বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০১৬

"কা’বা শরীফের প্রধান ইমাম শায়খ ডঃ আব্দুর রহমান আস-সুদাইসের জীবন কথা"

সঊদি আরবের আল-ক্বাসীম এলাকার বুকাইরিয়া শহরে তার জন্ম হয় ১৩৮২ হিজরীতে। তার মানে ২০১৪ সালে তাঁর বয়েস হলো মাত্র ৫৩ বছর। তিনি ছোট বেলা থেকেই খুব মেধাবী ছিলেন। প্রায় ১২ বছর বয়েসে তিনি পবিত্র কোরআনের হাফিয হন। লেখাপড়া করেছেন রিয়াদে। ১৯৯৫ সালে মক্কার উম্মুল ক্বুরা বিশ্ববিদ্যালয়-এর শরিয়া ফ্যাকাল্টি থেকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন।
তিনি ছোট বেলার একটা ঘটনা বলতে গিয়ে খুব আবেগী হয়ে যান। ছোট বেলায় কি একটা দুষ্টুমি করেছিলেন ফলে তার মা তার ওপর রেগে যান। রেগে গিয়ে বলেনঃ তুই বের হয়ে যা, গিয়ে হারামাইনের ‘ইমাম’ হ।
আল্লাহ সুবহানাহু ও তায়ালা তার আম্মার এই দোয়া কবুল করেছেন। তিনি কা’বা শরীফের ইমাম হওয়ার আগে অনেক ছোটবড় মসজিদের ইমামতিও করেছেন।
তিনি উম্মুল ক্বুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রফেসর। তিনি শরীয়া কোর্টের বিচারপতিও ছিলেন। তাঁর এই গুরু দায়িত্বের পাশাপাশি তিনি সব সময় শিক্ষকতার পেশাকে অত্যন্ত সম্মানের সাথে কাছে টেনে নিয়েছেন। সৌদি সরকারের অনুমোদিত জামেয়াতুল মা’রেফা আল-আলামিয়্যাহ (নলেজ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর) যার শিক্ষকতায় আছেন সৌদি গ্রান্ড মুফতি, ধর্মমন্ত্রী সহ অনেক উচ্চ পদস্থ উলামায়ে কেরাম।
তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা হলো ৯টা এবং আরো ৬ টি গ্রন্থ ও গবেষনা পত্র প্রকাশের অপেক্ষায় আছে।
তিনি খুবই বিনয়ী। সব সময় সাধারণ মানুষদের কাছে থাকতে ও সাথে থাকতে ভালোবাসেন। তিনি এখন কা’বা শরীফ ও মসজিদে নববীর প্রধান ইমাম। কিন্তু এখনও তিনি ক্লিনারদের সাথে বসে ইফতার করতে ও খাবার খেতে পছন্দ করেন। তিনি সব সময় হাস্যোজ্জ্বল থাকেন। সবার সাথে হাসি মুখে মন খুলে কথা বলেন। খুব বিনয়ের সাথে নরম ও মিষ্টিস্বরে কথা বলেন। তিনি হাল্কা কৌতুক করতে ও চুটকি বলতে পছন্দ করেন। তবে, নামাযে দাড়ালেই কেঁদে ফেলেন।
শেখ সুদাইস একবার এক টিভি অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর দিচ্ছিলেন। এমন সময় এক মহিলা ফোন করে বলেনঃ আমি স্বপ্নে দেখেছি যে এক বড় বিখ্যাত শায়খ কা’বা শরীফে উলংগ হয়ে কা’বা শরীফ তাওয়াফ করছেন। তিনি আমার কোন আত্মীয় নন, বা কাছের কেউ নন। কিন্তু আমি তাকে খুব ভালো করেই চিনি। এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা কি?
তখন শেখ সুদাইস বললেনঃ সেই লোকের জন্যে সুসংবাদ, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট আছেন এবং তিনি গুনাহ থেকে মুক্ত হয়েছেন। তখন প্রশ্নকারী মহিলা বললেনঃ আমি যে শায়খকে স্বপ্ন দেখেছি তিনি হলেন ‘আপনি’ (শায়খ সুদাইস)। এ কথা শুনার সাথে সাথেই শায়খ সুদাইস অঝোর ধারায় কেঁদে দিলেন।
‪#‎বিঃদ্রঃ‬ সপ্নব্যাখ্যা একমাত্র তারাই দেয়ার যোগ্য যাদের হাদীস ও এলেমের ওপর বিশেষ জ্ঞান রয়েছে। মুহাদ্দীস ও মুফতী। তাই এখানে শায়েখ নিজেই সপ্নের ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে, 'উলঙ্গ দেখার মানে গুনাহ থেকে পবিত্র হওয়া'। তাই কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।
আল্লাহ্ হজরতকে হায়াতান তায়্যিবা দান করুন। এবং দুনীয়া ও আখিরাতে আরও সম্মানীত করুন। আমিন।।

জামায়াত-শিবির নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেনের দেয়া বক্তব্যকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে জামায়াত

আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ জামায়াত-শিবির নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেনের দেয়া বক্তব্যকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে জামায়াত।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আযাদ।
বিবৃতিতে হামিদ আযাদ বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সর্বৈব মিথ্যা। তার বক্তব্যের জবাবে আমি স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই যে, কোনো ধরনের হামলার পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্রের সাথে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের কোন সম্পর্ক নেই।
কোন জঙ্গি গ্রুপকে দিয়ে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের কোন ঘটনা ঘটানোর প্রশ্নই আসে না। এ সব বক্তব্য পুলিশ কর্মকর্তা মারুফ হোসেনের নিজস্ব মনগড়া। বাস্তবের সাথে তার বক্তব্যের কোন সম্পর্ক নেই। আমরা চ্যালেঞ্জ দিয়ে তাকে বলতে চাই যে, তিনি তার বক্তব্যের সমর্থনে কোন প্রমাণ দেখাতে পারবেন না।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
এমবিএইচ

বিএনপির কমিটি: মোসাদ্দেক আলীর পদত্যাগে বিস্ময়

আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কবিএনপির নতুন কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যানের পদ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মাথায় মোসাদ্দেক আলীর পদত্যাগের ঘটনা বিস্ময় সৃষ্টি করেছে।
মি. আলীর মালিকানাধীন অনলাইন নিউজ পোর্টাল এনটিভি অনলাইনে ছোট করে তার পদত্যাগের খবরটি উল্লেখ করা হলেও কোন কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি।
কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবার প্রায় সাড়ে চার মাস পর শনিবারই শতাধিক সদস্য বিশিষ্ট বিএনপির নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এই কমিটিতে চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরই ভাইস চেয়ারম্যানদের পদাধিকার।

নতুন কমিটিতে মোট ৩৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান রয়েছেন, যার মধ্যে মি. আলী ছিলেন ২২ নম্বরে।
তার পদত্যাগে বিস্ময় প্রকাশ করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাংবাদিক আমানুল্লাহ কবির বলেন, মোসাদ্দেক আলী খালেদা জিয়ার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং বিশ্বস্ত। তার পদত্যাগ নিঃসন্দেহে সবাইকে বিস্মিত করেছে
মি. আলী এর আগে খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ছিলেন।
২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হন ব্যবসায়ী মি. আলী।

এখান থেকেই জাতীয় রাজনীতিতে তার উত্থান পরিলক্ষিত হয়।
পরবর্তীতে তার মালিকানায় জনপ্রিয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির আত্মপ্রকাশ এবং ঢাকার একটি সংসদীয় আসন শূন্য হলে সেটির উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া তার ক্যারিয়ারে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত।

ওই সময়ে এবং পরবর্তীকে মোসাদ্দেক আলী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া তার পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ আস্থাভাজন হিসেবে পরিগণিত হয়েছেন।
গণমাধ্যম ব্যবসায়ী হিসেবে এরই মধ্যে মি. আলী অত্যন্ত শক্ত অবস্থানে পৌঁছেছেন।

বাংলাদেশে অ্যাটকো নামে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের যে সংগঠনটি রয়েছে, মোসাদ্দেক আলী সেটির সভাপতি।

জানা যাচ্ছে চিকিৎসার জন্য মি. আলী এখন থাইল্যান্ডে অবস্থান করছেন এবং লোক মারফৎ তিনি তার পদত্যাগ পত্রটি পাঠিয়ে দিয়েছেন।
নতুন কমিটির একজন সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমানও কমিটিতে থাকতে অনীহা প্রকাশ করেছেন বলে খবরে জানা যাচ্ছে।
-
বিবিসি বাংলা

কুমিল্লা মহানগরী শিবির সভাপতি’র ইন্তিকালে ডা: শফিকুর রহমানের শোক


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ  ইসলামী ছাত্রশিবিরের কুমিল্লা মহানগরী সভাপতি কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হক গত ৫ আগস্ট রাত ৯টায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে নিহত হওয়ায় গভীর শোক প্রকাশ করে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা: শফিকুর রহমান গতকাল শনিবার গভীর শোক প্রকাশ করছেন। 
তিনি আশা করেন যে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ সড়ক দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে দায়ী ব্যক্তিকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করবেন। 
তিনি মরহুমের জীবনের সকল নেক আমল কবুল করে তাকে জান্নাতবাসী করার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেন এবং মরহুমের শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলেন, আল্লাহ তাদের এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।

শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০১৬

খালেদা সম্পর্কে কথা বলার আগে মুখ ধুয়ে নিবেন : শাহ মোয়াজ্জেম


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ বিএনপি নেতা শাহ মোয়াজ্জম হোসেন সরকারের নেতামন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন,  খালেদা জিয়া একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী। তিনি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। তার সম্পর্কে কথা বললে মুখ ধুয়ে কথা বলতে পারস না? এমন মন্তব্য করেন বিএনপির সহ সভাপতি শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন।
চ্যানেল নাইনের সোজাসাপ্টা অনুষ্ঠানে শাহ মোয়াজ্জেমের এসব বক্তব্য তুলে ধরা হয়।
এ সময় তিনি বক্তব্যে আরো বলেন, শেখ সাহেবের মেয়ে হাসিনা যখন খালেদা সম্পর্কে কথা বলে তা মানায়। মন্ত্রীরা খালেদা সম্পর্কে বেয়াদবের মতো কথা বলে। তার মানে তাদের মুখ বড় হয়ে গেছে ? আরে অযু তরা জানিস না আমরা জানি। অযু তদের জানা কথাও না কিন্তু সাবধানে কথা বলিস।
এসময় তিনি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীকে বিশ্বসুন্দরী বলেও আখ্যা দেন। সম্পূর্ণ বক্তব্যটি ভিডিওতে দেয়া আছে ।আস

বানোয়াট অভিযোগে জামায়াতের নেতৃবৃন্দের সন্তানদের প্রতি নজরদারী বাড়ানো সম্পূর্ণ অন্যায় ও অযৌক্তিক


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্ক; ৬ আগস্ট ২০১৬, শনিবার, দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার ১ম পৃষ্ঠায় ৫ আগস্ট প্রকাশিক রিপোর্টে ‘জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের সন্তানদের’ জড়িয়ে যে ভিত্তিহীন মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারী অধ্যাপক মোঃ তাসনীম আলম আজ ৬ আগস্ট প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “গুলশানের রেস্তোরায় ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদ জামায়াতের পাশে জঙ্গি হামলার ঘটনার পেছনে জামায়াত নেতৃবৃন্দের সন্তানদের কোন ধরনের সম্পৃক্ততা ছিল না। কাজেই এ ধরনের বানোয়াট অভিযোগে জামায়াতের নেতৃবৃন্দের সন্তানদের প্রতি নজরদারী বাড়ানো সম্পূর্ণ অন্যায় ও অযৌক্তিক। 
আমাদের সময় পত্রিকায় প্রকাশিত অসত্য রিপোর্টের জবাবে আমি স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই যে, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অর্থায়নে জামায়াতের নেতাদের পরিবারের মদদ থাকার যে ধারণার কথা প্রচার করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অমূলক ও বায়বীয়। 
জামায়াতের সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম, জনাব মীর কাশেম আলী, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সন্তানদের জঙ্গি সম্পৃক্ততার বিষয় সরকারের নীতি-নির্ধারকদের সন্দেহের যে কথা আমাদের সময় পত্রিকার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে তা একেবারে অন্তঃসারশূন্য। জামায়াতের নেতা-কর্মীরা কখনো প্রতিশোধ পরায়ণতার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। কাজেই জামায়াত নেতাদের সন্তানদের জঙ্গিদের সাথে সংশ্লিষ্টতা গড়ে তোলার প্রশ্নই আসে না। 
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বরাত দিয়ে গুলশান ও শোলাকিয়ার জঙ্গিদের সাথে জামায়াতের নেতাদের সন্তানদের যোগসূত্র থাকার যে কথা তিনি শুনেছেন বলে আমাদের সময়ের রিপোর্টে লেখা হয়েছে তার কোন ভিত্তি নেই। এভাবে অসত্য বক্তব্য ছেপে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। 
তাই জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সন্তানদের জড়িয়ে ভিত্তিহীন মিথ্যা রিপোর্ট প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আশা করছি যে, তারা ভবিষ্যতে বস্তুনিষ্ঠ রিপোর্ট প্রকাশ করবেন।”

অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করেছে


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ  শীর্ষ নিউজ ডটকম, আরটিএনএন, আমার দেশ, দৈনিক দিনকাল পত্রিকার অনলাইন সংস্করণসহ প্রায় ৩৫টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে দেয়ার সরকারী সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার গতকাল ৫ আগস্ট প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “কোন কারণ দর্শানো ছাড়াই সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রায় ৩৫টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করার জন্য সরকার বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছে। এ ঘটনার দ্বারা আবারো প্রমাণিত হলো সরকার ভিন্নমত ও সমালোচনাকে কোনভাবেই সহ্য করতে পারছে না। অথচ এ সব অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে সরকারকে সহযোগিতা করছে। 
জনগণের নিকট সরকারের দায়বদ্ধতা থাকলে সরকার এভাবে অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো বন্ধ করতে পারত না। একটি গণতান্ত্রিক দেশে গায়ের জোরে গণমাধ্যমের উপর দলন-পীড়ন শুধু দুঃখজনকই নয় বরং এর সাথে জড়িত সাংবাদিকদেরকেও মানবেতর জীবন-যাপনের দিকে ঠেলে দেয়া হলো। অবশ্য আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই গণমাধ্যমের উপর জুলুম-নিপীড়ন চালায়। এই সরকার ইতোমধ্যেই চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টেলিভিশন, ইসলামিক টেলিভিশন ও আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করেছে।
১৯৭৫ সালের ১৬ জুন মাত্র ৪টি পত্রিকা রেখে বাকী সকল পত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে শত শত সাংবাদিকরদেরকে পথে নামিয়ে দেয়া হয়েছিল। আসলে আওয়ামী লীগ সরকার এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে দেশে একদলীয় শাসনের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে যাদেরকে বাধা মনে করা হচ্ছে তাদেরকেই সরিয়ে দেয়া হচ্ছে এবং তাদের উপর জুলুম-অত্যাচার চালানো হচ্ছে। 
আমি সরকারের এহেন আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অনতিবিলম্বে ৩৫টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।” 

কুমিল্লার ডাঃ মোজাম্মেল হক এর নামাজে জানাজা সম্পন্ন


 বাংলাদেশ বার্তা ৬ আগষ্ট ২০১৬ ইং তারিখ শনিবার: বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির কুমিল্লা মহানগর সভাপতি ডাঃ মোজাম্মেল হক গতকাল রাত ৯টায় এক সড়ক দূর্ঘটনায় ইন্তেকাল করেন েইণ্ণা ইলাইহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজউন)।

আজ  মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির কুমিল্লা মহানগর সভাপতি ডাঃ মোজাম্মেল হক এর প্রথম নামাজে জানাজায় ইমামতি করে বাংলাদেশ জামায়াতের ইসলামী কুমিল্লা মহানগরীর আমীর জনাব কাজী দ্বীন মোহাম্মদ।
হাজার হাজার মানুষ মরহুমের জানাজায় অংশগ্রহণ করে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন।

শুক্রবার, ৫ আগস্ট, ২০১৬

জামায়াত বিহীন জাতীয় ঐক্য রাজনীতি ও ভোটের অঙ্কে মাইনাস নাকি প্লাস ? অলিউল্লাহ নোমান


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  জাতীয় ঐক্যের ডাকে সারা দিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করেছেন ‘বঙ্গবীর’ আবদুল কাদের সিদ্দিকী। 
তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের সময় বীরত্বের পরিচয় দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর রাজাকার অভিযেগে ঢাকার রাজপথে প্রকাশ্যে পিটিয়ে মানুষ খুন করেও বীরত্ব অব্যাহত রেখেছেন। 
জামায়াতে ইসলামীর চিহ্নিত প্রতিষ্ঠান ‘দিগন্ত টেলিভিশনে’ একটি প্রোগ্রাম উপস্থাপনা করেছেন। এর জন্য সম্মানীও নিয়েছেন। 
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী সাজানো নির্বাচনের আগে ঘোষণা করেছিলেন-‘ছাগলের অধীনে নির্বাচন করা যায়। শেখ হাসিনার অধিনে নির্বাচনে যাওয়া যায় না।’ 
বছর না ঘুরতেই নারায়নগঞ্জে একটি উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য নিরঙ্কুশ চেষ্টা করেছেন। নির্বাচন কমিশন তাঁর মনোনয়ন বাতিল করে দিয়েছে। টাঙ্গাইলের উপ-নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর প্রার্থীতা নিয়ে আইনি জঠিলতায় এখনো বিষয়টি বিচারাধীন। নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।
যিনি জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠান উপস্থাপন করে মায়না নিতে পারেন, তাঁর মুখে জামায়াত বিরোধীতা কতটা মানায় সেটা আমার আজকের বিষয় নয়।
২০ দলীয় জোটে জামায়াতে ইসলামী থাকছে. কি থাকছে না এই নিয়ে বিতর্ক চলছে বেশ কিছুদিন থেকে।
জামায়াতে ইসলামী থাকলে বা বের হয়ে গেলে কি হবে এনিয়ে বিস্তর আলোচনা হয় চা-এর টেবিলে। 
১৯৯৮ সালের শেষ দিকে চার দলীয় জোট গঠনের পর থেকে আওয়ামী লীগের প্রধান এজেন্ডা ছিল জোট ভাঙ্গা। 
এতে আওয়ামী লীগ অনেকটা সফলও হয়েছিল। এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি প্রথমে চার দলীয় জোটের বড় শরীক ছিল।
২০০১ সালে নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের চালে জোট থেকে বের হয়ে যান এরশাদ। জাতীয় পার্টি ভেঙ্গে নাজিউর রহমানের নেতৃত্বে একটি অংশ চার দলীয় জোটের শরীক হিসাবে থেকে যায় তখন। নির্বাচনের আগে চরমোহনাই পীরের সাথে জোট বাঁধেন এরশাদ। তাতে এরশাদ বিহীন চার দলীয় জোটে তেমন কোন ক্ষতি হয়নি।
কিন্তু নানা চড়াই উৎরাইয়ে জামায়াতে ইসলামী জোটে অটুট থাকে। ২০০১ সালের ১লা অক্টোবরের নির্বাচনের আগে একটি পত্রিকা জোট ভাঙ্গার লক্ষ্যে নানা উস্কানি দিয়েছে। 
তারপরও জোট অটুট থাকে। নির্বাচনে বিপুল বিজয় লাভ করে এ জোট। তখন আওয়ামী সমর্থক মিডিয়া গুলো বিএনপি-জামায়াত জোট হিসাবে আখ্যায়িত করা শুরু করে।
চার দলীয় জোট শব্দটি তারা এড়িয়ে চলত। আওয়ামী সমর্থক ইন্ডিয়াপন্থি মিডিয়া গুলো চার দলীয় জোটের অপর দুই শরীক ইসলামী ঐক্যজোট এবং জাতীয় পার্টির একাংশকে কোন হিসাবেই নিত না।
তবে জোটের ভেতরে স্বাধীনতার পক্ষ বিপক্ষ হিসাবে সুক্ষ্ম প্রচারণা চালায় পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া গুলো। 
তাদের টার্গেট আওয়ামী-বাম জোটের বিরপীতে জনগনের বিশাল সমর্থন থাকা চার দলীয় জোটকে অস্থির রাখা। জোটের ভেতরে দ্বন্দ্ব জিয়ে রাখা। মানুষকে বিভ্রান্ত করা।
অব্যাহত এ প্রচারণা হালে কিছুটা হলেও সফল হতে চলেছে। আবদুল কাদের সিদ্দিকীর মত ‘বঙ্গবন্ধুর’ আদর্শের ধারক বিএনপি নেতারাও শেষ পর্যন্ত স্বস্তির নি:শ্বাস নিতে শুরু করেছেন।
ইন্ডিয়াপন্থি আওয়ামী মিডিয়া গুলোর ডামাঢোলে নিজেদের বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ প্রমানের জন্য মরিয়া একটি টেবলয়েট পত্রিকা। 
বেশ কিছুদিন থেকে পত্রিকাটি ২০ দলীয় জোটের প্রধান সমস্যা জামায়াতে ইসলামী এটা চিহ্নিত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। 
এই টেবলয়েটটির বিভিন্ন বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন এবং রাজনৈতিক রিপোর্টে আওয়ামী এজেন্ডার পক্ষে নানা যুক্তি এবং উপমা খাড়া করার চেষ্টা করে। 
একতরফা মূল্যায়ন করতে দেখা যায় জামায়াতে ইসলামী জোটে থাকায় সমস্যা কি সেই বিষয়ে।
কিন্তু জামায়াতে ইসলামী জোটে থাকায় বিএনপি’র সুবিধা কি বা অতীতে এতে কি সুবিধা পেয়েছে জোট সেটা তাদের বিশ্লেষণ এবং যুক্তিতে দেখা যায় না।
জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিল এটা চিরন্তন সত্য। মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতার জন্য তারা জাতির কাছে ক্ষমা চায়নি। এটাও সত্য। 
এর জন্য তাদের রাজনৈতিক খেসারত দিতে হচ্ছে এটাও আমরা সবাই জানি। মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতার খেসারত জামায়াতে ইসলামীকে আরো ককদনি দিতে হবে সেটা সময় বলে দেবে। 
মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতার কারনে দল হিসাবে জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ হবে কিনা, সেই প্রশ্নটিও ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। 
সকলের জানা বিষয় গুলোর পুরাতন কাসুন্দি আমি টানতে চাই না।দীর্ঘদিন থেকেই বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী পরস্পরে একসাথে ঘর সংসার করছে।
২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনের পর পার্লামেন্টে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের বক্তব্যে জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর শব্দ প্রয়োগ এবং বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখলে মনো হতো তারা বরং বিএনপি’রই অনুসারী। 
তেমনি ১৯৯১ সালেও বিএনপি’র প্রতি নি:শর্ত সমর্থন জনিয়ে জামায়াতে ইসলামী দল হিসাবে গণতন্ত্রের প্রতি আনুগত্যের পরিচয় দিয়েছিল। 
সে বছর ফেব্রুয়ারীতে জাতীয় নির্বাচনের পর বিএনপি সংখ্যা গরীষ্ঠ আসন পেয়েছিল। কিন্তু সরকার গঠনের মত একক আসন ছিল না। 
তখন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ বলেছিলেন ‘আমি কাকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানাবো? 
সরকার গঠনের মত একক সংখ্যা গরীষ্ঠতা না থাকায় কাউকে আমন্ত্রণ জানাতে পারছি না।
’অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির এ বক্তব্যের পর রাজনৈতিক অস্থিরতার আবাস ছড়িয়ে পড়ে। সেই নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর বিজয়ী ১৮জন সংসদ সদস্য রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করেন। 
তারা রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছিলেন বিএনপি’র প্রতি তাদের নি:শর্ত সমর্থন রয়েছে। এতে অনিশ্চয়তা কেটে যায়। 
সরকার গঠনের মত সংসদ সদস্যের সমর্থন লাভে বেগম খালেদা জিয়ার সমস্যা কেটে যায়। 
পরের দিনই শাহাবুদ্দিন আহমদ সংখ্যা গরীষ্ঠ দলের নেতা হিসাবে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার গঠনে আমন্ত্রন জানান। পরবৰ্তীতে যদিও জামায়ত বিএনপি’র মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। 
যারা সরকার গঠনে বিএনপিকে নি:শর্ত সমর্থন দিয়ে সহযোগিতা করেছিল তাদের দূরে ঠেলে দেয়া হয়। 
এখানেও জাতীয়তাবাদী এবং ইসলামী মূল্যবোধের ভোটব্যাংক বিভক্তির ষড়যন্ত্র কাজ করেছিল কি না সেটা ইতিহাস অনুসন্ধানীরা খোজে বের কবেন।
জাতায়াতে ইসলামীও কম খেলেনি তখন। আওয়ামী লীগের এজেন্ডায় পা রাখে দলটি। 
কেয়ারটেকার সরকারের দাবীতে গড়ে উঠা আন্দোলনে রীতিমত একঘরে হয়ে যায় বিএনপি। 
ক্ষমতা হারাতে হয় জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্যের প্রতীক এ দলটিকে। যদিও ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে একক ভাবে ১১৬আসন পায় বিএনপি। তারপরও পরাজিত হয়।
২৮ থেকে ২০০ ভোটের ব্যবধানে বিএনপি প্রার্থীরা পরাজিত হয় ৩০টির বেশি আসনে।
১৯৯১ সালে ১৮টি আসনে বিজয়ী জামায়াতে ইসলামী ১৯৯৬ সালে ঠেকে ৩ আসনে। নিজেদের ভেতর দূরত্বের খেসারত বিএনপি-জামায়াত দুই দলকেই দিতে হয়েছিল তখন। 
সেটা অনুভব করেই হয়ত: ১৯৯৮ সালের শেষ দিকে জোট গঠনের উদ্যোগ সফল হয়। এই জোটগত নির্বাচনে বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয় আওয়ামী লীগ। 
তখন থেকেই আওয়ামী মিডিয়া, ইন্ডিয়াপন্থি বুদ্ধিজীবী সকলের টার্গেট জোট থেকে জামায়াতকে সরানো।
ভোট ব্যাংক তছনছ করে দেয়া। সরকারে থেকেও বিএনপি’র প্রতি শেখ হাসিনার দাবী একটাই। তাদের জোট থেকে জামায়াতে ইসলামীকে সরিয়ে দেয়া।
জঙ্গিবাদ ইস্যু নিয়ে জাতীয় ঐক্যের ডাকে জামায়াত ইস্যুটিকে আবার সামনে নিয়ে আসা হয়। 
শুরু হয়, দলছুট কতিপয় নেতার নেতৃত্বে গঠিত রাজনৈতিক দলকে নিয়ে ঐক্য গড়ার উদ্যোগ। এই উদ্যোগের অংশ হিসাবেই ‘বঙ্গবীর’ আবদুল কাদের সিদ্দিকীর সাথে যোগাযোগ করে বিএনপি।
তাঁর সাথে বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে সিনিয়র নেতারা দেখা করেন এবং আমন্ত্রণ জানান। এ আমন্ত্রণে সারা দিয়ে তিনি বেগম খালেদা জিয়ার সাথে বৃহস্পতিবার রাতে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন।
বৈঠক থেকে বের হয়ে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা খুবই স্পর্শকাতর। আওয়ামী সমর্থক বিডি নিউজ২৪ কোড-আনকোড করে কাদের সিদ্দিকীর বক্তব্য গুলো প্রকাশ করেছে।
এতে কাদের সিদ্দিকী বলেছেন-আমি জামায়াতরে সঙ্গে রাজনীতি করব না। বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি নয়িে আমি মরতে চাই।
তিনি আরো যা বলেছেন সে গুলো এখানে উল্লেখ নাই বা করলাম। যিনি শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতি নিয়ে মরতে চান তাঁর কাছে কি গণতন্ত্রিক আচরণ আশা করা যায়! 
বিএনপি যদি শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতি করতে চায় তাহলে আওয়ামী লীগের দরকার হবে না। 
এখন বিএনপিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা নিজেদের রাজনীতি করবে, নাকি শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ যারা ধারণ করে তাদের রাজনীতি করবে!!
জাতীয় ঐক্যের সারিতে আরো যাদের নাম শোনা যায় তাদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগ থেকে বিচ্যুত ড. কামাল হোসেন (তিনিও ‘বঙ্গবন্ধুর’ আদর্শ সদা ধারণ করে আছেন), বহুবিভক্ত জাসদের একাংশ আ স ম আবদুর রব-এর নেতৃত্বে জাসদ, 
বিএনপি থেকে বের করে দেয়া বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত বিকল্পধারা।কারো ভুলে যাওয়ার কথা নয়। 
২০১৩ সালে আবদুল কাদের সিদ্দিকী, ড. কামাল হোসেন, বি চৌধুরী, আ স ম আবদুর রব মিলে একটি ঐক্য ফ্রন্ট গঠন করেছিলেন। 
তাদের এ ঐক্য ৩ মাসও স্থায়ী হয়নি। আবদুল কাদের সিদ্দিকী এবং ড.কামাল হোসেন হলেন শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতির ধারক-বাহক।
আ স ম আবদুর রব ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রিত্ব গ্রহন করেছিলেন। ৫ বছর মন্ত্রী ছিলেন তিনি। 
বি চৌধুরীর আনুষ্ঠানিক রাজনীতি বিএনপি দিয়ে শুরু। বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ছিলেন।যেই চার জনকে সামনে নিয়ে জাতীয় ঐক্যের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে রাজনৈতিক ভাবে তাদের প্রভাব কতটা রয়েছে। 
নিরপেক্ষ নির্বাচন হলেও প্রত্যেকের দলের মনোনীত প্রার্থী দূরের কথা। তাদের নিজেদের জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। 
জাতীয় সংসদে তারা কেউ একটি আসন পাওয়ার যোগ্য রাজনৈতিক নেতৃত্ব নন।
খোঁজ নিয়ে যতটা জানা গেছে, জামায়াতে ইসলামীকে বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্য গঠনের মাধ্যমে জাতীয় ফায়দা হলে দলটি দূরে থাকতে প্রস্তুত রয়েছে।
বাংলাদেশে তাদের একজন প্রথম সারির নেতার সাথে টেলিফোনে আলাপকালে জানান, আমরা পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছি-জামায়াতে ইসলামীকে বাদ দিয়ে জাতীয় এক্য গঠনের মাধ্যমে যদি জাতি উপকৃত হয়, বিএনপি’র দলীয় ফায়দা হয় তাতে দূরে থাকতে আপত্তি নেই।
প্রশ্ন হচ্ছে দলছুট, নানা কারনে বিতর্কিত, সারা দেশে শুধু জনবিচ্ছিন্ন নন, নিজের আসনেও জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার আশঙ্কায় থাকা ব্যক্তিদের নেতৃত্বে গঠিত রাজনৈতিক দলকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গঠনে কি জাতীয় ফায়দা হাসিল হবে!!!
প্রশ্ন আসতে পারে ২০ দলীয় জোটে তো নাম সর্বস্ব অখ্যাত ব্যক্তির নেতৃত্বে গঠিত দলও রয়েছে।জুডিশিয়াল মার্ডারসহ নির্যাতন, নিপীড়নের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীর মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিয়েছে সরকার।
মেরুদন্ড না ভাঙ্গলেও বিএনপি কোমর সোজা করে দাড়াতে পারছে না। এই দুই দলকে যারা ভোট দেয় সুযোগ পেলে তারা কম যাবে না। এটা জানেন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ।
১৯৯৬ সালে একক ভাবে নির্বাচন করে বিএনপি ১১৬ আসন পেয়েছিল। তখন এতট মাজা ভাঙ্গা ছিল না। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারীর পর থেকে অব্যাহত ঝড় সামাল দিতে গিয়ে শক্তির অনেক ক্ষয় হয়েছে। যোগ হয়েছে অনেক দুর্নাম। 
যে সমস্যাটা ১৯৯৬ সালে বিএনপি’র ছিল না। তখন সবেমাত্র ক্ষমতা ছেড়ে দেয়া দল। শক্ত সামর্থ্য নাদোস নুদোস বলা চলে। সে তুলনায় সাড়ে ৭ বছরের বেশি নিপীড়নে শক্তি ক্ষয় হয়ে এখন কঙ্কালসার। 
জামায়াতে ইসলামী আরো বেশি রাজনৈতিক ক্ষতির মুখোমুখি দাড়িয়ে অস্থিত্বের সঙ্কটে পড়েছে। তারপও দুই দলের ভোটাররা মানষিকভাবে পরিবর্তন নিজেদের পরিবর্তন করেছে এটা বলার সময় আসেনি।
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনি

জামায়াত নেতা প্রফেসর ড: আবুল হাশেম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে


৪ আগস্ট ২০১৬, বৃহস্পতিবার, গত ৩ আগস্ট রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের আমীর প্রফেসর ড: আবুল হাশেম এবং নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা ইসমাইল হোসেন ও বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা মাকসুদুর রহমানকে পুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আজ ৪ আগস্ট প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “রাজনৈতিকভাবে হয়রানী করার হীন উদ্দ্যেশ্যেই রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের আমীর, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর আবুল হাশেম এবং খালিয়াজুরী উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা ইসমাইল হোসেনকে ও গাবতলী উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা মাকসুদুর রহমানকে পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। তারা সম্পূর্ণ নির্দোষ। 
জামায়াতকে নেতৃত্বশূণ্য করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই প্রফেসর ড: আবুল হাশেম এবং অধ্যক্ষ মাওলানা ইসমাইল হোসেন ও মাওলানা মাকসুদুর রহমানকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রফেসর ড: আবুল হাশেম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সম্মানীত সাবেক শিক্ষক। তাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে হয়রানী করা হচ্ছে। জামায়াতের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রই অত্যন্ত নগ্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে। আমি সরকারের এ ধরনের ফ্যাসিবাদী আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানাচ্ছি। 
রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের আমীর প্রফেসর ড: আবুল হাশেমসহ সারা দেশে জামায়াতের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী