবে মাছ ধরে। ফেসবুকে ছবি পোস্ট হওয়ার ক’দিন আগে থেকেই সে বালিঙ্গা বিলে মাছ ধরার কাজে ব্যস্ত ছিল। তার ফোনটিও বাড়িতে রেখে যায়। তার ছোট ভাই আরেকজনের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ফোন করে রসরাজের সঙ্গে কথা বলে। তাকে জানায়, ‘তোমার ফেসবুক থেকে কী আপলোড করেছে? যা নিয়ে সমস্ত এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।’ এ কথা শুনে বাড়িতে আসে রসরাজ। ফেসবুকে ওই ব্যঙ্গচিত্র দেখে সে হতভম্ব হয়ে পড়ে। 
  
রসরাজের ফেসবুক প্রোফাইল ঘেঁটে দেখা যায়, ধর্মীয় যে ব্যঙ্গচিত্র আপলোড নিয়ে এত লংকাকাণ্ড সেটি মুছে ফেলা হয়েছে। তবে ২৯ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টা ২৪ মিনিটে ওই ব্যঙ্গচিত্র আপলোডের বিষয়ে ক্ষমা চেয়ে একটি স্ট্যাটাস দেয়া হয়।  
  
যাতে লেখা রয়েছে, ‘প্রথমেই আমি সকল মুসলিম ভাইদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। কারণ আমার অজান্তে কে বা কারা আমার আইডি থেকে একটি ছবি পোস্ট করেছে। কাল (২৮ অক্টোবর) রাতে আমি, মামুন ভাই, আশু ভাই আর বিপুলের মাধ্যমে জানতে পারি ছবি পোস্টের কথা। তার আগ পর্যন্ত আমি কিছুই জানতাম না। জেনে সাথে সাথেই ডিলিট করি। যেখানে আমরা বসবাস করি হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই হিসেবে। ওইখানে ওইরকম মনমানসিকতা এবং দুঃসাহসিকতা অবশ্যই আমাদের কারও নেই। আমি কেন? আমি মনে করি ওই মনমানসিকতা কারও নেই।’  
  
স্ট্যাটাসে আরও বলা হয়, ‘এখানে আমার মুসলিম ভাইয়েরা আমাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতা করে থাকেন। ওইখানে আমার আইডি থেকে এমন ছবি আমার অজান্তে কিভাবে পোস্ট হল, কে বা কারা ওই কাজটা করল আমি জানি না। তাই সকলের কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থী।’ 
  
ইউপি সদস্য দ্বীন ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, কৈবর্তপাড়ার মনা মাস্টারের ছেলে আশুতোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসল তথ্য পাওয়া যাবে। কারণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ফারুক আহমদের অফিসে ২৯ অক্টোবর সকালে আশুতোষ রসরাজের আইডি থেকে দুঃখ প্রকাশ করে পোস্ট দেয়ার কথা স্বীকার করে। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক ইউপি সদস্য আবু লাল, স্কুল কমিটির সভাপতি খালেদ মোবারকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন বলেও জানান তিনি। 
  
এলাকার একটি সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ নেতা ফারুকের সঙ্গে মনা মাস্টারের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। ফারুক মনা মাস্টারকে শ্বশুর বলে সম্বোধন করেন। ওইদিন হরিপুর বাজারের আল আমিন সাইবার ক্যাফের মালিক বেনু মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম রসরাজের পোস্টটি প্রথম কম্পিউটার থেকে প্রিন্ট করেন। পরে এগুলো ফটোস্ট্যাট করে এলাকায় প্রচার করেন। 
  
শনিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে জাহাঙ্গীর আলমই তার সহযোগীদের নিয়ে রসরাজকে মনা মাস্টারের বাড়ি থেকে ধরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিসে নিয়ে আসে এবং আওয়ামী লীগ নেতা ফারুকের হাতে তুলে দেয়।  
  
সেখান থেকে নাসিরনগর থানা পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। একই সময়ে হরিপুর এলাকায় ব্যাপক মাইকিং করে আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক ও তার ভাই কাপ্তানের নেতৃত্বে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। শনিবার দুপুরে হরিপুর বাজারে গিয়ে জাহাঙ্গীরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মোবাইল নম্বর দুটিই বন্ধ পাওয়া যায়। 
  
চেয়ারম্যান আঁখি আরও বলেন, জেলে রসরাজের বিদ্যা-বুদ্ধি কোনোটাই এমন নেই। তিনি মনে করেন, বালিঙ্গা বিলের আধিপত্য নিয়ে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।  
  
এছাড়া গত ইউপি নির্বাচনে হরিপুরে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর নৌকা প্রতীকে ভোট দেয় কৈবর্তপাড়ার মানুষ। মন্ত্রী ছায়েদুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক সমর্থন করেছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রাশেদ চৌধুরীকে। তাদের উপেক্ষা করে কৈবর্ত সমাজের মানুষ আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে তাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেন। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতেও রসরাজকে ফাঁসিয়ে কৈবর্ত সমাজের উপাসনালয়সহ তাদের বাড়িঘরে হামলা-ভাংচুর করা হতে পারে। 
  
কৈবর্তপাড়ার মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির নেতা রামেশ্বর দাস জানান, আমরা হরিণবেড় হরিপুর আহসান মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামে ৩ বছর আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বালিঙ্গা বিল লিজ এনেছিলাম। গত বছর বিলের মাছ ধরে বিক্রিও করা হয়। এ বছরের জন্য কয়েক মাস আগে ৩ লাখ ৫৩ হাজার ২৪০ টাকা জমা দিয়ে লিজ নবায়ন করা হয়। এর কিছুদিন পরই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ফারুক আহমেদ তাদের ডেকে জোর করে কমিটি বাতিল করেন। ওই কমিটির সভাপতি রামেশ্বর আর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন রাধুচরণ দাস। বিল আত্মসাৎ করতে তাদের বাদ দিয়ে নতুন কমিটি করেন ফারুক। এ কমিটির সভাপতি সুভাষ দাস ও সাধারণ সম্পাদক করা হয় রসরাজ দাসকে। এমনকি সাধারণ সম্পাদক রাধুচরণ দাসের কাছ থেকে জোর করে সব খাতাপত্রও নিয়ে যায় ফারুক। 
  
এ বিষয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এসব কথা বলা হচ্ছে। আমি রসরাজ ও তার এলাকার মানুষদের রক্ষা করতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। 
  
ধর্মীয় অবমাননা সংক্রান্ত ব্যঙ্গচিত্র আপলোডের বিষয়ে ২৯ সেপ্টেম্বর প্রতিবাদ সভার মধ্য দিয়েই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে নাসিরনগরে। ইউএনও চৌধুরী মোয়াজ্জেম আহমদ ওইদিনই নাসিরনগর সদরে দুটি প্রতিবাদ সভা আয়োজনের অনুমতি দেন। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত প্রতিবাদ সভা করে কলেজ মোড়ে। আর নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে তৌহিদী জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। এ দুটি সমাবেশ শেষ হওয়ার আগেই হিন্দুদের বাড়িঘর ও উপাসনালয়ে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করা হয়। দুই সমাবেশের অনুমতি দেয়ার পর তাতে বক্তব্য দেন ইউএনও। দুটিতেই উপস্থিত ছিলেন নাসিরনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এটিএম মনিরুজ্জামান সরকারসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। 
  
রসরাজের আইডি থেকে ব্যঙ্গচিত্র ২৯ অক্টোবর রাত ১১টা ২৮ মিনিটে শেয়ার করেন ফারুক। এ সময় তিনি তার স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘নাসিরনগর হরিণবেড় গ্রামের একটি ছেলে পবিত্র কাবাঘরে শিবমন্দির বসিয়ে ব্যঙ্গ করে। ছেলেটির নাম রসরাজ দাস। তার বাবার নাম জগন্নাথ দাস। আজ শনিবার বেলা ১১টায় ফেসবুকে রসরাজ দাসের টাইমলাইনে এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু লোক দেখতে পেলে ফেসবুকেই ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। আমি এ খবর পেয়ে নাসিরনগর থানার এসআই আশরাফুল ভাইকে বিষয়টি অবগত করি। আমি এবং খালেদ মোবারক এলাকার আরও জনগণ নিয়ে রসরাজকে ধরে ফেলি। তারপর প্রশাসন হরিণবেড় আসে। রসরাজকে এসআই আশরাফের কাছে হ্যান্ডওভার করেছি। আমি এই কুলাঙ্গারের দৃষ্টান্তমূলক সাজা চাই এবং ফাঁসি চাই।’ ৩০ অক্টোবর এলাকার বেশ কিছু মানুষকে নিয়ে ছবি তুলে আরেকটি প্রতিবাদী স্ট্যাটাস দেন ফারুক। এতে তিনি লেখেন, ‘সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাইয়েরা সেই কুলাঙ্গারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল করে। এতে আমরা সমর্থন করি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আওয়ামী লীগ নেতা ফারুকের ভাই কাপ্তান মিয়া রোববার সকালে এলাকার মাদ্রাসাছাত্রসহ দুই শতাধিক লোক নিয়ে ১৪টি ট্রাকে করে উপজেলা সদরে আসেন।’ 
  
বুধবার রাতে ভাদুঘরে জামিয়া সিরাজিয়া দারুল উলুম ভাদুঘর মাদ্রাসার গেটে তালা লাগিয়ে দিয়েছিল কে বা কারা। মাদ্রাসার গেটে আপত্তিকর পোস্টারও সেঁটে দেয়। শনিবার কুণ্ডা ইউনিয়নের বিটুই গ্রামের মসজিদে সকালে কে বা কারা একটি লক্ষ্মী মূর্তি রেখে যায়। পরে সকালে পুলিশ গিয়ে তা বের করে আনে। 
  
তিন নেতাকে বহিষ্কারের ঘটনায় ক্ষুব্ধ মন্ত্রী ছায়েদুল হক। তিনি জানিয়েছেন, তাকে না জানিয়েই বা তার সঙ্গে কথা না বলেই তাদের বহিষ্কার করা হয়। তারা দোষী নয় বলেও দাবি করেন মন্ত্রী। তিনি নাসিরনগর উপজেলা ডাকবাংলোতে আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন বলে তথ্য অধিদফতর জানিয়েছে। শনিবার অধিদফতর থেকে পাঠানো মন্ত্রীর দিনের কর্মসূচিতে দুপুর ১টায় সংবাদ সম্মেলনের উল্লেখ রয়েছে। 
  
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার দাবি : নাসিরনগরে তাণ্ডব-অগ্নিসংযোগ, ঠাকুরগাঁও ও নেত্রকোনায় প্রতিমা ভাংচুর এবং নওগাঁয় মন্দির দখলের চেষ্টায় জড়িতদের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারের দাবি জানিয়েছেন সাংবিধানিক অধিকার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুরঞ্জন ঘোষ। শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাকারীদের বিচার করার জন্য নতুন আইন দরকার। সে আইনে এ অপরাধের শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। পাশাপাশি দোষীদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে হবে।

শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৬

রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর উপলক্ষ্যে চান্দগাঁও জামায়াতের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চান্দগাঁও থানা রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা ও ২৮ অক্টোবর শহীদের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল আয়োজন করে। 
জামায়াত নেতা আবু জাওয়াদ এর সভাপতিত্বে অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে  সর্ব জনাব  মুহাম্মদ ইবনে হোসাইন, আবু নাহিদ, মুহাম্মদ  জালাল, সাইফুল প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা সরকারের সমালোচনা করে বলেন, বর্তমান সরকার রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবরের ঘটনার বেনিফিসিয়ারী। তাই রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবরের ঘটনার  ন্যায় বিচারের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ২৮ অক্টোবরের শহীদদের রক্ত বৃথা যাবেনা। শহীদের রক্তে রঞ্জিত বাংলাদেশে এই মাটিতে কালেমার পতাকা একদিন ঊড়বেই। 

বর্তমান বিশ্বে গুরুত্বের আলোকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সামাজিক ডাইমেনশনের উপর বুদ্ধি বৃত্তিক কাজ হওয়া প্রয়োজনঃ ইন্টারন্যাশনাল কনফরেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রফেসর ড. আজহারুল ইসলাম

বক্তব্য রাখছেন প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. এ. কে. এম    আজহারুল ইসলাম
আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ ২৯ অক্টোবর ২০১৬: আইআইইউসি’র ভাইস-চ্যান্সেলর আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পদার্থ বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এ. কে. এম    আজহারুল ইসলাম বলেছেন, বর্তমান বিশ্বে গুরুত্বের আলোকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সামাজিক ডাইমেনশনের উপর বুদ্ধি বিত্তিক কাজ গওয়া প্রয়োজন।তিনি বলেন, একাডেমিক গবেষণা কুব কমজনের বোধগম্য হয়। সেই বোধগম্য না হওয়াটা প্রয়োগের ক্ষেত্রে একটা বড় বাধা। এই বোঝা বা উপলব্ধির ক্ষমতা বাড়ানোর জন্যে জ্ঞানের বিনিময় এবং যৌথ উদ্যোগ বাড়ানো প্রয়োজন।
শনিবার বিকালে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম(আইআইইউসি) এর বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের প্রথম এবং আইআইইউসি’র আয়োজনে ১০ম ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইআইইউসি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কে. এম    আজহারুল ইসলাম এ কথা বলেন।নগরীর লডর্স ইন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘ইনোভেশন ইন সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি-২০১৬’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী কনফরেন্সের এই সমাপনী আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন আইআইইউসি’র ভারপ্রাপ্ত প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর এবং কমিটি কনভেনার প্রফেসর ড. দেলওয়ার হোসেন।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটি সে্ইন্স মালয়েশিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বিল্ট এনভাইরনমেন্ট অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. কামারুজ্জামান শিমন এবং আই ট্রিপল ই বাংলাদেশ সেকশনের সহ-সভাপতি ও রুয়েট এর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল গাফ্ফার খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিটি কো-কনভেনার মোহাম্মদ সামসুল আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিসি প্রফেসর ড. এ. কে. এম আজহারুল ইসলাম বলেন, এই কনফারেন্স বিশ্বের গবেষক, শিক্ষাবিদ ও পন্ডিতদের সম্মিলনের এবং বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের সর্বক্ষেত্রের নতুন ধারণা, সাম্প্রতিক ফলাফল এবং ভবিষ্যত সম্ভাবনা সম্পর্কে মতবিনিময়ের দারুন সুযোগ করে দিয়েছে।দেশ-বিদেশের বিজ্ঞানী, প্রেকৌশলী, প্রযুক্তিবিদ, গবেষক, শিক্ষাবিদ ও পন্ডিতদের এই সমাবেশ এবং মেধা ও অভিজ্ঞতার, বিনিময় বিশেষ করে তরুণ গবেষকদেরকে তাদের মেধার স্বাক্ষর রাখার বড় সুযোগ করে দিয়েছে।এই কনফারেন্স ছিল বাস্তব চ্যালেন্সগুলো আলোচনা এবং সমাধানের একটা উপযুক্ত প্লাটফরম।তিনি এই  কনফারেন্সের সাফল্রের অংশীদার এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
এদিকে আজ সকালে আই ট্রিপল ই বাংলাদেশ সেকশনের আয়োজনে এবং আইআইইউসি’র সহযোগিতায় ইউনিভার্সিটি- ইন্ডাস্ট্রি কলাবরেশন শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।আই ট্রিপল ই বাংলাদেশ সেকশনের এক্টিভিটি কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. মোঃ নুরুন্নবী মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন আইআইইউসি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কে. এম    আজহারুল ইসলাম।এত বিশেষ অতিথি ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার্স  ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী সাদেক মোহাম্মদ চৌধুরী।স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইআইইউসি’র ট্রিপল ই বিভাগের প্রধান মুহাম্মদ আতাহার উদ্দিন।টেকনিক্যাল টক উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল গাফ্ফার খান, ড. রিদোয়ান হাসান খান এবং প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, এই ইন্টারন্যাশনাল কনফরেন্সে দেশের প্রায় সবক’টি সরকারী বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এবং কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, সৌদি আরবসহ ১৮টি দেশে প্রসিদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষক- প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।কনফরেন্সে প্রাপ্ত ২৭৯টা প্রবন্ধের মধ্যে ৭৮ টা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়েছে। এছাড়া ৬টি মূল প্রবন্ধ ও ৪টি আমন্ত্রিত প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইআইইউসি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কে. এম    আজহারুল ইসলাম, ইউনিভার্সিটি সে্ইন্স মালয়েশিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বিল্ট এনভাইরনমেন্ট অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. কামারুজ্জামান শিমন, ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়ার ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক এনাড সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ড. মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসির প্রফেসর ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান, ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়ার ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক এনাড সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ড. নওশাদ আমিন এবং কানাডার ক্যালগেরি ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল এন্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এসোসিয়েট হেড ড. আনিস হক।

বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৬

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মকবুল আহমাদ: ছোট-খাটো মতপার্থক্য পরিহার করে ইসলামী আন্দোলনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য সর্বাবস্থায় ইস্পাত কঠিন ঐক্য বজায় রাখতে হবে


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ সোমবার নতুন আমীর হিসেবে শপথ গ্রহনের পর নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মকবুল আহমাদ বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির অনেক উত্থান-পতন ও ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে কঠিন পথ অনুসরণ করে জামায়াতে ইসলামী আজকের অবস্থানে এসে পৌঁছেছে। সরকারের জুলুম-নির্যাতনের ফলে জামায়াতের প্রতি জনগণের আস্থা ও প্রত্যাশা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
তিনি বলেন, সুবিচারপূর্ণ কল্যাণমুখী সমাজ বিনির্মাণ করতে কুরআন-হাদীসের চর্চা বাড়াতে হবে। ইসলামী ও আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ হতে হবে। মজবুত ঈমান, উন্নত আমল ও নৈতিকতার অধিকারী হতে হবে। দ্বীনের প্রকৃত দায়ী হিসাবে সমাজের মানুষের নিকট নিজেদেরকে ইসলামের রোল-মডেল এবং সত্যের সাক্ষ্য হিসাবে উপস্থাপন করতে হবে। দরদপূর্ণ মন নিয়ে সুখে-দুঃখে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
তিনি বলেন, যার উপরে যে সাংগঠনিক দায়িত্ব অর্পিত হবে, তা যথাযথভাবে পালনের জন্য সদা সচেতন থেকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার পরিচয় দিতে হবে। নেতৃত্বের সামান্য ভুল সংগঠনকে বড় ক্ষতির দিকে ঠেলে দিতে পারে। সংগঠনের সদস্য-কর্মীদের মধ্যে ইনসাফপূর্ণ আচরণ নিশ্চিত করতে হবে। নিজেদের মধ্যে ছোট-খাটো মতপার্থক্য পরিহার করে ইসলামী আন্দোলনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য সর্বাবস্থায় ইস্পাত কঠিন ঐক্য বজায় রাখতে হবে

বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৬

মিয়ানমারে মুসলিমদের উপর চলছে নির্মম নির্জাতন শুধু তাই নয় জালিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদের ঘর বাড়ি

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  মিয়ানমারে মুসলিমদের উপর চলছে নির্মম নির্জাতন শুধু তাই নয় জালিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদের ঘর বাড়ি। এখানে কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ দেয়া হলো  সংশ্লিষ্ট লিংকে ক্লিক করে ভিডিও গুলো দেখুন।

অভিযানের নামে আরাকানের মুসলিমদের উপর মিয়ানমারে সরকারি তিনটি বাহিনী নির্মম নৃশংসতার খবর পাওয়া যাচ্ছে।  
  ভিডিও দেখতে এই লিংকে ক্লিক করুন
গত ৫ দিনে সংঘর্ষে মারা গেছে ৩৯ জন। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ৪০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জীবন বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন রাখাইন রাজ্যের শত শত মুসলিম আরাকানি।  
  
গত সপ্তাহের রোববার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাটিতে পুলিশের ওপর হামলায় ঘটনার সূত্রপাত। 
  

এরপর থেকে শুরু হয় পুলিশ, সেনাবাহিনী ও মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ত্রিমুখী হামলা। বুধবারও মারা গেছে ১০ গ্রামবাসী। সরকারি বাহিনী জ্বালিয়ে দিয়েছে কমপক্ষে ২৫ টি বাড়ি। জারি করা হয়েছে রাত্রিকালিন কারফিউ।  
  ভিডিও টি দেখতে এই লিংকে ক্লিক করুন
কিছুদিন আগে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে একটি উদ্যোগ নিয়েছিলো মিয়ানমারের নতুন সরকার। কিন্তু নতুন করে শুরু হওয়া এই সহিংসতা ওই ‍উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।  
  
জাতিসংঘের ভাষায়, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষজন বিশ্বের সবচাইতে নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর একটি। যারা পৃথিবীর কোনো দেশের নাগরিক নয়।  
  
গত কয়েক শতাব্দী ধরে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের বাস। দেশটি রোহিঙ্গাদের তার নাগরিক মনে করে না। বরং মিয়ানমার মনে করে তাদের আদি আবাস বাংলাদেশ। এমনকি রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহারেও দেশটির সরকারের আপত্তি রয়েছে। 
  
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে বৌদ্ধদের হাতে নির্যাতনের শিকার বলে অভিযোগ রয়েছে। 
  
বিভিন্ন সময়ে সহিংসতার মুখে পালিয়ে সীমান্ত পার হয়ে তাদের অনেকেই বাংলাদেশেও প্রবেশ করেছে। 
বাংলাদেশে কক্সবাজার এলাকাতেই তাদের একটা বড় অংশ বাস করেন। এছাড়া চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়িতেও কিছু রোহিঙ্গা বসবাস করছেন। সরকারের রেজিস্টার্ড ক্যাম্পগুলোতে ৩৩ হাজারের মতো রোহিঙ্গা বাস করে। 
  
কিন্তু বলা হয় বাংলাদেশে তাদের মোট সংখ্যা পাঁচ লাখের মতো।

এখানে কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ দোয়া হলো  সংশ্লিষ্ট লিংকে ক্লিক করে দেখুন।



সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৬

শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে করণীয় অধ্যাপক নইম কাদের

আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ  শরীরের বাড়তি ওজন খুবই বিপদজনক। তাই, শরীরের ওজন যেন বেড়ে না যায়, সেদিকে সবাইকে লক্ষ রাখতে হবে এবং এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনির নানা সমস্যাসহ বহু জটিল ও কঠিন রোগের কারণ শরীরের অতিরিক্ত ওজন। অনেকে ওজন কমাতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ, নিয়মিত ব্যায়াম, ওষুধ সেবন ইত্যাদি। মনে রাখতে হবে ওজন নিয়ন্ত্রণের সঠিক নিয়ম জানা না থাকলে আপনার স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। বর্তমান সময়ে কিছু উঠতি বয়সের তরুণীদের মধ্যে ‘ িম ফিগার’ ধারণাটি বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছে। এ জন্য তারা ঠিকমত খাওয়া-দাওয়া করে না। তাদের ধারণা হচ্ছে পরিমাণে কম খেয়েই ফিগার ৗিম রাখা যাবে। এটা করতে গিয়ে অনেকের জীবন মারাত্মক হুমকিম মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। আবার বিভিন্ন মিডিয়িায় এ বিষয়ে চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে অনেকে আকৃষ্ট হয়। মনে রাখতে হবে, ওষুধ সেবন করে কিংবা কোমরে বেল্ট বেঁধে ঘাম ঝরিয়ে মেদ কমানো যায় না, ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এসব প্রতারণা ছাড়া কিছুই নয়। অনুরূপ খাওয়া-দাওয়া বাদ দিয়ে শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে যাওয়াও মারাত্মক ভুল। খাওয়া-দাওয়া বাদ দিয়ে নয়, বরং পানাহার করতে হবে পরিমিত ও নিয়ন্ত্রিত। মনে রাখতে হবে, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং গঠনের জন্য পরিমিত পানাহার অপরিহার্য। ঠিকমত না খেলে অপুষ্টিতে ভোগতে হবে, শরীরের গঠন ও বৃদ্ধি সঠিকভাবে হবে না। এর ফলে বয়োঃবৃদ্ধির সাথে সাথে নানা জটিল রোগে ভোগতে হবে।
শরীরের ওজন কীভাবে ঠিক রাখবেন, বাড়িতে ওজন কীভাবে কমাবেন এ নিয়ে সম্প্রতি একদল গবেষক গবেষণা করেছেন। আন্তর্জাতিক এই গবেষকদল দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্নভাবে গবেষণা চালিয়ে শরীরের বাড়তি ওজন কমানো, ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য দিয়েছেন। গবেষকদল ৯২টি প্রশ্নের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণের কলাকৌশল জানার চেষ্টা করেছেন। গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে, ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য কয়েকটি বিষয় মেনে চলতে হবে। যথা- খাবারের পরিমাণ কমবেশি নয়, বরং খাবারের গুণগত মান বিবেচনায় আনতে হবে। অর্থাৎ আপনি বেশি খাচ্ছেন কিংবা খুব কম খাচ্ছেন, এটা বড় কথা নয়, দেখতে হবে, আপনি যা খাচ্ছেন তার খাদ্যমান কেমন। খাবারের গুণগত মানের প্রতি বেশি খেয়াল রাখতে হবে। 
ঘরে তৈরি খাবার সবসময় উত্তম। যারা বাইরের খাবারের চেয়ে ঘরে তৈরি খাবার বেশি খান, তাদের ওজন তুলনামূলক নিয়ন্ত্রণে থাকে। এখানেও ‘খাবারের গুণগত মান’ বিষয়টি লক্ষণীয়। হোটেল- রেস্তোরাঁর তুলনায় ঘরে তৈরি খাবার অধিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত এবং ঘরের খাবারের মান বাইরের খাবারের চাইতে অনেক ভাল তাতে কারো দ্বিমত থাকার কথা নয়। সুতরাং আপনি যদি শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে চান, আপনাকে বাইরের খাবার বর্জন করতে হবে। 
ওজন নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত ব্যায়াম দরকার। ব্যায়াম মানে এই নয় যে, আপনাকে প্রতিদিন জিমে যেতে হবে। ব্যায়াম বলতে এখানে শারীরিক পরিশ্রম বুঝানো হয়েছে। হ্যাঁ যারা অতিরিক্ত মোটা হয়ে গেছে, অতিরিক্ত মেদ জমে গেছে, যাদের ওজন স্বাভাবিক পরিমাণের তুলনায় বেশ বেড়ে গেছে, তাঁদের জন্য ব্যায়াম জরশুরী। কিন্তু যাদের শারীরিক অবস্থা এখনো ঠিক আছে, ওজন নিয়ন্ত্রণে আছে, তাদের এ অবস্থা ধরে রাখার জন্য শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। নিয়মিত হাঁটা-চলা করা, সাঁতার কাটা, হল্কা ব্যায়াম ইত্যাদির সাথে যদি পানাহারে গুণগত মান ল রাখা যায়, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। দীর্ঘ রাত জাগা, সকালে দীর্ঘক্ষণ শুয়ে থাকা, চর্বিযুক্ত খাবার এবং বাইরের খাবার ও ফার্স্টফুডে অভ্যস্ত হয়ে পড়া ইত্যাদি শরীরের ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। 

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী