বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২০

এক সময়ের কোটিপতির করুণ মৃত্যু।।

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ মোহাম্মদ আবু জাফর, চট্টগ্রামের আলকরন এলাকায় পৈত্রিক নিবাস। ভালোবেসে বিয়ে করেন নোয়াখালীর মাইজদী এলাকার মেয়ে রোজী আক্তারকে। পরিবারের অমতে বিয়ে করার কারনে তার স্ত্রীকে মা-বাবা মেনে নেয় নি। বলতে গেলে ভালোবেসে বিয়ে করার কারনে নিজ পরিবার- পরিজন ও আত্নীয় - স্বজন থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে যান আবু জাফর। নিউ মার্কেটে একটি পরিচিত দোকানে চাকুরী করে কোন রকম দুঃখ কষ্টে সংসার চালাতেন।

একসময় ভাগ্যের অন্বেষায় রিজিকের সন্ধানে আবু জাফর পাড়ি জমান মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে। প্রথমাবস্থায় চাকুরী ও পরবর্তীতে ব্যবসা করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন। চট্টগ্রাম শহরের কাজীর দেউড়ি এলাকায় স্ত্রী'র নামে জায়গা ক্রয় করে বাড়ী নির্মাণ করেন। প্রবাসজীবনে কষ্টার্জিত সমস্ত অর্থ ও সম্পদ সব স্ত্রী'র ব্যাংক একাউন্টে জমা রাখতেন।।
দীর্ঘদিন প্রবাস জীবনের ইতি টেনে দেশে ফিরে আসেন আবু জাফর। নিজস্ব বাড়ী ও ভাড়াঘর এবং ব্যবসা বানিজ্য সব মিলিয়ে কয়েক কোটি টাকার সম্পদের মালিক আবু জাফর। নিজ স্ত্রী, দুই ছেলে যথাক্রমে ফাহিম ও নাইম এবং একমাত্র কন্যা প্রিয়াংকাকে নিয়েই কাজীর দেউড়ির ২নং গলির ১৬১৬ নং বাড়ীতে সুখের নীঢ় গড়ে তোলেন আবু জাফর।।
এ সুখ খুব বেশীদিন স্থায়ী হয়নি আবু জাফরের জীবনে। সংসার জীবনে নেমে আসে এক ঘুর বিভীষিকাময় অন্ধকারাচ্ছন্ন সময়। স্ত্রী'র সাথে সাংসারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া- ঝাটি লেগেই থাকত। ১০/১২ বছর আগে পারিবারিক ঝগড়াকে কেন্দ্র করে স্ত্রী যৌতুকের দাবীতে নারী নির্যাতন আইনে মামলা করে আবু জাফরের বিরুদ্ধে। যাকে ভালোবাসার কারনে নিজের বাবা- মা, ভাই- বোন পরিত্যাগ করেছে এবং নিজের উপার্জিত সব অর্থ যার একাউন্টে জমা করা হয়েছে। যার নামে জায়গা ও বাড়ী করা হয়েছে, সে ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে যৌতুকের জন্য নারী নির্যাতন করায় আবু জাফর মনে ভীষন আঘাত পান। স্ত্রী'র এধরনের আচরন সহ্য করতে না পেরে নিরবে আদালতের রায় মেনে নিয়ে জেলেই চলে যান হতভাগা আবু জাফর।
বছর ছয়েক আগে জেল থেকে বের হয়ে কাজীর দেউড়ির বাড়ীতে গিয়ে দেখে স্ত্রী'র নামে কেনা কোটি টাকা দামের জায়গা ও বাড়ী সব বিক্রি করে দিয়ে সন্তানাদি নিয়ে স্ত্রী অন্যত্র চলে গেছে। ক্ষোভে, দূঃখে, অপমানে স্ত্রী ও সন্তানের কাছে আর ফিরে যায়নি। বেচে নেন ভবঘুরে জীবন। ফকির বেশে মাজারে মাজারে ঘুরে চলতে থাকে আবু জাফরের জীবন।।
গত ০৯ নভেম্বর'২০ সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে চট্টগ্রামের লালদীঘির পূর্ব পাড়ে হজরত শাহ আমানত শাহ (রা:) মাজারের সামনের রাস্তার পাশেই ক্ষুধার্ত, অসুস্থ, অচেতন ও সাড়াশব্দহীন অবস্থায় মোহাম্মদ আবু জাফরকে পাওয়া যায়। সংবাদ পেয়ে কোতোয়ালী থানার সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) বাবুল পাল আবু জাফরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা মৃত ঘোষনা করেন।।
পরবর্তীতে মৃতদেহের পকেটে পাওয়া ন্যাশনাল আইডি কার্ড (এনআইডি)'র সূত্র ধরেই আবু জাফরের ঠিকানা ও বৃত্তান্ত পাওয়া যায়।।
এ সমাজে শুধু নারী নির্যাতনই হয় না, কিছু কিছু পুরুষও নির্যাতিত হয়। যা অনেকটা খালি চোখে দেখা যায় না।।
মহান আল্লাহ, ভালোবাসার কাঙ্গাল মরহুম মোহাম্মদ আবু জাফরের জীবনের সমস্ত গুনাহ সমুহ মাফ করে দিয়ে তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।।
আমিন।। সুম্মা আমিন।।
(কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি জামাল খান নিবাসী মনজুর আলম ভায়ের প্রতি, যিনি তথ্য দিয়ে আমাকে সহযোগিতা করেছেন)

বুধবার, ১১ নভেম্বর, ২০২০

শুধু ছেলেদেরই নয়, মেয়েদেরও সঠিক সময়ে বিয়ে দেওয়া জরুরি

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ  যৌন ক্ষুধা কি সাধারণ ক্ষুধার চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ? ক্ষুধা লাগলে খেতে হয়। খাবার না পেলে চুরি করে হলেও মানুষ খাবার সংগ্রহ করে। তাহলে, যৌন ক্ষুধা নিবারণ করার সুযোগ করে না দিলে তো মানুষ স্বাভাবিকভাবেই হারামের দিকে পা বাড়াবে। দেখুন! বিয়ে কত সহজ ছিলো সাহাবাদের সময়ে!

.সাহল বিন সা’দ (রা.) হতে বর্ণিত আছে যে, একবার এক নারী রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বললো, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি আমার নিজেকে আপনার জন্য উপহার দিতে এসেছি (পরোক্ষ ভাষায় বিয়ের প্রস্তাব)।’ তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দিকে তাকিয়ে তার আপাদমস্তক লক্ষ্য করে মাথা নিচু করলেন। সেই নারী যখন দেখলো যে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন ফায়সালা দিচ্ছেন না, তখন সে বসে পড়লো। এমন সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীদের একজন বললো, ‘যদি আপনার কোন প্রয়োজন না থাকে, তবে এই নারীর সাথে আমার বিয়ে দিয়ে দিন।’ তিনি বললেন, ‘‘তোমার কাছে কি (মোহর দেওয়ার মতো) কিছু আছে?’’ সে বললো, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর কসম! কিছুই নেই।’ তিনি বললেন, ‘‘তুমি তোমার পরিবারের কাছে ফিরে যাও এবং দেখো কিছু পাও কি না!’’ এরপর লোকটি চলে গেলো এবং ফিরে এসে বললো, ‘আল্লাহর কসম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কিছুই পেলাম না।’
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘দেখো, একটি লোহার আংটি হলেও!’’ তারপর সে চলে গেলো এবং ফিরে এসে বললো, ‘আল্লাহর কসম! একটি লোহার আংটিও পেলাম না। কিন্তু এই যে আমার লুঙ্গি আছে।’ সাহল (রা.) বলেন, তার কোন চাদর ছিলো না। অথচ লোকটি বললো, ‘এটাই আমার পরনের লুঙ্গি; এর অর্ধেক দিতে পারি।’ এ কথা শুনে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘তোমার লুঙ্গি দিয়ে সে কি করবে? তুমি পরিধান করলে তার গায়ে কোনো কিছু থাকবে না। আর সে পরিধান করলে তোমার গায়ে কোনো কিছু থাকবে না।’’ তখন লোকটি বসে পড়লো এবং অনেকক্ষণ সে বসেছিল।
তারপর উঠে গেলো। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ফিরে যেতে দেখে ডেকে আনলেন। যখন সে ফিরে আসলো, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘‘তোমার কতটুকু কুরআন মুখস্থ আছে?’’ সে গুণে বললো, ‘অমুক অমুক সূরা মুখস্থ আছে।’ তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘‘তুমি কি এ সকল সূরা মুখস্থ তিলাওয়াত করতে পারো?’’ সে বললো, ‘হ্যাঁ!’ তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘যাও, তুমি যে পরিমাণ কুরআন মুখস্থ করেছো, এর বিনিময়ে এ মহিলার সাথে তোমার বিবাহ দিলাম।’’ [সহিহ বুখারি: ৫০৩০, সহিহ মুসলিম: ১৪২৫]
.
অথচ, এখন ছেলেকে এস্টাবলিশড হতে হয়, ক্যারিয়ার গঠন করতে হয়, বিয়ের আগেই টাকাওয়ালা হতে হয়, সরকারি চাকরিজীবী হতে হয়! কত পরিকল্পনা! সেই সোনালী যামানায় এত কিছু চিন্তা করতে হতো না। যদি বুঝা যেতো, ছেলে পরিশ্রম করে বউয়ের চাহিদা পূরণ করতে পারবে এবং এবং সে এ ব্যাপারে আন্তরিক থাকবে, তাহলে সহজেই কণেকে এমন ছেলের হাতে তুলে দেওয়া হতো। তাই বলে কি তারা না খেয়ে থাকতো? জি না, আল্লাহই তাদের রিযিকের ব্যবস্থা করতেন। আবার বর্তমানে যেভাবে ‘আগুন সুন্দরী’ খোঁজা হয়, ৫ ফুট ৩/৪ ইঞ্চি খোঁজা হয়, দুধেআলতা দেখা হয় এগুলো তখন ছিলো না। কিংবা এখনকার মতো তখন যৌতুকের জন্য ছেলেপক্ষ দিওয়ানা ছিলো না।
.
আবদুল্লাহ্ ইবনু মাসউদ (রা.) বলেন: ‘‘আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে কিছু যুবক ছিলাম, যাদের কিছুই ছিলো না। তখন রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘‘হে যুব সমাজ! তোমাদের মধ্যে যারা সামর্থ্য রাখো, তাদের উচিত বিয়ে করে ফেলা। কেননা বিয়ে দৃষ্টি অবনতকারী ও লজ্জাস্থানকে হেফাযতকারী। আর যার সামর্থ্য নেই, তার উচিত রোজা রাখা। কেননা রোজা যৌন-উত্তেজনা প্রশমনকারী।’’ [সহিহ বুখারি: ৫০৬৬, সহিহ মুসলিম: ১৪০০]
.
মেয়েদের ক্ষেত্রেও একই কথা। কারণ ছেলেদের যৌন-চাহিদার কথা অনেক সময় দৃশ্যমান হলেও মেয়েরা লজ্জায় কিছু বলতে পারে না। আবার মেয়েদের যতটা-না যৌন চাহিদার প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি প্রয়োজন এমন একজন উত্তম জীবনসঙ্গী, যার সাথে সে একান্তে সময় কাটাতে পারে। এজন্য মেয়েরা যখন বিয়ের মাধ্যমে এই সুযোগটি লাভ করতে পারে না, তখন হারাম রিলেশনে জড়ায়। কিন্তু দিনে দিনে তার থেকে লাজুকতা ও কোমলতা হারিয়ে যেতে থাকে। অনেক সময় সে ছেলে বন্ধুর প্ররোচনায় অশ্লীল চ্যাট করে, ন্যুডিটি আদান-প্রদান করে আবার অনেক সময় নিজেই এসবে অভ্যস্ত হয়ে যায়, ট্রেন্ডে গা ভাসিয়ে দেয়। তাই, শুধু ছেলেদেরই নয়, মেয়েদেরও সঠিক সময়ে বিয়ে দেওয়া জরুরি।

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘তোমরা যে ছেলের দ্বীনদারি ও চরিত্রের ব্যাপারে সন্তুষ্ট হতে পারবে, সে যদি প্রস্তাব দেয়, তাহলে তার কাছে (তোমাদের মেয়েকে) বিয়ে দিয়ে দাও। যদি তা না করো, তবে পৃথিবীতে মহা-বিপর্যয় সৃষ্টি হবে।’’ [তিরমিযি: ১০৮৪, হাদিসটি হাসান]
.
সম্মানিত অভিভাবক, আপনি বাস্তবতায় আসুন। নিজের অবিবাহিত (ব্যাচেলর) জীবনকে স্মরণ করুন। আপনার সন্তান এখন সেই সময়টি অতিবাহিত করছে। আপনি সেই সময়টিতে যা কামনা করতেন, আপনার সন্তান এখন সেটি কামনা করে। আপনি তখন যেভাবে মন খারাপ করে থাকতেন, আপনার সন্তান এখন তেমনটা করে। আশা করি, বুঝেছেন। না বোঝার তো কিছু নেই। দয়া করে সমাজের দোহাই দিয়ে নিজের সন্তানকে হারামে জর্জরিত করে রাখবেন না। সন্তানের প্রতি এই অবহেলায় সন্তানের গুনাহের দায় আপনি এড়াতে পারবেন না। আল্লাহর কসম! আল্লাহর পাকড়াও থেকে রেহাই পাবেন না।
.
ফাতেমা খাতুন, কেশরহাট, মোহনপুর, রাজশাহী ।

বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২০

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ের মুকুট ছিনিয়ে নিলেন জো-বাইডেন

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ জো বাইডেন আমেরিকার ৪৬ তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। 

সেই সাথে বিদায় নিলেন বিশ্বের তুমুল আলোচনা সমালোচনার কেন্দ্রে থাকা সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তিনি ছিলেন বিশ্ব রাজনৈতিক নেতৃত্ব’র ইতিহাসে সমালোচনার শীর্ষে । 
রাজনীতিসহ  অন্যান্য সকল গুরুত্বপূর্ন অঙ্গনে তার অদ্ভুদ বিচরণ, কথা, আকষ্মিক দিকনির্দেশনা ও  আক্রমণমূলক সিদ্ধান্ত দেশ ও বিশ্ব দরবারেও করেছে প্রশ্নবিদ্ধ ও জনমনে সৃষ্টি হয় মিশ্রপ্রতিক্রিয়া।

ট্রাম্পের পরাজয়ের ফলে বিশ্বনেতৃত্বে ও আমেরিকার ইতহাসে ইতিবাচক ও নীতিবাচক তুমুল ঝড়ের যেন অন্ত নেই।
আমেরিকার নেতৃত্বের পরিবর্তন হতে যাচ্ছে তেমনি বিশ্ব নেতৃত্বেও। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চরম উৎকন্ঠা, উত্তেজনা অবশেষে বিজয়ের মুকুট পেলেন বিশ্ববরেণ্য প্রবীন রাজনৈতিক শীর্ষ নেতৃত্বর কেন্দ্রবিন্দু জো বাইডেন।
জো-বাইডেন হলেন ইতিহাসে দীর্ঘ ৫০ বছর অতিবাহিত করা একজন অতুলনীয় রাজনীতিবিদ ও বহুল আলোচিত ব্যাক্তিত্ব। সারা বিশ্ব আশাবাদী বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় আপনার ভূমিকাও যেন হয় অতুলনীয়। আমেরিকার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেন।

তিনি ডেমোক্রেটিক দল থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ায় বিশ্বের সকল প্রান্তের গন্যমান্য শীর্ষ নেতৃত্ববৃন্দের প্রাণঢালা উষ্ণ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনে সিক্ত ও বিশ্ব শান্তিতে অনন্য অবদান রাখবেন বলে সকলেই আশাবাদী। আবারও জানাই ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন নব নির্বাচিত বিশ্বের ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেন।

বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০২০

আবারও মার্কিন নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হলেন মুসলিম নারী "ইলহান ওমর"

 
আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ দ্বিতীয় মেয়াদে কংগ্রেস সদস্য হলেন মুসলিম নারী ইলহান ওমর।

হিজাব পরিহিত এই মুসলিম নারী কংগ্রেস সদস্য ইলহান ওমররিপাবলিকান প্রার্থী সোমালিয় বংশোদ্ভূত ৪১ বছরের ইলহান ওমর দ্বিতীয় মেয়াদে সহজেই মার্কিন কংগ্রেস সদস্য নির্বাচিত হয়েছে।

মঙ্গলবারের নির্বাচনে এই মুসলিম নারী সহজেই প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী কে পরাজিত করেছেন।

শনিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২০

গরম পানির গ্লাসে লেবুর টুকরা আপনার বাকি জীবনের জন্য আপনাকে বাচাতে পারে: অধ্যাপক চেন হোরিন

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ বেইজিং সামরিক হাসপাতালের চীফ এক্সিকিউটিভ অধ্যাপক চেন হোরিন বলেন, "গরম পানির গ্লাসে লেবুর টুকরা আপনার বাকি জীবনের জন্য আপনাকে বাচাতে পারে"।
এমন কি আপনি যদি ব্যস্ত ও থাকেন তাহলে এই বার্তা টি দেখা মাত্র অন্যের কাছে পাঠানো উচিৎ মানবিক কারনে।
প্রথমতঃ গরম লেবু ক্যান্সার কোষ কে মেরে ফেলতে পারে।
একটা লেবু তিন টুকরা করে কেটে একটা কাপে রাখুন। তার পর গরম পানি ঢালুন। এটি (alkaline পানি) হয়ে যাবে। প্রতিদিন এটা পানে অবশ্যই সবার বিশেষ উপকারে আসবে। হট লেবু থেকে এন্টি ক্যান্সার ড্রাগ বের (release) হয়।
ক্যন্সার, টিউমারের উপর গরম লেবুর রসের একটি কার্যকরী প্রভাব আছে এবং এটা সব ধরনের ক্যান্সারের চিকিৎসার ক্ষেত্রে বলা বা দেখানো হয়েছে।
এই নির্যাসের চিকিৎসা (গরম লেবুর রস) শুধু মাত্র ম্যালিগন্যান্ট কোষ ধ্বংস হবে এবং সুস্হ কোষের উপর এর কোনো প্রভাব পরবে না।
দ্বিতীয়তঃ লেবুর রস এসিড এবং মন কার্বক্সিলিক এসিড উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করে। অন্তত যারা এই লিখাটি পাবেন তারা পড়বেন এবং বন্ধুদের সাস্হ্য সচেতনতার জন্য অবশ্য ই শেয়ার যদি করেন তবেই আমার কস্ট করে লিখা সার্থক হবে।
অধ্যাপক চেন হোরিন বলেছেন, আমি আমার কর্তব্য পালন করেছি, আশা করি আপনিও এটি ছড়িয়ে দিতে আমাকে সাহায্য করবেন।

নোটঃ গরম লেবুপানি বানানোর এই প্রকৃয়ায় কোনো প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার করা যাবে না। কাঁচের গ্লাস অথবা কাপ ব্যবহার করবেন। 

বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২০

নিজে সতর্ক ও সচেতন থাকুন। এবং অন্যকেও সতর্ক ও সচেতন করুন

 

১. কখনো বাসে জানালার পাশে বসে মোবাইল টিপবেন না। কখন নিয়ে যাবে, টের পাবেন না।

২. রিকশাতে বসে কোলে ব্যাগ রাখবেন না। পাশ থেকে মটরসাইকেল কিংবা গাড়িতে করে এসে হ্যাচকা টান দেবে।
-
৩. রাস্তায় কিছু খাবেন না, কিছুই না। দূরপাল্লার যাত্রা হলে বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে আসুন অথবা প্যাকেটজাত কিছু খান। পাশের যাত্রী কিছু দিলে খান না, তাতে কি? হয়তো যে পানি বা ডাব কিনলেন, বা অন্যকিছু তাতেই থাকতে পারে ঔষধ।
৪. ট্রেন জার্নিতে দরজার পাশে, দুই বগির পাশে দাড়াবেন না। কিংবা যতোই ভালো লাগুক দরজায় দাঁড়িয়ে সিগারেট খাবেন না। ট্রেনের ছাদে চলাচল যতোই রোমান্টিক লাগুক, যে গ্যাং গুলো ছিনতাই করে, তারা খুবই নির্দয় এবং বেপরোয়া। অনেক যাত্রীর লাশ পাওয়া যায় সারাদেশের ট্রেন লাইনের আশেপাশে। বেশিরভাগই বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করে ফেলা হয়।
-
৫. কপাল খারাপ হলে ছিনত্যাইয়ের শিকার হবেন। ধরা যাক হলেন। কি করবেন ? ছিনতাইকারী বেশ কয়েকজন। আপনি একা, চারপাশে কেউ নেই। আপনাকে ঘেরাও করে রেখেছে। আপনার পকেটে দামী ফোন। এসবক্ষেত্রে ভালো হয় ফোনের মায়া ত্যাগ করা। কারণ যারা ছিনতাইকারী তাদের বেশিরভাগই নেশাগ্রস্থ। আপনার জীবনের দাম পৃথিবীর যেকোনো দামী ফোনের চেয়েও অনেক বেশি।
৬. বান্ধবী বা মেয়ে বন্ধুর সাথে রেস্টুরেন্ট বা পার্কে যাচ্ছেন। হঠাৎ দেখবেন আপনার চারপাশে একদল ছেলের আবির্ভাব। এরা কিন্তু একটা গ্যাং। দেখবেন আপনাদের নিয়ে নানান রকম আজে বাজে কথা বলছে, বাজে ইঙ্গিত দিচ্ছে। আসলে ওরা চাইছেই আপনাকে উত্তেজিত করে একটা ঝামেলায় বাধাতে। এতে ওদের লাভ, সেটা কিরকম ?
ধরাযাক আপনি মাথা গরম করে ঝামেলায় জড়ালেন। ওরা আপনাকে অপমান করেছে বলে আপনি পাল্টা কিছু বললেন বা করলেন। এই পেয়ে গেলো সুযোগ। ওরা তখন বাইরে থেকে নেতা গোছের কাউকে ধরে আনবে। যিনি এসেই আপনাকে আপনার বান্ধবীর সামনেই নানান রকমভাবে জেরা করবে। তারপর বিচারে আপনাকেই দোষী বানিয়ে দেবে। অত:পর মিটমাট করার নাম করে আপনার কাছ থেকে জরিমানা বাবদ টাকা পয়সা কিংবা দামী ঘড়ি, ফোন অথবা ল্যাপটপটা রেখে দেবে। তাই এসব জায়গায় কথা বাড়ানো মানেই ঝামেলা ডেকে আনা। আর নির্জন জায়গা হলে এদের দেখা মাত্রই সরে পড়ুন।

৭. ভোররাতে ঢাকা এসে পৌঁছেছেন। সাহস দেখিয়ে রাস্তায় নেমে পড়তে যাবেন না। বাসস্টপে বা ট্রেন স্টেশনেই অপেক্ষা করুন। সকালে যখন রাস্তায় যথেস্ট মানুষ থাকবে তখন বের হন।
-
৮. ট্রেন স্টেশনে বা সদরঘাটে নিজে নিজে বয়ে নিয়ে যেতে পারেন না এমন বোঝা নিয়ে এসেছেন তো মরেছেন। মাথায় করে পৌঁছেব দেয়ার নামে আপনার কাছ থেকে চাদার মতো ৪০০-৫০০ টাকা খসিয়ে ছাড়বে কুলিরা। তাই সাবধানে থাকুন, দরদাম করে তারপর কুলি ঠিক করুন।
-
৯. নিউমার্কেট বা নীলক্ষেতের মত জায়গায় কেনা কাটা করতে গেলে খুবই সাবধান। কৌতুহলের বশে কোনো কিছুর দাম জিজ্ঞেস করলেও এখানে আপনাকে পাল্টা দাম বলার জন্য জোরাজুরি করবে। মনে রাখবেন এখানে মেজাজ দেখিয়ে লাভ নাই, এখানকার দোকানীরা সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করে।
-
১০. বাসে উঠলে প্যান্টের পিছনের পকেটে মোবাইল, মানিব্যাগ এসব কিছু রাখা নিরাপদ না। দেখবেন ভিড়ের মাঝে বাসে ওঠতেছেন যে কেউ টান মেরে নিয়ে যেতে পারে টের ও পাবেন না। তাই সামনের পকেটে এসব জিনিস রাখুন।
-
১১. বাণিজ্যমেলা, চিড়িয়াখানা, চন্দ্রিমা উদ্যান কিংবা শিশুপার্কে গিয়ে দাম খুব ভালো করে না জেনে কিচ্ছু খাবেন না। দেখা যাবে একটা সিংগাড়া কিংবা আধা প্লেট বিরিয়ানি খাইয়ে ৪০০-৫০০টাকার বিল ধরিয়ে দেবে আপনাকে।
-
১২. রাতে ঘোরাঘুরি না করাই ভালো। ছিনত্যাইকারী ধরলেতো কথাই নেই। এমনকি ‌( কিছু বিপদগামী)পুলিশ ( সক‌লেই নয় )ধরলেও বিপদ। যতই নির্দোষ হন, পুলিশ যদি বুঝতে না চায় আর আপনাকে আটকে রাখার নিয়ত যদি থাকে, তাহলে আপনার কিছুই করার থাকবে না।
-
১৩. বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছেন, হঠাৎ একটা মাইক্রোবাস এসে থামলো আপনার সামনে। সেটা প্রাইভেট গাড়িও হতে পারে। আপনাকে চালক বলবে সে গ্যারেজে ফেরার পথে বাড়তি কিছু ‘ট্রিপ’ নিচ্ছে। খুব অল্প ভাড়ায় আপনাকে পৌছে দেবার কথা বলবে। আপনি উঠবেন না। মেয়ে হলেতো আরো আগে না।
-
১৪. রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন। হঠাৎ ভদ্রবেশি কেউ এসে, সে হতে পারে ছেলে বা মেয়ে বা বয়ষ্ক পুরুষ কিংবা মহিলা, আপনার ফোন চাইলো। বললো, উনার কোন একটা সমস্যার কথা, এক্ষুনি একটা ফোন দিতে হবে কাউকে। আপনি বিশ্বাস করে ফোনটা দিলেন, দেখবেন পরক্ষণেই হুট করে বাইকে উঠে হাওয়া।
-
১৫. সাথে সবসময় আইডি কার্ডের ফটোকপি সাথে রাখুন। বিপদে পড়লে খুব কাজে দেয়। হয়তো কোনো দূর্ঘটনা ঘটেছে, অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন, তখন যারা উদ্ধার কাজে আসবে তারা আপনার পরিবার পরিজনকে জানাতে পারবে।
-
১৬. নতুন বিবাহিত হলে এবং স্ত্রীকে সাথে নিয়ে ঘুরতে এলে কাবিননামার ছবি মোবাইলে তুলে রাখুন। কখন কোন কাজে লেগে যাবে বুঝতেও পারবেন না। সবচেয়ে বড় কথা, সবসময় সতর্ক থাকুন, চোখ কান খোলা রাখুন। মনে রাখবেন,,,, 
আপনার নিরাপত্তা আপনারই হাতে। এই বিষয়ে আপনারা সতর্ক থাকবেন। নিজে সতর্ক ও সচেতন থাকুন। এবং অন্যকেও সতর্ক ও সচেতন করুন।

সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২০

অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সাত্তার আবু গোদ্দাহ ইন্তেকাল করেছেন।

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ ইখওয়ানুল মুসলিমিনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও প্রখ্যাত অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সাত্তার আবু গোদ্দাহ ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন।

তিনি ছিলেন তুলনামূলক ইসলামী আইনশাস্ত্রের অধ্যাপক এবং ইসলামী ফিকহ একাডেমীর সাবেক প্রধান।
ডঃ আবু গোদ্দা সৌদি আরব, কুয়েত, মিশর এবং বিভিন্ন দেশে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসাবে চাকু‌রি করেছেন। তিনি ১৯৯০ সাল থেকে কুয়েতের একটি ফিকহ এনসাইক্লোপিডিয়ায় গবেষক এবং বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন। এবং ১৯৫৫ সাল থেকে ইসলামী আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টিং, অডিটিং সংস্থার স্ট্যান্ডার্ড বোর্ড ও শরিয়া বোর্ডের সদস্য ছিলেন। এছাড়াও তিনি বহু আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও আইনী পরিষদের সদস্য এবং বিশেষজ্ঞ ছিলেন।

অধ্যাপক শেখ আব্দুস সাত্তার আবু গোদ্দা ১৯৪০ সালে সিরিয়ার আলেপ্পোতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দামেস্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৪ সালে বিএ ডিগ্রি করেন এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৫ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

এরপরে তিনি মিশরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৬৬ সালে শরিয়ায় এমএ,১৯৬৯ সালে হাদিসশাস্ত্রে এমএ করেন।পুনরায় আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ১৯৭৫ সালে (তুলনামূলক আইনশাস্ত্র)পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।

তুলনামূলক ইসলামী আইনশাস্ত্র, আর্থিক লেনদেন, ইসলামী ব্যাংকিং, যাকাত, অনুদান, হিসাববিজ্ঞান, আইনী শাসন, আইনী অধ্যয়ন, পাণ্ডুলিপি যাচাইকরণ পদ্ধতি এবং ইসলামী মেডিসিন বিষয়ে প্রচুর গবেষণা ও থিসিস তৈরি করেছেন তি‌নি।

তার উল্লখযোগ্য গবেষণাপত্র - সংস্কার এবং গত দশকগুলির প্রভাব, বর্তমান যুগে ইসলামী আইন ও শাসকের ভূমিকা, চিকিৎসা, আইনশাস্ত্র ও মানসিক স্বাস্থ্য, ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে গবেষণা, যাকাত ইত্যাদি।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাকে জান্নাতের মেহমান হিসাবে কবুল করুন। আমিন।

ঘাইহরিণীর ডাক : রহমাতুল্লাহ খন্দকার

 

দ্বীপ জাজিরার কূলে সমুদ্র উঠেছে ফুলে, হয়েছে নতুন ক্যাম্প

এখানে সেখানে আশেপাশে কাছে বারুদের গন্ধ কোথা থেকে আসে
বনের বাতাসে কোথা থেকে ভাসে গোশ্তের সুঘ্রাণ
শিকড়ে শিকড়ে লোনাজল ঢোকে, মোড়ক লেগেছে বনে
সুন্দরী গাছেরা ক্রমে হতেছে উজাড়।
দুর্যোগ ঘনায়ে আসে-পাখিরা চলেছে ছেড়ে পৈতৃক নিবাস।
পদ্মায় চরের বালু হাহাকার ঢেউ তোলে একূল ওকূল ছেপে-
ওই পাড়ে কুঠিবাড়ি এ পাড়ে কাঁচারি কাঁদে কেঁপে।
যমুনার কূলে কূলে স্বপ্নের দুয়ার খুলে কূলহারা কৃষকেরা পেতেছে সংসার-
গহীন জঙ্গল থেকে হিংস্র পশু দলে দলে নষ্ট করে গেছে খেতের ফসল-
পাকাধান-কলার বাগান।

আকাশ করেছে কালো, দেয়া ডাকে ঘন, বজ্রের গর্জন,
ঠাটা পড়ে-ভয়ে সব অন্ধরে করেছে তন্ত্র-মন্ত্রের জপন
ঘনঘোর এই রাতে গুম হলে পিতা, মেয়েটি তাহার গিয়েছিল খোঁজে-
সারা দিন ভরা এই আধুনিক অন্ধকারে
সম্ভ্রম সে খোয়ায় শেষে শিকারীর খোশভোজে।

আহারে মায়ের কোলে ফেরিনি ছেলেটি কাল
আজ তার লাস ধরে বড়াল নদীর জাল।
ক্রসফায়ারে কতনা এমন সোনালি-রুপালি পাখি
বলি হয় রোজ হিজলের বনে, আমের বাগানে,
আষাঢ়ে বর্ষার জলে ভেসে যায় অসহায় কতনা কদম ফুল।
ঘুঘু পাখি দেখি না যে, দোয়েলেরা ডাকে নাকো কাঁঠালের ডালে।
শাল-তমালের বনে শিকারীরা আবার পেঁতেছে ফাঁদ-
বাঘের খাঁচায় বন্দি সেই ঘাই হরিণীর শাবকের করুণ ক্রোন্দন রোল
শোনা যায় থেকে থেকে এই ঘোর অমাবশ্যা রাতে
সেই ডাক শুনে দেখি আমার মাথার ওই ওপরে ওপরে
শকুনেরা ওড়াওড়ি করে-
আরো দূর বহু দূরে যায় না যে দেখা বেশি কবরের মাটি খুঁড়ে।

একদিন মানবিক প্রাতঃকাল নামে যদি কোনো এক নবপুর গ্রামে,
দোল পূর্ণিমায়, হ্রাস উৎসবের রাতে জমে যদি জারিসারি, কবিতা-আসর
ভবিতব্য ছেলেরা আমার অতীতের পৃষ্ঠা খুলে একা এক পড়ে নিয়ো
আমাদের দিনগুলি, ঘোরলাগা ভোর
তাদের জিজ্ঞাসাগুলো শঙ্খচিল, হাঁসের মতোন সেই দিন
ঢেউ তোলে যদি এই হাতিঝিল জলে-
এমন সে দানবের দেশে পিতৃপুরুষেরা কতকাল রয়ে গেলে
কাপুরুষ বেশে?

রাক্ষসের মতো ছিল না কি হাত তাদের, বজ্রের বিষ কি ছিল না চোখে?
তবে কেন ঘোর অমবস্যা রাতে নাগিনীরা ফেল গেল বিষাক্ত নিঃশ্বাস,
অন্ধকুল দেখে গেল বেশি হাজারো মনীষা গ্রামে?

রবো না হয় তো আমি সেই দিন কোনো এক জোছনার রাতে
তাদের আকাশে তারা
হাঁস হয়ে ঘাস হয়ে আমি আর ফিরবো নাকো জন্ম-জন্মান্তর
পৃথিবীর কোনো লোকালয়, নগন-বন্দরে
তখন তাদের প্রশ্নগুলো ঘনকালো অন্ধকারে ঘুরেঘুরে হবে দিশেহারা।
ইথার নদীর জলে কান পেতে শুনে নিয়ো ভবিতব্যের ছেলেরা সেই দিন-
সিংহশাবকেরা নীল ঘাই হয়ে দূর অতীতের কালে, সঘন সন্ধ্যায়
জীবনানন্দের ঘাই হরিণীর মতো কেন তবে ঘুরেঘুরে কেঁদেছিল
সকরুণ নিদারুণ এই ক্যাম্পে এসে।

ফররুখ দেখেছিলেন ‘তেরশো পঞ্চাশে’
মুখ গুঁজে পড়ে ছিল লাশ জমিনের পরে নিথর নিস্তব্ধ হিমে
পাশ দিয়ে চলে যেত সজ্জিত পিশাচ, নারী নর একাকার
আবারো কি এলো সেই সভ্যতা বর্বর
কোন আজাজিল কাটে জ্যান্ত মানুষের ধর
কোন সে দানব শয়তান
ধর্ষিতার খুনে করিতেছে স্নান
হে সভ্যতা!
হে জড় সভ্যতা!
আজো সেই একি অভিশাপ দাও-
ধ্বংস হও
তুমি ধংস হও।ঘাইহরিণীর ডাক
রহমাতুল্লাহ খন্দকার

দ্বীপ জাজিরার কূলে সমুদ্র উঠেছে ফুলে, হয়েছে নতুন ক্যাম্প
এখানে সেখানে আশেপাশে কাছে বারুদের গন্ধ কোথা থেকে আসে
বনের বাতাসে কোথা থেকে ভাসে গোশ্তের সুঘ্রাণ
শিকড়ে শিকড়ে লোনাজল ঢোকে, মোড়ক লেগেছে বনে
সুন্দরী গাছেরা ক্রমে হতেছে উজাড়।
দুর্যোগ ঘনায়ে আসে-পাখিরা চলেছে ছেড়ে পৈতৃক নিবাস।
পদ্মায় চরের বালু হাহাকার ঢেউ তোলে একূল ওকূল ছেপে-
ওই পাড়ে কুঠিবাড়ি এ পাড়ে কাঁচারি কাঁদে কেঁপে।
যমুনার কূলে কূলে স্বপ্নের দুয়ার খুলে কূলহারা কৃষকেরা পেতেছে সংসার-
গহীন জঙ্গল থেকে হিংস্র পশু দলে দলে নষ্ট করে গেছে খেতের ফসল-
পাকাধান-কলার বাগান।

আকাশ করেছে কালো, দেয়া ডাকে ঘন, বজ্রের গর্জন,
ঠাটা পড়ে-ভয়ে সব অন্ধরে করেছে তন্ত্র-মন্ত্রের জপন
ঘনঘোর এই রাতে গুম হলে পিতা, মেয়েটি তাহার গিয়েছিল খোঁজে-
সারা দিন ভরা এই আধুনিক অন্ধকারে
সম্ভ্রম সে খোয়ায় শেষে শিকারীর খোশভোজে।

আহারে মায়ের কোলে ফেরিনি ছেলেটি কাল
আজ তার লাস ধরে বড়াল নদীর জাল।
ক্রসফায়ারে কতনা এমন সোনালি-রুপালি পাখি
বলি হয় রোজ হিজলের বনে, আমের বাগানে,
আষাঢ়ে বর্ষার জলে ভেসে যায় অসহায় কতনা কদম ফুল।
ঘুঘু পাখি দেখি না যে, দোয়েলেরা ডাকে নাকো কাঁঠালের ডালে।
শাল-তমালের বনে শিকারীরা আবার পেঁতেছে ফাঁদ-
বাঘের খাঁচায় বন্দি সেই ঘাই হরিণীর শাবকের করুণ ক্রোন্দন রোল
শোনা যায় থেকে থেকে এই ঘোর অমাবশ্যা রাতে
সেই ডাক শুনে দেখি আমার মাথার ওই ওপরে ওপরে
শকুনেরা ওড়াওড়ি করে-
আরো দূর বহু দূরে যায় না যে দেখা বেশি কবরের মাটি খুঁড়ে।

একদিন মানবিক প্রাতঃকাল নামে যদি কোনো এক নবপুর গ্রামে,
দোল পূর্ণিমায়, হ্রাস উৎসবের রাতে জমে যদি জারিসারি, কবিতা-আসর
ভবিতব্য ছেলেরা আমার অতীতের পৃষ্ঠা খুলে একা এক পড়ে নিয়ো
আমাদের দিনগুলি, ঘোরলাগা ভোর
তাদের জিজ্ঞাসাগুলো শঙ্খচিল, হাঁসের মতোন সেই দিন
ঢেউ তোলে যদি এই হাতিঝিল জলে-
এমন সে দানবের দেশে পিতৃপুরুষেরা কতকাল রয়ে গেলে
কাপুরুষ বেশে?

রাক্ষসের মতো ছিল না কি হাত তাদের, বজ্রের বিষ কি ছিল না চোখে?
তবে কেন ঘোর অমবস্যা রাতে নাগিনীরা ফেল গেল বিষাক্ত নিঃশ্বাস,
অন্ধকুল দেখে গেল বেশি হাজারো মনীষা গ্রামে?

রবো না হয় তো আমি সেই দিন কোনো এক জোছনার রাতে
তাদের আকাশে তারা
হাঁস হয়ে ঘাস হয়ে আমি আর ফিরবো নাকো জন্ম-জন্মান্তর
পৃথিবীর কোনো লোকালয়, নগন-বন্দরে
তখন তাদের প্রশ্নগুলো ঘনকালো অন্ধকারে ঘুরেঘুরে হবে দিশেহারা।
ইথার নদীর জলে কান পেতে শুনে নিয়ো ভবিতব্যের ছেলেরা সেই দিন-
সিংহশাবকেরা নীল ঘাই হয়ে দূর অতীতের কালে, সঘন সন্ধ্যায়
জীবনানন্দের ঘাই হরিণীর মতো কেন তবে ঘুরেঘুরে কেঁদেছিল
সকরুণ নিদারুণ এই ক্যাম্পে এসে।

ফররুখ দেখেছিলেন ‘তেরশো পঞ্চাশে’
মুখ গুঁজে পড়ে ছিল লাশ জমিনের পরে নিথর নিস্তব্ধ হিমে
পাশ দিয়ে চলে যেত সজ্জিত পিশাচ, নারী নর একাকার
আবারো কি এলো সেই সভ্যতা বর্বর
কোন আজাজিল কাটে জ্যান্ত মানুষের ধর
কোন সে দানব শয়তান
ধর্ষিতার খুনে করিতেছে স্নান
হে সভ্যতা!
হে জড় সভ্যতা!
আজো সেই একি অভিশাপ দাও-
ধ্বংস হও
তুমি ধংস হও।

মঈনউদ্দীন হাছান চৌধুরীর সিঙ্গাপুরে ইন্তেকাল

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ  চট্রগ্রাম কে.সি.দে রোড়স্থ স্বনামধন্য "পাশাপাশি সীড কোম্পানি লি:"এর সত্বাধিকারী বিশিষ্ট "বীজ" ‍ব্যাবসায়ী চন্দনাইশ নিবাসী আলহাজ্ব মঈনউদ্দীন হাছান চোধূরী আর আমাদের মাঝে নেই

তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল ইন্তিকাল করিয়াছেন- ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহি রাজেউন, মৃত‍্যুকালে তিনি - স্ত্রী, দুই শিশুপুত্র, আত্মীয়-স্বজন সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে যান। 
মরহুমের কফিন দেশে ফিরিয়ে আনা সাপেক্ষে দাফন-কাপনের আয়োজন সংক্রান্ত তথ‍্য পরবর্তীতে পরিবারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে। 

 তার মৃত্যুতে জনাব হেলাল চৌধুরীসক অনেকেই  মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা শোক প্রকাশ করেছেন।
শোকবানীতে তারা মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা ও  শোক সন্তপ্ত পরিবার বর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।  পরলৌকিক শান্তির নিমিত্তে একান্ত দোয়া করার জন‍্য সকলের নিকট বিনীত অনুরোধ করেছেন।

সাংসদ হাজী সেলিম পুত্র ইরফান ১বছরের কারাদন্ড নিয়ে কারাগারে


আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ পুরান ঢাকার
সাংসদ হাজী সেলিম পুত্র ইরফান ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক ১ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে। 

২৫ অক্টোবর রাতে এ নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে একটি  হত্যা চেষ্টা মামলার সূত্র ধরে ২৬ অক্টোবর দুপুর ১২টা থেকে রাত অবধি পুরান ঢাকার চকবাজারে অবস্থিত চাঁন সরদার দাদা বাড়ি ৯ তলা ভবনের ৩য় ও ৪র্থ তলায় র‌্যাব-৩ ও র‌্যাব-১০ য়ৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন। 

র‌্যাবের অভিযানে ঐ বাড়িতে প্রচুর পরিমানে বিদেশী মদ,  ৩৮টি ওয়াকিটকী, পুঁলিশের হ্যান্ডকাপসহ বেশ কিছু অবৈধ সরঞ্জামাদি পাওয়া যায়। 

ভ্রাম্যমান আদালত বাসায় মদ পান এর অপরাধে ৬মাসের কারাদন্ড  এবং অবৈধভাবে ওয়াকিটাকী রাখার অপরাধে আরো ৬ মাসের কারাদন্ড মোট ১ বছরের কারাদন্ড প্রদান করে হাজী  সেলিমপুত্র ইরফানকে কারাগারে পাঠায় ভ্রাম্যমান আদালত। 

চাঁন সরদার বাড়ির পর পাশের আরো একটি ভবন মদিনা আসিক টাওয়ারে ইরফান সেলিমে কার্যালয়ে র‌্যাবের অভিযান রাতেই পরিচালিত হয়। র‌্যাবের ভাষ্যমতে সেখানে একটি  টর্চার সেল পাওয়া যায়। 

র‌্যাব ধারনা করছে যে, চাঁদাবাজি ইত্যাদীতে এই টর্চার সেল ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। সেখানে ওয়াকিটকী, পুলিশের হ্যান্ডকাপ, হকিস্টিকার, রশি(দড়ি) ইত্যাদী সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। 

ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা হয়েছে, ধানমন্ডি থানায় মামলাটি করেছেন নির্যাতনের শিকার নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিম। ধারণা করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে আরো মামলা হতে পারে।

উল্লেখ্য,  হাজী সেলিম পুত্র ইরফান সেলিম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ ওয়ার্ড  কাউন্সিলর। সর্বশেষ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন পাননি। তাই সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।



About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী