আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ ইসলামের অন্যতম মৌলিক স্তম্ভ। হজ শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছেÑ ইচ্ছে করা, সংকল্প করা। হজ আমাদের অতি পরিচিত একটি ইবাদতের নাম। ইসলামের পাঁচটি মৌলভিত্তির অন্যতম হজ। হজ ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। বান্দার সাথে আল্লাহর সম্পর্কোন্নয়ন এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের অন্যতম মাধ্যম হজ। পবিত্র হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, বান্দা যখন হজ পালন করবে, আরাফাত ময়দানে অবস্থান করবে, তার অতীতের সব গোনাহ মাফ করে দেয়া হয়। ইয়াওমে আরাফা বা আরাফা দিবসের পর বান্দার অবস্থা এমন হয়ে যায় যে, যেন সদ্যপ্রসূত সন্তান। মায়ের পেট থেকে সদ্যপ্রসূত সন্তানের যেমন কোনো গোনাহ থাকে না, অনুরূপ হজ পালনকারীর কোনো গোনাহ থাকে না। হজ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যে ইবাদতের মাধ্যমে বান্দার সব গোনাহ মাফ হয়ে যায় এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন সম্ভব।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁর অগণিত সৃষ্টির মধ্যে মানুষ ও জিন জাতিকে সৃষ্টি করেছেন ইবাদতের জন্য। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেছেনÑ ওয়ামা খালাকতুল জিন্না ওয়াল ইনসা ইল্লা লিয়া’বুদুন। অর্থাৎ আমি জিন ও মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছি একমাত্র আমার ইবাদতের জন্য। কুরআনে বর্ণিত এই ইবাদত একটি ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ। গুটিকয়েক বিধিবিধান পালন করার নাম ইবাদত নয়, যে ইবাদতের জন্য আল্লাহ পাক জিন ও ইনসান সৃষ্টি করেছেন। বরং জীবনের সব ক্ষেত্রে আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূল সা:-এর নির্দেশ পালন ও অনুশীলনের নাম ইবাদত।
সালাত প্রতিষ্ঠা করা, জাকাত আদায় করা ইবাদত; কারণ এটি আল্লাহ পাকের নির্দেশ। অনুরূপ চলাচলের পথে রাস্তাঘাটে ময়লা-আবর্জনা বা কষ্টদায়ক কোনো কিছু না ফেলা এবং এরূপ কিছু থাকলে তা সরিয়ে ফেলা গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত; কারণ এটি আল্লাহর রাসূল সা:-এর নির্দেশ। একজন সচ্ছল মানুষ, তার হাতে পর্যাপ্ত সময় আছে, সুযোগ আছে, এমতাবস্থায় গল্পগুজবে জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট করার পরিবর্তে ঘরে, মসজিদে বসে কুরআন তিলাওয়াত করা, জিকির-আজকার করা, রোগীর সেবা করা, আত্মীয়-প্রতিবেশের খোঁজখবর নেয়া ইত্যাদি তার জন্য ইবাদত। অপর দিকে অভাবী দরিদ্র মানুষ, হালাল রুজি উপার্জনের নিয়তে দিনমজুর হিসেবে ক্ষেতে-খামারে কাজ করছে, এটিও ইবাদত। হাদিস শরিফে এ জাতীয় সৎ শ্রমজীবী মানুষকে আল্লাহর বন্ধু হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। একজন ফকিহ (ইসলামি গবেষক) যদি এক ঘণ্টা গবেষণা করেন তার এই এক ঘণ্টা একজন আবেদের সারা রাত নফল ইবাদতের চেয়ে উত্তম। অর্থাৎ গবেষণা-অধ্যয়নও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। অনুরূপ হালাল ব্যবসাও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সহিহ হাদিসে সৎ ব্যবসায়ীদের জন্য সুসংবাদ দিয়ে বলা হয়েছে, সৎ এবং বিশ্বস্ত ব্যবসায়ীদের হাশর হবে নবী এবং শহীদদের সাথে।
মানুষের দৈনন্দিন প্রতিটি কাজই ইবাদত, যদি তা আল্লাহর নির্দেশ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শিক্ষানুযায়ী হয়। মনে রাখতে হবে, আল্লাহ সুবহানুহু তায়ালা বান্দার কোনো কাজকে হিসাবের বাইরে রাখেন না। তাই বান্দার ঘুমও ইবাদতের অংশ। এ ছাড়া আল্লহ পাক বান্দার জন্য অভিন্ন কিছু ইবাদতকে বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। ইসলামি পরিভাষায় যা ফরজ, ওয়াজিব নামে পরিচিত। যেমনÑ নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ ইত্যাদি। মুমিনমাত্রই নামাজ তার জন্য বাধ্যতামূলক। ব্যবসা ইবাদত, কিন্তু ব্যবসা করা প্রত্যেকের জন্য ফরজ নয়। পক্ষান্তরে নামাজ প্রতিটি মুসলমানের জন্য ফরজ। জাকাত এবং হজ ফরজ হওয়া বান্দার আর্থিক সামর্থ্যরে সাথে সম্পর্কিত। প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ও সুস্থ মুসলিম নর-নারীর ওপর সালাত ফরজ হলেও বিশেষ শারীরিক অবস্থায় মহিলাদের জন্য ওই সময়ে সালাত আদায় করা নিষেধ। পবিত্র রমজানে মাসব্যাপী রোজা ফরজ হলেও মুসাফির এবং শারীরিক বিশেষ অবস্থার কারণে মহিলাদের জন্য পরবর্তী সময়ে রোজা পালনের বিধান রাখা হয়েছে।
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত প্রভৃতি ইবাদত যা আল্লাহ পাক অবস্থাভেদে মুসলিম নর-নারীর ওপর ফরজ বা বাধ্যতামূলক করেছেন। এটা কেন করা হলো? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে প্রথমে আমাদের মানুষ সৃষ্টির আসল উদ্দেশ্য ও দুনিয়াতে অপরাপর সৃষ্টির তুলনায় মানুষের মর্যাদাগত পার্থক্য কী তা জানতে হবে।
আল্লাহ পাক দুনিয়াতে কী উদ্দেশ্যে মানুষ সৃষ্টি করেছেন এবং অপরাপর সৃষ্টির সাথে মানুষের মর্যাদাগত পার্থক্য কী পবিত্র কুরআনের সূরা বাকারায় তার সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে। আল্লাহ পাক ফেরিশতাদের বলেন- ‘ইন্নি যা’য়েলুন ফিল আরদি খালিফাতান।’ অর্থাৎ আমি জমিনে আমার প্রতিনিধি সৃষ্টি করতে যাচ্ছি। পবিত্র কুরআনে বনি আদম সম্পর্কে বলা হয়েছে- ‘লাকাদ কাররমনা বনি আদমা।’ অর্থাৎ নিঃসন্দেহে আমি বনি আদমকে মর্যাদা দিয়েছি। হজরত আদম আ:-কে সৃষ্টি করা এবং ফিরেশতা দিয়ে তাকে সিজদার মাধ্যমে আল্লাহ পাক মানুষের মর্যদা নির্ধারণ করেছেন আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে।
মানুষের সৃষ্টিগত এই মর্যাদা ও সম্মান চিরস্থায়ী নয়। বরং তা নির্ভর করে তার কর্মপন্থা, কর্মকৌশল এবং কাজের মাধ্যমে। অর্থাৎ মানব আকৃতিতে মানব বংশে জন্ম নিলেই সে আল্লাহর প্রতিনিধি হয়ে যাবে, তার জন্য সব রকম মর্যাদা নিশ্চিত হয়ে যাবে, তা নয়। পবিত্র কুরআনের সূরা ত্বিনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন স্পষ্ট বলে দিয়েছেন- ‘আমি মানুষকে সর্বোত্তম আকৃতিসহকারে সৃষ্টি করেছি, অতঃপর আমি তাদের একেবারে নিম্নস্তরে নামিয়ে দিয়েছি শুধু তারা ছাড়া, যারা ঈমান এনেছে এবং যারা সৎকর্ম সম্পাদনকারী।
মানুষের প্রতিটি কথা, কাজ ও আচার-আচরণের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব হবে। এই হিসাব থেকে কারোরই রেহাই নেই। প্রত্যেক বান্দাকেই নিজ নিজ কর্মের হিসাব দেয়ার জন্য আল্লাহর সামনে দাঁড়ানো ছাড়া কোনো পথ নেই। হিসাবের এই কঠিন পরীক্ষায় একমাত্র তারাই উত্তীর্ণ হবে, যারা পবিত্র কুরআনের ভাষায় ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করেছে। অর্থাৎ সৃষ্টিগত স্বীয় মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ জীবনযাপন করেছে।
মানুষকে তার মর্যাদার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ এবং সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে জীবনযাপনে অভ্যস্ত করতে আল্লাহ পাক বিভিন্ন ইবাদত ফরজ বা বাধ্যতামূলক করেছেন। ফরজ ইবাদতগুলোর মধ্যে প্রতিটি ইবাদতের আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সালাত আদায়ে নিবিষ্ট মনোভাব ও একাগ্রতার যে শিক্ষা আমরা পেয়ে থাকি, জাকাতে তা ভিন্ন রকম। আর্থিক ত্যাগ ও দরিদ্র মানুষের প্রতি সহমর্মিতার যে শিক্ষা জাকাতের মাধ্যমে পেয়ে থাকি, সওম বা রোজায় তা অন্য রকম। খোদাভীতি সৃষ্টির মাধ্যমে তাকওয়া অর্জনের যে শিক্ষা সিয়াম সাধনায় অর্জিত হয়, অপরাপর ইবাদতের অর্জন অন্য রকম।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বিভিন্ন ধরনের ইবাদত বান্দার জন্য ফরজ করেছেন। তা করা হয়েছে মানুষের সার্বিক উন্নতি এবং স্বীয় মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত করতে। ইসলামের মৌলিক পাঁচটি স্তম্ভের প্রথমটি কলবের সাথে সম্পর্কিত বিশ্বাসের বিষয়। অন্য চারটি ভিন্ন আঙ্গিকের ইবাদত। এগুলো হচ্ছেÑ সালাত, সওম, হজ এবং জাকাত।
ইবাদত সাধারণত তিন ধরনের : ক. শারীরিক ইবাদত, যেমনÑ সালাত ও সাওম শারীরিক ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত, খ. আর্থিক ইবাদত, যেমনÑ জাকাত ও সাদকা আর্থিক ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত, গ. অর্থ এবং শরীর যৌথ সংমিশ্রণে ইবাদত, যেমনÑ হজ আর্থিক ও শারীরিক ইবাদত।
মানুষ সৃষ্টির একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বিশ্বজনীনতা ও সর্বজনীনতা। এ জন্য ইসলামের মৌলিক ইবাদতগুলো ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা পরিহার করে আমরা সামষ্টিক জীবনযাপনের শিক্ষা পাই। জামায়াত বা সঙ্ঘবদ্ধ জীবন, ইসলামি জীবনব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আমরা ‘মিল্লাত’ এবং ‘উম্মত’ নামে যে দু’টি বিশেষ পরিভাষার সাথে পরিচিত, এ দু’টির ব্যবহারও সামষ্টিক অর্থে। মনে রাখতে হবে, ‘উম্মতে মুহাম্মাদি’ ইসলামি জীবনব্যবস্থায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যময় একটি পরিভাষা।
বিশ্বজনীনতা ও সর্বজনীনতা অর্জন এবং অনুশীলনের জন্য মানবজাতিকে একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্রকে টার্গেট করে অগ্রসর হতে হয়। কেন্দ্রচ্যুত জীবন সুনিয়ন্ত্রিত ও সুশৃঙ্খল জীবন নয়। হজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে গোটা পৃথিবীর মানুষকে একটি কেন্দ্রে নিয়ে আসা, একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্রের দিকে ধাবিত করার মাধ্যমে মানবজাতির জীবন অভিন্ন লক্ষ্যপানে পরিচালিত করা।
এই কেন্দ্রের নাম কাবা যেটি বায়তুল্লাহ বা আল্লাহর ঘর নামে পরিচিত। গোটা বিশ্বের মানুষকে একটি কেন্দ্রে নিয়ে আসার কারণ হলো মানব সমাজের বৃহত্তর ঐক্য। বর্ণ, ভাষা, সংস্কৃতি, জীবনযাপন পদ্ধতির পার্থক্য সত্ত্বেও কাবাকেন্দ্রিক জীবন পরিক্রমায় মানবসমাজের বৃহত্তর ঐক্য সৃষ্টি করা হজের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা। সুতরাং আমরা বলতে পারিÑ হজ কাবাকেন্দ্রিক জীবন পরিক্রমার নাম। এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, ঐক্য ছাড়া কল্যাণকর কোনো কিছুই সম্ভব নয়।
হজের যাবতীয় কার্যক্রম পবিত্র কাবাকেন্দ্রিক। কাবা ঘর পুনঃনির্মাণ, কোরবানি, সাঈ, তাওয়াফ, জমজম কূপ, মাকামে ইবরাহিমসহ হজের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং আহকামের সাথে সাইয়্যেদানা ইবরাহিম আলাইহিসসালাম এবং সাইয়্যেদানা ইসমাইল আলাইহিসসালামের সাথে সম্পর্কযুক্ত। শুধু তাই নয়, পবিত্র কাবা ঘরের সাথে রয়েছে মানবজাতির পিতা, প্রথম মানব হজরত আদম আলাইহিসসালামের সম্পর্ক। বায়তুল্লাহর দেয়ালে স্থাপিত হাজরে আসওয়াদ বা কালো পাথর পিতা আদম আলাইহিসসালাম জান্নাত থেকে নিয়ে এসেছিলেন। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, বায়তুল্লাহর সাথে সম্পর্ক মানে প্রথম মানব হজরত আদম আলাইহিসসালামের সাথে সম্পর্ক। এর পরে আছে সাইয়্যেদানা ইবরাহিম আলাইহিসসালাম এবং সাইয়্যেদানা ইসমাইল আলাইহিসসালামের বিষয়। এভাবেই বায়তুল্লাহ বা কাবা ঘর সৃষ্টির প্রথম মানব থেকে শুরু করে সব মানুষকে একই সূত্রে গেঁথে রেখেছে। পবিত্র কাবার হাজারো বৈশিষ্ট্যের মধ্যে এটি অন্যতম।
পবিত্র কাবাকে কেন্দ্র করেই পরিচালিত হয়েছে সাইয়্যেদুল আম্বিয়া মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সা:-এর যাবতীয় কর্মপন্থা। হিজরতের সময় সজল চোখে বারবার কাবার দিকে ফিরে দেখা, হিজরতের পরে আল্লাহর নির্দেশে কিবলা পরিবর্তন তারই সুস্পষ্ট প্রমাণ। তাঁরই বদৌলতে কাবা ও এর সন্নিহিত এলাকা ‘হেরম’ এবং মক্কা নগরী ‘বালাদে আমিন’ নিরাপদ শহরের মর্যাদা পেয়েছে। এই মর্যাদা পৃথিবীর আর কোনো জনপদের নেই।
পবিত্র কাবা একটি ঘর মাত্র নয়। এর আছে আলাদা মর্যাদা এবং স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। পবিত্র কাবা হচ্ছে সভ্যতার প্রথম নিদর্শন। পবিত্র কুরআনে স্বয়ং আল্লাহ পাক ষোষণা দিয়েছেনÑ ইন্না আউয়ালা বাইতিন উদিয়া লিন্নাছি লাল্লাজি বিবক্কাতা মুবারাকান। মক্কায় অবস্থিত এই ঘর মানবজাতির জন্য সর্বপ্রথম তৈরি করা ঘর। সর্বশেষ সাইয়্যেদুল আম্বিয়া সা:-এর মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এই ঘরকে করেছেন নিখিল সৃষ্টির জন্য বরকতময় এবং পথনির্দেশক।
প্রতি বছর গোটা বিশ্ব থেকে হাজারো ভাষার, বর্ণের, আকৃতির, সংস্কৃতির মানুষ এই কাবা ঘরে এসে হাসিল করে বরকত এবং গ্রহণ করেন পথনির্দেশনা। যার সূচনা হয়েছিল প্রথম মানব হজরত আদম আলাইহিসসালামের মাধ্যমে, যা নবরূপ লাভ করেছিল সাইয়্যেদানা ইবরাহিম আলাইহিসসালাম এবং সাইয়্যেদানা ইসমাইল আলাইহিসসালামের মাধ্যমে এবং চূড়ান্ত রূপ লাভ করেছে আল্লাহর হাবিব সাইয়্যেদুল আম্বিয়া মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাতে।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক
নানুপুর লায়লা-কবির ডিগ্রি কলেজ,
ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম
E-mail : nayeemquaderctg@gmail.c