আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ নবিজির সা. রামাদানপূর্ব প্রস্তুতিকে তিনভাগে ভাগ করা যায়:
১. ব্যবহারিক প্রস্তুতি (বেশি বেশি নফল রোজা রাখা)
২. আল্লাহর কাছে দুআর পরিমাণ বৃদ্ধি করা। জিকির বাড়ানো।
৩. আশপাশের মানুষকে বরকতময় রামাদান সম্বন্ধে সচেতন করা।
১. রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শা’বান মাসের মত অন্য কোন মাসে এত অধিক সাওম (রোযা) পালন করতেন না। তিনি অল্প কয়েক দিন ব্যতীত পূরো শা’বান মাসই সাওম (রোযা) পালন করতেন। (সুনানে নাসাঈ: ২১৮০)।
তবে শাবান মাসে ঠিক কতদিন নবিজি সা. রোজা রাখতেন, তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি। তবে, রোজা শুরু হওয়ার আগের কয়েকদিন তিনি রোজা না রেখে শরীরকে বিশ্রাম দেয়ার নির্দেশনাও দিয়েছেন।
উসামা বিন জায়েদ রা. বলেন, আমি রাসুলকে সা. প্রশ্ন করলাম, আপনি শাবান মাসের মতো এতো নফল রোজা অন্য কোনো মাসে রাখেন না। কারণ কি? নবিজি সা. উত্তরে বললেন, কারণ রজব আর রামাদানের মধ্যবর্তী এ মাসটিকে মানুষ গুরুত্ব কম দেয়। অথচ এ মাসে বান্দার আমলগুলোকে ওপরে তার রবের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। আমি চাই, আমার আমলগুলো এমন একটি সময়ে নেয়া হোক, যখন আমি রোজা থাকি। (সুনানে আল নাসাঈ)
২. রাসুল সা. রোজার আগমনের আগেই দুআর পরিমান বাড়িয়ে দিতেন। রোজার চাঁদ দেখার সাথে সাথে দুআর পরিমান আরো বেড়ে যেতো। বিভিন্ন হাদিসগ্রন্থে রাসুলের সা. রামাদান পূর্ববর্তী বেশ কিছু দুআর কথা জানা যায়।
৩. রাসুল সা. সাহাবি ও আশপাশের মানুষের কাছে রোজার বরকত ও নেয়ামতগুলো তুলে ধরতেন। রোজার মাসের ফজিলতগুলো আলোচনা করতেন। এই মাসে নফল নামাজ, দান-সাদাকা, রোগীকে দেখতে যাওয়াসহ সকল নেক আমলের সওয়াব কতটা বেড়ে যায়, তা নিয়ে আলোচনা করতেন।
রাসুলের সা. এ জাতীয় তৎপরতা ও তারবিয়াতি কার্যক্রমের কারণে রামাদান আসার আগেই গোটা মদিনার চেহারা পালটে যেতো। আমরা আমাদের জীবনকে পালটাতে পেরেছি কি? আসুন, সবাই যে যার গন্ডিতে রাসুলের সা. সুন্নাতের আদলে রামাদানের প্রস্তুতি গ্রহণ করি। আল্লাহ আমাদেরকে সাহায্য করুন। আমিন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন