বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ জাতীয় ঐক্যের ডাকে সারা দিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করেছেন ‘বঙ্গবীর’ আবদুল কাদের সিদ্দিকী।
তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের সময় বীরত্বের পরিচয় দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর রাজাকার অভিযেগে ঢাকার রাজপথে প্রকাশ্যে পিটিয়ে মানুষ খুন করেও বীরত্ব অব্যাহত রেখেছেন।
জামায়াতে ইসলামীর চিহ্নিত প্রতিষ্ঠান ‘দিগন্ত টেলিভিশনে’ একটি প্রোগ্রাম উপস্থাপনা করেছেন। এর জন্য সম্মানীও নিয়েছেন।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী সাজানো নির্বাচনের আগে ঘোষণা করেছিলেন-‘ছাগলের অধীনে নির্বাচন করা যায়। শেখ হাসিনার অধিনে নির্বাচনে যাওয়া যায় না।’
বছর না ঘুরতেই নারায়নগঞ্জে একটি উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য নিরঙ্কুশ চেষ্টা করেছেন। নির্বাচন কমিশন তাঁর মনোনয়ন বাতিল করে দিয়েছে। টাঙ্গাইলের উপ-নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর প্রার্থীতা নিয়ে আইনি জঠিলতায় এখনো বিষয়টি বিচারাধীন। নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।
যিনি জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠান উপস্থাপন করে মায়না নিতে পারেন, তাঁর মুখে জামায়াত বিরোধীতা কতটা মানায় সেটা আমার আজকের বিষয় নয়।
২০ দলীয় জোটে জামায়াতে ইসলামী থাকছে. কি থাকছে না এই নিয়ে বিতর্ক চলছে বেশ কিছুদিন থেকে।জামায়াতে ইসলামী থাকলে বা বের হয়ে গেলে কি হবে এনিয়ে বিস্তর আলোচনা হয় চা-এর টেবিলে।
১৯৯৮ সালের শেষ দিকে চার দলীয় জোট গঠনের পর থেকে আওয়ামী লীগের প্রধান এজেন্ডা ছিল জোট ভাঙ্গা।
এতে আওয়ামী লীগ অনেকটা সফলও হয়েছিল। এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি প্রথমে চার দলীয় জোটের বড় শরীক ছিল।
২০০১ সালে নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের চালে জোট থেকে বের হয়ে যান এরশাদ। জাতীয় পার্টি ভেঙ্গে নাজিউর রহমানের নেতৃত্বে একটি অংশ চার দলীয় জোটের শরীক হিসাবে থেকে যায় তখন। নির্বাচনের আগে চরমোহনাই পীরের সাথে জোট বাঁধেন এরশাদ। তাতে এরশাদ বিহীন চার দলীয় জোটে তেমন কোন ক্ষতি হয়নি।
কিন্তু নানা চড়াই উৎরাইয়ে জামায়াতে ইসলামী জোটে অটুট থাকে। ২০০১ সালের ১লা অক্টোবরের নির্বাচনের আগে একটি পত্রিকা জোট ভাঙ্গার লক্ষ্যে নানা উস্কানি দিয়েছে।
তারপরও জোট অটুট থাকে। নির্বাচনে বিপুল বিজয় লাভ করে এ জোট। তখন আওয়ামী সমর্থক মিডিয়া গুলো বিএনপি-জামায়াত জোট হিসাবে আখ্যায়িত করা শুরু করে।
চার দলীয় জোট শব্দটি তারা এড়িয়ে চলত। আওয়ামী সমর্থক ইন্ডিয়াপন্থি মিডিয়া গুলো চার দলীয় জোটের অপর দুই শরীক ইসলামী ঐক্যজোট এবং জাতীয় পার্টির একাংশকে কোন হিসাবেই নিত না।
তবে জোটের ভেতরে স্বাধীনতার পক্ষ বিপক্ষ হিসাবে সুক্ষ্ম প্রচারণা চালায় পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া গুলো।
তাদের টার্গেট আওয়ামী-বাম জোটের বিরপীতে জনগনের বিশাল সমর্থন থাকা চার দলীয় জোটকে অস্থির রাখা। জোটের ভেতরে দ্বন্দ্ব জিয়ে রাখা। মানুষকে বিভ্রান্ত করা।
অব্যাহত এ প্রচারণা হালে কিছুটা হলেও সফল হতে চলেছে। আবদুল কাদের সিদ্দিকীর মত ‘বঙ্গবন্ধুর’ আদর্শের ধারক বিএনপি নেতারাও শেষ পর্যন্ত স্বস্তির নি:শ্বাস নিতে শুরু করেছেন।
ইন্ডিয়াপন্থি আওয়ামী মিডিয়া গুলোর ডামাঢোলে নিজেদের বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ প্রমানের জন্য মরিয়া একটি টেবলয়েট পত্রিকা।
বেশ কিছুদিন থেকে পত্রিকাটি ২০ দলীয় জোটের প্রধান সমস্যা জামায়াতে ইসলামী এটা চিহ্নিত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
এই টেবলয়েটটির বিভিন্ন বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন এবং রাজনৈতিক রিপোর্টে আওয়ামী এজেন্ডার পক্ষে নানা যুক্তি এবং উপমা খাড়া করার চেষ্টা করে।
একতরফা মূল্যায়ন করতে দেখা যায় জামায়াতে ইসলামী জোটে থাকায় সমস্যা কি সেই বিষয়ে।কিন্তু জামায়াতে ইসলামী জোটে থাকায় বিএনপি’র সুবিধা কি বা অতীতে এতে কি সুবিধা পেয়েছে জোট সেটা তাদের বিশ্লেষণ এবং যুক্তিতে দেখা যায় না।
জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিল এটা চিরন্তন সত্য। মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতার জন্য তারা জাতির কাছে ক্ষমা চায়নি। এটাও সত্য।
এর জন্য তাদের রাজনৈতিক খেসারত দিতে হচ্ছে এটাও আমরা সবাই জানি। মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতার খেসারত জামায়াতে ইসলামীকে আরো ককদনি দিতে হবে সেটা সময় বলে দেবে।
মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতার কারনে দল হিসাবে জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ হবে কিনা, সেই প্রশ্নটিও ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে।
সকলের জানা বিষয় গুলোর পুরাতন কাসুন্দি আমি টানতে চাই না।দীর্ঘদিন থেকেই বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী পরস্পরে একসাথে ঘর সংসার করছে।
২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনের পর পার্লামেন্টে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের বক্তব্যে জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর শব্দ প্রয়োগ এবং বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখলে মনো হতো তারা বরং বিএনপি’রই অনুসারী।
তেমনি ১৯৯১ সালেও বিএনপি’র প্রতি নি:শর্ত সমর্থন জনিয়ে জামায়াতে ইসলামী দল হিসাবে গণতন্ত্রের প্রতি আনুগত্যের পরিচয় দিয়েছিল।
সে বছর ফেব্রুয়ারীতে জাতীয় নির্বাচনের পর বিএনপি সংখ্যা গরীষ্ঠ আসন পেয়েছিল। কিন্তু সরকার গঠনের মত একক আসন ছিল না। তখন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ বলেছিলেন ‘আমি কাকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানাবো?
সরকার গঠনের মত একক সংখ্যা গরীষ্ঠতা না থাকায় কাউকে আমন্ত্রণ জানাতে পারছি না।
’অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির এ বক্তব্যের পর রাজনৈতিক অস্থিরতার আবাস ছড়িয়ে পড়ে। সেই নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর বিজয়ী ১৮জন সংসদ সদস্য রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করেন।
তারা রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছিলেন বিএনপি’র প্রতি তাদের নি:শর্ত সমর্থন রয়েছে। এতে অনিশ্চয়তা কেটে যায়। সরকার গঠনের মত সংসদ সদস্যের সমর্থন লাভে বেগম খালেদা জিয়ার সমস্যা কেটে যায়।
পরের দিনই শাহাবুদ্দিন আহমদ সংখ্যা গরীষ্ঠ দলের নেতা হিসাবে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার গঠনে আমন্ত্রন জানান। পরবৰ্তীতে যদিও জামায়ত বিএনপি’র মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়।
যারা সরকার গঠনে বিএনপিকে নি:শর্ত সমর্থন দিয়ে সহযোগিতা করেছিল তাদের দূরে ঠেলে দেয়া হয়।
এখানেও জাতীয়তাবাদী এবং ইসলামী মূল্যবোধের ভোটব্যাংক বিভক্তির ষড়যন্ত্র কাজ করেছিল কি না সেটা ইতিহাস অনুসন্ধানীরা খোজে বের কবেন।
জাতায়াতে ইসলামীও কম খেলেনি তখন। আওয়ামী লীগের এজেন্ডায় পা রাখে দলটি। কেয়ারটেকার সরকারের দাবীতে গড়ে উঠা আন্দোলনে রীতিমত একঘরে হয়ে যায় বিএনপি।
ক্ষমতা হারাতে হয় জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্যের প্রতীক এ দলটিকে। যদিও ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে একক ভাবে ১১৬আসন পায় বিএনপি। তারপরও পরাজিত হয়।
২৮ থেকে ২০০ ভোটের ব্যবধানে বিএনপি প্রার্থীরা পরাজিত হয় ৩০টির বেশি আসনে।
১৯৯১ সালে ১৮টি আসনে বিজয়ী জামায়াতে ইসলামী ১৯৯৬ সালে ঠেকে ৩ আসনে। নিজেদের ভেতর দূরত্বের খেসারত বিএনপি-জামায়াত দুই দলকেই দিতে হয়েছিল তখন।
সেটা অনুভব করেই হয়ত: ১৯৯৮ সালের শেষ দিকে জোট গঠনের উদ্যোগ সফল হয়। এই জোটগত নির্বাচনে বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয় আওয়ামী লীগ।
তখন থেকেই আওয়ামী মিডিয়া, ইন্ডিয়াপন্থি বুদ্ধিজীবী সকলের টার্গেট জোট থেকে জামায়াতকে সরানো।
ভোট ব্যাংক তছনছ করে দেয়া। সরকারে থেকেও বিএনপি’র প্রতি শেখ হাসিনার দাবী একটাই। তাদের জোট থেকে জামায়াতে ইসলামীকে সরিয়ে দেয়া।
জঙ্গিবাদ ইস্যু নিয়ে জাতীয় ঐক্যের ডাকে জামায়াত ইস্যুটিকে আবার সামনে নিয়ে আসা হয়।
শুরু হয়, দলছুট কতিপয় নেতার নেতৃত্বে গঠিত রাজনৈতিক দলকে নিয়ে ঐক্য গড়ার উদ্যোগ। এই উদ্যোগের অংশ হিসাবেই ‘বঙ্গবীর’ আবদুল কাদের সিদ্দিকীর সাথে যোগাযোগ করে বিএনপি।
তাঁর সাথে বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে সিনিয়র নেতারা দেখা করেন এবং আমন্ত্রণ জানান। এ আমন্ত্রণে সারা দিয়ে তিনি বেগম খালেদা জিয়ার সাথে বৃহস্পতিবার রাতে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন।
বৈঠক থেকে বের হয়ে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা খুবই স্পর্শকাতর। আওয়ামী সমর্থক বিডি নিউজ২৪ কোড-আনকোড করে কাদের সিদ্দিকীর বক্তব্য গুলো প্রকাশ করেছে।
এতে কাদের সিদ্দিকী বলেছেন-আমি জামায়াতরে সঙ্গে রাজনীতি করব না। বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি নয়িে আমি মরতে চাই।
তিনি আরো যা বলেছেন সে গুলো এখানে উল্লেখ নাই বা করলাম। যিনি শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতি নিয়ে মরতে চান তাঁর কাছে কি গণতন্ত্রিক আচরণ আশা করা যায়!
বিএনপি যদি শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতি করতে চায় তাহলে আওয়ামী লীগের দরকার হবে না। এখন বিএনপিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা নিজেদের রাজনীতি করবে, নাকি শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ যারা ধারণ করে তাদের রাজনীতি করবে!!
জাতীয় ঐক্যের সারিতে আরো যাদের নাম শোনা যায় তাদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগ থেকে বিচ্যুত ড. কামাল হোসেন (তিনিও ‘বঙ্গবন্ধুর’ আদর্শ সদা ধারণ করে আছেন), বহুবিভক্ত জাসদের একাংশ আ স ম আবদুর রব-এর নেতৃত্বে জাসদ,
বিএনপি থেকে বের করে দেয়া বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত বিকল্পধারা।কারো ভুলে যাওয়ার কথা নয়। ২০১৩ সালে আবদুল কাদের সিদ্দিকী, ড. কামাল হোসেন, বি চৌধুরী, আ স ম আবদুর রব মিলে একটি ঐক্য ফ্রন্ট গঠন করেছিলেন।
তাদের এ ঐক্য ৩ মাসও স্থায়ী হয়নি। আবদুল কাদের সিদ্দিকী এবং ড.কামাল হোসেন হলেন শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতির ধারক-বাহক।
আ স ম আবদুর রব ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রিত্ব গ্রহন করেছিলেন। ৫ বছর মন্ত্রী ছিলেন তিনি।
বি চৌধুরীর আনুষ্ঠানিক রাজনীতি বিএনপি দিয়ে শুরু। বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ছিলেন।যেই চার জনকে সামনে নিয়ে জাতীয় ঐক্যের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে রাজনৈতিক ভাবে তাদের প্রভাব কতটা রয়েছে।
নিরপেক্ষ নির্বাচন হলেও প্রত্যেকের দলের মনোনীত প্রার্থী দূরের কথা। তাদের নিজেদের জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
জাতীয় সংসদে তারা কেউ একটি আসন পাওয়ার যোগ্য রাজনৈতিক নেতৃত্ব নন।
খোঁজ নিয়ে যতটা জানা গেছে, জামায়াতে ইসলামীকে বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্য গঠনের মাধ্যমে জাতীয় ফায়দা হলে দলটি দূরে থাকতে প্রস্তুত রয়েছে।
বাংলাদেশে তাদের একজন প্রথম সারির নেতার সাথে টেলিফোনে আলাপকালে জানান, আমরা পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছি-জামায়াতে ইসলামীকে বাদ দিয়ে জাতীয় এক্য গঠনের মাধ্যমে যদি জাতি উপকৃত হয়, বিএনপি’র দলীয় ফায়দা হয় তাতে দূরে থাকতে আপত্তি নেই।
প্রশ্ন হচ্ছে দলছুট, নানা কারনে বিতর্কিত, সারা দেশে শুধু জনবিচ্ছিন্ন নন, নিজের আসনেও জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার আশঙ্কায় থাকা ব্যক্তিদের নেতৃত্বে গঠিত রাজনৈতিক দলকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গঠনে কি জাতীয় ফায়দা হাসিল হবে!!!
প্রশ্ন আসতে পারে ২০ দলীয় জোটে তো নাম সর্বস্ব অখ্যাত ব্যক্তির নেতৃত্বে গঠিত দলও রয়েছে।জুডিশিয়াল মার্ডারসহ নির্যাতন, নিপীড়নের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীর মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিয়েছে সরকার।
মেরুদন্ড না ভাঙ্গলেও বিএনপি কোমর সোজা করে দাড়াতে পারছে না। এই দুই দলকে যারা ভোট দেয় সুযোগ পেলে তারা কম যাবে না। এটা জানেন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ।
১৯৯৬ সালে একক ভাবে নির্বাচন করে বিএনপি ১১৬ আসন পেয়েছিল। তখন এতট মাজা ভাঙ্গা ছিল না। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারীর পর থেকে অব্যাহত ঝড় সামাল দিতে গিয়ে শক্তির অনেক ক্ষয় হয়েছে। যোগ হয়েছে অনেক দুর্নাম।
যে সমস্যাটা ১৯৯৬ সালে বিএনপি’র ছিল না। তখন সবেমাত্র ক্ষমতা ছেড়ে দেয়া দল। শক্ত সামর্থ্য নাদোস নুদোস বলা চলে। সে তুলনায় সাড়ে ৭ বছরের বেশি নিপীড়নে শক্তি ক্ষয় হয়ে এখন কঙ্কালসার।
জামায়াতে ইসলামী আরো বেশি রাজনৈতিক ক্ষতির মুখোমুখি দাড়িয়ে অস্থিত্বের সঙ্কটে পড়েছে। তারপও দুই দলের ভোটাররা মানষিকভাবে পরিবর্তন নিজেদের পরিবর্তন করেছে এটা বলার সময় আসেনি।
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন