গত ১৯.০৩.২০২১খ্রিঃ "৪১ তম বিসিএস" প্রিলিমিনারি পরীক্ষার একজন মার্জিত,শালীন পোষাক পরিহিত ধার্মিক প্রকৃতির পরীক্ষার্থীর কথা বলছিলাম আমি।
নিচে সাদা পাঞ্জাবি পায়জামা ওয়ালা যার ছবি দেখছেন, তিনি মূলত একজন "৪১ তম বিসিএস" পরীক্ষার্থী, তাহার পরীক্ষা কেন্দ্র যদিও চট্টগ্রাম সিটি-কর্পোরেশন মিউনিসিপ্যাল উচ্চ বিদ্যালয়ে ছিল, কিন্তুু তিনি অসচেতন ভাবে তারাহুরো করে, ভূলক্রমে, সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করার কিছুক্ষণ পর বুঝতে পারে যে, তার আগত পরীক্ষার কেন্দ্রটি সঠিক নয় ভূল পরীক্ষা কেন্দ্রে এসেছে!
তখন ঘড়ির কাটা প্রায় সকাল ১০.০৬ মিনিট ছুঁই ছুঁই নির্ধারিত ০২ (দুই) ঘন্টার পরীক্ষা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে, সকাল ১০.০০ ঘটিকা থেকে। এমন পরিস্থিতিতে তিনি বুকভরা হতাশা নিয়ে, কেন্দ্র থেকে ফেরৎ আসতে দেখে ওখানে কর্তব্যরত আমি এবং সিএসবি (সিটি স্পেশাল ব্রাঞ্চ) কোতোয়ালী জোনের অন্যতম চৌকস পুলিশ অফিসার এস.আই খোরশেদ আলম স্যার আমাদের দুজনের বিষয়টি দৃষ্টি গোচর হওয়ায়, আমি কাছে এগিয়ে গিয়ে সেই পরীক্ষার্থীকে জিজ্ঞেস করি যে, কি ব্যাপার আপনি পরীক্ষা না দিয়ে পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে ফেরৎ চলে আসলেন যে? কোন সমস্যা? তখন উক্ত পরীক্ষার্থী ভূল বসত অন্য পরীক্ষা কেন্দ্র চলে আসার কথা বলে চরম হতাশা এবং দুঃখ প্রকাশ করতে থাকে। সেই সাথে যানবহন থামিয়ে তার নির্ধারিত পরীক্ষা কেন্দ্রে যাবার জন্য চেষ্টা করে বাট কোন খালি বাহন না পেয়ে চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার এক পর্যায়ে পরীক্ষায় অংশ না নেয়ার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমাদের জানিয়ে বলে যে, এমনিতেই আমার ভূলের কারনে অনেক সময়ক্ষেপণ করে ফেলছি। তাছাড়া এটা হচ্ছে বিসিএস পরীক্ষা, অল রেডি এখন পরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে যেহেতু, আমাকে এখন আর কেন্দ্রে ঢুকতে নাও দিতে পারে!
তার কথা শুনার পর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পরীক্ষা কেন্দ্রের পাশে অপেক্ষমান কোতোয়ালী থানা পুলিশের ডিউটিতে থাকা টহল গাড়ীযোগে দ্রুত উক্ত পরীক্ষার্থীকে নির্ধারিত পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌছানোর নিমিত্তে আমি এবং এস.আই খোরশেদ আলম স্যারের অনুরোধক্রমে কোতোয়ালী থানা পুলিশের মানবিকতায় ও সার্বিক তড়িৎ ব্যবস্থাপনায় উক্ত "বিসিএস পরীক্ষার্থী" কে শেষ পর্যন্ত তার নির্ধারিত পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়ে "বিসিএস"পরীক্ষায় অংশ গ্রহনও নিশ্চিত করতে সক্ষম হই আমরা।
সংগৃহীত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন