বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

শুক্রবার, ১২ আগস্ট, ২০১৬

সড়ক দূর্ঘটনায় আন্তর্জাতিক ইসলামী বিদ্যালয় চট্টগ্রাম এর ১ ছাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু

আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম-এর ছাত্রীবহনকারী একটি বাস সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হলে ১জন ছাত্রীর মৃত্যু ও আরো ১৩জন আহত হয়েছে বলে আইআইইউসি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ ১১ আগষ্ট’১৬ তারিখ বৃহস্পতিবার আনুমানিক দুপুর ২টার সময় আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম-এর ছাত্রীবহনকারী একটি বাস ক্লাস শেষে ছাত্রীদের নিয়ে সীতাকুন্ড উপজেলার ফকির হাটের কাছে পৌছুলে বিপরীত দিকে ছুটে আসা একটি ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হলে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম-এর ১৩/১৪জন ছাত্রী মারাত্মক আহত হয় এবং আহতদের সাথে সাথে একে খান একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা প্রদান করা হয় পরে সেখান থেকে কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সপ্তম সেমিস্টারের ছাত্রী  কাজী নেহলিনকে মৃত ঘোষণা করে। 
দূর্ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পরপরই আইআইইউসি’র ভাইস চ্যান্সেলল, বোর্ড অব ট্রাস্টীজে৭র সদস্যগণ, ডিনবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা এবং বিপুলসংখ্যক ছাত্রছাত্রী হাসপাতালে ছুটে যান,  আহত ছাত্রীদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
আরো জানা যায়, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম-এর বহদ্দার হাট বাসটার্মিনালের পাশে মেয়েদের জন্য সকল প্রকার সুযোগ সুবিধাসহ নিজস্ব একাডেমিক কমপ্লেক্স রয়েছে, এ যাবত সেখানেই মেয়েদের সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম চলছিল। সম্প্রতি ইউজিসি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করলে শহর থেকে একাডেমিক কার্যক্রম কুমিরা ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের প্রথম সপ্তাহেই এই দূঘটনা ঘটলো।।

মঙ্গলবার, ৯ আগস্ট, ২০১৬

সন্তানের মায়ায় ধর্ম ত্যাগ ! অতঃপর নিজের ও সন্তানের জীবন বাঁচাতে এক মহীয়সী মায়ের অনন্য এক কঠিন সংগ্রাম

 দু’দিন ধরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে বসে থাকা নওমুসলিম মহিলা
আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ সন্তানের জীবন বাঁচাতে দু’দিন ধরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে বসে আছেন এক নওমুসলিম মহিলা। যে কোন একজন সাংবাদিকের সাথে কথা বলতেই তিনি দু’দিন ধরে সেখানে বসে আছেন।প্রেসক্লাবে ঢুকতে চাইলে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রহরীরা তাকে ঢুকতে দেয়নি। সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে প্রেসক্লাবের মেইন গেইটে কথা হয় জান্নাতুল ফেরদৌস হুমায়রা নামের উক্ত মহিলার সাথে। সাথে আছে আড়াই বছরের শিশু সন্তান ইয়াসিন আরাফাত । একটি ছোট কাপড়ের থলে নিয়ে বসে আছেন তিনি। এগিয়ে গিয়ে কথা বলতেই উক্ত মহিলা কেঁদে উঠেন। বলেন আপনি সাংবাদিক ? ভাই আমি গত দু’দিন ধরে এখানে বসে আছি আপনার মত একজন সাংবাদিকের সাথে আমার দুঃখের বিষয়টি বলার জন্য। কিন্তু আমাকে ভিতরে ঢুকতে দিচ্ছেনা দারোয়ানরা।
কাছে গিয়ে কি সমস্যা জানার চেষ্টা করি। জান্নাতুল ফেরদৌস নামের উক্ত মহিলা জানান, গত ফেব্রুয়ারী মাসে তাঁর আড়াই বছরের শিশু সন্তানের (পুত্র) ঘুমের মধ্যে মুসলমানদের যে খতনা হয় তা অলৌকিক ভাবে হয়ে যায়। এর পর বিষয়টি নিয় তারা ডাক্তারের পরামর্শ নেন। ডাক্তার তাদেরকে বলেন এটা সৃষ্টি কর্তার পক্ষ থেকে হয়েছে এতে তাদের করার কিছু নাই। এর পর বিষয়টি নিয়ে তাদের পরিবারে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। হুমায়রা ছিলেন মুলত হিন্দু তার আগের নাম পুজা ভট্টচার্য্য পিতা শ্যামল ভট্টচার্য্য আর স্বামীর নাম বিজয় ভট্টচার্য্য । নগরীর বায়েজিদ ওয়াপদা কলোনি এলাকায় তাদের পৈত্রিক বাড়ী।
তার স্বামীর বাড়ী হাটহাজারির কলেজ গেইট নাপিত পাড়ায়। চার বছর আগে বিজয়ের সাথে পুজার বিয়ে হয়। বিজয় পেশায় একজন বাস ড্রাইভার।
নিজের আড়াই বছরের পুত্র সন্তানের এমন হওয়ার পর তার স্বামী এবং শশুর বাড়ীর লোকজন ছেলেটিকে রাখতে রাজি নন। তারা শিশু সন্তানটিকে কোন মুসলিম পরিবারের কাছে দিয়ে দেয়ার জন্য পুজার উপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। কিন্তু নিজের সন্তানের মায়া ত্যাগ করতে পারেনি পুঁজা। এক পর্যায়ে সন্তানের জন্য তিনিও হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে গত মার্চ মাসের ১৬ তারিখ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
বর্তমানে তার নাম রেখেছে জান্নাতুল ফেরদৌস হুমায়রা। আর শিশু সন্তানের নাম ইয়াছিন আরাফাত। শিশু সন্তান নিয়ে নিজে  ইসলাম ধর্ম গ্রহন করার কারনে তার স্বামী তাকে তালাক প্রদান করে। তালাক প্রাপ্ত হয়ে শশুরবাড়ী থেকে বের হয়ে আসলেও নিজের বাপের বাড়িতে জায়গা হয়নি হুমায়রার।
এছাড়া তার স্বামী তাকে নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে । তার শিশু সন্তানকে মেরে ফেলবে বলে ধমকাচ্ছে।
এর পর হুমায়রা কিছুদিন বায়েজিদ সেনানিবাস এলাকায় এক সেনা কর্মকর্তাও বাসায় ঝি এর কাছ করে। বর্তমানে সেটিও ছেড়ে দিয়ে ইপিজেড এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরী নিয়েছে বলে জানান তিনি। হুমায়রা জানান ব্যক্তিগতভাবে তিনি ডিগ্রী পাশ একজন মহিলা। উক্ত নওমুসলিম মহিলা জানান, বিষয়টি নিয়ে গত ৪/৫ দিন আগে বায়েজিদ থানায় গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। সাধারন ডায়রী করতে চাইলে মিজানুর রহমান নামে এক পুলিশ কর্মকর্তা তার কাছে ৫০০ টাকা আর মামলা করতে চাইলে ৩হাজার টাকা দাবী করেন। তবে বায়েজিদ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মহসিন জানান,এ ধরনের কোন মহিলা এসেছে বলে তার কাছে কোন তথ্য নেই। আর মিজান নামের যে পুলিশ কর্মকর্তার কথা বলছেন তিনি গত কয়েকদিন ধরে থানায় ডিউটি অফিসারের দায়িত্বেও ছিলেননা। তবুও বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান তিনি।
হুমায়রা জানান, বর্তমানে তার সন্তান নিয়ে তিনি রীতিমত নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। তাঁর শিশু সন্তানকে মেরে ফেলবে বলে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে স্বামী। এ ছাড়াও এর আগে একবার গরম পানি দিয়ে সন্তানের মুখ জলসে দিয়েছিল বলেও জানান তিনি। তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেছেন। সূত্রঃ চট্টগ্রাম ডেইলী

"মুসলমানরা সন্ত্রাসের স্বীকার" : সমস্যা. জটিলতা ও প্রতিকুলতার সকল মুকাবিলার জন্যই প্রয়োজন শক্ত ঈমানের

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  পৃথিবীর বিজ্ঞান ভূখন্ডের বিভিন্ন পরিবেশে ইসলামী উম্মাহর অধিবাস হওয়ার ফলে স্বভাবতই তাদেরকে অনুকুল-প্রতিকুল বিভিন্ন সমস্যা ও পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। কখনো তাদের জীবনে গতি সজীবতা ও প্রাণচাঞ্চল্য। কখনো আবার নেমে আসে সীমাহীন নির্র্জীবতা অবসাদ ও হীনস্মন্যতা। কখনো শিকার হয় সংঘাত সংঘর্ষের এবং নিপীড়ন-নির্যাতনেরা। কখনো বা মুকাবিলা করে তাহজীব-তমদ্দুন ও সভ্যতা-সংস্কৃতির মতো গুরুতর সমস্যার কিংবা বৈষয়িক ও রাজনৈতিক প্ররোচনা প্রলোভনের। জীবন কখনও হয় সম্পদ প্রাচুর্যে পরিপুর্ণ: আবার কখনো চরম দৈন্য ও দারিদ্র-পীড়িত। কখনো তাদের উপর চেপে বসে কোন স্বৈরাচারী ও জালিম শাসক। কখনো বা তাদের ভাগ্য নিয়ে পৈশাচিক খেলায় মেতে ওঠে রাজনীতির পাকা খেলোয়াড় দল। এমনি ধরনের আরো অসংখ্য সমস্যা জটিলতাও প্রতিকুলতা আছে তাদের ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে। এ সকল সমস্যা. জটিলতা ও প্রতিকুলতার সকল মুকাবিলার জন্যই প্রয়োজন শক্ত ঈমানের। উহার প্রতিটি সদস্য ও শ্রেণীকে ত্যাগ ও কুরবানী এবং আনুগত্য ও সম্পর্কের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ করা। মানুষ বুদ্ধি সর্বস্ব কোন জীব নয়, নয় প্রাণহীন কোন যন্ত্র। বরং বুদ্ধি ও হৃদয় বিশ্বাস ও অনুভূতি এবং আনুগত্য ও প্রেমের সমন্বয়েই মানুষের পূর্ণতা।

সোমবার, ৮ আগস্ট, ২০১৬

সন্ত্রাস দমনের জন্য প্রয়োজন আল কুরআনের শিক্ষা - আবদুল হালীম খাঁ

আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ  বর্তমান বিশ্বের প্রতিটি দেশই অসংখ্য সমস্যায় জর্জরিত। আর দিনের পর দিন একেকটি নতুন নতুন সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এসব সমস্যার মধ্যে সন্ত্রাস এখন মহামারী ব্যাধির মতো প্রকট আকার ধারণ করে ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। এ সমস্যায় শুধু দেশ এবং জাতিই নয়, সমাজের প্রতিটি মানুষই অশান্তির আগুনে জ্বলছে। দেশের সকল উন্নতি ও অগ্রগতির পথ পদ্ধতি ও পরিকল্পনা ব্যাহত হচ্ছে।সন্ত্রাস কারোই কাম্য নয়। তবু সন্ত্রাস জনজীবনকে ভয়াবহ করে ফেলেছে। কেন এ সন্ত্রাস? এর কারণ কী?দেশের শাসক ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ সন্ত্রাস দমনের জন্য যত রকম আইন জারি ও পন্থা অবলম্বন করছে ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ব্যাপক আকার ধারণ করছে। প্রতিটি সন্ত্রাসই একটা বিদ্রোহ এক অপশক্তির বিস্ফোরণ। সন্ত্রাসের বহিঃপ্রকাশ যেখানে ঘটে তার উত্পত্তির স্থল সেখানে সীমাবদ্ধ নয়, তার জন্ম আরো দূরে ও গভীরে। সন্ত্রাসের নিশ্চয়ই একটা কারণ আছে, তা ন্যায় বা অন্যায় যাই হোক।সন্ত্রাসের জন্ম হঠাত কোথাও হয় না। শারীরিক ব্যাধির মতো তা আস্তে আস্তে চোখের আড়ালে বৃদ্ধি পেতে থাকে। যথাসময়ে সঠিক রোগ নির্ণয় করে সঠিক ওষুধের ব্যবস্থা করলে তা নিরাময় সহজ হয়। তা না করে হাতুড়ে ডাক্তারের ব্যবস্থায় অপারেশন করে শরীর ক্ষত-বিক্ষত করলে রোগ সারে না বরং আরো বৃদ্ধি পায় এবং সমস্ত শরীর রোগাক্রান্ত হয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে। সমাজ দেহের অবস্থা ঐ একই রূপ।
আমাদের সমাজ ও বিশ্বের দিকে তাকালে দেখা যায় এক সন্ত্রাস দমনের জন্য আরেকটি সন্ত্রাস সৃষ্টি করা হয়। এক মারণাস্ত্র প্রতিরোধের জন্য তার চেয়ে আরো বেশি গুণ শক্তিশালী মারণাস্ত্র তৈরি করা হচ্ছে। সারা বিশ্বে শুরু হয়েছে সন্ত্রাস দমনের জন্য মারণাস্ত্রের প্রতিযোগিতা। তাই কোনো দেশেই সন্ত্রাস দমন হচ্ছে না বরং আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। সারা বিশ্বটাই এখন সন্ত্রাসের শিকারে পরিণত হয়েছে। বিশ্বটা এখন সন্ত্রাসে সন্ত্রাসে এমন ঘোলাটে হয়ে গেছে যে, বোঝা যাচ্ছে না কে সন্ত্রাসী আর কে সন্ত্রাসী নয়, কে শন্তিকামী আর কে অশান্তি সৃষ্টিকারী।আফগানিস্তান, ইরাক, ফিলিস্তিন, লিবিয়া, কাশ্মীর, মায়ানমার, মিসর, সিরিয়া, তুরস্কে যে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে তা কি সন্ত্রাসের ফল নয়? সন্ত্রাস করে সন্ত্রাস দমন করা সম্ভব হয়েছে কোথায়ও?আল কুরআনে রয়েছে সন্ত্রাসসহ যাবতীয় অন্যায় অনাচার, বিশৃঙ্খলা ও অশান্তির সমাধান। এমন কোনো সমস্যা নেই যার সমাধান কুরআনে নেই। কুরআনে মানুষের কল্যাণ, উন্নতি ও শান্তির সব কিছু ভরে দেয়া হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেছেন : ‘এ কিতাবে আমরা কোনো কিছুই বাদ দিইনি।’ (সূরা আনআম : ৩৮)আল্লাহতায়ালা সন্ত্রাসীদের স্বভাব চরিত্র ও কথাবার্তা কুরআনে বলে দিয়েছেন : ‘তাদেরকে যখন বলা হয় পৃথিবীতে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করো না, তখন তারা বলে, আমরাই তো শান্তি স্থাপনকারী। সাবধান, নিশ্চয়ই এর্ াফ্যাসাদ সৃষ্টিকারী, কিন্তু তারা বুঝতে পারে না।’ (সূরা বাকারা : ১২, ১৩)সন্ত্রাস দমন করতে চাইলে দেশ ও জাতির কল্যাণ করতে চাইলে সর্বোপরি নিজের ইহকাল ও পরকালের কল্যাণ চাইলে একমাত্র আল কুরআনের বিধান মানতে হবে। অন্য কোনো মানবরচিত বিধিবিধান অবলম্বন করলে এবং অন্য কোনো সমস্যাই দূর হবে না। কোনো ভাষণ হুমকি ধমকি জোর জুলুমে কোনো কাজ হবে না এবং অশান্তি সৃষ্টি ছাড়া শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে না। কোথাও কোনো সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটলে কোনো কোনো কর্তা ব্যক্তিগণ সঠিক তথ্য না জেনেই ফস করেই মিডিয়ায় বলে ফেলেন ‘অমুকে এ ঘটনা ঘটিয়েছে’। এর ফলে প্রকৃত সন্ত্রাসীরা আড়ালে অধরা থেকে যায়, তারা আরো বিপুল উত্সাহে অপকর্ম করার সুযোগ পেয়ে যায়।
এভাবে হিংসাবশতঃ অনুমান করে ডাহা মিথ্যা নতুন আরেক সন্ত্রাস সৃষ্টি হয়।আল কুরআনেই রয়েছে, সকল সমস্যার সমাধান ও শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ নির্দেশ। হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সা.)কে বলতে শুনেছি যে, সাবধান থাক। অচিরেই ভুল ফিতনা বা ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়বে। আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল (সা.) তা থেকে বাঁচার উপায় কি? তিনি বলেন, আল্লাহর কিতাব, যাতে তোমাদের পূর্ব পুরুষদের ঘটনা বিদ্যমান এবং ভবিষ্যত কালের খবরও বিদ্যমান। আর তাতে তোমাদের জন্য উপদেশাবলী ও আদেশ নিষেধ রয়েছে, তা সত্য ও অসত্যের মধ্যে ফয়সালা দানকারী এবং তা উপহাসের বস্তু নয়। যে কেউ তাকে অহঙ্কারপূর্বক পরিত্যাগ করে, আল্লাহ তাকে ধ্বংস করেন। আর যে ব্যক্তি তাঁর হিদায়াত ছাড়া অন্য হিদায়াত সন্ধান করে আল্লাহ তাকে পথভ্রষ্ট করেন। তা (কুরআন) আল্লাহর দৃঢ় রশি, মহাজ্ঞানীর বক্তব্য ধারণকারী গ্রন্থ এবং সহজ ও সরল পথের দিক নির্দেশনাকারী, যা দ্বারা মানুষের অন্তঃকরণ কলুষিত হয় না, মানুষ সন্দেহে পতিত হয় না এবং ধোঁকা খায় না। তার দ্বারা আলেমগণ তৃপ্তি লাভ করে না (আলেমগণের তা থেকে জ্ঞান লাভ করা শেষ হয় না)। বার বার পাঠ করলেও পুরনো হয় না, তার অভিনবত্বের শেষ হয় না। যখনই জীনজাতি তা শুনলো, তখনই সাথে সাথে তারা বলল, নিশ্চয়ই আমরা আশ্চর্য কুরআন শুনেছি, যা সত পথের দিকে লোককে ধাবিত করে। সুতরাং আমরা এর প্রতি ঈমান এনেছি। যে ব্যক্তি কুরআন মুতাবেক কথা বলল, সে সত্যই বলল, যে তাতে আমল করলো, সওয়াব প্রাপ্ত হলো, যে কুরআন মুতাবেক হুকুম করল সে ন্যায় বিচার করল, যে ব্যক্তি কুরআনের দিকে মানুষকে ডাকবে, সে সত পথ প্রাপ্ত হবে’। (তিরমিজী শরীফ)
আধুনিক শিক্ষিত অনেক মুসলমান মনে করেন কুরআন হলো সেকেলে, মোল্লা মুন্সীদের কেতাব, নামাজ, রোজা, হজ জাকাতের কিতাব। আধুনিক বিজ্ঞানের উন্নতি ও অগ্রগতির কালে এটা অচল।এই কুরআন আসলে কী? এর মর্যাদা ও গুরুত্ব কত অপরিসীম তা যাদের জানা নেই তারাই এমনি বাজে কথা বলে থাকেন। আসলে এটি শুধু ধর্মগ্রন্থ নয়, ঝাঁড় ফুঁক তাবিজ কবজের কিতাব নয়। এটি শুধু সওয়াবের তিলাওয়াত বা হেফজ করে রাখার কিতাব নয়। শতাব্দীকাল যাবত প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী কুরআন শুধু মুসলমানদের ধর্মীয় কিতাব হিসাবে নির্দিষ্ট হয়ে আছে। কিন্তু কুরআন মজীদ সর্বকালের সমগ্র মানব জাতির জীবন পরিচালনার অভ্রান্ত নির্দেশিকতামূলক অতুলনীয় গ্রন্থ। এ কুরআন অধ্যয়ন করলে দেখা যাবে, কুরআন শুধু নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ও জান্নাত জাহান্নামের কথা বলে না, কুরআন মানব জীবনের প্রয়োজনীয় সকল কথাই সুস্পষ্টভাবে বলে। এ মহাগ্রন্থে রয়েছে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, অর্থনীতি, শ্রমনীতি শিক্ষানীতি, সমাজনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, সমরনীতি, সন্ধিনীতি, সাংস্কৃতিক নীতি, রাষ্ট্র ও সামষ্টি জীবনাচারের নীতিমালা, পরস্পরের সাথে চুক্তি। বিয়ে, তালাক, সন্তান-সন্তুতি প্রতিপালননীতি, উত্তরাধিকার আইন, ফৌজদারী দণ্ডবিধি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি।
সততা, স্বচ্ছতা, ব্যবসা-বাণিজ্য নীতিসহ ইহকাল ও পরকালের জবাবদিহিতা তথা সামগ্রিক জীবন পরিচালনার সকল বিষয়ের বিস্ময়কর সমন্বয়। এদিক থেকে গোটা বিশ্বে কুরআনের সমার্থক বা তুলনীয় দ্বিতীয় আরেকটি গ্রন্থের অস্তিত্ব নেই। ঠিক এ কারণে ই বলা হয়, মহাগ্রন্থ আল কুরআন মহাবিশ্বের মহাবিস্ময়। বিংশ শতাব্দী বা একবিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞানীরা যে সকল তথ্য ও উপাত্ত পৃথিবীবাসীর সম্মুখে পেশ করে সমগ্র মানবমণ্ডলীকে চমকে দিচ্ছেন, তার তুলনায় সর্বাধিক নির্ভুল অভ্রান্ত অপরিবর্তনীয় বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্ত পবিত্র কুরআন চৌদ্দশত বছর পূর্বেই মানবজাতিকে জানিয়ে দিয়েছে। বর্তমান বিজ্ঞানীরা তা নতুন আঙ্গিকে প্রকাশ করছেন মাত্র।বিশ্ব মানবতার মুক্তির সনদ এই কুরআন মহান আল্লাহর এক চিরন্তন ও শাশ্বত কিতাব।নবী করীম (সা.) কুরআন মজীদ সম্পর্কে বলেছেন, কুরআন কোনোদিন পুরাতন বা জীর্ণ হবে না, এর আশ্চর্য ধরনের বিস্ময়কারীতা কখনো শেষ হবে না। কুরআন হচ্ছে হিদায়াতের মশাল এবং এই কিতাব জ্ঞান বিজ্ঞানের এক কুলকিনারাহীন অগাধ জলধি’। (তিরমিজী শরীফ)আল কুরআন মানুষকে সকল প্রকার অন্যায়, অনাচার, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস থেকে বিরত থাকার এবং সত কাজ করার নির্দেশ দেয়। যারা আল কুরআনের শিক্ষায় শিক্ষিত তারাই একমাত্র এ সকল মহত গুণের অধিকারী হতে পারে।মহান আল্লাহ বলেন, তোমাদেরকে উত্তম জাতি হিসেবে সৃষ্টি করা হয়েছে। তোমাদের কাজ হলো, তোমরা মানুষকে সত পথের দিকে আহ্বান করবে এবং অন্যায় ও পাপ কাজ থেকে বিরত রাখবে। (সূরা আলে ইমরান : ১১০)তিনি আরো বলেছেন, নামাজ কায়েম করো, নিশ্চয়ই নামাজ মানুষকে লজ্জাহীনতা, অশ্লীলতা ও সর্বপ্রকার পাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।’(সূরা আল আনকাবুত : ৪৫)
হজরত আবু উমামা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, এক ব্যক্তি রাসূল (সা.)কে জিজ্ঞেস করল, ঈমান কাকে বলে তার নিদর্শন বা পরিচয় কি? উত্তরে তিনি বললেন, তোমাদের ভালা কাজ যখন তোমাদের আনন্দ দান করবে এবং খারাপ কাজ ও অন্যায় কাজ তোমাদিগকে অনুতপ্ত করবে তখন তুমি বুঝবে যে, তুমি মুমিন। (মুসনাদে আহমদ)মহান আল্লাহ বলেন, তোমাদের মধ্যে অবশ্যই একটা দল থাকবে, যারা জাতির লোকদেরকে আহ্বান করবে কল্যাণ ও ন্যায় পথের দিকে এবং বিরত রাখবে অকল্যাণ ও অন্যায় থেকে।’ (সূরা আলে ইমরান : ১০৪) হজরত জাবির ইবনে আবদিল্লাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, যে মানুষের প্রতি অনুগ্রহ করে না আল্লাহও তার প্রতি অনুগ্রহ করেন না।’ (বুখারী শরীফ)হুমকি ধমকি দিয়ে নয়, জোরজবরদস্তি করে নয়, সন্ত্রাস দমনের জন্য প্রয়োজন আল কুরআনের শিক্ষা। একমাত্র আল কুরআনের শিক্ষা মানুষের স্বভাব চরিত্র আচার-আচরণ সংশোধন ও পরিশুদ্ধ করতে পারে। এ শিক্ষাব্যবস্থা মহান স্রষ্টার সকল দেশের সকল যুগের সকল মানুষের জন্য উপযোগী। আল কুরআনের এই শিক্ষা উঠিয়ে দিয়ে মানুষের তৈরি-পরিকল্পিত শিক্ষার কারণে শিক্ষার্থীরা এখন সুশিক্ষা পাচ্ছে না। সৎ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ পাচ্ছে না। পাচ্ছে অশিক্ষা-কুশিক্ষা। এই কুশিক্ষার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেও তারা হচ্ছে খুনী, সন্ত্রাসী, চোর, ডাকাত, দুর্নীতিবাজ ও নারী নির্যাতনকারী। তাদের মধ্যে আল্লাহর ভয় নেই, পরকালে বিশ্বাস নেই, লজ্জা শরম নেই, মানবতা বোধ নেই। তাদের মধ্যে সত্যমিথ্যার জ্ঞান নেই, হালাল হারামের জ্ঞান নেই। তাদের অধীনে কেউ নিরাপদ নয় এবং কোনো জিনিসও নিরাপদ নয়। তারা যেখানে থাকবে সেখানেই সন্ত্রাস ও অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে। তারা এখন শুধু পুকুর চুরি করে না, তারা সাগর মহাসাগর চুরি করে, তারা এখন আর দু’চার বাড়ি বা দু’একটা গ্রাম লুট করে না, তারা আস্ত দেশ লুট করা শুরু করেছে। এর মূল কারণ হলো তাদের মধ্যে আল্লাহ ও পরকালের ভয় নেই-বিশ্বাস নেই। প্রকৃত আল্লাহর ভয় থেকে যে শিক্ষা শুরু হয় সেটিই প্রকৃত কল্যাণকর শিক্ষা এবং সেটিই প্রকৃত জ্ঞান ও ইসলামী জীবন দর্শন। আল কুরআনে আল্লাহতায়ালা অনেক স্থানে বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করে বার বার বলেছেন ‘আল্লাহকে ভয় করো,’ ‘আমাকে ভয় করো’।
বার বার আল্লাহকে ভয় করার নির্দেশ দেয়ার কারণ কী? এর তাত্পর্য কী?আল্লাহকে ভয় করার মধ্যে রয়েছে সকল প্রকার কল্যাণ, শান্তি, উন্নতি, সফলতা ও মুক্তি। আল্লাহতায়ালা বলেছেন, হে ঈমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় করো, যেভাবে ভয় করা উচিত। আর সত্যিকার মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না। (সূরা আলে ইমরান : ১০২)তিনি আরো বলেছেন, অতএব তাদের ভয় করো না, কেবল আমাকেই ভয় করো, যাতে আমি আমার অনুগ্রহ পূর্ণরূপে তোমাদের দান করতে পারি এবং তোমরা সৎ পথে পরিচালিত হতে পারো।’ (সূরা বাকারা : ১৫০)এ আয়াত থেকে এ কথাও বুঝা যায় সত পথে পরিচালিত হওয়ার জন্য অন্তরে আল্লাহর ভয় প্রয়োজন।আরো ইরশাদ হয়েছে : তোমরা আল্লাহকে ভয় করো আর তিনি তোমাদের শিক্ষা দিয়েছেন। আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ। (সূরা বাকারা : ২৮২)রুহুল মায়ানীতে বর্ণিত হয়েছে, ‘আল্লাহকে ভয় করো’ অর্থ হচ্ছে তিনি যা আদেশ করেছেন তা করা এবং তিনি যা নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাকা। আর আল্লাহ তোমাদেরকে শিখিয়েছেন এর অর্থ হলো, তিনি (আল্লাহ) তাঁর আইন কানুন যা তোমাদের আকর্ষণীয় বস্তুগুলো ঘিরে রয়েছে। আর এ কারণেই কান্না আসবে তোমাদের।’আমাদের যুব সমাজ আদর্শহীন শিক্ষায় শিক্ষিত। প্রকৃত মানবিক গুণ বিকাশের শিক্ষা এগুলো নয়, এগুলো হচ্ছে চরিত্র ধ্বংসকারী শিক্ষা। তাই তারা শিক্ষা জীবন থেকে শুরু করে সারা কর্মজীবন অন্যায়, অনাচার, দুর্নীতি, খুন, সন্ত্রাস, লুটপাট ব্যভিচারসহ যাবতীয় অপকর্মে লিপ্ত থাকে।অন্যদিকে আল কুরআনের শিক্ষায় শিক্ষিত সমাজ আল্লাহ ও পরকালে ভয় করে, ভালো কাজে পুরস্কার ও অন্যায় কাজের শাস্তি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে। তাই তারা সকল অন্যায় অপকর্ম, সন্ত্রাস, দুর্নীতি থেকে দূরে থাকে। শুধু তাই নয়, অন্যান্য মানুষকে অন্যায় অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করে, এ চেষ্টা করাকে তারা সওয়াবের কাজ মনে করে।মহান আল্লাহ বলেন : তোমরাই সর্বোত্তম জাতি। তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে সমগ্র মানব জাতির জন্য’। (আলে ইমরান)নবী করীম (সা.) বলেছেন, তোমরা নম্রতার সঙ্গে কাজ করার জন্য প্রেরিত হয়েছে, কঠোরতার মধ্যে নিক্ষেপ করার জন্য প্রেরিত হওনি। (বুখারী শরীফ)
আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন : তোমরা সত্কর্মের নির্দেশ দাও, দুষ্কর্ম থেকে বিরত রাখ এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান পোষণ কর। অর্থাত যে বিশেষ কাজের জন্য মুসলমানদের সৃষ্টি করা হয়েছে তা হচ্ছে তারা গোটা মানবজাতিকে যাবতীয় অন্যায় অনাচার, দুর্নীতি সন্ত্রাস থেকে বিরত রাখবে এবং ভালো কাজের পথে পরিচালিত করবে।আল কুরআনের শিক্ষাকে লঙ্ঘন করলে সমাজে যে সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় তা কঠোরভাবে দমনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘কোনো দুষ্কৃতি বা জুলুম বিকাশ বৃদ্ধিতে কোনো রূপ সহায়তা করো না।’# ‘যে কেউ চুরি করবে তার হাত কেটে দাও’।# যে কেউ ব্যভিচার করবে তার শাস্তি স্বরূপ একশ বেত্রাঘাত কর।’# যে কেউ সতী সাধ্বি নারীর উপর জিনার অপরাধ চালাবে, তাকে আশিটি চাবুক মারো।# যে ব্যক্তি কাউকে ইচ্ছেকৃতভাবে হত্যা করবে, তার শিরñেদ করো।# যে একজন মানুষকে হত্যা করল সে সমস্ত মানবজাতিকে হত্যা করল।আজ বিশ্বের দু’একটি দেশ বাদে কোথাও কুরআনের আইন প্রতিষ্ঠিত নেই। তাই সন্ত্রাস অন্যায় প্রতিরোধের জন্য মানব রচিত বস্তা বস্তা আইন থাকা সত্ত্বেও অন্যায়, সন্ত্রাস, জুলুম, নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না বরং তা লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।কুরআন শিক্ষার ব্যবস্থা করলে, কুরআনি আইন চালু থাকলে কোনো দেশেই এতো অসংখ্য অন্যায় দুর্নীতি সন্ত্রাস সংঘটিত হতো না। আল্লাহ ও পরকালের শাস্তির ভয় যাদের মধ্যে আছে তারা কোনো প্রকার অন্যায় অপকর্ম করে না, মানুষকে খুন করে না, গুম করে না, কারো অধিকার নষ্ট করে না, চুরি-ডাকাতি, লুটপাট, ব্যভিচার করে না, কারো মানহানি করে না, এমনকি মনে মনে অন্যের ক্ষতির চিন্তাও করে না, জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলের মঙ্গল কামনা করে। আল কুরআনের শিক্ষায় মানুষ এতোই সত মহত সাধু এবং উন্নত চরিত্র-স্বভাবে পরিণত হয় যে, অকারণে তার নিজের গাছের একটি পাতাও ছিঁড়ে না।

ভারতে ১০০ টাকার জন্য দুই ভাইকে পিটিয়ে মেরে ফেলল পুলিশ

১০০ রুপি ঘুষ চেয়েছিল পুলিশ। দিতে অস্বীকার করায় দুই ভাইকে বেধড়ক পিটিয়ে পুকুরে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠল। সাঁতার না জানায় দু’জনেরই পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়। তাদের পানিতে ডুবতে দেখেও এগিয়ে আসেনি পুলিশকর্মীরা। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে ভারতের উত্তরপ্রদেশের মৈনপুরীতে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই দিন রাতে দিলীপ যাদব (২২) ও পঙ্কজ যাদব (২৪) নামে দুই ভাই পাথরবোঝাই ট্র্যাক্টর নিয়ে ফিরছিলেন। পথ আটকায় পাঁচ পুলিশকর্মী। ১০০ রুপি দিতে বলে। কিন্তু ওই দুই ভাই সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেন। অভিযোগ, তখন তাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধড়ক পেটায় পুলিশকর্মীরা। তার পর টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে কাছেরই একটি পুকুরে ঠেলে ফেলে দেয়া হয়। পানিতে ডুবে মৃত্যু হয় দুই ভাইয়ের। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা স্থানীয় পুলিশ থানায় গিয়ে পুলিশকর্মীদের পাল্টা মারধর করেন। মার এবং পাল্টা মারে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় মৈনপুরীতে। পরিস্থিতি সামলাতে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে আসে।
জেলা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জানান, এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০১৬

যশোহরে শিবির কর্মী গ্রেপ্তার করে অস্বীকার ও আদালতে হাজির না করায় উদ্বেগ প্রকাশ এবং সন্ধান দাবী

আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ  এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেন, গতকাল দুপুর ১২টায় বেনাপোল পোর্ট সংলগ্ন দূর্গাপুর বাজার থেকে কোন কারণ ছাড়াই গ্রেপ্তার করা হয় শিবির কর্মী রেজুয়ানকে। খবর পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা থানায় যোগাযোগ করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের কথা অস্বীকার করে। অথচ তাকে প্রকাশ্যে দিবালোকে দোকান কর্মচারী, মালিকসহ অসংখ্য মানুষের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আইন আদালতের তোয়াক্কা না করে পুলিশ তাকে নিয়ম অনুযায়ী আদালতে হাজির করেনি। 

একজন মেধাবী ছাত্রকে প্রকাশ্য দিবালোকে গ্রেপ্তার করে অস্বীকার করা পুলিশের কোন দায়িত্বের মধ্যে পড়ে তা আমাদের বোধগম্য নয়। গ্রেপ্তারের পর অস্বীকার ও আদালতে না তোলার পেছনে কোন ষড়যন্ত্র আছে বলে আমরা মনে করি। সম্প্রতি যশোরে এমন ভাবে দুই ছাত্রকে গ্রেপ্তারের পর অস্বীকার করে পরে রাতের আঁধারে পায়ে গুলি করেছে পুলিশ। পুলিশের ধারাবাহিক অমানবিক আচরণে তার পরিবারের সাথে সাথে আমরাও গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, কোন অভিযোগ ছাড়াই একজন নিরপরাধ ছাত্রকে গ্রেপ্তারের আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সেই সাথে আমরা হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, পুলিশের পোষাকে এই বেআইনি কর্মকান্ড বন্ধ করুন। তাকে নিয়ে কোন প্রকার নাটক ছাত্রশিবির মেনে নিবে না। অবিলম্বে আমরা গ্রেপ্তারকৃত শিবির কর্মী রেজুয়ানের অবস্থান নিশ্চিত ও তাকে আদালতে হাজিরের মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়া অনুস্বরণ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি।


"কা’বা শরীফের প্রধান ইমাম শায়খ ডঃ আব্দুর রহমান আস-সুদাইসের জীবন কথা"

সঊদি আরবের আল-ক্বাসীম এলাকার বুকাইরিয়া শহরে তার জন্ম হয় ১৩৮২ হিজরীতে। তার মানে ২০১৪ সালে তাঁর বয়েস হলো মাত্র ৫৩ বছর। তিনি ছোট বেলা থেকেই খুব মেধাবী ছিলেন। প্রায় ১২ বছর বয়েসে তিনি পবিত্র কোরআনের হাফিয হন। লেখাপড়া করেছেন রিয়াদে। ১৯৯৫ সালে মক্কার উম্মুল ক্বুরা বিশ্ববিদ্যালয়-এর শরিয়া ফ্যাকাল্টি থেকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন।
তিনি ছোট বেলার একটা ঘটনা বলতে গিয়ে খুব আবেগী হয়ে যান। ছোট বেলায় কি একটা দুষ্টুমি করেছিলেন ফলে তার মা তার ওপর রেগে যান। রেগে গিয়ে বলেনঃ তুই বের হয়ে যা, গিয়ে হারামাইনের ‘ইমাম’ হ।
আল্লাহ সুবহানাহু ও তায়ালা তার আম্মার এই দোয়া কবুল করেছেন। তিনি কা’বা শরীফের ইমাম হওয়ার আগে অনেক ছোটবড় মসজিদের ইমামতিও করেছেন।
তিনি উম্মুল ক্বুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রফেসর। তিনি শরীয়া কোর্টের বিচারপতিও ছিলেন। তাঁর এই গুরু দায়িত্বের পাশাপাশি তিনি সব সময় শিক্ষকতার পেশাকে অত্যন্ত সম্মানের সাথে কাছে টেনে নিয়েছেন। সৌদি সরকারের অনুমোদিত জামেয়াতুল মা’রেফা আল-আলামিয়্যাহ (নলেজ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর) যার শিক্ষকতায় আছেন সৌদি গ্রান্ড মুফতি, ধর্মমন্ত্রী সহ অনেক উচ্চ পদস্থ উলামায়ে কেরাম।
তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা হলো ৯টা এবং আরো ৬ টি গ্রন্থ ও গবেষনা পত্র প্রকাশের অপেক্ষায় আছে।
তিনি খুবই বিনয়ী। সব সময় সাধারণ মানুষদের কাছে থাকতে ও সাথে থাকতে ভালোবাসেন। তিনি এখন কা’বা শরীফ ও মসজিদে নববীর প্রধান ইমাম। কিন্তু এখনও তিনি ক্লিনারদের সাথে বসে ইফতার করতে ও খাবার খেতে পছন্দ করেন। তিনি সব সময় হাস্যোজ্জ্বল থাকেন। সবার সাথে হাসি মুখে মন খুলে কথা বলেন। খুব বিনয়ের সাথে নরম ও মিষ্টিস্বরে কথা বলেন। তিনি হাল্কা কৌতুক করতে ও চুটকি বলতে পছন্দ করেন। তবে, নামাযে দাড়ালেই কেঁদে ফেলেন।
শেখ সুদাইস একবার এক টিভি অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর দিচ্ছিলেন। এমন সময় এক মহিলা ফোন করে বলেনঃ আমি স্বপ্নে দেখেছি যে এক বড় বিখ্যাত শায়খ কা’বা শরীফে উলংগ হয়ে কা’বা শরীফ তাওয়াফ করছেন। তিনি আমার কোন আত্মীয় নন, বা কাছের কেউ নন। কিন্তু আমি তাকে খুব ভালো করেই চিনি। এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা কি?
তখন শেখ সুদাইস বললেনঃ সেই লোকের জন্যে সুসংবাদ, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট আছেন এবং তিনি গুনাহ থেকে মুক্ত হয়েছেন। তখন প্রশ্নকারী মহিলা বললেনঃ আমি যে শায়খকে স্বপ্ন দেখেছি তিনি হলেন ‘আপনি’ (শায়খ সুদাইস)। এ কথা শুনার সাথে সাথেই শায়খ সুদাইস অঝোর ধারায় কেঁদে দিলেন।
‪#‎বিঃদ্রঃ‬ সপ্নব্যাখ্যা একমাত্র তারাই দেয়ার যোগ্য যাদের হাদীস ও এলেমের ওপর বিশেষ জ্ঞান রয়েছে। মুহাদ্দীস ও মুফতী। তাই এখানে শায়েখ নিজেই সপ্নের ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে, 'উলঙ্গ দেখার মানে গুনাহ থেকে পবিত্র হওয়া'। তাই কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।
আল্লাহ্ হজরতকে হায়াতান তায়্যিবা দান করুন। এবং দুনীয়া ও আখিরাতে আরও সম্মানীত করুন। আমিন।।

জামায়াত-শিবির নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেনের দেয়া বক্তব্যকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে জামায়াত

আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ জামায়াত-শিবির নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেনের দেয়া বক্তব্যকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে জামায়াত।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আযাদ।
বিবৃতিতে হামিদ আযাদ বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সর্বৈব মিথ্যা। তার বক্তব্যের জবাবে আমি স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই যে, কোনো ধরনের হামলার পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্রের সাথে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের কোন সম্পর্ক নেই।
কোন জঙ্গি গ্রুপকে দিয়ে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের কোন ঘটনা ঘটানোর প্রশ্নই আসে না। এ সব বক্তব্য পুলিশ কর্মকর্তা মারুফ হোসেনের নিজস্ব মনগড়া। বাস্তবের সাথে তার বক্তব্যের কোন সম্পর্ক নেই। আমরা চ্যালেঞ্জ দিয়ে তাকে বলতে চাই যে, তিনি তার বক্তব্যের সমর্থনে কোন প্রমাণ দেখাতে পারবেন না।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
এমবিএইচ

বিএনপির কমিটি: মোসাদ্দেক আলীর পদত্যাগে বিস্ময়

আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কবিএনপির নতুন কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যানের পদ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মাথায় মোসাদ্দেক আলীর পদত্যাগের ঘটনা বিস্ময় সৃষ্টি করেছে।
মি. আলীর মালিকানাধীন অনলাইন নিউজ পোর্টাল এনটিভি অনলাইনে ছোট করে তার পদত্যাগের খবরটি উল্লেখ করা হলেও কোন কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি।
কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবার প্রায় সাড়ে চার মাস পর শনিবারই শতাধিক সদস্য বিশিষ্ট বিএনপির নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এই কমিটিতে চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরই ভাইস চেয়ারম্যানদের পদাধিকার।

নতুন কমিটিতে মোট ৩৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান রয়েছেন, যার মধ্যে মি. আলী ছিলেন ২২ নম্বরে।
তার পদত্যাগে বিস্ময় প্রকাশ করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাংবাদিক আমানুল্লাহ কবির বলেন, মোসাদ্দেক আলী খালেদা জিয়ার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং বিশ্বস্ত। তার পদত্যাগ নিঃসন্দেহে সবাইকে বিস্মিত করেছে
মি. আলী এর আগে খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ছিলেন।
২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হন ব্যবসায়ী মি. আলী।

এখান থেকেই জাতীয় রাজনীতিতে তার উত্থান পরিলক্ষিত হয়।
পরবর্তীতে তার মালিকানায় জনপ্রিয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির আত্মপ্রকাশ এবং ঢাকার একটি সংসদীয় আসন শূন্য হলে সেটির উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া তার ক্যারিয়ারে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত।

ওই সময়ে এবং পরবর্তীকে মোসাদ্দেক আলী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া তার পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ আস্থাভাজন হিসেবে পরিগণিত হয়েছেন।
গণমাধ্যম ব্যবসায়ী হিসেবে এরই মধ্যে মি. আলী অত্যন্ত শক্ত অবস্থানে পৌঁছেছেন।

বাংলাদেশে অ্যাটকো নামে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের যে সংগঠনটি রয়েছে, মোসাদ্দেক আলী সেটির সভাপতি।

জানা যাচ্ছে চিকিৎসার জন্য মি. আলী এখন থাইল্যান্ডে অবস্থান করছেন এবং লোক মারফৎ তিনি তার পদত্যাগ পত্রটি পাঠিয়ে দিয়েছেন।
নতুন কমিটির একজন সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমানও কমিটিতে থাকতে অনীহা প্রকাশ করেছেন বলে খবরে জানা যাচ্ছে।
-
বিবিসি বাংলা

কুমিল্লা মহানগরী শিবির সভাপতি’র ইন্তিকালে ডা: শফিকুর রহমানের শোক


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ  ইসলামী ছাত্রশিবিরের কুমিল্লা মহানগরী সভাপতি কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হক গত ৫ আগস্ট রাত ৯টায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে নিহত হওয়ায় গভীর শোক প্রকাশ করে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা: শফিকুর রহমান গতকাল শনিবার গভীর শোক প্রকাশ করছেন। 
তিনি আশা করেন যে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ সড়ক দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে দায়ী ব্যক্তিকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করবেন। 
তিনি মরহুমের জীবনের সকল নেক আমল কবুল করে তাকে জান্নাতবাসী করার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেন এবং মরহুমের শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলেন, আল্লাহ তাদের এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী