বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

মঙ্গলবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অপপ্রচার চালানো থেকে বিরত থাকার জন্য দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান



আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় ৩ ডিসেম্বর প্রকাশিত ১টি রিপোর্টে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মিথ্যা প্রচারণার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারী অধ্যাপক মোঃ তাসনীম আলম আজ ৩ ডিসেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন করার হীন উদ্দেশ্যেই দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়েছে। আমি দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার কাল্পনিক রিপোর্টের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার রিপোর্টে পুলিশ প্রশাসন এবং গোয়েন্দা সংস্থার অমূলক আশঙ্কার উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে যে সব কথা লেখা হয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যা। দৈনিক জনকণ্ঠের গোটা রিপোর্টটিই অবাস্তব। দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার সংশ্লিষ্ট রিপোর্টার ঐ পত্রিকায় অতীতে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত ভিত্তিহীন মিথ্যা রিপোর্টগুলোই অবিকল অনুসরণ করেছেন। তাদের এ রিপোর্টের জবাবে আমি স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির গণতান্ত্রিক পন্থায় রাজনীতি করছে। নাশকতা কিংবা সন্ত্রাসকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির সব সময়ই ঘৃণা করে। কাজেই পুলিশের উপর হামলা চালানো কিংবা নাশকতার পরিকল্পনা করার প্রশ্নই আসে না। এগুলো সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারের অলীক কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়। দৈনিক জনকণ্ঠের রিপোর্ট দেশের জনগণ কখনো বিশ্বাস করে না।
অতএব, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অপপ্রচার চালানো থেকে বিরত থাকার জন্য আমি দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

সোমবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮

তাবলীগের ইজতেমার ময়দানে হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিক্ষোভ !


আমাদের বাংলাদেশ নিউজ ডেস্কঃ টঙ্গী ইজতিমার ময়দানে তাবলীগের বিতর্কিত আলেম মাওলানা সা’দ কান্ধলবীর অনুসারীদের নগ্ন সন্ত্রাসী‌ হামলার প্র‌তিবা‌দে ও নেতৃত্ব দানকারী ওয়া‌সিফ ও নাসী‌মের বিচা‌রের দাবী‌তে নারায়নগ‌ঞ্জের ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়‌কে বি‌ক্ষোভ মি‌ছিল ও সমা‌বেশ অনুষ্ঠিত হ‌য়ে‌ছে। রবিবার(০২ ডিসেম্বর) এ বি‌ক্ষোভ মি‌ছিল অনুষ্ঠিত হয়। এ‌তে তাবলীগের মুস‌ল্লি ও আ‌লেম ওলামা অংশগ্রহণ ক‌রে।
‌বি‌ক্ষোভ শে‌ষে বক্তব্য রা‌খেন শীর্ষস্থানীয় ওলামা মাশা‌য়েখগণ। বক্ত‌ব্যে বলেন বাংলা‌দে‌শে বিতর্কিত আলেম মাওলানা সা’দ কান্ধলবীর অনুসারীদের কো‌নো তৎপরতা চল‌তে দেওয়া হ‌বেনা। কাকরাইল ট‌ঙ্গি সহ সব জায়গা থে‌কে তা‌দের‌কে অবা‌ঞ্চিত কর‌তে হ‌বে।
তারা ব‌লেন, আমরা দে‌খে‌ছি, তারা ওলামা‌দের উপ‌রে আক্রম‌নের জন্য পাথর, হ‌কি‌স্টিক, লোহা, হেলমেট, হ্যান্ড‌গ্রিপ সহ সর্ব প্রকা‌রের পূর্ব প্রস্তু‌তি নি‌য়ে মা‌ঠে প্র‌বেশ ক‌রে এবং নি‌র্বিচা‌রে ওলামা‌য়ে কেরা‌মের উপর ঝা‌পি‌য়ে প‌ড়ে। তারা অসংখ্য ছাত্র আলেম ও মুসল্লী‌কে আহত ক‌রে এবং বেশ ক‌য়েকজন‌কে পি‌টি‌য়ে হত্যা ক‌রে। এধর‌নের প‌রিক‌ল্পিত হত্যাকা‌ন্ডের ক‌ঠিন বিচার ও দোষিদের‌কে দ্রুত শা‌স্তি দাবী ক‌রেন তারা।
বি‌ক্ষোভ সমাবেশে মাদানী নগর মাদরাসার মুহা‌দ্দিস মুফ‌তি বশীরুল্লাহর সভাপ‌তিত্বে বক্তব্য রা‌খেন মুহা‌দ্দিস মাওলানা ফয়সাল, মুফতী নোমান কা‌সেমী, মুফ‌তি ইসমাইল হো‌সেন সিরাজী,মাওলানা রাশেদ বিন নুর, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম রাহী, আহত মজলুম মাওলানা গাজী খা‌লেদ বিন নূরসহ আ‌রো ওলামা‌য়ে কেরাম।
‌বি‌ক্ষোভ শে‌ষে রবিবার সংবা‌দিক স‌ম্মেল‌নে ঘো‌ষিত সমস্ত কর্মসূ‌চী বাস্তবায়‌নের প্র‌তিশ্রু‌তি ব্যক্ত ক‌রে সমা‌বেশ সমাপ্ত করা হয়।
সুত্র- Insaf24.com

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অন্তত ৩৪ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধতা পেয়েছে



আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অন্তত ৩৪ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধতা পেয়েছে। তবে আরও ২ জন প্রার্থীর মনোনয়ন নিয়ে রিট করা হয়েছে বলে দাবি করেছে দলটি।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, ‘আয়কর এর কাগজপত্র দাখিল না করার অভিযোগে দিনাজপুর-১ আসনের জোটের প্রার্থী মো. আবু হানিফের মনোয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।’
তিনি বলেন, ‘এটি ঠুনকো অভিযোগ। আমরা এ ব্যাপারে আইনের আশ্রয় নেবো। আপিলে সব টিকে যাবে ইনশাআল্লাহ।’
২৩ দলীয় জোটের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে যাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছেঃ
১) ঠাকুরগাঁও – ২ – মাওলানা আব্দুল হাকিম
২) দিনাজপুর – ৬ – মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম
৩) নীলফামারী – ২ – মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মন্টু
৪) নীলফামারী – ৩ – মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম
৫) গাইবান্ধা – ১ – মাজেদুর রহমান সরকার
৬) সিরাজগঞ্জ – ৪ – মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান
৭) পাবনা – ৫ – মাওলানা ইকবাল হুসাইন
৮) ঝিনাইদহ – ৩ – অধ্যাপক মতিয়ার রহমান
৯) যশোর – ২ – আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহদাত হোসাইন
১০) বাগেরহাট – ৩ – এডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ
১১) বাগেরহাট – ৪ – অধ্যাপক আব্দুল আলিম
১২) খুলনা – ৫ – অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার
১৩) খুলনা – ৬ – মাওলানা আবুল কালাম আজাদ
১৪) সাতক্ষীরা – ২ – মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক
১৫) সাতক্ষীরা – ৩ – মুফতি রবিউল বাশার
১৬) সাতক্ষীরা – ৪ – গাজী নজরুল ইসলাম
১৭) পিরোজপুর – ১ – আলহাজ্ব শামীম সাঈদী
১৮) ঢাকা – ১৫ – ডা. শফিকুর রহমান
১৯) সিলেট – ৫ – মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী
২০) সিলেট – ৬ – মাওলানা হাবিবুর রহমান
২১) কুমিল্লা – ১১ – ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের
২২) চট্টগ্রাম – ১৫ – আনম শামসুল ইসলাম
২৩) কক্সবাজার – ২ – হামিদুর রহমান আযাদ
*** দিনাজপুর – ১ ও রংপুর – ৫ রিট করা হয়েছে। এখনো রায় পাওয়া যায়নি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছেঃ
১) জয়পুরহাট – ১ (সদর-পাঁচবিবি) – ডা. ফজলুর রহমান সাঈদ
২) বগুড়া – ২ (শিবগঞ্জ) – অধ্যক্ষ শাহাদাতুজ্জামান
৩) চাঁপাইনবাবগঞ্জ – ৩ (সদর) – নুরুল ইসলাম বুলবুল
৪) পাবনা – ১ (সাঁথিয়া-বেড়া) – ডাঃ আব্দুল বাসেত, নাজিবুর রহমান মোমেন
৫) পাবনা – ৪ (আটঘরিয়া-ঈশ্বরদী) – অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডল
৬) মেহেরপুর – ১ – তাজউদ্দিন
৭) যশোর – ৫ – গাজী এনামুল হক
৮) যশোর – ৬ (কেশবপুর) – অধ্যাপক মুক্তার আলী
৯) ময়মনসিংহ – ৬ (ফুলবাড়িয়া) – অধ্যাপক জসিম উদ্দিন
১০) চট্টগ্রাম – ১০ (ডাবলমুরিং) – আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী
১১) চট্টগ্রাম – ১৬ (বাঁশখালী) – মাওলানা জহিরুল ইসলাম
জামায়াত সূত্রে জানা যায়, এক মহিলা স্বাক্ষর দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করার অভিযোগে নীলফামারী-১ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুস সাত্তারের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এ ব্যাপারে ওই প্রার্থী আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘যে মহিলার স্বাক্ষর নিয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা অভিযোগ তুলেছেন তাকে হাজির করা হলেও তারা তা মানেননি। আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন। আমাদের আপিলে যেতে বলেছেন তারা। আমরা আপিল করবো।’
একজন স্বাক্ষর অস্বীকার করায় পটুয়াখালী-২ আসনে জামায়াতের ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। কুষ্টিয়া-২ আবদুল গফুরের ৭ জনের স্বাক্ষর সমস্যা, লালমনিরহাট-১ আবু হেনা এরশাদ হোসেন সাজুর ক্ষেত্রে ৩ জনের স্বাক্ষর সমস্যাজনিত কারণে মনোয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
অন্যদিকে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ না করার অভিযোগে বগুড়া-৪ আসনের জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা তায়েব আলীর মনোয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ওই প্রার্থীর অভিযোগ, ‘উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। কিন্তু এখন তারা বলছেন একসেপ্ট করেনি। এটা চাপে রাখার কৌশল। আমরা আপিল করবো।’
একই কারণ দেখিয়ে বগুড়া-৫ আসনের দবিবুর রহমানের মনোনয়পত্র বাতিল হয়েছে।
অনদিকে দু’জন স্বাক্ষর অস্বীকারের অভিযোগে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে রুহুল আমিনের, লক্ষীপুর-২ আসনে জেলা জামায়াতের আমির রুহুল আমীনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
মাত্র একজন স্বাক্ষর অস্বীকার করার অভিযোগে গাইবান্ধা-৪ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আমির ডা. আব্দুর রহিমের মনোয়নপত্র বাতিল হয়েছে। ভোটার স্বাক্ষর সমস্যাজনিত কারণে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মোস্তাফিজুর রহমান ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ এর ইয়াহয়িয়া খালেদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা ভোটার তালিকায় অসঙ্গতির কারণ দেখিয়ে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে দলের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এবং রাজশাহী-২ (পবা-মোহনপুর) আসনে দলরি জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও সাবেক কাটাখালি পৌর মেয়র অধ্যাপক মাজেদুর রহমানের মনোয়নপত্র বাতিল করেছে রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও রিটানিং কর্মকর্তা এসএম আবদুল কাদের।

রবিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৮

নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে সরকারের তাণ্ডব বাড়ছে : জামায়াত

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই সরকারের সন্ত্রাসী তাণ্ডব ও গ্রেফতারের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার উদ্দেশ্যে যারা মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছে তাদেরও অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে।
শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধী দলকে নির্বাচন থেকে সরে যেতে বাধ্য করে ভোট ডাকাতির প্রহসনের নাটক মঞ্চস্থ করার উদ্দেশ্যেই সরকার গ্রেফতার করছে। অধ্যাপক জসিম উদ্দিন ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষ্যে মনোনয়পত্র দাখিল করেছেন। অথচ তাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকারের এ ধরনের বেআইনী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি অধ্যাপক জসিম উদ্দিনসহ সারা দেশে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরসহ অন্যান্য বিরোধী দলের গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি জামায়াতের ময়মনসিংহ জেলা শাখার সাবেক আমীর অধ্যাপক জসিম উদ্দিন, নোয়াখালী জেলা শাখা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা নিযাম উদ্দিন ফারুকক, ফুলবাড়িয়া উপজেলা শাখা জামায়াতের ডা. আবদুর রাজ্জাক ও মুক্তাগাছা উপজেলা শাখা জামায়াতের বায়তুলমাল সেক্রেটারী ডা. আজহারুল ইসলাম শাহীন, দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার দিওড় ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি এবং বিজুল কামিল মাদ্রাসার এবতেদায়ি শাখার প্রধান মাওলানা নজরুল ইসলাম, নবাবগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুরের শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ইউনিয়নের সেক্রেটারী মো. সেকেন্দার আলীকে পুলিশের গ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

শনিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৮

কেন্দ্রে ভোটাররা আসলে সরকারের পতন হবেই : মওদুদ আহমেদ

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ ভোট কেন্দ্রে যদি ভোটাররা আসে, তবে এই সরকারের পতন হবেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আদর্শ নাগরিক আন্দোলন ও জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন লেভেল প্লায়িং ফিল্ড এবং নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ভোট কেন্দ্রে যদি ভোটাররা আসে, তবে এই সরকারের পতন অবশ্যই হবে। এটি আমাদের জন্য একটি বিরাট সুযোগ। ঐক্যফন্টের জন্য, বিএনপির জন্য, জোটের জন্য এবং সারা বাংলাদেশের মানুষের জন্য এটি একটি বিরাট এবং শেষ সুযোগ। আর কোনোদিন এ ধরনের সুযোগ আসবে কিনা আমি বলতে পারি না।
তিনি আরো বলেন, কোন দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। দলীয় সরকারে থেকে কোন নির্বাচন কমিশনার জন্য নিরপেক্ষ কাজ করা সম্ভব নয়। দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকলে পুলিশ প্রশাসন এবং সিভিল প্রশাসন কারো পক্ষে নিরপেক্ষভাবে কাজ করা সম্ভব নয়। সে ভবিষ্যৎবাণী আজকে সত্য প্রমাণিত হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন দাবি করেছে পুলিশ এখন তাদের কথায় চলছে। কিন্তু বাস্তবে দেখতে পাচ্ছি পুলিশ সক্রিয়ভাবে এখনও সরকারি দলের হয়ে কাজ করছে। সিভিল প্রশাসন রিটার্নিং অফিসার তিনি একজন জেলা প্রশাসক। নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ঠিকই কিন্তু তিনি তো নির্বাচন কমিশনের কোন কোন কর্মকর্তা না। তিনি সরকারের কর্মকর্তা।
তার সাধ্য নাই সরকারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া রিটার্নিং অফিসার হিসেবে। আমি তাকে দোষ দিচ্ছি না। কারণ তিনি জানেন, আমি তো আমার মেইন স্ট্রিম, আমার প্রমোশন, আমার পোস্টিং সব নির্ভর করছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হাতে। নির্বাচন কমিশন মুখে যত কথাই বলছেন তার একটা কথাও বিশ্বাস করবেন না। মুখে এক কথা মনের মধ্যে অন্য কিছু। তারা জানে তাদের কোনো কথা পুলিশ প্রশাসন ও সিভিল কর্মকর্তারা শোনে না। আজ পর্যন্ত একটা দৃষ্টান্ত দেখান যে, কোন পুলিশ কর্মকর্তাকে বা সিভিল প্রশাসন কর্মকর্তা কে নির্বাচন কমিশন তাদের কথা অনুযায়ী বদলি করেছেন?
মওদুদ আহমেদ বলেন, আমার ভোট আমি দেবো, লড়াই করে ভোট দেবো। এখন অবস্থাটা ওই পর্যায়ে এসে গেছে। এটাই আমাদের শেষ ভোট বাংলাদেশের নামে। বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য, বাংলাদেশের আইনে সন্তানের জন্য, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য, সুস্থ ও সভ্য সমাজ গঠনের জন্য একমাত্র পথ হলো এই ভোট। গত দুই দিনে আমাদের তিনজন প্রার্থী এখন জেলখানায়। গ্রেফতার আরও বাড়বে এবং গায়েবি মামলা চলতেই থাকবে। নানা ধরনের নির্যাতন চালাবে যাতে বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী, সমর্থক বাড়িতে থাকতে না পারে। আর থাকলেও গ্রেফতার করে নিয়ে যাবে। তবে এই সরকার জানে, তারা যতই কলা-কৌশল করুক আর যতই নীল নকশা ও পরিকল্পনা করুক না কেন। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে তাদের ভোট নাই।
জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ , শাহাবাগ থানা কৃষকদ‌লের সভাপ‌তি এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।

কাদের মোল্লার উস্তাভাজি- ডাল, বৈকালিক গান এবং একটি চিরকুটের ইতিকথা... -গোলাম মওলা রনি .


আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ ছোট্ট একটি ব্যক্তিগত দায় থেকে আজকের লেখাটির অবতারণা। কাসিমপুর জেল থেকে মুক্তির দিন সকালেই ঘটলো ঘটনাটি। মুক্তি লাভের আশা আর জেল গেটে পুনরায় গ্রেফতার হবার আশংকার দোলা চলে দুলতে দুলতে আমি আমার মালপত্র গুছাচ্ছিলাম। এমন সময় লুঙ্গি পরা এক ব্যক্তি আমার রুমে ঢুকে সালাম দিলো এবং বললো- কাদের মোল্লা সাহেব আপনাকে একটি চিঠিদিয়েছেন। মুহুর্তের মধ্যে আমি কিং কর্তব্য বিমূঢ় হয়ে পড়লাম। সিদ্বান্ত নিতে পারছিলাম না, চিঠিটি কি গ্রহণ করবো না ফেরত পাঠাবো। এরই মধ্যে আগন্তক টেবিলের ওপর চিঠিটি রেখে তড়িৎ গতিতে চলে গেলেন। আমি কম্পিত হস্তে চিঠিটি খুললাম। একটি ছেড়া ছোট কাগজে ৩/৪টি বাক্য লিখেছেন কাদের মোল্লা। কিন্তু বাক্যগুলোর তীর্যক অভিব্যক্তি আমাকে যারপরনাই আহত করলো।
.
সেই চিরকুটের ইতি কথা বলার পূর্বে আরো কিছু প্রসঙ্গ পাঠকগণকে জানাতে চাই-
কাসিমপুর জেলে ঢোকার পর পরই আমার জেলমেটগণের নিকট কাদের মোল্লার সম্পর্কে বহু কথা শুনছিলাম হররোজ। বিশেষ করে খাবার টেবিলে তার সম্পর্কে আলোচনা হতো সব চেয়ে বেশি। ট্রাইব্যুনালের রায়ে দোষী সাবস্ত হবার পূর্বে ডিভিশন প্রাপ্ত বন্দী হিসেবে সুরমা সেলেই ছিলেন। ডায়াবেটিসের রুগি। খাবার টেবিলে বসে প্রথমেই বলতেন কিছুই খাবেন না। তার পর একটার পর একটা খাবারের দিকে তাকাতেন। শিশুর মতো হাসি দিয়ে বলতেন মামুন- গোস্তের রংটা বোধ হয় ভালই হয়েছে। তার পর মাহমুদুর রহমান সাহেবের দিকে তাকিয়ে বলতেন ঘ্রানটাও তো চমৎকার। মীর কাসিম বা অন্য বন্দীদের দিকে তাকিয়ে এমন ভাব করতেন যেন কাদের মোল্লা সাহেবকে খাওয়ার জন্য একটু অনুরোধ করেন। এক সময় তিনি অনুরোধে সাড়া দিয়ে খাওয়া শুরু করতেন এবং হই-হল্লোড়, হাসি- তামাসা এবং নানা রকম গল্প উপাখ্যান বলে পুরো খাবার টেবিল মাতিয়ে রাখতেন। বিষন্ন বন্দীরা তাই কাদের মোল্লার উপস্থিতিটাকে এক ধরনের প্রশান্তি হিসেবে গণ্য করতো।
.
অমি যখন জেলে ছিলাম তখন কাদের মোল্লা ছিলেন অন্য সেলে সাধারণ বন্দীদের মতো। যুদ্ধাপরাধের সাজাপ্রাপ্ত আসামী হিসেবে তার প্রতি ছিলো জেল কর্তৃপক্ষের সতর্ক প্রহরা। ফলে প্রতি বিকেলে পাশাপাশি সেলের বন্দীরা নিজেদের সীমানা প্রচীরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বার্তা বলার চেষ্টা করতো আবার পুরোনো বন্দীদের কেউ কেউ রাস্তায়ও বের হয়ে আসতো। কিন্তু কাদের মোল্লাকে সেই সূযোগ দেয়া হতো না। কাদের মোল্লার সেবক সকাল বিকালে আমাদের সেলে আসতো ফ্রিজ থেকে ইনসুলিন নেবার জন্য। জেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে কে বা কারা যেনো সুরমা সেলে ছোট্ট একটি ফ্রিজ বসিয়েছিলো কেবল মাত্র কাদের মোল্লার ওষুধ পত্র রাখার জন্য। সেই ফ্রিজে কাদের মোল্লার ডায়াবেটিসের ওষুধ পত্র থাকতো। সেবক যখন ওষুধ নিতে আসতো তখন তার নিকট থেকে কাদের মোল্লা সম্পর্কে টুকটাক জানতে পারতাম।
.
বন্দী জীবনের নিরন্তর সময় যেনো আর কাটতে চাইতো না। ফলে আমরা সময় টুকুকে যথাসম্ভব আনন্দ মূখর করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করতাম। যার যতো জ্ঞান বা প্রতিভা ছিলো- সবই উজার করে দিতাম সহযাত্রীদেরকে আনন্দ দেবার জন্য। একদিন বিকেলে বসেছিলাম সুরমা সেলের বারান্দায়। পাশাপাশি চেয়ার নিয়ে আমরা সবাই- গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, মাহামুদু রহমান, মীর কাসিম আলী আর এটিএম আজাহার। হঠাৎ নীরব হয়ে গেলাম অজানা কারনে। অর্থ্যাৎ বলার মতো কোন কথা ছিলোনা কারো মূখে। হঠাৎ মামুনই বলে উঠলো- এই সময় মোল্লা ভাই থাকলে আমাদের সবাইকে গান শোনাতেন। জামাতের লোক আবার গান গায় নাকি- মনে মনে টিটকারী কেটে জিজ্ঞাসা করলাম- কি গান গাইতেন? রবীন্দ্র সঙ্গীত- অসাধারণ তার গায়কী গলা আর সুরের ঢং- মাহমুদুর রহমান বললেন।
.
আমি নিজে টুকটাক গাইতে জানি। তাই প্রস্তাব করলাম কিছু একটা গাওয়ার জন্য। তারা আগ্রহ দেখালে আমি একটি রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইলাম- ‘মনে কি দ্বিধা রেখে গেলে চলে’। সবাই শুনলেন এবং প্রশংসা করলেন। তবে একথা বললেন যে, আমার চেয়েও কাদের মোল্লা সুন্দর করে গান করেন। তার গান পরিবেশনের সময় তিনি উপস্থিত লোকজনের সঙ্গে এমনভাবে চোখের ভাব বিনিময় করেন যে শ্রোতাগণ তার সঙ্গে গুণগুনিয়ে কন্ঠ মেলাতে বাধ্য হন। ফলে পুরো অনুষ্ঠান হয়ে উঠে প্রাণবন্ত। অন্যদিকে আমি গান করি চোখ বুঝে। যখন আমার সঙ্গী-সাথীগণ যখন আমাকে চোখ খোলা রেখে আরো একটি গান গাইতে অনুরোধ করলেন তখন আমি ভারী লজ্বা পেয়ে গেলাম এবং আর এগুতো পারলাম না। ফলে তারা আবার পুনরায় কাদের মোল্লার প্রশংসা করতে থাকলেন।
একদিন আমরা সকলে খাবার টেবিলে বসে দুপুরের খাবারের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। সেবকরা তখন খাবার পরিবেশনের জন্য এঞ্জাম করছিল। এমন সময় কাদের মোল্লার সেবক এসে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের নিকট ছোট একটি চিঠি ধরিয়ে দিল। চিঠিটি পড়ার পর মামুনের মূখমন্ডল ক্ষোভ, লজ্বা আর রাগে লাল হয়ে গেল। এরপর সে চিঠিটি মীর কাসেম আলীর হাতে দিল। কাসেম সাহেব চিঠিটি পড়ে কাদঁতে আরম্ভ করলেন। 
.
আমার হাতে যখন চিঠিটি এলো তখন দেখলাম কাদের মোল্লা লিখেছেন-
প্রিয় মামুন,
সালাম। নিতান্ত বাধ্য হয়েই তোমার সেবক মতির বিরুদ্ধে তোমার নিকট নালিশ জানালাম। ইদানিং কোনো জানি আমার বেশি বেশি ডাল আর উস্তা ভাজি খেতে ইচ্ছে করে। আমার নিজের অর্থ দিয়ে এসব কিনে খাওয়া যে সম্ভব নয় তা তুমি জানো। তুমি আমার জন্য এ যাবৎ অনেক কিছু করেছ- আর তাই তোমার উপর অজানা এক অধিকার জন্ম নিয়েছে। সেই অধিকার বলে আমার সেবককে বলেছিলাম চোখায় (রান্না ঘরে) যখন খাবার ভাগাভাগি হয় তখন মামুনদের ভাগ থেকে একটু ডাল আর উস্তাভাজি বেশি করে নিও আমার জন্য। কিন্তু তোমার সেবক আমাকে এই সূযোগ দেয়নি। জীবন-মৃত্যুর শেষপ্রান্তে দাড়িয়ে এই অভাগা তার ছোট ভাইয়ের নিকট একটু ডাল আর উস্তাভাজি চেয়ে যদি অন্যায় করে থাকি তবে মাফ করে দিয়ো। ইতি-
.
চিঠি পড়ে আমরা সবাই স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। মাহমুদুর রহমান সাহেব বললেন- কাল থেকে মোল্লা সাহেবের জন্য আলাদা ডাল আর উস্তাভাজি রান্না হবে। সব বিল আমি দেব। মামুন ক্রোধে কাঁপছিল আর সেবককে শাসাচ্ছিল। আর অন্যরা একধরনের বিষন্নতার নষ্টালজিয়ায় ভুগতে লাগলাম।
.
এবার আমি বলছি- আমার কাছে লিখা কাদের মোল্লার চিরকুট কাহিনী। তিনি লিখেছেন-
.
প্রিয় রনি,
যদি কখনও সময় পাও এবং তোমার ইচ্ছা হয় তবে আমার ফাঁসির পর একবার হলেও বলো বা লিখো- কাদের মোল্লা আর কসাই কাদের এক ব্যক্তি নয়। আমার আত্মা কিয়ামত পর্যন্ত কাঁদবে আর কসাই কাদের তখন কিয়ামত পর্যন্ত হাসবে।

শুক্রবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৮

“জিএম রহিম উল্লাহ স্মৃতি ফাউন্ডেশন গঠিত”


আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ  কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের জনপ্রিয় সাবেক চেয়ারম্যান বিশিষ্ট রাজনীতিববীদ সাবেক ছাত্রনেতা ভারুয়াখালীর কৃতি সন্তান 'মরহুম জিএম রহিম উল্লাহ স্মৃতি ফাউন্ডেশন, গঠন কল্পে মরহুমের প্রতিষ্ঠিত ভারুয়াখালী মাদ্রাসা মাঠে ৩০ নভেম্বর শুক্রবার এক মতবিনিময় সভা আলহাজ্ব মাওলানা আবুল বশরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ নুরুল আমিন। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন সিনিয়র এডভোকেট মোঃ নেজামুল হক। 
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান সিকদার, ভারুয়াখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন, ভারুয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মাস্টার গোলাম কাদের, ভারুয়াখালী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা আবদুল হাকিম সিদ্দিকী, আইডিয়াল ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, ফজলুল হক মেম্বার, মাস্টার সুলতান আহমদ, মাওলানা সোলাইমান করিম, মাস্টার আবুল হোছাইন, মাওলানা আব্দুস ছালাম, মোঃ সায়েম, মাস্টার শেফাউদ্দীন, ব্যাংকার নুরুল মোস্তফা, শিক্ষানবীশ আইনজীবী আবু হেনা, শওকত ওসমান, রুহুল আমিন, মোহাম্মদ নূর, সাবেক মেম্বার মোবারক, শহীদুল্লাহ প্রমুখ। 
পরে সবার সম্মতিক্রমে জিএম রহিম উল্লাহ ফাউন্ডেশনের নয় সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

জাহাঙ্গীর আলম শামস।

মিঠাপুকুরের গোলাম রব্বানীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করার নিন্দা অব্যাহত ! রিটার্নিং অফিসার দায়িত্ব ও কর্তব্যের প্রতি চরম অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছেন -ডা. শফিকুর রহমান


আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ রংপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক জাতীয় সংসদের আসন নং ২৩, রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনের জন্য ২০ দলীয় জোট কর্তৃক মনোনীত জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মোঃ গোলাম রব্বানীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান বলেন, 
বাংলাদেশের সংবিধান ও গণপ্রতিনিধি আদেশ ১৯৭২ অনুযায়ী বাংলাদেশের যে কোন ভোটার নাগরিক জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার রাখেন। প্রার্থী হওয়ার যোগ্য কোন ব্যক্তি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করতে চাইলে তা গ্রহণ না করার কোনো এখতিয়ার প্রজাতন্ত্রের কোন কর্মকর্তাকে বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন দেয়নি। 
বিবৃতিতে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদের আসন নং ২৩, রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনে ২০ দলীয় জোটের মনোনীত প্রার্থী মোঃ গোলাম রব্বানীর মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার জন্য তার প্রতিনিধি এডভোকেট বায়েজীদ ওসমানীর নেতৃত্বে কয়েকজন আইনজীবী গত ২৮ নবেম্বর দুপুর ২টায় রিটার্নিং অফিসার রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত হলে তাদেরকে নানা অজুহাত দেখিয়ে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রেখে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে। পরবর্তীতে ডিসি, এসপি, সদর থানার ওসি ও রিটার্নিং কর্মকর্তারা মিলে গোপন বৈঠক করে, কোন কারণ ছাড়াই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিষেধ আছে বলে, তারা মোঃ গোলাম রব্বানীর নমিনেশন পেপার জমা নেয়নি। তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করে রিটার্নিং অফিসার তার দায়িত্ব ও কর্তব্যের প্রতি চরম অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছেন। শুধু তাই নয় তিনি আইন ও সংবিধানের প্রতিও অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছেন। আমরা তার এই ভূমিকার নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছি। মোঃ গোলাম রব্বানী তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নিকট লিখিতভাবে আবেদন করেছেন। 
তিনি আশা প্রকাশ করেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে তাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিবেন।

প্রার্থীতা নিয়ে বিএনপি জামায়াতের টানাপোড়ন ।

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর আসন সমঝোতা হয়েছিল ২৫টিতে। এসব আসনে জামায়াতের প্রার্থীদের বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট করতে হবে। কিন্তু গতকাল ওই ২৫টির বাইরে আরও ২২টি আসনে জামায়াতের নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ নিয়ে শেষ মুহূর্তে ২০–দলীয় জোটের এই দুই শরিকের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে।
এদিকে যে ২৫ আসন জামায়াতকে দেওয়া হয়েছে, সেগুলোতে বিকল্প প্রার্থী দিয়ে রেখেছে বিএনপি। অবশ্য ওই ২৫টির মধ্যে একটিতে গতকাল জামায়াতের প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। ফলে ধানের শীষ প্রতীকে ২৪ জন এবং স্বতন্ত্র ২২ মিলিয়ে জামায়াত মোট ৪৬ আসনে প্রার্থী দিল। অন্যদিকে জামায়াত স্বতন্ত্র হিসেবে যে ১৮ আসনে প্রার্থী দিয়েছে, সেগুলো বিএনপি, এর শরিক অন্য দলেরও প্রার্থী আছে।
জামায়াতের নেতাদের দাবি, তাঁদের চাপে রাখতে সমঝোতা হওয়া আসনগুলোতে বিএনপি বিকল্প প্রার্থী রেখেছে। এর পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে জামায়াতও ১৮টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়েছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান (রাজশাহী-১), প্রচার সেক্রেটারি অধ্যাপক তাসনীম আলম (নাটোর-১), নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ (সাতক্ষীরা-১), নুরুল ইসলাম বুলবুল (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩) ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ (পটুয়াখালী-২) সাবেক সচিব এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী (কুমিল্লা-৯) অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম (চট্টগ্রাম-১৬) অধ্যক্ষ তায়েব আলী (বগুড়া-৪) অন্যতম।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে বিএনপির কাছে দুটি অনুরোধ রেখেছিল জামায়াত। এক. যে ২৫টি আসনে সমঝোতা হয়েছে, সেগুলোতে যাতে বিএনপির কাউকে মনোনয়ন দেওয়া না হয়। দুই. ওই ২৫ আসনে যেন জামায়াতের দুজনকে মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়, যাতে তাদের মূল প্রার্থী কোনো কারণে বাছাইয়ে বাদ গেলে দ্বিতীয়জন ভোট করতে পারেন। কিন্তু বিএনপি প্রতিটি আসনেই জামায়াতকে একটি করে চিঠি দেয়। পাশাপাশি প্রায় সব কটি আসনেই বিএনপি নিজেদের প্রার্থীও মনোনয়ন দেয়। এ নিয়ে দুই দলের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়।
যদিও বিএনপির একটি সূত্র বলছে, শেষ মুহূর্তে জামায়াতের প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করতে না পারলে বা কোনো কারণে প্রার্থিতা বাতিল হলে ওই আসনটি একেবারে ফাঁকা হয়ে যেতে পারে। এই আশঙ্কা থেকে তারা বিকল্প প্রার্থী দিয়ে রেখেছে। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে জামায়াত বাড়তি ২২ আসনে প্রার্থী দিয়েছে।
এই বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহম​দ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এগুলো দর–কষাকষি ও চাপ তৈরির জন্য করা হয়।’ তিনি বলেন, প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৯ ডিসেম্বর। তার আগ পর্যন্ত কোনো কিছুই চূড়ান্ত বলা যাবে না। আরও অনেক সমঝোতা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, কেবল বিকল্প প্রার্থীই নয়; প্রতীক বরাদ্দ নিয়েও বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে মৃদু টানাপোড়েন ছিল। শুরুতে জামায়াতের দলীয় সিদ্ধান্ত ছিল স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করার। তখন বিএনপির দিক থেকে জামায়াতকে উদ্বুদ্ধ করা হয় ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে। শেষ মুহূর্তে জামায়াত মত বদলায় এবং ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা জানায়। কিন্তু মনোনয়নপত্র দাখিলের আগের দিন গত মঙ্গলবার রাতে বিএনপির পক্ষ থেকে জামায়াতকে বলা হয় স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করতে। এ নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে জামায়াত। পরে একপর্যায়ে জামায়াতকে ২৫টি আসনে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়।
এই বিষয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের প্রথম আলোকে বলেন, ‘এত দিন ওনারাই (বিএনপি) উদ্বুদ্ধ করেছিলেন আমরা যেন ধানের শীষ প্রতীক ​নিই। আমাদের মধ্যে এ বিষয়ে ভিন্ন মত থাকলেও শেষ পর্যন্ত সম্মত হই। কিন্তু বিএনপি মঙ্গলবার রাতে চিঠি ইস্যু করতে এতটা বিলম্ব করে যে আমাদের প্রার্থীদের চিঠি নিয়ে পৌঁছানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। ওই অবস্থায় আমরা সন্ধ্যায় আমাদের প্রার্থীদের বার্তা দিয়েছি, তাঁরা যেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হন।’ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, চূড়ান্তভাবে সমঝোতা হলে দুপক্ষই বাড়তি প্রার্থীদের প্রত্যাহার করে নেবে।
যে ২৫ আসনে সমঝোতা
বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের সমঝোতা হয় ঠাকুরগাঁও-২ (আবদুল হাকিম), দিনাজপুর-১ (মোহাম্মদ হানিফ), দিনাজপুর-৬ (আনোয়ারুল ইসলাম), নীলফামারী-২ (মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মন্টু), নীলফামারী-৩ (অধ্যক্ষ আজিজুল ইসলাম), গাইবান্ধা-১ (মাজেদুর রহমান সরকার), সিরাজগঞ্জ-৪ (রফিকুল ইসলাম খান), পাবনা-৫ (প্রিন্সিপ্যাল ইকবাল হুসাইন), ঝিনাইদহ-৩ (অধ্যাপক মতিয়ার রহমান), কুমিল্লা-১১ (ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের), কক্সবাজার-২ (হামিদুর রহমান আযাদ), চট্টগ্রাম-১৫ (আ ন ম শামসুল ইসলাম), যশোর-২ (মুহাদ্দিস আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন), বাগেরহাট-৩ (আবদুল ওয়াদুদ), বাগেরহাট-৪ (অধ্যাপক আবদুল আলীম), খুলনা-৫ (অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার), খুলনা-৬ (আবুল কালাম আযাদ), সাতক্ষীরা-৩ (মুফতি রবিউল বাশার), সাতক্ষীরা-২ (মুহাদ্দিস আবদুল খালেক), সাতক্ষীরা-৪ (গাজী নজরুল ইসলাম), পিরোজপুর-১ (শামীম সাঈদী), সিলেট-৫ (অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী), সিলেট-৬ (হাবিবুর রহমান), ঢাকা-১৫ (ডা. শফিকুর রহমান) ও রংপুর-৫ আসনে (অধ্যাপক গোলাম রব্বানী)।

এর মধ্যে রংপুর-৫–এ গোলাম রব্বানী মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। তিনি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি উপজেলা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়েছিলেন।
গোলাম রব্বানীর আইনজীবী বায়েজিদ ওসমানী বলেন, তাঁরা চেষ্টা করেও মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের দাবি করেন, পুলিশ ও প্রশাসনের বাড়াবাড়ির কারণে রংপুর–৫ আসনে গোলাম রব্বানী মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। তাঁরা আইনি ব্যবস্থা নেবেন।
জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট রায় দেন। গত ২৮ অক্টোবর দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাই দল হিসেবে জামায়াতের নির্বাচন করার সুযোগ নেই।
প্রথমআলো

সরে দাঁড়ালেন শাহজাহান চৌধুরী



আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসন থেকে সরে দাঁড়ালেন জামায়াতে ইসলামের কর্মপরিষদ সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী। এর পরিবর্তে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনে। দলীয় কোন্দল এড়াতে জামায়াতের সিদ্ধান্ত তিনি শেষ পর্যন্ত মেনে নিয়েছেন বলে সংগঠনটির নেতারা জানিয়েছেন। এখন এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে আছেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আ ন ম শামসুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমির জাফর সাদেক।
জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যদি আইনি জটিলতায় শেষ পর্যন্ত শামসুল ইসলাম নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারেন, তবে জাফর সাদেকই হবেন জামায়াতের প্রার্থীতবু শাহজাহান চৌধুরী নন। এই আসনে শাহজাহান চৌধুরী দুইবার সংসদ সদস্য ছিলেন। আর শামসুল ইসলাম ছিলেন একবার। এ নিয়ে দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। জাফর সাদেক অতীতে সাতকানিয়া পৌরসভার মেয়র নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তৃতীয় হয়েছিলেন।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে জাফর সাদেক কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, দলের সিদ্ধান্ত আমরা সবাই মেনে নেব।
চট্টগ্রাম-১০ আসনটির অবস্থান নগরীতে। ২০০৮ সালে এ আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান আওয়ামী লীগের নগর সহসভাপতি ডা. আফছারুল আমীনের কাছে হেরে যান। জানা যায়, জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্দেশে তখন থেকে শাহজাহান চৌধুরী চট্টগ্রাম-১০ আসনে কাজ করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ তিনি ওই এলাকা থেকেই গ্রেপ্তার হন। বর্তমানে শামসুল ইসলাম ও শাহজাহান চৌধুরী দুজনই জেলে আছেন। শাহজাহান চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ এক জামায়াত নেতা বলেন, তিনি চাপ সৃষ্টি করে দলের মনোনয়ন আদায়ের চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত দলীয় কোন্দলে জড়াতে চাননি।
তাই চট্টগ্রাম-১৫ আসনে তার জন্য ফরম কেনা হলেও সংগঠনের সবুজ সংকেত না থাকায় তিনি সেটিতে স্বাক্ষর করেননি।
নিজে দলীয় কোন্দল এড়িয়ে চলতে চাইলেও সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলায় রয়েছে শাহজাহান চৌধুরীর হাজার হাজার ভক্ত। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর সাতকানিয়া ও লোহগাড়ায় ব্যাপক ভাংচুর ও সড়কের দুই পাশের হাজার হাজার গাছ কাটা হয়। জামায়াত কর্মীদের হামলায় এক জাপানি নারী পর্যটক চোখ হারান। পুরো তা-বের নেতৃত্ব দেন শাহজাহান চৌধুরী।
জামায়াতে ইসলাম থেকে শামসুল ইসলামকে মনোনয়ন দেওয়ার ঘোষণা সত্ত্বেও লোহাগাড়া উপজেলা এলাকায় নাগরিক কমিটির ব্যানারে জামায়াত-শিবিরের একদল নেতাকর্মী ও সমর্থক শাহজাহান চৌধুরীকে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেন। তবে শাহজাহান চৌধুরী চট্টগ্রাম-১৫ আসনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে মনোনয়নপত্র গ্রহণে সম্মত না হওয়ায় তাঁর সমর্থকরাও পিছু হটে যান। এই কমিটির আহ্বায়ক ও আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন, আমরাও শেষ পর্যন্ত নেতার কথাই মেনে নিয়েছি।
জানা যায়, প্রতীক বরাদ্দ না দেওয়া পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামের নেতাকর্মীরা জনসম্মুখে না এসে নিজেদের এক প্রকার আড়াল করে রেখেছেন। তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে। একজন নেতা বলেন, প্রতীক বরাদ্দ ও প্রচার পুরোদমে শুরু হলেই তারা আনুষ্ঠানিকভাবে মাঠে নামবেন।
-আমাদের সময়

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী