বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

শুক্রবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ২০৬ আসনে চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেছে বিএনপি।

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃ একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ২০৬ আসনে চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেছে বিএনপি।
শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে গুলশানে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ তালিকা ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ঘোষিত চূড়ান্ত তালিকা অনুসারে ধানের শীষ পেলেন যারা:
★ঢাকা বিভাগ: বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন-
ঢাকা-২ আসনে ইরফান ইবনে আমান
ঢাকা-৩ আসনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
ঢাকা-৪ আসনে সালাহউদ্দিন আহমেদ
ঢাকা-৮ আসনে মির্জা আব্বাস
ঢাকা-১০ আসনে আবদুল মান্নান
ঢাকা-১২ আসনে সাইফুল আলম নীরব
ঢাকা-১৩ আসনে আব্দুস সালাম
ঢাকা-১৯ আসনে দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিন
ঢাকা-২০ আসনে তমিজউদ্দিন
নারায়ণগঞ্জ- ২ আসনে নজরুল ইসলাম আজাদ
নরসিংদী-১ আসনে খায়রুল কবীর খোকন
নরসিংদী-২ আসনে ড. আবদুল মঈন খান
নরসিংদী-৪ আসনে সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল
মানিকগঞ্জ-১ আসনে এমএ জিন্নাহ
মানিকগঞ্জ-২ আসনে ইঞ্জিনিয়ার মইনুল ইসলাম খান শান্ত
মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে মিজানুর রহমান সিনহা
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে আবদুল হাই
গাজীপুর-১ আসনে চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী
গাজীপুর-২ আসনে সালাহউদ্দিন সরকার
গাজীপুর-৫ আসনে ফজলুল হক মিলন
কিশোরগঞ্জ-১ আসনে রেজাউল করিম খান চুন্নু
কিশোরগঞ্জ-২ আসনে মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন
কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান
কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল
কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে মো. শরীফুল আলম
টাঙ্গাইল-১ আসনে সরকার শহীদ
টাঙ্গাইল-২ আসনে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু
টাঙ্গাইল-৫ আসনে মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান
টাঙ্গাইল-৬ আসনে অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী
টাঙ্গাইল-৭ আসনে আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী
ফরিদপুর-১ আসনে শাহ মো. আবু জাফর
ফরিদপুর-২ আসনে শামা ওবায়েদ
ফরিদপুর-৩ আসনে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ
ফরিদপুর-৪ আসনে ইকবাল হোসেন খন্দকার সেলিম
গোপালগঞ্জ-২ আসনে সিরাজুল ইসলাম সিরাজ
গোপালগঞ্জ-৩ আসনে এসএম আফজাল হোসেন
মাদারিপুর-২ আসনে মিল্টন বৈদ্য
মাদারিপুর-৩ আসনে আনিসুর রহমান খোকন তালুকদার
শরিয়তপুর-২ আসনে শফিকুর রহমান কিরন
শরিয়তপুর-৩ আসনে মিয়া নুরুদ্দিন অপু।
★সিলেট বিভাগ:
সিলেট-৩ আসনে শফি আহমদ চৌধুরী
সিলেট-৪ আসনে দিলদার হোসেন সেলিম
সুনামগঞ্জ-১ আসনে নজির হোসেন
সুনামগঞ্জ-২ আসনে নাছির উদ্দিন চৌধুরী
সুনামগঞ্জ-৪ আসনে ফজলুল হক আসপিয়া
সুনামগঞ্জ-৫ আসনে মিজানুর রহমান চৌধুরী
মৌলভীবাজার-১ আসনে নাসির উদ্দিন আহমদ মিঠু
মৌলভীবাজার-৩ আসনে এম নাসের রহমান
মৌলভীবাজার-৪ আসনে মুজিবুর রহমান চৌধুরী
হবিগঞ্জ-৩ আসনে জি কে গৌছ।
★চট্টগ্রাম বিভাগ:
চট্টগ্রাম-১ আসনে নুরুল আমিন
চট্টগ্রাম-৪ আসনে ইসহাক কাদের চৌধুরী
চট্টগ্রাম-৬ আসনে জসিমউদ্দিন সিকদার
চট্টগ্রাম-৭ আসনে কুতুবউদ্দিন বাহার
চট্টগ্রাম-৯ আসনে ডা. শাহাদাত হোসেন
চট্টগ্রাম-১০ আসনে আবদুল্লাহ আল নোমান
চট্টগ্রাম-১২ আসনে এনামুল হক এনাম
চট্টগ্রাম-১৩ আসনে সারওয়ার জামাল নিজাম
চট্টগ্রাম-১৬ আসনে জাফরুল ইসলাম চৌধুরী
কুমিল্লা-১ আসনে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন
কুমিল্লা-২ আসনে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন
কুমিল্লা-৩ আসনে কাজী মুজিবুল হক
কুমিল্লা-৮ আসনে জাকারিয়া তাহের সুমন
কুমিল্লা-৯ আসনে কর্নেল (অব.) আনোয়ারুল আজিম
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে একরামুজ্জামান
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে প্রকৌশলী খালেদ মাহবুব শ্যামল
চাঁদপুর-১ আসনে মোশাররফ হোসেন
চাঁদপুর-২ আসনে ড. জালাল উদ্দিন
চাঁদপুর-৫ আসনে ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক
ফেনী-২ আসনে ভিপি জয়নাল আবেদীন
ফেনী-৩ আসনে আকবর হোসেন
নোয়াখালী-১ আসনে ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন
নোয়াখালী-২ আসনে জয়নুল আবদিন ফারুক
নোয়াখালী-৩ আসনে বরকতউল্লাহ বুলু
নোয়াখালী-৪ আসনে মো. শাহজাহান
নোয়াখালী-৫ আসনে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ
নোয়াখালী-৬ আসনে ফজলুল আজিম
লক্ষ্মীপুর-২ আসনে আবুল খায়ের ভূঁঁইয়া
লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী
কক্সবাজার-১ আসনে হাসিনা আহমেদ
কক্সবাজার-৩ আসনে লুৎফর রহমান কাজল
কক্সবাজার-৪ আসনে শাহজাহান চৌধুরী
পার্বত্য খাগড়াছড়ি শহীদুল ইসলাম ভুইঁয়া
পার্বত্য রাঙ্গামাটি মনি স্বপন দেওয়ান
পার্বত্য বান্দরবান সাচিং প্রু জেরি।
★ময়মনসিংহ বিভাগ:
ময়মনসিংহ-২ আসনে শাহ শহীদ সারওয়ার
ময়মনসিংহ-৩ আসনে আহম্মেদ তায়েবুর রহমান হিরন
ময়মনসিংহ-৫ আসনে মোহাম্মদ জাকির হোসেন বাবলু
ময়মনসিংহ-৬ আসনে ইঞ্জিনিয়ার শামসুদ্দিন আহমদ
ময়মনসিংহ-৭ আসনে জয়নাল আবেদীন
ময়মনসিংহ-৯ আসনে খুররম খান চৌধুরী
ময়মনসিংহ-১১ আসনে ফখরুদ্দিন বাচ্চু
শেরপুর-১ আসনে ডা. শানসিলা
শেরপুর-২ আসনে একেএম মোখলেসুর রহমান রিপন
শেরপুর-৩ আসনে মাহমুদ রুবেল
জামালপুর-২ আসনে সুলতান মাহমুদ বাবু
জামালপুর-৩ আসনে মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল
জামালপুর-৪ আসনে ফরিদুল কবির তালুকদার
জামালপুর-৫ আসনে অ্যাডভোকেট শাহ ওয়ারেস আলী মামুন
নেত্রকোনা-১ আসনে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল
নেত্রকোনা-২ আসনে আনোয়ারুল হক
নেত্রকোনা-৩ আসনে রফিকুল ইসলাম হিলালী
নেত্রকোনা-৪ আসনে তাহমিনা জামান শ্রাবনী।
★খুলনা বিভাগ:
খুলনা-১ আসনে আমীর এজাজ খান
খুলনা-২ আসনে নজরুল ইসলাম মঞ্জু
খুলনা-৩ আসনে রকিবুল ইসলাম বকুল
খুলনা-৪ আসনে আজিজুল বারী হেলাল
সাতক্ষীরা-১ আসনে হাবিবুল ইসলাম হাবিব
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে মাহমুদ হাসান খান
কুষ্টিয়া-৪ আসনে সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী
ঝিনাইদহ-৪ আসনে সাইফুল ইসলাম ফিরোজ
যশোর-১ আসনে মফিকুল হাসান তৃপ্তি
যশোর-৩ আসনে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত
যশোর-৪ আসনে ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব
যশোর-৬ আসনে আবুল হোসেন আজাদ
বাগেরহাট-১ আসনে মাসুদ রানা
বাগেরহাট-২ আসনে এমএ সালাম।
★রংপুর বিভাগ
পঞ্চগড়-১ : ব্যারিস্টার নওশদ জমির
পঞ্চগড়-২ : ফরহাদ হোসেন আজাদ
ঠাকুরগাঁও-১ : মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
ঠাকুরগাঁও-৩ : জাহিদুর রহমান
দিনাজপুর-২ : মো. সাদিক
দিনাজপুর-৪ : আক্তারুজ্জামান ভুঁইয়া
দিনাজপুর-৫ : এ জেড এম রেজওয়ানুল হক
নীলফামারী-১ : রফিকুল ইসলাম
রংপুর-২ : মোহাম্মদ আলী সরকার
রংপুর-৩ : রিটা রহমান (শরিক)
রংপুর-৪ : এমদাদুল হক ভরসা
রংপুর-৬ : সাইফুল ইসলাম
কুড়িগ্রাম-১ : সাইফুর রহমান রানা
কুড়িগ্রাম-৩ : তাজবিরুল ইসলাম
কুড়িগ্রাম-৪ : আজিজুর রহমান
লালমনিরহাট-১ : হাসান রাজিব প্রধান
লালমনিরহাট-২ : রোকনউদ্দিন বাবুল
লালমনিরহাট-৩ : আসাদুল হাবিব দুলু
গাইবান্ধা-২ : আবদুর রশিদ সরকার
★রাজশাহী বিভাগ
জয়পুরহাট-১ : ফজলুর রহমান
জয়পুরহাট-২ : আবু ইউসুফ মো. খলিলুর রহমান
বগুড়া-১ : কাজী রফিকুল ইসলাম
বগুড়া-৪ : মোশাররফ হোসেন
বগুড়া-৫ : জিএম সিরাজ
রাজশাহী-১ : আমিনুল হক
রাজশাহী-২ : মিজানুর রহমান মিনু
রাজশাহী-৩ : শফিকুল হক মিলন
রাজশাহী-৪ : আবু হেনা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ : শাহজাহান মিয়া
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ : আমিনুল ইসলাম
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ : হারুন অর রশিদ
নাটোর-১ : কামরুন্নাহার শিরীন
নাটোর-২ : সাবিনা ইয়াসমিন ছবি
নাটোর-৪ : আবদুল আজিজ
নওগাঁ-৩ পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী জনি
সিরাজগঞ্জ-১ : কনক চাঁপা
সিরাজগঞ্জ-২ : রুমানা মাহমুদ
সিরাজগঞ্জ-৬ : কামরুদ্দিন ইয়াহিয়া মজলিস
পাবনা-২ : সেলিম রেজা হাবিব
পাবনা-৪ : হাবিবুর রহমান।
★খুলনা বিভাগ
খুলনা-২ : নজরুল ইসলাম মঞ্জু
খুলনা-৩ : রকিবুল ইসলাম বকুল
খুলনা-৪ : আজিজুল বারী হেলাল
যশোর-১ : মফিকুল হাসান তৃপ্তি
যশোর-৩ : অনিন্দ্য ইসলাম অমিত
মাগুরা-১ : মনোয়ার হোসেন খান
মাগুরা-২ : নিতাই রায় চৌধুরী।
★বরিশাল বিভাগ
বরিশাল-৫ : অ্যাড. মজিবুর রহমান সরোয়ার
পটুয়াখালী-৩ : গোলাম মাওলা রনি
ভোলা-৩ : মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ
ভোলা-৪ : নাজিম উদ্দিন আলম
ঝালকাঠি-২ : জেবা আমিন খান।
বার্তা-২৪

পরিকল্পনা মন্ত্রী লোটাস কামালের উস্কানিমুলক একটি বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করে তা প্রত্যাহারের আহবান


আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃ পরিকল্পনা মন্ত্রী লোটাস কামালের উস্কানিমুলক একটি বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করে তা প্রত্যাহারের আহবান জানিয়েছেন নাঙ্গলকোটের সন্তান শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত। গত মধ্যরাতে লোটাস কামালের একটি বক্তব্যের ভিডিও শেয়ার করে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে ইয়াছিন আরাফাত এ আহবান জানান। নিন্মে স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হল-
আ হ ম মোস্তফা কামালের (লোটাস কামাল) বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
কুমিল্লা-১০ (নাঙ্গলকোট, লালমাই, সদর দক্ষিণ) আসনের আ’লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী জনাব আ হ ম মোস্তফা কামালের (লোটাস কামাল) বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তিনি একজন মন্ত্রী এবং দেশের প্রাচীন দল আওয়ামী লীগের জেলা সভাপতি। তিনি যে ভাষায় বক্তব্য দিয়েছেন তা কোন রাজনৈতিক নেতার বক্তব্য হতে পারে না। তার এ বক্তব্য চর দখলকারী কোন দস্যু নেতার বক্তব্যের মত। তিনি জামায়াত-শিবির এবং এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে যে বিষেধাগার করেছেন, এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়েছেন তা ওনার ভাবমূর্তিকেই ক্ষুন্ন করেছে। গণতন্ত্রে বিশ্বাসী কোন মানুষ তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে এভাবে খুঁজে খুজে বের করে নিশ্চিহ্ন করার হুমকি দিতে পারে না। তিনি যে ভাষায় বক্তব্য দিয়েছেন তা ফ্যাসিবাদের ভাষা। আশা করি তিনি তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিবেন এবং কুমিল্লা-১০ তথা নাঙ্গলকোট, লালমাই, সদর দক্ষিণ এলাকায় শান্তি, সমৃদ্ধি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করে উৎসবমুখর ভোটদানের পরিবেশ তৈরিতে ভুমিকা রাখবেন। মনে রাখবেন হুমকি দিয়ে, গুন্ডা বাহিনী দিয়ে এমনকি পুলিশও লেলিয়ে দিয়ে জনগনকে তাদের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। ইনশাআল্লাহ।
#মুহাম্মদ_ইয়াছিন_আরাফাত, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা।
উল্লেখ্য, কুমিল্লা-১০ আসনের নির্বাচনী এক উঠান বৈঠকে লোটাস কামাল বলেন, জামায়াত শিবির এবং আরো যত চৌদ্দগোষ্টি আছে সবাইকে শেষ করে দেয়া হবে। ২৭ তারিখের মধ্যে যদি তারা আমাদের সাথে কম্প্রোমাইজে না আসে তাহলে কাউকে এলাকায় থাকতে দেয়া হবে না, খুঁজে খুঁজে বের করে নিশ্চিহ্ন করা হবে।
ধারণা করা হচ্ছে, কুমিল্লা-১০ (নাঙ্গলকোট, লালমাই, সদর দক্ষিণ) আসন থেকে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত মনোনয়ন পাচ্ছেন এবং লোটাস কামালের বিপরীতে লড়বেন এমন গুঞ্জনের ভিত্তিতেই লোটাস কামাল উস্কানিমূলক এ বক্তব্য দিয়েছেন। তার এ বক্তব্যের ভিডিওটি ইতোমধ্যে সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
natundhaka.com

বৃহস্পতিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৮

মিথ্যা মামলায় জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ৬ জন কারাগারে

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃ বগুড়ার কাহালু উপজেলা চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা মাওলানা তায়েব আলীসহ ৬ নেতাকর্মীকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়েরকৃত মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ নরেশ চন্দ্র সরকার এর আদালতে হাজির হয়ে আসামীরা জামিন আবেদন করলে তিনি এ আদেশ দেন।
সূত্রে জানা যায়, গত ৩ অক্টোবর রাতে কাহালু উপজেলা সদরের দুটি স্থানে কে বা কারা দুটি ককটেল বিস্ফোরন ঘটালে কাহালু উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে কাহালু থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা মামলা করেন। এ মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা তায়েব আলীসহ বিএনপি ও জামায়াতের ২২জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৬০-৭০ জনকে আসামী করা হয়। এরপর আসামীরা হাইকোর্ট থেকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন লাভ করেন।
জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তায়েব আলীসহ জামায়াতের ৬ জন নেতাকর্মী বুধবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। অপর আসামীরা হলেন কাহালু সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুল মোমিন, কাহালু পৌরসভার কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম, ফখরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম ও রিজওয়ানুল হক।
উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জামায়াত নেতা মাওলানা তায়েব আলী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যানের পদে থাকার অজুহাত দেখিয়ে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

দুই ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জু ও জহিরের গ্রেফতারে নিন্দা, মুক্তি দাবী কক্সবাজার জেলা জামায়াতের


আমাদের বাংলাদেশ ডেস্কঃ কক্সবাজারে গত কয়েক দিন যাবত নাশকতার পরিকল্পনাকারি ধরার অজুহাতে গণগ্রেফতার অভিযানের নামে পেকুয়ার জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা অধ্যাপক নুরুজ্জামান মঞ্জু এবং মহেশখালীর জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা মাওলানা জহিরসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গণহারে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কক্সবাজার জেলা আমির মাওলানা মুস্তাফিজুর রাহমান, নায়েবে অামির অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী, এসিসস্টেন্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, মহেশখালী উত্তরের আমির আব্দুশ শাকুর, দক্ষিণের আমির জাকের হোসেন, কুতুবদিয়ার আমির মাওলানা আনোয়ার হোসাইন।

নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, জামায়াতের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়েই সরকার জনপ্রতিনিধিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করছে। যা সম্পূর্ণ অমানবিক ও বেআইনী।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও সরকার বিরোধী দলের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে দেশকে কারাগারে পরিনত করেছে ।
বিশেষভাবে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদেরকে টার্গেট করে গণগ্রেফতার অভিযানের কারণে মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।যা ইতিমধ্যে বিভিন্ন উপজেলায় পরিলক্ষিত হয়েছে।
জামায়াত নেতারা বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা সর্বকালের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। সরকার তাদের ক্যাডার ও পুলিশ দিয়ে জুলুম নির্যাতন, হত্যা, গুম, রিমান্ডে নিয়ে পঙ্গু করে ও মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধী দলকে দমন করতে চায়। যা নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করছে।
বেছে বেছে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করাটা সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে একটি বড় অন্তরায়।
নির্বাচনের দায়িত্বে যারা থাকবে তারা যদি গ্রেফতার হয় তবে নির্বাচন করবে কে? এমন প্রশ্ন বিবৃতিতে উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের দুই উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুজ্জামান মঞ্জু এবং মাওলানা জহিরসহ নেতা-কর্মীদের নিঃশর্তভাবে মুক্তি প্রদান করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
বিষয়টি নির্বাচন কমিশনারের হস্তক্ষেপ কামনা এবং আশা করি নির্বাচন কমিশনের উপর ন্যস্ত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলায় সুন্দর উৎসবমুখর গ্রহন যোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

বুধবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

ফরিদুদ্দীন মসউদকে গ্রেফ্তারসহ ছয় দফা দাবী আজকের প্রেসক্লাবের উলামাদের মানব-বন্ধন থেকে !


আজ সকাল ১০টায় সম্মিলিত ওলামায়ে কেরাম ও সর্বস্তরের তৌহিদী জনতার ব্যানারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক জনবহুল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও খতিবদের উদ্যোগে আয়োজিত এই মানববন্ধন থেকে ছয় দফা দাবি জানানো হয়।
দাবিগুলি হল- 
১) মূল পরিকল্পনাকারী ওয়াসিফ, খান শাহাবুদ্দিন নাসিম, মৌলভী ফরিদ উদ্দিন মাসউদ গংদের আগামী শুক্রবার ফজরের আগে গ্রেফতার করতে হবে এবং তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২) ওয়াসিফ, নাসিম ও সাদ পন্থী হাতাতি খুনিদের কাকরাইল মারকাজসহ সারা বাংলাদেশের দাওয়াতি কার্যক্রম থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে হবে।
৩) বিশ্ব এজতেমার কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ইজতেমা ময়দান আহলে হক ওলামায়ে কেরাম ও হকপন্থী তাবলিগী সাথীদের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে।
৪) কওমি শিক্ষা বোর্ড আল হাইয়াতুল উলইয়া থেকে সাদপন্থী দালাল মৌলবী ফরিদ উদ্দিন মাসুদকে বহিষ্কার করতে হবে।
৫) একটি সর্বগ্রহণযোগ্য তদন্ত কমিটি গঠন করে ইজতেমায় হামলায় ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক রিপোর্ট জাতির সামনে উপস্থাপন করতে হবে।
৬) হামলায় নিহত-আহতদের ক্ষতিপূরণ ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
মানববন্ধন থেকে আরও ঘোষণা করা হয়, দোষীদের যদি আগামী শুক্রবারের পূর্বে গ্রেফতার করা না হয় তাহলে শুক্রবার জুমা বাদ সারা দেশের প্রত্যেকটি মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করা হবে এবং সেই বিক্ষোভ মিছিল থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
জাতীয় ইমাম সমাজের সভাপতি ক্বারী আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খেলাফত আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মাওলানা মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মাওলানা মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন। মাওলানা মীর হেদায়েতুল্লাহ গাজীর সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন মাওলানা বেলায়েত আল ফিরুজি, মাওলানা আনোয়ারুল হক, মাওলানা জোবায়ের বকশি, মুফতি আনিসুর রহমান, মাওলানা শহিদুল আনোয়ার, মাওলানা আহমদ উল্লাহ, মাওলানা আজহারুল ইসলাম, মাওলানা শামসুল হক প্রমুখ। কর্মসূচি ঘোষণা করেন জাতীয় ইমাম সমাজের সেক্রেটারি মাওলানা মিনহাজ উদ্দিন।
Zamzam24.com

মাঠে আওয়ামী লীগ আদালতে বিএনপি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর বাকী মাত্র ২৪দিন। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। বিএনপি প্রতিটি আসনে একাধিক প্রার্থী দিলেও আওয়ামী লীগ দুএকটি ছাড়া প্রায় অধিকাংশ আসনেই তাদের একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে। ফলে দলটির প্রার্থীরা বিজয়ী হতে ইতোমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছেন। নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগ,নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করার কাজ করছেন। যেসব আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে তাদেরকে বসিয়ে দিতে কেন্দ্র থেকেও দেয়া হচ্ছে কঠোর বার্তা। কিন্তু নির্বাচনের মাঠে আওয়ামী লীগ জোটের প্রধান প্রতিদ্বদ্বী বিএনপি এখনো নির্বাচনের মাঠেই নামতে পারেনি। 
একদিকে দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলানেতাকর্মীরা ঘর-বাড়ি ছাড়া। তফসিল ঘোষণার পরই প্রায় সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের অভিযোগ করেছে দলটি। প্রতিদিনই শত শত নেতাকর্মী দেশের সবকটি আদালতে হাজির হচ্ছেন জামিন নিতে। যাদের জামিন হচ্ছে না ঠাঁই হচ্ছে কারাগারে। অন্যদিকে গণহারে দলটির জনপ্রিয় ও হেভিওয়েট প্রার্থীদের প্রার্থীতা বাতিল হওয়ায় বেকায়দায় পড়েছে দলটি। ফলে এখনো বিএনপি তাদের প্রার্থী চূড়ান্তই করতে পারেনি। দলটির প্রথম সারির দেড় শতাধিক নেতার মনোনয়ন বাতিল করার কারণে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে অনেকটা হিমশিম খেতে হচ্ছে। আবার যাদেরকে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে তাদের অনেকেই মামলার কারণে নিজ এলাকায় যেতে পারছেন না। 
তাদের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিতে পারছেন না মামলা থাকা দলটির নেতাকর্মীরাও। এই অবস্থায় অবাধ,সুষ্ঠুনিরপেক্ষ নির্বাচনের কোন সুযোগ দেখছেনা বিএনপি। শেষ মুহূর্তে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের আশা করলেও তার পরিবর্তে সরকারি দলকে জেতানোর জন্য নির্বাচন কমিশন কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেনএখনো সুষ্ঠু নির্বাচনের কোন পরিবেশ নাই। বিএনপি ও বিরোধী দলের প্রার্থী এবং তাদের কর্মী-সমর্থকরা মাঠে নামতে পারছে না। হাজার হাজার গায়েবি মামলার কারণে এলাকায় যেতে পারছে না। বাড়িতে থাকতে পারছে না। এভাবে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হয় না। নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেননির্বাচন কমিশন একচোখা নীতি গ্রহণ করেছে। নির্বাচনকে তারা তামাশার বিষয় করে তুলেছে। তারা এমন একটি নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করেছে যেখানে সরকার দলীয় প্রার্থীকে সিল মেরে দেয়ার সুযোগ করে দেয়া। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মত প্রতিদ্বিদ্বতাহীন একটি নির্বাচন করার চেষ্টা করছে। এরপরও বিএনপি নির্বাচনে গেছে কেন সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে শামসুজ্জামান দুদু বলেনএখনো আমরা একটা ভাল নির্বাচনের আশা করছি। আমরা নির্বাচনকে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরে পাবার আন্দোলন হিসেবে নিয়েছি।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে ৩ হাজার ৬৫ জন। এর মধ্যে ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ২ হাজার ৫৬৭জন এবং স্বতন্ত্র ৪৯৮ জন। জমা দেয়া প্রার্থীদের মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই শেষে গত রোববার প্রাথমিক প্রার্থীভাবে ২ হাজার ২৭৯ জনকে বৈধ ঘোষণা করেছে। আর রাজনৈতিক দলগুলোর ২হাজার ৫৬৭ জনের মধ্যে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে ২ হাজার ১৬৫জনকে এবং বাতিল করা হয়েছে ৪০২ জনের মনোনয়নপত্র। যার মধ্যে বিএনপির ১৪১জন এবং আওয়ামী লীগের মাত্র তিনজনে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রার্থী বাতিল করার কারণে ইতোমধ্যে ঢাকা-১বগুড়া-৭মানিকগঞ্জ-২সুনামগঞ্জ-৩জামালপুর-৪ ও শরীয়তপুর-১ আসনে প্রার্থী শূণ্য হয়ে গেছে বিএনপির।
মনোনয়নপত্রে ভুলঋণ খেলাপিবিল খেলাপিমামলায় সাজা হওয়ার কারণে মনোনয়নপত্র বাতিলের কথা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে নানা অজুহাতে,ছোটখাটো ভুলে সরকারের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন বেছে বেছে সারাদেশে বিএনপির হেভিওয়েট ও জনপ্রিয় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। সরকার দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করতেই এধরণের কৌশল নেয়া হয়েছে বলেও মনে করেন দলটির নেতারা। প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে এরই মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াস্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস (প্রথমে গ্রহণ করা না হলেও গতকাল আদালত গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছে)চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমানভাইস চেয়ারম্যান এম মোর্শেদ খানশাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনগিয়াস কাদের চৌধুরীযুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীসাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুমহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসগোলাম মাওলা রনিঢাকার নবাবপুরের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশফাক হোসেনসহ বিএনপির ১৪১ নেতা। যারা অন্তত ৮০টি আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বিদ্বতা করার কথা রয়েছে। এছাড়া বিএনপির জোটসঙ্গী গণফোরামের প্রার্থী রেজা কিবরিয়ারলিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) এমএ করিম আব্বাসীরও মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। 
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেনটার্গেট করে বিএনপির হেভিওয়েট ও জনপ্রিয় নেতা এবং সাবেক এমপিদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপির অসংখ্য মনোনয়ন প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে। তিনি বলেনবিনা অজুহাতেই বিএনপি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। রিটার্নিং অফিসারদের কক্ষ সংলগ্ন ছোট রুম’ আছে। বিএনপি প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হবে কি হবে না সেটি জানার জন্য বারবার রিটার্নিং অফিসার ঐ ছোট রুমে ছুটে যান। মূলত: সরকারের নির্দেশ শোনার জন্যই রিটার্নিং অফিসারকে বারবার ঐ রুমে যেতে হয়। বিএনপির প্রার্থীদের অনেকেরই মনোনয়নপত্র নির্ভূল থাকার পরেও ওই ছোট রুম থেকে ফিরে এসে রিটার্নিং অফিসার (ডিসি) বলেনউপরের নির্দেশ আছে বলেই এই মনোনয়নপত্রটি বাতিল করতে আমি বাধ্য হচ্ছি। 
প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে মনোনয়নপত্র বাতিল হলেও এখনো আপিল করে প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ প্রার্থীতা ফিরে পেতে আপিল করার শেষ দিন। যেসব অবৈধ ঘোষিত প্রার্থী আপিল করবেন তাদের বিষয়ে ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুনানি শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইসি। তবে এক্ষেত্রে সরকার এবং নির্বাচন কমিশন খুব একটা নমনীয় হবে বলে মনে করেন না বিএনপি নেতারা। এছাড়াও একই কারণে বিএনপির প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হলেও আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে বহাল রাখা হয়েছে বলেও দাবি করে বিএনপি। 
রুহুল কবির রিজভী বলেনক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রে অসংখ্য ত্রুটি থাকার পরেও সেগুলোকে বাতিল করা হয়নি। দুর্নীতি মামলায় দন্ডিত হওয়ার তথ্য গোপনের অভিযোগ থাকার পরেও সরকারি দলের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়নি। তিনি বলেনদন্ড হওয়ার কারণ দেখিয়ে বেগম খালেদা জিয়া,ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও আমানউল্লাহ আমানসহ বিএনপির পাঁচ নেতার আবেদন নাকচ করা হলেও একই কারণ বিদ্যমান থাকলেও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবং কক্সবাজারের এমপি আব্দুর রহমান বদির মনোনয়নপত্র বৈধ করা হয়েছে। 
চূড়ান্ত বাছাইয়ে বিএনপির প্রার্থীরা প্রার্থিতা ফিরে না পেলে বেশ সঙ্কটেই পড়তে হবে বলে মনে করেন দলটির শীর্ষ নেতারা। এছাড়া এর সাথে রয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা। দলটির তৃণমূলের নেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়দলের পক্ষ থেকে যাদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে এবং তাদের পক্ষ হয়ে যেসব নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মাঠে কাজ করবেন তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। কারো কারো বিরুদ্ধে এই মামলার সংখ্যা আড়াইশও ছাড়িয়ে গেছে। দলটির ঢাকা-১২ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাইফুল আলম নিরবের বিরুদ্ধে ২৬৭টি মামলাব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের প্রার্থী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার মামলা ২৫টিঢাকা-১৮ আসনের প্রার্থী এসএম জাহাঙ্গীরের মামলা ১৩৮টিনবীউল্লাহ নবী ১২১শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের ১০৮টিখোদ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে মামলা প্রায় শতাধিক। একইভাবে দলের শীর্ষ নেতা থেকে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে বিএনপি। 
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেনদলের এমন কোন নেতা নাই যার বিরুদ্ধে কোন মামলা নাই। ২০০৯ সালের পর গত ১০ বছরে বিএনপির বিরুদ্ধে ৯০ হাজার মামলা করা হয়েছে এবং এসব মামলায় আসামী করা হয়েছে ২৫ লাখ ৭০ হাজার আসামী। আর গত ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পরথেকে দলের ৮৫ হাজার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৪ হাজার ১২৬টি গায়েবি মামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এই অবস্থায় দলটির নেতাকর্মীদের নির্বাচনের মাঠের পরিবর্তে আদালত-কারাগারে চক্কর খেতে হচ্ছে। 
দলটির তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানান- মনোনয়ন পাওয়ার পরও নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় অনেক বিএনপি প্রার্থীই যেতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ-সংশয় রয়েছে। এছাড়া প্রার্থীদের পক্ষেধানের শীষের পক্ষে যারা মাঠে নামবেন সেই কর্মী-সমর্থকরাও মামলা-হামলার কারণে এলাকা ছাড়া। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এলাকায় গেলেই নতুন করে দিয়ে দেয়া হচ্ছে মামলা। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতাকর্মী দেখলেই খবর দিচ্ছে পুলিশকেপুলিশও ছো মেরে নেতাকর্মীদের নিয়ে যাচ্ছে। যাদের পাচ্ছে না তাদের বিরুদ্ধে দিচ্ছে নতুন মামলা।
দলের যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেননির্বাচনের এখন পর্যন্ত যে পরিবেশ তাতে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী প্রচারণা করছে আর বিএনপি ও তাদের প্রার্থীরা থানা-আদালত-কারাগারে ঘুরপাক খাচ্ছে। এই অবস্থায় কি নির্বাচন হবেতা সহজেই অনুমান করা যায়। 

মঙ্গলবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

নির্বাচন কমিশনের ব্যাখ্যা ভুল -প্রফেসর ড. শাহদীন মালিক

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ইত্যদি পদাধিকারীদের স্ব স্ব পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে আগামী সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে-গত সপ্তাহে এ গোছের সংবাদ নজরে এসেছিল। এই ব্যাখ্যার উৎস নির্বাচন কমিশন। এর ফলে দুই ধরনের ঘটনা ঘটল। সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বর্তমানে চেয়ারম্যান বা মেয়র আছেন এমন অনেকেই তাড়াহুড়ো করে তাঁদের পদত্যাগপত্র প্রযোজ্য কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিলেন। দ্বিতীয়ত, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে জানা গেল যে পদত্যাগী চেয়ারম্যান-মেয়রদের অনেকেরই মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে এ কারণে যে তাঁদের পদত্যাগপত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছে এ মর্মে কোনো কাগজপত্র তাঁরা দাখিল করেননি। অর্থাৎ, পদত্যাগ কার্যকর হয়েছে সে-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজ তাঁরা জমা দেননি। ফল দাঁড়াল, এই চেয়ারম্যান-মেয়ররা মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় যেহেতু তাঁদের স্ব স্ব পদে বহাল আছেন, সেহেতু তাঁদের মনোনয়নপত্র বাতিল বা অবৈধ হিসেবে ঘোষিত হলো। কিন্তু ইসি এবং রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এ ধরনের ব্যাখ্যা ও সিদ্ধান্ত ভুল।
২. 
আমাদের স্থানীয় সরকার পাঁচ প্রকারের-ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, জেলা পরিষদ ও সিটি করপোরেশন। প্রতিটি স্থানীয় সরকারের জন্য আলাদা আলাদা আইন আছে। যেমন স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯; স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯; ইত্যাদি। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদের নির্বাচিত প্রধান হলেন চেয়ারম্যান। পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের মেয়র।

সব স্থানীয় সরকার আইন এবং চেয়ারম্যান ও মেয়রদের নিয়ে আইনি ব্যাখ্যা করতে গেলে আলোচনাটা দীর্ঘ ও জটিল হয়ে পড়বে। তাই শুধু স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ থেকে দেখাব যে পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র স্বপদে বহাল থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তাঁকে প্রার্থী হওয়ার আগে পদত্যাগ করতে হবে না। আর যেহেতু পদত্যাগ করতে হবে না, সেহেতু পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে কি না, সেই প্রশ্নটা অবান্তর।
পৌরসভার আইনে ৩৩ ধারায় কোন কোন ক্ষেত্রে পৌরসভার মেয়রের পদ শূন্য হবে সে-সংক্রান্ত বিধান আছে। স্বভাবতই মেয়র মৃত্যুবরণ করলে তাঁর পদ শূন্য হবে। এ ছাড়া পদত্যাগ ও অন্য কিছু কারণে পদ শূন্য হতে পারে। এই আলোচনায় আমাদের জন্য যেটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো, ৩৩ ধারার (১) (ঙ), যেখানে বলা আছে, ‘মেয়রের পদ শূন্য হইবে যদি তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।’ এই বিধান থেকে এটা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট যে পৌরসভার একজন মেয়র স্বপদে থেকে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। সংসদ নির্বাচনে তিনি যদি জয়লাভ করেন, তাহলে তাঁর মেয়রের পদ শূন্য হবে। কিন্তু সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে মেয়র যদি সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হতে না পারেন, তাহলে তিনি তাঁর মেয়র পদে বহাল থাকবেন। অন্য কথায়, পৌরসভার একজন মেয়রকে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে সেই পদত্যাগপত্র গৃহীত হলে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন, আইনের এ রকম অদ্ভুত ব্যাখ্যা চমকপ্রদ। এ ধরনের বিধান একটু অন্যভাবে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদ আইনেও আছে।
চেয়ারম্যান বা মেয়র (সিটি করপোরেশন ব্যতীত) প্রজাতন্ত্রের লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত না। অন্য কথায়, তাঁরা প্রজাতন্ত্রের বা সরকারের পদে আছেন সেই জন্য পদত্যাগ না করে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, সেটাও আইনের ভুল ব্যাখা। শেষে মোদ্দাকথা, আইনের একটা ভুল ব্যাখ্যার কারণে বেশ কিছু চেয়ারম্যান বা মেয়র প্রার্থী হওয়ার জন্য তাঁদের স্ব স্ব পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু পদত্যাগ করেও অনেকেই বৈধ প্রার্থী হতে পারেননি। কারণ, তাঁদের পদত্যাগপত্র এখনো গৃহীত হয়নি। এ ধরনের ভুল ব্যাখ্যার ফাঁদে পড়ে বেচারাদের আমও গেছে, ছালাও গেছে।
ড. শাহদীন মালিক: বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের আইনের শিক্ষক।
দৈনিক প্রথম আলো
০৪ ডিসেম্বর ২০১৮

দু’টি আসনে জামায়াতের প্রার্থীতা বাতিলের দাবি: ২৩ দলীয় জোটের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে খুলনা জেলা বিএনপি

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ : ২৩ দলীয় জোটের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন খুলনা জেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনা। তিনি গতকাল রোববার তার অনুসারীদের নিয়ে নগরীর কেডি ঘোষ রোডস্থ মহানগর জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে পৃথক পৃথক সভা-সমাবেশ করেছেন।
সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত জামায়াতে ইসলামী দুই প্রার্থী খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ও খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনে মাওলানা আবুল কালাম আজাদের মনোয়ন দেয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করা হলে ধানের শীষ প্রতীক নেয়া প্রার্থীদেরকে এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করবেন বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।
খুলনা জেলা বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবু স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমের ই-মেইল বার্তায় উল্লেখ করা হয়, খুলনা-৬ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনাকে দাবি করেছেন স্থানীয় কয়রা-পাইকগাছা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
তাদের দাবি, এখানে সাংগঠনিকভাবে বিএনপি শক্ত ভিত্তির ওপর দাড়িয়ে আছে। উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদসহ স্থানীয় সরকারের সকল নির্বাচনের ফলাফলে বিএনপির প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছে। অপরদিকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতারা অভিযুক্ত এবং নাশকতাসহ নানা অভিযোগে দলটির তৃণমূল বিপর্যন্ত হয়ে পড়ায় সাংগঠনিকভাবে তারা দূর্বল হয়ে পড়েছে।
এ অবস্থায় জামায়াতের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া অসম্ভব। একই সাথে খুলনা-৫ আসনেও জামায়াত নয়, বিএনপির প্রার্থী দাবি করেছেন দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তাদের অভিমত, বিশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কৌশলের অবলম্বন নিয়ে একবারমাত্র এই আসনে জামায়াত প্রার্থী নির্বাচিত হলেও তারা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করেছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক ভিত্তির ওপর। এরপর জামায়াত প্রার্থী এমপি নির্বাচিত হয়ে বিএনপির উপকারের পরিবর্তে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে। চার দলীয় জোট ক্ষমতায় থাকলেও বিএনপির ২৩ নেতাকর্মী খুন, দুই শতাধিক আহত ও পঙ্গু, আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পক্ষান্তরে ক্ষমতায় থাকার সুবাদে নানানভাবে আর্থিক ক্ষেত্রে লাভবান হয়েছে জামায়াত। যে কারণে এবারের ভোটে তারা ধানের শীষ প্রতীক জামায়াতের হাতে তুলে দিতে নারাজ। তাদের দাবি বিএনপির টিকিট পাওয়া এই আসনের সাবেক এমপি ডাঃ গাজী আব্দুল হক কিংবা জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. মামুন রহমানকে বিএনপির প্রার্থী করতে হবে।
রোববার দুপুরে নগরীর কে ডি ঘোষ রোডে বিএনপি কার্যালয়ে ডুমুুরিয়া উপজেলা বিএনপির এবং পরে একই স্থানে অনুষ্ঠিত কয়রা উপজেলা বিএনপির পৃথক দুই সভা থেকে এই দাবি ওঠে। কেন্দ্র থেকে দাবি মানা না হলে বিএনপির তৃণমূলের কর্মীরা কঠোরতর কর্মসূচি, এমনকি ধানের শীষ প্রতীক নেয়া বহিরাগতদেরকে এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করবেন বলে জানান।
ডুমুরিয়া উপজেলা বিএনপির সভায় সভাপতিত্ব করেন খান আলী মুনসুর। ওহিদুজ্জামান রানার পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন গাজী তফসির আহমেদ, মনিরুল হাসান বাপ্পী, মোল্লা মোশারফ হোসেন মফিজ, মুর্শিদুর রহমান লিটন, শামীম কবির, তৈয়েবুর রহমান, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, শেখ হাফিজুর রহমান, আবুল বাশার, জহুরুল হক, হারুনর রশিদ, ইসমাইল হোসেন, নাদিমুজ্জামান জনি, সরোয়ার হোসেন, ওয়াহিদুজ্জামান নান্না, কবির হোসেন, জহুর আকুঞ্জী, ফজলুল করিম সেলিম, মোল্লা আইযুব হোসেন, শফিকুর রহমান, এম এম জাফর, হালিম শেখ, মোল্লা মশিউর রহমান, শফিক আহমেদ মেজবা, নজরুল মোল্লা, আল শাকিল, আহাদ আলী শেখ। সভা থেকে ইঞ্জিনিয়ার মনির হাসান টিটোর ওপর সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা এবং হামলার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
এদিকে কয়রা উপজেলা বিএনপির নির্বাহী সভায় সভাপতিত্ব করেন এডভোকেট মোমরেজুল ইসলাম। নুরুল আমিন বাবুলের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন এডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা। বক্তব্য রাখেন মনিরুজ্জামান মন্টু, কামরুজ্জামান টুকু, এডভোকেট কে এম শহিদুল আলম, মুর্শিদুর রহমান লিটন, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, মশিউর রহমান যাদু, জাফরী নেওয়াজ চন্দন, মনিরুজ্জামান বেল্টু, সরদার মতিয়ার রহমান, জসিমউদ্দিন লাবু, জাবির আলী, ডি এম নুরুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, মঞ্জুরুল আলম নান্নু, মনিরুজ্জামান মনি, রফিকুল ইসলাম মিস্ত্রি, জি এম রফিকুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, জি এম সিরাজুল ইসলাম, লিটন মোল্লা, রেজাউল ইসলাম রেজা, আব্দুর রহমান, ফয়জুল করিম মোল্লা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ২০০১ সালের নির্বাচনে খুলনা-৫ আসন থেকে তৎকালীন চারদলীয় জোটের ব্যানারে খুলনা মহানগরী জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। স্বাধীনতাত্তোর ওই বারই ছিল আওয়ামী লীগের বাইরে কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও জামায়াত নেতা গোলাম পরওয়ার এই আসনে প্রার্থী ছিলেন।
অপরদিকে খুলনা-৬ আসনে ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহ মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস নির্বাচিত হন। এছাড়া ২০০১ সালের নির্বাচনে চারদলীয় ঐক্যজোটের ব্যানারে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও তিনি বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রার্থী ছিলেন।
জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় এ দু’টি আসনে বিএনপির নেতারা প্রার্থী হওয়ার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে। তবে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত জামায়াতে ইসলামীর এই দুই প্রার্থীর চিঠি দেখে বিএনপির মধ্যে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তারা তাদের প্রার্থী বাতিল করে দলীয় প্রার্থী দেয়ার আন্দোলন শুরু করেছে।
২৩ দলীয় জোটের সিদ্ধান্ত মোতাবেক জামায়াতে ইসলামীকে ২৫টি আসন ছেড়ে দেয়ার মধ্যে খুলনার এ দু’টি আসন থাকায় প্রার্থীদের পক্ষে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেছে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের_খসড়া_ ইশতেহারঃ-


🌾সামরিক বাহিনী ও পুলিশ ব্যতীত সকল সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা তুলে দেওয়া এবং ৩ বছরের মধ্যে সরকারি সকল শূন্যপদে নিয়োগ দেয়া হবে।
🌾 অনগ্রসর জনগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা চালু করা হবে।
🌾ত্রিশোর্ধ্ব শিক্ষিত বেকারের জন্য বেকার ভাতা চালু করা হবে।
🌾পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হবে।
🌾সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।
🌾প্রথম বছর থেকেই ডাকসুসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত করা হবে।
🌾বেসরকারি শিক্ষা পুরোপুরি ভ্যাটমুক্ত হবে।
🌾মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষা দিয়ে বিদেশে কর্মসংস্থান করা হবে।
🌾দুর্নীতির বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে।
🌾পরপর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকা যাবেনা।
🌾মুঠোফোনে ইন্টারনেটের খরচ অর্ধেকে নামিয়ে আনা হবে। দেশের বিভিন্ন গণজমায়েতের স্থানে ফ্রি ওয়াই-ফাইয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
🌾সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। সংখ্যালঘুদের ওপর যেকোনো রকম হামলার বিচার হবে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে।
🌾নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে।
🌾শহরে গণপরিবহনকে প্রাধান্য দিয়ে পরিবহন নীতি প্রণয়ন করা হবে।
🌾তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন, রোহিঙ্গা সমস্যাসহ অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমাধান করা হবে।
🌾সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য কল্যাণমূলক প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
🌾দেশের দারিদ্র্যপ্রবণ জেলাগুলোতে শিল্পায়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
🌾ক্ষমতায় এলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করবে ঐক্যফ্রন্ট।
🌾সরকারি পদক্ষেপ এবং সরকারের পদধারীদের বিরুদ্ধে সমালোচনা, এমনকি ব্যঙ্গ-বিদ্রূপেরও অধিকার থাকবে।
🌾সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সব গণমাধ্যমের ওপর কোনো রকম প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সরকারি নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।
🌾ন্যায়পাল নিয়োগ করা হবে এবং সংবিধান-নির্দেশিত সব দায়িত্ব পালনে ন্যায়পালকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হবে।
🌾দুর্নীতি দমন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হবে। দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা গ্রেপ্তারে সরকারের অনুমতির বিধান (সরকারি চাকরি আইন-২০১৮) বাতিল করা হবে।
🌾ব্যাংকিং খাতে ও শেয়ারবাজারে লুটপাটে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
🌾নারীর জন্য সংরক্ষিত আসনের প্রথার পরিবর্তে সরাসরি নির্বাচনের ক্ষেত্রে নারীর জন্য বাধ্যতামূলক ২০ শতাংশ মনোনয়নের বিধান করা হবে।
🌾প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হবে। ইউরোপ, জাপানসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের শ্রমশক্তির রপ্তানির জন্য নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করা হবে।
🌾দায়িত্বপ্রাপ্তির এক বছরের মধ্যে মানুষকে ভেজাল ও রাসায়নিকমুক্ত নিরাপদ খাদ্য পাওয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করা হচ্ছে।
🌾অতিদরিদ্র ও দুস্থদের জন্য বিনা মূল্যে খাদ্য বিতরণ এবং বিনা মূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
🌾বয়স্ক ভাতা, দুস্থ মহিলা ভাতা, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তাদের ভাতার পরিমাণ এবং আওতা বাড়ানো হবে।
🌾শ্রমিক-খেতমজুরসহ গ্রাম ও শহরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সুলভ মূল্যে রেশনিং চালু করা হবে।
🌾ঐক্যফ্রন্ট সরকারের দায়িত্ব পেলে সব খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হবে।
🌾গার্মেন্টসসহ অন্য সব শিল্প এলাকায় শ্রমিকদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণের মাধ্যমে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
🌾কৃষি ভর্তুকি বাড়িয়ে সার বীজ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ সহজলভ্য করা হবে।

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী